বাজেট প্রণয়নে সংসদ সদস্যদের কোনো ভূমিকা নেই বলে মন্তব্য করেছেন সরকারি দলের সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী।
শনিবার প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর এক সংলাপে তিনি বলেন, ‘সরকারি দলের সংসদ সদস্যদেরও এখন জাতীয় বাজেট কিংবা সরকারের অন্যান্য নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে কোনও ভূমিকা রাখার সুযোগ দেয়া হয় না। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সময় অন্তত বিভিন্ন সংসদীয় কমিটির প্রধানদের নিয়ে বৈঠক হতো। কিন্তু এখন সেটিও হয় না।’
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘তাহলে আমরা কি সংসদে আছি শুধু ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলার জন্য?’
‘সংসদ তো মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরার জন্য। সেসব কথা না বলে সদস্যরা যদি সরকার যা দেবে, তা-ই পাস করে দেয়, তাহলে তো বাজেট অধিবেশনের দরকার নেই। এটা বাজেট প্রক্রিয়ায় একটা ঘাটতি তৈরি করে’- বলেন সাবের চৌধুরী।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ‘বাজেট ডায়লগ-২০২১’ শীর্ষক বাজেট-পরবর্তী ভার্চুয়াল আলোচনা সভার গেস্ট অব অনারের বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিএনপি নেতা সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি যুক্ত হননি। তবে বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা উপস্থিত ছিলেন।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনায় অন্যদের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসীম উদ্দিন, এমসিসিআইয়ের সভাপতি নিহাদ কবির, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ এবং বেসিসের সভাপতি আলমাস কবির বক্তব্য রাখেন।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের শুধু তথ্যে ঘাটতি নয়, তথ্যের অসংগতি রয়েছে। বাজেট উপস্থাপনায় যে তথ্য পাই, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা চিত্র আসে।’
করোনাকালে নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাওয়া মানুষদের বিষয়ে সরকারের হাতে কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে দুটি এনজিও কেবল বস্তিবাসীর ছয় হাজার লোকের ফোনে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে দাবি করেছে, দেশে ২ কোটি ৪০ লাখ মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমায় নেমে গেছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অবশ্য এই জরিপের ফলাফল স্বীকার করেন না। তিনি মনে করেন, এই জরিপে ভুল আছে।
সরকারের হাতে নতুন দরিদ্রদের হিসাব না থাকায় সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীতে তাদের ঘিরে কোনো পরিকল্পনা নেয়া হয়নি।
সাবের চৌধুরী বলেন, ‘করোনায় নতুন দরিদ্র আছে কি নাই তার জন্য তো এভিডেন্স লাগবে। কিন্তু বিবিএসের তথ্য যদি ২০১৬ সালের হয়, তা দিয়ে তো ২০২১ সালের বাস্তবতা বুঝব না। তাহলে সরকার যেসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তা কিসের ভিত্তিতে নিচ্ছে?’
