× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
আমদানি বাড়লেও বিনিয়োগে সুখবর নেই
google_news print-icon

আমদানি বাড়লেও বিনিয়োগে সুখবর নেই

আমদানি-বাড়লেও-বিনিয়োগে-সুখবর-নেই
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে অন্য সব পণ্য আমদানি বেড়েছে। তবে বিনিয়োগ বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান উপাদান মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি বাড়েনি; উল্টো বেশ কমেছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এটি উদ্বেগজনক।

অর্থনীতিতে একটা কথা আছে, ‘আমদানি বাড়া মানে বিনিয়োগ বাড়া, কর্মসংস্থান বাড়া। অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার হওয়া।’ কিন্তু বাংলাদেশে তার কোনো ইঙ্গিত চোখে পড়ছে না।

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে আমদানিতে রেকর্ড হতে চললেও কলকারখানা স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধনি যন্ত্রপাতি (ক্যাপিটাল মেশিনারি) আমদানির চিত্র খুবই হতাশাজনক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ৩০ জুন শেষ হতে যাওয়া ২০২০-২১ অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) বিভিন্ন দেশ থেকে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ৩৮০ কোটি ডলারের এলসি (ঋণপত্র) খুলেছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ কম।

এলসি নিষ্পত্তির চিত্র আরও করুণ। ২৯৬ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে। কমেছে ২১ দশমিক ২৬ শতাংশ।

গত অর্থবছরের এই ১০ মাসে ৪২০ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল। নিষ্পত্তি হয়েছিল ৩৭৬ কোটি ৩৩ লাখ ডলার।

অথচ এই ১০ মাসে সার্বিক এলসি খোলার পরিমাণ বেড়েছে ১৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ। নিষ্পত্তি বেড়েছে ৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

আমদানি বাড়লেও বিনিয়োগে সুখবর নেই

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, মহামারির মধ্যে অন্য সব পণ্য আমদানি বেড়েছে। তবে বিনিয়োগ বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান উপাদান মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি বাড়েনি; উল্টো বেশ কমেছে।

বিনিয়োগ বাড়ার আরেক উপাদান বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধিও তলানিতে নেমে এসেছে। মহামারির সংকট বিবেচনায় নিয়ে মুদ্রানীতিতে এই প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। এপ্রিল পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি হয়েছে লক্ষ্যের অর্ধেকের মতো, ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মহামারির এই কঠিন সময়ে আমদানি বাড়া ভালো। তবে এই বৃদ্ধি যদি বিনিয়োগে ইতিবাচক প্রভাব না ফেলে, তা মোটেই ভালো লক্ষণ নয়।

সব পণ্যের সঙ্গে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি যদি বাড়ত, তাহলে দেশে বিনিয়োগ বাড়ত, কর্মসংস্থান বাড়ত, অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার হতো। কিন্তু তার কোনো লক্ষণ নেই। আমদানি বাড়লেও বিনিয়োগে সুখবর নেই।

তথ্য বলছে, করোনাভাইরাস মহামারির বছরেও আমদানিতে রেকর্ড হতে চলেছে। ৩০ জুন শেষ হতে যাওয়া ২০২০-২১ অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) সব মিলিয়ে ৫ হাজার ২৪৯ কোটি (৫২ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে।

এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ শতাংশ বেশি। এ ধারা অব্যাহত থাকলে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে এবার আমদানি খাতে ব্যয় ৬০ বিলিয়ন (ছয় হাজার কোটি) ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫৯ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছিল দেশে, যা ছিল এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ।

অর্থবছর শেষ হতে আর ১৫ দিন বাকি। তবে এপ্রিল পর্যন্ত আমদানির তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতে দেখা যায়, এপ্রিলে ৬২৬ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে, যা গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে ১১৯ শতাংশ বেশি। মহামারির মধ্যেই এ বছরের জানুয়ারিতে ৭২৩ কোটি ৫৩ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছিল। এক মাসের হিসাবে এটি ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

ফেব্রুয়ারি ও মার্চে আমদানি খাতে ব্যয় হয় যথাক্রমে ৫৫৬ কোটি ৪২ লাখ ও ৬১৬ কোটি ১২ লাখ ডলার।

