রন হক সিকদার নন, খেলাপি ঋণ থাকায় ন্যাশনাল ব্যাংক বা এনবিএলের পরিচালকের পদ হারিয়েছেন তার ভাই রিক হক সিকদার।
সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ব্যাংকটির প্রয়াত চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদারের ছেলে রন বাদ পড়েছেন ব্যাংকটির পরিচালকের পদ থেকে।
তবে রাতে তিনি ফোন করে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রন নন, এনবিএলের পরিচালকের পদ থেকে বাদ পড়েছেন রিক হক সিকদার।’
বাংলাদেশের প্রথম প্রজন্সের বেসরকারি ব্যাংক এনবিএল প্রায় এক দশক ধরে নিয়ন্ত্রণ করছে সিকদার পরিবার। চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে তিনি মারা যান। এরপর ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন জয়নুল হক সিকদারের স্ত্রী মনোয়ারা সিকদার।
এই দম্পতির সন্তান পারভীন হক সিকদার, রিক হক সিকদার ও রন হক সিকদার ব্যাংকটির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তবে এখন একটি পদ শূন্য হলো।
তবে রিকের খেলাপি ঋণ কত, এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে দুই জন পরিচালকের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। রিক হক সিকদারের বিষয়ে সিআইবি থেকে ছাড়পত্র পাওয়া যায়নি। এ কারণে পরিচালক পদে তার মেয়াদ বাড়ানো হয়নি।
বিষয়টি সুরাহার জন্য রিক হক সিকদারের ভাই ও ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক রন হক সিকদার সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ন্যাশনাল ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক নাইমুজ্জামান ভুঁইয়া ও সিকদার গ্রুপের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সৈয়দ কামরুল ইসলাম (মোহন)।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, রন হক সিকদারকে আশ্বাস দেয়া হয়েছে, ঋণ নিয়মিত হলেই রিক হক সিকদার পরিচালক পদ ফিরে পাবেন। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করত হবে।
২০২০ সালের ১২ অক্টোবর ন্যাশনাল ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় রিক হক সিকদার পদত্যাগ করে নতুন পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হন। তবে নতুন করে পরিচালক পদে থাকার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নেয়া হয়নি। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুমোদন নেয়ার জন্য ন্যাশনাল ব্যাংককে তাগাদা দেয়। ব্যাংকটি রিক হক সিকদারকে পরিচালক করার প্রস্তাব পাঠালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার ঋণের মান যাচাই করে। এতে বেরিয়ে আসে যে রিক হক সিকদার ঋণখেলাপি হয়ে পড়েছেন।
মূলত একটি কোম্পানি ঋণখেলাপি হয়ে পড়েছে, যার পরিচালক রিক হক সিকদার।
এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়ে দেয়, রিক হক সিকদারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ঋণখেলাপি থাকায় ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী ব্যাংকের পরিচালক পদে অনুমোদন দেয়ার সুযোগ নেই।
যে কারণে আলোচিত রন হক শিকদার
প্রায় এক দশক ধরে ন্যাশনাল ব্যাংক পরিচালনা করছে সিকদার পরিবার। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন জয়নুল হক সিকদার। চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে তিনি মারা যান। এরপর ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন জয়নুল হক সিকদারের স্ত্রী মনোয়ারা সিকদার।
ব্যাংকটির পরিচালক পদে আছেন এ দম্পতির সন্তান পারভীন হক সিকদার, রিক হক সিকদার ও রন হক সিকদার।
রিক হকের পরিচালক পদ হারানোর খবরে তার পক্ষে রন শিকদার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দেখা করতে গেলে আবার আলোচনায় আসেন তিনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনেক কর্মকর্তা মনে করেন, রন ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক পদ হারিয়েছেন। এ জন্য ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি গভর্নরের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন।
গণমাধ্যমেও ‘রন শিকদার পরিচালক পদ হারিয়েছেন’ এমন খবর প্রচারিত হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা জানান, রন নন, পরিচালক পদ হারিয়েছেন রিক শিকদার।
রন সিকদার একটি হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি। ২০২০ সালের ১৯ মে রন ও তার ভাই দিপু হক সিকদারের এই মামলা করে এক্সিম ব্যাংক।
এতে রন ও তার ভাই দিপু হক সিকদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া ও অতিরিক্ত এমডি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে একটি ঘরে বন্দি করে গুলি করে হত্যার হুমকি দেন। পরে সাদা কাগজে সই নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
তবে মামলা করার আগেই দুই ভাই দেশের বাইরে চলে যান। পলাতক অবস্থায় তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেয়ার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে বিচারক ভর্ৎসনাও করেন তার আইনজীবীদের।
দেশে ফিরে গ্রেপ্তার হওয়ার পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে জামিন পেয়ে পরদিন বাবার জানাজায় অংশ নেন রন।
