পুঁজিবাজারে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষ হওয়ার পর বেশ আলোচনা ছিল বিমা খাত নিয়ে। এই খাতে দরপতন হয় কি না, এ নিয়ে যুক্তি পাল্টা-যুক্তির মধ্যে মূল ঝড়টা গেল ব্যাংক খাতের ওপর।
বিমাও বাদ যায়নি, এই খাতেরও সিংহভাগ কোম্পানির দর হারিয়েছে। সবচেয়ে বেশি দর হারানো ১০টি কোম্পানির পাঁচটিই এই খাতের।
অন্যদিকে দিনের সর্বোচ্চ দরপতনের তালিকায় না থাকলেও ব্যাংক খাতের প্রতি তিনটি কোম্পানির দুটিই দর হারিয়েছে।
সবচেয়ে বড় বাজার মূলধনের ব্যাংক খাতে দরপতনের কারণে পতন হলো সূচকেও। যদিও দরপতনের বিপরীতে দর বাড়ার সংখ্যাটিও নেহায়েত কম না।
১৯২টি কোম্পানি দর হারানোর বিপরীতে বেড়েছে ১৫৯টির দর। অপরিবর্তিত ছিল ২১টি।
এপ্রিলে লকডাউনের শুরু থেকে দুই মাসে প্রায় এক হাজার পয়েন্ট উত্থানের পর পুঁজিবাজারে দর সংশোধন হবে বলে যে আলোচনা ছিল গত দুই দিন ধরে, তার কিছুটা নমুনা দেখা গেল সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে।
দিনভর যুদ্ধ করেও শেষ বেলায় এসে পতন হলো সূচকের। সেই সঙ্গে লেনদেনও কমল উল্লেখযোগ্য পরিমাণে।
দিন শেষে সূচক পড়েছে ৩০ পয়েন্ট। অথচ দিনের শুরুতে লেনদেন শুরুর ১২ মিনিটে সূচক বেড়েছিল ৩২ পয়েন্ট। সেখান থেকে বেলা একটা ৪০ মিনিট পর্যন্ত সূচক ধরে রাখার লড়াই চলেছে। তবে শেষ পৌনে এক ঘণ্টায় কেবল নিচের দিকেই নেমেছে।
সূচক কমার দিন লেনদেনও কমেছে ব্যাপক হারে। দিন শেষে দুই হাজার কোটি টাকার বেশিই লেনদেন হলেও সেটি আগের দুই দিনের তুলনায় ব্যাপক কম।
লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৬৯ কোটি ৭ লাখ টাকা।
গত বুধবার লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা, আর বৃহস্পতিবার দুই হাজার ৬৬৯ কোটি টাকার কিছু বেশি।
ব্যাংকের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে ২২টিই। এর মধ্যে ব্যতিক্রম কেবল লভ্যাংশ ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা রূপালী ও ট্রাস্ট ব্যাংক। রূপালী ব্যাংকের দাম পরপর দ্বিতীয় দিনের মতো প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে হাতবদল হয়েছে। অতটা না বাড়লেও ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সা বা প্রায় ৪ শতাংশ।
বিমা খাতে পতন যেমন ছিল, তেমনি উত্থানও ছিল।
এই খাত নিয়ে তুমুল আলোচনা একটি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন প্রকাশের পর। গত বছর করোনায় সাধারণ ছুটি শেষে বিশেষ করে সাধারণ বিমার শেয়ার দর বেড়েছে পাগলা ঘোড়ার মতো। এমনকি ১০ গুণ হয়েছে একটি কোম্পানির দর। কোনো কোনোটির তিন থেকে চার গুণ, কোনো কোনোটির পাঁচ থেকে ছয় বা সাত গুণ হয়েছে।
ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিমা খাতের শেয়ারধারীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্পষ্টত দুটি ভাগ তৈরি হয়। একটি ভাগ বলতে থাকে বিমার দাম আরও বাড়বে, একটি পক্ষ বলতে থাকে ব্যাপকভাবে পড়বে। এই পরিস্থিতিতে রোববার কী হয়, এ নিয়ে দৃষ্টি ছিল।
দিনের শুরুটা একেবারে খারাপ ছিল না। তবে শেষ বেলায় বিমা খাতেও গেছে ঝড়।
অবশ্য এই খাতের ৫০টি কোম্পানির মধ্যে অন্তত আটটির দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। অন্যদিকে নয়টি কোম্পানির পতন হয়েছে ব্যাপক হারে। বাকিগুলো দর হারালেও শতকরা হিসেবে তা তেমন উল্লেখযোগ্য নয়।
সর্বাধিক দর বৃদ্ধি পেয়ে যেসব কোম্পানির শেয়ার দিনের সর্বোচ্চ দামে উঠেছিল, তার মধ্যে বিমা খাতের রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সও আছে। এক দিনেই ৯ টাকা ৬০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ বেড়েছে দাম।
