পুঁজিবাজারে বিমা খাতের পর বস্ত্রে উত্থানের মধ্যে লোকসানি ও বন্ধ থাকা কোম্পানির দাম বৃদ্ধির যে প্রবণতা, তা অব্যাহত রয়েছে।
রোববার বস্ত্র খাতের ১৪টি কোম্পানি দিনের সর্বোচ্চ দর ১০ শতাংশ বা তার আশেপাশে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১১টি থেকে কোনো লভ্যাংশ আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কারণ, তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত কোম্পানিগুলো ব্যাপক লোকসানে আছে।
জুন শেষে যে অর্থবছর শেষ হচ্ছে, তাতে এপ্রিল থেকে তিন মাসে ব্যবসায় অলৌকিক মুনাফা না করলে সেগুলো লোকসানের বৃত্তেই থাকবে।
অথচ এই ১১টি কোম্পানিই দাম বেড়ে দিনের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে যায়।
এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বেড়েছে তিনটি। বাকিগুলো ১০ পয়সার ড্রিপের হিসাবে কিছুটা কম বাড়তে পেরেছে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারের যে খাতওয়ারি উত্থান হচ্ছে, তাতে কি লোকসানি, কি অস্তিস্থহীন কোনো কিছুইর বালাই নেই। মনে হচ্ছে সিন্ডিকেট ট্রেডিং হচ্ছে। তা না হলে যে খাতের শেয়ারের দাম বাড়ে সেটি ক্রমাগত বাড়তে থাকে। এটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পক্ষ করা কঠিন।’
তিনি বলেন, ‘বস্ত্র খাতের আগামীতে লভ্যাংশ ঘোষণা আছে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে এটি একটি কারণ হতে পারে। তবে লোকসানি বা বন্ধ কোম্পানি থেকে ভালো কিছু পাওয়ার আশা করার তো কোনো কারণ দেখি না।’
কোন কোম্পানির শেয়ার মূল্য কত বাড়ল
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির গত কমিশনের আমলে বস্ত্র খাতের বেশ কিছু কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েছে, যেগুলোর মান নিয়ে প্রশ্ন আছে।
তালিকাভুক্ত হওয়ার আগে কোম্পানিগুলো প্রতি বছর মুনাফা দেখালেও পুঁজিবাজার থেকে টাকা তোলার পর পরই তারা লোকসান করতে থাকে। এক পর্যায়ে বেশ কিছু কোম্পানি বন্ধ করে দেয়া হয়।
গত বছর করোনা সংক্রমণের পর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় যেসব খাতের ব্যবসা, তার অন্যতম বস্ত্র খাত। পুঁজিবাজারে প্রতি প্রান্তিকের যে হিসাব দেয়া হয়, তাতেও বিষয়টি স্পষ্ট।
চলতি বছর যেসব কোম্পানি তৃতীয় প্রান্তিকের হিসাব জমা দিয়েছে, তার মধ্যে বস্ত্র খাতের ২০টি কোম্পানি লোকসানে আছে। আর দ্বিতীয় প্রান্তিক জমা দেয়া আরও দুটি কোম্পানি লোকসানে। সব মিলিয়ে ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে ২২টিই লোকসানি- এই চিত্র পুঁজিবাজারে আর একটিও নেই।
কিন্তু বিমা খাতে অস্বাভাবিক ঢালাও উত্থানের পর মে মাসের শেষ দিক থেকে বস্ত্র খাতেও দর বৃদ্ধির যে প্রবণতা দেখা দিয়েছে, তাতেও দেখা যাচ্ছে লাভে থাকা আর লোকসানি কোম্পানির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
বরং লোকসান ও ব্যবসায় অনিশ্চয়তার কারণে অভিহিত মূল্যের অর্ধেক বা এক তৃতীয়াংশ বা এক চতুর্থাংশ দামে নেমে আসা কোম্পানিগুলোর দাম শতকরা হিসেবে বাড়ছে মৌলভিত্তিক ভালো কোম্পানির তুলনায় বেশি।
যে তিনটি কোম্পানির দর ১০ শতাংশ বেড়েছে, তার মধ্যে দুটি ওটিসি মার্কেট থেকে লেনদেন শুরু করেছে আজই। মুন্নু ফেব্রিক ও তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল ২০০৯ সালের পর প্রথমবারের মতো বাজারে আসার পর দাম বাড়বে, এটা অনুমেয়ই ছিল। আর ১০ শতাংশ বাড়তি দামে যে শেয়ারধারীরা শেয়ার বিক্রি করতে রাজি নয়, তাও স্পষ্ট।
