প্রথম পর্যায়ের প্রকল্প চলেছে পাঁচ বছর। একই ধরনের আরও প্রকল্প চলমান। আগেও প্রচুর কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তারপরও নদীর তীর সংরক্ষণের অভিজ্ঞতা বাড়াতে বিদেশ সফরের জন্য পৌনে ৬ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নতুন একটি প্রকল্পে।
পরিকল্পনা কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, পাউবো নদীতীর সংরক্ষণ ও নদী খননের প্রায় দুই ডজন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তাই তাদের পুরোনো একটি প্রকল্পের নতুন মেয়াদের জন্য অভিজ্ঞতা নিতে বিদেশ সফর হাস্যকর।
পাউবো বলছে, দেশে প্রতি বছর প্রায় সোয়া দুই হাজার হেক্টর এলাকা ভাঙনের কবলে পড়ে। এর বড় অংশ রয়েছে প্রধান দুই নদী পদ্মা ও যমুনার দুই তীরে। খরস্রোতা ও ভাঙনপ্রবণ এই দুই নদীর তীর সংরক্ষণে চলমান কার্যক্রম শেষ হচ্ছে আগামী জুলাই মাসে।
গত এক দশকে নানা কার্যক্রমে ভাঙনের হার তিন ভাগে নেমেছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এ অবস্থায় দ্বিতীয় পর্যায়ের আবারও প্রকল্প নেয়া হচ্ছে।
তবে পাউবোর এ চাওয়ায় বাদ সেধেছে পরিকল্পনা কমিশন। পাউবোর পাঠানো প্রস্তাব দেখে প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশ সফরে আপত্তি তুলেছে তারা। তা ছাড়া প্রকল্পের জন্য বিলাসবহুল গাড়ি কিনতে ৫ কোটি টাকা চাওয়া নিয়েও তোলা হয়েছে প্রশ্ন। এ ছাড়া দেশের মধ্যে প্রশিক্ষণে বিশাল ব্যয়, নদীতীর সংরক্ষণে বাড়তি ব্যয়, প্রয়োজনের তুলনায় বেশি গাড়িসহ নানা বিষয়ে আপত্তি তুলেছে কমিশন।
সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় বেশ কিছু খাতের ব্যয়ে কাটছাঁট করারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পরিকল্পনা কমিশন বলছে, পিইসির সভায় ‘ফ্লাড অ্যান্ড রিভারব্যাংক ইরোশন রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম-২’ শীর্ষক এ প্রকল্পের পৌনে দুই হাজার কোটি টাকার প্রাক্কলিত ব্যয় থেকে বেশ বড় অঙ্কের অর্থ কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে বিদেশ সফরসহ বেশ কিছু খাতের ব্যয় বাতিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্তও হয়।
পরিকল্পনা কমিশন বলছে, করোনাকালীন সরকারের ব্যয় সাশ্রয়ের কথা মাথায় রেখে বিদেশ সফরে নিরুৎসাহ দেয়া হচ্ছে। সরকার বিভিন্ন সময় এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে। এমনকি প্রকল্পে বা সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ি কেনার বিষয়েও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে।
করোনা মহামারির মধ্যে বেশির ভাগ প্রকল্পে বিদেশে প্রশিক্ষণের বিষয়টি বাতিল করে পরিকল্পনা কমিশন। এ ক্ষেত্রে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের পূর্বের অভিজ্ঞতা আছে, সেগুলোতেও বিদেশ সফর প্রায় শতভাগ বাদ দেয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও মন্ত্রণালয়গুলো থেকে তবুও কোনো না কোনো অজুহাতে বিদেশ সফরের জন্য অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব আসছে।
এর আগে পুকুর খননে বিদেশ সফর, খাল খননে বিদেশ সফর, নদী খননে বিদেশ সফরের প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে আপত্তি ও সমালোচনার মুখে সেসব প্রকল্পে বিদেশ সফর বাদ দেয়া হয়।
সম্প্রতি স্কুল ফিড প্রকল্পেও (খিচুড়ি রান্না) বিদেশ সফর নিয়ে সমালোচনা হলে বিদেশ সফর বাদ দিয়ে প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য তোলা হয়। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সাম্প্রতিক সভায় প্রকল্পটিই বাতিল করা হয়।
নদীর তীর সংরক্ষণের প্রকল্পটির প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে কৃচ্ছ্রসাধনের নির্দেশনা থাকলেও প্রকল্পের আওতায় বিদেশ সফর বা বৈদেশিক প্রশিক্ষণ বাবদ ৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। একই ধরনের কাজ দেশে প্রচুর হলেও স্থানীয় প্রশিক্ষণ বাবদও এ প্রকল্পে ১ কোটি ২ লাখ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। চারটি জিপ (এসইউভি) ও চারটি পিকআপ কিনতেও ৫ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।
অর্থনীতিবিদ ও ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে সাধারণ একটা প্রবণতা রয়েছে যে প্রকল্পে বিদেশ সফর থাকতেই হবে। দেখা যায়, ধান কী করে লাগাতে হয়, তার জন্য বিদেশ সফর, পুকুর খননের জন্য বিদেশ সফর করতে হবে। পরিকল্পনা কমিশনের দায়িত্ব এটা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা, এসব অপ্রয়োজনীয় খাত বাদ দেয়া।
‘অনেক সময় দেখা যায়, লাইন মিনিস্ট্রি প্রকল্পের মূল কাজ বাদ দিয়ে শুধু গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরের ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়। এমনকি ডোনারদেরও বলা হয়, এগুলো রাখতে হবে; না হলে প্রকল্প নেবই না। সব প্রকল্পে তারা এগুলো রাখবেই।’
পাউবোর প্রকল্পটির প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় ৩০ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। ব্যয় বাবদ ৬১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। এতে প্রতি মিটারে ব্যয় ২ লাখ টাকারও বেশি।
