গত দুই মাসে বস্ত্র খাতের যে উত্থান দেখা গিয়েছিল, তার কিছুটা গতি হারিয়ে এখন উদ্বেগের জায়গায় যেতে শুরু করেছে। গত সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় থেকে বিমার শেয়ারের যে দাপট ছিল, সেটি বস্ত্র খাতের দখলে যেতে দেখা গেছে। কিন্তু চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে বস্ত্র খাতের সেই দাপটও অনেকটা ম্লান।
ফলে বিমার পর যারা বস্ত্র খাতের প্রতি বেশি আগ্রহী হয়েছিলেন, তারা এখন উদ্বেগে বিনিয়োগ ফিরে পাওয়া নিয়ে।
মঙ্গলবার দিন শেষে বস্ত্র খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ২০৯ কোটি টাকা। যেখানে গত ২৪ জুন লেনদেন হয়েছিল এই সময়ে সবচেয়ে ৪৩৯ কোটি টাকা।
বিপরীত অবস্থায় বিমা খাতের মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ১৬৩ কোটি টাকা। আর ২৪ জুন এ খাতের লেনদেন ছিল ১৮৯ কোটি টাকা।
লেনদেন হওয়া ৫০টি বিমা কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ২৮টির। বেড়েছে ২০টির। দুটির দর পাল্টায়নি।
বিপরীত অবস্থায় বস্ত্র খাতের ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৩টির শেয়ার দর বেড়েছে। বাকি ৪৫টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে।
বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোর অর্থবছর শেষ হচ্ছে জুনে। দু-তিন মাসের মধ্যে পর্যায়ক্রমে এ খাতের কোম্পানিগুলো লভ্যাংশ ঘোষণা করবে। ফলে এ খাতের প্রতি মার্চের শেষ থেকেই বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ দেখা গেছে। কিন্তু জুনের শেষে এসে এ খাতের হঠাৎ দরপতন নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।
শাটডাউন নামে পরিচিতি পাওয়া কঠোর লকডাউন শুরু হওয়ার কথা ছিল সোমবার থেকে। পরে তা পিছিয়ে বৃহস্পতিবার করা হয়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে লকডাউনের বিধিনিষেধের কারণে গণপরিবহন, শপিংমল বন্ধ রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে সাত দিনের কঠোর শাটডাউনে যাচ্ছে সরকার।
এ সময় জনগণের চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, যা বুধবার আরও স্পষ্ট করা হবে। তবে শাটডাউনে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলবে কি না, তা বুধবার জানা যাবে। এরই মধ্যে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ সময়ে ব্যাংকের কার্যক্রম চালু থাকলে পুঁজিবাজারের লেনদেনও চলবে।
লেনদেন সম্পর্কে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, বিমা খাতের শেয়ার নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে, সমালোচনা হয়েছে। তারপরও অনেক বিনিয়োগকারী অতিমূল্যায়িত শেয়ারে বিনিয়োগ করেছেন। তারা মুনাফা পেলে ভালো, তবে অতিমূল্যায়িত শেয়ারে বিনিয়োগ না করে এখনও ফান্ডামেন্টাল যেসব কোম্পানির শেয়ার দর বাড়েনি, সেগুলোতে বিনিয়োগ করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, বস্ত্র খাতের শেয়ার দরে উত্থান-পতন আছে। সেটি ভালো। তবে এ খাতেরও অনেক শেয়ারের ফান্ডামেন্টাল ভালো না। সেগুলোর প্রতিও সতর্ক থাকা উচিত।
বিমা বস্ত্রে পতনের ছাপ
গত কয়েক সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় স্থান করে নেয়া বস্ত্র খাতের বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ার দর গত কয়েকদিন ধরে কমছে। দর পতন হওয়া শীর্ষ ১২টি কোম্পানির মধ্যে ৯টি ছিল বস্ত্র খাতের।
সোনাগাঁও টেক্সটাইলের শেয়ার দর ২৮ জুন ছিল ২৮ টাকা। একদিনের ব্যবধানে বুধবার শেয়ার প্রতি ২ টাকা কমে হয়েছে ২৬ টাকা। মঙ্গলবার দর পতন হওয়া শীর্ষ দর কোম্পানির মধ্যে এটি ছিল দ্বিতীয় স্থানে। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৭.১৪ শতাংশ।
ম্যাকশন স্পিনিংয়ের শেয়ার দর কমেছে ৬.২৭ শতাংশ। কুইন সাউথ টেক্সটাইল মিলসের শেয়ার দর কমেছে ৫.১৩ শতাংশ।
মতিন স্পিনিং মিলসের শেয়ার দর কমেছে ৪.৯৫ শতাংশ। এস্কোয়ার নিট কম্পোজিট লিমিটেডের শেয়ার গত ২৭ জুন ছিল ৪৩ টাকা ২০ পয়সা। মঙ্গলবার তা কমে হয়েছে ৩৯ টাকা ৫০ পয়সা। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৪.৮২ শতাংশ।
প্রাইম টেক্সটাইল স্পিনিং মিলস লিমিটেডের শেয়ার দর ২৭ জুন ছিল ২৩ টাকা ৭০ পয়সা। মঙ্গলবার লেনদেন শেষে হয়েছে ২১ টাকা ২০ পয়সা। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৪.৫০ শতাংশ।
মেট্টো স্পিনিংয়ের শেয়ার দর কমেছে ৩.৮৫ শতাংশ। সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিসের শেয়ার দর কমেছে ৩.৭৮ শতাংশ।
ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনং লিমিটেডে শেয়ার দর গত দুই দিনে কমেছে ১৯ টাকা ১০ পয়সা শেয়ার নেমে এসেছে ১৮ টাকা ২০ পয়সায়।
আলিফ ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের শেয়ার দর বুধবার ছিল ৩৮ টাকা ১০ পয়সা। গত ২২ জুন শেয়ার প্রতি দর ছিল ৪৩ টাকা ৮০ পয়সা। এই সময়ের পর ক্রমাগত দর কমেছে কোম্পানিটির।
একই সঙ্গে বিমা খাতের শেয়ারের দরও কমেছে মঙ্গলবার। দিনের সবচেয়ে বেশি দর পতন হওয়া কোম্পানির তালিকায় ছিল বিমা খাতের প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৯.৫৩ শতাংশ। এ ছাড়া, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৫.৭৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ার দরও কমেছে মঙ্গলবার। এদিন কোম্পানিটির ৩.৭২ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।
ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৩.৬০ শতাংশ। মেঘনা লাইফ, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে সাড়ে তিন শতাংশ পর্যন্ত।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৫ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪২ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৩ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৯৮ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৯ দশমিক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৮৫ পয়েন্টে।
এদিন মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৩৩ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৪৭৩ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ৫৪ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য