বিমা খাতের শেয়ার দর যেভাবে বেড়েছিল লাফিয়ে লাফিয়ে, সেভাবেই এখন দাম কমছে ধপাস করে। আকর্ষণীয় মুনাফা ও লভ্যাংশ ঘোষণা করেও দর ধরে রাখতে পারছে না ব্যাংক খাত। টানা উত্থানের পর পতন বস্ত্র খাতেও।
সব মিলিয়ে সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবসে বড় পতন পুঁজিবাজারে। তবে এর মধ্যে ব্যতিক্রম একটি খাত। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের যেগুলোর লেনদেন হয়েছে, দাম বেড়েছে তার প্রতিটির।
অর্থবছর শেষের আর পাঁচ কর্মদিবস বাকি। ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩০টি কী পরিমাণ লভ্যাংশ ঘোষণা করবে, তার হিসাব-নিকাশ শুরু হবে। তবে তৃতীয় প্রান্তিকের যে হিসাব প্রকাশ হয়েছে, তাতে সিংহভাগের আয় হয়েছে ব্যাপক।
তিন প্রান্তিকেই যে পরিমাণ আয় করেছে বেশির ভাগ ফান্ড, সেই পরিমাণ আয় গত ১০ বছরের কোনো বছরেই করতে পারেনি ফান্ডগুলো।
আবার ১ এপ্রিল থেকে চতুর্থ প্রান্তিকে সূচক বেড়েছে ৭৫০ পয়েন্টের বেশি। ফলে সহজেই অনুমান করা যায়, এই প্রান্তিকেও ব্যাপক আয় করবে তারা। ফলে এবার ইউনিট মূল্যের তুলনায় বেশ ভালো পরিমাণে লভ্যাংশ আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই খাতের সাউথইস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হচ্ছে না গত ১৬ মে থেকে। বাকিগুলোর মধ্যে দুটি ছিল সবচেয়ে বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির তালিকায়। আর ২০টি কোম্পানির ছয়টি ছিল এই খাতের।
সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর। ১০ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১ টাকা ৩০ পয়সা। এর চেয়ে বেশি দাম বাড়া সম্ভব ছিল না।
সব মিলিয়ে বড় পতনের দিন ১১টি ফান্ডের দাম বেড়েছে ৪ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি।
অন্য খাতগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝড় বেছে বিমা খাতে, এরপর ব্যাংকে। আর তৃতীয় অবস্থানে বস্ত্র খাত।
বিমা খাতের ৫০টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে ৪৭টি। অন্যদিকে ব্যাংক খাতের ৩১টির মধ্যে ২৪টি, বস্ত্রের ৫৮টির মধ্যে ৪১টি কোম্পানি দর হারিয়েছে।
প্রধান খাতগুলোর মধ্যে প্রকৌশল, বিদ্যুৎ, জ্বালানিও হতাশ করেছে বিনিয়োগকারীদের। আর ওষুধ ও রসায়ন খাতে ছিল মিশ্র প্রবণতা।
দিন শেষে সূচক পড়েছে ৬৯ পয়েন্ট, তবে লেনদেন আবার ছাড়িয়েছে দুই হাজার কোটি টাকা।
পতনে শীর্ষ বিমা খাত
উচ্ছাশার বিমার শেয়ারের পতন থামছেই না। পতন এতটাই বেশি ছিল যে, দিনের সর্বোচ্চ পতন হওয়া দশটির মধ্যে সাতটি ছিল বিমার।
সবচেয়ে বেশি দর পতন হয়েছে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের। ৯.৮২ শতাংশ দর হারিয়েছে কোম্পানিটি। আট কর্মদিবসে দাম ২১৫ টাকা থেকে নেমে এসেছে ১৬৪ টাকা ৪০ পয়সায়।
প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৯.০৯ শতাংশ।
প্রগতি ইন্স্যরেন্সের ৮.৮৩ শতাংশ, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ৮.৭৫ শতাংশ, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৮.৫৫ শতাংশ, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের ৮.২০ শতাংশ, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের দর কমেছে ৭.৯৩ শতাংশ।
বিমা খাতের লেনদেন হয়েছে ২১০ কোটি টাকা, যা আগের দিনে ছিল ৩৬৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
ব্যাংকে আগ্রহে আরও ভাটা
আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ১০ পয়সা দাম বৃদ্ধি ছাড়া আর স্বস্তি কেবল এবি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংকের দর ধরে রাখা।
কমেছে বাকি সব কটির দর। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে লভ্যাংশের আগে উড়তে থাকা রূপালী ব্যাংক। পর পর দুই দিন দর হারিয়ে বিনিয়োগকারীদের পকেট ফাঁকা করেছে কোম্পানিটি।
গত বছর লভ্যাংশ দিতে না পারা ব্যাংকটি এবার লভ্যাংশ দেবে গুজবে শেয়ার পর ৪০ টাকা ছাড়িয়ে যায় গত সপ্তাহে। তবে এখন কমতে কমতে ৩৩ টাকা ৮০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।
