× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
হাজার কোটি টাকা নিয়ে বসে ব্যাংক ঋণ নিতে আগ্রহ নেই
google_news print-icon
চলচ্চিত্রশিল্প

হাজার কোটি টাকা নিয়ে বসে ব্যাংক, ঋণ নিতে আগ্রহ নেই

হাজার-কোটি-টাকা-নিয়ে-বসে-ব্যাংক-ঋণ-নিতে-আগ্রহ-নেই
হলের পরিবেশ ভালো হলে আর যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সিনেমা চালালে যে মুনাফা ভালোই হয়, তা দেখিয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্স। ফাইল ছবি
সিনেমা হল তৈরি, সংস্কারের জন্য তহবিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক জোগান দিলেও ঋণ দেবে বাণিজ্যিক ব্যাংক। তবে গত চার মাসে কোনো ব্যাংক থেকে একটি আবেদনও পড়েনি। ঋণ নেয়ার সময় আছে আর ৯ মাস। এই বিশেষ তহবিল থেকে ঋণ পাওয়া যাবে ৪ শতাংশ সুদে। তবে চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা চাইছেন, সুদহার আরও কমিয়ে ২ শতাংশ করা হোক। আবার শিল্প টিকিয়ে রাখতে ঋণ নয়, অনুদান দেয়ার কথাও বলছেন কেউ কেউ। সাধারণত চলচ্চিত্র শিল্পে বিনিয়োগের অভিজ্ঞতা নেই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর। এ কারণে ব্যাংকগুলো এমন ঋণে স্বস্তিবোধ করছে না।

সিনেমা হল তৈরি, সংস্কারের জন্য এক হাজার কোটি টাকার তহবিল নিয়ে বসে রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ঋণ নিতে কেউই আগ্রহী নয়।

গত বছর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ছিল, চলচ্চিত্রশিল্পের জন্য বিশেষ তহবিল করবেন তিনি। এরপর গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এই তহবিল করার কথা জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

জানানো হয়, প্রথমে দেয়া হবে ৫০০ কোটি টাকা, এরপর চাহিদা থাকলে দ্বিতীয় ধাপে দেয়া হবে আরও ৫০০ কোটি টাকা।

তহবিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক জোগান দিলেও ঋণ দেবে বাণিজ্যিক ব্যাংক। তবে গত চার মাসে কোনো ব্যাংক থেকে একটি আবেদনও পড়েনি। ঋণ নেয়ার সময় আছে আর ৯ মাস।

এই বিশেষ তহবিল থেকে ঋণ পাওয়া যাবে ৪ শতাংশ সুদে। তবে চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা চাইছেন, সুদহার আরও কমিয়ে ২ শতাংশ করা হোক।

আবার শিল্প টিকিয়ে রাখতে ঋণ নয়, অনুদান দেয়ার কথাও বলছেন কেউ কেউ।

নব্বইয়ের দশক থেকে চলচ্চিত্রশিল্প জৌলুস হারাতে শুরু করে। জেলায় জেলায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সিনেমা হল। করোনা পরিস্থিতি এ ক্ষেত্রে হয়েছে নতুন অনুঘটক। সিনেমা হল চালানোর চেয়ে বিপণিবিতান বা অন্য প্রতিষ্ঠান করলে আয় ভালো হয়। তাই হলের মালিকরা হাঁটছেন ওই পথেই।

তবে হলের পরিবেশ ভালো হলে আর যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সিনেমা চালালে যে মুনাফা ভালোই হয়, তা দেখিয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্স আর যমুনার মাল্টিপ্লেক্স। তবে করোনা পরিস্থিতিতে এসব প্রতিষ্ঠানও ভালো নেই। তাই অন্যরা এই মুহূর্তে বিনিয়োগে যেতে চাইছেন না।

হাজার কোটি টাকা নিয়ে বসে ব্যাংক, ঋণ নিতে আগ্রহ নেই

সিনেমা হল তৈরি, সংস্কারের জন্য এক হাজার কোটি টাকার তহবিল রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকে। ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আবেদন করার এখনও অনেক সময় আছে। গত কয়েক মাসে করোনা পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো এখন আগের চেয়ে আরও সতর্ক হয়েছে।’

ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আরফান আলী বলেন, ‘সাধারণত চলচ্চিত্রশিল্পে বিনিয়োগের অভিজ্ঞতা নেই ব্যাংকগুলোর। এ কারণে ব্যাংকগুলো এমন ঋণে স্বস্তিবোধ করছে না।’

চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল নিউজবাংলাকে জানান, তহবিল গঠনের পর সুদহার ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আবেদন করা হয়েছে।

ঋণ মিলবে যে যে খাতে

চলচ্চিত্রের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সিনেমা হলগুলোর জন্য এক হাজার কোটি টাকার পুনঃ অর্থায়ন তহবিল গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, সিনেমা হল সংস্কার, আধুনিকায়ন ও মেশিনারি, যন্ত্রাংশ, প্রযুক্তি ক্রয় এবং নতুন সিনেমা হল নির্মাণের উদ্দেশে এই তহবিল থেকে ঋণ মিলবে।

বিভিন্ন শপিং কমপ্লেক্সে বিদ্যমান সিনেমা হলসহ নতুনভাবে নির্মিত সিনেমা হলগুলোও এই তহবিলের আওতায় ঋণসুবিধা পাবে।

তহবিলের আওতায়ে একজন সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে।

ঋণের সুদে ছাড়

সার্কুলারে বলা হয়, বিভাগীয় শহরের জন্য এই ঋণের সুদহার ৫ শতাংশ ও এর বাইরের এলাকার জন্য সাড়ে ৪ শতাংশ। আর এই ঋণ শোধ করা যাবে আট বছর পর্যন্ত। প্রথম বছরে ঋণ পরিশোধে ছাড় মিলবে (গ্রেস পিরিয়ড)।

তবে চলতি মূলধন বাবদ কোনোরূপ ঋণ দেয়া হবে না। এ ছাড়া এ তহবিলের আওতায় গৃহীত ঋণ দিয়ে কোনোভাবেই অন্য কোনো ঋণের দায় শোধ করা যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে এই পুনঃ অর্থায়নের অর্থ দেবে।

মূলত ব্যাংকগুলো এই ঋণ প্রদান করবে, এর বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পুনঃ অর্থায়ন নিতে পারবে। আর সময়মতো ঋণ শোধ না করলে ব্যাংকগুলোর হিসাব থেকে কেটে নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে বিচার-বিবেচনা করে ব্যাংকগুলোকে এই ঋণ দিতে হবে।

তহবিলে কেন অনীহা

ব্যাংক এশিয়ার এমডি মো. আরফান আলী নিউজবাংলাকে বলেন, শিল্প খাত হিসেবে চলচ্চিত্র খাতে ব্যাংকারদের জানাশোনা অনেক কম। এ জন্য এ খাতের ঋণ বিতরণেও আগ্রহ দেখাচ্ছে না বেশির ভাগ ব্যাংক।

তিনি বলেন, শুধু ঋণ দিলেই হবে না, ব্যাংকগুলোকে টিকে থাকতে হলে সেই ঋণের অর্থ আবার ফেরত আনতে হবে।

প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল নিউজবাংলাকে বলেন, সার্কুলারে বলা হচ্ছে ঋণ পরিশোধে সময় পাওয়া যাবে ৮ বছর। এটা ১২ বা ১৫ বছর করা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, ‘ঋণ নিতে জায়গা মর্টগেজ দেয়ার জন্য বলা হয়েছিল। এটা শিথিল করার অনুরোধ করেছি। কোনো ব্যাংক না দিতে চাইলে সেটা বাংলাদেশ ব্যাংক দেখবে। কারণ, এটা সরকার ঘোষিত তহবিল।’

পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার নিউজবাংলাকে বলেন, সিনেমা হলমালিকদের ঋণ দেয়া হলেও সিনেমা তৈরির জন্য তহবিল প্রয়োজন। শুধু হল নির্মাণ করলে হবে না, সিনেমাও তো লাগবে। এ জন্য এফডিসির মাধ্যমে এ খাতে অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন।

