২০১০ সালের মহাধসের পর সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড একবার নয়, দুবার। সোয়া তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সূচক পার হয় ছয় হাজার পয়েন্ট।
এই ঘটনাটি এমন একসময় ঘটল, যখন করোনাভাইরাসের কারণে চলছে বিধিনিষেধ। গত ৫ এপ্রিল এই বিধিনিষেধ তথা লকডাউন শুরু হবে ভেবে আতঙ্কে কম দামে হলেও শেয়ার বিক্রি করে দিতে চাওয়া বিনিয়োগকারীরা পরের দুই মাসে দেখলেন ভেলকি।
তরতর করে বাড়তে থাকে শেয়ারমূল্য, বাড়ে সূচক, উন্নতি হয় লেনদেনে।
এর মধ্যে গত ৩০ মে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছয় হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৮ পয়েন্ট।
১৭ মে লেনদেন ছাড়িয়ে যায় দেড় হাজার কোটির ঘর। সেখানেই থেমে থাকেনি পুঁজিবাজার।
১৯ মে লেনদেন ছাড়ায় দুই হাজার কোটি টাকা। এরপর কেবল ছয় দিন এর চেয়ে কম লেনদেন হয়েছে। বাকি সব দিনই দুই হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়।
৬ জুন লেনদেন আড়াই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে ২ হাজার ৬৬৯ কোটি ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার টাকায় পৌঁছে।
২০১০ সালের জানুয়ারির পর এটাই ছিল সর্বোচ্চ লেনদেন।
তিন দিন পর ৯ জুন লেনদেন ওঠে আরেক উচ্চতায়। সেদিন হাতবদল হয় ২ হাজার ৭০০ কোটি ৫৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
পুঁজিবাজারে সর্বকালের সবচেয়ে বেশি লেনদেনের রেকর্ডটি টিকে থাকে কেবল ১০ কোটি টাকার জন্য।
কিন্তু এক দশকের লেনদেনে রেকর্ড ছোঁয়ার দিন সূচক পড়ে যাওয়া নিয়ে ৬ জুন তৈরি হয় অস্বস্তি। কারণ বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিক্রিতে দাম কমে যাওয়ার দিন বিক্রি করার মানে হচ্ছে বিনিয়োগকারীরা সংশোধনের আশঙ্কা করছেন।
৭ জুন সত্যি সত্যি সূচক কমে ছয় হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে যায়। সেদিন ৫৩ পয়েন্ট সূচক হারায়।
এরপর অবশ্য প্রতিদিনই সূচক ছয় হাজার পয়েন্টের ওপরেই ছিল। যদিও ১৪ জুন একপর্যায়ে আবার নিচে নেমে যায়। পরে শেষ এক ঘণ্টায় কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়ে ৬ হাজার ১৩ পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়।
এই এক মাসে পুঁজিবাজার সংশোধনে না গেলেও ব্যাংক খাতে বেশ ভালোই দরপতন হয়েছে। গতি নেই আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, ওষুধ ও রসায়ন, খাদ্য ও আনুষঙ্গিকের মতো প্রধান খাতগুলোতে।
বস্ত্র ও প্রকৌশল চাঙা হলেও তিন দিন বাড়ে তো দুই দিন কমে। মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত ভালো হবে, এমন প্রত্যাশা ঘুরে বেড়াচ্ছে কয়েক বছর ধরেই। কিন্তু সেখানেও দুই দিন বাড়লে তিন দিন তা কমে আগের অবস্থানে আসছে।
কেবল বিমা খাত বেড়েই চলছে। থামার নাম নেই এখানে। কেন এই খাতে অস্বাভাবিক উত্থান, তা নিয়ে আলোচনার শেষ নেই।
এই এক মাসে লেনদেন কত
১৭ মে থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত পুঁজিবাজারে কর্মদিবস ছিল মোট ২২টি। এই কয়দিনে মোট লেনদেন হয়েছে ৪৫ হাজার ৮৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
দিনে গড় দাঁড়ায় ২ হাজার ৪৯ কোটি ৪৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
২০১০ সালের মহাধসের পর এত বেশি লেনদেন কখনো হয়নি পুঁজিবাজারে।
তবু কেন অস্বস্তি
বাংলাদেশের পুঁজিবাজার, বিশেষ করে ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত যে অবমূল্যায়িত, তা নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে কোনো দ্বিমত নেই। নানা সময় উত্থানের আভাস দিয়েও থেমে গেছে খাত দুটি।
