× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
সব খাত মুভিং আর পেছনে তাকাতে হবে না
google_news print-icon

‘সব খাত মুভিং, আর পেছনে তাকাতে হবে না’

সব-খাত-মুভিং-আর-পেছনে-তাকাতে-হবে-না
বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম। ছবি: নিউজবাংলা
‘আশা করব যে, গর্ভন্যান্স এনশিউর হলেই মানুষ তার সঞ্চয় নিয়ে এই খাতের দিকে এগিয়ে আসবে। তখন আর পেছনে তাকাতে হবে না। এখন কিন্ত শুরু ব্যাংক ইন্স্যুরেন্স না, ফার্মাসিউটিক্যাল, সিরামিকস, টেক্সটাইল, একেক দিন একেকটা বাড়ে। মিউচ্যুয়াল ফান্ডও বাড়ে, কমে। এখন আর কেউ বলতে পারবে না, কোনো নির্দিষ্ট সেক্টর বাড়ছে।’

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেছেন, তাদের কাজ সুশাসন নিশ্চিত করা। আর সেটি করার চেষ্টাই করে যাচ্ছেন।

সুশাসন নিশ্চিত হলে মানুষ তাদের সঞ্চয় নিয়ে পুঁজিবাজারে ছুটে আসবে বলে আশা করছেন তিনি। তার মতে, তখন আর পেছনে তাকাতে হবে না।

পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক প্রবণতা নিয়ে শিবলী বলেছেন, এখন আর কোনো একক খাতের দাম বাড়ছে না। এভাবে পুঁজিবাজারে একটি সুস্থ প্রবণতা তৈরি হয়েছে।

নিউজবাংলাকে দেয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

আপনি যখন পুঁজিবাজারের দায়িত্ব নিয়েছেন তখন একটি টালমাটাল অবস্থা ছিল। এমন একটি অবস্থায় যখন আপনাকে প্রস্তাব দেয়া হলো তখন কী ভেবে দায়িত্ব দিতে আগ্রহী হলেন? তখন কী কী পরিকল্পনা ছিল আপনার।

কোনো পরিকল্পনা ছিল না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন আমাদের কাছে কিছু ডিজায়ার করেন, আমরা তার নেতৃত্বের প্রতি খুবই শ্রদ্ধাশীল এবং উনাকে মানা করার মতো ক্ষমতা আমাদের নাই। আমাদের কিছু বললে, সেটা যত কঠিন কাজই হোক, সেটা আমরা মেনে নিই। এখন আমি যদি খুবই সহজ, আরামের একটি কাজ উনার কাছ থেকে চেয়ে নিই, তাতে তো উনার কোনো লাভ হবে না; বরং কিছু চ্যালেঞ্জের কিছু থাকলে সেটি যদি আমরা কোনোভাবে ভালো করতে পারি সেটাই উনাকে সাহায্য করার হবে। সেটাই ছিল আমার চিন্তাভাবনা।

পুঁজিবাজার একটি টেকনিক্যাল জায়গা। এটি লাখ লাখ বিনিয়োগকারীর প্রত্যাশার জায়গা। এ বিষয়গুলোকে কীভাবে আয়ত্তে নিয়েছেন। আপনার কী আগে থেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ছিল, যা সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হয়েছে?

আমার স্ত্রী এটিকে খুব মজা করে বলেন। আমি ফাইন্যান্সেরই ছাত্র; শিক্ষক ছিলাম। কিন্তু নিজে কখনো বিনিয়োগ করতাম না এবং আমার বাবার মৃত্যুর পর আমি উনার কাছ থেকে কিছু শেয়ার, আইসিবির সার্টিফিকেট উত্তরাধিকার সূত্রে পাই। ওটাই ছিল আমার অ্যাকাউন্টে। আমি নিজে কখনোই ডে ট্রেডিং বা কোনো রকম কেনাবেচায় যুক্ত ছিলাম না। জাস্ট সাধারণ, খুব অল্প বিনিয়োগ। এটাই ছিল। এটা নিয়েই স্ত্রী এখন আমাকে বলেন যে, তুমি যে জিনিসটি কখনো করোনি, এখনও ওটাই তোমাকে ভালোভাবে দেখতে হচ্ছে।

‘সব খাত মুভিং, আর পেছনে তাকাতে হবে না’

যেকোনো কিছুকে এগিয়ে নিতে আমরা জানি কিছু না কিছু পরিকল্পনা থাকা উচিত। দীর্ঘ, মধ্য ও স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা থাকা উচিত। আপনি আসলে কোন ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন?

পরিকল্পনা তো অবশ্যই ছিল। আমার আগে যারা দায়িত্বে ছিল তারা খুবই ভালো একটি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও নিয়মনীতি তৈরি করে গেছেন। এখানে তার আাগে কিন্তু তেমন কোনো নিয়ম-নীতিও ছিল না; নীতিমালা ছিল না। আমি ধন্যবাদ দেবো আমার আগের কমিশনকে, যারা সুন্দরভাবে এটি করে দিয়ে গেছেন। আমরা এখন ওটাইকে একটু আপগ্রেড করে গভর্ন্যান্সটাকে (সুশাসন) এনশিউর (নিশ্চিত) করার চেষ্টা করছি।

আশা করব যে, গর্ভন্যান্স এনশিউর হলেই মানুষ তার সঞ্চয় নিয়ে এই খাতের দিকে এগিয়ে আসবে। তখন আর পেছনে তাকাতে হবে না। আর যেহেতু আমাদের সেক্টর এখন সবচেয়ে বেশি রিটার্ন দিচ্ছে এবং এখানে বিনিয়োগ করলে ভালো রিটার্ন পাওয়া যাচ্ছে, তো এখানে দিনে দিনে বিনিয়োগের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বর্তমান কমিশন বন্ড মার্কেট নিয়ে অনেক কাজ করছে। এসব বন্ডে কী সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে পারবে নাকি আলাদা কোনো পরিকল্পনা আছে?