পরে গত ১০ মার্চ জামিনের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়ানো হয়। সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ১১ এপ্রিল। সেদিন শুনানি শেষে তাকে স্থায়ী জামিন দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:তরুণদের কর্মসংস্থান, আত্মমর্যাদা এবং সামাজিক অন্তর্ভুক্তি অর্জনে কারিগরি প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নাই। তিনি বলেন, ইউসেপ বাংলাদেশের এই উদ্যোগ সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের জন্য একটি মাইলফলক। দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে তরুণদের শুধু কর্মসংস্থান নয় বরং মর্যাদা, অন্তর্ভুক্তি এবং জাতীয় অগ্রগতিতে সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তিনি আজ ঢাকায় মিরপুরে অবস্থিত ইউসেপ কমপ্লেক্সে ইউসেপ বাংলাদেশ জেন্ডার ডাইভার্স কমিউনিটি এবং জুলাই ২০২৪ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী যুবাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে একটি বিস্তৃত দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ইউসেপ বাংলাদেশের চেয়ারপার্সন ড. ওবায়দুর রবের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সাইদুর রহমান খান, ইউসেপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড.মো. আবদুল করিম। অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, সিভিল সোসাইটি প্রতিনিধি, ইউসেপ কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রশিক্ষণার্থী এবং সাংবাদিকগণ অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা বলেন, আমরা সাম্যের স্বপ্ন দেখি, গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখি। ৭১, ৯১, ২৪ এর আন্দোলনে বারবার যেখানে মানুষ স্বপ্নের কথা বলেছে কিন্তু স্বপ্ন আমরা পূরণ করতে পারিনি, আমরা গণতন্ত্র পাইনি। ২৪ এর আন্দোলন এই দেশের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। এখন সময় এসেছে নব-নির্মাণের। ৭১এর পরে আমরা যা পারিনি , ২৪ এর পরে তাই তাইই করতে হবে। ২৪ এর স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিতে চাই। এজন্য আপনাদের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, একটি দেশকে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে সেই দেশের মানুষকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে আগে। সর্বোচ্চ উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় সে দেশের জনগোষ্ঠী এবং রাষ্ট্র মিলেই উন্নতির শিখরে পৌছাতে পেরেছে। আমাদের দেশের উন্নয়নে সকল জনগোষ্ঠী এবং রাষ্ট্র যদি একসাথে মিলেমিশে এগুতে পারি তাহলে আমরা শান্তিতে বসবাস করতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রান্তিক দুর্বল জনগোষ্ঠীর স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে। নারী নির্যাতন রোধেও আমার মন্ত্রণালয় কাজ করছে। বাস স্টপেজে, গণপরিবহণে নারী নির্যাতন রোধে তৃতীয় লিঙ্গের জেন্ডাররা যদি ড্রাইভিং শিখে বিশেষায়িত বাস ড্রাইভিং করতে পারে তাহলে গণপরিবহনে নারীদের উপর নির্যাতনের মাত্রা অনেকাংশে কমে আসবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উপদেষ্টা বলেন, হিংসাত্মক মনোভাব নয়, ভালোবাসার দিক দিয়ে যদি এদেশ ও মানুষকে দেখি তাহলে দেশের উন্নয়ন অবশ্যম্ভাবী।
উপদেষ্টা ইউসেপ কমপ্লেক্সে পরিচালিত কেয়ারগিভিং, জাপানি ভাষা এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স পরিদর্শন করেন এবং ইউসেপ বাংলাদেশের উইমেন্স কর্নারের উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন,এ কর্মসূচি শুধু প্রশিক্ষণেই সীমাবদ্ধ নয় বরং অংশগ্রহণকারীদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থানের পথ উন্মুক্ত করবে।
কুমিল্লার বুড়িচংস্থ আল-হেরা মডার্ণ একাডেমির দুই যুগ পূর্তি উৎসব উপলক্ষে মিলনমেলা, ইতিহাস- ঐতিহ্য কেন্দ্রীক নান্দনিক স্মরণিকা প্রকাশ, গুণীজন সম্মাননা, ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টার স্মৃতি বৃত্তি প্রদান ও পরলোকগত মুরব্বীদের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টা থেকে বুড়িচং মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান।
স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা, কোটা সংস্কারে রিটকারী সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল অদুদের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব বদরুল হাসান লিটন। প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের যুগ্ম সচিব সাইফুল হাসান রিপন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র নার্স ফাতেমা আক্তার ডলি ও মালয়েশিয়ায় উচ্চতর শিক্ষায় অধ্যয়ণরত শাহরিয়ার নাফিস সজীবের যৌথ সঞ্চালনায়
