পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেছেন, তাদের কাজ সুশাসন নিশ্চিত করা। আর সেটি করার চেষ্টাই করে যাচ্ছেন।
সুশাসন নিশ্চিত হলে মানুষ তাদের সঞ্চয় নিয়ে পুঁজিবাজারে ছুটে আসবে বলে আশা করছেন তিনি। তার মতে, তখন আর পেছনে তাকাতে হবে না।
পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক প্রবণতা নিয়ে শিবলী বলেছেন, এখন আর কোনো একক খাতের দাম বাড়ছে না। এভাবে পুঁজিবাজারে একটি সুস্থ প্রবণতা তৈরি হয়েছে।
নিউজবাংলাকে দেয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
আপনি যখন পুঁজিবাজারের দায়িত্ব নিয়েছেন তখন একটি টালমাটাল অবস্থা ছিল। এমন একটি অবস্থায় যখন আপনাকে প্রস্তাব দেয়া হলো তখন কী ভেবে দায়িত্ব দিতে আগ্রহী হলেন? তখন কী কী পরিকল্পনা ছিল আপনার।
কোনো পরিকল্পনা ছিল না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন আমাদের কাছে কিছু ডিজায়ার করেন, আমরা তার নেতৃত্বের প্রতি খুবই শ্রদ্ধাশীল এবং উনাকে মানা করার মতো ক্ষমতা আমাদের নাই। আমাদের কিছু বললে, সেটা যত কঠিন কাজই হোক, সেটা আমরা মেনে নিই। এখন আমি যদি খুবই সহজ, আরামের একটি কাজ উনার কাছ থেকে চেয়ে নিই, তাতে তো উনার কোনো লাভ হবে না; বরং কিছু চ্যালেঞ্জের কিছু থাকলে সেটি যদি আমরা কোনোভাবে ভালো করতে পারি সেটাই উনাকে সাহায্য করার হবে। সেটাই ছিল আমার চিন্তাভাবনা।
পুঁজিবাজার একটি টেকনিক্যাল জায়গা। এটি লাখ লাখ বিনিয়োগকারীর প্রত্যাশার জায়গা। এ বিষয়গুলোকে কীভাবে আয়ত্তে নিয়েছেন। আপনার কী আগে থেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ছিল, যা সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হয়েছে?
আমার স্ত্রী এটিকে খুব মজা করে বলেন। আমি ফাইন্যান্সেরই ছাত্র; শিক্ষক ছিলাম। কিন্তু নিজে কখনো বিনিয়োগ করতাম না এবং আমার বাবার মৃত্যুর পর আমি উনার কাছ থেকে কিছু শেয়ার, আইসিবির সার্টিফিকেট উত্তরাধিকার সূত্রে পাই। ওটাই ছিল আমার অ্যাকাউন্টে। আমি নিজে কখনোই ডে ট্রেডিং বা কোনো রকম কেনাবেচায় যুক্ত ছিলাম না। জাস্ট সাধারণ, খুব অল্প বিনিয়োগ। এটাই ছিল। এটা নিয়েই স্ত্রী এখন আমাকে বলেন যে, তুমি যে জিনিসটি কখনো করোনি, এখনও ওটাই তোমাকে ভালোভাবে দেখতে হচ্ছে।
যেকোনো কিছুকে এগিয়ে নিতে আমরা জানি কিছু না কিছু পরিকল্পনা থাকা উচিত। দীর্ঘ, মধ্য ও স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা থাকা উচিত। আপনি আসলে কোন ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন?
