গত কয়েক দিন ধরে বিমা খাতের রাজত্ব কমলেও আবারও আগের জায়গায় ফিরছে পুঁজিবাজারের দাপুটে এই খাত। সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার দর বৃদ্ধিতে এগিয়ে ছিল বিমা। সোমবারও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে।
বিমা খাতের শেয়ারের দর যখন কমছিল, তখন আলোচনায় ছিল এ খাতের মূল্য সংশোধনের। গত তিন মাসের বেশি সময় ধরে ধাপে ধাপে বাড়তে থাকা বিমা কোম্পানির শেয়ার দর। যখন আকাশচুম্বী তখন দর কমে আসাকেই স্বাভাবিক হিসেবে দেখা হয়েছিল।
কিন্তু চলতি সপ্তাহের শুরুতে আবারও যখন বিমা খাতের আধিপত্য দেখা যাচ্ছে, তখন আলোচনা অতিমূল্যায়িত শেয়ার কিনে কতটা ঝুঁকিমুক্ত থাকবেন শেয়ারধারীরা।
গত সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবসে ব্যাংক ও বিমা খাতের সমানভাবে দর পতন হলেও চলতি সপ্তাহে বিমার শেয়ার দর ঘুরে দাঁড়ালেও পতনেই আছে ব্যাংক খাত।
মঙ্গলবার লেনদেন শেষে বিমা খাতে তালিকাভুক্ত ৫০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩৮টির। কমেছে মাত্র ১০টির। আর দর পাল্টায়নি দুটির।
অপরদিকে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত ৩১টি কোম্পানির মধ্যে ২২ ব্যাংকের শেয়ারের দর কমেছে। পাঁচটির দর বেড়েছে। আর চারটির দর পাল্টায়নি।
এ সময়ে শেয়ার দর বৃদ্ধিতে স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল বস্ত্র, প্রকৌশল ও জ্বালানি খাতের।
এদিন বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩২টির। কমেছে ২১টির। দর পাল্টায়নি পাঁচটির। এ ছাড়া প্রকৌশল খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে ১৯টির দর বেড়েছে। ২০টির দর কমেছে। দর পাল্টায়নি তিনটির।
সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের স্যালভো কেমিক্যাল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের দিনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। এ ছাড়া বিদ্যুও জ্বালানি খাতের কোম্পানির এনার্জি প্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের শেয়ার দরও বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। এ খাতের আরেক কোম্পানি অ্যাসোসিয়েট অক্সিজের শেয়ার দরও বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দর বেড়েছে প্রকৌশল খাতের এস আলম কোল্ট রোলিং স্টিল লিমিটেডের।
এদিক চলতি মাসের ১১ কার্যদিবস শেষ টানা নয় কার্যদিবসই পুঁজিবাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছিল ছয় হাজার পয়েন্টে।
জুন মাসের শুরুতে সূচক ছিল ৫ হাজার ৯৯৩ পয়েন্টে। এরপর টানা তিন দিন ছয় হাজারে ছিল সূচক। ৭ জুন আবার ছয় হাজার থেকে নেমে সূচক দাঁড়ায় ৫ হাজার ৯৭৫ পয়েন্টে। এরপর ছয় কার্যদিবস লেনদেনে টানা সূচকের অবস্থান ছিল ছয় হাজারে।
আস্থা বিমায়
দীর্ঘ প্রায় তিন মাসের বেশি সময় ধরে বাড়তে থাকা বিমা খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা এখনও অনড়। বিনিয়োগ করছেন শুধু এ খাতের। মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া ৩০টি কোম্পানির মধ্যে ১২টি ছিল বিমা খাতের।
এদিন লেনদেনে বিমা খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের ৯.৯৬ শতাংশ। শেয়ার দর ১১৬ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১২৮ টাকা।
ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯০ শতাংশ। শেয়ার দর ৯৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০৭ টাকা ৬০ পয়সা। ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দরও বেড়েছে একই হারে। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯.৯০ শতাংশ বেড়ে ৬০ টাকা ৬০ পয়সার শেয়ার দাঁড়িয়েছে ৬৬ টাকা ৬০ পয়সা।
প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৪১ শতাংশ। ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৮.১২ শতাংশ। মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৭.৭৮ শতাংশ। প্রভাতি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৭.৪০ শতাংশ। এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৭.০৮ শতাংশ।
ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, নর্দান ইন্স্যুরেন্স, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
এদিন বিমা খাতের কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ১.৬২ শতাংশ।
ব্যাংকের আগ্রহ তলানিতে
মঙ্গলবার লেনদেন শেষে তলানিতে ছিল ব্যাংক খাতের শেয়ার দর। কমেছে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। এদিন ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর বেড়েছে রূপালী ব্যাংকের ৪.০৫ শতাংশ। এরপর ৩.২৮ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে ট্রাস্ট ব্যাংকের। ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে দশমিক ৭২ শতাংশ।
দর বাড়ার তালিকায় ব্যাংকের নাম না থাকলেও পতনে তালিকায় সারি সারি আছে ব্যাংকের নাম। মঙ্গলবার ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে এনআরবিসি ব্যাংকের ৪.২৩ শতাংশ। ডাচ বাংলা ব্যাংকের দর কমেছে ৩.৭০ শতাংশ। এবি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ৩.৬৭ শতাংশ। প্রাইম ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ৩.৬৫ শতাংশ। প্রাইম ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২.৩৮ শতাংশ।
স্ট্রান্ডার্ড ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ পর্যন্ত।
বস্ত্র ও প্রকৌশল খাতের ছিল উত্থান
প্রকৌশল খাতের এস আলম কোল্ড রোলিং স্টিল লিমিটেডের শেয়ারের দর বেড়েছে ৯.৯৭ শতাংশ। শেয়ার দর ৩২ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৬ টাকা ৪০ পয়সা। এ খাতের মীর আক্তার হোসেনের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯৪ শতাংশ। লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ১০১ টাকা ৮০ পয়সা।
প্রকৌশল খাতের আরেক কোম্পানি রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৮৫ শতাংশ। ডমিনেস স্টিল বিল্ডিংসিস্টেমস লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৬৫ শতাংশ।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ওটিসি মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে জেড ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি মুন্নু ফেবিক্স লিমিটেডের। দ্বিতীয় দিনের মতো কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ। মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯২ শতাংশ। একইভাবে ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে ফেরা তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের শেয়ার দরও বেড়েছে ৯.৬৬ শতাংশ।
এ খাতের আরেক কোম্পানিট তুং হাই নীটং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৭৬ শতাংশ। সাফকো স্পিনিং মিলস লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৫২ শতাংশ। তোসরিফা ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৭.১৯ শতাংশ।
সূচক ও লেনদেন
মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২২ পয়েন্টে। শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস সূচক দশমিক ৫২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৮৪ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৩ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৭৬ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে মোট ২ হাজার ৩২ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের চেয়ে ১ দশমিক ১৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৪৬৪ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ৯০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য