× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
রেমিট্যান্সে ভর করে রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ছুঁই ছুঁই
google_news print-icon

রেমিট্যান্সে ভর করে রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ছুঁই ছুঁই

রেমিট্যান্সে-ভর-করে-রিজার্ভ-৪৬-বিলিয়ন-ছুঁই-ছুঁই
রোববার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। চলতি জুন মাসের ২৪ দিনেই ১৫৮ কোটি ৭৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে।

অর্থবছরের শেষ মাস জুনেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের উল্লম্ফন অব্যাহত রয়েছে। এই মাসের ২৪ দিনে ১৫৯ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

অর্থবছরের শেষ ছয় দিনে ৫৭ কোটি ৫৪ লাখ ডলার আসলেই বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক ২৫ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করবে।

আর এর উপর ভর করে বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলকও ছুঁতে চলেছে এই অর্থবছরেই।

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বেড়েই চলেছে। প্রতি মাসেই বেশি বেশি অর্থ দেশে পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা।

বাংলাদেশ ব্যাংক রোববার সাপ্তাহিক যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, চলতি জুন মাসের ২৪ দিনেই (১ থেকে ২৪ জুন) ১৫৮ কোটি ৭৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে।

আর সব মিলিয়ে ৩০ জুন শেষ হতে যাওয়া ২০২০-২১ অর্থবছরের ১১ মাস ২৪ দিনে (২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ২৪ জুন) ২ হাজার ৪৪২ কোটি ৪৬ লাখ (২৪.৪২ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

দেশের ইতিহাসে এর আগে এক বছর বা অর্থবছরে এত বেশি রেমিট্যান্স আসেনি। অর্থবছর শেষ হতে আর ৬ দিন বাকি। এই ৬ দিনে যদি ৫৭ কোটি ৫৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে, তাহলেই এবার ২৫ বিলিয়ন (২ হাজার ৫০০ কোটি) ডলারের বেশি আসবে।

এমন প্রত্যাশা কিছু দিন ধরেই জানিয়ে আসছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। মাসখানেক আগে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এবার রেমিট্যান্সের অঙ্ক ২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।’

রোববার তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, ‘দেখবেন, আমি যা বলেছিলাম তাই হবে; সত্যিই এবার ২৫ বিলিয়ন ডলার পাব আমরা। এই ৬ দিনে রেমিট্যান্সপ্রবাহ আরও বাড়বে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে বেশি রেমিট্যান্স পাঠাতে শুরু করেছেন প্রবাসীরা। তার প্রভাব মাস শেষে দেখা যাবে।’

রেমিট্যান্সে ভর করে রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ছুঁই ছুঁই

একই আশার কথা শোনান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সাধারণত দুই ঈদের আগে রেমিট্যান্স বেশি আসে। জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে কোরবানির ঈদ। কোরবানির গরু কেনাসহ ঈদের অন্য খরচের জন্য এই মাসের শেষের দিকে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

‘সে হিসাবে অনেকটা নিশ্চিত করেই বলা যায়, এবার রেমিট্যান্স ২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়াচ্ছে।’

গত মে মাসে ২১৭ কোটি ১১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। যা ছিল এক মাসের হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

এর আগে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে, যা ছিল এযাবৎকালে সবচেয়ে বেশি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) মোট ২ হাজার ২৮৩ কোটি ৭০ লাখ (২২.৮৩ বিলিয়ন) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৯ দশমিক ৫০ শতাংশ বেশি।

এই ১১ মাসে গত অর্থবছরের পুরো সময়ের (১২ মাস, জুলাই-জুন) চেয়ে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ হাজার ৮২০ কোটি ৫০ লাখ (১৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে, যা ছিল এক অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স।

গত বছরের মার্চে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্সপ্রবাহে ভাটা পড়ে। ওই মাসে ১০৯ কোটি ৩০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।

এই বছরের মার্চ মাসে ১৯১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা ছিল গত বছরের মার্চের চেয়ে ৫০ দশমিক ১৭ শতাংশ বেশি। ২০২০ সালের মার্চে ১২৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার এসেছিল।

মহামারির মধ্যেই অর্থবছরের প্রথম মাস গত বছরের জুলাইয়ে ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা এক মাসের হিসাবে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

