বিমা খাত ও একক কোম্পানি বেক্সিমকোতে বুঁদ হয়ে থাকা পুঁজিবাজারে হঠাৎ করেই জ্বালানি খাতে আগ্রহ দেখা গেছে। শতকরা হিসাবে খুব একটা বেশি না হলেও বিশেষ করে সাতটি বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের শেয়ার আগের দিনের চেয়ে বেশি দামে কিনেছেন বিনিয়োগকারীরা।
গত এক বছর ধরে বিমা খাতে অস্বাভাবিক উত্থানের মধ্যে যেসব খাত পুরোপুরি ঘুমিয়েছিল, তার একটি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। করোনাকালেও যেসব খাতের ব্যবসার ক্ষতি হয়নি, তার মধ্যে অন্যতম এই খাতের বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস সামগ্রিকভাবে পুঁজিবাজার গতি হারালেও এই খাত আশা দেখাচ্ছে শেয়ারধারীদের।
গোটা খাতের ২২টি কোম্পানির মধ্যে ১৪টির দাম বেড়েছে। যে আটটির দাম কমেছে, তার মধ্যে চারটির দাম গত কয়েক দিনে বেশ বেড়েছিল। সেখান থেকে সংশোধন হয়েছে। তিনটির দাম দীর্ঘদিন ধরে একটি বৃত্তে ওঠানামা করছে। আর লোকসানি একটি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর থেকে প্রায় প্রতিদিন ২ শতাংশ করে কমছে।
যে কারণে এতদিন অনাগ্রহ
একাধিক কোম্পানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া বা শেষ হতে চলা, কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হলেও সেগুলো ঝুলিয়ে রাখা, গণমাধ্যমে মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্তের সংবাদ প্রকাশ হলেও কোম্পানি বা সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না আসাসহ নানা কারণেই এ অবস্থা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
কেপিসিএলের তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি বন্ধ হয়ে গেছে ২০১৮ সালেই। বাকি দুটি কেন্দ্র মে মাস শেষে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে চেষ্টা চলছে। আর বিএসইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘নো ইলেকট্রিসি, নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে মেয়াদ বাড়তে পারে। অর্থাৎ বিদ্যুৎ না কিনলে আগের মতো কেন্দ্র বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দেবে না সরকার।
এর বাইরে সামিট পাওয়ারের ১০২ মেগাওয়াটের একটি কেন্দ্র বন্ধ হয়েছে গত ৩১ মার্চ। আরও দুটি কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বছরের শেষে। তবে এই দুটি একেবারেই ছোট কেন্দ্র। একটি সাড়ে ১৩ মেগাওয়াটের, একটি ২৪ দশমিক ৩০ মেগাওয়াটের।
এ ছাড়া ওরিয়ন ইনফিউশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ১০০ মেগাওয়াটের কেন্দ্র বন্ধ হচ্ছে আগামী ২০ জুলাই। ফলে এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে উৎকণ্ঠায় আছেন বিনিয়োগকারীরা।
তবে সম্প্রতি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সচিব সাইফুল ইসলাম আজাদ সোমবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শেয়ার বাজারের তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মেয়াদ দুই বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’
বিদ্যুতের কোন কোম্পানির দাম কত বাড়ল
পাওয়ারগ্রিডের শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৬.২৭ শতাংশ। কোম্পানির শেয়ার ৪৪ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৭ টাকা ৪০ পয়সা।
ডরিন পাওয়ার লিমিটেডের দর বেড়েছে ৫.১৯ শতাংশ। ৬৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ৬৬ টাকা ৮০ পয়সায়।
ডেসকোর শেয়ার দর বেড়েছে ৪.৯৮ শতাংশ। কোম্পানিটির দর ৩৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৫ টাকা ৮০ পয়সা।
সামিট পাওয়ারের দর বেড়েছে ৩.৭৪ শতাংশ। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্টিবিউশন কোম্পানির দর বেড়েছে ৩.৪৭ শতাংশ।
বারাকা পাওয়ার, বিডি ওয়েলডিং, ইস্টার্ন টিউব, জিবিবি পাওয়ার, জিবিবি পাওয়ার, খুলনা পাওয়ারের দামও বেড়েছে।
