প্রথম পর্যায়ের প্রকল্প চলেছে পাঁচ বছর। একই ধরনের আরও প্রকল্প চলমান। আগেও প্রচুর কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তারপরও নদীর তীর সংরক্ষণের অভিজ্ঞতা বাড়াতে বিদেশ সফরের জন্য পৌনে ৬ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নতুন একটি প্রকল্পে।
পরিকল্পনা কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, পাউবো নদীতীর সংরক্ষণ ও নদী খননের প্রায় দুই ডজন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তাই তাদের পুরোনো একটি প্রকল্পের নতুন মেয়াদের জন্য অভিজ্ঞতা নিতে বিদেশ সফর হাস্যকর।
পাউবো বলছে, দেশে প্রতি বছর প্রায় সোয়া দুই হাজার হেক্টর এলাকা ভাঙনের কবলে পড়ে। এর বড় অংশ রয়েছে প্রধান দুই নদী পদ্মা ও যমুনার দুই তীরে। খরস্রোতা ও ভাঙনপ্রবণ এই দুই নদীর তীর সংরক্ষণে চলমান কার্যক্রম শেষ হচ্ছে আগামী জুলাই মাসে।
গত এক দশকে নানা কার্যক্রমে ভাঙনের হার তিন ভাগে নেমেছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এ অবস্থায় দ্বিতীয় পর্যায়ের আবারও প্রকল্প নেয়া হচ্ছে।
তবে পাউবোর এ চাওয়ায় বাদ সেধেছে পরিকল্পনা কমিশন। পাউবোর পাঠানো প্রস্তাব দেখে প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশ সফরে আপত্তি তুলেছে তারা। তা ছাড়া প্রকল্পের জন্য বিলাসবহুল গাড়ি কিনতে ৫ কোটি টাকা চাওয়া নিয়েও তোলা হয়েছে প্রশ্ন। এ ছাড়া দেশের মধ্যে প্রশিক্ষণে বিশাল ব্যয়, নদীতীর সংরক্ষণে বাড়তি ব্যয়, প্রয়োজনের তুলনায় বেশি গাড়িসহ নানা বিষয়ে আপত্তি তুলেছে কমিশন।
সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় বেশ কিছু খাতের ব্যয়ে কাটছাঁট করারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পরিকল্পনা কমিশন বলছে, পিইসির সভায় ‘ফ্লাড অ্যান্ড রিভারব্যাংক ইরোশন রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম-২’ শীর্ষক এ প্রকল্পের পৌনে দুই হাজার কোটি টাকার প্রাক্কলিত ব্যয় থেকে বেশ বড় অঙ্কের অর্থ কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে বিদেশ সফরসহ বেশ কিছু খাতের ব্যয় বাতিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্তও হয়।
পরিকল্পনা কমিশন বলছে, করোনাকালীন সরকারের ব্যয় সাশ্রয়ের কথা মাথায় রেখে বিদেশ সফরে নিরুৎসাহ দেয়া হচ্ছে। সরকার বিভিন্ন সময় এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে। এমনকি প্রকল্পে বা সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ি কেনার বিষয়েও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে।
করোনা মহামারির মধ্যে বেশির ভাগ প্রকল্পে বিদেশে প্রশিক্ষণের বিষয়টি বাতিল করে পরিকল্পনা কমিশন। এ ক্ষেত্রে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের পূর্বের অভিজ্ঞতা আছে, সেগুলোতেও বিদেশ সফর প্রায় শতভাগ বাদ দেয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও মন্ত্রণালয়গুলো থেকে তবুও কোনো না কোনো অজুহাতে বিদেশ সফরের জন্য অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব আসছে।
এর আগে পুকুর খননে বিদেশ সফর, খাল খননে বিদেশ সফর, নদী খননে বিদেশ সফরের প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে আপত্তি ও সমালোচনার মুখে সেসব প্রকল্পে বিদেশ সফর বাদ দেয়া হয়।
সম্প্রতি স্কুল ফিড প্রকল্পেও (খিচুড়ি রান্না) বিদেশ সফর নিয়ে সমালোচনা হলে বিদেশ সফর বাদ দিয়ে প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য তোলা হয়। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সাম্প্রতিক সভায় প্রকল্পটিই বাতিল করা হয়।
নদীর তীর সংরক্ষণের প্রকল্পটির প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে কৃচ্ছ্রসাধনের নির্দেশনা থাকলেও প্রকল্পের আওতায় বিদেশ সফর বা বৈদেশিক প্রশিক্ষণ বাবদ ৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। একই ধরনের কাজ দেশে প্রচুর হলেও স্থানীয় প্রশিক্ষণ বাবদও এ প্রকল্পে ১ কোটি ২ লাখ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। চারটি জিপ (এসইউভি) ও চারটি পিকআপ কিনতেও ৫ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।