মহামারির কারণে রেমিট্যান্স কমার আশঙ্কা করা হলেও বাস্তবে তা ঘটেনি। কোভিডের আঁচ বিশ্বের অর্থনীতিতে লাগার পর গত বছরের এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স কমলেও এরপর থেকে বাড়ছেই।

গত আগস্টে এসেছিল ১৯৬ কোটি ৩৪ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। সেপ্টেম্বরে আসে ২১৫ কোটি ১০ লাখ ডলার। অক্টোবরে এসেছিল ২১১ কোটি ২৪ লাখ ডলার। নভেম্বরে আসে ২০৭ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। ডিসেম্বরে আসে ২০৫ কোটি ডলার।

এ বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১৯৬ কোটি ২৬ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। তবে ফেব্রুয়ারি মাসে তা কমে ১৭৮ কোটি ডলারে নেমে আসে। মার্চ মাসে আসে ১৯১ কোটি ডলার। এপ্রিলে এসেছিল ২০৬ কোটি ৭৬ লাখ ডলার।

বিশ্বব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছিল, কোভিড-১৯ মহামারির ধাক্কায় ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ার রেমিট্যান্স ২২ শতাংশ কমবে। বাংলাদেশে কমবে ২০ শতাংশ। তবে দেখা গেছে, পাশের দেশ ভারতে ৩২ শতাংশ হ্রাস পেলেও বাংলাদেশে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বিভিন্ন দেশে থাকা সোয়া কোটি বাংলাদেশির পাঠানো এই অর্থ। দেশের জিডিপিতে সব মিলিয়ে রেমিট্যান্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো।

রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়াতে গত অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটেও এই প্রণোদনা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ভর করে বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েই চলেছে। রোববার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার।

গত ২৮ এপ্রিল অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল। তবে ৪ মে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে।

এক মাসেরও কম সময়ে ১ জুন তা ফের ৪৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। গত তিন সপ্তাহে তা আরও বেড়ে ৪৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

এই অর্থবছরেই অর্থাৎ জুন মাসের মধ্যেই রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করবে বলে আশা করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন:
২৪ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছাড়াল রেমিট্যান্স
২৫ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছুঁতে চলেছে রেমিট্যান্স
যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্সে চমক
১১ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩৯.৫%, রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন ডলার
রেমিট্যান্স প্রক্রিয়া আরও সহজ করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
6 workers killed 8 injured as dump truck fell into ditch in Saje

সাজেকে ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে ৬ শ্রমিক নিহত, আহত ৮

সাজেকে ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে ৬ শ্রমিক নিহত, আহত ৮ খাদে পড়ে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ট্রাক। ছবি: নিউজবাংলা
সাজেকের উদয়পুর সীমান্ত সড়কের ৯০ ডিগ্রি এলাকায় বুধবার বিকেলে শ্রমিকবাহী ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে এই প্রাণহানি ঘটেছে। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন।

পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় ছয়জনের প্রাণহানি ঘটেছে। সাজেকের উদয়পুর সীমান্ত সড়কের ৯০ ডিগ্রি এলাকায় বুধবার বিকেলে শ্রমিকবাহী ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে এই প্রাণহানি ঘটেছে। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন।

পাহাড়ি সড়ক ধরে ছুটে চলার পথে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। আর এর যাত্রী শ্রমিক সড়কের পাশের ঢালে ছিটকে পড়েন। কেউ কেউ ট্রাকের নিচে চাপা পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই ৬ শ্রমিক নিহত হন। আহত হন আরও আটজন।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেটি খুবই দুর্গম এলাকা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল ও পুলিশ ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
পঞ্চগড়ে ট্রাক-ট্রলি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪
কক্সবাজার-চট্টগ্রামে বিশেষ ট্রেনের ৩টি কোচ লাইনচ্যুত
মাদারীপুরে এক্সপ্রেসওয়েতে বাস উল্টে একজন নিহত, আহত ১০
নাটোরে ট্রাকচাপায় ছাত্রদল নেতা নিহত
কুমিল্লায় বাসচাপায় দুই নারী ও শিশু নিহত, আহত আরেক শিশু

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The new chairman of CDA is Mohammad Yunus

সিডিএ’র নতুন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ

সিডিএ’র নতুন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষের তিন বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছে বুধবার। একই দিন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে গিয়ে এই পদে যোগদান করেন আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ। আগামী তিন বছরের জন্য এই পদে তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

