উড়তে থাকা বিমা খাতে হঠাৎ করেই উদ্বেগ। ঢালাও দরপতনের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন। আশার বেলুন ফুটে উঠার আগেই চুপসে গেল ব্যাংক খাত। অন্যদিকে বস্ত্র খাতের নতুন রাজা হওয়ার ইঙ্গিত। প্রকৌশল ও জ্বালানি খাতেও আগ্রহ বেড়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার তো বটেই, গোটা সপ্তাহের পুঁজিবাজারকে মূল্যায়ন করতে গেলেই এই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
ব্যাংক বিমায় পতনের পরও পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে উৎপাদন খাতে দর বৃদ্ধির ওপর ভর করে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে শেষ দুই ঘণ্টায় ৪৭ পয়েন্ট সূচক কমলেও আগের দিনের চেয়ে ১১ পয়েন্ট বেশিতে শেষ হলো সপ্তাহের লেনদেন।
হাতবদল হওয়ার শেয়ারের মূল্য আবারও ছাড়িয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা। মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৬৬৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা টাকা। এটি আগের দিনের চেয়ে ৩১ কোটি টাকার মতো কম।
গত বছরের জুলাই থেকে এক দফা আর ৫ এপ্রিল লকডাউনের শুরু থেকে আরেক দফা উত্থানে সাধারণ বিমা খাতের শেয়ারগুলো দৌড়াতে থাকে পাগলা ঘোড়ার মতো। যাচাই বাছাই ছাড়াই দাম বাড়তে থাকে।
গত এক বছরে কোনো কোম্পানির দাম ছয় গুণ, কোনোটির সাত গুণ, কোনোটির আবার ১০ গুণ হয়েছে। অস্বাভাবিক উত্থান নিয়ে বারবার আলোচনা হচ্ছিল। বলাবলি হচ্ছিল যে, এমন উত্থানের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ায় পতনও অনিবার্য।
গত দুই কার্যদিবস ধরে এই ঘটনাটিই ঘটল। এই দর সংশোধন স্থায়ী হবে না কি আবার উত্থানে যাবে, সেই পূর্বাভাস দেয়ার সুযোগ পুঁজিবাজারে নেই। তবে এই খাতের বিনিয়োগকারীরা যে উৎকণ্ঠিত, সেই সন্দেহ নেই।
দর কমার পাশাপাশি লেনদেনে হিস্যাও কমেছে এই খাতের।
অনেক দিন পর সর্বাধিক দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে একটিও নেই বিমা খাতের। আর সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ২০টি কোম্পানির মধ্যে কেবল একটি জীবন বিমা খাতের।
এই খাতের মোট ৫০টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে ৩৫টি, বেড়েছে ১৪টির। রেকর্ড ডেটের কারণে একটির লেনদেন স্থগিত।
বিমা খাতে লেনদেন হয়েছে ৫৬০ কোটি ৮ লাখ টাকা। এটি মোট লেনদেনের শতকরা ২০ শতাংশ। গত সপ্তাহেও এই খাতে লেনদেন ছিল ৩০ থেকে ৩৬ শতাংশ।
সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ২০টি কোম্পানির মধ্যে এই খাতের কেবল তিনটি, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল আট থেকে ১০টি।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ঘুমিয়ে থাকা ব্যাংক খাত মে মাসে যে আগ্রহের সঞ্চার করেছিল, সেটিও অনেকটাই চুপসে গেছে। শেয়ার কেনায়ও আগের মতো আগ্রহ দেখাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। মোট লেনদেন বেড়ে চললেও এই খাতে কমছে।
এই খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে রেকর্ড ডেটের কারণে লেনদেন স্থগিত ছিল একটির। বাকি ৩০টির মধ্যে দর বেড়েছে কেবল আটটির, একটির দর ছিল অপরিবর্তিত। আর বাকি সবগুলোর দাম কমেছে।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ১৯৬ কোটি ২ লাখ টাকা। এটি মোট লেনদেনের ৭.৩৪ শতাংশ। গত সপ্তাহেও লেনদেনের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ছিল এই খাতে।
অন্যদিকে বাজেটে অর্থমন্ত্রী করপোরেট কর আড়াই শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করার পর থেকে বস্ত্র ও প্রকৌশল খাতে আগ্রহ বেড়েই চলেছে।
বস্ত্র খাতের ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে কেবল সাতটির, অপরিবর্তিত ছিল একটির, বেড়েছে বাকি ৪৮টির।
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির চারটি আর ২০টি কোম্পানির আটটি ছিল এই একক খাতে। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ২০টি কোম্পানির মধ্যে পাঁচটি এই খাতের।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০৬ কোটি এক লাখ টাকা। মোট লেনদেনের ১৫.২১ শতাংশ। গত সপ্তাহের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।
