বিমা খাত ও একক কোম্পানি বেক্সিমকোতে বুঁদ হয়ে থাকা পুঁজিবাজারে হঠাৎ করেই জ্বালানি খাতে আগ্রহ দেখা গেছে। শতকরা হিসাবে খুব একটা বেশি না হলেও বিশেষ করে সাতটি বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের শেয়ার আগের দিনের চেয়ে বেশি দামে কিনেছেন বিনিয়োগকারীরা।
গত এক বছর ধরে বিমা খাতে অস্বাভাবিক উত্থানের মধ্যে যেসব খাত পুরোপুরি ঘুমিয়েছিল, তার একটি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। করোনাকালেও যেসব খাতের ব্যবসার ক্ষতি হয়নি, তার মধ্যে অন্যতম এই খাতের বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস সামগ্রিকভাবে পুঁজিবাজার গতি হারালেও এই খাত আশা দেখাচ্ছে শেয়ারধারীদের।
গোটা খাতের ২২টি কোম্পানির মধ্যে ১৪টির দাম বেড়েছে। যে আটটির দাম কমেছে, তার মধ্যে চারটির দাম গত কয়েক দিনে বেশ বেড়েছিল। সেখান থেকে সংশোধন হয়েছে। তিনটির দাম দীর্ঘদিন ধরে একটি বৃত্তে ওঠানামা করছে। আর লোকসানি একটি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর থেকে প্রায় প্রতিদিন ২ শতাংশ করে কমছে।
যে কারণে এতদিন অনাগ্রহ
একাধিক কোম্পানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া বা শেষ হতে চলা, কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হলেও সেগুলো ঝুলিয়ে রাখা, গণমাধ্যমে মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্তের সংবাদ প্রকাশ হলেও কোম্পানি বা সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না আসাসহ নানা কারণেই এ অবস্থা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
কেপিসিএলের তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি বন্ধ হয়ে গেছে ২০১৮ সালেই। বাকি দুটি কেন্দ্র মে মাস শেষে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে চেষ্টা চলছে। আর বিএসইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘নো ইলেকট্রিসি, নো পেমেন্ট’ ভিত্তিতে মেয়াদ বাড়তে পারে। অর্থাৎ বিদ্যুৎ না কিনলে আগের মতো কেন্দ্র বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দেবে না সরকার।
এর বাইরে সামিট পাওয়ারের ১০২ মেগাওয়াটের একটি কেন্দ্র বন্ধ হয়েছে গত ৩১ মার্চ। আরও দুটি কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বছরের শেষে। তবে এই দুটি একেবারেই ছোট কেন্দ্র। একটি সাড়ে ১৩ মেগাওয়াটের, একটি ২৪ দশমিক ৩০ মেগাওয়াটের।
এ ছাড়া ওরিয়ন ইনফিউশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ১০০ মেগাওয়াটের কেন্দ্র বন্ধ হচ্ছে আগামী ২০ জুলাই। ফলে এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে উৎকণ্ঠায় আছেন বিনিয়োগকারীরা।
তবে সম্প্রতি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সচিব সাইফুল ইসলাম আজাদ সোমবার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শেয়ার বাজারের তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মেয়াদ দুই বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’
বিদ্যুতের কোন কোম্পানির দাম কত বাড়ল
পাওয়ারগ্রিডের শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৬.২৭ শতাংশ। কোম্পানির শেয়ার ৪৪ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৭ টাকা ৪০ পয়সা।
ডরিন পাওয়ার লিমিটেডের দর বেড়েছে ৫.১৯ শতাংশ। ৬৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ৬৬ টাকা ৮০ পয়সায়।
ডেসকোর শেয়ার দর বেড়েছে ৪.৯৮ শতাংশ। কোম্পানিটির দর ৩৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৫ টাকা ৮০ পয়সা।
সামিট পাওয়ারের দর বেড়েছে ৩.৭৪ শতাংশ। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্টিবিউশন কোম্পানির দর বেড়েছে ৩.৪৭ শতাংশ।
বারাকা পাওয়ার, বিডি ওয়েলডিং, ইস্টার্ন টিউব, জিবিবি পাওয়ার, জিবিবি পাওয়ার, খুলনা পাওয়ারের দামও বেড়েছে।
লেনদেনে এগিয়ে বিমাই