স্বাস্থ্যসেবার অপ্রতুলতা নিয়েও কথা বলেন সাবের চৌধুরী। বলেন, ‘দেশে পাবলিক হেলথ খুবই উপেক্ষিত। কিন্তু সংবিধান অনুসারে রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা। কিন্তু তার পরও এ খাতে অগ্রাধিকার আমরা পাচ্ছি না। গত বছর অর্থমন্ত্রী বাজেটে বক্তৃতায় বলেছিলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলার অভিজ্ঞতা আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থার কিছু দুর্বলতা চিহ্নিত করেছে। কিন্তু কী দুর্বলতা এবং কীভাবে দুর্বলতা দূর করা যায়, তার নির্দেশনা দুই বাজেটেই নেই।’
করোনার সময় জিডিপির প্রবৃদ্ধি কত হলো, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয় বলেও মনে করেন সাবের চৌধুরী। বলেন, ‘মানুষ কীভাবে বাঁচল, কীভাবে মানুষের জীবিকা ঠিক রাখা যায়, কর্মসংস্থান ঠিক রাখা যায় তা দেখা উচিত।’
‘রাজস্ব ঘাটতি হতে পারে ৮০ হাজার কোটি টাকা’
সংলাপে মূল প্রবন্ধে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, এপ্রিল পর্যন্ত রাজস্ব আহরণের যে গতি, তাতে এ বছর ঘাটতি দাঁড়াতে পারে ৮০ হাজার কোটি টাকা। তবু আগামী বছর বড় লক্ষ্য ধরা হয়েছে। সরকারি ব্যয়েও দুর্বলতা রয়েছে।
উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়নের হার কম জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এডিপির বাস্তবায়নও বেশ খারাপ, ৪৯ শতাংশ। স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় মাত্র ২৫ শতাংশ। এ বছর স্বাস্থ্য, উন্নয়ন, কর্মসংস্থানে বেশি ব্যয় হাওয়ার কথা, উল্টো কমেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিদেশে কর্মসংস্থান কমছে, নতুন দরিদ্র বেড়েছে, মূল্যস্ফীতিও বেড়েছে, ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগের গতিও মন্থর। নতুন বাজেটে ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির অর্জনের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এখনো গত বছরের জিডিপি চূড়ান্ত হিসাবই পাওয়া যায়নি। বিদায়ী অর্থবছরের প্রাক্কলনও হয়নি। চলতি বছর তেমন ভালো অবস্থায় না থাকলেও ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ ২৫ শতাংশ এবং ব্যক্তি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশের যে কথা বলা হয়েছে, তা কঠিন হবে।’
দারিদ্র্য বেড়েছে, দ্বিমত সংখ্যায়
করোনায় দারিদ্র্য বেড়েছে- এতে দ্বিমত করছেন না পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বলেন, ‘নতুন দরিদ্রের সংখ্যা বেড়েছে, এটা ঠিক। তবে সংখ্যা নিয়ে একটু দ্বিমত রয়েছে। আমার ধারণা, এটা শিফটিং ফিগার, সংখ্যা বাড়ে-কমে। তবে আমি বিআইডিএস ও বিবিএসকে কাজে লাগাব।’
বাজেটে বিদেশি উৎস নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিদেশের চেয়ে দেশে অর্থায়নের উৎসেই ভরসা করি। এখানে (বিদেশ অর্থ) কিছু কিছু দাঁত (বিষয়) আছে, ব্যাপার আছে, যেগুলো গত কয়েক বছর কাজ করে যেগুলো দেখেছি, যা দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়।’
তিনি বলেন, ‘তথ্যদানকারী সংস্থা (বিবিএস) আমার মন্ত্রণালয়ের মধ্যে পড়ে। আমি চাই তারা নিজেরাই, নিজেদের তথ্যগুলোকে ইনটেলেকচুয়েলি জেনারেট করে। শুধু অর্ডার পেয়ে নয়। কারণ অর্ডারের ক্ষেত্রে সমস্যা থাকতে পারে। তাদের নিজেদের যেন শক্তি থাকে। যাতে পিওর, কারেক্ট, রিলায়েবল এবং কন্টিনিউয়াসলি ডিফেন্ডেবল তথ্য পেতে পারি। বিবিএসকে শক্তিশালী করা হচ্ছে।’
কর নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সবাই কর কমাতে বলছে। আমরা টাকা স্বল্পতায় আছি। সবই ছেড়ে দিলে খাব কী? ভ্যাটে একটা অফুরন্ত সম্ভাবনা ছিল। তবে আমি মনে করি, এ ক্ষেত্রে খাবার একটা স্কোপ ছিল, কিন্তু আমরা ফেল করেছি। আমরা এটি প্রোপারলি হ্যান্ডেল করতে পারিনি।’
অর্থবছরের শেষ সময়ে এসে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বেশি খরচ প্রসঙ্গে মান্নান বলেন, ‘বছরের শুরুতে কাজ কম হয়। কিন্তু বছরের শেষ দিকে বেশি ব্যয় ও কাজের মান নিয়ে বলেন, এটার সত্যতা আছে। এর মধ্যে দুর্নীতি বসে আছে।’
সংসদের আলোচনা কি ভালো হচ্ছে?
