× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
বিমায় ছন্দপতন বস্ত্র প্রকৌশলে তুমুল আগ্রহ
google_news print-icon

বিমায় ছন্দপতন, বস্ত্র-প্রকৌশলে তুমুল আগ্রহ

বিমায়-ছন্দপতন-বস্ত্র-প্রকৌশলে-তুমুল-আগ্রহ
উচ্চমূল্যে বিমা খাতের শেয়ার যারা কিনেছেন, পুঁজিবাজারের আচরণে তারা আছেন বেশ উৎকণ্ঠায়। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
গত বছরের জুলাই থেকে এক দফা আর ৫ এপ্রিল লকডাউনের শুরু থেকে আরেক দফা উত্থানে সাধারণ বিমা খাতের শেয়ারগুলো দৌড়াতে থাকে পাগলা ঘোড়ার মতো। যাচাই-বাছাই ছাড়াই দাম বাড়তে থাকে। গত এক বছরে কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম ছয় গুণ, কোনোটির সাত গুণ, কোনোটির আবার ১০ গুণ হয়েছে। অস্বাভাবিক উত্থান নিয়ে বারবার আলোচনা হচ্ছিল। অন্যদিকে বাজেটে অর্থমন্ত্রী করপোরেট কর আড়াই শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করার পর থেকে বস্ত্র ও প্রকৌশল খাতে আগ্রহ বেড়েই চলেছে।

উড়তে থাকা বিমা খাতে হঠাৎ করেই উদ্বেগ। ঢালাও দরপতনের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন। আশার বেলুন ফুটে উঠার আগেই চুপসে গেল ব্যাংক খাত। অন্যদিকে বস্ত্র খাতের নতুন রাজা হওয়ার ইঙ্গিত। প্রকৌশল ও জ্বালানি খাতেও আগ্রহ বেড়েছে।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার তো বটেই, গোটা সপ্তাহের পুঁজিবাজারকে মূল্যায়ন করতে গেলেই এই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

ব্যাংক বিমায় পতনের পরও পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে উৎপাদন খাতে দর বৃদ্ধির ওপর ভর করে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে শেষ দুই ঘণ্টায় ৪৭ পয়েন্ট সূচক কমলেও আগের দিনের চেয়ে ১১ পয়েন্ট বেশিতে শেষ হলো সপ্তাহের লেনদেন।

হাতবদল হওয়ার শেয়ারের মূল্য আবারও ছাড়িয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকা। মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৬৬৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা টাকা। এটি আগের দিনের চেয়ে ৩১ কোটি টাকার মতো কম।

গত বছরের জুলাই থেকে এক দফা আর ৫ এপ্রিল লকডাউনের শুরু থেকে আরেক দফা উত্থানে সাধারণ বিমা খাতের শেয়ারগুলো দৌড়াতে থাকে পাগলা ঘোড়ার মতো। যাচাই বাছাই ছাড়াই দাম বাড়তে থাকে।

গত এক বছরে কোনো কোম্পানির দাম ছয় গুণ, কোনোটির সাত গুণ, কোনোটির আবার ১০ গুণ হয়েছে। অস্বাভাবিক উত্থান নিয়ে বারবার আলোচনা হচ্ছিল। বলাবলি হচ্ছিল যে, এমন উত্থানের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ায় পতনও অনিবার্য।

গত দুই কার্যদিবস ধরে এই ঘটনাটিই ঘটল। এই দর সংশোধন স্থায়ী হবে না কি আবার উত্থানে যাবে, সেই পূর্বাভাস দেয়ার সুযোগ পুঁজিবাজারে নেই। তবে এই খাতের বিনিয়োগকারীরা যে উৎকণ্ঠিত, সেই সন্দেহ নেই।

দর কমার পাশাপাশি লেনদেনে হিস্যাও কমেছে এই খাতের।

অনেক দিন পর সর্বাধিক দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে একটিও নেই বিমা খাতের। আর সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ২০টি কোম্পানির মধ্যে কেবল একটি জীবন বিমা খাতের।

এই খাতের মোট ৫০টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে ৩৫টি, বেড়েছে ১৪টির। রেকর্ড ডেটের কারণে একটির লেনদেন স্থগিত।