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তানভীর হোসেন, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের উপ সচিব মো. আবদুল কাদির, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র এসিসস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আজহারুল ইসলাম, বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মো. দেলোয়ার হোসেন, জগতপুর এডিএইচ সিনিয়র মাদ্রাসার সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা মো. ছফিউল্লাহ এবং বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল মিয়া আনোয়ার মোর্শেদ।
ছাত্র প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিসিএস (কৃষি) কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন গালিব, বিসিএস (স্বাস্থ্য) ডা. নূর মোহাম্মদ সুমন, রহমত উল্লাহ সাকিব, ইঞ্জিনয়ার আল আকসার, তরিকুজ্জামান অন্তর, ছাত্র সমন্বয়ক জামিলুর রহমান তানিম, আবদুর রহমান রুমেল, ডা. একেএম আবদুল বাছেদ, ঢাকা মেডিকেলে কর্মরত ডাক্তার আল আমিন খান, মাকসুদা আক্তার মুন্নী, মাসুদুল ইসলাম, গোলাম সামদানি জুয়েল, ইঞ্জিনিয়ার নিগার সুলতানা নিপা, আবদুল জব্বার, মোমিনুল ইসলাম শাকিল, সোহেল আহমদ, ইঞ্জিনিয়ার ফোরকান আহমদ ও ইঞ্জিনিয়ার সাইদুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বুড়িচং উপজেলার প্রাচীন কিন্ডারগার্টেন স্কুলটির সর্বাঙ্গীণ সফলতা ও উন্নয়নে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেন, শিক্ষা হলো জীবনকে সুন্দর ও সাফল্যময় করার সিঁড়ি। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি যে এগিয়ে যাচ্ছে আজকের এই অনুষ্ঠানে বিসিএস ক্যাডার, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন পেশায় প্রতিষ্ঠিত প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দেখেই অনুধাবন করা যায়। তিনি বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া জনপদকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করা অনন্য ব্যক্তিত্ব ও চারবারের সাবেক এমপি অধ্যাপক মো. ইউনূস ও গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম স্যারের প্রিয় শিক্ষক ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টারসহ গুনী শিক্ষকদের নাম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি জুলাই আন্দোলনে শহীদদের আকাঙ্খা পূরণে একযোগে দেশের তরে কাজ করবার জন্য তরুণ সমাজের প্রতি আহবান জানান।
স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সাংবাদিক আবদুল অদুদ বলেন, আমার জীবনের দীর্ঘ সময় এবং অনেক অর্থ এই প্রতিষ্ঠানটির জন্য ব্যয় করেছি। এই প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে আজ তার ছাত্ররা দেশের ভালো জায়গায় প্রতিষ্ঠিত বলে তিনি গর্বিতবোধ করেন। তিনি স্কুলের সার্বিক উন্নয়নে ডাকসুর সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক মরহুম অধ্যাপক মো. ইউনূস ও সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মাদ মাকসুদুর রহমানের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি ২৭ জন বিসিএস ক্যাডার, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও সেনা কর্মকর্তাসহ কৃতি শিক্ষার্থী ও ১৪জন গুনী শিক্ষককে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে হেরার জ্যোতি নামে একটি মনোমুগ্ধকর স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয় এবং সাবেক এমপি অধ্যাপক মো. ইউনূস ও ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টার, মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহ আলম, মোখলেছুর রহমান লিল মিয়া সর্দার ও আবদুল খালেক মাস্টারসহ স্কুলের সাথে সম্পৃক্ত পরলোকগত উপদেষ্টা ও শিক্ষকদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। শেষে বিসিএস ক্যাডার (কৃষি) সাখাওয়াত হোসেন গালিবকে সভাপতি ও ইঞ্জিনিয়ার সাইদুল ইসলাম মিঠুকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট আল-হেরা মডার্ণ একাডেমি এলামনাই এসোসিয়েশনের কমিটি গঠিত হয় এবং কেক কেটে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আবদুল অদুদের ৫০তম জন্মদিন পালন করে তার শিক্ষার্থীরা।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে উত্তেজিত জনতা গণধোলাই দিয়েছে বলে জানা গেছে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে বৈরাগীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বেশ কিছু দিন যাবৎ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ১০-১২ জন ছাত্রীকে ক্লাস চলাকালে ডেকে কাছে বসিয়ে শিক্ষক কামাল হোসেন তাদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন এবং অশালীন আচরণ করেন। এ সময় তিনি ছাত্রীদের তাদের ‘হিজাব’ খুলে আসতেও বলেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