এ জন্য শুধু হলমালিকদের না চলচ্চিত্র নির্মাতাদেরও স্বল্প সুদে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হোক। যে ঋণ এফডিসির মাধ্যমে চলচ্চিত্রের নিয়মিত পরিচালকদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। তাতে করে হলমালিকরা ভালো ছবি পাবেন এবং দর্শক হলে ফিরতে শুরু করবে।

তিনি বলেন, রুগ্‌ণ চলচ্চিত্রশিল্পকে টেনে তুলতে ঋণ দিয়ে তেমন সফলতা আসবে না। ওই তহবিল অনুদান হিসেবে বিতরণ করা হলে চলচ্চিত্রপাড়ায় সুদিন ফিরতে পারে।

বহুবিধ সংকটে এই শিল্প

করোনাকালে সিনেমা হল বন্ধ ছিল টানা সাত মাসের বেশি। এরপর গেল বছরের অক্টোবরে হল খুলে দেয়ার পরও অধিকাংশ হলের মালিক হল খোলেননি।

হলমালিকরা বলছেন, দীর্ঘদিন হল বন্ধ থাকলেও বিদ্যুৎ বিল, কর্মীদের বেতন-ভাতা সবই দিতে হয়েছে। অনেক মালিক ভাড়া করে হল চালান, তাদের প্রতি মাসে উচ্চমূল্যের ভাড়া গুনতে হয়েছে।

হাজার কোটি টাকা নিয়ে বসে ব্যাংক, ঋণ নিতে আগ্রহ নেই

১৯৫৪ সালে শুরু হওয়া মধুমিতা সিনেমা হলটি মাগুরা জেলার প্রথম হল। দেনার দায়ে যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন হলটির মালিক বাবুল মিয়া। ছবি: নিউজবাংলা

নব্বইয়ের দশকে দেশে প্রায় দেড় হাজার সিনেমা হল চালু ছিল। বিভিন্ন সংকটে বন্ধ হতে হতে বর্তমানে মাত্র ১৫০টি হল চালু আছে। তবে এসব হলেও তেমন দর্শক মিলছে না। মূলত উন্নত প্রদর্শনকেন্দ্র না থাকা এবং ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণ না হওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি এতই নাজুক যে বিনিয়োগের অর্থ ফেরত আসবে কি না, এমন অনিশ্চয়তায় করোনার গত এক বছরে নতুন সিনেমা নির্মাণের সাহস পাচ্ছেন না কেউ।

২০১২ সালের ৩ এপ্রিল চলচ্চিত্রকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত এ খাত শিল্প হিসেবে কোনো সুবিধাই পায়নি। ফলে এই শিল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বেশির ভাগ মানুষ।

আরও পড়ুন:
১০ স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা পেল সরকারি অনুদান
জয়ার প্রযোজনায় সুমন, অনুদান পেলেন অমিতাভ, পিপলু

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
KGF 2 has crossed Rs 600 crore in 7 days

৭ দিনে ৭০০ কোটি রুপি ছাড়িয়েছে ‘কেজিএফ টু’

৭ দিনে ৭০০ কোটি রুপি ছাড়িয়েছে ‘কেজিএফ টু’ কেজিএফ রকিং স্টার যশ।
হিন্দি ছাড়াও সিনেমাটি কন্নড়, তেলেগু, তামিল ও মালায়ালাম ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। সব মিলিয়ে প্রথম সপ্তাহের শেষে সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী ৭০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করেছে।

মুক্তির আগ থেকেই তুমুল আলোচনায় ছিল ভারতের দক্ষিণের কন্নড় সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার টু

যেমনটি আলোচনায় ছিল, বাস্তবেও ঠিক তেমনই ঘটছে। গত ১৪ এপ্রিল মুক্তির পর থেকেই বক্স অফিসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কেজিএফ টু

