প্রথমে ৬৬টির পর ৩০টি। দুই ধাপে ৯৬টি কোম্পানির লেনদেনের চিত্র যাচাই-বাছাই করে পুঁজিবাজার থেকে শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
সংস্থাটির মুখপাত্র রেজাউল করিম বৃহস্পতিবার নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ফ্লোর প্রত্যাহারের পাশাপাশি আগে ৯৬টি কোম্পানির দরপতনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ যে ২ শতাংশের সীমা ছিল, সেই সুবিধাও আর থাকছে না। এখন থেকে এক দিনে যেমন সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ দাম বাড়তে পারবে, তেমনি একই পরিমাণ কমতেও পারবে।
বিএসইসির মুখপাত্র বলেন, ‘দুই ধাপে পুঁজিবাজার থেকে ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়ার পর দেখা গেছে, সেই কোম্পানিগুলোর লেনদেন কয়েক গুণ বেড়েছে। বরং ফ্লোর প্রাইসের কারণেই সেসব কোম্পানিতে তারল্য আটকে ছিল। এখন আর সে সমস্যা থাকবে না।’
বৃহস্পতিবার বিএসইসি এক নির্দেশনায় জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের প্রান্তসীমা বা ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
কমিশনের চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
২০২০ সালে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর ১৯ মার্চ সব কটি শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয়া হয়।
শুরুতে এই বিষয়টি বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বস্তির বার্তা নিয়ে এলেও পরে এই ফ্লোর প্রাইস লেনদেনের একটি বাধা হিসেবে প্রমাণ হয়।
বিষয়টি স্পষ্ট হয় দুবার। গত ৭ এপ্রিল প্রথম দফায় ৬৬ কোম্পানির ফ্লোর প্রত্যাহারের পর কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দরপতন হলেও সেগুলোর শেয়ার হাতবদল বেড়ে যায়। একপর্যায়ে অনেক কোম্পানির দাম বাতিল হওয়া ফ্লোর প্রাইসের ওপরে উঠে আসে।
দ্বিতীয় দফায় ৩ জুন বাকি ৩০টি কোম্পানির ফ্লোর প্রত্যাহারের পরেও একই চিত্র দেখা দেয়।
তখনও দেখা যায়, যেসব কোম্পানির লেনদেন হচ্ছিল না বললেই চলে, সেগুলোর লাখ লাখ শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এমনকি একটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে এক কোটির বেশি।
সিদ্ধান্ত অকস্মাৎ নয়
ফ্লোর প্রাইস যে উঠে যাচ্ছে, সেটি বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ মে মাসের মাঝামাঝি সময়েই নিউজবাংলাকে জানিয়েছিলেন।
করোনা সংক্রমণের পর ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি কাটিয়ে গত বছরের জুনে যখন পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়, সেখান থেকে পুঁজিবাজারে দেড় হাজার পয়েন্টের বেশি সূচক বাড়লেও বেশ কিছু কোম্পানির লেনদেন হচ্ছিল না বললেই চলে।
ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোনো কোম্পানির মৌলভিত্তি বিবেচনায় না নিয়ে বাজারমূল্যকেই বিবেচনা করা হয়। ২০২০ সালের ২২ মার্চের আগের পাঁচ দিনের গড় মূল্য ফ্লোর প্রাইস হিসেবে ধরা হয়।
কিন্তু সে সময় যে ফ্লোর প্রাইস দেয়া হয়েছিল, পরে শতাধিক কোম্পানির ক্ষেত্রে সে দাম আর যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি বিনিয়োগকারীদের কাছে। এ কারণে আর লেনদেন হয়নি।
তবে ৭ এপ্রিল ৬৬ কোম্পানির ফ্লোর প্রত্যাহারের পর আটকে যাওয়া প্রতিটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হতে থাকে। এই অভিজ্ঞতা থেকে মে মাসেই বাকিগুলোর ফ্লোর ধাপে ধাপে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।