অর্থনীতিবিদ ও ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে সাধারণ একটা প্রবণতা রয়েছে যে প্রকল্পে বিদেশ সফর থাকতেই হবে। দেখা যায়, ধান কী করে লাগাতে হয়, তার জন্য বিদেশ সফর, পুকুর খননের জন্য বিদেশ সফর করতে হবে। পরিকল্পনা কমিশনের দায়িত্ব এটা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা, এসব অপ্রয়োজনীয় খাত বাদ দেয়া।
‘অনেক সময় দেখা যায়, লাইন মিনিস্ট্রি প্রকল্পের মূল কাজ বাদ দিয়ে শুধু গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরের ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়। এমনকি ডোনারদেরও বলা হয়, এগুলো রাখতে হবে; না হলে প্রকল্প নেবই না। সব প্রকল্পে তারা এগুলো রাখবেই।’
পাউবোর প্রকল্পটির প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় ৩০ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। ব্যয় বাবদ ৬১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। এতে প্রতি মিটারে ব্যয় ২ লাখ টাকারও বেশি।
৭ দশমিক ৯০ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণে ৩৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা (মিটার ৪৬ হাজার ৭০০ টাকা) এবং ৩ কিলোমিটার বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ ৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বা মিটারপ্রতি ২৮ হাজার ৪৩৪ টাকা ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় দুটি জলস্রোত নিয়ন্ত্রণের জন্য স্লুইসগেট নির্মাণ বাবদ ২২ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ১২টি মৎস্য অভয়াশ্রম উন্নয়ন বাবদ ১৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা ও সাতটি বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ ছাউনি নির্মাণ বাবদ ১ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
এসব ব্যয়ের বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশন থেকে পিইসির সভায় বলা হয়, যেহেতু একই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ও প্রায় শেষ, তা ছাড়া একই ধরনের অনেক প্রকল্প দেশে বাস্তবায়ন হয়েছে, বাস্তবায়নাধীনও রয়েছে কয়েকটি, তাই নতুন করে বিদেশ প্রশিক্ষণ অযৌক্তিক। এ জন্য প্রকল্পের আওতায় বৈদেশিক প্রশিক্ষণে প্রায় ৬ কোটি টাকা বাদ দিতে হবে। দেশি প্রশিক্ষণের ব্যয়ও কমিয়ে অর্ধেকের নিচে নামাতে হবে। আবার গাড়ি কেনা, সরঞ্জাম কেনা, মাছের অভয়াশ্রম করাসহ অন্যান্য যেসব খাতে বেশি ব্যয় বলে মনে হচ্ছে, তাও যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাধারণ যে নদীর তীরে ভাঙন বেশি, তাতে অনেক গভীর থেকে প্রথমে জিও ব্যাগ ফেলে তার ওপর সিমেন্টের ব্লক ফেলতে হয়। ফলে খরচ বেশি হয়। কিন্তু এ প্রকল্পে কাজ অনেক কম। ভাঙনের হার বেশি না। ফলে প্রতি মিটার তীর নদী সংরক্ষণের ২ লাখ ৫ হাজার টাকা ব্যয়ের ভিত্তি ও যৌক্তিকতা নেই।
‘তা ছাড়া নদী সংরক্ষণ কাজের পর কী কী গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষা পাবে, তাও উল্লেখ করা হয়নি প্রস্তাবে। বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতের ব্যয় নিয়েও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তাতে সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে এসব খাতে ব্যয় কমাতে বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সভায় বিদেশ সফর সম্পূর্ণ বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চারটির পরিবর্তে একটি জিপগাড়ি কেনার জন্য বলা হয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় একটি সমীক্ষা করলেও একটি নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে এ প্রকল্পের সমীক্ষা করা প্রয়োজন। এতে প্রকৃত ব্যয় সম্পর্কে ধারণা করা যাবে।’
গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) নির্বাহী পরিচালক ও নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য মালিক ফিদা এ খান বলেন, ‘নদীর ধরন অনুসারে তীর সংরক্ষণের ব্যয় কম-বেশি হতে পারে। গভীর, খরস্রোতা ও অধিক ভাঙনপ্রবণ নদীতে তীর সংরক্ষণে ব্যয় বেশি হতে পারে।
‘আবার অন্য শাখা বা ছোট নদীতে কম হতেও পারে। তবে দেখতে হবে যমুনা ও পদ্মার কোন অংশ রক্ষার কথা বলা হয়েছে। ভাঙনের প্রবণতা কম হলেও ব্যয় প্রাক্কলনের চেয়ে কমও হতে পারে।’