পরিকল্পনা তো অবশ্যই ছিল। আমার আগে যারা দায়িত্বে ছিল তারা খুবই ভালো একটি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও নিয়মনীতি তৈরি করে গেছেন। এখানে তার আাগে কিন্তু তেমন কোনো নিয়ম-নীতিও ছিল না; নীতিমালা ছিল না। আমি ধন্যবাদ দেবো আমার আগের কমিশনকে, যারা সুন্দরভাবে এটি করে দিয়ে গেছেন। আমরা এখন ওটাইকে একটু আপগ্রেড করে গভর্ন্যান্সটাকে (সুশাসন) এনশিউর (নিশ্চিত) করার চেষ্টা করছি।
আশা করব যে, গর্ভন্যান্স এনশিউর হলেই মানুষ তার সঞ্চয় নিয়ে এই খাতের দিকে এগিয়ে আসবে। তখন আর পেছনে তাকাতে হবে না। আর যেহেতু আমাদের সেক্টর এখন সবচেয়ে বেশি রিটার্ন দিচ্ছে এবং এখানে বিনিয়োগ করলে ভালো রিটার্ন পাওয়া যাচ্ছে, তো এখানে দিনে দিনে বিনিয়োগের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বর্তমান কমিশন বন্ড মার্কেট নিয়ে অনেক কাজ করছে। এসব বন্ডে কী সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে পারবে নাকি আলাদা কোনো পরিকল্পনা আছে?
বন্ডে বিনিয়োগকারীরা সরাসরি বিনিয়োগ করতে পারবে। সব বন্ডেই করা যাবে। তবে আমরা এগুলোকে আরও সহজ করার জন্য এগুলোকে লিস্টিংয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ব্যাংকের পারপিচুয়াল বন্ডের থেকে সব ব্যাংকেই এখন গ্র্যাজুয়ালি লিস্টিং হবে। লিস্টিং হলে সব বিনিয়োগকারী এগুলো কেনাবেচা করতে পারবে।
এটা কেইস টু কেইস বেসিসে ডিফারেন্ট হবে। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের, এমন না। এটা হয়তো কোনো কোম্পানির মিনিমাম স্কিপ থাকবে এক লাখ টাকা। কারও হয়তো ১০ হাজার টাকার; কারও হয়তো ৫০ হাজার টাকার। ওই সাইজের ট্রেড করতে হবে।
এতে আমাদের ট্রানজেকশনও বাড়বে অনেক। এতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ আরও বাড়বে। এর ফলে পুঁজিবাজারের সব পক্ষের উইন উইন অবস্থা তৈরি হবে। এতে ইস্যুয়ার এবং ভেনিফিশারি সবাই লাভবান হবে।
বিমা সেক্টর নিয়ে পুঁজিবাজারে গুজব আছে। এর আগে ২০১০ সালে ব্যাংক সেক্টরের এমনভাবে শেয়ারের দর বেড়েছিল। এখনও সেদিকে যাচ্ছে?
আমি যখন প্রথম দায়িত্বে আসি তখন এখানে টার্নওভার ছিল ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা। তখন বড় ক্যাপের ক্যাপিটাল মার্কেটে যেসব প্রোডাক্ট আছে সেগুলোতে বিনিয়োগ হতো। কিন্ত এর রিফ্লেকশনটা বড় স্কেলে দেখা যেত না। ইন্স্যুরেন্সের মার্কেট ক্যাপগুলো ছোট ছোট। তো এগুলো কেউ যদি একটু ভালো করে ট্রেড করে তাহলেই এটি ভিজিবল হয়ে যায়।
ব্যাংকের যেহেতু মার্কেট ক্যাপ বড়, সেহেতু বিমার টাকার ডাবল করেও সেভাবে দেখা যায় না। এখন ট্রেড ভলিউম সাউজ সব বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার মানে আমাদের এখানে যত বেশি লিকুইডিটি ইনভেস্টমেন্ট আসবে ততই এখন বিভিন্ন সেক্টরের গ্রোথ দেখা যাবে।
এখন কিন্ত শুরু ব্যাংক ইন্স্যুরেন্স না, ফার্মাসিউটিক্যাল, সিরামিকস, টেক্সটাইল, একেক দিন একেকটা বাড়ে। মিউচ্যুয়াল ফান্ডও বাড়ে, কমে। এখন আর কেউ বলতে পারবে না, কোনো নির্দিষ্ট সেক্টর বাড়ছে।
এখন তো লেনদেন দুই হাজার কোটি টাকার বেশি। এটা তো কোনো একটি সেক্টর দিয়ে হওয়া সম্ভব না। ফলে বোঝাই যাচ্ছে সব কোম্পানিই মুভিং।
সম্প্রতি মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাব এসেছিল, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি ইউনিটপ্রতি দর যখন কম যায়, তখন তারা মার্কেট থেকে নিজেদের ইউনিট বাইব্যাক করতে চায়। এ ক্ষেত্রে আপনাদের কোনো প্রস্তাব আছে কি না?
