× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
চুপসে গেছে ব্যাংকের বেলুন
google_news print-icon

চুপসে গেছে ব্যাংকের বেলুন

চুপসে-গেছে-ব্যাংকের-বেলুন
গত দুই সপ্তাহে ব্যাংক খাতে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে যেসব কোম্পানি
২০১০ সালের মহাধসের পর ২০১২ ও পরে ২০১৭ সালেও এভাবে অল্প সময়ের জন্য এই খাতে চাঙাভাব দেখা দিয়েছিল। কিন্তু পরে তা স্থায়ী হয়নি।

পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাত নিয়ে দীর্ঘ যে হতাশা, তা দূর হওয়ার আশা তৈরি হতে না-হতেই আবার আশাহত হতে হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের।

অবমূল্যায়িত এই খাত নিয়ে চাঙাভাব এক মাসও স্থায়ী হয়নি। নতুন করে শেয়ার কেনায় আগ্রহও কমেছে।

দুর্দান্ত লভ্যাংশ, আয়ে প্রবৃদ্ধি, তবু ব্যাংক খাত ঝিমিয়ে। অথচ সূচক আর বাজার মূলধনে সবচেয়ে বেশি প্রভাবক এই খাত।

তবে নিয়মিত কমপক্ষে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়ে আসছে, এমন কোম্পানির শেয়ারের দামও এখন অভিহিত মূল্য ১০ টাকার আশপাশে, এমনকি নিচেও আছে। ১০ থেকে ২০ টাকার মধ্যে এমন সব ব্যাংকের শেয়ার আছে, যেগুলো চলতি বছর ১৫ থেকে ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে।

ব্যাংকের শেয়ারের দর একটাই কম যে, কোম্পানিগুলো যে হারে নগদ লভ্যাংশ দেয়, অনেক ক্ষেত্রেই ব্যাংকে টাকা রাখার চেয়ে এখন শেয়ার কিনে রাখাই বেশি লাভজনক।

২০১০ সালের মহাধসের পর থেকে এই খাত নিয়ে বিনিয়োগকারীদের হতাশা দূর হবে কি না, এ নিয়ে আলোচনা শুরু গত মে মাসের শুরুতে।

চুপসে গেছে ব্যাংকের বেলুন
মে মাস জুড়ে আলো ছড়িয়েছে ব্যাংক খাত। তবে কোনোটি ২৮, কোনোটি ৩০ মে থেকে যায় সংশোধনে

এরপর প্রায় চার সপ্তাহ চাঙা থাকে এই খাত। দাম বাড়তে থাকায় এই খাতের শেয়ার কেনাও বাড়াতে থাকেন বিনিয়োগকারীরা।

গত এক বছরে বিমা খাতের উত্থান দেখে ব্যাংক খাতের বিনিয়োগকারীরাও আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন।

বিমায় টানা উত্থান দেখা দেয় গত বছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি এবং এরপর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত। এই সময়ে কোনোটির তিন গুণ, কোনোটির চার গুণ, কোনোটির পাঁচ গুণ, এমনকি কোনোটির ১০ গুণ দাম হয়েছে।

এর পরে ব্যাংক খাতেও উত্থান শুরু হওয়ায় এই খাতের বিনিয়োগকারীরাও আশান্বিত হয়ে উঠেছিলেন।

কিন্তু জুন মাসের শুরুতে আবার ছন্দপতন। কারণ ছাড়াই কমছে দাম। সেই সঙ্গে লেনদেনের হিস্যা।

মোট লেনদেনের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ থেকে কমতে কমতে বৃহস্পতিবার গিয়ে ঠেকেছে ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।

আকর্ষণীয় লভ্যাংশে বাড়ে আগ্রহ

অন্যান্য যেকোনো খাতের তুলনায় ব্যাংকের লভ্যাংশে ইতিহাস তুলনামূলক ভালো। মহামারির এই বছরে আগের চেয়ে বেশি, বিশেষ করে নগদ লভ্যাংশ পকেট ভরিয়েছে শেয়ারধারীদের।

অথচ বলাবলি হচ্ছিল, এই খাতে আয় কমে যাবে, লভ্যাংশ নেমে আসবে তলানিতে। আবার বছরের শুরুতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক লভ্যাংশের সীমা বেঁধে দিয়ে তৈরি করে আতঙ্ক।