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় বলছে, দেশে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা নদীর তীরবর্তী ভাঙন সবচেয়ে বেশি হয়। এ জন্য নদী তীরবর্তী মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় প্রকল্পটি নেয়া হচ্ছে। এতে প্রস্তাবিত ১ হাজার ৭৮১ কোটি টাকার মধ্যে ১ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
অনুদান হিসেবে ১০৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা দেবে নেদারল্যান্ডস সরকার। সরকারের নিজস্ব তহবিল (জিওবি) থেকে থাকবে ৩১৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আগামী চার বছরে রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের চার জেলার নয় উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এর আগে ২০১৪ সালে শুরু হওয়া প্রথম পর্যায়ের ‘ফ্লাড অ্যান্ড রিভারব্যাংক ইরোশন রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট’ প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ দিকে। নতুন প্রকল্প এলাকার মধ্যে রয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলার তিনটি উপজেলা শাহজাদপুর, বেলকুচি ও চৌহালী।
টাঙ্গাইল জেলার দুই উপজেলা হলো টাঙ্গাইল সদর ও নাগরপুর। মানিকগঞ্জ জেলার তিনটি উপজেলা হলো দৌলতপুর, হরিরামপুর ও শিবালয়। এ ছাড়া পাবনা জেলার বেড়া উপজেলা রয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি কোনো বিভাজনের রাজনীতি করে না। বিএনপি সব ধর্মের মানুষ, বর্ণের মানুষকে নিয়ে সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলবে। নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে কোনো বিভাজন করা যাবে না।
গতকাল শনিবার জেএমসেন হলে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন ধর্ম সম্মেলন ও সাধু সন্ত ঋষি বৈষ্ণব মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান মানলে অবশ্যই অসাম্প্রদায়িক হতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধান অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা পুরোপুরি বলা আছে। সুতরাং অসাম্প্রদায়িক মুখে নয়, প্রকৃত অসাম্প্রদায়িক হলে দেশে কোনো হানাহানি থাকবে না। একইভাবে সংখ্যালঘু শব্দও আমি মানি না। সংখ্যালঘু বলতে কোনো শব্দ নেই। আমরা সবাই বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশি হিসেবে সবার অধিকার নিশ্চিত করা যেকোনো সরকারের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে আমরা একটা জাতি, একটা দেশ, একটা সমাজ। যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে তারা বারবার ধ্বংস হয়েছে, আবার বারবার নতুনভাবে শুরু করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এ দেশের সাধারণ মানুষ সাম্প্রদায়িকতাকে মনেপ্রাণে ঘৃণা করে। আজকের বাংলাদেশে আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছি সেখানে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছে সবাই। মানুষের মধ্যে অনেক দাবি সৃষ্টি হয়েছে, অনেক প্রত্যাশা জাগ্রত হয়েছে।
“যদি নতুন বাংলাদেশ গড়তে হয় তবে কোনো বিভাজন করা যাবে না। দেশে সবার ধর্ম থাকবে, সংস্কৃতি থাকবে। সবাই তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব পালন করবে। এটার সঙ্গে গণতন্ত্রের কোনো সংঘর্ষ থাকতে পারে না। জাতি হিসেবে, রাজনীতিবিদ হিসেবে আমাদের সহনশীল হতে হবে। ধর্ম যেমন মানুষের ভিন্ন ভিন্ন হয় রাজনৈতিক মতভেদও ভিন্ন ভিন্ন হবে। কিন্তু দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে সবাইকে এক হতে হবে।
শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লায়ন আর কে দাশ রুপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বালন করেন বাঁশখালী ঋষিধামের মোহন্ত শ্রীমৎ স্বামী সচিদানন্দ পুরি মহারাজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব দে পার্থ।
মাচার ওপরে সবুজ পাতা। নিচে ঝুলে আছে কালো রঙের তরমুজ। গাছ থেকে ছিঁড়ে না পড়ে সেজন্য প্রতিটি তরমুজে দেওয়া হয়েছে জালি। এমন দৃশ্য নওগাঁর পত্নীতলা, মহাদেবপুর, রাণীনগর ও সদর উপজেলার মাঠে মাঠে। এসব জমিতে আগে পটল ও করলা চাষ করলেও এখন বর্ষা মৌসুমে 'মার্সেলো’ জাতের তরমুজ চাষ করেছেন চাষিরা।