বিমায় ছন্দপতন, বস্ত্র-প্রকৌশলে তুমুল আগ্রহ
পুঁজিবাজারে বৃহস্পতিবার কোন খাতে কত লেনদেন

বিমা খাতে লেনদেন হয়েছে ৫৬০ কোটি ৮ লাখ টাকা। এটি মোট লেনদেনের শতকরা ২০ শতাংশ। গত সপ্তাহেও এই খাতে লেনদেন ছিল ৩০ থেকে ৩৬ শতাংশ।

সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ২০টি কোম্পানির মধ্যে এই খাতের কেবল তিনটি, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল আট থেকে ১০টি।

অন্যদিকে দীর্ঘদিন ঘুমিয়ে থাকা ব্যাংক খাত মে মাসে যে আগ্রহের সঞ্চার করেছিল, সেটিও অনেকটাই চুপসে গেছে। শেয়ার কেনায়ও আগের মতো আগ্রহ দেখাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। মোট লেনদেন বেড়ে চললেও এই খাতে কমছে।

এই খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে রেকর্ড ডেটের কারণে লেনদেন স্থগিত ছিল একটির। বাকি ৩০টির মধ্যে দর বেড়েছে কেবল আটটির, একটির দর ছিল অপরিবর্তিত। আর বাকি সবগুলোর দাম কমেছে।

এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ১৯৬ কোটি ২ লাখ টাকা। এটি মোট লেনদেনের ৭.৩৪ শতাংশ। গত সপ্তাহেও লেনদেনের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ছিল এই খাতে।

অন্যদিকে বাজেটে অর্থমন্ত্রী করপোরেট কর আড়াই শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করার পর থেকে বস্ত্র ও প্রকৌশল খাতে আগ্রহ বেড়েই চলেছে।

বস্ত্র খাতের ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে কেবল সাতটির, অপরিবর্তিত ছিল একটির, বেড়েছে বাকি ৪৮টির।

সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির চারটি আর ২০টি কোম্পানির আটটি ছিল এই একক খাতে। সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ২০টি কোম্পানির মধ্যে পাঁচটি এই খাতের।

এই খাতে লেনদেন হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০৬ কোটি এক লাখ টাকা। মোট লেনদেনের ১৫.২১ শতাংশ। গত সপ্তাহের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।

প্রকৌশল খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ২৫টির। কমেছে ১৭টির। সবচেয়ে বেশ দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির চারটি ও ২০টি কোম্পানির ছয়টি এই খাত থেকে এসেছে।

এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ২৯৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এটি মোট লেনদেনের ১১.০১ শতাংশ।

লেনদেনে আবার সেরা বেক্সিমকো

বাজারে উত্থান পতন, এক খাত ছেড়ে অন্য খাতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বা অন্য যে পরিবর্তনই হোক না কেন, লেনদেনের রাজা গত সাত থেকে আট মাস ধরে বেক্সিমকো লিমিটেডই।

গোটা ব্যাংক খাতে যে পরিমাণ লেনদেন তার চেয়ে ৩১ কোটি টাকা বেশি হাতবদল হয়েছে কেবল এই একটি কোম্পানির। সব মিলিয়ে লেনদেন হয়েছে ২২৯ কোটি ১১ লাখ ৭৫ হাজার টাকার।

এত বিপুল লেনদেনেও দামে অবশ্য হেরফের কম। আগের দিনের চেয়ে তিন টাকা বেড়ে দাম দাঁড়িয়েছে ৯৬ টাকা ৪০ পয়সা।

বেক্সিমকোর ওপর ভর করে বিবিধ খাত লেনদেনের তৃতীয় অবস্থানে আছে। মোট হাতবদল হয়েছে ৩০৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

এ ছাড়া ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১৬৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা, ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক খাতে ১৬৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, বিদ্যুৎ, জ্বালানি খাতে ১২৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।

রাজা এবার বস্ত্র খাত

এই খাতের তো বটেই, শতকরা হিসেবে দর বৃদ্ধির শীর্ষ পর্যায়ে ছিল বস্ত্র খাতের জাহিন স্পিনিং, যার শেয়ার প্রতি দর বেড়েছ ১০ শতাংশ। শেয়ার দর ৭ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭ টাকা ৭০ পয়সা।

এছাড়া আলিফ ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। শেয়ার দর ২৮ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩১ টাকা ৩০ পয়সা।

