সোয়া তিন বছর পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক ছয় হাজার পয়েন্ট ছোঁয়ার পর সেখানে টিকে থাকা নিয়ে তিন সপ্তাহ ধরে যে লড়াই চলছিল, তাতে আপাতত জয় হলো।
ব্যাংক খাতে ৫টি ছাড়া সব কয়েকটি কোম্পানির দাম বৃদ্ধিতে ৫৬ পয়েন্ট সূচক বেড়ে ৬ হাজার ১০০ পয়েন্ট ছাড়িয়ে যায়।
গত ৩০ মে ৩৯ মাসের মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রথমবারের মতো ছয় হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করে। এরপর কখনও ছয় হাজারের নিচে, আবার ছয় হাজার ছাড়িয়েছে। কিন্তু ছয় হাজার পয়েন্টে টিকে থাকার মনস্তাত্ত্বিক যে লড়াই ছিল সেটার অবসান হচ্ছিল না। ফলে সূচক এখানে টিকে থাকা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য তথা ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির আদেশের পর আতঙ্ক তৈরি হয় কি না, এ নিয়েও তৈরি হয় আলোচনা। প্রথম কার্যদিবস রোববার লেনদেন শুরু হতেই বড় দরপতনের আভাস পাওয়া গেছে আশঙ্কা আরও জোরদার হয়। তবে এরপর সূচক ঘুরে দাঁড়িয়ে শেস পর্যন্ত আগের দিনের চেয় ১৭ পয়েন্ট বেশি হয়।
সোমবার লেনদেনের শুরুতেই সূচক দেয় লাফ। এক পর্যায়ে ৯০ শতাংশের মতো কোম্পানির দাম বেড়ে যায়। আর বেলা ১ টাকা ১৩ মিনিটে ৭২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে এরপর কিছুটা কমলেও শেষ পর্যন্ত আগের দিনের চেয়ে ৫৬ পয়েন্ট যোগ হয়ে সূচক দাঁড়ায় ৬ হাজার ১২৫ পয়েন্ট যা ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ অবস্থান।
প্রায় সাড়ে তিন বছর আগের ওই দিনটিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক উঠেছিল ৬ হাজার ১২৭ পয়েন্টে।
ব্যাংকে উত্থানের দিন বেড়েছে বস্ত্র, ওষুধ ও রসায়ন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের শেয়ারদরও। বেশিরভাগ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দামও বেড়েছে সামান্য।
অন্যদিকে প্রধান খাতগুলোর মধ্যে বাজে দিনে গেছে বিমা, প্রকৌশল, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও বিবিধ খাতে। মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে তথ্য প্রযুক্তি খাতে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সূচক ৬ হাজার পয়েন্টে উঠার পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের প্রত্যাশা তৈরি হয়, যে বাজার আরও ভালো হবে। কিন্তু সেখানে টিকে থাকতে পারছিল না। আর এখান থেকে বেড়ে নতুন যে অবস্থানে পৌঁছল, তাতে পুঁজিবাজার আরও ভালো হবে ধারণা তৈরি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘খাতওয়ারি লেনদেনে একটি দুটি কোম্পানির আধিপত্য দেখা গেলেও এখন সব খাতেই শেয়ারের দর বাড়ছে। বিমা খাতে টানা কয়েকদিন দর পতন হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা অন্য খাতের বিনিয়োগ করছে।’
তবে কেবল সূচক দিয়ে পুঁজিবারের সার্বিক অবস্থাও পরিমাপ করতে চান না তিনি। বলেন, ‘লেনদেনও দেখা উচিত। লেনদেন মাঝে কয়েকদিন দুই হাজারের নিচে নেমেছে। কিন্তু আবার তা উঠে এসেছে। এটিও পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক দিক।’
ব্যাংক খাত
মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে এই খাত অপ্রত্যাশিতভাবে সংশোধনে গেলেও রোববাই ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেখা দেয়। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনেদেন এই খাত নিয়ে হতাশা দূর হওয়ার প্রত্যাশা আরেকটু বাড়ল।
তবে সর্বাধিক বৃদ্ধির তালিকায় এই খাতের কোনো কোম্পানি না থাকলেও ৪ থেকে ৬ শতাংশ দাম বেড়েছে অনেকগুলো ব্যাংকের।
সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আইএফআইসি ব্যাংকের ৬.৭২ শতাংশ। এবি ব্যাংকের ৬ শতাংশ, সাউথ ইস্টের ৪.১৪ শতাংশ ও সিটি ব্যাংকের দাম বেড়েছে ৪ শতাংশ।
এছাড়া মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ৩.৬২, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ৩.৩৭, ইবিএলের ৩.২৭, ওয়ান ব্যাংকের ৩.১৭, ইউসিবির ৩.০৩ শতাংশ দাম বেড়েছে।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে ২১২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা যা আগের দিনের প্রায় দ্বিগুণ।
সোমবার মোট লেনদেনের ১০.৩৭ শতাংশ ছিল ব্যাংক খাতে। আগের দিন যা ছিল ৬.৫ শতাংশ বা ১১৯ কোটি টাকা।
ভালো দিনেও এই খাতে সবচেয়ে বেশি কমেছে লভ্যাংশ ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা রূপালী ব্যাংক। ২ টাকা ২০ পয়সা বা ৫.৫৩ শতাংশ দর হারিয়ে সবচেয়ে বেশি দর হারানো সপ্তম কোম্পানি ছিল এটি।
এ ছাড়া গত দুই মাসে সবচেয়ে বেশি বাড়া এনআরবিসি ১ টাকা ৩০ পয়সা বা ৩.৫৮ শতাংশ ও ডাচ বাংলা ব্যাংক ৩০ পয়সা বা ০.৩৬ শতাংশ দাম কমেছে।
আর অপরিবর্তিত ছিল ব্যাংক এশিয়া ও পূবালী ব্যাংকের দাম।
সবচেয়ে বেশি উত্থান বস্ত্র খাতে