মাচায় ও মালচিং পদ্ধতিতে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড মার্সেলো জাতের তরমুজ চাষে সফলতা পেয়েছেন নওগাঁর চাষিরা। এই পদ্ধতিতে চাষ করা তরমুজের অধিক ফলনে তারা খুশি।
জানা গেছে, এসব তরমুজ অত্যন্ত সুস্বাদু ও সুমিষ্ট হওয়ায় বাজারে চাহিদা বেশি। সঙ্গে লাভও বেশি। লম্বাটে ডিম্বাকৃতির এই তরমুজের ভেতরের অংশ গাঢ় লাল রঙের। মার্সেলো জাতের প্রতিটি তরমুজের ওজন হয়ে থাকে ৩-৫ কেজি। আর প্রতি বিঘায় দেড় থেকে দুই হাজারটি তরমুজ পাওয়া যায়।
এছাড়া মার্সেলো জাতের এই তরমুজ উচ্চমাত্রায় ভাইরাস সহনশীল। প্রতিদিনই আগ্রহী চাষিরা বর্ষাকালীন তরমুজের ক্ষেত দেখতে ভিড় করছেন জমিতে। গত জুন মাসে তরমুজের চারা রোপণ করা হয়েছে। গাছ লাগানোর ৬৫-৭০ দিনের মধ্যে ফল উঠানো যায়।
রাণীনগরের মার্সেলো তরমুজ চাষি নিরাঞ্জন চন্দ্র প্রামানিক জানান, তিনি প্রতিবছর উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে নতুন নতুন ফসল চাষ করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবার কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় ২৫ শতক জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার ছাড়াই বিষমুক্ত মার্সেলো তরমুজ চাষ করেছেন। বাজারে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়। কম পরিশ্রমে ভালো দাম পেয়ে খুশি তিনি।
তিনি বলেন, আমরা জানি তরমুজ চাষ হয়ে থাকে গ্রীষ্মকালে। কিন্তু আমাদের এ বরেন্দ্র জেলায় বর্ষাকালে তরমুজের চাষ করা দেখে প্রতিদিন তার তরমুজের ক্ষেত দেখতে ও পরামর্শ নিতে আসছেন নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তারা। তাদের পরামর্শসহ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি।
তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা কামাল মাহমুদ শিপন বলেন, নিরাঞ্জন দাদার তরমুজের ক্ষেত দেখে খুবই ভালো লাগছে। তার সঙ্গে অনেক কথা হলো এই তরমুজের বিষয়ে। খেয়ে দেখলাম খুব সুস্বাদু ও মিষ্টি। আগামী বছর দুই বিঘা জমিতে এই তরমুজ চাষ করবো আশা করি।
উপজেলার কাশিমপুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের দম্পতি আলেক বেগ ও কুলসুম বানু বলেন, আগে আমরা বাজার থেকে তরমুজ কিনে আনতাম। এখন দেখি গ্রীষ্মকালের তরমুজ বর্ষাকালে ধরেছে থোকায় থোকায়। অবাক করা বিষয়। খুব সুন্দর লাগছে দেখে। দুটি তরমুজ কিনলাম ৫০ টাকা কেজি দরে। দুটি তরমুজের ওজন ৮ কেজি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিষমুক্ত তরমুজ চাষ করতে মাচায় ও মালচিং পদ্ধতিতে উচ্চ ফলনশীল মার্সেলো জাতের তরমুজ চাষ করা হয়েছে জেলার ৪টি উপজেলায়। ভেতরে গাঢ় লাল রঙের এ তরমুজের স্বাদ খুব ভালো। কম খরচের পাশাপাশি বর্ষাকালে এই তরমুজ চাষ হওয়ায় কৃষকরা বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তাই কৃষকরা বর্ষাকালীন তরমুজ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। তাদের আরও উৎসাহ দিতে আমরা কাজ করছি। তাদের সার্বিক সহযোগিতা করছে কৃষি বিভাগ। সূত্র: বাসস
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দুদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে দেশীয় পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা করে। সরবরাহের এমন ধারা অব্যাহত থাকলে ও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ বাড়লে দাম আরো কমবে বলে দাবি বিক্রেতাদের। এদিকে পেঁয়াজের দাম কমায় খুশি নিম্ন আয়ের মানুষ।
সরেজমিন হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতিটি দোকানেই আগের তুলনায় দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। সেই সঙ্গে দাম পূর্বের তুলনায় কমতির দিকে রয়েছে। দুদিন পূর্বে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে আগের তুলনায় ক্রেতা সমাগম বেশি, এছাড়া ক্রেতারা পরিমাণে বেশিও কিনছেন।