বিমা খাতের শেয়ার দর যেভাবে বেড়েছিল লাফিয়ে লাফিয়ে, সেভাবেই এখন দাম কমছে ধপাস করে। আকর্ষণীয় মুনাফা ও লভ্যাংশ ঘোষণা করেও দর ধরে রাখতে পারছে না ব্যাংক খাত। টানা উত্থানের পর পতন বস্ত্র খাতেও।
সব মিলিয়ে সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবসে বড় পতন পুঁজিবাজারে। তবে এর মধ্যে ব্যতিক্রম একটি খাত। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের যেগুলোর লেনদেন হয়েছে, দাম বেড়েছে তার প্রতিটির।
অর্থবছর শেষের আর পাঁচ কর্মদিবস বাকি। ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩০টি কী পরিমাণ লভ্যাংশ ঘোষণা করবে, তার হিসাব-নিকাশ শুরু হবে। তবে তৃতীয় প্রান্তিকের যে হিসাব প্রকাশ হয়েছে, তাতে সিংহভাগের আয় হয়েছে ব্যাপক।
তিন প্রান্তিকেই যে পরিমাণ আয় করেছে বেশির ভাগ ফান্ড, সেই পরিমাণ আয় গত ১০ বছরের কোনো বছরেই করতে পারেনি ফান্ডগুলো।
আবার ১ এপ্রিল থেকে চতুর্থ প্রান্তিকে সূচক বেড়েছে ৭৫০ পয়েন্টের বেশি। ফলে সহজেই অনুমান করা যায়, এই প্রান্তিকেও ব্যাপক আয় করবে তারা। ফলে এবার ইউনিট মূল্যের তুলনায় বেশ ভালো পরিমাণে লভ্যাংশ আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই খাতের সাউথইস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হচ্ছে না গত ১৬ মে থেকে। বাকিগুলোর মধ্যে দুটি ছিল সবচেয়ে বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির তালিকায়। আর ২০টি কোম্পানির ছয়টি ছিল এই খাতের।
সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর। ১০ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১ টাকা ৩০ পয়সা। এর চেয়ে বেশি দাম বাড়া সম্ভব ছিল না।
সব মিলিয়ে বড় পতনের দিন ১১টি ফান্ডের দাম বেড়েছে ৪ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি।
অন্য খাতগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝড় বেছে বিমা খাতে, এরপর ব্যাংকে। আর তৃতীয় অবস্থানে বস্ত্র খাত।
বিমা খাতের ৫০টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে ৪৭টি। অন্যদিকে ব্যাংক খাতের ৩১টির মধ্যে ২৪টি, বস্ত্রের ৫৮টির মধ্যে ৪১টি কোম্পানি দর হারিয়েছে।
প্রধান খাতগুলোর মধ্যে প্রকৌশল, বিদ্যুৎ, জ্বালানিও হতাশ করেছে বিনিয়োগকারীদের। আর ওষুধ ও রসায়ন খাতে ছিল মিশ্র প্রবণতা।
দিন শেষে সূচক পড়েছে ৬৯ পয়েন্ট, তবে লেনদেন আবার ছাড়িয়েছে দুই হাজার কোটি টাকা।
পতনে শীর্ষ বিমা খাত
উচ্ছাশার বিমার শেয়ারের পতন থামছেই না। পতন এতটাই বেশি ছিল যে, দিনের সর্বোচ্চ পতন হওয়া দশটির মধ্যে সাতটি ছিল বিমার।
সবচেয়ে বেশি দর পতন হয়েছে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের। ৯.৮২ শতাংশ দর হারিয়েছে কোম্পানিটি। আট কর্মদিবসে দাম ২১৫ টাকা থেকে নেমে এসেছে ১৬৪ টাকা ৪০ পয়সায়।
প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৯.০৯ শতাংশ।
প্রগতি ইন্স্যরেন্সের ৮.৮৩ শতাংশ, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ৮.৭৫ শতাংশ, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৮.৫৫ শতাংশ, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের ৮.২০ শতাংশ, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের দর কমেছে ৭.৯৩ শতাংশ।
বিমা খাতের লেনদেন হয়েছে ২১০ কোটি টাকা, যা আগের দিনে ছিল ৩৬৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
ব্যাংকে আগ্রহে আরও ভাটা
আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ১০ পয়সা দাম বৃদ্ধি ছাড়া আর স্বস্তি কেবল এবি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংকের দর ধরে রাখা।
কমেছে বাকি সব কটির দর। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে লভ্যাংশের আগে উড়তে থাকা রূপালী ব্যাংক। পর পর দুই দিন দর হারিয়ে বিনিয়োগকারীদের পকেট ফাঁকা করেছে কোম্পানিটি।
গত বছর লভ্যাংশ দিতে না পারা ব্যাংকটি এবার লভ্যাংশ দেবে গুজবে শেয়ার পর ৪০ টাকা ছাড়িয়ে যায় গত সপ্তাহে। তবে এখন কমতে কমতে ৩৩ টাকা ৮০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।