ইতোমধ্যে হিন্দি ভার্সনে রেকর্ড গড়েছে সিনেমাটি। ৭ দিনে ২৫৫ কোটি রুপি আয় করেছে। যা বাহুবলি টুর রেকর্ডও ভেঙেছে।

হিন্দি ছাড়াও সিনেমাটি কন্নড়, তেলেগু, তামিল ও মালায়ালাম ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। সব মিলিয়ে প্রথম সপ্তাহের শেষে সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী ৭০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করেছে।

ভারতীয় চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশ্লেষক মনোবালা বিজয়বালান বৃহস্পতিবার দুপুরে এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন।

২০১৮ সালের শেষের দিকে মুক্তি পায় প্রশান্ত নীল পরিচালিত এই ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার ওয়ান

মুক্তির পর শুধু ভারতে নয়, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল এটি। বক্স অফিসে গড়েছিল ইতিহাস।

গ্যাংস্টারদের নিয়ে গল্পের এই সিনেমায় দুর্দান্ত মারকুটে অভিনয় দিয়ে পুরো ভারত মাতিয়েছিলেন কন্নড় সুপারস্টার যশ। শুধু তা-ই নয়, এই সিনেমা দিয়ে দেশের বাইরেও লাখো ভক্ত-অনুরাগী জুটিয়েছেন এই অভিনেতা।

যশ বাদেও কেজিএফ চ্যাপ্টার টু-তে আরেক মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে। এ ছাড়া এতে গুরুত্বপূর্ণ সব চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাবিনা ট্যান্ডন, প্রকাশ রাজ, শ্রীনিধি শেট্টির মতো তারকারা।

আরও পড়ুন:
বলিউডে অভিষেকে কোন নায়িকাকে চান যশ
একদিনে ১৩৪ কোটি রুপির ব্যবসা করল ‘কেজিএফ টু’
‘আরআরআর’-এর দুই মাসের রেকর্ড ৩ দিনে ভাঙল ‘কেজিএফ’
‘কেজিএফ টু’ মুক্তির দিন জানালেন যশ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Kolkata International Film Festival starts on 25th April

কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু ২৫ এপ্রিল

কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু ২৫ এপ্রিল
উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান পরিচালক রাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হলেও আমাদের সাবধানে থাকতে হবে। সাবধানতার কথা বিবেচনা করেই এবার বাইরের কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে স্থগিত থাকা ২৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ এপ্রিল নজরুল মঞ্চে। উৎসব চলবে ১ মে পর্যন্ত।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলিউড অভিনেতা ও আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে বিজয়ী তৃণমূল এমপি শত্রুঘ্ন সিনহা।

আরও উপস্থিত থাকবেন অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়সহ অনেকে।

উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান পরিচালক রাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হলেও আমাদের সাবধানে থাকতে হবে। সাবধানতার কথা বিবেচনা করেই এবার বাইরের কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’

কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষের শ্রদ্ধায় উৎসবের উদ্বোধনী ফিল্ম হিসেবে একই সঙ্গে নজরুল মঞ্চ ও রবীন্দ্র সদনে দেখানো হবে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত অরণ্যের দিনরাত্রি

পরিচালক অরিন্দম শীল সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সত্যজিতের সঙ্গে কাজ করা জীবিত শিল্পী ও কলাকুশলীদের এবার সংবর্ধনা দেয়া হবে।

এবার সত্যজিৎ রায় স্মারক বক্তব্য দেবেন পরিচালক সুজিত সরকার। সত্যজিতের জীবন ও কাজের ওপর প্রদর্শনীও থাকছে উৎসবে।

চলচ্চিত্র উৎসবের থিম ‘কান্ট্রি ফিনল্যান্ড’। কলকাতা শহরের ১০ হলে ৪০ দেশের ১৬৩টি সিনেমা দেখানো হবে এবারের উৎসবে।

২৭তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে আটটি বিলুপ্তপ্রায় ভাষার সিনেমা দেখানো হবে। ভাষাগুলো হলো বোরো, টুলু, রাজবংশী, সান্তাড়, ও কোঙ্কনী ও কুড়ুম্বা।

