গত কয়েক দিন ধরে বিমা খাতের রাজত্ব কমলেও আবারও আগের জায়গায় ফিরছে পুঁজিবাজারের দাপুটে এই খাত। সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার দর বৃদ্ধিতে এগিয়ে ছিল বিমা। সোমবারও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে।
বিমা খাতের শেয়ারের দর যখন কমছিল, তখন আলোচনায় ছিল এ খাতের মূল্য সংশোধনের। গত তিন মাসের বেশি সময় ধরে ধাপে ধাপে বাড়তে থাকা বিমা কোম্পানির শেয়ার দর। যখন আকাশচুম্বী তখন দর কমে আসাকেই স্বাভাবিক হিসেবে দেখা হয়েছিল।
কিন্তু চলতি সপ্তাহের শুরুতে আবারও যখন বিমা খাতের আধিপত্য দেখা যাচ্ছে, তখন আলোচনা অতিমূল্যায়িত শেয়ার কিনে কতটা ঝুঁকিমুক্ত থাকবেন শেয়ারধারীরা।
গত সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবসে ব্যাংক ও বিমা খাতের সমানভাবে দর পতন হলেও চলতি সপ্তাহে বিমার শেয়ার দর ঘুরে দাঁড়ালেও পতনেই আছে ব্যাংক খাত।
মঙ্গলবার লেনদেন শেষে বিমা খাতে তালিকাভুক্ত ৫০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩৮টির। কমেছে মাত্র ১০টির। আর দর পাল্টায়নি দুটির।
অপরদিকে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত ৩১টি কোম্পানির মধ্যে ২২ ব্যাংকের শেয়ারের দর কমেছে। পাঁচটির দর বেড়েছে। আর চারটির দর পাল্টায়নি।
এ সময়ে শেয়ার দর বৃদ্ধিতে স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল বস্ত্র, প্রকৌশল ও জ্বালানি খাতের।
এদিন বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩২টির। কমেছে ২১টির। দর পাল্টায়নি পাঁচটির। এ ছাড়া প্রকৌশল খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে ১৯টির দর বেড়েছে। ২০টির দর কমেছে। দর পাল্টায়নি তিনটির।
সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের স্যালভো কেমিক্যাল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের দিনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। এ ছাড়া বিদ্যুও জ্বালানি খাতের কোম্পানির এনার্জি প্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের শেয়ার দরও বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। এ খাতের আরেক কোম্পানি অ্যাসোসিয়েট অক্সিজের শেয়ার দরও বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দর বেড়েছে প্রকৌশল খাতের এস আলম কোল্ট রোলিং স্টিল লিমিটেডের।
এদিক চলতি মাসের ১১ কার্যদিবস শেষ টানা নয় কার্যদিবসই পুঁজিবাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছিল ছয় হাজার পয়েন্টে।
জুন মাসের শুরুতে সূচক ছিল ৫ হাজার ৯৯৩ পয়েন্টে। এরপর টানা তিন দিন ছয় হাজারে ছিল সূচক। ৭ জুন আবার ছয় হাজার থেকে নেমে সূচক দাঁড়ায় ৫ হাজার ৯৭৫ পয়েন্টে। এরপর ছয় কার্যদিবস লেনদেনে টানা সূচকের অবস্থান ছিল ছয় হাজারে।
আস্থা বিমায়
দীর্ঘ প্রায় তিন মাসের বেশি সময় ধরে বাড়তে থাকা বিমা খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা এখনও অনড়। বিনিয়োগ করছেন শুধু এ খাতের। মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া ৩০টি কোম্পানির মধ্যে ১২টি ছিল বিমা খাতের।
এদিন লেনদেনে বিমা খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের ৯.৯৬ শতাংশ। শেয়ার দর ১১৬ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১২৮ টাকা।
ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯০ শতাংশ। শেয়ার দর ৯৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০৭ টাকা ৬০ পয়সা। ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দরও বেড়েছে একই হারে। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯.৯০ শতাংশ বেড়ে ৬০ টাকা ৬০ পয়সার শেয়ার দাঁড়িয়েছে ৬৬ টাকা ৬০ পয়সা।
প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৪১ শতাংশ। ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৮.১২ শতাংশ। মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৭.৭৮ শতাংশ। প্রভাতি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৭.৪০ শতাংশ। এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৭.০৮ শতাংশ।
ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, নর্দান ইন্স্যুরেন্স, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
এদিন বিমা খাতের কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ১.৬২ শতাংশ।
ব্যাংকের আগ্রহ তলানিতে
মঙ্গলবার লেনদেন শেষে তলানিতে ছিল ব্যাংক খাতের শেয়ার দর। কমেছে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। এদিন ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর বেড়েছে রূপালী ব্যাংকের ৪.০৫ শতাংশ। এরপর ৩.২৮ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে ট্রাস্ট ব্যাংকের। ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে দশমিক ৭২ শতাংশ।
দর বাড়ার তালিকায় ব্যাংকের নাম না থাকলেও পতনে তালিকায় সারি সারি আছে ব্যাংকের নাম। মঙ্গলবার ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে এনআরবিসি ব্যাংকের ৪.২৩ শতাংশ। ডাচ বাংলা ব্যাংকের দর কমেছে ৩.৭০ শতাংশ। এবি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ৩.৬৭ শতাংশ। প্রাইম ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ৩.৬৫ শতাংশ। প্রাইম ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২.৩৮ শতাংশ।
স্ট্রান্ডার্ড ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ পর্যন্ত।