এর আগে বিদায়ি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৪২৩ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছিল দেশে। আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে আমদানি হয় যথাক্রমে ৩৮১ কোটি, ৪৬৫ কোটি ও ৪৩৭ কোটি ডলারের পণ্য।

নভেম্বর ও ডিসেম্বরে আমদানি হয় যথাক্রমে ৪৮২ কোটি ও ৫৩৭ কোটি ডলারের পণ্য।

গত এপ্রিলে বিভিন্ন পণ্য আমদানির জন্য ৫০২ কোটি ডলারের এলসি (ঋণপত্র) খোলা হয়েছে, যা গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে ১৮২ শতাংশ বেশি।

গত বছরের মার্চে দেশে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর এপ্রিল মাসের প্রায় পুরোটা সময় লকডাউনে দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রায় বন্ধই ছিল। তৈরি পোশাকশিল্প, কলকারখানা ছাড়া অফিস-আদালত-ব্যাংকসহ প্রায় সবকিছুই বন্ধ ছিল। সে কারণে ওই মাসে পণ্য আমদানির জন্য মাত্র ১৭৮ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল।

এই এপ্রিলে এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৪৩৬ কোটি ডলারের। গত বছরের এপ্রিলে এ সংখ্যাটি ছিল ২৪৭ কোটি ডলার। এ হিসাবে এলসি নিষ্পত্তি বেড়েছে ৭৬ দশমিক ১৯ শতাংশ।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, অর্থবছরের শেষ দুই মাস অর্থাৎ মে ও জুন মাসে ৪০০ কোটি ডলার করে ৮০০ কোটি ডলারের পণ্যও যদি আমদানি হয়, তাহলেও মোট আমদানি ব্যয় ৬০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

আমাদানি বাড়লেও ক্যাপিটাল মেশিনারি আমদানি কমাকে অর্থনীতিবিদেরা মোটেই ভালো লক্ষণ হিসেবে দেখছেন না।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ও ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সার্বিক আমদানি বৃদ্ধির সঙ্গে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি যদি বাড়ত, তাহলে খুবই ভালো হতো। কিন্তু সেটা না হওয়ায় উদ্বেগ থেকে যাচ্ছে।

‘এমনিতেই বেশ কয়েক বছর ধরে আমাদের বিনিয়োগে স্থবিরতা চলছে; জিডিপির ৩১-৩২ শতাংশে আটকে আছে। এখন এই ডামাডোলের মধ্যেও ক্যাপিটাল মেশিনারি আমদানি কমে যাওয়া মানে ভবিষ্যতে বিনিয়োগের অবস্থা আরও খারাপ হবে।’

তিনি বলেন, ‘অর্থনীতি পড়ে আমরা জেনেছি, আমদানি বাড়া মানে বিনিয়োগ বাড়া। আর আমদানি কমা মানে বিনিয়োগ কমা। বিনিয়োগ কমা মানে কর্মসংস্থান কমে যাওয়া।

‘কিন্তু এখন আমদানি বাড়ছে। অথচ ক্যাপিটাল মেশিনারি আমদানি কমছে। বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ কম। বিনিয়োগে প্রভাব পড়ছে না। কেমন জানি উল্টো লাগছে।’

২০০৭-০৮ মেয়াদে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিনিয়োগ বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান নিয়ামক হচ্ছে ক্যাপিটাল মেশিনারি এবং বেসরকারি ঋণ। এই দুটি যদি না বাড়ে, তাহলে দেশে বিনিয়োগ বাড়বে না। আর বিনিয়োগ না বাড়লে কর্মসংস্থান হবে না। কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে না।

‘আমরা এখন যে উদীয়মান অর্থনীতিতে আছি, তাতে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে জিডিপির কমপক্ষে ৩৬-৩৭ শতাংশ বিনিয়োগ পেতে হবে। বেশ কয়েক বছর ধরে আমাদের বিনিয়োগ একই জায়গায় আটকে আছে ৩১-৩২ শতাংশ। এ থেকে আমাদের বের হয়ে আসতেই হবে। যে করেই হোক বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।’