সব মিলিয়ে এই খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪টির, দুটি ছিল অপরিবর্তিত, একটির লেনদেন রেকর্ড ডেটের কারণে স্থগিত। কমেছে বাকি ৩৩টির দাম।
বিমায় লেনদেনের চিত্র
সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে রিলায়েন্স ইন্স্যরেন্সের ৯.৯৬ শতাংশ।
এ ছাড়া অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের ৯.৯৩ শতাংশ, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ৫.০৫ শতাংশ, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৪.৪৬ শতাংশ, প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৩ দশমিক ২২ শতাংশ।
আর দর পতনের দিক দিয়ে শীর্ষে ছিল সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। এদিন দিনের সর্বোচ্চ দর পতন হয়েছে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের, যার পরেই আছে সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স।
বিমা খাতের প্রভাতি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৭ দশমকি ৭৬ শতাংশ। রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর কমেছে ৬.৫৬ শতাংশ।
এ ছাড়া বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের ৫.৫৬ শতাংশ, সান লাইফের ৫.১১ শতাংশ, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৫.০৮ শতাংশ, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ ও সন্ধানী ইন্স্যুরেন্সের দর কমেছে ৪ দশমিক ১০ শতাংশ।
এছাড়া ঢাকা, গ্লোবাল, জনতা, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ২ শতাংশ পর্যন্ত।
দরপতনের পাশাপাশি এই খাতে লেনদেনও কমে এসেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। রোববার হাতবদল হয়েছে মোট ৩৭৮ কোটি ২৯ লাখ টাকার। যা গত বৃহস্পতিবারও ছিল ৬০০ কোটি টাকার বেশি।
এদিন মোট লেনদেনের ১৮ শতাংশ হয়েছে বিমা খাতে। কিছুদিন আগেও যা ছিল ৩৬ শতাংশেরও বেশি।
ব্যাংকে আরও পতন
বাজেট ঘোষণার দিন ৩ জুন থেকে ব্যাংকে যে ধারাবাহিক পতন হচ্ছে, সেটি থামার কোনো নামই নেই।
দর পতন হওয়ার কোম্পানির তালিকার শীর্ষে ছিল ব্যাংক খাতের আল আরাফাহ ইসলাম ব্যাংকের ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ। একদিন ব্যাংকটির শেয়ারের কোনো ক্রেতা ছিল না।
এর বাইরে এবি ব্যাংকের দর কমেছে ৪.৩৮ শতাংশ, ডাচ বাংলার ৩.৪১ শতাংশ, যমুনা ব্যাংকের ৩. ২৮ শতাংশ, প্রাইম ব্যাংকের ৩.১৮ শতাংশ, ওয়ান ব্যাংকের ৩.১০ শতাংশ দর কমেছে।
এছাড়া মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দরও কমেছে এক শতাংশ করে।
লভ্যাংশ ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা রূপালী ও ট্রাস্ট ছাড়া ছাড়া কেবল আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ২.৬২ শতাংশ, এনবিএলের ১.২৭, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ১.১৪ শতাংশ আর ইসলামী ব্যাংকের ০.৩৬ শতাংশ দম বেড়েছে।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ১১৭ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ৫.৬৭ শতাংশ।
বস্ত্র খাতই এখন আলোচনার কেন্দ্রে
লভ্যাংশ ঘোষণার সময় এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বস্ত্র খাতে লেনদেন বাড়িয়েই চলেছেন বিনিয়োগকারীরা। তবে এই খাতের লাভে থাকা কোম্পানির চেয়ে বন্ধ ও লোকসানি কোম্পানির দাম রকেট গতিতে ছুটতে থাকায় এসব কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজির আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
এদিন ওটিসি মার্কেট থেকে যে চারটি কোম্পানি এদিন মূল মার্কেটে ফিরেছে, তার মধ্যে মুন্নু ফেব্রিক আর তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের ১০ শতাংশ করে দাম বেড়েছে। তবে এগুলোর বিক্রেতা ছিল না। মুন্নুর দেড় হাজার শেয়ার লেনদেন হলেও তমিজউদ্দিনের শেয়ার হাতবদল হয়েছে কেবল একটি শেয়ার।