বন্ডে বিনিয়োগকারীরা সরাসরি বিনিয়োগ করতে পারবে। সব বন্ডেই করা যাবে। তবে আমরা এগুলোকে আরও সহজ করার জন্য এগুলোকে লিস্টিংয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ব্যাংকের পারপিচুয়াল বন্ডের থেকে সব ব্যাংকেই এখন গ্র্যাজুয়ালি লিস্টিং হবে। লিস্টিং হলে সব বিনিয়োগকারী এগুলো কেনাবেচা করতে পারবে।

এটা কেইস টু কেইস বেসিসে ডিফারেন্ট হবে। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের, এমন না। এটা হয়তো কোনো কোম্পানির মিনিমাম স্কিপ থাকবে এক লাখ টাকা। কারও হয়তো ১০ হাজার টাকার; কারও হয়তো ৫০ হাজার টাকার। ওই সাইজের ট্রেড করতে হবে।

এতে আমাদের ট্রানজেকশনও বাড়বে অনেক। এতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ আরও বাড়বে। এর ফলে পুঁজিবাজারের সব পক্ষের উইন উইন অবস্থা তৈরি হবে। এতে ইস্যুয়ার এবং ভেনিফিশারি সবাই লাভবান হবে।

বিমা সেক্টর নিয়ে পুঁজিবাজারে গুজব আছে। এর আগে ২০১০ সালে ব্যাংক সেক্টরের এমনভাবে শেয়ারের দর বেড়েছিল। এখনও সেদিকে যাচ্ছে?

আমি যখন প্রথম দায়িত্বে আসি তখন এখানে টার্নওভার ছিল ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা। তখন বড় ক্যাপের ক্যাপিটাল মার্কেটে যেসব প্রোডাক্ট আছে সেগুলোতে বিনিয়োগ হতো। কিন্ত এর রিফ্লেকশনটা বড় স্কেলে দেখা যেত না। ইন্স্যুরেন্সের মার্কেট ক্যাপগুলো ছোট ছোট। তো এগুলো কেউ যদি একটু ভালো করে ট্রেড করে তাহলেই এটি ভিজিবল হয়ে যায়।

ব্যাংকের যেহেতু মার্কেট ক্যাপ বড়, সেহেতু বিমার টাকার ডাবল করেও সেভাবে দেখা যায় না। এখন ট্রেড ভলিউম সাউজ সব বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার মানে আমাদের এখানে যত বেশি লিকুইডিটি ইনভেস্টমেন্ট আসবে ততই এখন বিভিন্ন সেক্টরের গ্রোথ দেখা যাবে।

এখন কিন্ত শুরু ব্যাংক ইন্স্যুরেন্স না, ফার্মাসিউটিক্যাল, সিরামিকস, টেক্সটাইল, একেক দিন একেকটা বাড়ে। মিউচ্যুয়াল ফান্ডও বাড়ে, কমে। এখন আর কেউ বলতে পারবে না, কোনো নির্দিষ্ট সেক্টর বাড়ছে।

এখন তো লেনদেন দুই হাজার কোটি টাকার বেশি। এটা তো কোনো একটি সেক্টর দিয়ে হওয়া সম্ভব না। ফলে বোঝাই যাচ্ছে সব কোম্পানিই মুভিং।

সম্প্রতি মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাব এসেছিল, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি ইউনিটপ্রতি দর যখন কম যায়, তখন তারা মার্কেট থেকে নিজেদের ইউনিট বাইব্যাক করতে চায়। এ ক্ষেত্রে আপনাদের কোনো প্রস্তাব আছে কি না?

যাদের মিউচ্যুয়াল ফান্ড তারাই যদি বাইব্যাক করতে চায়, তাহলে সেটি আইনের সঙ্গে অনেকটাই সাংঘর্ষিক হয়ে যায়। আমাদের এখানে এখনও এমন কোনো আবেদন দেখিনি।

কেপিসিএল তাদের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। ওরিয়নেরও এমন কিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে, সেগুলোরও মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র বোনাস শেয়ার ইস্যু করছে। এসব কোম্পানির ভবিষ্যৎ কী? বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ রাখার জন্য আপনার কোনো উদ্যোগ আছে?