বস্ত্র ও প্রকৌশল খাতের ছিল উত্থান
প্রকৌশল খাতের এস আলম কোল্ড রোলিং স্টিল লিমিটেডের শেয়ারের দর বেড়েছে ৯.৯৭ শতাংশ। শেয়ার দর ৩২ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৬ টাকা ৪০ পয়সা। এ খাতের মীর আক্তার হোসেনের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯৪ শতাংশ। লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ১০১ টাকা ৮০ পয়সা।
প্রকৌশল খাতের আরেক কোম্পানি রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৮৫ শতাংশ। ডমিনেস স্টিল বিল্ডিংসিস্টেমস লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৬৫ শতাংশ।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ওটিসি মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে জেড ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি মুন্নু ফেবিক্স লিমিটেডের। দ্বিতীয় দিনের মতো কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ। মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯২ শতাংশ। একইভাবে ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে ফেরা তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের শেয়ার দরও বেড়েছে ৯.৬৬ শতাংশ।
এ খাতের আরেক কোম্পানিট তুং হাই নীটং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৭৬ শতাংশ। সাফকো স্পিনিং মিলস লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৫২ শতাংশ। তোসরিফা ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৭.১৯ শতাংশ।
সূচক ও লেনদেন
মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২২ পয়েন্টে। শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস সূচক দশমিক ৫২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৮৪ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৩ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৭৬ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে মোট ২ হাজার ৩২ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের চেয়ে ১ দশমিক ১৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৪৬৪ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ৯০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:ঢাকার পুঁজিবাজারে গত এক সপ্তাহের লেনদেনে বেড়েছে সূচক ও মূলধন। তবে পুঁজিবাজার ইতিবাচক দিকে মোড় নিলেও কমেনি মন্দ কোম্পানির শেয়ারের দৌরাত্ম্য।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত পাঁচ কার্যদিবসে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় থাকা দশ কোম্পানির মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি মাত্র দুটি।
বাকি আট কোম্পানির মধ্যে মধ্যম মানের ‘বি’ ক্যাটাগরির সংখ্যা তিন এবং লভ্যাংশ না দেওয়া এমন মন্দ কোম্পানির সংখ্যা পাঁচ।
সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে শীর্ষে উঠে এসেছে নিউ লাইন ক্লোথিংস লিমিটেড। কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের সর্বশেষ লভ্যাংশ দিয়েছে ২০২১ সালে।
কোম্পানিটির সর্বশেষ বার্ষিক সভা হয়েছে ২০২২ সালে। এরপর থেকে বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ না দিয়ে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে আছে কোম্পানিটি।
লেনদেনে শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে থাকা অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেড কোম্পানিটিও ‘জেড’ ক্যাটাগরির। কোম্পানিটি ২০১৬ সালের পর আর কোনো লভ্যাংশ না দিয়েও হয়ে উঠেছে বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ‘তারল্য সংকটের মধ্যে সূচকের উত্থান হওয়ায় দ্রুত মুনাফা পাওয়ার আশায় অনেক বিনিয়োগকারী খারাপ শেয়ারে অর্থলগ্নি করছেন। এতে করে মন্দ কোম্পানির শেয়ার ফুলেফেঁপে উঠলেও ঝুঁকি বাড়ছে পুঁজিবাজারে।’
তিনি বলেন, ‘বাজারে ভুল তথ্য ছড়িয়ে সুবিধাভোগী কিছু কোম্পানি এসব মন্দ কোম্পানিকে টার্গেট করেই অর্থ লোপাটের পরিকল্পনা করছে। শুধু কোম্পানিই নয়, বাজার অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে অনেক ব্রোকারেজ হাউসও জড়াচ্ছে কারসাজিতে।’
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি প্রতারণামূলক সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীদের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে চার ব্রোকারেজ হাউসের বিরুদ্ধে।
সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে পিছিয়ে আছে ব্যাংক খাত। পাঁচ কর্মদিবসে এ খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ২৩ দশমিক ৭২ শতাংশ। গত সপ্তাহে এ খাতের সূচক ৬৪৮ পয়েন্ট থেকে কমে ৪৯৪ পয়েন্টে নেমে এসেছে।
ব্যাংকের পাশাপাশি দাম কমেছে বিমা খাতেও। পাঁচ কার্যদিবসে বিমা খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ।
ব্যাংক-বিমা পিছিয়ে পড়লেও ভালো অবস্থানে রয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। এ খাতে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এ ছাড়া জ্বালানি খাতে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩৫ শতাংশের ওপরে।