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও সাবের হোসেন চৌধুরীর উদ্দেশে সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান বলেন, ‘আগের বাজেট বাস্তবায়ন কেমন হয়েছে তা জানা কি সংসদ সদস্যদের উচিত না? কিন্তু সংসদ সদস্যরা সংসদে দাঁড়িয়ে সরকারের প্রশংসায় মেতে ওঠে। এখন সংসদে যে ধরনের আলোচনা হচ্ছে তা কি ভালো হচ্ছে?’
সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাজেটে অর্থমন্ত্রী সবকিছু একটু একটু করতে চেয়েছেন। কিন্তু কোনো প্রায়োরিটি নেই। করোনায় মনোযোগ দরকার ছিল পিছিয়ে পড়া মানুষ ও ব্যবসার ক্ষেত্রে। তবে পিছিয়ে পড়া মানুষের দিকে মনোযোগ নেই। সরকারি ব্যয়ের সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল তাদের জন্য। প্রবৃদ্ধির সঙ্গে দারিদ্র্য দূর করার সমতা থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাজেট সংস্কারের কথাও কিছুই নেই। ব্যাংকিং খাত ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণের কথাও বলা হয়নি। নতুন দরিদ্রদের জন্যও কিছু নেই।’
সামাজিক সুরক্ষা দিতে হবে
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কঠিন এই পরিস্থিতিতে সবাইকে সামাজিক সুরক্ষা দিতে হবে। ইউনিভার্সেল পেনশন স্কিম করতে হবে। সবার কাজের নিশ্চয়তা দিতে হবে। এ জন্য টাকা লাগবে। তাই সরকারি ব্যয় আরও বাড়াতে হবে। সংস্কারে জায়গায় হাত দিতে হবে।
‘আইএমইডিসহ সরকারি ব্যয় নজরদারি করে এমন সংস্থায় বিনিয়োগ করতে হবে। কারণ, এসব সংস্থায় এক টাকা বিনিয়োগ করলে ১০০ টাকার সুফল দেয়।’
প্রণোদনায় ছোটদের নজর দিন
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, প্রথম প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ বা ঋণ ছোটদের কাছে এখনও পৌঁছেনি। চাকরি হারিয়ে যারা কৃষিতে চলে গেছে, তাদের এবং প্রান্তিক পর্যায়ের ব্যবসায়ীদরে জন্য এককালীন সহায়তা দিতে হবে।
সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, ‘এখন প্রায় সাত কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সংস্থা। কিন্তু সিপিডি, সানেম বা পিপিআরসিসহ অন্য কোনো জরিপ মানেন না অর্থমন্ত্রী। তাহলে নিজেদের সংস্থা বিবিএস বা বিআইডিএস দিয়ে অতিদ্রুত জরিপ করান।’
এমসিসিআইয়ের সভাপতি নিহাদ কবির বলেন, ‘বাজেটে যা-ই বরাদ্দ দেয়া হোক না কেন, বাস্তবায়ন সক্ষমতা ও মানসম্মত ব্যয় না হওয়ায় তার বেনিফিট আমরা যথাযথ পাই না। গত এক দেড় বছরে স্বাস্থ্য খাতের দিকে তাকালেই তা চোখে পড়ে।’
বেসিসের সভাপতি আলমাস কবির বলেন, ‘মেট্রোরেল, নিউকিল্লয়ার প্ল্যান্ট বড় বড় প্রকল্পে হাজার হাজার কোটি টাকার আইটি পণ্য এবং সফটওয়্যারের প্রয়োজন হচ্ছে। কিন্তু স্থনীয় ইন্ডাস্ট্রি এর কিছুই জানে না। এ কাজ ও টাকা যদি বিদেশে চলে যায়, তাহলে তা দেশি আইটিশিল্পের জন্য খারাপ।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর খিলগাঁওয়ের গোড়ানে খেলতে গিয়ে একটি ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক শিশু নিহত হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে পাঁচ তলা ভবনটির ছাদ থেকে পড়ে নিহত হয় সে।
নিহত শিশুর নাম খাদিজা আক্তার (৫)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শিশুটির ফুফা মোহাম্মদ ইসহাক মিয়া (২০ বছর)।
খাদিজার বাবা মোহাম্মদ ফয়সাল আহমাদ জানান, দুপুরে পাঁচ তলার ছাদে খাদিজা খেলাধুলা করার সময় ছাদ থেকে নিচে পড়ে যায়। এ সময় খাদিজার ফুফা দৌড়ে ধরতে গেলে তিনিও নিচে পড়ে যান।
তিনি জানান, পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খাদিজা রাত সাড়ে ৮টার দিকে মারা যায় এবং ফারিয়ার ফুফাকে ভর্তি রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানা এলাকায়। খিলগাঁওয়ের গোড়ান নবাবীর মোড় বতর্মানে১৪৮ /১ রায়হান সাহেবের বাড়ির ভাড়াটিয়া আমরা।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মহম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, শিশুটির মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে খিলগাঁও থানার সাথে কথা হয়েছে।
তীব্র থেকে অতি তীব্র মাত্রায় পাবনা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। অসহনীয় দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত তিন-চার দিন তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও শুক্রবার চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
এদিন পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যা জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রবিবার (২১ এপ্রিল) ঈশ্বরদীতে প্রথমবার ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অতি তীব্র তাপদাহে পাবনার মানুষের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে কৃষক, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ইটভাটার শ্রমিকসহ দিনমজুরদের জন্য অসহ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়াও তীব্র গরমে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ সব বয়সের মানুষ।
গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন আশরাফ আলী নামের এক রিকশাচালক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার সুন্দরগঞ্জ-কুপতলা সড়কের ৭৫ নম্বর রেলগেট নামক এলাকায় এ ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে সাদেকুলকে কারাগারে পাঠানো হয়।
৫০ বছর বয়সী রিকশাচালক আশরাফ আলী সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের সাহার ভিটার গ্রামের মৃত ফয়জার রহমানের ছেলে। অন্যদিকে ছিনতাই ও হত্যায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলাম কুপতলা ইউনিয়নের রামপ্রসাদ গ্রামের বাসিন্দা।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদ রানা।
ওসি জানান, প্রতিদিনের মতোই বৃহস্পতিবার রাতে রিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আশরাফ আলী। তিনি কুপতলা এলাকার ৭৫ নম্বর রেলগেটে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সাদেকুল ইসলাম তার পথ রোধ করে ছুরি ধরে রিকশা এবং চাবি কেড়ে নিয়ে তাকে চলে যেতে বলেন। আশরাফ আলী এতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রথমে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত সাদেকুল আশরাফ আলীর পেটে ছুরিকাঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি বলেন, ‘এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ওই রাতেই অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে আটক করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে রিকশাটিও উদ্ধার করা হয়। পরে আজ (শুক্রবার) দুপুরে সাদেকুলকে একমাত্র আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।’
দেশের বিভিন্ন স্থানে যেভাবে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে। এর মধ্যে কোথাও কোথাও বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর, কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়োহাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
অধিদপ্তর বলছে, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
আবহাওয়ার সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। আগামী পাঁচ দিনেও আবহাওয়াও প্রায় একই থাকতে পারে।
শুক্রবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়া ২০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও বৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ ও থাই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক থেকে বেরিয়ে ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি শুক্রবার এ কথা জানান। খবর বাসসের
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এক সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’
দুপুরে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গভর্নমেন্ট হাউজে উভয় নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত একান্ত বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব তথ্য জানান। সন্ধ্যায় ঢাকায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।
ড. হাছান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের মধ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমে তারা একান্তে কথা বলেন, এরপর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বহু বিষয়ে সবিস্তারে আলোচনা করেছেন।
থাইল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের যে ভ্রাতৃপ্রতিম ও বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক, সেটা আরও জোরদার, বহুমাত্রিক ও বিস্তৃত করার ব্যাপারে দুই প্রধানমন্ত্রী গভীর আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন, বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ সময় অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্ত বণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট স্বাক্ষরিত হয়।