সরকারের সাথে একটু নেগোসিয়েশন পর্যায়ে আছি। ‘নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্ট’ এ রকম একটা ব্যবস্থাপনায়। এটা হলে লিস্টেড কোম্পানিগুলো কিছুটা বেনিফিট পাবে। তাদের যতটুকু বিদ্যুৎ সরকার কিনবে ততটুকুর জন্য পেমেন্ট পাবে।

আর নতুন যারা আসছে তাদের অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করেছি, অ্যাসোসিয়েশনকে আমরা বলেছি যে, আপনারা ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিলে এখন মানুষের এখন আর ইক্যুইটিই ফেরত আসে না। উনাদের সঙ্গে আমাদের যে কথা হয়েছে, তারা মিনিমাম ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে এখন থেকে। সেটা দিলে ১০ বছরের একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট চললে তার লাভসহ ফেরত আসবে। আপাতত তাই করব।

আর ভবিষ্যতে পাওয়ার প্লান্ট দেয়ার আগে খুব ভালোভাবে অঙ্ক করে নেব, যাতে বিনিয়োগকারীদের কোনো ক্ষতি না হয়।

বহুজাতিক কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে নিয়ে আসার জন্য আপনারা কাজ করছেন। এর ভবিষ্যৎ কী?

এটা নিয়ে কাজ চলছে। আমাদের কনসার্নড বিভাগ কাজ করছে। এখন কাজ শুরু হয়েছে, আগামী বছর এর ফলাফল পাওয়া যাবে।

ওয়ালটনের মতো বড় কোম্পানি পুঁজিবাজারে ১ শতাংশ শেয়ার নিয়ে প্রতিনিধিত্ব করছে। এতে পুঁজিবাজারে ওয়ালটনের শেয়ার নিয়ে কাসরাজি করার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ক্ষেত্রে কারসাজি হতে পারে। আমাদের আসার আগে হয়ে গেছে সবকিছু। এর শেষ পর্যায়ে এসে আমরা পেয়েছি। ওয়ালটনের সচিব কিছুদিন আগে এসেছিলেন। এ ছাড়া ওয়ালটনের অন্যান্য যারা ওনার্স, তাদেরও বলেছি। পর্যায়ক্রমে তারা শেয়ার অফলোড করে ১০ শতাংশে নিয়ে যায়। তারা একমত হয়েছেন। আস্তে আস্তে তারা করে দেবেন।

বন্ধ কোম্পানি চালু করার ক্ষেত্রে আপনি অনেক উদ্যোগ নিচ্ছেন। যেসব কোম্পানির ইতোমধ্যে বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে, সেগুলোর বর্তমানে কী অবস্থা?

রিং সাইন প্রোডাকশনের চলে আসছে। আরও একটি প্রোডাকশনে চলে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাকিগুলোরও হচ্ছে। আমাদের আসলে ম্যানপাওয়ার কম তো। আমরা এখানে ৮০ জন লোক কাজ করি। এর ফলে এতগুলো কাজ একসঙ্গে করা মুশকিল হয়ে যায়। আমরা একটি করে ধরছি, করছি। নতুন বোর্ড করে দিচ্ছি। তারা প্রোগেস করছে। এখন পর্যন্ত আমরা যে বোর্ড গঠন করে দিয়েছি, তার প্রোগ্রেস রিপোর্ট শিগগিরই চলে আসবে। তখন সব বোঝতে পারব কোথায়, কী হচ্ছে।

ইউনাইটেড এয়ার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আছে। কিন্ত কোম্পানিটির বোর্ড গঠন করা হলেও সেটি লেনদেন হচ্ছে ওটিসি মার্কেটে। এ থেকে উত্তরণের পথ কী?

ওটিসিতে দেয়ার কারণ ছিল, কোনা অ্যাসেট নাই, লায়াবিলিটিতে ভরা। এই কোম্পানি ট্রেড করে যদি শেয়ারের প্রাইস বেড়ে যায় তাহলে পবরর্তীতে একটি নতুন ঝামেলা তৈরি হবে। তো আমরা এখানে ঢুকে দেখলাম, এখানে মহাসমস্যা। তারপরও আমরা আমাদের বোর্ড বিভিন্ন স্ট্র্যাটেজি খুঁজে বের করছি। কীভাবে এটাকে আকাশে উড়ানো যায়।

আমাদের সিভিল এভিয়েশন যদি একটু সহযোগিতা করে, আমাদের মিনিস্ট্রি যদি একটু সহযোগিতা করেন তাহলেই আমরা পারব।

ওটিসি মার্কেট নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে কি না? এখানে লেনদেন প্রক্রিয়া কঠিন হওয়ায় ভোগান্তিতে থাকে বিনিয়োগকারীরা। ওটিসি মার্কেটের উন্নয়নে আপনার পরিকল্পনা কী?

ওটিসি মার্কেটে এরই মধ্যে চারটি চলে গেছে মেইন বোর্ডে। ১৫টি চলে যাচ্ছে এসএমই প্ল্যাটফর্মে। ৩০টি যাচ্ছে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি) প্ল্যাটফর্মে। ১৩টি কোম্পানি তালিকাচ্যুতির আবেদন করেছে। এর মধ্যে চারটির তালিকাচ্যুতির কাজ এগিয়ে চলছে। কোর্টে একটির অর্ডার পেন্ডিং আছে। আর দুটিকে আমরা ডেকে দেখছি কী করা যায়।

ওটিসি বলে কিছু রাখা যাবে না। এটা হলে কোম্পানির গভর্ন্যান্স থাকে না। ইচ্ছামতো চালায়, বিক্রি করে দেয়; জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এক্সপ্লোজার লিমিটেড, ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা সংশোধনের প্রস্তাব ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের। কিন্ত সেটি এখনও বাস্তবায়নের অপেক্ষায়। আপনাদের কোনো উদ্যোগ আছে কী?

