করোনাকালে অর্থনীতির দুর্দিনে এক অনন্য নজির দেখাল পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একটি ব্যাংক।
মহামারির মধ্যেও নানা সুযোগ-সুবিধা নিয়ে যখন ব্যাংকের সার্বিক খেলাপি ঋণ ৬ হাজার ৩৫১ কোটি টাকা বেড়েছে, তখন ব্যাংক এশিয়া উল্টো ১৭৫ কোটি টাকা আদায় করেছে।
গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকটির কোনো গ্রাহকের নাম খেলাপির খাতায় ওঠেনি। উল্টো বেশ কয়েকজন গ্রাহক কিস্তি পরিশোধ করে তাদের ঋণ নিয়মিত করেছেন।
মার্চ পর্যন্ত ব্যাংক এশিয়ার বিতরণ করা মোট ঋণ ২৪ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৬১৮ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ৭৯৩ কোটি টাকা, যা ওই সময় বিতরণকৃত ঋণের ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ ছিল।
অর্থাৎ ব্যাংকটি তার মোট খেলাপি ঋণের ২২ শতাংশ এই তিন মাসেই আদায় করতে পেরেছে।
মার্চ মাস শেষে দেশে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৯৫ হাজার ৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৮ দশমিক ০৭ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ছিল ৮৮ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
সেই হিসাবে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৬ হাজার ৩৫১ কোটি টাকা।
মার্চ শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫৯ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ পরিস্থিতি শীর্ষক প্রতিবেদনে দেখা গেছে এ সময়ে সাতটি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ কমেছে। আর ৫০টি ব্যাংকের বেড়েছে। আর অপরিবর্তিত রয়েছে সরকারি বিশেষায়িত দুটি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ।
এই ছয়টি ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকা ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আরফান আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিশেষ সুবিধা (ডেফার্ড বা অতিরিক্ত সময়) দেয়া হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেও কিছু ভালো গ্রাহক নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করছেন। আবার কেউ কেউ আরও সুযোগ-সুবিধা খুঁজছেন।’
তিনি বলেন, ‘নতুন কোনো খেলাপি হয়নি। কারণ কিস্তি পরিশোধে কিছু ছাড় চলছে। অনেক গ্রাহক এ সুবিধা নেয়ার কারণে নতুন করে খেলাপি হয়নি। পুরাতন ঋণের মধ্যে অনেক গ্রাহক নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করেছেন। নতুন খেলাপি না হওয়া আর পুরান ঋণ আদায়ের কারণে সার্বিকভাবে খেলাপি ঋণ আদায় কিছুটা বেড়েছে।’
সার্বিকভাবে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে অভিজ্ঞ এই ব্যাংকার বলেন, ‘এগুলোর বেশিরভাগই মন্দ মানের ঋণ। এসব ঋণের এক কিস্তি দিতে না পারলেই মন্দ মানের খেলাপিতে পরিণত হয়।’
তবে কোনো ঋণখেলাপি টাকা পরিশোধ না করে সামনে যেতে পারবে না। এই বিষয়টা বারবার মনে করিয়ে দেয়া উচিত বলেও তিনি মনে করেন।
সাফল্য দেখিয়েছে অন্য আরও ছয়টি ব্যাংক।
১. ডাচ্-বাংলা
শতকরা হারে এই ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ সবচেয়ে কম। এদের মোট বিতরণ ২৭ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা। মার্চ শেষে খেলাপি ঋণ ৬৫৩ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ৫৯২ কোটি টাকা, যা ছিল ওই সময় বিতরণ করা ঋণের ২ দশমিক ১৭ শতাংশ।
এই ব্যাংকটিও তিন মাসে ৫৫ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায় করতে পেরেছে।
জনতা
মার্চ শেষে ব্যাংকটির ঋণ বিতরণ ৫৭ হাজার ৮২ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ১৩ হাজার ৫৭০ কোটি ৮১ লাখ টাকা, যা বিতরণকৃত ঋণের ২৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
তবে ডিসেম্বরের তুলনায় খেলাপি ঋণের পরিস্থিতিটা কিছুটা হলেও ভালো দেখাচ্ছে।
সে সময় ছিল ১৩ হাজার ৬২২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। তিন মাসে ব্যাংকটি ৫১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আদায় করেছে।
সোনালী