যাদের মিউচ্যুয়াল ফান্ড তারাই যদি বাইব্যাক করতে চায়, তাহলে সেটি আইনের সঙ্গে অনেকটাই সাংঘর্ষিক হয়ে যায়। আমাদের এখানে এখনও এমন কোনো আবেদন দেখিনি।
কেপিসিএল তাদের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। ওরিয়নেরও এমন কিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে, সেগুলোরও মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র বোনাস শেয়ার ইস্যু করছে। এসব কোম্পানির ভবিষ্যৎ কী? বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ রাখার জন্য আপনার কোনো উদ্যোগ আছে?
সরকারের সাথে একটু নেগোসিয়েশন পর্যায়ে আছি। ‘নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্ট’ এ রকম একটা ব্যবস্থাপনায়। এটা হলে লিস্টেড কোম্পানিগুলো কিছুটা বেনিফিট পাবে। তাদের যতটুকু বিদ্যুৎ সরকার কিনবে ততটুকুর জন্য পেমেন্ট পাবে।
আর নতুন যারা আসছে তাদের অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করেছি, অ্যাসোসিয়েশনকে আমরা বলেছি যে, আপনারা ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিলে এখন মানুষের এখন আর ইক্যুইটিই ফেরত আসে না। উনাদের সঙ্গে আমাদের যে কথা হয়েছে, তারা মিনিমাম ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে এখন থেকে। সেটা দিলে ১০ বছরের একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট চললে তার লাভসহ ফেরত আসবে। আপাতত তাই করব।
আর ভবিষ্যতে পাওয়ার প্লান্ট দেয়ার আগে খুব ভালোভাবে অঙ্ক করে নেব, যাতে বিনিয়োগকারীদের কোনো ক্ষতি না হয়।
বহুজাতিক কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে নিয়ে আসার জন্য আপনারা কাজ করছেন। এর ভবিষ্যৎ কী?
এটা নিয়ে কাজ চলছে। আমাদের কনসার্নড বিভাগ কাজ করছে। এখন কাজ শুরু হয়েছে, আগামী বছর এর ফলাফল পাওয়া যাবে।
ওয়ালটনের মতো বড় কোম্পানি পুঁজিবাজারে ১ শতাংশ শেয়ার নিয়ে প্রতিনিধিত্ব করছে। এতে পুঁজিবাজারে ওয়ালটনের শেয়ার নিয়ে কাসরাজি করার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ক্ষেত্রে কারসাজি হতে পারে। আমাদের আসার আগে হয়ে গেছে সবকিছু। এর শেষ পর্যায়ে এসে আমরা পেয়েছি। ওয়ালটনের সচিব কিছুদিন আগে এসেছিলেন। এ ছাড়া ওয়ালটনের অন্যান্য যারা ওনার্স, তাদেরও বলেছি। পর্যায়ক্রমে তারা শেয়ার অফলোড করে ১০ শতাংশে নিয়ে যায়। তারা একমত হয়েছেন। আস্তে আস্তে তারা করে দেবেন।
বন্ধ কোম্পানি চালু করার ক্ষেত্রে আপনি অনেক উদ্যোগ নিচ্ছেন। যেসব কোম্পানির ইতোমধ্যে বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে, সেগুলোর বর্তমানে কী অবস্থা?