প্রকৌশল খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ২৫টির। কমেছে ১৭টির। সবচেয়ে বেশ দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির চারটি ও ২০টি কোম্পানির ছয়টি এই খাত থেকে এসেছে।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ২৯৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এটি মোট লেনদেনের ১১.০১ শতাংশ।
লেনদেনে আবার সেরা বেক্সিমকো
বাজারে উত্থান পতন, এক খাত ছেড়ে অন্য খাতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বা অন্য যে পরিবর্তনই হোক না কেন, লেনদেনের রাজা গত সাত থেকে আট মাস ধরে বেক্সিমকো লিমিটেডই।
গোটা ব্যাংক খাতে যে পরিমাণ লেনদেন তার চেয়ে ৩১ কোটি টাকা বেশি হাতবদল হয়েছে কেবল এই একটি কোম্পানির। সব মিলিয়ে লেনদেন হয়েছে ২২৯ কোটি ১১ লাখ ৭৫ হাজার টাকার।
এত বিপুল লেনদেনেও দামে অবশ্য হেরফের কম। আগের দিনের চেয়ে তিন টাকা বেড়ে দাম দাঁড়িয়েছে ৯৬ টাকা ৪০ পয়সা।
বেক্সিমকোর ওপর ভর করে বিবিধ খাত লেনদেনের তৃতীয় অবস্থানে আছে। মোট হাতবদল হয়েছে ৩০৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
এ ছাড়া ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১৬৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা, ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক খাতে ১৬৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, বিদ্যুৎ, জ্বালানি খাতে ১২৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।
রাজা এবার বস্ত্র খাত
এই খাতের তো বটেই, শতকরা হিসেবে দর বৃদ্ধির শীর্ষ পর্যায়ে ছিল বস্ত্র খাতের জাহিন স্পিনিং, যার শেয়ার প্রতি দর বেড়েছ ১০ শতাংশ। শেয়ার দর ৭ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭ টাকা ৭০ পয়সা।
এছাড়া আলিফ ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। শেয়ার দর ২৮ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩১ টাকা ৩০ পয়সা।
নূরানী ডাইংয়ের শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। শেয়ার দর ৮ টাকা ১০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮ টাকা ৯০ পয়সা।
সোনারগাঁও টেক্সটাইল কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ। মিথুন নিটিং কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ। শেয়ার দর ৯ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০ টাকা ১০ পয়সা।
জাহিন টেক্সটাইলের শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। শেয়ার দর ৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬ টাকা ৯০ পয়সা।
রিজেন্ট টেক্সটাইলের শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ। শেয়ার দর ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০ টাকা ৪০ পয়সা।
হামিদ ফেব্রিক্স লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। শেয়ার দর ১৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭ টাকা ৭০ পয়সা।
তুং হাই নিটিং অ্যান্ড নিটিং কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। একই হারে শেয়ার দর বেড়েছে অলেম্পিক এক্সসোসরিজ লিমিটেডের।
নতুন উত্থান প্রকৌশল খাতে
মীর আক্তার হোসেন কোম্পানি শেয়ার দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। শেয়ার দর ৭৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৭ টাকা ৪০ পয়সা।
একই হারে দর বেড়েছে এস আলম কোল্ড রোলিং স্টিল লিমিটেডের।
কপারটেক লিমিটেডের শেয়ার দরও বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। শেয়ার দর ২৭ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৯ টাকা ৯০ পয়সা।
দেশবন্ধু পলিমার কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ। শেয়ার দর ১২ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩ টাকা ৩০ পয়সা। ন্যাশনাল পলিমার কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ।
লেনদেনে এগিয়ে দরে পিছিয়ে বিমা