এ ছাড়া ফ্যামিলি টেক্স, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, মিথুন নিটিং, জেনারেশন নেক্সট, সাফকো স্পিনিং, তাল্লু স্পিনিং, অলটেক্স, জাহিন স্পিনিং, জাহিন টেক্সটাইল, তুংহাই নিটিং, আর এন স্পিনিং, সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের দাম বেড়েছে একদিন যত বাড়া সম্ভব ততই।
এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে কেবল আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ মুনাফায় আছে। বাকিগুলো হয় বন্ধ নয় বিপুল পরিমাণ লোকসান গুনেছে।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ২৮৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা যা মোট লেনদেনের ১৩.৮৮ শতাংশ।
সবচেয়ে বেশি উত্থান মিউচ্যুয়াল ফান্ডে
জুন মাসের আর দুই সপ্তাহ পার করলেই মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই লভ্যাংশ ঘোষণা করবে।
এসব ফান্ডের মধ্যে সিংহভাগই তিন প্রান্তিক শেষে ব্যাপক মুনাফায় আছে। আবার চতুর্থ প্রান্তিকে পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে ৮০০ পয়েন্টেরও বেশি। এর সুফল অবশ্যই পাবে ফান্ডগুলো। কিন্তু বেশিরভাগ ফান্ডই অভিহিত মূল্যের নিচে লেনদেন হচ্ছে।
এই অবস্থায় গত দুই সপ্তাহ ধরেই মাঝেমধ্যেই মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দাম বাড়তে দেখা যায়, যার আরও একটি নমুনা দেখা গেল আজ।
৩৭টি ফান্ডের মধ্যে দাম কমেছে কেবল একটির, একটির লেনদেন হয়নি, দুটির দাম পাল্টায়নি, বেড়েছে বাকি ৩৩টির দামই।
শতকরা হিসেবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর। ৭.২৪ শতাংশ বেড়ে ৬ টাকা ৯০ পয়সার ফান্ড হয়েছে ৭ টাকা ৪০ পয়সা।
ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮ টাকা।
পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৬ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭ টাকা।
ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৬ টাকা ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭ টাকা ২০ পয়সা।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ৮৬ কোটি ১০ লাখ টাকা যা সাম্প্রতিক কালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
অন্যান্য বড় খাতের মধ্যে প্রকৌশল খাতে ১৯০ কোটি টাকা, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১৮০ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৯৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৯৫ কোটি টাকা, খাদ্য ও আনুষঙ্গিত খাতে ৪২ কোটি ৯০ লাখ টাকা হাতবদল হয়েছে।
সূচক ও লেনদেন
রোববার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএস আগের দিনের তুলনায় ৩০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৮ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইস ৬ দশমিক ০৫ পয়েন্টে কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৯৩ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১২ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৯২ পয়েন্টে। মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৬৯ কোটি টাকা যা আগের দিনের চেয়ে ৬০০ কোটি টাকা কম।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের তুলনায় ৫৬ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমেছে ১৭ হাজার ৫২৮ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে মোট ৯০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য