বুধবার চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮ এর ধারা-৭ অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার উপ-সচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ দেয়া হয়। বিকেলে তিনি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে গিয়ে এই পদে যোগদান করেন।

মোহাম্মদ ইউনুছ আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার সদস্য সচিব।

সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষের তিন বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছে বুধবার (২৪ এপ্রিল)। ২০১৯ সাল থেকে দুই মেয়াদে টানা পাঁচ বছর এই পদে ছিলেন তিনি।

২০০৯ সাল থেকে সরকারের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার এই পদে চুক্তিভিত্তিক রাজনৈতিক নিয়োগ দিয়ে আসছে সরকার। মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসনের সংসদ সদস্য আবদুচ ছালাম টানা ১০ বছর এই দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল নিয়োগ দেয়া হয় মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জহিরুল আলম দোভাষকে।

চিটাগাং ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অর্ডিন্যান্স ১৯৫৯ কে যুগোপযোগী করে ২৯ জুলাই ২০১৮ সালে নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়। সেই আইনের ৭ নম্বর ধারায় উল্লেখ রয়েছে- চেয়ারম্যান বা বোর্ড সদস্য হিসেবে কোনো ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি সময়ের জন্য নিয়োগলাভের জন্য বলে বিবেচিত হবেন না। জহিরুল আলম দোভাষ ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল প্রথম মেয়াদে দুই বছরের জন্য ও ২০২১ সালের ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় মেয়াদে তিন বছরের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হন।

সিডিএ’র উপ-সচিব অমল কান্তি গুহ বলেন, ‘দুপুরে প্রজ্ঞাপন হয়েছে। আমরা পেয়েছি। নিয়ম অনুযায়ী, নতুন চেয়ারম্যান মহোদয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে যোগদান করে এরপর সিডিএ কার্যালয়ে আসবেন।’

মোহাম্মদ ইউনুছ প্রয়াত রাজনীতিক এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ভাবশিষ্য হিসেবে পরিচিত। সত্তরের দশকে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা ইউনুছ বর্তমানে আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
UNICEF calls for extra caution for children in the wild

দাবদাহে শিশুদের প্রতি বাড়তি সতর্ক হওয়ার আহ্বান ইউনিসেফের

দাবদাহে শিশুদের প্রতি বাড়তি সতর্ক হওয়ার আহ্বান ইউনিসেফের ছবি: সংগৃহীত
ইউনিসেফের মতে, তাপমাত্রার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে, বিশেষ করে নবজাতক, শিশু এবং ছোট বাচ্চাদের জন্য যারা তাপজনিত অসুস্থতা যেমন হিট স্ট্রোক এবং ডিহাইড্রেশনের কারণে বিশেষভাবে ডায়রিয়া ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যা হিসেবে বিবেচিত হয়।

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ ও উত্তপ্ত তাপমাত্রার কারণে শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়ে ইউনিসেফ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট।

বুধবার ইয়েট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আপনার প্রতিবেশিদের দিকে নজর রাখুন- দুর্বল পরিবার, প্রতিবন্ধী শিশু, গর্ভবতী নারী এবং বৃদ্ধরা তাপপ্রবাহের সময় অসুস্থতা বা মৃত্যুর উচ্চ ঝুঁকিতে থাকে। সময় নিয়ে প্রতিবেশীদের খোঁজখবর নিন, বিশেষ করে যারা একা থাকেন।’

ইউনিসেফের ২০২১ সালের শিশুদের জলবায়ু ঝুঁকি সূচক (সিসিআরআই) অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ‘অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে বাংলাদেশের শিশুরা।

ইউনিসেফের মতে, তাপমাত্রার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে, বিশেষ করে নবজাতক, শিশু এবং ছোট বাচ্চাদের জন্য যারা তাপজনিত অসুস্থতা যেমন হিট স্ট্রোক এবং ডিহাইড্রেশনের কারণে বিশেষভাবে ডায়রিয়া ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যা হিসেবে বিবেচিত হয়।

ইয়েট বলেন, ‘যেহেতু শিশুদের ওপর ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার প্রভাবের উদ্বেগের কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে, তাই ইউনিসেফ অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের হাইড্রেটেড ও নিরাপদ রাখতে অতিরিক্ত সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।’