এ ছাড়া ডাচবাংলা ব্যাংক ১ টাকা ৭০ পয়সা, এনআরবিসি ১ টাকা ৬০ পয়সা, ইবিএল ১ টাকা ১০ পয়সা, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ৫০ পয়সা, ব্র্যাক ব্যাংক ৪০ পয়সা দর জারিয়েছে।
ব্যাংক খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১১৭ কোটি টাকা। আগের দিন যা ছিল ১৫৩ কোটি টাকার বেশি।
সকালে ঊর্ধ্বমুখী লাফ, বিকেলে পতন বস্ত্র খাতে
গত কয়েকদিনের ধারাবাহিকতায় বস্ত্র খাতের শেয়ার দরও সকালে অনেক বেড়ে যায়। ১০ শতাংশ বা আশেপাশে দাম বেড়ে যায় অনেকগুলো কোম্পানির। তবে দুপুরের পর থেকেই দেখা যায় উল্টো চিত্র।
দিন শেষে এই খাতও হতাশ করেছে বিনিয়োগকারীদের। বরং সকালে উচ্চমূল্যে কিনে বিকেলেই আবার বড় লোকসানে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
পতনের দিনও তিনটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে এক দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই। সবচেয়ে বেশি দর বাড়া ১০টি কোম্পানির তিনটি ছিল মালেক স্পিনিং, মুন্নু ফেব্রিক্স ও তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল।
এর মধ্যে মুন্নু ও তমিজউদ্দিন ১২ বছর পর ওটিসি মার্কেট থেকে ফিরে আসার পর প্রতিদিন প্রায় ১০ শতাংশ বাড়তে বাড়তে দ্বিগুণ বা তার চেয়ে বেশি দাম হয়ে গেছে। আর মালেক স্পিনিং তার উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো ও তিন প্রান্তিকে ব্যাপক মুনাফা করার তথ্য জানানোর পর থেকে উল্লম্ফনে আছে।
আগের দুই দিনের মতো এদিনও সবচেয়ে বেশি লেনদেন লেনদেন হয়েছে বস্ত্র খাতে। এদিন মোট ৩৮৬ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা আগের দিন ছিল ৪৭৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
আগ্রহের নতুন মাত্র মিউচ্যুয়াল ফান্ডে
বুধবার এক প্রকার চমক দিয়ে দর বৃদ্ধির তালিকায় ওঠে এসেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো।
আইসিবি সেকেন্ড এনআরবির পরে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৮.১২ শতাংশ। ৭ টাকা ৩০ পয়সা দরের এই ফান্ডটি বুধবার লেনদেন শেষে হয়েছে ৭ টাকা ৯০ পয়সা।
আইসিবি এ্যাম্পোয়ার প্রভিডেন্ট ফান্ড ওয়ান, স্কিম ওয়ান এর দর বেড়েছে ৬.৭৫ শতাংশ। ইউনিটি প্রতি দর ৭ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭ টাকা ৯০ পয়সা।
এসইএমএল লেকটার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের দর বেড়েছে ৬.৪২ শতাংশ। ইউনিটি প্রতি দর ১১ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১১ টাকা ৬০ পয়সা।
এমবিএল ফাস্র্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে ৬.২৫ শতাংশ। ইউনিট প্রতি দর ৮ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮ টাকা ৫০ পয়সা। ফিনিক্স ফিন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট প্রতি দর বেড়েছে ৫.৬১ শতাংশ। এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ডের ইউনিট প্রতি দর বেড়েছে ৫.০৫ শতাংশ। এনসিসিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান এর দর বেড়েছে ৫ শতাংশ।
বুধবার মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ৯০ কোটি টাকা।
অন্যান্য প্রধান খাতগুলোর মধ্যে ২১২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে প্রকৌশল খাতে, ২০৬ কোটি ৪২ টাকা হাতবদল হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে ২০৬ কোটি টাকা হাতবদল হয়েছে।
সূচক ও লেনদেন
বুধবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬৯ দশমকি ৮৯ পয়ন্টে কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৫ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৬ দশমিক ৯১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৯৭ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১৬ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৮৮ পয়েন্টে।
মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩০ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৭ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের তুলনায় ১৯৪ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫৭০ পয়েন্টে। মোট লেনদেন হয়েছে ১৩৬ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য