তিনি বলেন, বিনিয়োগের অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। এখন দেশে সেই স্থিতিশীলতা আছে। কিন্তু মহামারি সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিয়েছে। এখন বিনিয়োগ বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে সরকার ও উদ্যোক্তাদের কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, সংকটের সময় অনেক সম্ভাবনাও উঁকি দেয়। এখন এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববাজারে কোন পণ্যের চাহিদা বেশি, নতুন কোন পণ্যের বাজার সৃষ্টি হয়েছে, এসব বিষয় ভালোভাবে দেখেশুনে বিনিয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। দেশি বিনিয়োগ না বাড়লে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না, এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই সরকার ও উদ্যোক্তাদের একযোগে কাজ করতে হবে।’

ব্যবসায়ী নেতা ও ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি শামস মাহমুদ নিউজবাংলাকে বলেন, করোনার ধাক্কায় সব কিছু ওলটপালট হয়ে গেছে। এখন বিনিয়োগের নতুন কৌশল নিয়ে মাঠে নামতে হবে। ছোট ও মাঝারি শিল্পের দিকে সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার সোয়া লাখ কোটি টাকার যে প্রণোদনা ঘোষণা করেছিল, তার বেশিরভাগ বড় উদ্যোক্তারা পেয়েছে। যারা করোনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই ছোট-মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তারা কিন্তু বঞ্চিত হয়েছে। এখন নতুন করে তাদের সহায়তা দিতে হবে।

শামস বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, ছোট-মাঝারি শিল্পগুলো ঘুরে না দাঁড়ালে বড় বড় শিল্পগুলোও ধাক্কা সামলে উঠতে পারবে না। তাই এখন ছোটরা যাতে ধাক্কা সামলে উঠে দাঁড়াতে পারে, সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই বিনিয়োগ করতে হবে।

‘পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থতির কারণে চায়না ও ভিয়েতনামের তৈরি পোশাকের অর্ডার এখন বাংলাদেশে আসছে। সে সুযোগগুলো ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারলে আমাদের রপ্তানি আয় আরও বাড়বে। এই দুই দেশ থেকে অন্য কোনো পণ্যের বাজার বাংলাদেশে নিয়ে আসা যায় কি না, সেটাও বিবেচনায় নিয়ে বিনিয়োগ পরিকল্পনা সাজাতে হবে।’

আরও পড়ুন:
খেলাপি গ্রাহককে ‘আমদানি পরবর্তী অর্থায়ন’ নয়
আমদা‌নি নীতি সহায়তার সময় বাড়ল ৬ মাস
মহামারির বছরেও আমদানিতে রেকর্ড
বেনাপোল দিয়ে কমেছে আমদানি-রপ্তানি
১৭ দেশ থেকে এসেছে ছোলা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Polytechnic students demonstrations and position programs in Naogaon

নওগাঁয় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি

নওগাঁয় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি

ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রতি প্রকাশ্য অবমূল্যায়ন এবং সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে গঠিত অসম কমিটির প্রত্যাখ্যান ও ডিগ্রি প্রকৌশলীদের অযৌক্তিক তিন দফা দাবি রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রত্যাখ্যানের দাবিতে নওগাঁয় বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টায় শহরের মুক্তির মোড় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে নওওগাঁর সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এ কর্মসূচি অংশ শিক্ষার্থীরা।

নওগাঁ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে এতে নেতৃত্ব দেন আবু হুরায়রা হাসিব ,আশরাফুল হক, এস এম তাহিয়াতুল ইসলাম জিহাদ,আরাফাত জনি, আব্দুল বারী ,রিয়াউল রাহাদ এবং মোঃ রেদোওয়ান।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা আমাদের দাবি আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। সরকারকে বলবো এই সমস্যার যৌক্তিক সমাধান করুন। তা নাহলে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। তখন এর দায় কিন্তু সরকারকে নিতে হবে। যে দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন সেগুলো হলো, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন থেকে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রকাশ্যে গুলি করা ও জবাই করে হত্যার হুমকি প্রদানকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের অযৌক্তিক তিন দফা দাবির পক্ষে পরিচালিত সকল কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশের উত্থাপিত যৌক্তিক ছয় দফা দাবির রূপরেখা ও সুপারিশ অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ান-চ্যানেল এডুকেশন চালু করতে হবে।