এই তাপপ্রবাহের তীব্রতা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়।

তাপমাত্রা নজিরহীনভাবে বাড়তে থাকায় অবশ্যই শিশু এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে জানান ইয়েট।

এই তাপপ্রবাহ থেকে ইউনিসেফ কর্মী, বাবা-মা, পরিবার, যত্নগ্রহণকারী এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে শিশু ও গর্ভবতী নারীদের রক্ষায় নিচের পদক্ষেপগুলো নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে-

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

  • শিশুরা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের বসার বা খেলার জন্য শীতল জায়গা তৈরি করুন।
  • গরমের দুপুর এবং বিকেলে বাইরে থাকা এড়িয়ে চলুন।
  • নিশ্চিত করুন যে শিশুরা হালকা, বাতাস প্রবেশ করে এমন পোশাক পরবে এবং সারা দিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবে।

প্রাথমিক চিকিৎসা

যদি কোনো শিশু বা গর্ভবতী নারীর হিটস্ট্রেসের লক্ষণগুলো দেখা যায়, যেমন- মাথা ঘোরা, অতিরিক্ত ঘাম, বমি বমি ভাব, হালকা জ্বর, নাক দিয়ে রক্তপাত, পেশি খিঁচুনি, ফুসকুড়ি ইত্যাদি; ওই ব্যক্তিকে ভালো বায়ু চলাচলসহ শীতল, ছায়াযুক্ত জায়গায় রাখুন এবং ভেজা তোয়ালে বা শীতল পানি দিয়ে শরীর মুছে দিন।

পানি বা ওরাল রিহাইড্রেশন লবণ (ওআরএস) গ্রহণ করুন।

হিটস্ট্রেসের গুরুতর লক্ষণগুলোতে (যেমন: বিভ্রান্তি বা প্রতিক্রিয়া জানাতে অক্ষমতা, অজ্ঞান হওয়া, শরীরের উচ্চ তাপমাত্রা, দ্রুত হৃদস্পন্দন, খিঁচুনি এবং চেতনা হ্রাস) হলে জরুরিভিত্তিতে হাসপাতালে নেয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Most of the houses in the Teknaf shelter project are being rented

টেকনাফে আশ্রয়ণের অধিকাংশ ঘরে চলছে ভাড়া-বাণিজ্য

টেকনাফে আশ্রয়ণের অধিকাংশ ঘরে চলছে ভাড়া-বাণিজ্য টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নে নয়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১০টি ঘরের সাতটিই বরাদ্দ পেয়েছেন সচ্ছল ব্যক্তিরা। ছবি: নিউজবাংলা
টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নে নয়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের এক বাসিন্দা জানান, এখানে ১০টি ঘরের মধ্যে মাত্র তিনটিতে অসচ্ছল উপকারভোগীরা বসবাস করেন। বাকি সাতটি ঘরে বরাদ্দপ্রাপ্তরা কেউ থাকেন না। কেউ কেউ নিজের নামে বরাদ্দ ঘর ভাড়া দিয়েছিল। বর্তমানে সাতটি ঘরে তালা ঝুললেও বরাদ্দপ্রাপ্তরা নতুন ভাড়াটে খুঁজছেন। দুটি ঘর ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে কক্সবাজারের টেকনাফে উপজেলার একটি পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়নের মোট ৫২৩ জন ভূমি ও গৃহহীনের মাঝে ঘর বিতরণ করা হয়। মাথা গোঁজার স্থায়ী একটি আবাসন পেয়ে নতুন জীবন শুরু করেন ভূমিহীন অসহায় মানুষ।

তবে এখানে ঘর বরাদ্দ পাওয়া অনেকেই ভূমিহীন নন। অভাবগ্রস্তও নন। দুর্নীতি ও প্রভাব খাটিয়ে ঘর বরাদ্দপ্রাপ্ত অনেকেই সচ্ছল। আশ্রয়ণের সেসব ঘর মাসিক ভিত্তিতে ভাড়া দিয়ে চলছে রমরমা বাণিজ্য।

আশ্রয়ণের ঘর বরাদ্দে অনিয়ম ও ভাড়া আদায়ের এমন একাধিক ঘটনা নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। বুধবার সরেজমিনে গিয়ে সেসব অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।

