টানা কয়েক দিন পর ব্যাংক ও বিমা খাত আর এক দিনের বিরতি শেষে বস্ত্র খাতের শেয়ার দর বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে পুঁজিবাজারে সূচক বাড়ল ৫০ পয়েন্টেরও বেশি। সেই সঙ্গে কাটল শঙ্কা, আগের দিনের বড় পতনের কারণে বিনিয়োগকারীদের মনে যে ভয় ধরেছিল, সেটিও কাটল খানিকটা।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সাধারণ সূচক বাড়ল ৫৬ পয়েন্ট। ফলে আগের দিন হারানো ৬৯ পয়েন্টের বেশিরভাগই ফিরে পেল পুঁজিবাজার।
এদিন ব্যাংক খাতে ৩১টি কোম্পানির মধ্যে ২৮টি, বিমা খাতের ৫০টির মধ্যে ৪৭টি, বস্ত্র খাতের ৫৮টির মধ্যে ৩৮টির দাম বেড়েছে।
আগের দিন বিমা খাতের ৪৭টি, ব্যাংক খাতের ২৪টি আর বস্ত্র খাতের ৪২টি কোম্পানি দর হারিয়েছিল।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই উত্থানটা পুঁজিবাজারে আস্থার জন্য জরুরি ছিল। বাজারে লেনদেন বেড়ে চলা, গত ৩০ মে সোয়া তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সাধারণ সূচক ছয় হাজার পয়েন্টে পৌঁছার পর বাজারে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, সেটি কাম্য ছিল না।
৬ হাজার ৩০০ পয়েন্ট পর্যন্ত পুঁজিবাজারে একটি শক্তিশালী মনস্তাত্ত্বিক বাধা আছে বলে ধারণা করা হয়। ২০১৭ সালেও পুঁজিবাজার এই বাধা অতিক্রম করতে পারেনি। তবে এবার প্রায় এক মাস ধরে পুঁজিবাজার ছয় হাজার পয়েন্টে স্থির থাকা নিয়ে সেই বাধা অতিক্রম করতে পারে কি না, সেটি পর্যবেক্ষণও করছেন বিনিয়োগকারীরা।
আরেকটি ভালো দিক হচ্ছে, সূচক উঠানামাতেও লেনদেন খুব একটা কমছে না। দুই হাজার কোটি টাকার নিচে লেনদেন হচ্ছে হাতে গোনা দুই এক দিন। যদি উত্থানের দিন বৃহস্পতিবার লেনদেন ৪০৫ কোটি টাকারও বেশি কমেছে।
টানা দুই দিন দরপতনের পর শঙ্কা নিয়েই শুরু হয় দিনের লেনদেন। ৩৬ মিনিটের মধ্যে সূচব ৩৪ পয়েন্ট কমে যাওয়ায় তৈরি হয় ভীতি। তবে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগেনি। শেষ পর্যন্ত সূচকের অবস্থান দাঁড়ায় ৬ হাজার ৯২ পয়েন্ট।
সূচক বাড়ার দিন বিনিয়োগকারীরা বাড়তি দামেও শেয়ার বিক্রি করতে রাজি ছিলেন না বহু বিনিয়োগকারী। দাম আরও বাড়বে ভেবে ধরে রেখেছেন তারা। এ কারণে লেনদেন গেছে কমে। দিন শেষে হাতবদল হয়েছে এক হাজার ৫৯৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
আগের দিন সূচক পতনের দিন হাতবদল হয়েছিল দুই হাজার কোটি ৩০ কোটি ৩ লাখ টাকা। এই হিসেবে লেনদেন কমেছে ৪০৫ কোটি টাকা।
ব্যাংক খাত
গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে প্রত্যাহার চেয়ে বেশি লভ্যাংশ, মহামারির বছরে আশাতীত আয়, চলতি বছর আয়ের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা-কোনো কিছুই এই খাত নিয়ে এক দশকের হতাশা দূর করতে পারছে না।
তবে মাঝেমধ্যে উত্থান হয় না, এমন না। কিন্তু দুই দিন বেড়ে তিন দিনের পতনে আগের অবস্থানে ফেরার চক্র থেকে বের হতে পারছে না ব্যাংক খাত।
দিনের শুরুটাও হয়েছিল পতন দিয়েই। তবে পরে ঘুরে দাঁড়ায় বাজার। সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পেয়েছে এমন ১০টি কোম্পানির মধ্যে ব্যাংক খাতের ডাচ বাংলা এবং ২০টি কোম্পানির মধ্যে আরও আছে রূপালী ব্যাং ও এবি ব্যাংক।
এর মধ্যে দিনে দামের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে ডাচ বাংলা ও রূপালী ব্যাংকের শেয়ার দর। আর এবি ব্যাংকের দাম বাড়ে ৭.৯৭ শতাংশ।
এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে তলানিতে পড়ে থাকা এনবিএলের লভ্যাংশ ঘোষণার তারিখ ঘোষণার পর দিন দাম বেড়েছে ৬.৪৯ শতাংশ। এর বাইরে প্রাইম ব্যাংকের দর ৪.৫৪, এনসিসি ব্যাংকের ৩.৫৭, যমুনা ব্যাংকের দর ৩.৪৪, আইএফআইসির দর বেড়েছে ৩.২২ শতাংশ।
দর বৃদ্ধির এই খাতে হতাশ কমেছে মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, যার দাম কমেছে ১০ শতাংশ। অন্যদিকে ব্যাংক এশিয়া ও উত্তরা ব্যাংকের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