রিং সাইন প্রোডাকশনের চলে আসছে। আরও একটি প্রোডাকশনে চলে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাকিগুলোরও হচ্ছে। আমাদের আসলে ম্যানপাওয়ার কম তো। আমরা এখানে ৮০ জন লোক কাজ করি। এর ফলে এতগুলো কাজ একসঙ্গে করা মুশকিল হয়ে যায়। আমরা একটি করে ধরছি, করছি। নতুন বোর্ড করে দিচ্ছি। তারা প্রোগেস করছে। এখন পর্যন্ত আমরা যে বোর্ড গঠন করে দিয়েছি, তার প্রোগ্রেস রিপোর্ট শিগগিরই চলে আসবে। তখন সব বোঝতে পারব কোথায়, কী হচ্ছে।
ইউনাইটেড এয়ার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আছে। কিন্ত কোম্পানিটির বোর্ড গঠন করা হলেও সেটি লেনদেন হচ্ছে ওটিসি মার্কেটে। এ থেকে উত্তরণের পথ কী?
ওটিসিতে দেয়ার কারণ ছিল, কোনা অ্যাসেট নাই, লায়াবিলিটিতে ভরা। এই কোম্পানি ট্রেড করে যদি শেয়ারের প্রাইস বেড়ে যায় তাহলে পবরর্তীতে একটি নতুন ঝামেলা তৈরি হবে। তো আমরা এখানে ঢুকে দেখলাম, এখানে মহাসমস্যা। তারপরও আমরা আমাদের বোর্ড বিভিন্ন স্ট্র্যাটেজি খুঁজে বের করছি। কীভাবে এটাকে আকাশে উড়ানো যায়।
আমাদের সিভিল এভিয়েশন যদি একটু সহযোগিতা করে, আমাদের মিনিস্ট্রি যদি একটু সহযোগিতা করেন তাহলেই আমরা পারব।
ওটিসি মার্কেট নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে কি না? এখানে লেনদেন প্রক্রিয়া কঠিন হওয়ায় ভোগান্তিতে থাকে বিনিয়োগকারীরা। ওটিসি মার্কেটের উন্নয়নে আপনার পরিকল্পনা কী?
ওটিসি মার্কেটে এরই মধ্যে চারটি চলে গেছে মেইন বোর্ডে। ১৫টি চলে যাচ্ছে এসএমই প্ল্যাটফর্মে। ৩০টি যাচ্ছে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি) প্ল্যাটফর্মে। ১৩টি কোম্পানি তালিকাচ্যুতির আবেদন করেছে। এর মধ্যে চারটির তালিকাচ্যুতির কাজ এগিয়ে চলছে। কোর্টে একটির অর্ডার পেন্ডিং আছে। আর দুটিকে আমরা ডেকে দেখছি কী করা যায়।
ওটিসি বলে কিছু রাখা যাবে না। এটা হলে কোম্পানির গভর্ন্যান্স থাকে না। ইচ্ছামতো চালায়, বিক্রি করে দেয়; জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এক্সপ্লোজার লিমিটেড, ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা সংশোধনের প্রস্তাব ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের। কিন্ত সেটি এখনও বাস্তবায়নের অপেক্ষায়। আপনাদের কোনো উদ্যোগ আছে কী?
ওটা নিয়ে আমরা কথা বলেছি। টায়ার ওয়ানকে আমরা বলেছি এই লিমিটেডের বাইরে রাখতে। তারা বলেছে সেটি করে দেবে। বাংলাদেশ ব্যাংক খুব সহযোগিতা করছেন।
অবণ্টিত লভ্যাংশ নিয়ে তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। এখন সেটি কী অবস্থায় আছে? এ ছাড়া বোনাস লভ্যাংশ লভ্যাংশগুলো কীভাবে বণ্টন করা হবে?