টেকনাফে আশ্রয়ণের অধিকাংশ ঘরে চলছে ভাড়া-বাণিজ্য
আশ্রয়ণ প্রকল্পে বরাদ্দ পাওয়া প্রভাবশালী সচ্ছলদের অধিকাংশ ঘর এখন তালাবদ্ধ। খোঁজা হচ্ছে ভাড়াটে। ছবি: নিউজবাংলা

টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নে নয়াপাড়ার শেষ মাথায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের তালিকায় ৫ নম্বর সিরিয়ালে রয়েছে নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. কামালের ঘর। ওই গ্রামেই তার নিজস্ব টিনশেড ঘর রয়েছে। তারপরও প্রভাব খাটিয়ে তিনি আশ্রয়ণের ঘর বরাদ্দ পেয়েছেন। কামালের নিজের ঘর থাকায় এখন আশ্রয়ণে বরাদ্দ পাওয়া ঘরে থাকেন আরেকজন।

আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের অভিযোগ, কামাল হোসেন নিজের নামে বরাদ্দ ঘরে কখনোই বসবাস করেননি। কামালসহ প্রভাবশালী সাতজন একটি করে ঘর বরাদ্দ নিয়ে ভাড়া দিয়েছেন। তাদের মধ্যে কামাল দুই লাখ টাকার বিনিময়ে ঘরটি বিক্রি করে দেন রাশেদা নামের এক নারীর কাছে। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে ওই নারীকে তিনি টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে জানান বাসিন্দারা।

নয়াপাড়ায় (পুরান পাড়া) আশ্রয়ণের ঘরে বসবাসকারী এক নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমাদের এখানে ১০টি ঘরের মধ্যে মাত্র তিনটিতে আমাদের মতো অসচ্ছল উপকারভোগী বসবাস করে। বাকি সাতটি ঘরে বরাদ্দপ্রাপ্তরা কেউ থাকেন না।

‘৫ নম্বর ঘর বিক্রি করলেও পরে টাকা ফেরত নিছে। আর ১ নম্বর ঘর সাইফুল ইসলাম ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেছিল। এখন সেই টাকা ফেরত দিছে কিনা তা জানি না। কেউ কেউ নিজের নামে বরাদ্দ ঘরটি দীর্ঘদিন তাদের আত্মীয়দের কাছে ভাড়া দিয়েছিল। বর্তমানে সেই সাতটি ঘরে তালা ঝুলিয়ে রাখলেও তারা নতুন ভাড়াটে খোঁজ করছেন।’

টেকনাফে আশ্রয়ণের অধিকাংশ ঘরে চলছে ভাড়া-বাণিজ্য
নয়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে দশটি ঘরের মধ্যে মাত্র তিনটি বরাদ্দ পেয়েছেন প্রকৃত ভূমিহীনরা। ছবি: নিউজবাংলা

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কামাল ও সাইফুল মোবাইল ফোনে বলেন, ‘ঘর আগে বিক্রি করেছিলাম। এখন আর ঘর বিক্রি করব না। ভাড়াও দেব না। অন্যদের পাঁচটি বাড়ি ভাড়া চলে। আমাদের ঘর তালাবদ্ধ করে রাখছি।’

বিষয়টি নিয়ে কোনো খবর প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন তারা।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, গৃহহীন ও ভূমিহীনদের তালিকা সঠিকভাবে করা হয়নি। তালিকা প্রস্তুতকারীরা প্রকৃত ভূমিহীনদের বদলে নিজেদের পছন্দের লোকের নাম দিয়েছেন। ফলে প্রকৃত অভাবীদের অনেকে আশ্রয়ণের ঘর থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সচ্ছল ব্যক্তিরা ঘর বরাদ্দ পেয়ে সেগুলো মাসিক ভিত্তিতে ভাড়া দিয়ে রাখছেন।

টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মুফিত কামাল ও ফেরুজা বেগম বলেন, প্রায় ৩০ বছর আগে সরকার গুচ্ছগ্রাম করে টিনের ঘর বানিয়ে বরাদ্দ দিয়েছিল। সেখানে প্রতিটি ঘরেই বরাদ্দপ্রাপ্ত অভাবী মানুষগুলো থাকে। বর্তমানে ওইসব ঘর জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। বৃষ্টি হলেই নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়।