ওটা নিয়ে আমরা কথা বলেছি। টায়ার ওয়ানকে আমরা বলেছি এই লিমিটেডের বাইরে রাখতে। তারা বলেছে সেটি করে দেবে। বাংলাদেশ ব্যাংক খুব সহযোগিতা করছেন।

অবণ্টিত লভ্যাংশ নিয়ে তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। এখন সেটি কী অবস্থায় আছে? এ ছাড়া বোনাস লভ্যাংশ লভ্যাংশগুলো কীভাবে বণ্টন করা হবে?

এটা নিয়ে আমাদের নির্ধারিত বিভাগ কাজ করছে। তবে এর অগ্রগতি হচ্ছে, গেজেট প্রকাশের জন্য ইতোমধ্যে বিজি প্রেসে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার ২১ হাজার কোটি টাকা পেতে পারে চলতি সপ্তাহেই
সিঅ্যান্ডএ, ফ্যামিলিটেক্স: আশা কম, মামলার চিন্তা
পুঁজিবাজারে থাকছে না ওটিসি মার্কেট
‘কেপিসিএলে নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’
দ্বিতীয় ধাপে উঠছে ৩২ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Kushtia Battalion 1 BGB has distributed relief assistance to the families affected by the Padma river erosion in Daulatpur in Kushtia

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করেছে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করেছে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)

বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে এই সহায়তা প্রদান করা হয়। প্রতিটি পরিবারকে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পদ্মা নদীর প্রবল ভাঙনে উদয়নগর বিওপির দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা, ফসলি জমি ও বহু বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে অবশিষ্ট অংশটিও নদীতে তলিয়ে যায়।

ঝুঁকি বিবেচনায় বিজিবির সদর দপ্তরের নির্দেশে ১৩, ১৪ ও ১৫ আগস্ট তারিখে উদয়নগর বিওপির অধিকাংশ স্থানান্তরযোগ্য সরঞ্জাম পাশ্ববর্তী চরচিলমারী বিওপিতে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১১ সেপ্টেম্বর ভোরে অবশিষ্ট অস্ত্র, গোলাবারুদ, অফিসিয়াল নথিপত্র, যানবাহন ও জনবল নৌকা, ট্রলার ও স্পিডবোটের মাধ্যমে নিরাপদে স্থানান্তর করা হয়।

বর্তমানে উদয়নগর বিওপির সকল সদস্য ও গুরুত্বপূর্ণ কন্ট্রোল আইটেম নিরাপদে রয়েছে বলে বিজিবি জানিয়েছে।

বিজিবি আরও জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও সীমান্ত সুরক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে এবং কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সবসময় মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

সীমান্ত সুরক্ষার স্বার্থে উদয়নগর বিওপি সংলগ্ন এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে টহল কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। বড় ইঞ্জিনচালিত নৌকা, স্পিডবোট ও রেসকিউ বোটের মাধ্যমে টহল আরও জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া, পূর্ববর্তী অবস্থানের নিকটবর্তী এলাকায় একটি নতুন ও উন্নত মানের বিওপি নির্মাণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মোর্শেদ রহমান জানান, “বিজিবি দেশের সীমান্ত সুরক্ষায় সবসময় অটল ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ অবকাঠামো নষ্ট করতে পারে, কিন্তু আমাদের মনোবল বা দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার কখনোই দুর্বল করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। সীমান্ত নিরাপত্তা, চোরাচালান প্রতিরোধ এবং জনগণের স্বার্থে বিজিবি আগের মতোই নিরলসভাবে কাজ করে যাবে।”

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Seven party protests in Dhaka today Fear of traffic congestion

ঢাকায় আজ সাত দলের বিক্ষোভ: যানজটের আশঙ্কা

ঢাকায় আজ সাত দলের বিক্ষোভ: যানজটের আশঙ্কা

সপ্তাহের সবচেয়ে ব্যস্ত দিন বৃহস্পতিবার। রাজধানী ঢাকার রাস্তায় আজ নামছে সাতটি রাজনৈতিক দল। একই দাবিতে ঘোষিত এই সমাবেশ ও বিক্ষোভে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক যানজটের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। শুধু ঢাকাতেই কয়েক লাখ পরীক্ষার্থী ইতোমধ্যে অবস্থান নিচ্ছেন। তাদের সঙ্গে আজকের রাজনৈতিক কর্মসূচি মিলিয়ে রাজধানীর সড়কগুলোতে চরম ভোগান্তির আশঙ্কা করছে সাধারণ মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

কোন এলাকায় কর্মসূচি

জানা যায়, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (মামুনুল হক), খেলাফত মজলিস (ড. আহমদ আবদুল কাদের), নেজামে ইসলাম পার্টি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)—এই সাত দল আজ ঢাকায় প্রথম দিনের সমাবেশ করছে।

বায়তুল মোকাররম, পল্টন, প্রেসক্লাব, বিজয়নগর, কাকরাইল, নাইটিঙ্গেল ও শাহবাগ এলাকায় এসব সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত চলবে কর্মসূচি।