মার্চ শেষে ব্যাংকটির ঋণ বিতরণ ৫৩ হাজার ৯৬৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ১০ হাজার ৬৮৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, যা বিতরণকৃত ঋণের ১৯ দশমিক ৮০ শতাংশ।
ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিল আরও বেশি ১০ হাজার ৭২১ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
তিন মাসে ব্যাংকটি ৩২ কোটি ৬৪ লাখ টাকা আদায় করেছে।
ন্যাশনাল ব্যাংক অফ পাকিস্তান
এ ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের প্রায় পুরোটাই খেলাপি। মার্চ শেষে ব্যাংকটির ঋণ বিতরণ ১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ১ হাজার ৩৫৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, যা বিতরণকৃত ঋণের ৯৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
প্রায় সব টাকাই খেলাপিতে পরিণত হওয়া ব্যাংকটি তিন মাসে ১৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা আদায় করেছে।
ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ ছিল ১ হাজার ৩৭৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক
বিতরণ করা ঋণের অধিকাংশই খেলাপিতে পরিণত। মার্চ পর্যন্ত মোট ঋণ ৮৫৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৬৬৯ কোটি টাকা। শতকরা হিসাবে এই হার ৭৮ দশমিক ১৮ শতাংশ।
তবে ডিসেম্বরের পরিসংখ্যানের তুলনায় পরিস্থিতি কিছুটা হলেও ভালো দেখাচ্ছে। সে সময় খেলাপি ঋণ ছিল ৬৭১ কোটি টাকা, যা ওই সময় বিতরণকৃত ঋণের ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ।
আদায়ের অঙ্কটা খুব বেশি না হলেও দুই কোটি টাকা আদায় কিছুটা হলেও স্বস্তি নিয়ে আসতে পেরেছে।
ব্যাংক আল ফালাহ
বিদেশি এই ব্যাংকটির মার্চ শেষে ঋণ বিতরণ ৯৫৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৩৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, যা বিতরণকৃত ঋণের ৩ দশমিক ৫২ শতাংশ।
ব্যাংকটির অবস্থা ডিসেম্বর শেষেও ছিল খুবই ভালো অবস্থানে। সে সময় খেলাপি ঋণ ছিল ৩৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
তিন মাসে ব্যাংকটি ২২ লাখ টাকা আদায় করতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন:ইতালি নেয়ার কথা বলে লিবিয়ায় আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির আলোচিত ঘটনায় ৭ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা। মামলার পর মানবপাচার দলের প্রধান মুকুল ঠাকুরের মেয়ে-জামাতা ফরিদপুরের সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এসএম শাকিল হোসাইনকে গ্রেপ্তার করেছে সালথা থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া এসএম শাকিল হোসাইন উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের বিভাগদী গ্রামের মৃত নওফেল মাতুব্বরের ছেলে। বর্তমানে তিনি সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। কয়েক মাস আগে তিনি বিয়ে করেন পার্শ্ববর্তী রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের মুকুল ঠাকুর নামক এক ব্যক্তির মেয়েকে।
শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সালথা থানার ওসি মোহাম্মাদ ফায়েজুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিপণের দাবিতে লিবিয়ায় ভিকটিম শাকিলকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। এ ঘটনায় শাকিলের বাবা টিটুল মিয়া প্রথমে মামলা করতে চাননি। অবশেষে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে মানবপাচার দমন আইনে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।’
ওসি বলেন, ‘মামলার পর শুক্রবার সকালে আসামি শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি মামলার প্রধান আসামি মুকুল ঠাকুরের মেয়ে-জামাতা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাকিল অনেক তথ্য দিয়েছেন।’
ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল নগরকান্দা) মো. আছাদুজ্জামান বলেন, ‘লিবিয়ায় শাকিলের ওপর নির্মম নির্যাতন ও মুক্তিপণের বিষয়টি প্রথম থেকেই আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে আসছি। এ ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি ভিকটিমকে উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
প্রসঙ্গত, অভাবের সংসারে পরিবারের মুখে একটু হাসি ফোটাতে লেখাপড়া বাদ দিয়ে চার মাস আগে প্রতিবেশী মুকুল ঠাকুর নামের এক দালালের মাধ্যমে ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে ইতালির উদ্দেশ্য রওয়ানা হন শাকিল মিয়া। কিন্তু দালালরা তাকে ইতালির বদলে লিবিয়ায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তাকে আটকে রেখে দালালরা আরও ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। একইসঙ্গে শাকিলের ওপর চলতে থাকে নির্মম নির্যাতন।
আরও পড়ুন:আওয়ামী লীগকে ভারতীয় পণ্য উল্লেখ করে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘এই দলকে বর্জন করলেই জাতির মুক্তি মিলবে। সব পণ্য বর্জনের প্রয়োজন হয় না।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে ‘অন্তরে মম শহীদ জিয়া’ নামের একটি সংগঠন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘আপনি তো ভেজাল লাগালেন! বললেন, সারা বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশের লোক আমাদের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল। ভারত পাশে না থাকলে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারতাম না।
‘এখানে কী বুঝব? আজকে সবাই পণ্য বর্জনের কথা বলছে। তাহলে ভারতের সবচেয়ে বড় পণ্য হচ্ছে আওয়ামী লীগ (সরকার), শেখ হাসিনা (প্রধানমন্ত্রী)। এই সরকারকে বর্জন তো করছেই, এটা ফেলে দিলেই শেষ। এই একটা পণ্য বর্জন করলেই তো জাতি মুক্ত হয়, সব পণ্য বর্জনের প্রয়োজন হয় না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘চিকিৎসাসহ নানা কারণে প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দশ হাজার মানুষ পাসপোর্ট জমা দেন। গড়ে ৮’শ টাকা করে হলেও প্রতিদিন ৮০ কোটি টাকা লাগে এ জন্য। একটা মানুষের সীমান্ত অতিক্রম করতে প্রতিদিন খরচ গড়ে ৫ হাজার টাকা। আসার সময় আবার ৫০ হাজার টাকার বাজার করেও আনে।’
প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘তাহলে পণ্য বর্জন কিসের? বাংলাদেশের মানুষ যদি বলে যে কাল থেকে ভারতে যাব না, তাহলে দিল্লি বলবে- শেখ হাসিনা তোমাকে রাখতে গেলে আমরা বাঁচতে পারব না।’
গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও থিংকট্যাংক আগামী এক’শ বছর পর দেশের কী হবে তা নিয়ে হিসাব কষে। তারা দেশের মধ্যে মাতব্বরি করে না। আর আমাদের দেশের গোয়েন্দা সংস্থা আমাদের (বিরোধী দল) পেছনে লেগে আছে। তারা দেশের জন্য কাজ করতে পারে না।’
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।
আরও পড়ুন:ঈদযাত্রায় মানুষের ভোগান্তি ও গলার কাঁটা ছিল উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়ক, কিন্তু এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তির করতে মহাসড়কে পুরোদমে চলছে চার লেন প্রকল্পের কাজ।
সড়কে গাড়ির চাপ সামাল দিতে ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত চার লেন চালু করা হয়েছে। ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের স্বস্তি ফেরাতে দ্রুতই কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন যাত্রী ও চালকেরা।
সংশ্লিষ্টরাও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ওই সব স্থানে রাত-দিন কাজ করছে।
তারা জানান, বছরের দুইটি ঈদের সময় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার মহাসড়ক পারাপারে যাত্রী ও চালকদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। প্রতিদিন উত্তরের ২২ জেলার প্রায় ২০ থেকে ২২ হাজার যানবাহন চলাচল করলেও ঈদযাত্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট, কিন্তু এবার সে চিত্র হবে অন্যরকম।
সাসেক-২ প্রকল্পের সুফল পাবে এ অঞ্চলের মানুষ। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে বগুড়ার মির্জাপুর পর্যন্ত দুই লেনের মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮০৫ কোটি টাকা।