নূরানী ডাইংয়ের শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। শেয়ার দর ৮ টাকা ১০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮ টাকা ৯০ পয়সা।

সোনারগাঁও টেক্সটাইল কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ। মিথুন নিটিং কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ। শেয়ার দর ৯ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০ টাকা ১০ পয়সা।

বিমায় ছন্দপতন, বস্ত্র-প্রকৌশলে তুমুল আগ্রহ

বিমায় ছন্দপতন, বস্ত্র-প্রকৌশলে তুমুল আগ্রহ
বৃহস্পতিবার বস্ত্র খাতে লেনদেনের চিত্র

জাহিন টেক্সটাইলের শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। শেয়ার দর ৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬ টাকা ৯০ পয়সা।

রিজেন্ট টেক্সটাইলের শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ। শেয়ার দর ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০ টাকা ৪০ পয়সা।

হামিদ ফেব্রিক্স লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। শেয়ার দর ১৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭ টাকা ৭০ পয়সা।

তুং হাই নিটিং অ্যান্ড নিটিং কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। একই হারে শেয়ার দর বেড়েছে অলেম্পিক এক্সসোসরিজ লিমিটেডের।

নতুন উত্থান প্রকৌশল খাতে

মীর আক্তার হোসেন কোম্পানি শেয়ার দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। শেয়ার দর ৭৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৭ টাকা ৪০ পয়সা।

একই হারে দর বেড়েছে এস আলম কোল্ড রোলিং স্টিল লিমিটেডের।

বিমায় ছন্দপতন, বস্ত্র-প্রকৌশলে তুমুল আগ্রহ

বিমায় ছন্দপতন, বস্ত্র-প্রকৌশলে তুমুল আগ্রহ
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে প্রকৌশল খাতে ৪২ কোম্পানির লেনদেনের চিত্র

কপারটেক লিমিটেডের শেয়ার দরও বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। শেয়ার দর ২৭ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৯ টাকা ৯০ পয়সা।

দেশবন্ধু পলিমার কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ। শেয়ার দর ১২ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩ টাকা ৩০ পয়সা। ন্যাশনাল পলিমার কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ।

লেনদেনে এগিয়ে দরে পিছিয়ে বিমা

সাধারণ বিমার দর পতনের মধ্যে কিছুটা হলেও উজ্জ্বল অবস্থানে দেখা গেছে জীবন বিমা খাত।

এ খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে পপুলার লাইফের ৮.৩৪ শতাংশ। এ ছাড়া ফারইস্ট লাইফের ৬.১ শতাংশ, পপুলার লাইফের ৪.৭২ শতাংশ, পদ্মা লাইফের ৩.৬৯ শতাংশ, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২.৬২ শতাংশ দাম বেড়েছে।

সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের ৩.৬ শতাংশ, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ২ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের দাম বেড়েছে ২.২৮ শতাংশ।

বাকি যে দুই একটির দাম বেড়েছে, তার পরিমাণ একেবারেই কম।

উত্থানের চিত্রের চেয়ে দর পতনের তালিকায় বেশি ছিল বিমা খাত।

বিমায় ছন্দপতন, বস্ত্র-প্রকৌশলে তুমুল আগ্রহ

বিমায় ছন্দপতন, বস্ত্র-প্রকৌশলে তুমুল আগ্রহ
টানা বাড়তে থাকা বিমা খাতের এই চিত্র বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন আলোচনা তৈরি করেছে

এদিন ঢাকা ইন্স্যুরেন্স দর হারিয়েছে ১১.৪৯ শতাংশ। কোম্পানিটি তার শেয়ারধারীদের ২০২০ সালের জন্য ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে কোম্পানিটি তার আর্থিক প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে। করপোরেট ডিক্লারেশনের ঘোষণার কারণে বৃহস্পতিবার কোম্পানির শেয়ার দরে কোনো সার্কিট ব্রেকার দেয়া ছিল না।

প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ৮.৯৯ শতাংশ, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ৭.৮৭ শতাংশ, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৭.৫৭ শতাংশ, ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ৭.২৫ শতাংশ, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের ৬.৫১ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের ৬.৩১ শতাংশ, জনতা ইন্স্যুরেন্সের ৬.২৭ শতাংশ দাম কমেছে।

ইস্টল্যান্ড, ফেডারেল, প্রাইম, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের দরও ৬ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।

