বাংলাদেশে সব মিলিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণ মোট বিতরণ করা ঋণের ৮ দশমিক ০৭ শতাংশ হলেও পুঁজিবাজারে তালিকাভু্ক্ত ব্যাংকগুলোর অনেকটাই স্বস্তিতে।
এই ৩১টি ব্যাংকে গড় খেলাপির হার ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ হলেও যেগুলো পুঁজিবাজারে নেই, সেগুলোর খেলাপির হার এর চেয়ে তিন গুণ বেশি।
তবে পুঁজিবাজারে যেসব ব্যাংক আছে, সেগুলোর মধ্যেও পাঁচটি আছে অস্বস্তিতে, যার মধ্যে আবার তিনটি ব্যাংকের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ।
এর মধ্যে শতকরা হারে সবচেয়ে বেশি খেলাপি আইসিবি ইসলামিক, আরব বাংলাদেশ বা এবি আর রূপালী ব্যাংকেরটা বাদ দিলে পরিস্থিতিটা আরও স্বস্তিদায়ক হতে পারত।
আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকে খেলাপির হার ৭৮ দশমিক ১৮ শতাংশ, এবি ব্যাংকের ১৬ দশমিক ৭০ শতাংশ আর রূপালীর ১১ দমমিক ৯৯ শতাংশ। এর মধ্যে এবির খেলাপি পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে আর আইসিবি ইসলামিকের উন্নতি হয়েছে।
এই তিনটি ব্যাংক বাদ দিলে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ওয়ান ও উত্তরা ব্যাংকের। প্রথমটির খেলাপি ঋণের হার বিতরণ করা ঋণের ৮ শতাংশের বেশি, দ্বিতীয়টির ৭ শতাংশের বেশি।
মোট ঋণ কত
মার্চ পর্যন্ত পুঁজিবাজারের ব্যাংকগুলোর মোট ঋণ ৮ লাখ ৫০ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে ৪২ হাজার ১০৩ কোটি টাকা।
এই ৪২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে আইসিবি ইসলামিক, এবি ও রূপালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণই ৯ হাজার ১৬২ কোটি টাকা।
এই তিনটি ব্যাংক ছাড়া বাকি ২৮টি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ।
বাকি ২৮টি ব্যাংকের বিতরণ করা মোট ঋণের পরিমাণ ৩ লাখ ২৭ হাজার ৪০১ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫২ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা। শতকরা হারে খেলাপি ১৬ দশমিক ১৮ শতাংশ যা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর তুলনায় তিন গুণ।
রাষ্ট্রায়ত্ব ছয়টি ব্যাংকের মধ্যেও রূপালীর অবস্থা তুলনামূলকভাবে ভালো।
এর মধ্যে সোনালীর খেলাপি ঋণের হার ১৯ দশমিক ৮০ শতাংশ, অগ্রণীর ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ, জনতার ২৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ, বেসিকের ৫৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ আর বিডিবিএলের ৩৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
পুঁজিবাজারের ব্যাংকগুলো ভালো অবস্থানে কেন?