৭ দশমিক ৯০ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণে ৩৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা (মিটার ৪৬ হাজার ৭০০ টাকা) এবং ৩ কিলোমিটার বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ ৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বা মিটারপ্রতি ২৮ হাজার ৪৩৪ টাকা ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় দুটি জলস্রোত নিয়ন্ত্রণের জন্য স্লুইসগেট নির্মাণ বাবদ ২২ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ১২টি মৎস্য অভয়াশ্রম উন্নয়ন বাবদ ১৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা ও সাতটি বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ ছাউনি নির্মাণ বাবদ ১ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
এসব ব্যয়ের বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশন থেকে পিইসির সভায় বলা হয়, যেহেতু একই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ও প্রায় শেষ, তা ছাড়া একই ধরনের অনেক প্রকল্প দেশে বাস্তবায়ন হয়েছে, বাস্তবায়নাধীনও রয়েছে কয়েকটি, তাই নতুন করে বিদেশ প্রশিক্ষণ অযৌক্তিক। এ জন্য প্রকল্পের আওতায় বৈদেশিক প্রশিক্ষণে প্রায় ৬ কোটি টাকা বাদ দিতে হবে। দেশি প্রশিক্ষণের ব্যয়ও কমিয়ে অর্ধেকের নিচে নামাতে হবে। আবার গাড়ি কেনা, সরঞ্জাম কেনা, মাছের অভয়াশ্রম করাসহ অন্যান্য যেসব খাতে বেশি ব্যয় বলে মনে হচ্ছে, তাও যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাধারণ যে নদীর তীরে ভাঙন বেশি, তাতে অনেক গভীর থেকে প্রথমে জিও ব্যাগ ফেলে তার ওপর সিমেন্টের ব্লক ফেলতে হয়। ফলে খরচ বেশি হয়। কিন্তু এ প্রকল্পে কাজ অনেক কম। ভাঙনের হার বেশি না। ফলে প্রতি মিটার তীর নদী সংরক্ষণের ২ লাখ ৫ হাজার টাকা ব্যয়ের ভিত্তি ও যৌক্তিকতা নেই।
‘তা ছাড়া নদী সংরক্ষণ কাজের পর কী কী গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষা পাবে, তাও উল্লেখ করা হয়নি প্রস্তাবে। বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতের ব্যয় নিয়েও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তাতে সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে এসব খাতে ব্যয় কমাতে বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সভায় বিদেশ সফর সম্পূর্ণ বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চারটির পরিবর্তে একটি জিপগাড়ি কেনার জন্য বলা হয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় একটি সমীক্ষা করলেও একটি নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে এ প্রকল্পের সমীক্ষা করা প্রয়োজন। এতে প্রকৃত ব্যয় সম্পর্কে ধারণা করা যাবে।’
গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) নির্বাহী পরিচালক ও নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য মালিক ফিদা এ খান বলেন, ‘নদীর ধরন অনুসারে তীর সংরক্ষণের ব্যয় কম-বেশি হতে পারে। গভীর, খরস্রোতা ও অধিক ভাঙনপ্রবণ নদীতে তীর সংরক্ষণে ব্যয় বেশি হতে পারে।
‘আবার অন্য শাখা বা ছোট নদীতে কম হতেও পারে। তবে দেখতে হবে যমুনা ও পদ্মার কোন অংশ রক্ষার কথা বলা হয়েছে। ভাঙনের প্রবণতা কম হলেও ব্যয় প্রাক্কলনের চেয়ে কমও হতে পারে।’
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় বলছে, দেশে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা নদীর তীরবর্তী ভাঙন সবচেয়ে বেশি হয়। এ জন্য নদী তীরবর্তী মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় প্রকল্পটি নেয়া হচ্ছে। এতে প্রস্তাবিত ১ হাজার ৭৮১ কোটি টাকার মধ্যে ১ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
অনুদান হিসেবে ১০৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা দেবে নেদারল্যান্ডস সরকার। সরকারের নিজস্ব তহবিল (জিওবি) থেকে থাকবে ৩১৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আগামী চার বছরে রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের চার জেলার নয় উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এর আগে ২০১৪ সালে শুরু হওয়া প্রথম পর্যায়ের ‘ফ্লাড অ্যান্ড রিভারব্যাংক ইরোশন রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট’ প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ দিকে। নতুন প্রকল্প এলাকার মধ্যে রয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলার তিনটি উপজেলা শাহজাদপুর, বেলকুচি ও চৌহালী।
টাঙ্গাইল জেলার দুই উপজেলা হলো টাঙ্গাইল সদর ও নাগরপুর। মানিকগঞ্জ জেলার তিনটি উপজেলা হলো দৌলতপুর, হরিরামপুর ও শিবালয়। এ ছাড়া পাবনা জেলার বেড়া উপজেলা রয়েছে।
রাজধানীর খিলগাঁওয়ের গোড়ানে খেলতে গিয়ে একটি ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক শিশু নিহত হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে পাঁচ তলা ভবনটির ছাদ থেকে পড়ে নিহত হয় সে।
নিহত শিশুর নাম খাদিজা আক্তার (৫)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শিশুটির ফুফা মোহাম্মদ ইসহাক মিয়া (২০ বছর)।
খাদিজার বাবা মোহাম্মদ ফয়সাল আহমাদ জানান, দুপুরে পাঁচ তলার ছাদে খাদিজা খেলাধুলা করার সময় ছাদ থেকে নিচে পড়ে যায়। এ সময় খাদিজার ফুফা দৌড়ে ধরতে গেলে তিনিও নিচে পড়ে যান।