ঘটনার পর ছাত্রীরা বিষয়টি পরিবারের কাছে জানালে অভিভাবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং সোমবার সকাল ১০টার দিকে শিক্ষক কামাল হোসেন বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে স্থানীয়রা তাকে ঘিরে ধরে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সংবাদ পেয়ে মরিচা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় বিএনপি সভাপতি সাইদুর রহমান বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষককে অফিস কক্ষ থেকে বের করে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা কামাল হোসেনকে ঘিরে ফেলে এবং তাকে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে গণধোলাই দেয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শিক্ষক কামাল হোসেন দৌড়ে পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে বৈরাগীর চর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন বলেন, পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে এলাকার কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ তুলে হামলা করেছে। তবে এই ঘটনাটি নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানসহ এলাকাবাসী বসে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানে করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাক আহমেদ বলেন, ঘটনাটি আমরা শুনেছি এবং ইতোমধ্যে আমাদের কয়েকজন অফিসার ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত শেষে যদি দোষ প্রমাণিত হয়, তবে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলায়মান শেখ বলেন, ফোনে আমি এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। খবর পাওয়ার পরই আমাদের থানার একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়োন্ত্রণে আনে। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। অভিভাবক ও স্থানীয়রা দ্রুত বিচার ও অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
কুমিল্লা নগরের ভাড়া বাসা থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ও তার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ বলছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
সোমবার সকাল সাতটার দিকে নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কালিয়াজুরী এলাকার একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার ভাড়া বাসা থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত রোববার রাত পৌনে ১১টার দিকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি টের পান নিহতের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহিনুল ইসলাম।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন, কুমিল্লা নগরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগর এলাকার প্রয়াত নুরুল ইসলামের স্ত্রী তাহমিনা বেগম (৫২) ও তার মেয়ে সুমাইয়া আফরিন (২৩)।
নিহত সুমাইয়া আফরিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে পড়তেন। প্রায় চার বছর ধরে কালিয়াজুরী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তাঁরা। তাহমিনা বেগম দুই ছেলে ও এক মেয়ের জননী।
নিহতের বড় ছেলে আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম (ফয়সাল) বলেন, ‘রোববার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে বাসায় এসে দেখি দরজা খোলা। একটি টুল দিয়ে দরজা মিলিয়ে রাখা হয়েছে। ভেতরে প্রবেশ করে দেখি লাইট বন্ধ। লাইট অন করতেই দেখি বোনের কক্ষে তার নিথর দেহ পড়ে আছে আর মায়ের কক্ষে মায়ের নিথর দেহ। আমরা জানি না কে বা কারা আমার মা ও বোনকে হত্যা করেছে। আমি সঠিক তদন্ত এবং খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমাদের তেমন কোনো শত্রু ছিল না। কারা এভাবে আমাদেরকে নিঃস্ব করল জানি না।’
পুলিশ জানায়, রাতে নিহত সুমাইয়ার বড় ভাই জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। আজ সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তবে কীভাবে তাদের হত্যা করা হয়েছে সেটি নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। অবস্থা দেখে ধারণা করা হচ্ছে তাদের শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। আমরা পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি। নিহত ব্যক্তিদের বাসায় তেমন কিছু খোয়া যায়নি।’
ওসি আরও বলেন, ‘নিহত ব্যক্তিদের শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। মেয়েটির গলায় একটি দাগ দেখা গেছে। আর মায়ের একটি চোখ রক্তাক্ত ছিল। যেই ভবনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, সেই ভবনের নিচতলায় একটি স্কুল ছিল। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি, সেটি বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে।’
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ মাহফুজ আলম বলেছেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন। এ ধরনের উদ্যোগ সাংবাদিকদের পেশাগত ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। সোমবার (৮ই সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে গ্রুপ বিমা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স পিএলসির সঙ্গে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রায় দুই হাজার সদস্যের মধ্যে বিমা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে শুধু সরকারি উদ্যোগই যথেষ্ট নয়, বেসরকারি খাতকেও এ বিষয়ে ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বিমা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও সাংবাদিকদের কল্যাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সাংবাদিকদের কল্যাণে সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে প্রতি তিন মাস পরপর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাংবাদিককে কল্যাণ অনুদান প্রদান করা হচ্ছে। গত অর্থবছরে সাংবাদিকদের মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। উপদেষ্টা জানান, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মপরিধি বাড়ানো হয়েছে।