দেশের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ব্যাংককে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই এবং থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. প্রাণপ্রী বাহিদ্ধা নুকারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বর্ণনা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ১০০টি ইকোনমিক জোন ও আইটি ভিলেজে থাই বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা চাইলে প্রয়োজনে বাংলাদেশে তাদের জন্য বিশেষ ইকোনমিক জোন করার কথাও বলেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত হয়ে আসা প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন। তাদের জন্য বাংলাদেশে যেসব সমস্যা উদ্ভূত হচ্ছে বৈঠকে সে বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলেও জানান ড. হাছান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডেও অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন, এখনো অনেকে আসছেন। থাইল্যান্ডও এই পালিয়ে আসা মানুষদের ভারে জর্জরিত। এই সমস্যা সমাধানে উভয় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের একসাথে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
এদিন গভর্নমেন্ট হাউজে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রদত্ত রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অফ অনার প্রদানকালে থাই প্রধানমন্ত্রী সাথে ছিলেন। শেখ হাসিনা তার সৌজন্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান। তিনি বৃহস্পতিবার ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী সেখানে দেওয়া ভাষণে সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান।
সফর শেষে প্রধানমন্ত্রীর আগামী ২৯ এপ্রিল দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার অগ্রণী ব্যাংকের কাশিনাথপুর শাখায় প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে শাখা ম্যানেজারসহ ৩ কর্মকর্তাকে আটকের পর কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আনোয়ার হোসেন সাগর। এদিন দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করে সাঁথিয়া থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের জিআরও এএসআই মাহবুবুর রহমান জানান, বিকেলে সাঁথিয়া থানা থেকে এনে তাদের আদালতে তোলা হয়। এ সময় কেউ তাদের জন্য জামিন আবেদন করেননি। ফলে আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আটককৃতরা হলেন- অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ব্যবস্থাপক (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) সুজানগর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা হারুন বিন সালাম, সিনিয়র অফিসার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার বাসিন্দা আবু জাফর এবং ক্যাশিয়ার বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত চক্রবর্তী।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী বিভাগীয় অফিস থেকে ৫ সদস্যবিশিষ্ট অডিট টিম কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসে। দিনভর অডিট করে তারা ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আর্থিক অনিয়ম পান। এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানায় ওই শাখার ম্যানেজার (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) হারুন বিন সালাম, ক্যাশ অফিসার সুব্রত চক্রবর্তী ও সিনিয়র অফিসার আবু জাফরকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দিলে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে তাদের তিনজনকে আটক করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অডিটে অনিয়ম ধরা পড়লে তাদের আটক করে সাঁথিয়া থানা পুলিশকে খবর দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আজ (শুক্রবার) দুপুরে জিডির ভিত্তিতে আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে দুদক আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি দেশ ও জনগণের উন্নয়নে আপনাদেরকে কাজ করতে হবে।
থাইল্যান্ড আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার অবস্থানকালীন আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। খবর বাসসের
প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক মো. নজরুল ইসলাম সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বঙ্গবন্ধু তার অনুপ্রেরণার উৎস উল্লেখ করে শেখ হাসিনা নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, জাতির পিতাকে অসময়ে হত্যা করা হলেও ‘তার আদর্শ আমাদের মধ্যে রয়ে গেছে এবং সে কারণেই আমি তার (বঙ্গবন্ধু) আদর্শ বাস্তবায়ন করতে কাজ করছি। বঙ্গবন্ধু দেশের গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন।
গত ১৫ বছরে দেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্ষমতায় থাকায় এ অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, অনেক বাংলাদেশি থাইল্যান্ডের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তবে তারা দ্বৈত নাগরিকত্ব বজায় রাখতে চান। এই দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে থাই সরকারের সাথে কথা বলবেন।
মন্তব্য