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা হায়দায় আলী বলেন, গত কয়েকদিন ধরে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে। ৫০ টাকা কেজির পেঁয়াজ দাম বাড়তে বাড়তে ৭৫ টাকা কেজিতে উঠে যায়। পেঁয়াজ খুবই জরুরি নিত্যপ্রয়োজনীয় হওয়ায় বাধ্য হয়ে এক কেজির জায়গায় হাফ কেজি কিনছিলাম। তবে দুদিন ধরে পেঁয়াজের দাম কিছুটা নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে, বর্তমানে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় নেমেছে। হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আবুল হাসনাত বলেন, বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ থাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই দাম স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু বর্তমানে মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমতে শুরু করেছে। এতে মোকামে প্রতিদিনই পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। আর তাই বাজারেও পণ্যটির দাম বাড়ছিল। দাম নিয়ন্ত্রণে সম্প্রতি সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিতে শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার সোনা মসজিদ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। রোববার থেকে হিলিসহ দেশের অন্যান্য বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে। এমন খবরে মোকামে যারা দেশীয় পেয়াজ মজুদ করছিল তারা সেসব পেঁয়াজ বাজারে ছাড়তে শুরু করেছে। এতে সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। দু'দিন আগেও যেখানে মোকামে প্রতি মণ পেঁয়াজ আমাদের কিনতে হয়েছিল ৩ হাজার ২শ টাকা সেটি এখন কমে ২ হাজার ২শ টাকা হয়েছে। আমদানির খবরেই পেঁয়াজের দাম মণপ্রতি ১ হাজার টাকা করে। কমে গেছে। কম দামে কিনতে পারায় আমরাও এখন কম দামে বাজারে বিক্রি করতে পারছি।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুরের সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন বলেন, কেউ যাতে কোনো পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে দাম বাড়াতে না পারেন সেজন্য আমরা নিয়মিতভাবে বাজারগুলোয় অভিযান পরিচালনা করছি। তারা কী দামে পণ্য কিনছেন কী দামে বিক্রি করছেন সে সম্পর্কিত তথ্য যাচাইবাছাই করছি। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে।
দেশে প্রতিদিন প্রায় ছয় কোটি ডিম উৎপাদন হলেও তা দিয়ে চাহিদা পূরণ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
পুষ্টি নিরাপত্তা প্রসঙ্গে এই উপদেষ্টা বলেন, ‘বর্তমানে দেশে মাথাপিছু গড় মাংস খেতে পারে মাত্র ২০০ গ্রাম। এখনো বহু পরিবার আছে যারা সপ্তাহে বা মাসে একদিন মাংস খায়।”
গতকাল শনিবার সকালে ঢাকা সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুলে নবনির্মিত ছয় তলা একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন ও এসএসসি-২০২৫ সালের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রে
বাংলাদেশ তুলনামূলক ভালো অবস্থানে আছে। মাছ, মাংস, দুধ, ডিম আমাদের পুষ্টির উৎস। তাই শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি পুষ্টির দিকটিও বিবেচনায় রাখতে হবে।'
তিনি বলেন, ‘চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বহু তরুণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ শহীদ হয়েছেন। অনেকে হাত-পা-চোখ হারিয়ে আজীবন পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাদের ত্যাগকে স্মরণ রেখে এমন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে, যেখানে মানুষের অধিকার কখনো ক্ষুণ্ণ হবে না।'
তিনি বলেন, “বেগম রোকেয়া মুসলিম মেয়েদের জন্য স্বাধীন পরিবেশ দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন, সেখানে পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালিত হতো। কেবল বই পড়া দিয়ে সবকিছু জানা সম্ভব নয়, কারণ ইতিহাস বারবার বিকৃত হয়েছে। তাই শিক্ষকদের দায়িত্ব হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের প্রকৃত শিক্ষা দিয়ে দেশ ও জাতি সম্পর্কে সচেতন করে তোলা।”
নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, 'স্কুলের ভেতরে ও বাইরে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের দায়িত্ব নিতে হবে। ইভটিজিংয়ের কারণে মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে—নতুন বাংলাদেশে এটা হতে দেওয়া যাবে না।
