এক বছর ধরে দাম বাড়ছে অস্বাভাবিক হারে। সেই সঙ্গে কোনো দিন লেনদেনের এক চতুর্থাংশ, কোনো দিন এক তৃতীয়াংশের বেশি এক খাতেই।
তবে বিমা খাতে হুমড়ি খেয়ে শেয়ার কেনার প্রবণতায় অবশেষে ভাটা দেখা যাচ্ছে। দামের সঙ্গে সঙ্গে কমতে শুরু করেছে লেনদেনও।
পুঁজিবাজারে বিমা খাতে অস্বাভাবিক আগ্রহ নিয়ে কথা হচ্ছে বারবার। এই সময়ে এই খাত নিয়ে অনেক উচ্চাশার কথা বলাবলি হয়েছে। নানা পরিবর্তনে আয় বাড়বে ব্যাপকভাবে, এমন কথা হয়েছে অসংখ্যবার। আর আয় বাড়া মানে লভ্যাংশ বাড়ার সম্ভাবনায় হুমড়ি খেয়ে পড়ে বিনিয়োগকারীরা।
তবে আয় বাড়ার এই পূর্বাভাস সত্য প্রমাণ হয়নি। বেশির ভাগ কোম্পানির আয় বেড়েছে অল্পই। হাতে গোনা দুই-একটি কোম্পানিই কেবল ভালো করেছে। আর প্রত্যাশিত লভ্যাংশও পাওয়া সেভাবে।
গত সপ্তাহ থেকেই বিমা খাতে সংশোধন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। আর শেয়ার দর যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল, সেভাবে না কমলেও ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে।
তবে দাম বাড়ার সময় যেভাবে শেয়ার কেনায় আগ্রহ তৈরি হয়েছিল, কমার সময় আর সেটা দেখা যাচ্ছে না। ফলে কমে আসছে এ খাতের লেনদেন।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, লেনদেন কমে আসার পেছনে দুটি কারণ থাকতে পারে। দাম আবার বাড়বে, এই আশায় শেয়ার বিক্রি কমিয়ে দিতে পারেন কেউ কেউ। আবার শেয়ার দর অতিমূল্যায়িত মনে করে এই খাতে নতুন করে বিনিয়োগের ঝুঁকি নিতে না-ও চাইতে পারেন তারা। এ কারণে শেয়ার বিক্রি কমে যেতে পারে।
চলতি মাসে ৩ জুন বিমা খাতে লেনদেন হয়েছিল ৭৩৪ কোটি টাকা। সেদিন মোট লেনদেনের ৩২ শতাংশের বেশি ছিল এই একটি খাতের। সেদিন বাজেট ঘোষণার পরের কার্যদিবস ৬ জুন লেনদেন হয় আরও বেশি। সেদিন এই খাতে লেনদেন ৯০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। সেদিন মোট লেনদেনের ৩৪ শতাংশের বেশি ছিল এই খাতে।
অন্যদিকে সোমবার এই খাতে লেনদেন হয়েছে ২৬৪ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ১৭ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া খাতের মধ্যে দ্বিতীয় হলেও এটি সাম্প্রতিককালের মধ্যে সবচেয়ে কম।
আগের দিনও এই খাতে হাতবদল হয়েছিল মোট লেনদেনের ২৭ শতাংশ বা প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। এক দিনেই লেনদেন কমে প্রায় অর্ধেক হয়ে গেল।
বিমার কদর হারানোর মধ্যে আগ্রহ তৈরি করেছে বস্ত্র ও প্রকৌশল খাত। সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো সোমবার বস্ত্র খাতে হাতবদল হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এদিন মোট ৩৭৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
লেনদেন চিত্র
৩ জুন বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে মোট লেনদেন ছিল ২ হাজার ২৮২ কোটি টাকা, যার মধ্যে বিমার খাতের লেনদেন ছিল ৭৩৪ কোটি টাকা।
৬ জুন লেনদেন হয় দুই হাজার ৬৯৩ কোটি টাকা, যার মধ্যে বিমা খাতের অবদান ছিল ৯০৭ কোটি টাকা যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ। সেদিন লেনদেনের ৩৪ শতাংশ ছিল এই একটি খাতের।
৮ জুন ২০৬৫ কোটি টাকা লেনদেনের দিন বিমা খাতের অংশগ্রহণ ছিল চার ভাগের এক ভাগ বা ৬১২ কোটি টাকা।
