বিমা খাতের শেয়ার দর বাড়ার প্রবণতা থামছেই না। তবে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে প্রকৌশল খাত দেখিয়েছে চমক।
এই খাতের কয়েকটি কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশের পর শেয়ারের দাম বেড়েছে ব্যাপকভাবে। আর এই দুই খাতে ভর করে সূচকে যোগ হলো ২৯ পয়েন্ট। আবার ছয় হাজার ৫০ পয়েন্ট অতিক্রম করল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স।
লেনদেন যথারীতি দুই হাজার কোটি টাকার বেশি। সব মিলিয়ে হাতবদল হয়েছে ২ হাজার ১০৯ কোটি ৬৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
প্রধান খাতগুলোর মধ্যে বিমা আর প্রকৌশল ছাড়া বাকি খাতগুলো নিয়ে বিনিয়োগকারীরা খুব একটা আশাবাদী হতে পারেননি।
বিমা খাতের ৫০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৭টির। একটির লেনদেন স্থগিত ছিল আর কমেছে ১২টি। প্রকৌশল খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ২৫টির দর, কমেছে ১৭টির।
সবচেয়ে বেশি দাম বাড়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে পাঁচটি আর ২০টির মধ্যে সাতটি ছিল বিমা খাতের। আর সবচেয়ে বেশি দর বাড়া ২০টি কোম্পানির মধ্যে ৫টি ছিল প্রকৌশল খাতের।
বিনিয়োগে চাঙ্গা বিমা
চলতি সপ্তাহের শুরুতে কিছুটা গতি কম হলেও গত তিন কার্যদিবসে আগের মতোই দর বৃদ্ধিতে এগিয়ে থাকছে তালিকাভুক্ত বিমা খাত। এ ছাড়া, একক খাত হিসেবেও বুধবার বিমা খাতের সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ৬১৪ কোটি টাকা।
বুধবার সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দর বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে পাঁচটি ছিল বিমার।
এদিন বিমা খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৯.৯৮ শতাংশ। রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের ৯.৯৬ শতাংশ। শেয়ার দর ৬৫.২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়ে ৭১ টাকা ৭০ পয়সা।
ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯৫ শতাংশ। শেয়ার দর ৯৬.৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০৬ টাকা।
প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ এবং ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯১ শতাংশ।
এ ছাড়া, নয় শতাংশের বেশি দর বেড়েছে নিটল ইন্স্যুরেন্সের ৯.৮৮ শতাংশ। তাক্বাফুল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৭৬ শতাংশ।
এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৭.২৪ শতাংশ। ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৬.১৯ শতাংশ। মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৫.৬২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৯১ টাকা ৬০ পয়সা।
দর বৃদ্ধির তালিকায় আছে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রকৌশল খাত
অনেকটা ঝিমিয়ে থাকা প্রকৌশল খাতের উত্থান এখন দৃশ্যমান। সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের দুই থেকে তিনদিন এ খাতের উত্থানে দর বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ কোম্পানির তালিকায় উঠে আসে এ খাত।
বুধবার প্রকৌশল খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ৩০৯ কোটি টাকা, যা ব্যাংক খাতের মোট লেনদেনের প্রায় দ্বিগুণ।
এদিন প্রকৌশল খাতের বিএসআরএম স্টিল লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৮৩ শতাংশ। আগের দিনের তুলনায় কোম্পিানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৫ টাকা ৩০ পয়সা।
বাংলাদেশ স্টিল রি রোলিং মিলস লিমিটেড শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৫৪ শতাংশ। এদিন শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৮ টাকা ৩০ পয়সা।
বেঙ্গল ওয়েসডম থার্মোপ্লাস্টিক লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.২৩ শতাংশ। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ১ টাকা ৮০ পয়সা।
কেডিএস এক্সসোসরিজ লিমিটেডের শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৯.০৭ শতাংশ। লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৪ টাকা ৪০ পয়সা।
আগ্রহ নেই ব্যাংক বস্ত্রে
বুধবার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩১টি ব্যাংকের মোট লেনদেন হয়েছে ১১৩ কোটি টাকা। এদিন সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ট্রাস্ট ব্যাংকের ৩.১৯ শতাংশ। প্রাইম ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ২.৩৭ শতাংশ।
দর বৃদ্ধির তালিকার চেয়ে দর পতনের তালিকায় ব্যাংকের সংখ্যা বেশি। সবচেয়ে বেশি দর পতন হওয়া ব্যাংকের তালিকায় আছে ডাচ বাংলা ব্যাংকের ৩ শতাংশ।
এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২.৭৬ শতাংশ। আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২.৫৬ শতাংশ। রূপালী ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১.৮১ শতাংশ।
এ ছাড়া, দরপতন হওয়া ব্যাংকের তালিকায় আছে সিটি ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, শাহজালাল ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিট ইসলামী ব্যাংক। ওয়ান ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ১ শতাংশ পর্যন্ত।
বুধবার ঢালাওভাবে কমেছে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানির শেয়ার দর। লেনদেন হওয়া ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ১৭টির। দর কমেছে ৩৮টির। দর পাল্টায়নি তিনটির।
এদিন বস্ত্র খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১৯৩ কোটি টাকা।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৯ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৫১ পয়েন্টে।
শরিয়াহ ভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৪ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৮৮ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৬ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৮৩ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৮২টির, কমেছে ১৫৬টির। আর দর পাল্টায়নি ৩৪টির। লেনদেন হয়েছে মোট ২ হাজার ১০৯টির।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের চেয়ে ৬৬ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫৩০ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে মোট ৭৯ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য