বিমার শেয়ারের দল বেঁধে ছুটে চলা অব্যাহত রয়েছে। তবে এবার ঊর্ধ্বগতি নয়, নিচের দিকে নামল এই খাতের সিংহভাগ শেয়ার।
এক বছরে অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার পর এই দর পতন মূল্য সংশোধন নাকি অতিমূল্যায়িত শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আনীহা-সে বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে আরও পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছেন একজন বিশ্লেষক।
মঙ্গলবার বিমা খাতে এই ধসের দিন দল বেঁধে দাম বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেছে বস্ত্র খাতে। এ নিয়ে টানা দুই দিন এই খাতের প্রায় সব শেয়ারের দাম বাড়ল।
প্রধান প্রধান খাতগুলোর মধ্যে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতেও রক্তক্ষরণ দেখা গেছে।
আর ওষুধ ও রসায়ন, বিবিধ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক এব প্রকৌশল খাতে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা।
সব মিলিয়ে দিনটি ভালো গেল না বিনিয়োগকারীদের জন্য। গত ৩০ মে ৬ হাজার পয়েন্টের মাইলফলক অতিক্রম করার পর সেখান থেকে ৬ হাজার ১০০ পয়েন্ট উঠতে তিন সপ্তাহ সময় নিয়ে পর দিনই সেখান থেকে নেমে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তবে দিন শেষে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়ে তা ৬ হাজার ১০৫ পয়েন্টে স্থির হয়েছে।
দিন শেষে বিমা খাতের ৫০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র তিনটির। দর পাল্টায়নি একটির। লেনদেন স্থগিত ছিল দুটির, কমেছে বাকি ৪৪টির।
উল্টো চিত্র বস্ত্র খাতে। এ খাতে তালিকাভুক্ত ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৪৫টির, কমেছে ৮টির। বাকি ৫টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।
ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৭টির, কমেছে ১৯টির, পাল্টায়নি ৫টির।
অর্থবছর শেষ হতে চলা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬টি, কমেছে ১৭টির, অপরিবর্তিত ছিল বাকি ১৪টির।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিমা খাতের শেয়ার আগে থেকেই অতিমূল্যায়িত। এ খাতের শেয়ারের দর কমা উচিত। তবে বর্তমানে যেভাবে শেয়ার দর কমছে সেটি মূল্যসংশোধন নাকি পতন সেটি এখনই স্পষ্ট করে বলা ঠিক হবে না।’
তিনি বলেন, ‘জুন ক্লোজিং হিসেবে বস্ত্র খাতের শেয়ারের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে বিনিয়োগকারীরা। তবে শুধু বস্ত্র নয় ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দরও এখন তলানিতে আছে। বিমার বিকল্প হিসেবে কম দামের শেয়ার বা ভালো ফান্ডমেন্টাল খাতে বিনিয়োগ করা যেতে পারে।’
উচ্চাশার বিমায় এবার তীব্র হতাশা
৫ এপ্রিল লকডাউনের শুরু থেকে অস্বাভাবিক উত্থান হওয়া বিমা খাতের বিনিয়োগকারীরা এখন আতঙ্কে। দুই সপ্তাহ ধরে টানা কমছে শেয়ার দর।
বিমার ঠিক উল্টো চিত্র এই খাতে। সবচেয়ে বেশি দর হারানো ১০টি কোম্পানির ৭টিই বিমার কোম্পানি।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। ১৭.১৯ শতাংশ বা ১৬ টাকা ৩০ পয়সা কমেছে কোম্পানিটির দর। এক দিনে ১০ শতাংশ দাম বাড়া বা কমার সার্কিট ব্রেকার থাকলেও লভ্যাংশ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কোম্পানির ক্ষেত্রে দাম বাড়া বা কমার কোনো সীমা ছিল না।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি।
এ ছাড়া রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স ৬.৭৬ শতাংশ, গ্রিনডেলটা ৬.৪৪, ফারইস্ট লাইফ ৫.৯৮, রূপালী ইন্স্যুরেন্সের ৫.৫২, প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের ৫.৪৮, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৫.১৯, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৫.০৮, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর হারিয়েছে ৫ শতাংশ।
এই খাতে শতকরা হিসেবে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের। ৩ টাকা ২০ পয়সা বা ৪.৩২ শতাংশ দাম বেড়েছে কোম্পানিটির।
এই কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ৬০ লাখ ৪৫ হাজার শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছেন। বিমা কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৬০ শতাংশ কেনার শর্ত পূরণ করতে ছয় পরিচালক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ ছাড়া প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৬ টাকা ৪০ পয়সা বা ৩.৪১ শতাংশ, এবং ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্মের ১ টাকা ৯০ পয়সা বা ১.৬৫ শতাংশ।
বিমা খাতে ধস হলেও বেড়েছে লেনদেন। আগের দিন ২৬৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হলেও আজ হাতবদল হয়েছে ৩৬৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