লেনদেনে এগিয়ে বিমাই
বিমার শেয়ার দরের উত্থান নিয়ে নানা কথা থাকলেও বাস্তবে বিমার খাত লেনদেনের শীর্ষে। মোট লেনদেনের ২৬ শতাংশ হয়েছে এই একটি খাতেই। টাকার অংকে ৪৮১ কোটি টাকা।
তবে এদিন এই খাতের বেশিরভাগ শেয়ারের দর কমেছে। মোট ৩৭টি কোম্পানি দর হারিয়েছে, একটি কোম্পানির লেনদেন স্থগিত। বেড়েছে কেবল ১২টির।
সবচেয়ে বেশি দর হারানো ১০টি কোম্পানির মধ্যে চারটিই ছিল বিমা খাতের। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের দর। ৭.৬ শতাংশ কমে ১৩১ টাকা ৬০ পয়সার শেয়ার দাঁড়িয়েছে ১২১ টাকা ৬০ পয়সা।
প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের দর ৫.৯১ শতাংশ কমে ২০১ টাকা ১০ পয়সা থেকে কমে ১৮৯ টাকা ২০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।
ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের দর ৭২ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৬৭ টাকা ৮০ পয়সা।
গ্রিনডেল্টার দর ১৪৪ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১৩৫ টাকা ৭০ পয়সা।
এই খাতে এদিন সবচেয়ে বেশি বেড়েছে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের দর। ১৩৫ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪৪ টাকা। শতকরা হিসেবে দাম বেড়েছে ৪.৭৪ শতাংশ।
কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের দর ৩.২৮ শতাংশ বেড়ে ৫১ টাকা ৮০ পয়সা থেকে হয়েছে ৫৩ টাকা ৫০ পয়সা।
এ ছাড়া সন্ধানী ইন্স্যুরেন্সের ১.৮০ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের ১.৪০ শতাংশ, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের দশমিক ৩৯ শতাংশ, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে দশমিক ২৯ শতাংশ।
ব্যাংকের আরও একটি নড়বড়ে দিন
সপ্তাহের শেষ দিনেও আগের দুই দিনের মতো দর পতনের তালিকায় নাম লিখিয়েছে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলো। বেশ কিছু ব্যাংকের এদিন শেয়ার দর বাড়লেও বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে।
সবচেয়ে বেশি কমেছে এনআরবিসি ব্যাংকের দর। ৪.২৬ শতাংশ হারিয়ে ৩৫ টাকা ২০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৩৩ টাকা ৭০ পয়সা।
রূপালী ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১.৮৫ শতাংশ। ৩৭ টাকা ৮০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৩৭ টাকা ১০ পয়সা।
সব মিলিয়ে কমেছে ১১টি ব্যাংকের দর। আর বেড়েছে মোট ১০টির দর।
সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ট্রাস্ট ব্যাংকের। ১.৭ শতাংশ। ৩৫ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৫ টাকা ৬০ পয়সা। বাকি ব্যাংকগুলোর মধ্যে ডাচবাংলার ৮০ পয়সা, ইসলামী ৩০ ও পূবালীর ৩০ পয়সা, মার্কেন্টাইল ২০ পয়সা এবং ঢাকা, ইবিএল, আইসিবি ইসলামী ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের দর বেড়েছে ১০ পয়সা করে।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১ দশমিক ০১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৫২ পয়েন্টে।
শরিয়াহ ভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ২ দশমিক ২৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৯০ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১৩ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৯৭ পয়েন্টে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৭টির, কমেছে ২৩৭টির। দর পাল্টায়নি ২৮টির। লেনদেন হয়েছে মোট ১ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে আড়াইশ কোটি টাকার মতো কম।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের তুলনায় ৪০ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫৭০ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে মোট ১০৪ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
মন্তব্য