জামায়াতে ইসলামী: বিকেল সাড়ে ৪টায় দক্ষিণ গেটে সমাবেশ; এরপর পল্টন, বিজয়নগর, কাকরাইল হয়ে শাহবাগে মিছিল।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ: জোহরের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ; প্রেসক্লাব হয়ে পল্টন মোড়ে কর্মসূচির সমাপ্তি।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (মামুনুল হক): আসরের পর সমাবেশ; এরপর পল্টন–বিজয়নগর–কাকরাইল–নাইটিঙ্গেল পর্যন্ত মিছিল।

খেলাফত আন্দোলন: প্রেসক্লাবের সামনে বিকাল ৩টায় সমাবেশ; এরপর মিছিল নিয়ে বায়তুল মোকাররম।

জাগপা: বিকেল সাড়ে ৪টায় বিজয়নগরে সমাবেশ; মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাব এবং আবারও বিজয়নগরে ফেরা।

নেজামে ইসলাম: বিকেল ৫টায় প্রেসক্লাবে সমাবেশ।

অন্য দলগুলোও পল্টন–গুলিস্তান–প্রেসক্লাব ও শাহবাগ ঘিরে অবস্থান নেবে।

যানজট ও জনভোগান্তি

রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকায় কর্মসূচি হওয়ায় অফিসগামী ও ফেরত কর্মচারীরা ভোগান্তিতে পড়বেন। মতিঝিলের ব্যাংকপাড়া, সচিবালয়ের কর্মকর্তা, গুলিস্তান ও শাহবাগ হয়ে যাতায়াতকারীরা বিকল্প রাস্তায় চাপ সৃষ্টি করবেন।

শাহবাগ বন্ধ হয়ে গেলে নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটরসহ আশপাশের এলাকায়ও অচলাবস্থা দেখা দিতে পারে। সবচেয়ে বিপাকে পড়বে হাসপাতালগামী রোগীরা। ঢাকা মেডিকেল, বারডেম, বিএসএমএমইউ, ল্যাবএইডসহ একাধিক হাসপাতালে রোগী আনা–নেওয়া ব্যাহত হতে পারে।

পুলিশের সতর্কতা

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের উপ–কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ট্রাফিক পুলিশ যানবাহন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। তবে রাজনৈতিক সমাবেশ ও মিছিল শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, “ঢাকা এমনিতেই ব্যস্ত শহর। যেকোনো রাস্তায় কর্মসূচি মানেই জনদুর্ভোগ। এতে সময়ের অপচয়, আর্থিক ক্ষতি, এমনকি জরুরি রোগী পরিবহনও ব্যাহত হয়।” রাজনৈতিক দলগুলোকে জনদুর্ভোগ এড়াতে বিকল্প কর্মসূচি নিতে অনুরোধ করা হলেও বড় দলগুলোর কর্মসূচি ঠেকানো সম্ভব হয় না বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Implementation of Constitutional Origin Suggestions to take legitimacy in referendum
জুলাই সনদ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত 

সাংবিধানিক আদেশে বাস্তবায়ন গণভোটে বৈধতা নেওয়ার পরামর্শ

সাংবিধানিক আদেশে বাস্তবায়ন গণভোটে বৈধতা নেওয়ার পরামর্শ

জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো সংবিধান আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নের চূড়ান্ত সুপারিশ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোটের মাধ্যমে জনগণের বৈধতা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

গতকাল বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতির উপায় নির্ধারণে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে হওয়া তৃতীয় ধাপের সংলাপের তৃতীয় দিনে এটি উত্থাপন করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

কমিশন গত রোববার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করে। সেখানে তারা জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ ধারা অনুযায়ী সংবিধান আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের সংবিধান সম্পর্কিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করতে বলে।

বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই সনদ ২০২৫ এ মূল সংস্কারগুলো অন্তর্ভুক্ত করে জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে একটি ‘সংবিধান আদেশ’ (কনস্টিটিউশনাল অর্ডার) জারি করতে পারে। ওই সংবিধান আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, সংবিধান আদেশকে একটি গণভোটে উপস্থাপন করা যেতে পারে, যা আগামী সাধারণ নির্বাচনের একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান আদেশে গণভোটের বিধানও অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। যদি সংবিধান আদেশ জনগণের অনুমোদন পায় গণভোটের মাধ্যমে, তবে তা প্রণয়নের তারিখ থেকেই বৈধ বলে গণ্য হবে।

উল্লেখ্য, বিশেষজ্ঞ প্যানেল একাধিক বৈঠকে বিভিন্ন ধরনের বিকল্প বিবেচনা করে প্রাথমিক পর্যায়ে পাঁচ পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্যে সুপারিশ করে। এগুলো হচ্ছে: অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ এবং ১০৬ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাওয়া।

পরবর্তীতে আরও বিস্তারিত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এ অন্তর্ভুক্ত হওয়া বিষয়গুলো (যার মধ্যে ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্ট আছে) সেগুলো চারভাবে বাস্তবায়নের জন্যে পরামর্শ দিয়েছেন আলোচকরা। এগুলো হচ্ছে: অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট এবং বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ।