‘পাশেই প্রধানমন্ত্রীর উপহারের পাকা ঘর রয়েছে। অথচ অনেকে বরাদ্দ পাওয়া ঘরে থাকছেন না। সবময় তালাবদ্ধ থাকে। আর যারা বসবাস করেন তাদের সিংহভাগই অন্যের বরাদ্দ পাওয়া ঘরে থাকেন। অনেকে উপহারের ঘর বিক্রি করে দিয়েছেন। আবার অনেকে ভাড়া দিয়েছেন।’

আশ্রয়ণ প্রকল্পের যেসব ঘর তালাবদ্ধ থাকে, সেগুলো গুচ্ছগ্রামে জরাজীর্ণ ঘরে থাকা বাসিন্দাদের মধ্যে বিতরণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।

স্থানীয় কলেজ পড়ুয়া ছাত্র মো. শাহ্ আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উপহারের সিংহভাগ ঘরে বরাদ্দপ্রাপ্তরা থাকেন না। শুধু সাবরাং নয়, টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে এই প্রকল্পের আওতায় যেসব ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সবখানেই এমন অনিয়মের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যাদের ঘরের প্রয়োজন নেই তারাই এসব ঘর বরাদ্দ নিয়েছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাদের কাছের লোক এবং আত্মীয়দের ঘর দিয়েছেন। তাই সিংহভাগ ঘর তালাবদ্ধ থাকছে।’

প্রশাসনের কাউকে কোনোদিন আশ্রয়ণ প্রকল্পে এসব ঘর তদারকি করতেও দেখেননি বলে উল্লেখ করেন তিনি। বরাদ্দ পাওয়া যেসব ঘরে প্রকৃত মালিকরা থাকেন না, সেগুলো ফেরত নিয়ে প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে বণ্টন করার দাবি জানান এই শিক্ষার্থী।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘর কেউ বিক্রি করে থাকলে এবং ভাড়া দিয়ে থাকলে যাচাই-বাছাই করে তাদের দেয়া ঘরের বরাদ্দ বাতিল করা হবে।’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিজের নামে বরাদ্দ পাওয়া ঘর ভাড়া দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। এসব বিষয়ে আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি। দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
কুড়িগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ আশ্রয়কেন্দ্রের সংস্কার চান বাসিন্দারা
গজারিয়ায় আশ্রয়ণের ঘরে আগুন

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
2 killed 4 injured in truck trolley collision in Panchgarh

পঞ্চগড়ে ট্রাক-ট্রলি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪

পঞ্চগড়ে ট্রাক-ট্রলি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪ ছবি: সংগৃহীত
স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। বর্তমানে তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পঞ্চগড়ের বোদা-দেবীগঞ্জ জাতীয় মহাসড়কে ট্রাক ও ট্রলির (ট্রাক্টর) মুখোমুখি সংঘর্ষে এক পথচারী নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চার জন।

বুধবার সকালে বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের কলাপাড়া নামক স্থানে মহাসড়কে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হলেন- বোদা পৌরসভার সদ্দারপাড়া গ্রামের সাফিরের স্ত্রী ৬০ বছর বয়সী নুরজাহান ও একই উপজেলার মাজগ্রাম এলাকার মানিক ইসলামের ছেলে ২৫ বছর বয়সী জাহিদ ইসলাম।

বোদা থানার ওসি মোজাম্মেল হক দুজনের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেবীগঞ্জ থেকে পঞ্চগড়গামী একটি দ্রুতগামী ট্রাক ও বিপরীতমুখী একটি ট্রলির সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলের পাশে থাকা এক পথচারী নারীকে গাড়িদুটি চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। দুর্ঘটনায় ট্রলির চালক জাহিদও ঘটনাস্থলে নিহত হন। এছাড়া স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। বর্তমানে তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The temperature of Chuadanga dropped to 41 degrees again

ফের ৪১ ডিগ্রি ছাড়াল চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা

ফের ৪১ ডিগ্রি ছাড়াল চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা একটু বাতাসের জন্য ঘর ছেড়ে গাছতলায় আশ্রয় খুঁজছে চুয়াডাঙ্গার মানুষ। ছবি: নিউজবাংলা
চলমান দাবদাহে ব্যাহত হচ্ছে জেলার কৃষিকাজ। নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু ও কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল। দাবদাহে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রমও।

বেশ কয়েকদিন ধরে অতি তীব্র তাপপ্রবাহের পর গত দুদিন কিছুটা কমে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছিল চুয়াডাঙ্গা জেলায়। তবে আবারও তা অতি তীব্র তাপপ্রবাহের রূপ নিয়েছে।