সাধারণ বিমার দর পতনের মধ্যে কিছুটা হলেও উজ্জ্বল অবস্থানে দেখা গেছে জীবন বিমা খাত।
এ খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে পপুলার লাইফের ৮.৩৪ শতাংশ। এ ছাড়া ফারইস্ট লাইফের ৬.১ শতাংশ, পপুলার লাইফের ৪.৭২ শতাংশ, পদ্মা লাইফের ৩.৬৯ শতাংশ, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২.৬২ শতাংশ দাম বেড়েছে।
সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের ৩.৬ শতাংশ, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ২ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের দাম বেড়েছে ২.২৮ শতাংশ।
বাকি যে দুই একটির দাম বেড়েছে, তার পরিমাণ একেবারেই কম।
উত্থানের চিত্রের চেয়ে দর পতনের তালিকায় বেশি ছিল বিমা খাত।
এদিন ঢাকা ইন্স্যুরেন্স দর হারিয়েছে ১১.৪৯ শতাংশ। কোম্পানিটি তার শেয়ারধারীদের ২০২০ সালের জন্য ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে কোম্পানিটি তার আর্থিক প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে। করপোরেট ডিক্লারেশনের ঘোষণার কারণে বৃহস্পতিবার কোম্পানির শেয়ার দরে কোনো সার্কিট ব্রেকার দেয়া ছিল না।
প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ৮.৯৯ শতাংশ, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ৭.৮৭ শতাংশ, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৭.৫৭ শতাংশ, ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ৭.২৫ শতাংশ, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের ৬.৫১ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের ৬.৩১ শতাংশ, জনতা ইন্স্যুরেন্সের ৬.২৭ শতাংশ দাম কমেছে।
ইস্টল্যান্ড, ফেডারেল, প্রাইম, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের দরও ৬ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।
আগ্রহ হারিয়েছে ব্যাংক
এই খাতে পতনের মধ্যে উজ্জ্বলতা ছড়িয়েছে লভ্যাংশ ঘোষণা না করা রূপালী ব্যাংক। ৯.৬৪ শতাংশ বেড়ে সর্বাধিক বৃদ্ধির তালিকায় ছিল এই কোম্পানিটি।
এনআরবিসি ব্যাংকের দর কমেছে সবচেয়ে বেশি ৫.০১ শতাংশ। শেয়ার দর ৩৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৩৬ টাকা।
ডাচ বাংলা ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ৩.৭৫ শতাংশ। এছাড়া মার্কেন্টাইল, এবি, স্ট্যান্ডার্ড, এনসিসির দর কমেছে ২ শতাংশ পর্যন্ত।
মিউচ্যুয়াল ফান্ডে চমক
লেনদেনে পিছিয়ে থাকলেও মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে দেখা গেছে চমক। এই খাতের ৩৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগই জুন মাস শেষে অর্থবছর হিসাব করে ঘোষণা করবে লভ্যাংশ। তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ব্যাপক মুনাফায় থাকা বেশিরভাগ ফান্ড চতুর্থ প্রান্তিকেও ভালো মুনাফা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে প্রায় আটশ পয়েন্ট। এই সময়ে শেয়ার মূল্য বাড়ার সুফল পাবেন ফান্ডের ইউনিটধারীরা।
এই খাতের ৩৭টি তহবিলের মধ্যে একটির লেনদেন হয়নি, একটির দাম ছিল অপরিবর্তিত। বাকি ৩৫টিরই দাম বেড়েছে।
সবচেয়ে বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির একটি ছিল এই খাতেন, ফিনিক্স ফিনান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড। আগের দিনের চেয়ে ৯.৪ শতাংশ বেড়ে ১২ টাকা ৮০ পয়সা। এর চেয়ে বেশি দাম বাড়া সম্ভব ছিল না।
বাকি ৩৪টি ফান্ডের দাম ১০ পয়সা থেকে ৮০ পয়সা পর্যন্ত বেড়েছে।
সূচক ও লেনদেন
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১১ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬৬ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৩ দশমিক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৯৯ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ২ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২০৫ পয়েন্টে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের তুলনায় ৬৯ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫৮৫ পয়েন্টে। হয়েছে মোট ১১৪ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য