আগ্রহ হারিয়েছে ব্যাংক

এই খাতে পতনের মধ্যে উজ্জ্বলতা ছড়িয়েছে লভ্যাংশ ঘোষণা না করা রূপালী ব্যাংক। ৯.৬৪ শতাংশ বেড়ে সর্বাধিক বৃদ্ধির তালিকায় ছিল এই কোম্পানিটি।

এনআরবিসি ব্যাংকের দর কমেছে সবচেয়ে বেশি ৫.০১ শতাংশ। শেয়ার দর ৩৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৩৬ টাকা।

বিমায় ছন্দপতন, বস্ত্র-প্রকৌশলে তুমুল আগ্রহ

বিমায় ছন্দপতন, বস্ত্র-প্রকৌশলে তুমুল আগ্রহ
ব্যাংক খাতে দর পতনের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে কমে গেছে লেনদেন

ডাচ বাংলা ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ৩.৭৫ শতাংশ। এছাড়া মার্কেন্টাইল, এবি, স্ট্যান্ডার্ড, এনসিসির দর কমেছে ২ শতাংশ পর্যন্ত।

মিউচ্যুয়াল ফান্ডে চমক

লেনদেনে পিছিয়ে থাকলেও মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে দেখা গেছে চমক। এই খাতের ৩৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগই জুন মাস শেষে অর্থবছর হিসাব করে ঘোষণা করবে লভ্যাংশ। তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ব্যাপক মুনাফায় থাকা বেশিরভাগ ফান্ড চতুর্থ প্রান্তিকেও ভালো মুনাফা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে প্রায় আটশ পয়েন্ট। এই সময়ে শেয়ার মূল্য বাড়ার সুফল পাবেন ফান্ডের ইউনিটধারীরা।

এই খাতের ৩৭টি তহবিলের মধ্যে একটির লেনদেন হয়নি, একটির দাম ছিল অপরিবর্তিত। বাকি ৩৫টিরই দাম বেড়েছে।

বিমায় ছন্দপতন, বস্ত্র-প্রকৌশলে তুমুল আগ্রহ

বিমায় ছন্দপতন, বস্ত্র-প্রকৌশলে তুমুল আগ্রহ
ভালো লভ্যাংশ ঘোষণার সম্ভাবনায় মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা

সবচেয়ে বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির একটি ছিল এই খাতেন, ফিনিক্স ফিনান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড। আগের দিনের চেয়ে ৯.৪ শতাংশ বেড়ে ১২ টাকা ৮০ পয়সা। এর চেয়ে বেশি দাম বাড়া সম্ভব ছিল না।

বাকি ৩৪টি ফান্ডের দাম ১০ পয়সা থেকে ৮০ পয়সা পর্যন্ত বেড়েছে।

সূচক ও লেনদেন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১১ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬৬ পয়েন্টে।

শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৩ দশমিক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৯৯ পয়েন্টে।

বিমায় ছন্দপতন, বস্ত্র-প্রকৌশলে তুমুল আগ্রহ
বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র

বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ২ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২০৫ পয়েন্টে।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের তুলনায় ৬৯ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫৮৫ পয়েন্টে। হয়েছে মোট ১১৪ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:
বিমা-ব্যাংকের বৃত্ত থেকে বের হচ্ছে পুঁজিবাজার
ইতিহাসের রেকর্ড ছুঁইছুঁই লেনদেন
পুঁজিবাজারে ৭২ মিনিটে হাজার কোটি টাকার লেনদেন
বিমায় অবিশ্বাস্য উত্থান চলছেই, চাপ কাটল ব্যাংকেও
‘ছয় হাজারের যুদ্ধে’ অস্বস্তি আরও বাড়ল পুঁজিবাজারে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
In the capital market of the index is on the rise in the capital market

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।

১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।

৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
With the beginning of the transaction starting in the first hour of the capital market

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।

এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capital Market With the fall of transactions in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।

বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।

লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।

এই সম‌য়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯‌টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২‌টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, ‌সেখা‌নে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।

চট্টগ্রা‌মে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩‌টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬‌টির, কমেছে ৪৪‌টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capital Market Most companies have decreased major collapse in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।

২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।

৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Transaction in Dhaka is going on in Chittagong

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।

এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।

সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।

দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

মন্তব্য

p
উপরে