দাবিগুলো দ্রুত সরকার মেনে না নিলে আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলনের হুশিযারি দেয় শিক্ষার্থীরা।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Domare journalist to protest the threat to the journalist

ডোমারে সাংবাদিককে হুমকির প্রতিবাদে ঝাড়ু মিছিল

ডোমারে সাংবাদিককে হুমকির প্রতিবাদে ঝাড়ু মিছিল

নীলফামারীর ডোমারে সাংবাদিককে হুমকির প্রতিবাদে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলামের অপসারণের দাবীতে এলাকাবাসী ঝাড়ু মিছিল করেছে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে কাজীপাড়া থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি হৃদয়ে স্বাধীনতা চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান হিল্লোল, সাংবাদিক আবু ফাত্তাহ কামাল পাখি, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর উপজেলা সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ আইয়ুব, জামায়াত নেতা মো. সোহেল রানা, তুহিন ইসলামসহ আরও অনেকে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, এলাকায় মাদক করবার সহ বিভিন্ন অপকর্মের বিষয়ে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান হিল্লোল ওসির সাথে যোগাযোগ করলে সহযোগিতার পরিবর্তে তিনি সাংবাদিককে হুমকি দেন। এরই প্রতিবাদে এলাকাবাসী ওসিকে মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগী আখ্যা দিয়ে ঝাড়ু মিছিল বের করে তাঁর অপসারণ দাবি জানায়।

বক্তারা অভিযোগ করেন, কুখ্যাত মাদক সম্রাজ্ঞী রুপার পক্ষে অবস্থান নিয়ে ওসি সাংবাদিক হিল্লোলকে হুমকি দেন। এছাড়া ওসির বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কমিশন গ্রহণ, টাকা নিয়ে মামলা গ্রহণ, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সুযোগ-সুবিধা দেয়ার অভিযোগও উত্থাপন করা হয়। বক্তারা অনতিবিলম্বে ডোমার থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলামের অপসারণ দাবি জানান।

এ বিষয়ে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম জানান, সাংবাদিকের সাথে আমার কিছু হয়নি। ২দিন আগে রাতে মাদক ব্যবসায়ী রুপার বাড়িতে স্থানীয়দের নিয়ে মব সৃষ্টি করে ঘরে আগুন লাগানোর পরিকল্পনা করছিলো। আমি সেটা নিয়ে সাংবাদিক হিল্লোলকে বলেছিলাম মব সৃষ্টি করে কোনো বিশৃঙ্খলা হলে এর দায় আপনাকে নিতে হবে।এভাবে বলার কারনে সাংবাদিক লোকোজন নিয়ে মিছিল করেছে, সমস্যা নেই তার কাজ সে করেছে আমার কাজ আমি করবো।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The Commission wants to implement the July Charter before the extended term

বর্ধিত মেয়াদের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন চায় কমিশন

বর্ধিত মেয়াদের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন চায় কমিশন

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, বর্ধিত এক মাস সময়ের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে চাই। এর জন্য কোনো অবস্থাতেই এক মাস লাগবে না। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। আশা করি, দ্রুত একটি পরিণতি দেখা যাবে।

বুধবার ( ১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়ানোর কথা উল্লেখ করেন।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, কমিশনের সভাপতি হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা সার্বিক বিষয়ে জানেন। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের অধিবেশনে যাবেন তিনি। এর আগেই সনদ বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে তাকে অবগত করা হবে।

সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে কমিশন চূড়ান্ত খসড়া পাঠিয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ৬টি উপায়ের পরামর্শ দিয়েছেন। এর মধ্যে কেউ বলছেন বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ বা গণভোটের মাধ্যমে কার্যকর করতে। আবার অনেকেই সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে।