এক মাসের মধ্যেই বাস্তবায়ন শুরুর আশা আলী রীয়াজের

এক মাসের মধ্যে জুলাই সনদ প্রকাশের পাশাপাশি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় শুরু করার আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। গতকাল বুধবার দুপুরে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আলী রীয়াজ বলেন, ‘কমিশনের মেয়াদ এক মাস বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা কোনো অবস্থাতেই এক মাস সময় নিয়ে এই আলোচনা অব্যাহত রাখতে উৎসাহী নই। আমরা মনে করি না যে আগামী এক মাস ধরে এ বিষয়ে আমাদের আলোচনা করতে হবে। আমরা খুব দ্রুত একটা ঐকমত্যের জায়গায় উপনীত হতে পারব।’

১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করা এ কমিশনের মেয়াদ ছিল ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত। এরপর প্রথমবার এক মাস সময় বাড়িয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর করা হয়। গত সোমবার দ্বিতীয় দফা মেয়াদ বাড়ানো হয় আরও এক মাস।

সময় বাড়ানোর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘যেকোনো কার্যালয় যদি প্রায় এক বছর ধরে অব্যাহত থাকে, সেটা গুটিয়ে তুলতেও খানিকটা সময় লাগে। আমরা যেন মেয়াদের মধ্যেই সেটা গুটিয়ে তুলতে পারি, সেটাও সরকারের পক্ষ থেকে বিবেচনা করা হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতেই আমরা এখানে আজকে (বুধবার) উপস্থিত হয়েছি।’

এতদিনের আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলো মোট ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবের বিষয়ে (নোট অব ডিসেন্টসহ) একমত হলেও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে স্পষ্ট মতবিরোধ রয়েছে রয়েছে এনসিপি, জামায়াত এবং বিএনপির মধ্যে।

মন্তব্য

তীব্র তাপপ্রবাহে দেশের ৬ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

তীব্র তাপপ্রবাহে দেশের ৬ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

চলতি বছর জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু দেশে অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহে কোটি কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। শুধু বাংলাদেশেই ৬ কোটি মানুষ (৫৭ মিলিয়ন) এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ‘ঝুঁকিপূর্ণ তাপমাত্রার মুখোমুখি হয়েছে। গতকাল বুধবার আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ক্লাইমেট সেন্ট্রালের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে ৩০ মিলিয়ন মানুষ অতিরিক্ত ৩০ দিন পর্যন্ত চরম গরম সহ্য করেছেন। বিশ্বব্যাপী ‘ঝুঁকিপূর্ণ তাপমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে দশম স্থানে।

রাজধানী ঢাকা বিশ্বের মেগাসিটিগুলোর মধ্যে দশম স্থানে, যেখানে ৫২ দিন তাপমাত্রা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দ্বিগুণ হারে সম্ভাব্য হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে ২৩ দিন ছিল স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ, যার মধ্যে ১৫ দিন সরাসরি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে।

ঢাকায় ৫২ দিন তাপমাত্রা দ্বিগুণ সম্ভাবনাময়, ২৩ দিন ঝুঁকিপূর্ণ গরম, যার ১৫ দিন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে। চট্টগ্রামে দেশে সর্বোচ্চ ৫৯ দিন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব (CSI 2+) দেখা গেছে। খুলনা, রাজশাহী ও গাজীপুরে প্রত্যেক শহরেই দ্বিঅঙ্কের সংখ্যায় ঝুঁকিপূর্ণ গরমের দিন বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই গ্রীষ্মে প্রতিদিন বিশ্বের প্রতি ৫ জন মানুষের একজন, অর্থাৎ ১৮০ কোটির বেশি মানুষ, তাপপ্রবাহে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ৯৫৫ মিলিয়ন মানুষ ৩০ দিনের বেশি সময় ঝুঁকিপূর্ণ তাপমাত্রা সহ্য করেছেন।

মোট ১৮৩টি দেশে কমপক্ষে এক মাসের মতো সময় ধরে এমন তাপমাত্রা দেখা গেছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দ্বিগুণ সম্ভাব্য ছিল। ইউরোপ ও এশিয়ায় এই গরম ছিল সবচেয়ে অস্বাভাবিক।

ক্লাইমেট সেন্ট্রালের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. ক্রিস্টিনা ডাহল বলেন, ‘এই বিশ্লেষণ প্রমাণ করে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এখনই দেখা দিচ্ছে। এটি ভবিষ্যতের হুমকি নয়, বর্তমান বাস্তবতা।’

তিনি আরও বলেন, ‘অস্বাভাবিক গরম এখনই মানুষের স্বাস্থ্য, অর্থনীতি ও পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। কার্বন নিঃসরণ কমাতে বিলম্ব হলে ক্ষতির মাত্রা আরও বাড়বে।’

রিপোর্টে তাপপ্রবাহের বৈশ্বিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, এই মৌসুমে প্রতিদিন বিশ্বের প্রতি ৫ জন মানুষের ১ জন বা অন্তত ১.৮ বিলিয়ন মানুষ- জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তীব্র প্রভাবিত তাপমাত্রার মুখোমুখি হয়েছে। প্রায় ৯৫৫ মিলিয়ন মানুষ অতিরিক্ত ৩০ দিনেরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ গরম সহ্য করেছে।

