নানা অনিয়মে ডুবতে থাকা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পিপলস লিজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের (পিএলএফএসএল) নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনার একদিন পর মঙ্গলবার অনেকটাই চাঙ্গা এ খাতের লোকশানি কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দর।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নন ব্যাংক আর্থিক খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে কেবল পিপলস লিজিংয়ের ক্ষেত্রেই বার বার সময় নিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে লেনদেন। পিকে হালদার কাণ্ডে কোম্পানিটি প্রায় ডুবতে বসেছিল। অবশেষে প্রতিষ্ঠানটির বোর্ড পুর্নগঠন করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
আদালত বলেছে, এই বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন অবসর নেয়া কোনো বিচারপতি বা সিনিয়র আইনজীবী। আর বোর্ডের সদস্য থাকবেন একজন আইনজীবী, আমানতকারীদের মধ্যে একজন, সরকারি উচ্চ পদস্থ কোনো কর্মকর্তা এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেড।
২০১৯ সালের ১৪ জুলাই থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত পিপলস লিজিংয়ের শেয়ার লেনদেন বন্ধের ঘোষণা করে ডিএসই। এরপর ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ৩৮ দফায় প্রতিষ্ঠানটির লেনদেন স্থগিত করা হয়।
একইভাবে পুঁজিবাজারে লোকসানি আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ফারইস্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ফার্স্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেড সময় মতো লভ্যাংশ না দিলেও দর বৃদ্ধির জোয়ারে ভাসছে।
সোমবার আদালতের এমন সিদ্ধান্তে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে পুরো নন ব্যাংক আর্থিকখাতে। লেনদেন তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটির দরও কমেনি। ৫টির দর ছিল অপরিবর্তীত। আর বাকি ১৮টি প্রতিষ্ঠানের দর বেড়েছে।
এ খাতের নানা অনিয়মের খবরে অনেক আগেই এ খাত থেকে বিনিয়োগ আগ্রহ হারিয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
২৩ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫টি প্রতিষ্ঠান লোকসানি। বাকি ১৮টি প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগ সময়মতো লভ্যাংশ ঘোষণা না করলেও শেয়ার প্রতি আয় ইতিবাচক।
গত তিন মাসে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২২টির দর বেড়েছে। কেবল ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং লিমিটেডের শেয়ার দর কমেছে।
বিনিয়োগকারীদের ধারনা, লোকসানি এসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আরও সজাগ হবে সরকারসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ফলে কম দামি শেয়ার কিনে আগামীতে ভালো রিটার্ন পাওয়া যাবে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, পুঁজিবাজারে যেসব লোকসানি প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলোর শেয়ারের দরও বাড়ে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বছর শেষে লভ্যাংশ নয় বরং ডে ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে মুনাফা পাবে এমন প্রত্যাশা থেকেই বিনিয়োগ হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বেশির ভাগ বিনিয়োগকারীই লোকসান করে থাকে। তবে এসব শেয়ার নিয়ে যারা কারসাজিতে যুক্ত কেবল তারাই মুনাফা নিয়ে খারাপ শেয়ার থেকে বের হয়ে যায়।
শেয়ার প্রতি লোকসান বেশি ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ে
কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ১১ টাকা ৩৮ পয়সা লোকসানে থাকা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স সার্ভিসেস মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৫ টাকা ৮০ পয়সায়। ৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি দর ছিল ৪ টাকা ২০ পয়সা। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি দর ১ টাকা ৬০ পয়সা বা ৩৮.০৯ শতাংশ।
শেয়ার প্রতি ৮ টাকা ৫৪ পয়সা লোকসানে থাকা ফার্স্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ার মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৬ টাকা ১০ পয়সা। গত ৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি দর ছিল ৪ টাকা ৩০ পয়সা। এই সময়ে এর শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ১ টাকা ৮০ পয়সা বা ৪১.৮৬ শতাংশ।
শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ৭৯ পয়সা লোকসানে থাকা বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স লিমিটেডের গত ১৫ এপ্রিল শেয়ার প্রতি দর ছিল ৩ টাকা ৮০ পয়সা। মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫ টাকায়। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর বেড়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা বা ৩১ দমমিক ৫৭ শতাংশ।
ফার্স্ট ফিন্যান্স লিমিটেডের শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৩০ পয়সা লোকসানে থাকা প্রতিষ্ঠানটির মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৬ টাকা ৭০ পয়সা। ২৮ এপ্রিল শেয়ার প্রতি দর ছিল ৬ টাকা ১০ পয়সা। এ সময়ে শেয়ার দর বেড়েছে ৬০ পয়সা বা ০৯.৮৩ শতাংশ।
শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৭০ পয়সা লোকসানে থাকা ফারইস্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ২৯ এপ্রিল দর ছিল ছিল ৩ টাকা ৩০ পয়সা। মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর ৯.০৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪ টাকা ৮০ পয়সা। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে দেড় টাকা বা ৪৫.৪৫ শতাংশ।
সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ন্যাশনাল হাইজিংয়ের
এ সময়ে নন ব্যাংক আর্থিক খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ন্যাশনাল হাউজিং লিমিটেডের। মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৪৫ টাকা ৫০ পয়সা। ৪ এপ্রিল শেয়ার প্রতি দর ছিল ২৮ টাকা ২০ পয়সা। এই সময়ে শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ১৭ টাকা ৩০ পয়সা বা ৬১.৩৪ শতাংশ।
জিএসপি ফিন্যান্স কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২১ টাকা ২০ পয়সা। ৪ এপ্রিল যা ছিল ১৩ টাকা ৬০ পয়সা। এই সময়ে শেয়ার দর বেড়েছে ৭ টাকা ৬০ পয়সা বা ৫৫.৮৮ শতাংশ।
প্রিমিয়ার লিজিংঅ্যান্ড ফিন্যান্স লিমিটেডের মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৮ টাকা ৪০ পয়সা। ৪ এপ্রিলে শেয়ার প্রতি দর ছিল ৫ টাকা ৪০ পয়সা। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৩ টাকা বা ৫৫.৫৫ শতাংশ।
ইসলামী ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের শেয়ার মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ২২ টাকা ২০ পয়সা। ৪ এপ্রিল যা ছিল ১৪ টাকা ৬০ পয়সা। এই সময়ে শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৭ টাকা ৬০ পয়সা বা ৫২.০৫ শতাংশ।
ফিনিক্স ফিন্যান্সের শেয়ার শেয়ার লেনদনে হচ্ছে ৩২ টাকা ২০ পয়সায়। ৮ এপ্রিল ছিল ২১ টাকা ৮০ পয়সা। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ১০ টাকা ৪০ পয়সা বা ৪৭.৭০ শতাংশ।
লংকাবাংলা ফিন্যান্সের শেয়ার মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৩৫ টাকা ১০ পয়সা। ৫ এপ্রিল শেয়ার প্রতি দর ছিল ২৪ টাকা ৯০ পয়সা। এ সময়ে শেয়ার দর বেড়েছে ১০ টাকা ২০ পয়সা বা ৪০.৯৬ শতাংশ।
প্রাইম ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের শেয়ার মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ১২ টাকা ১০ পয়সা। গত ৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর ছিল ৮ টাকা ৬০ পয়সা। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর বেড়েছে সাড়ে তিন টাকা বা ৪০.৬৯ শতাংশ।
ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ এর শেয়ার লেনদনে হয়েছে ১১৩ টাকা ৭০ পয়সা। ৪ এপ্রিল যা ছিল ৮০ টাকা ৯০ পয়সা। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর বেড়েছে ৩২ টাকা ৮০ পয়সা বা ৪০.৫৪ শতাংশ।
বে লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৬ টাকা ১০ পয়সা। গত ৪ এপ্রিল শেয়ার দর ছিল ১৮ টাকা ৬০ পয়সা। এই সময়ে শেয়ার দর বেড়েছে ৭ টাকা ৫০ পয়সা বা ৪০.৩২ শতাংশ।
ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭ টাকা ৪০ পয়সা। ৪ এপ্রিল শেয়ার প্রতি দর ছিল ৫ টাকা ৬০ পয়সা। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ১ টাকা ৮০ পয়সা বা ৩২.১৪ শতাংশ।
মাইডাস ফিন্যান্সের শেয়ার মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ১৯ টাকা ২০ পয়সা। ৪ এপ্রিল শেয়ার দর ছিল ১৪ টাকা ৮০ পয়সা। এই সময়ে শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৪ টাকা ৪০ পয়সা বা ২৯.৭২ শতাংশ।
আইপিডিসি ফিন্যান্স লিমিটেডের শেয়ার মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ২৭ টাকা ৫০ পয়সা। ১২ এপ্রিল যা ছিল ২২ টাকা ২০ পয়সা। এই সময়ে শেয়ার দর বেড়েছে ৫ টাকা ৩০ পয়সা বা ২৩.৮৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৮ টাকা ৯০ পয়সা। ৪ এপ্রিল শেয়ার প্রতি দর ছিল ২৮ টাকা ১০ পয়সা। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর বেড়েছে ২০ টাকা ৮০ পয়সা বা ৭৪.০২ শতাংশ।
আইডিএলসি ফিন্যান্স লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৮ টাকা ৩০ পয়সায়। ৪ এপ্রিল যা ছিল ৪৮ টাকা ৫০ পয়সা। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর বেড়েছে ৯ টাকা ৮০ পয়সা বা ২০.২০ শতাংশ।
ইউনাইটেড ফিন্যাস লিমিটেডের শেয়ার মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ১৬ টাকা ৫০ পয়সা। ৪ এপ্রিল যার দর ছিল ১৩ টাকা ৯০ পয়সা। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ২ টাকা ৬০ পয়সা বা ১৮.৭০ শতাংশ।
উত্তরা ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৫ টাকা ৬০ পয়সা। ১৯ এপ্রিল দর ছিল ৩৫ টাকা ৩০ পয়সা। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দর বেড়েছে ৩০ পয়সা বা দশমিক ৮৪ শতাংশ।
ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিংয়ের শেয়ার মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৭৪ টাকা ১০ পয়সা। ২০ জুন শেয়ার দর ছিল ৭৫ টাকা ১০ পয়সা। এই সময়ে শেয়ার দর কমেছে ১ টাকা।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য