চালক ও যাত্রীরা জানান, ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে রাস্তা উন্নীতকরণ ও ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ অধিকাংশ জায়গায় শেষ হলেও হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় আন্তর্জাতিক মানের ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণকাজের অনেক জায়গায় চার লেনের কাজ চলমান রয়েছে। এর ফলে কিছু কিছু জায়গায় রাস্তা সরু হয়ে গেছে।
এসআই এন্টারপ্রাইজ বাসের চালক হাফিজুর রহমান বাবু বলেন, বিগত দিনের চেয়ে এ বছর মহাসড়কের অবস্থা অনেক ভালো। বগুড়া পর্যন্ত চার লেনের কাজ শেষের দিকে। কিন্তু এখনও অনেক জায়গায় খানাখন্দ রয়েছে। ঈদের আগে মেরামত করা হলে যানজট হবে না।
শ্যামলী পরিবহনের চালক জাহিদুল ইসলাম বলেন, বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কের ভূঁইয়াগাতী থেকে ঘুড়কা বেলতলা পর্যন্ত ঈদযাত্রায় সমস্যা হতে পারে। দ্রুত এ স্থান সংস্কার ও মহাসড়কে পুলিশ মোতায়েন থাকলে যানজট থাকবে না।
সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-২) প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ঈদযাত্রায় ঘরে ফেরা মানুষের যাতায়াতে যেন বিঘ্ন না ঘটে, এ জন্য হাটিকুমরুল মোড়ে এক মাস আগেই কংক্রিটের রাস্তা মেরামত করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ চারটি লেনের মেরামত কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, বিশেষ করে কড্ডার মোড় ও নলকার মোড়ে প্রতি বছর যানজট বেশি দেখা গেলেও, এবার এ জায়গাগুলোতে আন্ডারপাস খুলে দেয়ায় দূরপাল্লার গাড়িগুলো ওপর দিয়ে চলে যাবে। আর অন্য গাড়িগুলো আন্ডারপাসের নিচ দিয়ে চলাচল করলে আশা করা যাচ্ছে, এ বছর যানজট হবে না। এবারের ঈদযাত্রা হবে অনেকটা স্বস্তিদায়ক।
সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, এ বছর মহাসড়কের অবস্থা খুবই ভালো। ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে সব তথ্য সড়ক বিভাগের কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সেগুলো ৩১ মার্চের মধ্যে সংস্কার করে দেয়ার কথা দিয়েছেন।
তিনি জানান, ঈদযাত্রায় মানুষের নিরাপদে ঘরে ফেরা ও নিশ্চিন্তে যাতায়াতে মহাসড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৭৫০ জন পুলিশ মোতায়েন করা হবে। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ থাকবে, সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি মোবাইল টিম থাকবে।
আরও পড়ুন:নীলফামারী সদরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সদরের সোনারায় ইউনিয়নের আরাজি কুখাপাড়া বাবুরহাট গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার রাতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় শোভা রাণী রায় নামের ওই নারীর স্বামী দীপু রায়কে পুলিশ আটক করেছে।
প্রাণ হারানো শোভা রানী রায় সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়নের মহববত বাজিতপাড়া এলাকার হরিপদ রায়ের মেয়ে। তার স্বামী দীপুর বাড়ি দিনাজপুরের চিরির বন্দরের ফেরসাডাঙ্গা এলাকায়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, পাঁচ বছর আগে শোভার স্বামীর মৃত্যু হয়। শোভা ও দীপু উভয়েই নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে চাকরি করতেন। ইপিজেডে চাকরির সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
পুলিশ আরও জানায়, দীপু রায় তার প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে গত ৪ মার্চ শোভা রায়কে বিয়ে করেন। ঘটনার আগে নীলফামারী সদরের নারায়ণ মাস্টারের ভাড়া বাসায় প্রথম স্ত্রী নমিতা রাণী রায় দীপুর খোঁজ নিতে এলে প্রথম বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হন শোভা। এর পর থেকে এ নিয়ে দীপুর সঙ্গে তার বিবাদ সৃষ্টি হয়।