এই খাতের সব কটি কোম্পানির অর্থবছর জুলাই থেকে জুন। আর অর্থবছর শেষ হতে চলায় এই খাতের কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে চলেছেন বিনিয়োগকারীরা। আর এক মাসেরও বেশি সময় ধরে থেকে থেকে শেয়ারের দামে চলছে উল্লম্ফন।
সোমবার সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে এই খাতে। মোট ৩৭৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা মোট লেনদেনের ১৮.৩৫ শতাংশ। আগের দিন সবচেয়ে বেশি লেনদেনর ছয়টি খাতের মধ্যেও ছিল না এই খাত।
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির সিংহভাগই এই খাতের। প্রথম ১০টি কোম্পানির ৫টি, আর ২০টি কোম্পানির ১২টি বস্ত্র খাতের।
এর মধ্যে ৮টি কোম্পানির দাম বেড়েছে একদিনে যত বাড়া সম্ভব, ততই। ১০ শতাংশ বা তার কাছাকাছি দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর বিক্রেতা শূন্য হয়ে যায় এর অনেকগুলো।
সবচেয়ে বেশি বেড়েছে তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলস, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, প্রাইম টেক্সটাইল, ম্যাকসন্স স্পিনিং, মুন্নু স্পিনিং, মেট্রো স্পিনিং, মালেক স্পিনিং, তুংহাই ও রিং সাইনের দর।
এই খাতে উত্থানের দিনে দর হারিয়েছে ৫ বছর পর লভ্যাংশ ঘোষণা করা ঢাকা ডায়িং। কোম্পানিটি ২০২০ সালের জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১ শতাংশ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
এর আগে ২০১৫ সালে শেষবার ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছিল কোম্পানিটি। আর ২০১৬ সালে শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ৩০ পয়সা ও ২০১৭ সালে ৩ টাকা ৯৬ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটি এরপরে আইনি জটিলতায় আর লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত সভা করতে পারেনি।
উচ্চ আদালতের আদেশ পেয়ে রোববার পরিচালনা পর্ষদ তিন বছরের লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত সভা করে। এতে ২০১৮ সালে শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ৯৬ পয়সা ও ২০১৯ সালে ৪ টাকা ২০ পয়সা লোকসান দেখানো হয়।
চলতি বছর প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ৫১ পয়সা লোকসান দিলেও মাঝে ২০২০ সালে ১৩ পয়সা মুনাফা দেখিয়েছে।
এই লভ্যাংশ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গত ১১ এপ্রিল থেকে শেয়ারটি নিয়ে ‘খেলা’ চলার অভিযোগ আছে। সেদিন দুর্বল এই কোম্পানিটির দাম ছিল ৭ টাকা ৪০ পয়সা। সেখান থেকে আড়াই গুণ বেড়ে ২০ জুন দাম দাঁড়ায় ১৭ টাকা ৪০ পয়সা।
বিমার শেয়ারধানীরা হতাশ
গত ৫ এপ্রিল সারাদেশে লকডাউন শুরুর দিন থেকে এই খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ক্রমাগত। এর মধ্যে একটি কোম্পানির শেয়ারদর ১০০ টাকার বেশিও বেড়েছে।
নানা গুঞ্জনে বাড়তে থাকা খাতটি সম্প্রতি আবার দর সংশোধনের দিকে ঝুঁকছে।
সবচেয়ে বেশি দর হারানোর ১০টি কোম্পানির তালিকায় এই খাতের কেবল একটি ছিল। সেটি হলো ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটি ৫.৭৪ শতাংশ দর হারিয়েছে।
এছাড়া গ্রিনডেল্টা ৪.৬৮, প্যারামাউন্ট ৪.৪৬, রিপাবলিক ৪.৩৬, প্রভাতী ৪.০৯, ইস্টার্ন ৩.৯৩, রিলায়েন্স ৩.৭৩, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স ৩.২১ শতাংশ দাম হারিয়েছে।
বলার মতো দাম বেড়েছে কেবল দুটি কোম্পানির। এর মধ্যে ডেল্টা লাইফ ৬ টাকা ৮০ পয়সা বা ৬.২৬ আর প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের ৩ টাকা ৪০ পয়সা বা ২.৯৫ শতাংশ দাম বেড়েছে।
এ ছাড়া দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ৪০ পয়সা, এশিয়া ৩০ পয়সা এবং ইস্টল্যান্ড ও পদ্মা লাইফের দাম বেড়েছে ২০ পয়সা করে।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে ২৬৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা বা ১৩.১৭ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া খাতের মধ্যে দ্বিতীয় হলেও এটি সাম্প্রতিককালের মধ্যে সবচেয়ে কম।
আগের দিনও এই খাতে হাতবদল হয়েছিল মোট লেনদেনের ২৭ শতাংশ বা প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। এক দিনেই লেনদেন কমে প্রায় অর্ধেক হয়ে গেল।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ১২৫ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৮.৯৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩০৫ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১৩ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২২০ পয়েন্টে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২২৪টির, দর কমেছে ১১৯টির। দর পাল্টায়নি ২৯টির। লেনদেন হয়েছে মোট ২ হাজার ৪৩ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের তুলনায় ১৭৮.৭১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৭৬২ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ৭৯ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য