মুন্নুর শেয়ার তাও হাতবদল হয়েছে এক হাজার ৫০১টি। কিন্তু তমিজউদ্দিনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে কেবল একটি।
এর বাইরে ফ্যামিলি টেক্স, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, মিথুন নিটিং, জেনারেশন নেক্সট, সাফকো স্পিনিং, তাল্লু স্পিনিং, অলটেক্স, জাহিন স্পিনিং, জাহিন টেক্সটাইল, তুংহাই নিটিং, আর এন স্পিনিং, সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের দাম বেড়েছে এক দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই।
এগুলোর মধ্যে কেবল আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ মুনাফায় আছে।
বাকি কোম্পানির মধ্যে ফ্যামিলি টেক্সের মালিকরা তাদের হাতে থাকা শেয়ার ঘোষণা না দিয়ে বিক্রি করে কোম্পানি বন্ধ করে দিয়েছেন। কোম্পানিকে বাঁচাতে বিএসইসি পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে দিয়েছে। কিন্তু নতুন বোর্ড যে প্রতিবেদন দিয়েছে, তাতে এই কোম্পানিটিকে বাঁচানো যাবে না বলে ধারণা করছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম।
এই কোম্পনির শেয়ার দর ৩ টাকা থেকে ১০ শতাংশ বেড়ে ৩ টাকা ৩০ পয়সা হয়েছে।
একই অবস্থা সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের। ফ্যামিলিটেক্সের পাশাপাশি এই কোম্পানির মালিকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার কথা ভাবছে বিএসইসি।
ফ্যামিলি টেক্সটাইলের দর ২ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৭.৪১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২ টাকা ৯০ পয়সা।
মিথুন নিটিং এর মালিকরা কোম্পানি বিক্রি করে দিতে চান বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এরা সব শেষ লভ্যাংশ দিয়েছে ২০১৬ সালে।
চলতি বছর তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে এক টাকা ২৩ পয়সা। এই কোম্পানির শেয়ার দর ৯.৯ শতাংশ বা এক টাকা বেড়ে হয়েছে ১১ টাকা ১০ পয়সা।
জেনারেশন নেক্সট ২০১৮ সালের পর থেকে লোকসানের কারণে লভ্যাংশ দিতে পারছে না। চলতি বছরও তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৩ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানির শেয়ার দর ৯.৮ শতাংশ বেড়ে ৫ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫ টাকা ৬০ পয়সা।
সাফকো স্পিনিং চলতি বছর প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৪ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটি সব শেষ লভ্যাংশ দিয়েছে ২০১৮ সালে। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে ২৯ এপ্রিল থেকে দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
যেদিন বাড়তে শুরু করে, সেদিন কোম্পানির শেয়ারের মূল্য ছিল ৯ টাকা ৭০ পয়সা। সেটি এখন দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকায়।
এর মধ্যে রোববার ৯.৭ বেড়ে শেয়ার মূল্য ১৬ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়েছে এক টাকা ৬০ পয়সা।
দুই বছর ধরে তাল্লু স্পিনিং কোনো আয় ব্যয়ের হিসাব দিচ্ছে না, সব শেষ লভ্যাংশ দিয়েছে ২০১৫ সালে। এই কোম্পানির শেয়ার দর ৯.৬ শতাংশ বেড়ে ৫ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা।
অলটেক্স সব শেষ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ২০১৫ সালে। আর সব শেষ মুনাফা করতে পেরেছে ২০১৬ সালে। চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে তাদের লোকসান শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ১০ পয়সা।