চুপসে গেছে ব্যাংকের বেলুন
গত ২৭ মে এক দিনে বাড়ে সব কটি ব্যাংকের শেয়ার দর। এর মধ্যে সর্বোচ্চ সীমা বা আশেপাশে লেনদেন হয় ৩১টির মধ্যে ১৪টি

তবে পরে দেখা যায়, বেশির ভাগ কোম্পানি আয় করেছে গত বছরের চেয়ে বেশি। এখন পর্যন্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করা ২৯টি ব্যাংক ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বেশি নগদে বিতরণের ঘোষণা দিয়েছে, সেই সঙ্গে আসছে কয়েক কোটি বোনাস শেয়ার।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকেও ব্যাংকগুলোর মুনাফা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গত বছরের একই সময়ের চেয়ে বেশি।

এ অবস্থায় ৩ মে থেকেই এই খাতের প্রতি আগ্রহ বাড়ার বিষয়টি স্পষ্ট হয়। এর মধ্যে ২৭ মে সব কটি ব্যাংকের শেয়ারের দাম বৃদ্ধি, সাতটি ব্যাংকের শেয়ারের দাম দিনের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছায়, আরও সাতটির দর সর্বোচ্চ সীমার কাছাকাছি পৌঁছায় তৈরি হয় ব্যাপক আশা।

স্থায়ী হলো না উত্থান

তবে দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি শেষে ৩০ মে সংশোধনে যায় এই খাত।

পুঁজিবাজারে কোনো খাত বা কোম্পানির শেয়ার টানা বাড়ে না সাধারণত। আর তিন দিনের সংশোধনের পর ওই সপ্তাহের বুধবার আবার প্রায় সব ব্যাংকের শেয়ারের দাম বাড়ে। কিন্তু এরপর আবার টানা ছয় কার্যদিবস পড়ে যায় দাম।

২৭ মে থেকে একটি ব্যাংক দর হারিয়েছে ২৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ, একটি ১৮ শতাংশ, একটি ১৬ শতাংশ, আর বেশ কয়েকটি ১৫ শতাংশ পর্যন্ত। অথচ এই সময়ে পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে প্রায় ১০০ পয়েন্ট। লেনদেনও বেড়েছে কয়েক শ কোটি টাকা।

২০১০ সালের মহাধসের পর ২০১২ ও পরে ২০১৭ সালেও এভাবে অল্প সময়ের জন্য এই খাতে চাঙাভাব দেখা দিয়েছিল। কিন্তু পরে তা স্থায়ী হয়নি।

কী বলছেন বিশ্লেষক

লভ্যাংশ ঘোষণার বিপরীতে ব্যাংকের শেয়ার দর যেভাবে বৃদ্ধি পাওয়া উচিত ছিল, সেভাবে বৃদ্ধি পায়নি বলে মনে করেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের হাতে এখন টাকা আছে, তারা যে খাত থেকে মুনাফা পাচ্ছেন, সেখাতেই ঢালাও বিনিয়োগ করছেন। ফান্ডামেন্টাল বা ভালো কোম্পানির যাচাই-বাছাই করছেন না।’

চুপসে গেছে ব্যাংকের বেলুন
অধ্যাপক আবু আহমেদ মনে করেন ব্যাংক খাত অবমূল্যায়িত

তিনি বলেন, ‘এতে পুঁজিবাজারে যেভাবে সূচক ও লেনদেন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তার স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন আছে। এই উত্থানে যদি ভালো কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ত, তাহলেও হয়তো বর্তমানে যে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে তা থাকত না।’

১০ শতাংশের বেশি কমেছে যেগুলোর

গত ২৭ মে থেকে যেসব ব্যাংকের শেয়ার দর ক্রমাগত কমছে, তার মধ্যে শীর্ষে এনসিসি ব্যাংক।

২৭ মে ব্যাংকটির দর ছিল ১৮ টাকা ৫০ পয়সা। বৃহস্পতিবার তা নেমে এসেছে ১৪ টাকা ১০ পয়সায়।

এই সময়ে ব্যাংকটি দর হারিয়েছে ৪ টাকা ৪০ পয়সা বা ২৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