আলী রীয়াজ বলেন, আমাদের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের পক্ষ থেকে একটি সুস্পষ্ট মতামত সুপারিশ হিসেবে আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে। আপনাদের পক্ষ থেকে যে সমস্ত বক্তব্য ছিল সেগুলোকে আমরা ছয় ভাগে ভাগ করেছিলাম। আপনারা বলেছিলেন বেশ কিছু বিষয় অধ্যাদেশ এবং নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা যায়।

তিনি বলেন, আমরাও কমিশনের পক্ষ থেকে সরকারকে অনুরোধ করেছি, অত্যন্ত দ্রুততার সম্ভব সঙ্গে বাস্তবায়িত পদক্ষেপ গ্রহণ করে। যে সমস্ত বিষয় অধ্যাদেশ এবং নির্বাহী আদেশে করা যায় সেগুলো যেন তারা দ্রুত করেন।

আলী রীয়াজ বলেন, সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে আমাদের যেই বিশেষজ্ঞ প্যানেল আছে তারা দুটো কথা বলেছিলেন-একটি হচ্ছে গণভোট, আরেকটি বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের কথা। সমস্ত কিছু বিবেচনা করে প্যানেলের পক্ষ থেকে আমাদেরকে একটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যেটি আপনাদের সামনে আমরা উপস্থাপন করেছি। আমরা সরকারকে একাধিক পরামর্শ দিতে পারি বাস্তবায়নের সেটা তুলনামূলকভাবে সরকারের জন্য সহজতর হবে, বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে এবং প্রয়োজনীয় আইনি সাংবিধানিক বিষয়গুলো ক্ষতিয়ে দেখে তারা পদক্ষেপ নিতে পারবেন।

আলী রীয়াজ জানান, সনদে স্বাক্ষর করার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে দু’জন করে প্রতিনিধির নাম পাঠানোর কথা বলা হয়েছিল। বেশিরভাগ দলই পাঠিয়েছে। আমরা চাই এ ব্যাপারে সরকার প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেবে।

তৃতীয় ধাপের এ বৈঠকে অংশ নিয়েছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আজকের বৈঠকে কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত আছেন- বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Gokhara snake in Deiganj upazila

দেবীগঞ্জ উপজেলা গোখরা সাপ হাতে নিয়েই হাসপাতালে বৃদ্ধা

দেবীগঞ্জ উপজেলা গোখরা সাপ হাতে নিয়েই হাসপাতালে বৃদ্ধা

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে গোখরা সাপের ছোবলে আহত হয়েছেন সুমিত্রা রানী (৬০) নামের এক নারী। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, ছোবল দেওয়া সেই সাপটিকে একটি প্লাস্টিকের বোয়ামে ভরে সঙ্গে করে নিয়ে হাসপাতালে হাজির হন তিনি নিজেই।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলের দিকে দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের সোনাপোতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ঘরের একটি পুরোনো প্লাস্টিকের বোয়াম পরিষ্কার করতে গিয়ে হঠাৎই গোখরা সাপটি সুমিত্রা রানীকে ছোবল দেয়।

তার ছেলে সুরেশ চন্দ্র রায় বলেন, মা কাজ করছিলেন, হঠাৎ চিৎকার শুনে ঘরে দৌড়ে যাই। দেখি মা কাঁপছেন আর পাশে সাপটা পড়ে আছে। কোন সাপ বুঝতে না পেরে প্লাস্টিকের বোয়ামের মধ্যেই সাপটাকে ভরে, মা'কে নিয়ে হাসপাতালে যাই।

দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে পৌঁছানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসক নিশ্চিত হন, এটি একটি বিষধর গোখরা সাপ। তাৎক্ষণিকভাবে সুমিত্রা রানীকে অ্যান্টিভেনম দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন ধর বলেন, রোগী বিকাল সাড়ে চারটার দিকে হাসপাতালে আসেন। সঙ্গে সাপটিও আনা হয়েছিল। নিশ্চিত হওয়ার পরপরই এন্টিভেনাম দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়। বর্তমানে তিনি আমাদের পর্যবেক্ষণে আছেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Earthquake risk is being built with numerous buildings without Rupganj design

ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রূপগঞ্জ, নকশা ছাড়াই তৈরি হচ্ছে অসংখ্য ভবন

ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রূপগঞ্জ, নকশা ছাড়াই তৈরি হচ্ছে অসংখ্য ভবন

রূপগঞ্জে প্রায় ২০ হাজার ভবন আছে। নতুন ভবন ছাড়াও বহু পুরানো ভবন রয়েছে, যার অধিকাংশই ভূমিকম্প সহনীয় নয়। ভূমিকম্পবিদরা বলছেন, নতুন আবাসিক এলাকার মাটি নরম ও দুর্বল। এ ধরনের মাটিতে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা না মেনে বহুতল ভবন হলে তা মাঝারি মাত্রার কম্পনেই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
মুড়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রদর্শক জাকিয়া সুলতানা বলেন, রূপগঞ্জে বিল্ডিং কোড না মেনে যেভাবে অপরিকল্পিত উপায়ে ঘরবাড়ি তৈরি করা হয়েছে, তাতে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পে ঘটে যেতে পারে প্রলয়ঙ্করী ধ্বংসলীলা।
ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে আছে রূপগঞ্জ। গত ২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল একটি ভূমিকম্প হয় যার উৎপত্তিস্থল ছিল রূপগঞ্জের তারাব। রিখটার স্কেলে এটি ছিল ৪ মাত্রার। একই বছরের ১৭ এপ্রিল ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল রূপগঞ্জের ডহরগাঁও। সেই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩ মাত্রা।
বুয়েটের বিভিন্ন সময়ে করা জরিপে দেখা যায়, রূপগঞ্জে ৪ হাজার বহুতল ভবন রয়েছে। ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হলে এই ভবনগুলো এবং এর বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পূর্বাচল এলাকার এক অথরাইজড অফিসার বলেন, ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত মাত্র ৩৬টি নকশা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বাকি যেসব ভবন হয়েছে তার সবই অবৈধ। নানা বাঁধার কারণে উচ্ছেদ অভিযানে বাধাগ্রস্ত হয়। তিনি আরো বলেন, ভবনগুলোতে মোট পাঁচ ধরনের ত্রুটি পাওয়া গেছে। এগুলো হলো নকশা ছাড়া নির্মাণ, নকশায় ব্যত্যয়, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকা, জরুরি সিঁড়ির অপ্রতুলতা।
রাজউক সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ এপ্রিল রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদারের নেতৃত্বে নকশা বহির্ভূত নির্মাণ কাজের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় রূপসী এলাকার ৩ ভবন মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আরো ২ ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২৩ এপ্রিল গোলাকান্দাইল এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকারের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। গত ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলামের নেতৃত্ব পূর্বাচল উপশহরের এক নাম্বার সেক্টরে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এছাড়া ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে মুড়াপাড়া এলাকায় অননুমোদিত ভবনে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তারাব পৌরসভার নগর পরিকল্পনাবিদ নিগার সুলতানা বলেন, আমাদের ক্ষমতা সীমিত। ম্যাজিষ্ট্রেসি পাওয়ার নেই। অবৈধ ভবন কতো আছে এমন পরিসংখ্যান নেই। তবে অবৈধ ভবন চোখে পড়লে নোটিশ করি। ব্যবস্থা নেই। আমাদের লোকবল কম। রূপগঞ্জ বড় ভূমিকম্প হলে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটতে পারে।
উপজেলা দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আইমিন সুলতানা বলেন, আসলে উপজেলা পর্যায়ে কোন প্রশিক্ষণ নেই। তবে দুর্যোগ প্রশমন দিবসে ভূমিকম্পসংক্রান্ত মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, বিষয়টি আসলেই গুরুত্বপূর্ণ। এটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। ইতোমধ্যে রাজউক অভিযান চালাচ্ছে।
রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকার বলেন, নকশা ও অনুমোদন ছাড়া ভবন নির্মাণের পাশাপাশি নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গা না রেখে অনেকেই রাস্তার জায়গায় ভবন নির্মাণ করেছেন। ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘনসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে নির্মাণাধীন ভবনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই অভিযান চলমান থাকবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
4 workers burnt in Chittagong with a gas cylinder warehouse 

চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডারের গুদামে বিস্ফোরণ, মালিকসহ দগ্ধ ১০ শ্রমিক 

চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডারের গুদামে বিস্ফোরণ, মালিকসহ দগ্ধ ১০ শ্রমিক 

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী চরপাড়া এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১০ জন দগ্ধ হয়েছেন। আজ বুধবার সকালে চরপাড়ার ইউনুস মার্কেটে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

আহতদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের কারো শরীরের ৪০ শতাংশ, কারও আবার ৭০ শতাংশের মতো পুড়ে গেছে।

দগ্ধরা হলেন- মাহবুবুর রহমান (৪৫), মো. সৌরভ রহমান (২৫), মোহাম্মদ কফিল (২২), মোহাম্মদ রিয়াজ (১৭), মোহাম্মদ ইউনুস (২৬), মোহাম্মদ আকিব (১৭), মো. হারুন (২৯), মোহাম্মদ ইদ্রিস (৩০), মোহাম্মদ লিটন (২৮) ও মোহাম্মদ ছালেহ (৩৩)।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে ইউনুস মার্কেটের একটি দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার আনলোড করা হচ্ছিল। এসময় এক শ্রমিক সিগারেটে আগুন ধরালে হঠাৎ সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এতে ১০ জন শ্রমিক আগুনে দগ্ধ হন।

চমেক হাসপাতালে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ খালেদ জানান, দগ্ধ ১০ জনকে এখানে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা বেশি খারাপ। তাদের বেশিরভাগের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। পাশাপাশি দগ্ধদের কারো শরীরের ৪০ শতাংশ, কারও আবার ৭০ শতাংশের মতো পুড়ে গেছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলাউদ্দিন বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিন থেকে চারজনের অবস্থা গুরুতর।

তিনি বলেন, আহত শ্রমিকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এক শ্রমিকের জ্বালানো সিগারেট থেকে আগুনের সূত্রপাত। এ সময় গুদামে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সাবের আহমেদ জানান, বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Satarasta twist blockade technical students stop traffic

সাতরাস্তা মোড় অবরোধ কারিগরি শিক্ষার্থীদের, যান চলাচল বন্ধ

সাতরাস্তা মোড় অবরোধ কারিগরি শিক্ষার্থীদের, যান চলাচল বন্ধ

কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস ও প্রকৌশল কর্মক্ষেত্র কুক্ষিগত করার প্রতিবাদ ও ছয় দফা দাবি বাস্তাবায়নের দাবিতে ফুঁসে ওঠেছে কারিগরি শিক্ষার্থীরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর সাতরাস্তা মোড় অবরোধ করেন তারা। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীর ও বাসচালকরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ— প্রভাবশালী গোষ্ঠী কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। তারা পলিটেকনিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে প্রকৌশল পেশায় প্রবেশের পথ সংকুচিত করছে। এ ছাড়া চাকরি ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—
জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্ট কর্তৃক বাতিল, তাদের পদবি পরিবর্তন ও সংশ্লিষ্টদের চাকরিচ্যুত করা।

২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণ বাতিল ও বিতর্কিত নিয়োগবিধি সংশোধন।

ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তি বাতিল, উন্নত বিশ্বের আদলে চার বছর মেয়াদি মানসম্পন্ন কারিকুলাম চালু এবং ধাপে ধাপে ইংরেজি মাধ্যমে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা।

উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বাদ দিয়ে নিম্নপদে নিয়োগের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ।

কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত জনবলকে কারিগরি সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ নিষিদ্ধ ও আইনানুগভাবে নিশ্চিত করা।

এসব পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ এবং সব শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।

স্বতন্ত্র ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়’ প্রতিষ্ঠা এবং ‘কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠন।

উন্নতমানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং নড়াইল, নাটোর, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁওয়ের নির্মাণাধীন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোতে অস্থায়ী ক্যাম্পাস ও ডুয়েটের আওতায় একাডেমিক কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে শতভাগ আসনে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করা।

মন্তব্য

p
উপরে