চিদানন্দ দাশগুপ্ত, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, দিলীপ কুমার, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত ও নিকোলাস জাঙ্কসোকে নিয়ে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকছে।

শিশির মঞ্চে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব শান্তনু বসু, মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান রাজ চক্রবর্তী, পরিচালক গৌতম ঘোষ, পরিচালক অরিন্দম শীল, হরনাথ চক্রবর্তী, অভিনেত্রী জুন মালিয়া।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Priyanka Nicks daughters name is public

মেয়ের নাম কী রাখলেন প্রিয়াঙ্কা-নিক

মেয়ের নাম কী রাখলেন প্রিয়াঙ্কা-নিক তারকা দম্পতি প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাস। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়াগো শহরের এক হাসপাতালে গত ১৫ জানুয়ারি জন্ম হয়েছে নিক-প্রিয়াঙ্কার মেয়ের। এরপর ২২ জানুয়ারি ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান হওয়ার কথা প্রকাশ্যে আনেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু কখনো সন্তানের নাম কিংবা ছবি, কোনোটাই প্রকাশ্যে আনেননি অভিনেত্রী।

চলতি বছরের শুরুর দিকে বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জানান যে, তার এবং নিক জোনাসের জীবনে সন্তান এসেছে। সারোগেসির মাধ্যমে তারা মা-বাবা হয়েছেন। তবে ছেলে না মেয়ে সন্তান তা জানাননি তিনি।

সেসময় বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, কন্যা সন্তানের মা-বাবা হয়েছেন তারকা দম্পতি।

কিন্তু কখনো সন্তানের নাম কিংবা ছবি, কোনোটাই প্রকাশ্যে আনেননি অভিনেত্রী।

তবে দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রিয়াঙ্কা-নিক তাদের মেয়ের নাম কী রেখেছেন তা এবার প্রকাশ্যে। তারকা দম্পতি কন্যার নাম রেখেছেন মালতী মারি চোপড়া জোনাস।

জন্ম সনদও নাকি হাতে পেয়েছে হলিউড কেন্দ্রিক একটি সংবাদ সংস্থা। সেই সূত্রেই জানা গেছে এই নাম।

সংস্কৃত এবং ল্যাটিন দুই শব্দ মিশিয়ে মেয়ের নাম রেখেছেন প্রিয়াঙ্কা-নিক। সংস্কৃতে ‘মালতী’ শব্দের অর্থ হল একরকম সুগন্ধযুক্ত ছোট সাদা ফুল অথবা চাঁদের আলো।

অন্যদিকে ‘মারি’ শব্দের অর্থ সমুদ্রকে রক্ষা করে যে নারী। মূলত মাতা মেরিকে অনেক সময় এই আখ্যা দেয়া হয়। যিশুর মাতা মেরিকে ফ্রাঞ্চে ‘মারি’ বলা হয়।

যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও মেয়ের নাম বা ছবি কোনোটাই প্রকাশ্যে আনেননি তারকা জুটি।

যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়াগো শহরের এক হাসপাতালে গত ১৫ জানুয়ারি জন্ম হয়েছে নিক-প্রিয়াঙ্কার মেয়ের।

এরপর ২২ জানুয়ারি ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান হওয়ার কথা প্রকাশ্যে আনেন প্রিয়াঙ্কা।

প্রিয়াঙ্কার হাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রোজেক্ট। এর মধ্যে টেক্স অফ ইউ রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। পাশাপাশি আমাজনের টিভি সিরিজ সিটাডেল-এর শুটিংও শেষ করেছেন অভিনেত্রী।

মন্তব্য

ক্ষমা চাইলেন অক্ষয়

ক্ষমা চাইলেন অক্ষয় বলিউড তারকা অক্ষয় কুমার। ছবি: সংগৃহীত
নিজের স্বাস্থ্য এবং শরীরচর্চা নিয়ে অত্যন্ত সজাগ অক্ষয়। যা তার চারপাশের লোকজন এবং অনুরাগীদেরও অনুপ্রেরণা জোগায়। তাই তিনি এই ধরনের বিজ্ঞাপনে অংশ নেয়ায় রুষ্ট হন অনেকেই।