অবশ্য এর মধ্যে লভ্যাংশের সাড়ে ৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয় হবে। সমন্বয়ের হিসাব করলেও দাম কমেছে ৩ টাকা ১০ পয়সা বা ১৮ শতাংশ।

চুপসে গেছে ব্যাংকের বেলুন
এনসিসি ব্যাংকের শেয়ার দর যতটা বেড়েছিল, কমেছে তার চেয়ে বেশি

ঢাকা ব্যাংকের শেয়ার দর গত ২৭ মে ছিল ১৬ টাকা ৭০ পয়সা। বৃহস্পতিবার দর কমে হয়েছে ১৩ টাকা ৩০ পয়সা।

ব্যাংকটির দর কমেছে ৩ টাকা ৪০ পয়সা বা ২০ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

তবে ৬ শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয় হয়েছে এই ব্যাংকটির। আর এই হিসাবে দাম কমেছে ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ।

সাউথইস্ট ব্যাংকের দর ২৭ মে ছিল ১৭ টাকা। বৃহস্পতিবার তা কমে হয়েছে ১৩ টাকা ৯০ পয়সা।

ব্যাংকটির দর কমেছে ৩ টাকা ১০ পয়সা বা ১৮ দশমিক ২৩ শতাংশ।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের দর ৩০ মে ছিল ১০ টাকা ৪০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় ৮ টাকা ৭০ পয়সায়।

ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি দর কমেছে ১ টাকা ৭০ পয়সা বা ১৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আড়াই শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয় ধরলে দাম কমেছে ১৩ শতাংশের কিছু বেশি।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার গত এক মাসে সর্বোচ্চ ছিল ১২ টাকা ৫০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় ১০ টাকা ৫০ পয়সায়।

ব্যাংকটির দর কমেছে ২ টাকা বা ১৬ শতাংশ।

এই ব্যাংকের ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয় হয়েছে ধরলে দাম কমেছে ১২ শতাংশের মতো।

চুপসে গেছে ব্যাংকের বেলুন
ঢাকা ব্যাংকের শেয়ার দরও কমতে কমতে এক মাস আগের অবস্থানে নেমে এসেছে

এবি ব্যাংকের দর ২ জুন ছিল সর্বোচ্চ ১৬ টাকা ৩০ পয়সা। বৃহস্পতিবার তা কমে হয় ১৩ টাকা ৭০ পয়সা।

ব্যাংকটির দর কমেছে ২ টাকা ৬০ পয়সা বা ১৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

প্রাইম ব্যাংকের দর ২৭ মে ছিল ২৬ টাকা ১০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ২২ টাকায়।

ব্যাংকটির শেয়ার দর হারিয়েছে ৪ টাকা ১০ পয়সা বা ১৫ দশমিক ৭০ শতাংশ।

এক্সিম ব্যাংকের শেয়ার দর ২৭ মে ছিল ১৩ টাকা ২০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ১১ টাকা ২০ পয়সা।

ব্যাংকটির দর কমেছে ২ টাকা বা ১৫ দশমিক ১৫ শতাংশ। তবে ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার ধরলে দাম কমে ১১ শতাংশ।

সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের দর ২৭ মে ছিল ১৫ টাকা। বৃহস্পতিবার তা নেমে আসে ১২ টাকা ৮০ পয়সায়।

শেয়ারপ্রতি দর কমেছে ২ টাকা ২০ পয়সা বা ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

ওয়ান ব্যাংকের দর ২ জুন ছিল ১৪ টাকা ৯০ পয়সা। বৃহস্পতিবার তা নেমে আসে ১২ টাকা ৯০ পয়সায়।

ব্যাংকটির দর কমেছে ২ টাকা বা ১৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। সাড়ে ৫ শতাংশ বোনাস হিসাব করলে দাম কমেছে ৯ শতাংশের মতো।

চুপসে গেছে ব্যাংকের বেলুন
আশা জাগিয়েও বিনিয়োগকারীদের হতাশ করেছে সাউথ ইস্ট ব্যাংক

২৭ মে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের দর ছিল ১৮ টাকা ৯০ পয়সা। বৃহস্পতিবার দাম কমে হয় ১৬ টাকা ৮০ পয়সা।