এ ছাড়া ডাচবাংলা ব্যাংক ১ টাকা ৭০ পয়সা, এনআরবিসি ১ টাকা ৬০ পয়সা, ইবিএল ১ টাকা ১০ পয়সা, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ৫০ পয়সা, ব্র্যাক ব্যাংক ৪০ পয়সা দর জারিয়েছে।
ব্যাংক খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১১৭ কোটি টাকা। আগের দিন যা ছিল ১৫৩ কোটি টাকার বেশি।
সকালে ঊর্ধ্বমুখী লাফ, বিকেলে পতন বস্ত্র খাতে
গত কয়েকদিনের ধারাবাহিকতায় বস্ত্র খাতের শেয়ার দরও সকালে অনেক বেড়ে যায়। ১০ শতাংশ বা আশেপাশে দাম বেড়ে যায় অনেকগুলো কোম্পানির। তবে দুপুরের পর থেকেই দেখা যায় উল্টো চিত্র।
দিন শেষে এই খাতও হতাশ করেছে বিনিয়োগকারীদের। বরং সকালে উচ্চমূল্যে কিনে বিকেলেই আবার বড় লোকসানে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
পতনের দিনও তিনটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে এক দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই। সবচেয়ে বেশি দর বাড়া ১০টি কোম্পানির তিনটি ছিল মালেক স্পিনিং, মুন্নু ফেব্রিক্স ও তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল।
এর মধ্যে মুন্নু ও তমিজউদ্দিন ১২ বছর পর ওটিসি মার্কেট থেকে ফিরে আসার পর প্রতিদিন প্রায় ১০ শতাংশ বাড়তে বাড়তে দ্বিগুণ বা তার চেয়ে বেশি দাম হয়ে গেছে। আর মালেক স্পিনিং তার উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো ও তিন প্রান্তিকে ব্যাপক মুনাফা করার তথ্য জানানোর পর থেকে উল্লম্ফনে আছে।
আগের দুই দিনের মতো এদিনও সবচেয়ে বেশি লেনদেন লেনদেন হয়েছে বস্ত্র খাতে। এদিন মোট ৩৮৬ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা আগের দিন ছিল ৪৭৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
আগ্রহের নতুন মাত্র মিউচ্যুয়াল ফান্ডে
বুধবার এক প্রকার চমক দিয়ে দর বৃদ্ধির তালিকায় ওঠে এসেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো।
আইসিবি সেকেন্ড এনআরবির পরে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৮.১২ শতাংশ। ৭ টাকা ৩০ পয়সা দরের এই ফান্ডটি বুধবার লেনদেন শেষে হয়েছে ৭ টাকা ৯০ পয়সা।
আইসিবি এ্যাম্পোয়ার প্রভিডেন্ট ফান্ড ওয়ান, স্কিম ওয়ান এর দর বেড়েছে ৬.৭৫ শতাংশ। ইউনিটি প্রতি দর ৭ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭ টাকা ৯০ পয়সা।
এসইএমএল লেকটার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের দর বেড়েছে ৬.৪২ শতাংশ। ইউনিটি প্রতি দর ১১ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১ টাকা ৬০ পয়সা।
এমবিএল ফাস্র্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে ৬.২৫ শতাংশ। ইউনিট প্রতি দর ৮ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮ টাকা ৫০ পয়সা। ফিনিক্স ফিন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট প্রতি দর বেড়েছে ৫.৬১ শতাংশ। এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ডের ইউনিট প্রতি দর বেড়েছে ৫.০৫ শতাংশ। এনসিসিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান এর দর বেড়েছে ৫ শতাংশ।
বুধবার মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ৯০ কোটি টাকা।
অন্যান্য প্রধান খাতগুলোর মধ্যে ২১২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে প্রকৌশল খাতে, ২০৬ কোটি ৪২ টাকা হাতবদল হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে ২০৬ কোটি টাকা হাতবদল হয়েছে।
সূচক ও লেনদেন
বুধবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬৯ দশমকি ৮৯ পয়ন্টে কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৫ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৬ দশমিক ৯১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৯৭ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১৬ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৮৮ পয়েন্টে।
মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩০ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৭ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের তুলনায় ১৯৪ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫৭০ পয়েন্টে। মোট লেনদেন হয়েছে ১৩৬ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য