বাজারে লেনদেন কমলেও ব্যাংক খাতে বেড়েছে। আগের দিন এই খাতে লেনদেন ১১৭ কোটি টাকা থাকলেও সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে তা বেড়ে হয় ১৯৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
পতন থামল বিমায়
টানা প্রায় এক সপ্তাহের টালমাটাল অবস্থায় এই খাতের শেয়ারধারীদের পকেট ফাঁকা করে দিয়েছিল। পতন থামার পাশাপাশি দামে উত্থানে তারা আস্থা বিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। হারানো টাকাও কিছুটা ফিরে এসেছে।
সবচেয়ে বেশি দাম বাড়া ১০ কোম্পানির দুটি ও ২০ কোম্পানির ছয়টি ছিল বিমা খাতের। এর মধ্যে শতকরা হিসেবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে রিলায়েন্স ও গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের দর। গত কয়েক দিনে ৩০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি দর হারিয়ে ফেলা কোম্পানি দুটিই প্রায় ১০ শতাংশ দর ফিরে পেয়েছে।
রিলায়েন্সের দর ৮৪ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯২ টাকা ৭০ পয়সা, অন্যদিকে গ্রিনডেল্টার দাম ১০৭ টাকা ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১৮ টাকা ৫০ পয়সা।
অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে এক দিনে দাম বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমায় উঠে সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের দাম। এছাড়া ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের ৯.৩৬, প্রগতির ৮.২২, পূরবী জেনারেলের ৭.৭৯, বিআইএনসিএলের ৭.১৭, এশিয়ানের ৬.৮৯, ক্রিস্টালের ৫.৪৬, সন্ধানীর ৫.৩, এক্সপ্রেসের ৫.১৮, প্রাইমের ৫.১২, ইসলামীর ৪.৯৯, ফিনিক্সের ৪.৯৮, রূপালীর ৪.৯৬, মার্কেন্টাইলের ৪.৮৮ শতাংশ দাম বেড়েছে।
বুধবার পতনের দিন রেকর্ড ডেটের কারণে রক্ষা পাওয়া নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্স ২ টাকা ৩০ পয়সা বা ৩.৬৬ এবং সেদিন দাম বৃদ্ধি পাওয়া প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স দর হারিয়েছে ২ টাকা বা ১ শতাংশ।
আর রিপাবলিকের লেনদেন বন্ধ ছিল রেকর্ড ডেটের কারণে।
দাম বৃদ্ধির দিন লেনদেন কমেছে এই খাতে। হাতবদল হয়েছে মোট ১৮৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন দরপতনের দিন লেনদেন হয়েছিল ২১০ কোটি টাকা।
সবচেয়ে বেশি আগ্রহ বস্ত্র খাতেই
গোটা সপ্তাহেই লেনদেনে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে এই খাত।
জুন ক্লোজিংয়ের কারণে এরই মধ্যে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের জায়গা তৈরি করেছে কোম্পানিগুলো। বৃহস্পতিবার এ খাতের বেশিরভাগ কোম্পানি স্থান করে নিয়েছে দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির তালিকায়। শীর্ষ দশের পাঁচটিই ছিল বস্ত্র খাতের।
লেনদেনে বস্ত্র খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে কাট্টালি টেক্সটাইলের ৯.৯৭ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩০ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৩ টাকা ১০ পয়সা।
ওটিসি মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে ফেরা মুন্নু ফেব্রিক্সের শেয়ার দর বেড়েই চলেছে। আবারও দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণে দাম বেড়ে শেয়ার দর ২৩ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৫ টাকা ৬০ পয়সা। দাম বৃদ্ধি হার ৯.৮৭ শতাংশ।
এ ছাড়া সোনারগাঁও টেক্সটাইলের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৮২ শতাংশ। মালেক স্পিনিংয়ের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৮১ শতাংশ। এসকোয়য়ার টিট কম্পোজিটের দামও বেড়েছে ৯.৭৮ শতাংশ।