মোট ১৮৩টি দেশের মানুষ অন্তত ৩০ দিন এমন তাপমাত্রার সম্মুখীন হয়েছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অন্তত দ্বিগুণ সম্ভাবনাময় ছিল। ইউরোপ ও এশিয়ায় সবচেয়ে অস্বাভাবিক গরম রেকর্ড করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা না থাকলে এবং তাপপ্রবাহের মতো জলবায়ু সংকটে প্রস্তুতি না থাকলে ভবিষ্যতে জনস্বাস্থ্য, কৃষি ও অর্থনীতি আরও বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Students felt humiliated as Razakars grandchildren said
জবানবন্দিতে নাহিদ ইসলাম

‘রাজাকারের নাতিপুতি’ বলায় শিক্ষার্থীরা অপমানিত বোধ করেছিলেন

‘রাজাকারের নাতিপুতি’ বলায় শিক্ষার্থীরা অপমানিত বোধ করেছিলেন

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ এবং ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ আখ্যায়িত করায় সারাদেশের ছাত্রছাত্রীরা অপমানিত বোধ করেছিলেন বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলায় ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে নাহিদ ইসলাম গতকাল বুধবার তার জবানবন্দিতে এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনার পাশাপাশি এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এর মধ্যে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে এ মামলায় ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল বুধবার তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

এ মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ গতকাল বুধবার আংশিক জবানবন্দি দেন নাহিদ ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার আবার তার জবানবন্দি দেওয়ার কথা রয়েছে।

জবানবন্দিতে নাহিদ ইসলাম বলেন, গত বছরের ১৪ জুলাই শেখ হাসিনা একটি সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী ছাত্রদের রাজাকারের বাচ্চা এবং রাজাকারের নাতিপুতি অভিহিত করে কোটাপ্রথার পক্ষে অবস্থান নেন। মূলত এই বক্তব্যের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের ওপর আক্রমণের একটি বৈধতা প্রদান করা হয়। কারণ, তারা সব সময় দেখেছেন, সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ন্যায্য আন্দোলন করা হলে তাদের রাজাকারের বাচ্চা আখ্যা দিয়ে আন্দোলনের ন্যায্যতা নস্যাৎ করা হতো। ছাত্রদের রাজাকারের বাচ্চা এবং রাজাকারের নাতিপুতি আখ্যায়িত করায় সারাদেশের ছাত্রছাত্রীরা অপমানিত বোধ করেন। সেই রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিবাদমুখর হয়ে রাস্তায় নেমে আসেন।

গত বছরের ১৭ জুলাই ডিজিএফআই তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করার এবং সরকারের সঙ্গে সংলাপের জন্য চাপ দেয় বলেও উল্লেখ করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দেওয়া হয়। সারাদেশেই এ ধরনের বাধা সৃষ্টি করা হয়েছিল। তবু সব বাধা অতিক্রম করে তারা আন্দোলন অব্যাহত রাখেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, গত বছরের ১৭ জুলাই রাতে দেশব্যাপী ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তাদের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে পরদিন (১৮ জুলাই) সারা দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে আসেন। বিশেষত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা সেদিন রাজপথে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। আন্দোলনের নেতাদের জীবন হুমকির মুখে পড়ে এবং গ্রেপ্তার এড়াতে তারা আত্মগোপনে চলে যান। সেদিন সারাদেশে অনেক ছাত্র-জনতা আহত ও নিহত হন। সেদিন রাতে সারাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। একইভাবে ১৯ জুলাই পুলিশ এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচার গুলি চালায়। এতে অনেক ছাত্র-জনতা আহত ও নিহত হন।

জবানবন্দিতে নাহিদ ইসলাম বলেন, ১৯ জুলাই তারা বোঝতে পারেন যে সরকার ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গেছে। তাদের আন্দোলন এবং হতাহতদের কোনো খবর কোনো মিডিয়ায় প্রচার হচ্ছিল না।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Air pollution in Delhi Black is turning the historic Lalkalla

দিল্লিতে বায়ুদূষণ: কালো হয়ে যাচ্ছে ঐতিহাসিক লালকেল্লা

দিল্লিতে বায়ুদূষণ: কালো হয়ে যাচ্ছে ঐতিহাসিক লালকেল্লা

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির তীব্র বায়ুদূষণের কারণে শহরের অন্যতম ঐতিহাসিক মোগল স্থাপনা লালকেল্লার দেওয়ালে ‘কালো আবরণ’ তৈরি হয়েছে বলে এক গবেষণায় ওঠে এসেছে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, লাল বেলেপাথরের এই স্থাপনার দেওয়ালে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে জমে থাকা এই স্তরের পুরুত্ব ০.০৫ মিলিমিটার থেকে ০.৫ মিলিমিটার পর্যন্ত। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এটি স্থাপনার সূক্ষ্ম নকশা ও খোদাইয়ের ক্ষতি করতে পারে। এটি ১৭০০ শতকের এই স্থাপনার ওপর বায়ুদূষণের প্রভাব নিয়ে করা প্রথম পূর্ণাঙ্গ গবেষণা।

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম দিল্লি এর বায়ু মানের অবনতির জন্য প্রায়ই খবরে আসে, বিশেষ করে শীতকালে। সংরক্ষণবিদরা আগেই সতর্ক করেছিলেন, দূষণ রাজধানীসহ কয়েকটি রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলোর ক্ষতি করছে।