বিমার শেয়ার দরের উত্থান নিয়ে নানা কথা থাকলেও বাস্তবে বিমার খাত লেনদেনের শীর্ষে। মোট লেনদেনের ২৬ শতাংশ হয়েছে এই একটি খাতেই। টাকার অংকে ৪৮১ কোটি টাকা।
তবে এদিন এই খাতের বেশিরভাগ শেয়ারের দর কমেছে। মোট ৩৭টি কোম্পানি দর হারিয়েছে, একটি কোম্পানির লেনদেন স্থগিত। বেড়েছে কেবল ১২টির।
সবচেয়ে বেশি দর হারানো ১০টি কোম্পানির মধ্যে চারটিই ছিল বিমা খাতের। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের দর। ৭.৬ শতাংশ কমে ১৩১ টাকা ৬০ পয়সার শেয়ার দাঁড়িয়েছে ১২১ টাকা ৬০ পয়সা।
প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের দর ৫.৯১ শতাংশ কমে ২০১ টাকা ১০ পয়সা থেকে কমে ১৮৯ টাকা ২০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।
ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের দর ৭২ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৬৭ টাকা ৮০ পয়সা।
গ্রিনডেল্টার দর ১৪৪ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১৩৫ টাকা ৭০ পয়সা।
এই খাতে এদিন সবচেয়ে বেশি বেড়েছে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের দর। ১৩৫ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪৪ টাকা। শতকরা হিসেবে দাম বেড়েছে ৪.৭৪ শতাংশ।
কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের দর ৩.২৮ শতাংশ বেড়ে ৫১ টাকা ৮০ পয়সা থেকে হয়েছে ৫৩ টাকা ৫০ পয়সা।
এ ছাড়া সন্ধানী ইন্স্যুরেন্সের ১.৮০ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের ১.৪০ শতাংশ, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের দশমিক ৩৯ শতাংশ, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে দশমিক ২৯ শতাংশ।
ব্যাংকের আরও একটি নড়বড়ে দিন
সপ্তাহের শেষ দিনেও আগের দুই দিনের মতো দর পতনের তালিকায় নাম লিখিয়েছে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলো। বেশ কিছু ব্যাংকের এদিন শেয়ার দর বাড়লেও বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে।
সবচেয়ে বেশি কমেছে এনআরবিসি ব্যাংকের দর। ৪.২৬ শতাংশ হারিয়ে ৩৫ টাকা ২০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৩৩ টাকা ৭০ পয়সা।
রূপালী ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১.৮৫ শতাংশ। ৩৭ টাকা ৮০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৩৭ টাকা ১০ পয়সা।
সব মিলিয়ে কমেছে ১১টি ব্যাংকের দর। আর বেড়েছে মোট ১০টির দর।
সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ট্রাস্ট ব্যাংকের। ১.৭ শতাংশ। ৩৫ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৫ টাকা ৬০ পয়সা। বাকি ব্যাংকগুলোর মধ্যে ডাচবাংলার ৮০ পয়সা, ইসলামী ৩০ ও পূবালীর ৩০ পয়সা, মার্কেন্টাইল ২০ পয়সা এবং ঢাকা, ইবিএল, আইসিবি ইসলামী ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের দর বেড়েছে ১০ পয়সা করে।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১ দশমিক ০১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৫২ পয়েন্টে।
শরিয়াহ ভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ২ দশমিক ২৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৯০ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১৩ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৯৭ পয়েন্টে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৭টির, কমেছে ২৩৭টির। দর পাল্টায়নি ২৮টির। লেনদেন হয়েছে মোট ১ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে আড়াইশ কোটি টাকার মতো কম।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের তুলনায় ৪০ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫৭০ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে মোট ১০৪ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য