এই খাতে সবচেয়ে বেশি কমেছে হাওয়েল টেক্সটাইলের দাম। ৩.০২ শতাংশ বা ১ টাকা ৩০ পয়সা হারিয়েছে কোম্পানিটি। এ ছাড়া কোনো কোম্পানিই ২ শতাংশের বেশি দাম হারায়নি।
লেনদেনের শীর্ষে থাকা খাতটিতে মোট হাতবদল হয়েছে বস্ত্র খাত ৪৩৯ কোটি ১২ লাখ টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে সামান্য কম, যদিও শতকরা হারে বেশি।
বুধবার হাতবদল হয়েছিল ৪৭৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, যা ছিলে দিনের ২৩ শতাংশ। তবে আজ লেনদেনের ২৭.৪৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
আগ্রহ ধরে রাখতে পারল না মিউচ্যুয়াল ফান্ড
বুধবার বড় পতনেও শক্তিশালী অবস্থানে ছিল মিউচ্যুয়াল ফান্ড। একটিও সেদিন দর হারায়নি, সর্বাধিক দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির মধ্যে ছিল একটি।
৩৭টি ফান্ডের মধ্যে ৩০টির অর্থবছর শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ জুন। তৃতীয় প্রান্তিকে ব্যাপক মুনাফা ও চতুর্থ প্রান্তিকে ৭৫০ পয়েন্টের বেশি সূচক বাড়ার কারণে আরও বেশি আয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এই খাতে। এ কারণে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহও বাড়ছে। যদিও অন্যান্য খাতের মতো লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে না দাম।
বুধবার বাড়ার পর বৃহস্পতিবারই দেখা গেছে উল্টো চিত্র।
এদিন সবচেয়ে বেশে যে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে সেটি হচ্ছে আইএফআইএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান, যার ইউনিটি প্রতি দর বেড়েছে মাত্র ১.৪৭ শতাংশ।
এছাড়া আইসিবি এএমসিএল থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে ১.৪৫ শতাংশ। ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে ১.৪৩ শতাংশ।ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে ১.২৩ শতাংশ।
বেশিরভাগ ফান্ড দর হারালেও শতকরা হারের দিক থেকে খুব বেশি অবশ্য কমেনি। ফিনিক্স ফিন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সবচেয়ে বেশি দর পতন হয়েছে ২.৬৫ শতাংশ। এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান এর দর পতন হয়েছে ২.৫৩ শতাংশ।
প্রাইম ফিন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর পতন হয়েছে ২.৪৪ শতাংশ। সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর হারিয়েছে ২.২৪ শতাংশ।
লেনদেনও কমেছে। আগের দিন ৯০ কোটি টাকা হাতবদল হওয়া এই খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি টাকা।
অন্য দুটি প্রধান খাতের মধ্যে লেনদেন কমেছে প্রকৌশল এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতে।
প্রকৌশল খাতে হাতবদল হয়েছে ১২১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার, যা আগের দিন ছিল ২১২ কোটি টাকা। অন্যদিকে ওষুধ ও রসায়ন খাতে হাতবদল হয়েছে ১১৭ কোটি ১২ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ২০৬ কোটি টাকা।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৬ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৯২ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৪ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩০১ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১০ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৯৯ পয়েন্টে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৯১টি, দর কমেছে ১৫২টির। পাল্টায়নি ২৯টির।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের তুলনায় ৮৬ দশমিক ৫০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৬৫৭ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ৮৮ কোটি টাকা। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৫টির, কমেছে ১৪০টি। দর পাল্টায়নি ২৮টির।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য