এই কোম্পানির শেয়ার দরও এক দিনে ৯.৬ শতাংশ বেড়ে ৯ টাকা ৬০ পয়সা থেকে হয়েছে ১০ টাকা ৫০ পয়সা।
বস্ত্র খাতে হতাশার দুই নাম জাহিন স্পিনিং ও জাহিন টেক্সটাইল।
জাহিন স্পিনিং মিলস বিপুল পরিমাণ সম্পদ নিয়েও ২০২০ সালে শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ৩৯ পয়সা আর চলতি বছর প্রথম তিন প্রান্তিকে এক টাকা ৩৭ পয়সা লোকসান দিয়েছে কোম্পানিটি।
এ কারণে চলতি বছর এক পর্যায়ে দাম নেমে যায় ৪ টাকা ৯০ পয়সায়। তবে গত ২৮ এপ্রিল থেকেই কোম্পানির শেয়ার মূল্য বাড়তে শুরু করে।
এই কোম্পানির শেয়ার দর ৯.১ শতাংশ বেড়ে ৭ টাকা ৭০ পয়সা থেকে হয়েছে ৮ টাকা ৪০ পয়সা।
অন্যদিকে জাহিন টেক্সটাইল টানা তিন বছর ধরে লোকসানে। ২০১৯ সালে শেয়ার প্রতি ২ টাকা ২৪ পয়সা, পরের বছর ৩ টাকা ৭৭ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটি চলতি বছর ৯ মাসে লোকসান দিয়েছে ২ টাকা ৫২ পয়সা।
গত বছর এক পর্যায়ে কোম্পানির শেয়ার মূল্য তিন টাকা ৯০ পয়সায় নেমে আসে। পরে কিছুটা বাড়ে।
তবে সাম্প্রতিক উত্থান শুরু গত ৩ মে থেকে। সেদিন শেয়ার মূল্য ছিল ৫ টাকা ২০ পয়সা। এই কয়দিনে দাম বাড়ল ৪৪ শতাংশ।
এই কোম্পানির শেয়ার মূল্য ৮.৭ শতাংশ বেড়ে ৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে হয়েছে ৭ টাকা ৬০ পয়সা।
তুংহাই নিটিং সব শেষে হিসাব দিয়েছে ২০১৭ সালে। শেষ লভ্যাংশ দিয়েছে ২০১৬ সালে। বন্ধ থাকা কোম্পানির মালিকপক্ষ কোনো তথ্যই দিচ্ছে না।
তার আগের চার বছর লোকসান ছিল যথাক্রমে শেয়ার প্রতি ৫ টাকা ৪৭ পয়সা, ৬ টাকা ৯ পয়সা, ৭ টাকা ৯৭ পয়সা ও ২ টাকা ১৩ পয়সা।
এমন বিপুল লোকসানি কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীরা কী আশায় বিনিয়োগ বাড়িয়ে চলেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।
এই কোম্পানির শেয়ার মূল্যও দিনের সর্বোচ্চ সীমায় উঠে ৩ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৩ টাকা ৯০ পয়সা হয়েছে। শতকরা হিসেবে দাম বেড়েছে ৮.৩৩ শতাংশ।
বস্ত্র খাতে পুঁজিবাজারে আর এন স্পিনিং এর শেয়ার নিয়ে প্রায়ই নানা ‘খেলা’ হয়। ২০১৭ সালে ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত চার বছরের জন্য হিসাব পর্যালোচনা করে সালে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। সে সময় শেয়ার মূল্য ৬ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।
এরপর ২০১৭ ও ২০১৮ সালে আবার ১০ শতাংশ করে বোনাস শেয়ার দেয়া হয়। কিন্তু লোকসানের কারণে পরে আর কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। এর মধ্যে ২০১৯ সালের এপ্রিলে কুমিল্লায় কোম্পানির কারখানা আগুনে পুড়ে যায় পুরোপুরি। সেই ক্ষতি আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা।
চলতি বছর প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ১৬ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য আছে কেবল ১৭ পয়সা। অথচ গত ৮ জুন থেকে প্রায় ১৩ শতাংশ দাম বাড়ল কোম্পানিটির।
এর মধ্যে আজ এক দিনেই বাড়ল ৮.২ শতাংশ। ৪ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫ টাকা ৩০ পয়সা।
সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের দাম ২ টাকা ৭০ পয়সা ছিল বৃহস্পতিবার। এখান থেকে ২০ পয়সা বেড়ে দাম হওয়ার সুযোগ ছিল ২ টাকা ৯০ পয়সা। হয়েছেও তাই।
এই কোম্পানিটি ২০১৭ সালে বন্ধ করে দেয়ার পর থেকে কোনো হিসাব দিচ্ছে না।
আরও পড়ুন:
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য