বুধবার বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এর মধ্যে জেলার কয়েকটি জায়গায় মঙ্গলবার মধ্যরাতে বেশ কিছু সময় ধরে (৪০ মিনিট) গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়। আবহাওয়া অফিসের রেকর্ডে তা ১ দশমিক ৬ মিলিমিটার। বৃষ্টির কারণে বাতাসে জলীয় বাষ্প বাড়ায় ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি আরও বেড়েছে।

তাপদাহে স্বস্তি মিলছে না কোথাও। গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। তবে, ভ্যাপসা গরমে সেখানেও মিলছে না শান্তি।

চলমান দাবদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু ও কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল। দাবদাহে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রমও।

দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা গ্রামের কৃষক আব্দুল আলিম বলেন, ‘এই তাপে ধানের খেত শুকিয়ে যাচ্চি, বেশি বেশি সেচ দিতি হচ্চি। দিনের বেলায় পাম্পে খুব একটা পানি উটচি না। রাতি পানি দিতি হচ্চি। তাছাড়া আম, লিচু, কলা সব নষ্ট হয়ি যাচ্চি। গরমে আমারও মাটে টিকতি পারচি নি।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘মঙ্গলবারের তুলনায় আজ (বুধবার) তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি বেড়েছে। এপ্রিল মাসজুড়ে এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে।’

আরও পড়ুন:
দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে, অস্বস্তি থাকতে পারে
চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপপ্রবাহ, তাপমাত্রা নেমেছে ৩৯.৬ ডিগ্রিতে
দাবদাহে পুড়ছে জীবন, পুড়বে আরও

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
A Bangladeshi worker died after being hit by a road in Singapore

সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

সিঙ্গাপুরে রড চাপায় বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু সিঙ্গাপুরে নিহত রাকিব। ছবি: সংগৃহীত
চলতি মাসের ৩ এপ্রিল বুধবার নির্মাণকাজ করার সময় রডের বান্ডিলে চাপা পড়ে মারাত্মক আহত হয় রাকিব। দুর্ঘটনার পরপরই তাকে রডের নিচ থেকে উদ্ধার করে সিঙ্গাপুর সিভিল ডিফেন্স ফোর্সের উদ্ধারকারীরা হাসপাতালে ভর্তি করে। ১৬ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে তিনি মারা যান।

সিঙ্গাপুরে কাজ করার সময় রড চাপায় রাকিব হোসেন নামে এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

২২ বছর বয়সী রাকিব বেনাপোল পোর্ট থানার ২ নম্বর ঘিবা গ্রামের মমিনুর রহমানের ছেলে।

রাকিবের চাচা মিলন হোসেন জানান, চলতি মাসের ৩ এপ্রিল বুধবার নির্মাণকাজ করার সময় রডের বান্ডিলে চাপা পড়ে মারাত্মক আহত হয় রাকিব। দুর্ঘটনার পরপরই তাকে রডের নিচ থেকে উদ্ধার করে সিঙ্গাপুর সিভিল ডিফেন্স ফোর্সের উদ্ধারকারীরা হাসপাতালে ভর্তি করে। ১৬ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে তিনি মারা যান।

রাকিবের বাবা মমিনুর রহমান বলেন, ‘এক বছর হলো রাকিব সিঙ্গাপুর গিয়েছে। সে সিঙ্গাপুরে কনস্ট্রাকশনের কাজ করত। গত ৩ এপ্রিল প্রতিদিনের মতো সে কাজে যায়। এক পর্যায়ে ওইদিন বিকাল ৫টার দিকে উপরে তোলার সময় টোশন ছিঁড়ে (দড়ি) রডের নিচে পড়ে চ্যাপ্টা হয়ে যায় সে।’

বেনাপোল পোর্ট বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান (মফিজ) বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে নিহত রাকিব আমার ইউনিয়নের ঘিবা গ্রামের বাসিন্দা। তার পরিবারের মাধ্যমে জেনেছি সে সিঙ্গাপুরে কাজ করার সময় রড চাপায় মারা গেছে। এখন তার মরদেহ কীভাবে দেশে আনা যায়, তার সার্বিক সহযোগিতা আমার পক্ষ থেকে করে যাচ্ছি।’

মন্তব্য

p
উপরে