সম্প্রতি এক পান মসলার কোম্পানির বিজ্ঞাপন করেন বলিউডের অভিনেতা অক্ষয় কুমার। শাহরুখ খান, অজয় দেবগনের মতো বলিউড তারকারা আগে থেকেই সেই সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।

তবে অক্ষয় এই বিজ্ঞাপনে অংশ হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া জানান তার ভক্ত-অনুরাগীরা। তাই তাদের ভাবনাকে সম্মান জানিয়ে ক্ষমা চেয়ে সেই সংস্থা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন অভিনেতা।

নিজের স্বাস্থ্য এবং শরীরচর্চা নিয়ে অত্যন্ত সজাগ অক্ষয়। যা তার চারপাশের লোকজন এবং অনুরাগীদেরও অনুপ্রেরণা জোগায়। তাই তিনি এই ধরনের বিজ্ঞাপনে অংশ নেয়ায় রুষ্ট হন অনেকেই।

এ জন্য বুধবার গভীর রাতে এক টুইট বার্তায় বিজ্ঞাপন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেন অক্ষয়।

সেই পোস্টে ক্ষমা প্রার্থনা করে অভিনেতা লেখেন, ‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমার অনুরাগী, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। গত কয়েক দিন ধরে আপনাদের কাছে থেকে যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছি তা আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। আমি তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন কখনই করিনি এবং কোনো দিন করব না। বিমন ইলাইচির সঙ্গে আমার চুক্তি নিয়ে আপনাদের আবেগ বুঝতে পারছি। সেই আবেগকে সম্মান জানিয়েই বিনয়ের সঙ্গে সরে দাঁড়াচ্ছি।’

ওই বিজ্ঞাপন থেকে পাওয়া টাকা সমাজসেবার কাজে দান করে দেবেন বলেও জানিয়েছেন অক্ষয়।

তিনি লেখেন, ‘বিজ্ঞাপনের পারিশ্রমিক বাবদ পাওয়া টাকা দান করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওই সংস্থা হয়তো বিজ্ঞাপনটির সম্প্রচার চালিয়ে যাবে, অন্তত আইনিভাবে চুক্তির মেয়াদ শেষ না পর্যন্ত। তার দায় আমারই। তবে কথা দিচ্ছি, আগামী দিনে কাজের ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক থাকব। বিনিময়ে আপনাদের ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা প্রার্থনা করি।’

তবে সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ কবে শেষ, তার উল্লেখ করেননি অক্ষয়।

আরও পড়ুন:
‘বচ্চন পাণ্ডে’-তে আকাশছোঁয়া পারিশ্রমিক অক্ষয়ের
টুইটারে আবদার, ভক্তের জন্মদিনে অক্ষয়ের শুভেচ্ছা
সূর্যবংশী: ১০ দিনে আয় ছাড়াল ২০০ কোটি  
অক্ষয়ের ‘সূর্যবংশী’র প্রদর্শনী বন্ধ করে দিলেন কৃষকরা
কিংবদন্তি ইয়ান কার্দোজোকে নিয়ে সিনেমার ফার্স্ট লুক প্রকাশ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Yash wants a heroine in her Bollywood debut

বলিউডে অভিষেকে কোন নায়িকাকে চান যশ

বলিউডে অভিষেকে কোন নায়িকাকে চান যশ ভারতের কন্নড় সিনেমার রকিং স্টার যশ। ছবি: সংগৃহীত
১৪ এপ্রিল কেজিএফ চ্যাপ্টার টু মুক্তির পর ঝড় তুলেছে বক্স অফিসে। জনপ্রিয়তা আর খ্যাতির শীর্ষে এখন যশ। তার সঙ্গে যখন অভিনয় করতে মুখিয়ে আছেন একাধিক অভিনেত্রী, কিন্তু তিনি কার সঙ্গে অভিনয় করার অপেক্ষায় রয়েছেন।