এই বিষয়টি নিয়ে জানতে নিউজবাংলা কথা বলেছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অনেক বেশি রেসপনসিবিলিটি থাকে। এখানে আরও বেশি কেয়ারফুল হতে হয়। কারণ, বিনিয়োগকারীদের বিষয় সব সময় মাথায় রাখতে হয়।’
অভিজ্ঞ এই ব্যাংকার বলেন, ‘শেয়ারবাজারের বাইরের ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনায় লোক থাকে কম। কোম্পানি ৫ থেকে ৬ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। কয়েকজনকে ম্যানেজ করে চললে হয়। কিন্তু পুঁজিবাজারে হাজার হাজার বিনিয়োগকারী থাকে। সেখানে অ্যাকাউন্টেবিলিটি (জবাবদিহি), গভর্ন্যান্স (সুশাসন) রেসপনসিবিলিটি (দায়িত্বশীলতা) অনেক বেশি। এ জন্য ব্যাংকগুলো তুলনামূলক ভালো করছে।‘
করোনাকালে সুবিধার পরেও বেড়েছে খেলাপি
করোনার মধ্যে ব্যাংকগুলোকে বেশ কিছু সুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই সময়ে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারলেও খেলাপি না করার নির্দেশনা ছিল।
ধারণা করা হচ্ছিল এই নির্দেশনার কারণে খেলাপি ঋণ কমে আসবে ব্যাংকের। কিন্তু ঘটেছে উল্টোটা। এই সময়ে বেড়ে গেছে ঋণ।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর বেশির ভাগেরও খেলাপি ঋণ বেড়েছে। তবে কোনো কোনো ব্যাংকের কমেছেও।
এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যাংক খেলাপি ঋণের দিক দিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে।
ছয়টি ব্যাংকে খেলাপির হার বিতরণ করা ঋণের ৩ শতাংশের কম। চারটি ব্যাংকের খেলাপি ৩ থেকে ৪ শতাংশের কম।
আরও ১০টির খেলাপি ঋণের হার ৪ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে।
ব্যাংকাররা বলছেন, বাংলাদেশের বাস্তবতায় শতভাগ খেলাপিমুক্ত ব্যাংক অনেকটাই অসম্ভব ব্যাপার। বাংলাদেশে কাজ করা বহুজাতিক বেশ কিছু ব্যাংকও এই খেলাপি সমস্যায় ভুগছে। আর খেলাপির বিরপীতে বেশিরভাগ ব্যাংকই সঞ্চিতি সংরক্ষণ করে নিরাপদ অবস্থানেই আছে।
বেশি খেলাপি তিন ব্যাংকে
আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক: বিতরণ করা ঋণের অধিকাংশই খেলাপিতে পরিণত। মার্চ পর্যন্ত মোট ঋণ ৮৫৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৬৬৯ কোটি টাকা। শতকরা হিসাবে এই হার ৭৮ দশমিক ১৮ শতাংশ।
তবে ডিসেম্বরের পরিসংখ্যানের তুলনায় পরিস্থিতি কিছুটা হলেও ভালো দেখাচ্ছে। সে সময় খেলাপি ঋণ ছিল ৬৭১ কোটি টাকা। যা ওই সময় বিতরণকৃত ঋণের ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ।
এবি ব্যাংক: ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ৪ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা। যা ওই সময় বিতরণ করা ঋণের ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ। মার্চ শেষে সেটা সামান্য বেড়ে ৪ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা হয়েছে। এটি বিতরণকৃত ঋণের ১৬ দশমিক ৭০ শতাংশ। ব্যাংকটির মোট ঋণ ২৭ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা।
রূপালী ব্যাংক: পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত একমাত্র রাষ্ট্রীয় ব্যাংকটির মোট ঋণ ৩২ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা। মার্চ শেষে খেলাপির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ১১ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
তবে ডিসেম্বরের চেয়ে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তখন ব্যাংকটিকে খেলাপি ঋণ ছিল ৩ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। ওই সময় বিতরণ করা ঋণের ১২ দশমিক ৭০ শতাংশ ছিল খেলাপী।
৫ শতাংশের বেশি খেলাপি ঋণ যেগুলোর
ওয়ান ব্যাংক: ব্যাংকটির মোট ঋণ ২২ হাজার ৬৯ কোটি টাকা। মার্চ শেষে খেলাপি ১ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা। ওই সময় মোট ঋণের ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ ছিল খেলাপি।
উত্তরা ব্যাংক: মোট ঋণ ১৩ হাজার ৮৪ কোটি টাকা। মার্চ শেষে খেলাপি ৯৫০ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ২৬ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ছিল ৭৫৩ কোটি টাকা। যা ওই সময় মোট ঋণের ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ ছিল।
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক: মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকটির মোট ঋণ ছিল ৩০ হাজার ১২৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ১ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১ হাজার ৬২৭ কোটি টাকা, যা ওই সময় মোট ঋণের ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