এটা নিয়ে আমাদের নির্ধারিত বিভাগ কাজ করছে। তবে এর অগ্রগতি হচ্ছে, গেজেট প্রকাশের জন্য ইতোমধ্যে বিজি প্রেসে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:রাজধানীর খিলগাঁওয়ের গোড়ানে খেলতে গিয়ে একটি ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক শিশু নিহত হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে পাঁচ তলা ভবনটির ছাদ থেকে পড়ে নিহত হয় সে।
নিহত শিশুর নাম খাদিজা আক্তার (৫)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শিশুটির ফুফা মোহাম্মদ ইসহাক মিয়া (২০ বছর)।
খাদিজার বাবা মোহাম্মদ ফয়সাল আহমাদ জানান, দুপুরে পাঁচ তলার ছাদে খাদিজা খেলাধুলা করার সময় ছাদ থেকে নিচে পড়ে যায়। এ সময় খাদিজার ফুফা দৌড়ে ধরতে গেলে তিনিও নিচে পড়ে যান।
তিনি জানান, পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খাদিজা রাত সাড়ে ৮টার দিকে মারা যায় এবং ফারিয়ার ফুফাকে ভর্তি রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানা এলাকায়। খিলগাঁওয়ের গোড়ান নবাবীর মোড় বতর্মানে১৪৮ /১ রায়হান সাহেবের বাড়ির ভাড়াটিয়া আমরা।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মহম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, শিশুটির মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে খিলগাঁও থানার সাথে কথা হয়েছে।
তীব্র থেকে অতি তীব্র মাত্রায় পাবনা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। অসহনীয় দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত তিন-চার দিন তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও শুক্রবার চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
এদিন পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যা জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রবিবার (২১ এপ্রিল) ঈশ্বরদীতে প্রথমবার ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অতি তীব্র তাপদাহে পাবনার মানুষের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে কৃষক, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ইটভাটার শ্রমিকসহ দিনমজুরদের জন্য অসহ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়াও তীব্র গরমে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ সব বয়সের মানুষ।
গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন আশরাফ আলী নামের এক রিকশাচালক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার সুন্দরগঞ্জ-কুপতলা সড়কের ৭৫ নম্বর রেলগেট নামক এলাকায় এ ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে সাদেকুলকে কারাগারে পাঠানো হয়।
৫০ বছর বয়সী রিকশাচালক আশরাফ আলী সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের সাহার ভিটার গ্রামের মৃত ফয়জার রহমানের ছেলে। অন্যদিকে ছিনতাই ও হত্যায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলাম কুপতলা ইউনিয়নের রামপ্রসাদ গ্রামের বাসিন্দা।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদ রানা।
ওসি জানান, প্রতিদিনের মতোই বৃহস্পতিবার রাতে রিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আশরাফ আলী। তিনি কুপতলা এলাকার ৭৫ নম্বর রেলগেটে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সাদেকুল ইসলাম তার পথ রোধ করে ছুরি ধরে রিকশা এবং চাবি কেড়ে নিয়ে তাকে চলে যেতে বলেন। আশরাফ আলী এতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রথমে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত সাদেকুল আশরাফ আলীর পেটে ছুরিকাঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি বলেন, ‘এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ওই রাতেই অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে আটক করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে রিকশাটিও উদ্ধার করা হয়। পরে আজ (শুক্রবার) দুপুরে সাদেকুলকে একমাত্র আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।’
দেশের বিভিন্ন স্থানে যেভাবে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে। এর মধ্যে কোথাও কোথাও বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর, কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়োহাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
অধিদপ্তর বলছে, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
আবহাওয়ার সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। আগামী পাঁচ দিনেও আবহাওয়াও প্রায় একই থাকতে পারে।
শুক্রবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়া ২০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও বৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড রোহিঙ্গা ইস্যুতে এক সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ ও থাই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক থেকে বেরিয়ে ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি শুক্রবার এ কথা জানান। খবর বাসসের
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এক সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’
দুপুরে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গভর্নমেন্ট হাউজে উভয় নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত একান্ত বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব তথ্য জানান। সন্ধ্যায় ঢাকায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।
ড. হাছান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের মধ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমে তারা একান্তে কথা বলেন, এরপর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বহু বিষয়ে সবিস্তারে আলোচনা করেছেন।