বস্ত্রে আবার উত্থান
টানা দুই দিন সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে এই খাতে। আজ হাতবদল হয়েছে ৪৭৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার। এটি আগের দিনের চেয়ে বেশি। সোমবার হাতবদল হয়েছিল ৩৭৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
টানা দুই দিন এই খাতের শেয়ারে চাঙ্গাভাব দেখা গেছে। সোমবারের মতোই সবচেয়ে বেশি দাম বাড়ার তালিকায় বস্ত্রের কোম্পানিগুলো ছিল এগিয়ে।
সবচেয়ে বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে ৯টিই ছিল এই খাতের। আর সবচেয়ে বেশি দাম বাড়া ২০টি কোম্পানির ১৪টি এই খাতের।
এক দিনে যত দাম বাড়া সম্ভব ততই বেড়েছে তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, মালেক স্পিনিং, স্কয়ার টেক্সটাইল, প্রাইম টেক্সটাইল, ম্যাকসন স্পিনিং, মেট্রো স্পিনিং, ড্রাগন স্যুয়েটার, আরগন ডেনিম, হাওয়েল টেক্সটাইল, মুন্নু ফেব্রিক, এনভয় টেক্সটাইল, কাট্টালী টেক্সটাইল, আফির ইন্ডাস্ট্রিজের দাম।
ঢালাও উত্থানের দিন এই খাতে আনলিমা ইয়ার্ন, এপেক্স স্পিনিং, এসকোয়ার নিট, রহিম টেক্সটাইল, আর এন স্পিনিং, স্টাইলক্রাফট ও তুংহাই নিটের দাম কমেছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে রহিম টেক্সটাইলের। ৫ টাকা ৪০ পয়সা বা ২.৩ শতাংশ কমেছে শেয়ারটির দাম। স্টাইলক্রাফট দর হারিয়েছে ২ টাকা বা ১.৩৭ শতাংশ।
ব্যাংক আবার ঝিমুনিতে
ব্যাংক খাতে একদিন বাড়ে তো পাঁচ দিন কমে- এমন প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। আগের দিন ব্যাংকের শেয়ারের দাম বৃদ্ধি সূচক বাড়ালেও এবার এই খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ১৯টি, বেড়েছে কেবল সাতটি।
তবে সর্বাধিক বৃদ্ধি পাওয়া বা সবচেয়ে কমা, কোনো তালিকাতেই ব্যাংক খাতের কোম্পানিকে দেখা যায়নি।
শতকরা হিসেবে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে রূপালী ব্যাংক। এক বছর বিরতি দিয়ে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণার পর ১ টাকা ৩০ পয়সা বা ৩.৪৬ শতাংশ দাম করা প্রমাণ করে যে এই ঘোষণা বিনিয়োগকারীদের পছন্দ হয়নি। অথচ লভ্যাংশ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ব্যাংকটির শেয়ার দর টানা চারদিন বেড়ে ২৮ টাকা থেকে ৪০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
এরপর সবচেয়ে বেশি কমেছে ব্র্যাক ব্যাংকের দাম। ১ টাকা ৪০ পয়সা বা ২.৮৪ শতাংশ দাম হারিয়েছে কোম্পানিটি।
দর হারানো বাকি সব কোম্পানির দাম কমেছে ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪০ পয়সা।
অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ডাচ বাংলা ব্যাংকের শেয়ার; ১ টাকা ৮০ পয়সা বা ২.১৪ শতাংশ। ব্যাংক এশিয়া, ইবিএল, এক্সিম, মার্কেন্টাইল, এমটিবি, এনবিএলের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ৩০ পয়সা করে।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে ১৫৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে বেশ কম। সোমবার হাতবল হয়েছিল ২১২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
আগ্রহ ধরে রাখল প্রকৌশল, ওষুধ রসায়ন
প্রকৌশল খাতে হাতবদল হয়েছে ১৯৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন ছিল ২০৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
এই খাতে ১৭টি কোম্পানির দাম বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২৪টির দাম।
ওষুধ রসায়নে লেনদেন হয়েছে ১৫৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা, আগের দিন যা ছিল ১৪৩ কোটি টাকা।
এই খাতে ১৫টির দাম বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৩টির দাম।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৯ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ১০৫ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস আগের দিনের তুলনায় ১ দশমিক ২৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩০৪ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১৫ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২০৫ পয়েন্টে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৪টির, কমেছে ২০৪টির। দর পাল্টায়নি ৩১টির।
লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১৭ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ২ হাজার ৪৩ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২ দশমিক ৬০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৭৬৫ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ১০২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
মন্তব্য