ট্রাস্ট ব্যাংক: ব্যাংকটি বিতরণ করেছে মোট ২১ হাজার ৭১৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ১ হাজার ১৮১ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ৯৯৬ কোটি টাকা, যা ওই সময় বিতরণ করা ঋণের ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ ছিল।
এনসিসি ব্যাংক: মোট ঋণ ১৭ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা। মার্চ শেষে খেলাপি ৯৭৩ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ৬৬৭ কোটি টাকা, যা ওই সময় বিতরণ করা ঋণের ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ ছিল।
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক: মোট ঋণ ১৬ হাজার ১২০ কোটি টাকা। মার্চ শেষে খেলাপি ৮৬৪ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ৭৭৫ কোটি টাকা। যা ওই সময় বিতরণ করা ঋণের ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ।
ন্যাশনাল ব্যাংক: মোট ঋণ ৪৩ হাজার ২০৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ২ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ২ হাজার ৮৫ কোটি টাকা। যা ওই সময় বিতরণ করা ঋণের ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ।
মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট: মোট ঋণ ১৯ হাজার ১৮৭ কোটি টাকা। মার্চ শেষে খেলাপি ১ হাজার ৯ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ছিল ৮২৬ কোটি টাকা, যা ওই সময় বিতরণ করা ঋণের ৪ দশমিক ১৩ শতাংশ।
চার থেকে পাঁচ শতাংশের মধ্যে যেগুলো
মার্কেন্টাইল ব্যাংক: মার্চ শেষে মোট ঋণ ২৪ হাজার ৪০ কোটি টাকা। খেলাপি ১ হাজার ১৭৮ কোটি টাকা বা ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা, যা ওই সময় বিতরণ করা ঋণের ৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
প্রাইম ব্যাংক: মোট ঋণ ২২ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকা। মার্চ শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১১২ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ৭২৫ কোটি টাকা, যা ছিল ওই সময় বিতরণ করা ঋণের ৩ দশমিক ১৪ শতাংশ।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক: মোট ঋণ ১৯ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৮৯৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ৮৬৫ কোটি টাকা। যা ওই সময় বিতরণ করা ঋণের ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
পূবালী ব্যাংক: মোট ঋণ ৩১ হাজার ৮২ কোটি টাকা। মার্চ শেষে খেলাপি বেড়ে হয় ১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ৮২৭ কোটি টাকা। যা ওই সময় বিতরণ করা ঋণের ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ ছিল।
ব্র্যাক ব্যাংক: ব্যাংকটি মোট বিতরণ করেছে ২৭ হাজার ৩০১ কোটি টাকা। মার্চ শেষে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ ছিল ৮০০ কোটি টাকা, যা ওই সময় বিতরণ করা ঋণের ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ ছিল।
সাউথ ইস্ট ব্যাংক: মোট ঋণ ৩২ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা। মার্চ শেষে খেলাপি ১ হাজার ৪১২ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ৯৯৩ কোটি টাকা। যা ওই সময় বিতরণ করা ঋণের ৩ দশমিক ১১ শতাংশ ছিল।
আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক: ব্যাংকটি ৩১ হাজার ৫০৭ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। মার্চ শেষে খেলাপি ১ হাজার ৩২৩ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৪ দশমিক ২০ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১ হাজার ১১৬ কোটি টাকা। যা ওই সময় বিতরণ করা ঋণের ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ।
এক্সিম ব্যাংক: মোট বিতরণ ৪০ হাজার ৩১২ কোটি টাকা। খেলাপি ১ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৪ দশমিক ১৫ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১ হাজার ৫০১ কোটি টাকা। ওই সময় বিতরণ করা ঋণের ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ ছিল খেলাপি।
আইএফআইসি ব্যাংক: মোট ঋণ ২৬ হাজার ৮৯২ কোটি টাকা। মার্চ শেষে খেলাপি ১ হাজার ৮৯ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ৪ দশমিক ০৫ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। যা ছিল ওই সময় বিতরণ করা ঋণের ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