কোম্পানিটির দর কমে হয় ২ টাকা ১০ পয়সা বা ১১ দশমিক ১১ শতাংশ।

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ার দর ২ জুন ছিল ১৫ টাকা ৪০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় ১৩ টাকা ৭০ পয়সায়।

ব্যাংকটির শেয়ার দর হারিয়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা বা ১১ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।

মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ার দর ২৭ মে ছিল ২৩ টাকা ৯০ পয়সা। বৃহস্পতিবার দর কমে হয় ২১ টাকা ৫০ পয়সা।

ব্যাংকটি দর হারিয়েছে ২ টাকা ৪০ পয়সা বা ১০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।

৭ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে যেগুলোর

যমুনা ব্যাংকের শেয়ার দর ৩০ মে ছিল ২৩ টাকা ৪০ পয়সা। বৃহস্পতিবার দর কমে হয়েছে ২১ টাকা ৩০ পয়সা।

ব্যাংকটি দর হারিয়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা বা ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ার দর ২৭ মে ছিল ১৩ টাকা ৬০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ১২ টাকা ৪০ পয়সায়।

ব্যাংকটির দর কমেছে ১ টাকা ২০ পয়সা বা ৮ দশমিক ৮২ শতাংশ।

চুপসে গেছে ব্যাংকের বেলুন
ছয় বছরের সর্বোচ্চ দামে পৌঁছেও টিকতে পারেনি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে আগের বছরের এই সময়ের তিনি তিন গুণ আয় করা প্রাইম

ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ার দর ৩০ মে ছিল ৮ টাকা ৬০ পয়সা। বৃহস্পতিবার দাম কমে হয় ৭ টাকা ৯০ পয়সা।

লভ্যাংশ ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা ব্যাংকটির দর কমেছে ৭০ পয়সা বা ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ।

ইসলামী ব্যাংকের দর ২৭ মে ছিল ৩০ টাকা ১০ পয়সা। বৃহস্পতিবার ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৭ টাকা ৭০ পয়সা।

ব্যাংকটির দর কমেছে ২ টাকা ৪০ পয়সা বা ৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

পূবালী ব্যাংকের শেয়ার দর ৩০ মে ছিল গত এক মাসের সর্বোচ্চ ২৬ টাকা ৪০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ২৪ টাকা ৩০ পয়সায়।

শেয়ার প্রতি দর কমেছে ২ টাকা ১০ পয়সা বা ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার দর ১ জুন এক মাসের সর্বোচ্চ দর ছিল ৩৮ টাকা ৯০ পয়সা। একপর্যায়ে তা বুধবার উঠে যায় ৪০ টাকায়। তবে বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় ৩৬ টাকায়।

ব্যাংকটির দর কমেছে ২ টাকা ৯০ পয়সা বা ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

প্রিমিয়ার ব্যাংকের শেয়ার দর ২৭ মে ছিল ১৩ টাকা ৫০ পয়সা। বৃহস্পতিবার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২ টাকা ৫০ পয়সায়।

ব্যাংকটির শেয়ার দর কমেছে ১ টাকা বা ৭ দশমিক ৪০ শতাংশ।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ২৭ মে ছিল ২১ টাকা ৪০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় ১৯ টাকা ৯০ পয়সায়।

ব্যাংকটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা বা ৭ শতাংশ।

৫ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে যেগুলোর

উত্তরা ব্যাংকের শেয়ার দর গত এক মাসে সর্বোচ্চ উঠিছিল ৩০ মে ২৫ টাকা। বৃহস্পতিবার তা কমে আসে ২৩ টাকা ৩০ পয়সায়।

ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি দর কমেছে ১ টাকা ৭০ পয়সা বা ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ।

গত এক মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার দর সর্বোচ্চ ছিল ৩০ মে ৫২ টাকা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় ৪৮ টাকা ৬০ পয়সায়।

ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি দর কমেছে ৩ টাকা ৪০ পয়সা বা ৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

চুপসে গেছে ব্যাংকের বেলুন
তিন বছরের মন্দাভাব কাটিয়ে উত্থানের পর আবার অভিহিত মূল্যের দিকে ছুটছে এবি ব্যাংক