তিনি জানান, পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খাদিজা রাত সাড়ে ৮টার দিকে মারা যায় এবং ফারিয়ার ফুফাকে ভর্তি রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানা এলাকায়। খিলগাঁওয়ের গোড়ান নবাবীর মোড় বতর্মানে১৪৮ /১ রায়হান সাহেবের বাড়ির ভাড়াটিয়া আমরা।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মহম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, শিশুটির মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে খিলগাঁও থানার সাথে কথা হয়েছে।
তীব্র থেকে অতি তীব্র মাত্রায় পাবনা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। অসহনীয় দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত তিন-চার দিন তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও শুক্রবার চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
এদিন পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যা জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রবিবার (২১ এপ্রিল) ঈশ্বরদীতে প্রথমবার ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অতি তীব্র তাপদাহে পাবনার মানুষের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে কৃষক, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ইটভাটার শ্রমিকসহ দিনমজুরদের জন্য অসহ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়াও তীব্র গরমে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ সব বয়সের মানুষ।
গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন আশরাফ আলী নামের এক রিকশাচালক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার সুন্দরগঞ্জ-কুপতলা সড়কের ৭৫ নম্বর রেলগেট নামক এলাকায় এ ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে সাদেকুলকে কারাগারে পাঠানো হয়।
৫০ বছর বয়সী রিকশাচালক আশরাফ আলী সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের সাহার ভিটার গ্রামের মৃত ফয়জার রহমানের ছেলে। অন্যদিকে ছিনতাই ও হত্যায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলাম কুপতলা ইউনিয়নের রামপ্রসাদ গ্রামের বাসিন্দা।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদ রানা।
ওসি জানান, প্রতিদিনের মতোই বৃহস্পতিবার রাতে রিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আশরাফ আলী। তিনি কুপতলা এলাকার ৭৫ নম্বর রেলগেটে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সাদেকুল ইসলাম তার পথ রোধ করে ছুরি ধরে রিকশা এবং চাবি কেড়ে নিয়ে তাকে চলে যেতে বলেন। আশরাফ আলী এতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রথমে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত সাদেকুল আশরাফ আলীর পেটে ছুরিকাঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি বলেন, ‘এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ওই রাতেই অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে আটক করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে রিকশাটিও উদ্ধার করা হয়। পরে আজ (শুক্রবার) দুপুরে সাদেকুলকে একমাত্র আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।’
দেশের বিভিন্ন স্থানে যেভাবে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে। এর মধ্যে কোথাও কোথাও বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর, কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়োহাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
অধিদপ্তর বলছে, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
আবহাওয়ার সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। আগামী পাঁচ দিনেও আবহাওয়াও প্রায় একই থাকতে পারে।
শুক্রবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়া ২০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও বৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড রোহিঙ্গা ইস্যুতে এক সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ ও থাই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক থেকে বেরিয়ে ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি শুক্রবার এ কথা জানান। খবর বাসসের
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এক সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’
দুপুরে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গভর্নমেন্ট হাউজে উভয় নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত একান্ত বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব তথ্য জানান। সন্ধ্যায় ঢাকায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।
ড. হাছান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের মধ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমে তারা একান্তে কথা বলেন, এরপর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বহু বিষয়ে সবিস্তারে আলোচনা করেছেন।
থাইল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের যে ভ্রাতৃপ্রতিম ও বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক, সেটা আরও জোরদার, বহুমাত্রিক ও বিস্তৃত করার ব্যাপারে দুই প্রধানমন্ত্রী গভীর আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন, বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ সময় অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্ত বণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট স্বাক্ষরিত হয়।