২০১৮ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছিলেন, সাদা মার্বেল পাথরে নির্মিত বিখ্যাত ১৭০০ শতকের সমাধি তাজমহল বায়ু ও পানিদূষণের কারণে হলদে এবং সবুজাভ-বাদামি হয়ে গেছে। তারা উত্তর প্রদেশ সরকারকে সংরক্ষণমূলক ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন।

লালকেল্লা নিয়ে গবেষণাটি পিয়ার-রিভিউ করা ওপেন অ্যাক্সেস বৈজ্ঞানিক জার্নাল হেরিটেজে ২০২৪ সালের জুনে প্রকাশিত হয়। এটি ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ভারত ও ইতালির গবেষকরা পরিচালনা করেন।

মোগল সম্রাট শাহজাহান নির্মিত লালকেল্লা দিল্লির অন্যতম ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ও জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতার এক দিন পর ১৯৪৭ সালের ১৬ আগস্ট ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওয়াহেরলাল নেহরু এখান থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

এর পর থেকে স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীরা কেল্লার প্রাচীর থেকে ভাষণ দিয়ে আসছেন।

গবেষকরা ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দিল্লির বায়ুমানের তথ্য বিশ্লেষণ করেন। পরে কেল্লার বিভিন্ন দেওয়াল থেকে কালো আবরণ সরিয়ে তার রাসায়নিক গঠন পরীক্ষা করেন। তারা দেখতে পান, বাতাসে থাকা ধুলিকণা ও অন্যান্য দূষক কেল্লার দেওয়ালে কালো স্তর তৈরি করেছে এবং এর গম্বুজ, খিলান ও সূক্ষ্ম পাথরের খোদাইসহ স্থাপত্যের নানা অংশে ক্ষতি করেছে। তারা দেওয়ালে ফোস্কা ও খোসা ওঠার প্রমাণও পেয়েছেন।

গবেষণাটি বলছে, ‘পিএম ২.৫ ও পিএম ১০ (ধুলিকণার ধরন) সাধারণত পরিবেশে থাকা পাথরের পৃষ্ঠে ধুলিকণা জমার প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এরা জমে দৃশ্যমান কালচে রং ধারণ করে।’

গবেষকরা কেল্লা রক্ষায় সময়মতো সংরক্ষণ কৌশল গ্রহণের সুপারিশ করেছেন। তাদের মতে, ‘কালো আবরণের সৃষ্টি একটি ধীরে ধীরে অগ্রসরমান প্রক্রিয়া, যা প্রথমে পাতলা কালো স্তর হিসেবে শুরু হয়- প্রাথমিক পর্যায়ে এটি সরানো সম্ভব।’

তারা আরও পরামর্শ দিয়েছেন, পাথরের সুরক্ষামূলক আবরণ বা সিল্যান্ট প্রয়োগ করে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এই কালো স্তর গঠনের গতি কমানো বা প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

সূত্র: বিবিসি

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Family members including Sheikh Hasina cannot vote

শেখ হাসিনাসহ পরিবারের সদস্যরা ভোট দিতে পারবেন না

শেখ হাসিনাসহ পরিবারের সদস্যরা ভোট দিতে পারবেন না

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা ভোট দিতে পারবেন না। গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত এপ্রিলে হাসিনাসহ শেখ পরিবারের ১০ সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ‘লক’ করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ। যার কারণে তারা প্রবাসে বসে ভোট দিতে পারবেন না।

ইসি সচিব বলেন, ‘যাদের এনআইডি লক আছে তারা কেউই প্রবাসে বসে ভোট দিতে পারবেন না।’

এনআইডি লক হওয়া শেখ পরিবারের সদস্যরা হলেন- শেখ হাসিনা, সজীব আহমেদ ওয়াজেদ, সায়মা ওয়াজেদ, রেহানা সিদ্দিক (শেখ রেহানা), টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক, শাহিন সিদ্দিক, বুশরা সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও তারিক আহমেদ সিদ্দিক।

ইসি সচিব বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনে ইন কান্ট্রি ও আউট অব কান্ট্রি ভোট হবে। যারা প্রবাসে আছেন, তারা অনলাইনে নিবন্ধন করবেন।

এ জন্য সিস্টেম ডেভেলপ করা হচ্ছে।’ শেখ হাসিনা ভোট দিতে পারবেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তার তো এনআইডি লক আছে। যাদের এনআইডি লক আছে তারা কেউই ভোট দিতে পারবেন না।’

মামলার কারণে বা অন্য কোনো কারণে পালিয়ে বা অন্যভাবে বিদেশে অবস্থান করছেন, তাদের ভোট দিতে কোনো অসুবিধা নেই। তবে তাদের এনআইডি আনলক অবস্থায় থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রবাসে বসে ভোট দিতে হলে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে এনআইডি নম্বর দিয়ে। এ ক্ষেত্রে পাসপোর্ট নয়, এনআইডি বাধ্যতামূলক হবে। তাই যার এনআইডি লক থাকবে তিনি কী করে অনলাইনে নিবন্ধন করবেন? তিনি তো পারবেন না। যারা এনআইডি দিয়ে নিবন্ধন করবেন তারাই কেবল এই সুযোগ পাবেন।’

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা।

এছাড়া তার দল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও অনেকে বিভিন্ন দেশে পালিয়েছেন।

মন্তব্য

p
উপরে