আর ব্যাংক খাত ঘুমিয়ে থাকার পর গত জানুয়ারিতে সূচক ৫ হাজার ৯০৯ পয়েন্টে গিয়েও পরে উল্টো যাত্রায় সওয়ার হয় সূচক।
প্রায় তিন মাস পর ৪ এপ্রিল সূচক দাঁড়ায় ৫ হাজার ৮৮ পয়েন্টে। এই কয় দিনে সূচক কমে ৮২১ পয়েন্ট। এই সময়ে সব খাতের শেয়ার দর হারানোয় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন বিনিয়োগকারীরা।
অথচ এই পতন শুরু হওয়ার আগে গত বছরের জুন থেকে টানা বেড়েছিল পুঁজিবাজার। এই সময়ে সূচক বাড়ে প্রায় দেড় হাজার পয়েন্ট।
৫ এপ্রিল লকডাউন শুরুর পর ১৬ জুন পর্যন্ত সূচক বেড়েছে মোট ৯৬৩ পয়েন্ট। ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটি আলোচনা আছে যে, বাজার সংশোধন হতে পারে।
পুঁজিবাজার কীভাবে আগাবে, তার একটি পূর্বানুমান করা হয় টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস করে। সেখানে ধারণা করা হয়, ৬ হাজার ৩০০ পয়েন্ট অতিক্রম করতে পারলে পুঁজিবাজার আরও বাড়বে।
কিন্তু সেই ৬ হাজার ৩০০ পয়েন্টে যেতে পারছে না মূলত ব্যাংকের দরপতনের কারণে।
আবার মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মতোই দশা সূচকের। তিন দিন বাড়লে দুই দিন কমে। ফলে এক ধরনের বিভ্রান্তিকর অবস্থা তৈরি হয়েছে।
কী বলছেন বিশ্লেষকরা
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত জাতীয় ঐক্যের সভাপতি আনম আতাউল্লাহ নাঈম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একটি সেক্টরের উত্থানের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ভালো মুভমেন্টের দিকে নিয়ে গেলে আমি তাকে কীভাবে ভালো বলব?
‘অতিমূল্যায়িত কোম্পানির শেয়ারের দর যদি বাড়তেই থাকে, তাহলে বলতে হবে সেখানে নিয়ন্ত্রক সংস্থার গাফিলতি আছে।’
গত কয়েক দিনে বস্ত্র ও প্রকৌশল খাতের কিছু কিছু কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধি আর লেনদেনে গতি আসার পর কিছুটা হলেও আশান্বিত হয়েছেন তিনি। তবে এই গতি আর দর ধরে রাখতে না পারার পর আবার আশাহতও হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এমনভাবে যদি অন্তত সব সেক্টরের শেয়ারের দর বাড়ে, তাহলে আমি মনে করি এটি সার্বিক পুঁজিবাজারের জন্য ভালো। তবে শুধু বিমার মাধ্যমে সূচক ও লেনদেনে উত্থানে যে চিত্র দেখা যাচ্ছে, সেটি দিয়ে সার্বিক বাজারকে মূল্যায়ন করা কঠিন।’
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক রকিবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোনো সেক্টর নিয়ে কারসাজি হলে তার জন্য সার্ভেইল্যান্স আছে। সেটি তদন্ত করার জনবল আছে। তারা সেটি দেখবে। তবে সার্বিক পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান-পতন দিয়ে বিবেচনা করা যাবে না। লেনদেন ভালো হলেই বুঝতে হবে পুঁজিবাজারে টাকা আছে। এখানে আতঙ্কের কিছু নেই।’
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএলের গবেষণা বিভাগের সাবেক প্রধান দেবব্রত কুমার সরকার এই অবস্থার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের ঘাটতিকে দায়ী করেছেন।
তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীরা সবাই এক খাতের দিকে ছুটছে। যেখানে লাভ পাচ্ছে, সেদিকেই যাচ্ছে।’
‘কিন্তু টানা দুই হাজার কোটি টাকার লেনদেন কি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ছাড়া সম্ভব?’
এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা আরও বাড়াতে হবে আর সব খাতেই বিনিয়োগ করতে হবে। একটি খাতে বেশি নজর দিলে সেটি অতিমূল্যায়িত হয়ে গেলে তার ফল ভালো হবে না।’
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য