দেশের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ব্যাংককে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই এবং থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. প্রাণপ্রী বাহিদ্ধা নুকারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বর্ণনা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ১০০টি ইকোনমিক জোন ও আইটি ভিলেজে থাই বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা চাইলে প্রয়োজনে বাংলাদেশে তাদের জন্য বিশেষ ইকোনমিক জোন করার কথাও বলেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত হয়ে আসা প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন। তাদের জন্য বাংলাদেশে যেসব সমস্যা উদ্ভূত হচ্ছে বৈঠকে সে বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলেও জানান ড. হাছান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডেও অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন, এখনো অনেকে আসছেন। থাইল্যান্ডও এই পালিয়ে আসা মানুষদের ভারে জর্জরিত। এই সমস্যা সমাধানে উভয় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের একসাথে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
এদিন গভর্নমেন্ট হাউজে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রদত্ত রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অফ অনার প্রদানকালে থাই প্রধানমন্ত্রী সাথে ছিলেন। শেখ হাসিনা তার সৌজন্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান। তিনি বৃহস্পতিবার ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী সেখানে দেওয়া ভাষণে সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান।
সফর শেষে প্রধানমন্ত্রীর আগামী ২৯ এপ্রিল দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার অগ্রণী ব্যাংকের কাশিনাথপুর শাখায় প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে শাখা ম্যানেজারসহ ৩ কর্মকর্তাকে আটকের পর কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আনোয়ার হোসেন সাগর। এদিন দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করে সাঁথিয়া থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের জিআরও এএসআই মাহবুবুর রহমান জানান, বিকেলে সাঁথিয়া থানা থেকে এনে তাদের আদালতে তোলা হয়। এ সময় কেউ তাদের জন্য জামিন আবেদন করেননি। ফলে আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আটককৃতরা হলেন- অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ব্যবস্থাপক (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) সুজানগর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা হারুন বিন সালাম, সিনিয়র অফিসার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার বাসিন্দা আবু জাফর এবং ক্যাশিয়ার বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত চক্রবর্তী।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী বিভাগীয় অফিস থেকে ৫ সদস্যবিশিষ্ট অডিট টিম কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসে। দিনভর অডিট করে তারা ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আর্থিক অনিয়ম পান। এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানায় ওই শাখার ম্যানেজার (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) হারুন বিন সালাম, ক্যাশ অফিসার সুব্রত চক্রবর্তী ও সিনিয়র অফিসার আবু জাফরকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দিলে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে তাদের তিনজনকে আটক করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অডিটে অনিয়ম ধরা পড়লে তাদের আটক করে সাঁথিয়া থানা পুলিশকে খবর দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আজ (শুক্রবার) দুপুরে জিডির ভিত্তিতে আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে দুদক আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি দেশ ও জনগণের উন্নয়নে আপনাদেরকে কাজ করতে হবে।
থাইল্যান্ড আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার অবস্থানকালীন আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। খবর বাসসের
প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক মো. নজরুল ইসলাম সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বঙ্গবন্ধু তার অনুপ্রেরণার উৎস উল্লেখ করে শেখ হাসিনা নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, জাতির পিতাকে অসময়ে হত্যা করা হলেও ‘তার আদর্শ আমাদের মধ্যে রয়ে গেছে এবং সে কারণেই আমি তার (বঙ্গবন্ধু) আদর্শ বাস্তবায়ন করতে কাজ করছি। বঙ্গবন্ধু দেশের গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন।
গত ১৫ বছরে দেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্ষমতায় থাকায় এ অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, অনেক বাংলাদেশি থাইল্যান্ডের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তবে তারা দ্বৈত নাগরিকত্ব বজায় রাখতে চান। এই দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে থাই সরকারের সাথে কথা বলবেন।
মন্তব্য