সিটি ব্যাংক: ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণ ২৯ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি এক হাজার ১৮৭ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৪ দশমিক ০৩ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১ হাজার ৮৫ কোটি টাকা। যা ওই সময় বিতরণকৃত ঋণের ৪ দশমিক ১০ শতাংশ।
তিন থেকে চার শতাংশের কম যেগুলো
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক: ব্যাংকটির মোট ঋণ বিতরণ ৪৩ হাজার ৫৩২ কোটি টাকা। মার্চ শেষে খেলাপি ১ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩ দশমিক ৮২ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। যা ওই সময় বিতরণ করা ঋণের ৩.৬২ শতাংশ।
ইসলামী ব্যাংক: মার্চ শেষে ইসলামী ব্যাংকের মোট ঋণ বিতরণ ৯৭ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৩ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ৩ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা। যা ছিল ওই সময় বিতরণ করা ঋণের ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
ঢাকা ব্যাংক: মার্চ শেষে ব্যাংকটি মোট বিতরণ করেছে ১৯ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৬১৬ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ৫৫৩ কোটি টাকা। যা ওই সময় বিতরণ করা ঋণের ২ দশমিক ৮০ শতাংশ ছিল।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক: মোট বিতরণ ৩৬ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা। মার্চ শেষে খেলাপি ১ হাজার ১১২ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩ দশমিক ০৬ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ৮৯৮ কোটি টাকা, যা ওই সময় মোট ঋণের ২ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
তিন শতাংশের কম খেলাপি যেগুলোর
ইস্টার্ন ব্যাংক: ব্যাংকটি মোট ঋণ দিয়েছে ২১ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা। মার্চ শেষে খেলাপি ৬৫৪ কোটি টাকা। এটি মোট ঋণের ২ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ ছিল ৬০৯ কোটি টাকা, যা ওই সময় বিতরণ করা ঋণের ২ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
প্রিমিয়ার ব্যাংক: মার্চ শেষে মোট বিতরণ ২১ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৬০৮ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ২ দশমিক ৮২ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ৫৩৫ কোটি টাকা, যা ছিল ওই সময় বিতরণ করা ঋণের ২ দশমিক ৫২ শতাংশ।
যমুনা ব্যাংক: ব্যাংকটি মোট বিতরণ করেছে ২০ হাজার ২৩২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৫৬৩ কোটি টাকা খেলাপি হয়ে গেছে, যা মোট ঋণের ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ৪৮০ কোটি টাকা, যা ছিল ওই সময় বিতরণ করা ঋণের ২ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
এনআরবিসি ব্যাংক: পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত নতুন ব্যাংক এনআরবিসি মার্চ শেষে মোট ৮ হাজার ৬৫ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে। এর মধ্যে খেলাপি ২২২ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ২ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ১৪০ কোটি টাকা, যা ছিল ওই সময় বিতরণ করা ঋণের ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
ব্যাংক এশিয়া: খেলাপি ঋণের দিক থেকে এই ব্যাংকটি সবচেয়ে ভালো দুটি ব্যাংকের একটি। নতুন করে খেলাপি হয়নি, উল্টো আগের ঋণ আদায় করেছে ব্যাংকটি।
মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকটি বিতরণ করেছে মোট ২৪ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ৬১৮ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
করোনার বছরে ব্যাংকটি ১৭৫ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায় করতে পেরেছে।
ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ৭৯৩ কোটি টাকা। যা ওই সময় বিতরণকৃত ঋণের ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ ছিল।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক: শতকরা হারে এই ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ সবচেয়ে কম। এদের মোট বিতরণ ২৭ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা। মার্চ শেষে খেলাপি ৬৫৩ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ৫৯২ কোটি টাকা, যা ছিল ওই সময় বিতরণ করা ঋণের ২ দশমিক ১৭ শতাংশ।
এই ব্যাংকটিও তিন মাসে ৫৫ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায় করতে পেরেছে।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য