মাহফুজ আলম বলেন, সাংবাদিকদের সুরক্ষা-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের খসড়া লেজিসলেটিভ বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নেও সরকার কাজ করছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, এই গণঅভ্যুত্থানে যাঁরা ত্যাগস্বীকার করেছেন, তাঁদের লড়াইয়ের গল্প জনগণের নিকট তুলে ধরতে হবে। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের অবদান গণমাধ্যমে প্রচার করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সাঈদ আহমেদ, ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজিম উদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।
ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক দৈনিক বাংলার চতুর্থতম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, প্রশাসন, পেশাজীবী সংগঠন থেকে শুরু করে সাংবাদিক কে ছিলোনা এই অনুষ্ঠানে। জমকালো এ অনুষ্ঠানটি যেনো মিলনমেলায় পরিণত হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে গ্রিন গার্ডেনে কেক কেটে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। পরে দৈনিক বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে বক্তারা আলোতপাত করেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। সাহসীকতার সাথে সৎ ও স্বচ্চ সাংবাদিকতা করার আহবান জানান তিনি। পাশাপাশি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করার জন্য উদাত্ত আহবান জানান তিনি। ঐতিহ্যবাহী পত্রিকা দৈনিক বাংলার কথা বলতে গিয়ে তিনি আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, ছোটকালে যখন বাসায় পত্রিকা রাখতেন, তখন বাবাকে দেখতাম দৈনিক বাংলা পত্রিকা রাখতে। ছাত্র জীবনেও বিভিন্ন জায়গায় দৈনিক বাংলা দেখতাম। দৈনিক বাংলা ছিল একটা ব্র্যান্ড। দৈনিক বাংলার নামে এখনো ঢাকায় একটি জায়গার নাম রয়েছে।
তিনি বলেন, দৈনিক বাংলা একটি জাতীয় দৈনিক এবং এই পত্রিকার নিউজের গুরুত্ব অনেক বেশি। তাই আবেগের বসে কোন নিউজ না করে সত্য উদঘাটনমূলক নিউজ করার জন্য জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ আহবান জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দৈনিক বাংলা পত্রিকার সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি মো. লতিফ আহমেদ আকাশ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য অকিলউদ্দিন ভুইয়া, মো. কবির হোসেন, নুরহোসেন, বাবুল হোসেন, ব্যবসায়ি মোহাম্মদ আলী, মো. রুবেল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ফারহান, সম্রাট আকবরসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের প্রতিনিধিরা।
বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন থেকে একটা সংসদীয় আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রতিবাদে সকাল থেকে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বাগেরহাটের ১৬টি দূরপাল্লার রুট সহ আন্তজেলা কোনো রুটে কোনো পরিবহন ছেড়ে যায়নি। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। এদিকে জরুরি প্রয়োজনে যারা পথে নেমেছেন তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। হরতাল চলাকালে জেলা ও উপজেলার সব নির্বাচন অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। সড়ক মহাসড়কে যানবাহন না চলায় সড়ক পথে মংলা বন্দরের মালা মালামাল নেওয়ার কাজ বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ব্যাংক বীমা ও সরকারি অফিসের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। থেকে থেকে বিক্ষিপ্ত জনতা সড়কে নেমে এসে পিকেটিং করছে।
সকাল সাতটার পর শহরের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, দশানী মোড়, খান জাহান আলী (রহ.) মাজার মোড়, মুনিগঞ্জ সেতু ও দড়াটানা টোল প্লাজা,মোংলা বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, দূরপাল্লার বাস চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ। তবে শহরে সীমিত আকারে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক, রিকশা ও ভ্যান চলতে দেখা গেছে। একই অবস্থা চলছে জেলা নয়টি উপজেলা সহ সমুদ্র বন্দর মোংলা এলাকায় এতে করে সারা দেশের সঙ্গে বাগেরহাট ও মংলা বন্দরের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।
হরতালের কারণে শহরের অধিকাংশ দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও জজ আদালতসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এ রিপোর্ট পাঠানো পর্যন্ত জেলার কোথাও অপ্রিতিকর ঘটনা বা ভাঙচুরের খবর পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য