গত কয়েক দিন ধরে বিমা খাতের রাজত্ব কমলেও আবারও আগের জায়গায় ফিরছে পুঁজিবাজারের দাপুটে এই খাত। সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার দর বৃদ্ধিতে এগিয়ে ছিল বিমা। সোমবারও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে।
বিমা খাতের শেয়ারের দর যখন কমছিল, তখন আলোচনায় ছিল এ খাতের মূল্য সংশোধনের। গত তিন মাসের বেশি সময় ধরে ধাপে ধাপে বাড়তে থাকা বিমা কোম্পানির শেয়ার দর। যখন আকাশচুম্বী তখন দর কমে আসাকেই স্বাভাবিক হিসেবে দেখা হয়েছিল।
কিন্তু চলতি সপ্তাহের শুরুতে আবারও যখন বিমা খাতের আধিপত্য দেখা যাচ্ছে, তখন আলোচনা অতিমূল্যায়িত শেয়ার কিনে কতটা ঝুঁকিমুক্ত থাকবেন শেয়ারধারীরা।
গত সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবসে ব্যাংক ও বিমা খাতের সমানভাবে দর পতন হলেও চলতি সপ্তাহে বিমার শেয়ার দর ঘুরে দাঁড়ালেও পতনেই আছে ব্যাংক খাত।
মঙ্গলবার লেনদেন শেষে বিমা খাতে তালিকাভুক্ত ৫০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩৮টির। কমেছে মাত্র ১০টির। আর দর পাল্টায়নি দুটির।
অপরদিকে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত ৩১টি কোম্পানির মধ্যে ২২ ব্যাংকের শেয়ারের দর কমেছে। পাঁচটির দর বেড়েছে। আর চারটির দর পাল্টায়নি।
এ সময়ে শেয়ার দর বৃদ্ধিতে স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল বস্ত্র, প্রকৌশল ও জ্বালানি খাতের।
এদিন বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩২টির। কমেছে ২১টির। দর পাল্টায়নি পাঁচটির। এ ছাড়া প্রকৌশল খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে ১৯টির দর বেড়েছে। ২০টির দর কমেছে। দর পাল্টায়নি তিনটির।
সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের স্যালভো কেমিক্যাল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের দিনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। এ ছাড়া বিদ্যুও জ্বালানি খাতের কোম্পানির এনার্জি প্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের শেয়ার দরও বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। এ খাতের আরেক কোম্পানি অ্যাসোসিয়েট অক্সিজের শেয়ার দরও বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দর বেড়েছে প্রকৌশল খাতের এস আলম কোল্ট রোলিং স্টিল লিমিটেডের।
এদিক চলতি মাসের ১১ কার্যদিবস শেষ টানা নয় কার্যদিবসই পুঁজিবাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছিল ছয় হাজার পয়েন্টে।
জুন মাসের শুরুতে সূচক ছিল ৫ হাজার ৯৯৩ পয়েন্টে। এরপর টানা তিন দিন ছয় হাজারে ছিল সূচক। ৭ জুন আবার ছয় হাজার থেকে নেমে সূচক দাঁড়ায় ৫ হাজার ৯৭৫ পয়েন্টে। এরপর ছয় কার্যদিবস লেনদেনে টানা সূচকের অবস্থান ছিল ছয় হাজারে।
আস্থা বিমায়
দীর্ঘ প্রায় তিন মাসের বেশি সময় ধরে বাড়তে থাকা বিমা খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা এখনও অনড়। বিনিয়োগ করছেন শুধু এ খাতের। মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া ৩০টি কোম্পানির মধ্যে ১২টি ছিল বিমা খাতের।
এদিন লেনদেনে বিমা খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের ৯.৯৬ শতাংশ। শেয়ার দর ১১৬ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১২৮ টাকা।
ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯০ শতাংশ। শেয়ার দর ৯৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০৭ টাকা ৬০ পয়সা। ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দরও বেড়েছে একই হারে। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯.৯০ শতাংশ বেড়ে ৬০ টাকা ৬০ পয়সার শেয়ার দাঁড়িয়েছে ৬৬ টাকা ৬০ পয়সা।
প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৪১ শতাংশ। ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৮.১২ শতাংশ। মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৭.৭৮ শতাংশ। প্রভাতি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৭.৪০ শতাংশ। এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৭.০৮ শতাংশ।
ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, নর্দান ইন্স্যুরেন্স, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
এদিন বিমা খাতের কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ১.৬২ শতাংশ।
ব্যাংকের আগ্রহ তলানিতে
মঙ্গলবার লেনদেন শেষে তলানিতে ছিল ব্যাংক খাতের শেয়ার দর। কমেছে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। এদিন ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর বেড়েছে রূপালী ব্যাংকের ৪.০৫ শতাংশ। এরপর ৩.২৮ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে ট্রাস্ট ব্যাংকের। ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে দশমিক ৭২ শতাংশ।
দর বাড়ার তালিকায় ব্যাংকের নাম না থাকলেও পতনে তালিকায় সারি সারি আছে ব্যাংকের নাম। মঙ্গলবার ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে এনআরবিসি ব্যাংকের ৪.২৩ শতাংশ। ডাচ বাংলা ব্যাংকের দর কমেছে ৩.৭০ শতাংশ। এবি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ৩.৬৭ শতাংশ। প্রাইম ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ৩.৬৫ শতাংশ। প্রাইম ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২.৩৮ শতাংশ।
স্ট্রান্ডার্ড ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ পর্যন্ত।
বস্ত্র ও প্রকৌশল খাতের ছিল উত্থান
প্রকৌশল খাতের এস আলম কোল্ড রোলিং স্টিল লিমিটেডের শেয়ারের দর বেড়েছে ৯.৯৭ শতাংশ। শেয়ার দর ৩২ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৬ টাকা ৪০ পয়সা। এ খাতের মীর আক্তার হোসেনের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯৪ শতাংশ। লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ১০১ টাকা ৮০ পয়সা।
প্রকৌশল খাতের আরেক কোম্পানি রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৮৫ শতাংশ। ডমিনেস স্টিল বিল্ডিংসিস্টেমস লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৬৫ শতাংশ।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ওটিসি মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে জেড ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি মুন্নু ফেবিক্স লিমিটেডের। দ্বিতীয় দিনের মতো কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ। মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯২ শতাংশ। একইভাবে ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে ফেরা তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের শেয়ার দরও বেড়েছে ৯.৬৬ শতাংশ।
এ খাতের আরেক কোম্পানিট তুং হাই নীটং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৭৬ শতাংশ। সাফকো স্পিনিং মিলস লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৫২ শতাংশ। তোসরিফা ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৭.১৯ শতাংশ।
সূচক ও লেনদেন
মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২২ পয়েন্টে। শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস সূচক দশমিক ৫২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৮৪ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৩ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৭৬ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে মোট ২ হাজার ৩২ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের চেয়ে ১ দশমিক ১৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৪৬৪ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ৯০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য