২০১৮ সালের শেষের দিকে মুক্তি পায় ভারতের দক্ষিণের কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বিগ বাজেটের সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার ওয়ান

মুক্তির পর শুধু ভারতে নয়, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল এটি। বক্স অফিসে গড়েছিল ইতিহাস।

গ্যাংস্টারদের নিয়ে গল্পের এই সিনেমায় দুর্দান্ত মারকুটে অভিনয় দিয়ে পুরো ভারত মাতিয়েছিলেন কন্নড় রকিং স্টার যশ। শুধু তা-ই নয়, এই সিনেমা দিয়ে দেশের বাইরেও লাখো ভক্ত-অনুরাগী জুটিয়েছেন এই অভিনেতা।

এরপর আবার ১৪ এপ্রিল কেজিএফ চ্যাপ্টার টু মুক্তির পর ঝড় তুলেছে বক্স অফিসে। জনপ্রিয়তা আর খ্যাতির শীর্ষে এখন যশ। তার সঙ্গে যখন অভিনয় করতে মুখিয়ে আছেন একাধিক অভিনেত্রী, কিন্তু তিনি কার সঙ্গে অভিনয় করার অপেক্ষায় রয়েছেন।

সেই অভিনেত্রী আর কেউ নন তিনি বলিউডের মাস্তানি দীপিকা পাডুকোন। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন যশ।

বলিউডে অভিষেকে কোন নায়িকাকে চান যশ

সেই সাক্ষাৎকারে যশ জানান, যদি সুযোগ দেয়া হয় তাহলে দীপিকা পাডুকোনের সঙ্গে কাজ করতে চান তিনি। আর তার বিপরীতে অভিনয় করেই বলিউডে পা রাখতে চান তিনি।

শুধু দর্শকদের নয় অনেক তারকারও পছন্দের অভিনেত্রী দীপিকা। তার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ারের ইচ্ছা প্রকাশ করেন অনেকেই। এবার সেই তালিকায় যোগ হল কেজিএফ তারকা যশ।

আরও পড়ুন:
একদিনে ১৩৪ কোটি রুপির ব্যবসা করল ‘কেজিএফ টু’
‘আরআরআর’-এর দুই মাসের রেকর্ড ৩ দিনে ভাঙল ‘কেজিএফ’
‘কেজিএফ টু’ মুক্তির দিন জানালেন যশ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
What is the difference between Southern and Bollywood Sanjay Dutt

দক্ষিণী ও বলিউডের মধ্যে কী পার্থক্য দেখেন সঞ্জয় দত্ত

দক্ষিণী ও বলিউডের মধ্যে কী পার্থক্য দেখেন সঞ্জয় দত্ত
সেই সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হিরোইজম ভুলতে বসেছে, কিন্তু দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি বীরত্বকে এখনও ভুলে যায়নি। আমি বলছি না যে স্লাইস অফ লাইফ খারাপ। কিন্তু আমরা কেন আমাদের উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থানের দর্শকদের ভুলে গিয়েছি।’

বিগত কয়েক বছরে বলিউডের চেয়ে বেশি সাড়া ফেলছে ভারতের দক্ষিণী সিনেমা। তার উদাহরণ বাহুবলী, পুষ্পা, আরআরআর, কেজিএফসহ অনেক সিনেমা। বর্তমানে বক্স অফিসে চলছে দক্ষিণী কন্নড় সিনেমা কেজিএফ টু-এর ঝড়।

কন্নড়, তেলেগু, তামিল, মালয়ালাম ও হিন্দি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। এতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কন্নড় রকিং স্টার যশ। আর অন্যতম আরেক প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সঞ্জয় দত্ত।