নীলফামারী সদর থানার ওসি তানভীরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দীপু রায় বাসায় এসে তার দ্বিতীয় স্ত্রী শোভাকে ডাকাডাকি করেও সাড়া পাননি। তখন পাশের জানালা দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় শোভাকে দেখতে পান। পরে অন্য ভাড়াটিয়ারা দীপুকে ধরে পুলিশে খবর দিলে বাহিনীর সদস্যরা এ ব্যক্তিকে আটকের পাশাপাশি মরদেহটি উদ্ধার করেন।
ওসি আরও জানান, দীপুর প্রথম বিয়ের বিষয়টি সহ্য করতে না পেরে শোভা আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী দীপুকে আটক করা হয়।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে শোভার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশর এ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন:বিএনপি পাকিস্তানের সঙ্গে কখনও সম্পর্ক ছিন্ন করেনি অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলটি কোনো বিদেশির দাসত্ব করে না।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে শুক্রবার ইফতার ও ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে কাদের এ কথা বলেন বলে বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে দিল্লির শাসন মেনে নিতে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়নি—বিএনপির এক নেতার এমন বক্তব্যের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘আসলে বিএনপি পাকিস্তানের সাথে কখনও সম্পর্ক ছিন্ন করে নাই। বিএনপির হৃদয়ে পাকিস্তান, চেতনায় পাকিস্তান। আর আওয়ামী লীগ কোনো বিদেশি শাসন, কোনো বিদেশির দাসত্ব করে না।
‘আমাদের হৃদয়ে বাংলাদেশ, চেতনায়ও বাংলাদেশ। সেটাই আমরা মনে প্রাণে ধারণ করি।’
বিএনপির সমালোচনা করে করে আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন মানবতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপির রাজনীতিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি এ অন্ধকার থেকে আর বের হতে পারছে না।
নির্বাচনের আগে বিএনপি বিদেশি শক্তির তাবেদারি করেছে অভিযোগ করে কাদের বলেন, ‘নির্বাচনের আগে বিএনপি কীভাবে বিদেশি শক্তির তাবেদারি করেছে? কীভাবে বাংলাদেশকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া ও নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করেছে?’
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘সুসময় আসতে সময় লাগে। সারা বিশ্বে সংকটের যে প্রতিক্রিয়া, আমাদের এখানেও ধাক্কা লেগেছে, তবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মতো দক্ষ, বিচক্ষণ নেতৃত্ব আছে বলেই বাংলাদেশের মানুষ মোটামুটি ভালো আছে। তুলনামূলকভাবে অনেক দেশের চেয়ে ভালো।’
বিএনপির ৮০ শতাংশ নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নিগৃহীত ও নির্যাতিত হচ্ছে বলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার বক্তব্যের সমালোচনা করেন কাদের।
তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুলকে বলব, এসব মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকুন। প্রকাশ্যে এসে তালিকাটা হাজির করুন। ৮০ ভাগ নেতা-কর্মী এরা কারা? মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু সবাই তো একে একে জেল থেকে বের হয়ে গেলেন।’
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমানসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।
আরও পড়ুন:নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বর্তমান কমিটির উপজেলা ছাত্রলীগের এবং ছাত্রলীগের একাংশের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
পৌরসভার হলরুমে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সংবাদ সম্মেলন উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্যরা।
এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় সোনাইমুড়ী বাজারে রাজমহল রেস্তোরায় দেলোয়ার হোসেন সুজন ও শ্যামল উদ্দিনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একাংশ উপজেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অছাত্র, চাঁদাবাজি, দখলবাজ, অছাত্র, বিভিন্ন মামলার আসামি, টেন্ডারবাজি, নানা বিষয়ে ছাত্রলীগের নেতা পরিচয়দানকারী বিবাহিতসহ নানা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বর্তমান কমিটির উপজেলা ছাত্রলীগ নানা অভিযোগ ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ হোসেন বলেন, ‘সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের গত বছরের ১৫ মে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। চাঁদাবাজি মামলার আসামি, পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বিএনপি জামাতের লোক, সরকারি জায়গা দখলকারী, অটোরিকশার চাঁদাবাজরা এখন ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিচ্ছে। গত বুধবার ছাত্রলীগের কিছু নেতা পরিচয়দানকারী সংবাদ সম্মেলন করেছে।’
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ আরও বলেন, ‘এ সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামে তারা বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা, কাল্পনিক তথ্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে বিভিন্ন অভিযোগ উপস্থাপন করেছে। এ ধরনের ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশন করে তারা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে। বুধবার তাদের করা সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদ বলেন, ‘ছাত্রলীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন। এ সংগঠনের বিরুদ্ধে অপকর্মের অভিযোগ ওঠা সুখকর নয়। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন।’
আরও পড়ুন:ঝালকাঠি পৌর এলাকার পুরাতন কলেজ ও পৌরসভা খেয়াঘাটের উন্মুক্ত ইজারায় উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে।
রিটকারী আইনজীবী তরিকুল ইসলাম শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
উন্মুক্ত ইজারা স্থগিত করায় মাঝিমাল্লা সম্প্রদায়ের ইজারা পেতে আর কোনো বাধা থাকল না।
মাঝিমাল্লা বহুমুখী সমবায় সমিতি সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর শতকরা ১০ ভাগ মূল্য বৃদ্ধিতে এ সমিতি ইজারা নিয়ে ঘাট পরিচালনা করে আসছে। এ বছর উন্মুক্ত ইজারা আহ্বান করায় উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করে মাঝিমাল্লা বহুমুখী সমবায় সমিতি। পিটিশনের প্রেক্ষিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে।
উচ্চ আদালতের আদেশের অ্যাডভোকেট প্রত্যয়ন কপিসহ ইজারাদার কর্তৃপক্ষ ঝালকাঠি পৌর মেয়র বরাবরে আবেদন করেন মাঝিমাল্লা সমিতির নেতারা। পরে নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার।
রিটকারী আইনজীবী তরিকুল ইসলাম জানান, ঝালকাঠির খেয়াঘাট সমূহের জন্য ঝালকাঠি পৌরসভা একটি উন্মুক্ত ইজারা আহ্বান করেছে। নীতিমালা অনুযায়ী মাঝিমাল্লা (পাটনি) সম্প্রদায়ের পাওয়ার কথা। উন্মুক্ত ইজারাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করা হয়। পিটিশনের শুনানি শেষে আদালত উন্মুক্ত ইজারা স্থগিত করেছে।
তিনি আরও জানান, এখন থেকে প্রথমে মাঝিমাল্লা সমিতি ইজারা নেবে। যদি কোনো কারণে সমিতির পক্ষ থেকে ইজারা নিতে অস্বীকার বা অপারগতা প্রকাশ করে তাহলে উন্মুক্ত ইজারা আহ্বান করতে পারবে। উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের মাধ্যমে মাঝিমাল্লা সম্প্রদায় তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পেয়েছে।
পৌর সচিব শাহিন সুলতানা বলেন, ‘আমরা শুধু আবেদিত দরপত্রসমূহ উন্মুক্ত করে প্রকাশ করছি। বাছাই করে গুছিয়ে রাখছি। আমরা এর বেশি কিছুই করতে পারব না।’
নির্বাহী প্রকৌশলী অলোক সমদ্দার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঝালকাঠির পুরাতন কলেজ ও পৌর খেয়াঘাটের ইজারা বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা আছে। এ মুহূর্তে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। দরপত্র আহ্বানের পরে টেক কমিটি আছে তারাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী অলোক সমদ্দার, পৌর সচিব শাহিন সুলতানাসহ পৌর কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ দুপুরে এসব ঘাট ইজারার দরপত্র বাক্স উন্মুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য