৯ জুন বিমার লেনদেন আরও বেড়ে হয় ৬৩৬ কোটি টাকা। সেদিন পুঁজিবাজারে মোট লেনদেন হয় ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
১০ জুন পুঁজিবাজারে মোট লেনদেন ছিল ২ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা, এর মধ্যে বিমা খাতে হাতবদল হয় ৫৬০ কোটি টাকা।
দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি শেষে ১৩ জুন মোট লেনদেন হয় ২ হাজার ৬৯ কোটি টাকা, এর মধ্যে বিমা খাতের অবদান ছিল ৩৭৮ কোটি টাকা।
১৪ জুন পুঁজিবাজারে মোট লেনদেন ছিল ১ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা, এর মধ্যে বিমা খাতের ছিল ৪১১ কোটি টাকা।
১৬ জুন লেনদেন হয় ২ হাজার ১০৯ কোটি টাকা, এর মধ্যে বিমার খাতে ছিল ৬১৪ কোটি টাকা।
১৭ জুন মোট লেনদেন হয় ১ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকা, এর মধ্যে বিমা খাতের ছিল ৪৮১ কোটি টাকা।
চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার মোট লেনদেন হয় ১ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা, এর মধ্যে বিমার ছিল ৪২২ কোটি টাকা।
পরের দিন তা কমে প্রায় অর্ধেক হয়ে যায়।
কেন কমছে লেনদেন
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা দেবব্রুত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিমা খাতের শেয়ার নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরেই আলোচনায়। এই আলোচনার মধ্যেই এই খাতের শেয়ারের দর অনেক বেড়েছে। তবে দর বাড়ার পেছনে কিছু কারণ ছিল। যে কারণগুলো ছিল সে কারণে শেয়ার দর যেহারে বেড়েছে ততটা বাড়া উচিত ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘এখন লেনদেন কমে আসার কারণ হচ্ছে, অতিমূল্যায়িত শেয়ার কেউ কিনতে চাচ্ছে না। ফলে বিক্রি করতে চাইলেও ক্রেতা থাকছে না। ফলে দর কমছে। এখন বিমার বিনিয়োগ যাচ্ছে অন্যান্য খাতে। ব্যাংকের শেয়ার দর বাড়ছে। জুন ক্লোজিং হিসেবে বস্ত্র খাতের প্রতিও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। আল্টিমেটলি বিমা থেকে বিনিয়োগ অন্য খাতে প্রবাহিত হচ্ছে।’
দামও কমেছে
বিমা খাতের তুমুল আলোচিত কয়েকটি কোম্পানির দামের চিত্র দেখলেই এই খাতে দরপতনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠে।
গত এক বছরে সবচেয়ে বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়া প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার মূল্য গত ১৬ জুনও ছিল ২০১ টাকা ১০ পয়সা। সেটি এখন কমে দাঁড়িয়েছে ১৮৭ টাকা ৫০ পয়সা।
পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর গত ১৪ জুন ছিল ২০৮ টাকা ৯০ পয়সা। সেটি কমে সোমবার দাঁড়িয়েছে ১৮৭ টাকা ১০ পয়সা।
ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর গত ৮ জুন ছিল ১১২ টাকা ৫০ পয়সা। সেটি সোমবার কমে দাঁড়িয়েছে ৯২ টাকা ৫০ পয়সায়।
রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর গত ১৬ জুন ছিল ১৩১ টাকা ৬০ পয়সা। সেটি সোমবার কমে হয়েছে ১১০ টাকা ৮০ পয়সা।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমছে গত ১৬ মে থেকেই। সেদিন দর ছিল ১৪৯ টাকা ৩০ পয়সা। সেটি সোমবার নেমে আসে ১২০ টাকায়।
সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের দর গত ৯ জুন ছিল ১২১ টাকা ৮০ পয়সা। সেটি কমে সোমবার দাঁড়িয়েছে ৯৬ টাকা ৫০ পয়সা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
মন্তব্য