থাইল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের যে ভ্রাতৃপ্রতিম ও বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক, সেটা আরও জোরদার, বহুমাত্রিক ও বিস্তৃত করার ব্যাপারে দুই প্রধানমন্ত্রী গভীর আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন, বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ সময় অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্ত বণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট স্বাক্ষরিত হয়।
দেশের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ব্যাংককে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই এবং থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. প্রাণপ্রী বাহিদ্ধা নুকারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বর্ণনা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ১০০টি ইকোনমিক জোন ও আইটি ভিলেজে থাই বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা চাইলে প্রয়োজনে বাংলাদেশে তাদের জন্য বিশেষ ইকোনমিক জোন করার কথাও বলেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত হয়ে আসা প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন। তাদের জন্য বাংলাদেশে যেসব সমস্যা উদ্ভূত হচ্ছে বৈঠকে সে বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলেও জানান ড. হাছান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডেও অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন, এখনো অনেকে আসছেন। থাইল্যান্ডও এই পালিয়ে আসা মানুষদের ভারে জর্জরিত। এই সমস্যা সমাধানে উভয় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের একসাথে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
এদিন গভর্নমেন্ট হাউজে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রদত্ত রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অফ অনার প্রদানকালে থাই প্রধানমন্ত্রী সাথে ছিলেন। শেখ হাসিনা তার সৌজন্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান। তিনি বৃহস্পতিবার ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী সেখানে দেওয়া ভাষণে সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান।
সফর শেষে প্রধানমন্ত্রীর আগামী ২৯ এপ্রিল দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার অগ্রণী ব্যাংকের কাশিনাথপুর শাখায় প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে শাখা ম্যানেজারসহ ৩ কর্মকর্তাকে আটকের পর কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আনোয়ার হোসেন সাগর। এদিন দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করে সাঁথিয়া থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের জিআরও এএসআই মাহবুবুর রহমান জানান, বিকেলে সাঁথিয়া থানা থেকে এনে তাদের আদালতে তোলা হয়। এ সময় কেউ তাদের জন্য জামিন আবেদন করেননি। ফলে আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আটককৃতরা হলেন- অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ব্যবস্থাপক (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) সুজানগর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা হারুন বিন সালাম, সিনিয়র অফিসার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার বাসিন্দা আবু জাফর এবং ক্যাশিয়ার বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত চক্রবর্তী।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী বিভাগীয় অফিস থেকে ৫ সদস্যবিশিষ্ট অডিট টিম কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসে। দিনভর অডিট করে তারা ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আর্থিক অনিয়ম পান। এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানায় ওই শাখার ম্যানেজার (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) হারুন বিন সালাম, ক্যাশ অফিসার সুব্রত চক্রবর্তী ও সিনিয়র অফিসার আবু জাফরকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দিলে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে তাদের তিনজনকে আটক করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অডিটে অনিয়ম ধরা পড়লে তাদের আটক করে সাঁথিয়া থানা পুলিশকে খবর দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আজ (শুক্রবার) দুপুরে জিডির ভিত্তিতে আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে দুদক আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি দেশ ও জনগণের উন্নয়নে আপনাদেরকে কাজ করতে হবে।
থাইল্যান্ড আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার অবস্থানকালীন আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। খবর বাসসের
প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক মো. নজরুল ইসলাম সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বঙ্গবন্ধু তার অনুপ্রেরণার উৎস উল্লেখ করে শেখ হাসিনা নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, জাতির পিতাকে অসময়ে হত্যা করা হলেও ‘তার আদর্শ আমাদের মধ্যে রয়ে গেছে এবং সে কারণেই আমি তার (বঙ্গবন্ধু) আদর্শ বাস্তবায়ন করতে কাজ করছি। বঙ্গবন্ধু দেশের গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন।
গত ১৫ বছরে দেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্ষমতায় থাকায় এ অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, অনেক বাংলাদেশি থাইল্যান্ডের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তবে তারা দ্বৈত নাগরিকত্ব বজায় রাখতে চান। এই দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে থাই সরকারের সাথে কথা বলবেন।
মন্তব্য