সিটি ব্যাংকের গত এক মাসে সর্বোচ্চ দর ছিল ২৭ টাকা ৭০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ২৫ টাকা ৯০ পয়সা।

ব্যাংকটির শেয়ার দর কমেছে ১ টাকা ৮০ পয়সা বা ৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ার গত এক মাসে সর্বোচ্চ উঠে ১৮ টাকা ৯০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় ১৬ টাকা ৮০ পয়সায়।

ব্যাংকটির শেয়ার দর হারিয়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা বা ৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর গত এক মাসে সর্বোচ্চ ওঠে ২৫ টাকা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় ২৩ টাকা ৬০ পয়সায়।

ব্যাংকটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা বা ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ।

ইস্টার্ন ব্যাংকের শেয়ার দর গত এক মাসে সর্বোচ্চ ছিল ৩৭ টাকা ৭০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় ৩৫ টাকা ৭০ পয়সায়।

ব্যাংকটির দর কমেছে ২ টাকা বা ৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।

৫ শতাংশের কম কমেছে যেগুলোর

আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার গত এক মাসে সর্বোচ্চ বেড়েছে ৪ টাকা ১০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় ৩ টাকা ৯০ পয়সায়।

ব্যাংকটির শেয়ার দর হারিয়েছে ২০ পয়সা বা ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

ব্যাংক এশিয়ার শেয়ার দর গত এক মাসে সর্বোচ্চ ওঠে ১৯ টাকা ২০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় ১৮ টাকা ৩০ পয়সায়।

ব্যাংকটি দর হারিয়েছে ৯০ পয়সা বা ৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

চুপসে গেছে ব্যাংকের বেলুন
ব্যাংক খাতে উত্থান ধরে রাখতে পেরেছে ডাচবাংলা ব্যাংক

গত এক মাসে রূপালী ব্যাংকের শেয়ার দর সর্বোচ্চ ছিল ৩১ টাকা ৪০ পয়সা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় ৩০ টাকা ৭০ পয়সায়।

ব্যাংকটির শেয়ার দর কমেছে ৭০ পয়সা বা ২ দশমিক ২২ শতাংশ।

ব্যতিক্রম কেবল ডাচ-বাংলা

গোটা খাতে দর সংশোধনের মধ্যে একমাত্র উজ্জ্বল ছিল ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। গত ২৭ মে দাম ছিল ৬৩ টাকা। বৃহস্পতিবার ৩ টাকা ২০ পয়সা হারালেও এর শেয়ারের দাম এখন ৮৬ টাকা ৬০ পয়সা।

অর্থাৎ এক মাসে এই কোম্পানির দামে উল্লম্ফন হয়েছে। বেড়েছে ২৩ টাকা ৬০ পয়সা বা ৩৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

গত এক মাসে ঠিক উত্থান না হলেও দর ধরে রাখতে পেরেছে রাষ্ট্রায়াত্ব রূপালী ব্যাংক। এই ব্যাংকটি ৩১ টাকা ৪০ পয়সা পর্যন্ত উঠার পর এক পর্যায়ে ২৮ টাকায় নেমে এলেও বৃহস্পতিবার প্রায় ১০ শতাংশ দাম বেড়ে হয় ৩০ টাকা ৭০ পয়সা।

আরও পড়ুন:
ব্যাংকের শেয়ারে এমন দিন আসেনি বহু বছর
২৩ ব্যাংকের লভ্যাংশ ২ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা
বহুজাতিক থেকেও ব্যাংকে লভ্যাংশ ‘বেশি’
যমুনা ব্যাংকের আবার চমক জাগানিয়া লভ্যাংশ
কমেছে পরিচালন, বেড়েছে চূড়ান্ত মুনাফা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
In the capital market of the index is on the rise in the capital market

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।

১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।

৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
With the beginning of the transaction starting in the first hour of the capital market

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।

এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capital Market With the fall of transactions in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।

বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।

লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।

এই সম‌য়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯‌টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২‌টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, ‌সেখা‌নে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।

চট্টগ্রা‌মে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩‌টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬‌টির, কমেছে ৪৪‌টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capital Market Most companies have decreased major collapse in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।

২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।

৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Transaction in Dhaka is going on in Chittagong

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।

এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।

সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।

দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

মন্তব্য

p
উপরে