গত ১৭ মে বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এক বছর আগে যে উদ্দেশ্যে পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস দেয়া হয়েছিল, সেটি খুবই কার্যকর হয়েছে। তখন ফ্লোর প্রাইস দেয়ার কারণে বিনিয়োগকারীদের আস্থাও বেড়েছিল। এক বছর পর পুঁজিবাজারে যে অবস্থায় ফিরেছে, তাতে সেই আস্থার জায়গাটি অনেক শক্ত হয়েছে। ফলে এখন মনে হয়, ফ্লোর প্রাইসের আর প্রয়োজন নেই।’
তাহলে কবে প্রত্যাহার হচ্ছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রথম পর্যায়ে ৬৬টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস বাতিল করেছি। তিনটি ক্যাটাগরিতে তা করা হয়েছিল। প্রথম ক্যাটাগরি হিসাবে যেসব কোম্পানির শেয়ার দর ৫০ টাকার নিচে, সেগুলোর বাতিল করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোরও ফ্লোর প্রাইস বাতিল করা হবে।’
এরপর ২ জুন বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম জানান, ৩০ থেকে ৩২টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস দ্বিতীয় ধাপে তুলে নেয়া হচ্ছে। এগুলোর লেনদেনও আটকে আছে ফ্লোর প্রাইসে।
পরের দিনই সেগুলো প্রত্যাহার করার আদেশ জারি হয়।
‘দাম কমার সীমা ২ শতাংশ থাকলে ভালো ছিল’
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য গড়ে তোলা ব্র্যাক ইপিএলের সাবেক গবেষণাপ্রধান দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এর আগে ৯৬ কোম্পানির ফ্লোর প্রত্যাহারের পর বাজারে তারল্য বেড়েছে। এরপরেও বেশ কিছু কোম্পানি ছিল, যেগুলো ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হচ্ছিল না বললেই চলে। এখন থেকে এগুলোও বিক্রি হবে।’
তবে দরপতনের সর্বনিম্ন সীমা ২ শতাংশ আরও কিছুদিন রাখা দরকার ছিল বলে মনে করেন এই বিশ্লেষক। তিনি বলেন, ‘একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে এই সুবিধা দেয়া হয়েছিল। এটি আরও কিছুদিন চালু থাকলে বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বস্তিদায়ক হতে পারত।’
দাম বৃদ্ধি ও কমতে সর্বোচ্চ কত শতাংশ
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী আগের নিয়মেই তালিকাভুক্ত কোম্পানির সার্কিট ব্রেকার প্রযোজ্য হবে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শেয়ার দর ২০০ টাকা পর্যন্ত কোম্পানির শেয়ার দর সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারবে।
এ ছাড়া ২০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে থাকা শেয়ারের দর ৮.৭৫ শতাংশ, ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার শেয়ারের দর ৭.৭০ শতাংশ, ১০০০ থেকে ২০০০ টাকার শেয়ারের দর ৬.২৫ শতাংশ, ২০০০ থেকে ৫০০০ হাজার টাকার শেয়ারের দর ৫ শতাংশ এবং ৫০০০ টাকার ওপরে থাকা শেয়ার দর দিনে ৩.৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে বা কমতে পারবে।
ফ্লোর প্রাইসের কারণে আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিতে সমস্যা
গত ৭ এপ্রিল প্রথম ধাপে ৬৬ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর বিএসইসি চেয়ারম্যান নিউজবাংলাকে জানান, এই বিষয়টির কারণে বাংলাদেশে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার আন্তর্জাতিক মান কমে যাচ্ছে।
তিনি সে সময় ‘দীর্ঘ সময় ধরে ফ্লোর প্রাইস থাকায় আমাদের পুঁজিবাজার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পিছিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে আমরা বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশন (আইওএসসিও) সদস্য। সেখানে আমাদের ক্যাটাগরি ‘এ’। দীর্ঘ সময় ধরে ফ্লোর প্রাইসের মাধ্যমে বাজার ম্যানিপুলেট করায় আমাদের ক্যাটাগরি পরিবর্তন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কিছু কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়া হয়েছে।’
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
মন্তব্য