পরিবেশ সুরক্ষায় শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'সপ্তাহে অন্তত একদিন স্কুল ও এলাকায় পরিবেশ রক্ষায় কার্যক্রম চালাতে হবে। পাশাপাশি পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে। কারণ এগুলো মানব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।'
নারী শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে ওঠার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'নারী নির্যাতন আইন সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে শিক্ষক, অভিভাবক ও সমাজকে একসঙ্গে সচেতন হতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে আংশিকভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরুর হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিকী।
রবিবার দুপুরে কক্সবাজার বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান তিনি।
চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিকী বলেন, 'আমরা আজকে বিমানবন্দরের দ্বিতীয় টার্মিনাল ও সাগরের বুকে নির্মিত হওয়া রানওয়ের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছি। তাতে মনে হয়েছে আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে আংশিকভাবে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, 'কত শতাংশ কাজ শেষে তা বলা না গেলেও তবে মাঝামাঝি সময়ে শুরু করা সম্ভব। যার জন্য আমাদের প্রস্তুতি শেষের পথে।
পরিদর্শনকালে কক্সবাজার বিমানবন্দরের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ ইউনূছ ভুঁইয়া, বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মোর্তজা হাসানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের ঘরে এবার বাজতে যাচ্ছে বিয়ের শানাই। তবে বোন সারা টেন্ডুলকার নয়, প্রথমেই আংটি বদল করলেন ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকার। ২৫ বছর বয়সেই বাগদান সম্পন্ন করেছেন তিনি। পাত্রী ভেটেরিনারি চিকিৎসক সানিয়া চান্দোক।
গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, পারিবারিকভাবে সম্পন্ন হওয়া এই বাগদান অনুষ্ঠানে দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনরা উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই অর্জুন-সানিয়ার সম্পর্ক ছিল। এর আগে একাধিকবার অর্জুনের ম্যাচে দেখা গেছে সানিয়াকে। সারার সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব রয়েছে।
সানিয়া চান্দোক ভারতের খ্যাতনামা ব্যবসায়ী রবি ঘাইয়ের নাতনি। তাদের হোটেল ও আইসক্রিম ব্যবসা রয়েছে। পশু চিকিৎসক হওয়ার পাশাপাশি সানিয়া একজন উদ্যোক্তাও। তার নিজস্ব পোষা প্রাণীর স্কিন কেয়ার ও স্পা সেন্টার পরিচালনা করেন তিনি। বয়সে তিনি অর্জুনের চেয়ে এক বছরের বড়।
অর্জুন অবশ্য বাবার মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাম করতে পারেননি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি নিয়মিত খেলছেন গোয়ার হয়ে। ২০২৩ সালে আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে অভিষেক হয় বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের। এখনও পর্যন্ত আইপিএলে তিনি খেলেছেন ৫ ম্যাচে নিয়েছেন ৩ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৭ ম্যাচে সংগ্রহ করেছেন ৫৩২ রান ও নিয়েছেন ৩৭ উইকেট। ঘরোয়া ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ম্যাচ সংখ্যা ৪২।
আইপিএল থেকে অর্জুনের আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বর্তমানে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছ থেকে তিনি বছরে ৩০ লাখ টাকা পান। ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে আসে আরও প্রায় ১০ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে বছরে প্রায় ৪০ লাখ টাকার মতো আয় করেন তিনি।
তবে পারিবারিক সূত্রেই অর্জুনের সম্পদ এখন প্রায় ২২ কোটি টাকা। বর্তমানে তিনি থাকেন মুম্বাইয়ের সেই বাড়িতে, যেটি ২০০৭ সালে শচীন কিনেছিলেন প্রায় ৩৯ কোটি টাকায়। ছোটবেলা থেকেই বিলাসবহুল পরিবেশে বেড়ে ওঠা অর্জুনের জীবনযাত্রা তাই নিজের আয়ের সঙ্গে তুলনামূলক নয় বলেই মনে করছে গণমাধ্যম।
মন্তব্য