বলিউড ও দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে পার্থাক্য কোথায়? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তা নিজের অভিমত জানিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সেই সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হিরোইজম ভুলতে বসেছে, কিন্তু দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি বীরত্বকে এখনও ভুলে যায়নি। আমি বলছি না যে স্লাইস অফ লাইফ খারাপ। কিন্তু আমরা কেন আমাদের উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থানের দর্শকদের ভুলে গিয়েছি, যারা আমাদের দর্শকমহলের একটি বড় অংশ।

‘আমি আশা করি, হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সেই প্রবণতা ফিরে আসবে। আগে আমাদের স্বতন্ত্র প্রযোজক এবং অর্থদাতা ছিল, যা ফিল্ম স্টুডিওগুলোর করপোরেটাইজেশনের অবসান ঘটিয়েছে। করপোরেটাইজেশন ভালো, তবে এটি সিনেমার পছন্দের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।’

উদাহরণ দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘দেখুন এস এস রাজমৌলির নির্দিষ্ট প্রযোজক রয়েছেন, যারা তার দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখেন। আমাদের সঙ্গে আগেকার দিনে গুলশান রাই, যশ চোপড়া, সুভাষ ঘাই এবং যশ জোহরের মতো প্রযোজকও ছিলেন। তারা যে সিনেমাগুলো তৈরি করেছেন তা দেখুন। দক্ষিণে তারা কাগজে স্ক্রিপ্ট দেখে, এখানে আমরা কাগজে পরিসংখ্যান দেখি।’

সঞ্জয়কে পরবর্তী সময়ে যশ রাজ ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিতব্য পৃথ্বীরাজ সিনেমায় দেখা যাবে। এতে আরও রয়েছেন অক্ষয় কুমার, মানুষী চিল্লার, সাক্ষী তানওয়ার এবং সোনু সুদ। এ ছাড়া শামশেরায় দেখা যাবে তাকে।

আরও পড়ুন:
‘সঞ্জু বাবা’র ৬২
মান্যতাই সঞ্জয় দত্তের জীবনের আলো
ক্যান্সারকে হারিয়ে ঠিকই ফিরব: সঞ্জয় দত্ত

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Mother is Kajal Agarwal

মা হয়েছেন কাজল আগারওয়াল

মা হয়েছেন কাজল আগারওয়াল ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল আগারওয়াল। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
চলতি বছর জানুয়ারিতে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন কাজল। ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রেমিক গৌতম কিসলুর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন অভিনেত্রী। এবার তাদের পরিবারে এলো নতুন সদস্য।

ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল আগারওয়াল মা হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে তার কোলজুড়ে এসেছে ফুটফুটে পুত্রসন্তান। মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ আছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এ তথ্য জানিয়েছেন অভিনেত্রীর বোন নিশা আগারওয়াল।

এটি জীবনের সেরা সুখবর উল্লেখ করেন নিশা। এর আগে তিনি ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, ‘এটি একটি আনন্দের দিন, একটি বিশেষ খবর আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার অপেক্ষা সইছে না।’

চলতি বছর জানুয়ারিতে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন কাজল। ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রেমিক গৌতম কিসলুর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন অভিনেত্রী। এবার তাদের পরিবারে এলো নতুন সদস্য। তা নিয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বসিত তারকাদম্পতি।

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গৌতম কিসলু তাকে যেভাবে দেখভাল করেছেন, তাতে ভীষণ খুশি অভিনেত্রী। গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বামীকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি আবেগঘন বার্তাও লিখেছিলেন কাজল।

মা হয়েছেন কাজল আগারওয়াল
কাজল আগারওয়াল ও তার স্বামী গৌতম কিসলু। ছবি: ইনস্টগ্রাম

সেখানে তাকে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমাদের সন্তান আসার আগে কতটা যত্ন নিচ্ছ আমার, আমি জানতে চাই, তুমি ঠিক কতটা অসাধারণ একজন মানুষ আর কতটা অসাধারণ একজন বাবা হতে চলেছ।’

শিগগিরই কাজলকে দেখা যাবে চিরঞ্জীবী এবং রামচরণ অভিনীত আচার্য সিনেমায়। ২৯ এপ্রিল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

মন্তব্য

p
উপরে