সর্বোপরি পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২২ পয়েন্ট, ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ বেড়েছে ৬ এবং শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ৭ পয়েন্ট।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ১৮৩ কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ১৬৬টির দাম এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে সপ্তাহের ব্যবধানে গড় লেনদেন ১ শতাংশের মতো কমলেও মোট বাজার মূলধন বেড়েছে ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
প্রথাগত লেনদেনের বাইরেও সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে ১০৬ কোটি টাকার শেয়ার বেচাকেনা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার বিক্রি করে এসিআই লিমিটেড। কোম্পানিটি পাঁচ দিনে ব্লক মার্কেটে ২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করে।
সপ্তাহব্যাপী লেনদেনে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন আসে সিরামিক খাত থেকে। রিটার্নের হিসাবে তলানিতে আছে আর্থিক খাত, জীবনবিমা ও সাধারণ বিমা। সর্বোপরি মার্কেট রিটার্ন বেড়েছে দশমিক ৫০ শতাংশ।
গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো পুঁজিবাজার সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্স বিএসইসির কাছে নিজেদের প্রাথমিক দুটি সুপারিশ জমা দেয়।
মার্জিন ঋণ ও মিউচুয়াল ফান্ড সংক্রান্ত এসব সুপারিশ আমলে নেওয়া হলে শেয়ারবাজারের অস্থিরতা অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ১০ পয়েন্ট।
শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস ৩ এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বাড়ে ৪ পয়েন্ট।
লেনদেনের শুরুতেই দাম বাড়ে ১৭৭ কোম্পানির, কমে ১৩৩টির এবং অপরিবর্তিত থাকে ৭৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৭০ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
লেনদেনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বাড়ে ২৮ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ১১০ কোম্পানির মধ্যে দাম বাড়ে ৭০, কমে ২২ এবং অপরিবর্তিত থাকে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম। মোট শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন ছাড়ায় ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। বিপরীতে দিনের শুরুতেই সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ১১ পয়েন্ট।
বাকি শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস ৩ ও ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বাড়ে ২ পয়েন্ট।
লেনদেনের শুরুতেই দাম বাড়ে ১৭০ কোম্পানির, কমে ৮৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৭৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম আধা ঘণ্টায় ডিএসইতে ৬০ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
লেনদেনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৩৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বাড়ে ২১, কমে ১৪ এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম। শুরুতেই মোট শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন ছাড়ায় ২০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রবিবার লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ৪ পয়েন্ট।
বাকি শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস ও ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ দুটি সূচকেরই উত্থান দশমিকের নিচে।
লেনদেনের শুরুতেই দাম বাড়ে ১৬৪ কোম্পানির, কমে ১৪৩ এবং অপরিবর্তিত ছিল ৭৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১০০ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
লেনদেনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বাড়ে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৬৬ কোম্পানির মধ্যে দাম বাড়ে ৩২, কমে ২২ এবং অপরিবর্তিত ছিল ১২ কোম্পানির শেয়ারের দাম। শুরুতেই মোট শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন ছাড়ায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১ পয়েন্ট।
লেনদেনের শুরুতেই দাম বেড়েছে ২২৬ কোম্পানির, কমেছে ৬০ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর লেনদেনে ডিএসইতে ৭০ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৪১ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৬, কমেছে ৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুতেই মোট শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন ছাড়িয়েছে ৪০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ৩৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস ৭ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বাড়ে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের শুরুতেই দাম বাড়ে ২৭২ কোম্পানির, কমে ২৭ এবং অপরিবর্তিত ছিল ৫০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম আধা ঘণ্টায় ডিএসইতে মোট ৮০ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়।
সূচক কিছুটা কমেছে চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৪০ কোম্পানির মধ্যে দাম বাড়ে ২৫, কমে ৮ এবং অপরিবর্তিত ছিল ৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম। শুরুতেই মোট শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন ছাড়ায় ২৫ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য