বস্ত্র খাতে পাঁচটি কোম্পানির শেয়ার মূল্য বাড়তে বাড়তে সার্কিট ব্রেকার স্পর্শ করার পর বিক্রেতা শূন্য কয়েকটি। আরও কয়েকটির দাম সার্কিট ব্রেকার ছুঁই ছুঁই।
প্রকৌশল খাতেও দুটি কোম্পানি দাম বেড়েছে যতটা বাড়া সম্ভব ততটাই। আরও কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার মূল্যও এই সর্বোচ্চ সীমার কাছাকাছি।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতেও দুটি কোম্পানির শেয়ার সার্কিট ব্রেকার ছুঁয়ে ফেলার পর ফেলা ছাড়াও আরও কয়েকটি কোম্পানির ক্ষেত্রেও একই চিত্র।
তথ্য প্রযুক্তিতেও একই চিত্র। দুটির দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ পরিমাণে। আর ১১টির মধ্যে ১০টি কোম্পানির দামই বেড়েছে।
বুধবার পুঁজিবাজারে এই চিত্রটি বলে দেয় এখন কেবল বিমা ও ব্যাংক নির্ভরতা থেকে বিনিয়োগকারীরা বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন।
কেবল দাম বৃদ্ধির তালিকা নয়, লেনদেনের তালিকা দেখলেও বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
এক সপ্তাহ আগেও ব্যাংক আর বিমা খাতে যেখানে ৫০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি লেনদেন হতো, সেটি কমে হয়েছে ৩৫ শতাংশের কম।
অন্যদিকে খাদ্য, বস্ত্র, প্রকৌশল, তথ্য প্রযুক্তি, ওষুধ রসায়নের মতো উৎপাদনশীল খাতের কোম্পানিতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন বিনিয়োগারীরা।
এই ঘটনাটি ঘটছে আগামী অর্থবছর থেকে করপোরেট কর কমানোর প্রস্তাবের পর থেকে।
গত ৩ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী অর্থবছর থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট কর ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ২২ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন। তবে এই কর কমার সুফল পাবে না ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিমা ও টেলিকম খাত। এসব খাতের কর আগের হারেই রেখেছেন অর্থমন্ত্রী।
কর কমলে উৎপাদন কোম্পানিগুলোর মুনাফা বাড়বে আর এতে লভ্যাংশ বেশি পাওয়া যাবে- এমন আশা তৈরি হওয়াই এর কারণ।
অর্থমন্ত্রী বাজেট প্রস্তাব করার পর প্রথম লেনদেন হয় রোববার। সেদিন থেকেই উৎপাদখাতের কোম্পানিতে তৈরি হয় আগ্রহ।
বুধবার বস্ত্র ও প্রকৌশল খাত যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রধান খাত হিসেবে উঠে এসেছে। এ ছাড়া বিবিধ খাতের মধ্যে পড়া উৎপাদনকারী কয়েকটি প্রতিষ্ঠানেও লেনদেন হয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে।
তিনটি খাতেই লেনদেন ব্যাংক খাতের চেয়ে বেশি দেখা গেছে।
অবশ্য গত দুই সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় এদিনও বিমা খাতেই সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে। তবে সেটি কমে ৬৩৬ কোটি টাকা হয়েছে। বাজেট প্রস্তাবের দিন একটি সাতশ কোটি টাকার বেশি ছিল।
ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) সভাপতি শরিফ আনোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজেটের পর পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে বাজেটে তথ্য প্রযুক্তি খাতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ায় পুঁজিবাজারে এ খাতের কোম্পানিগুলোর দর উত্থান দেখা যাচ্ছে। একই সঙ্গে প্রকৌশল খাতের সুযোগ সুবিধা দেয়ায় সে খাতের শেয়ারেরও দর বেড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘করপোরেট কর কমায় মূলত তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো এখন আগের চেয়ে কম কর প্রদান খাতে ব্যয় করতে হবে। ফলে তাদের লভ্যাংশ দেয়ার সক্ষমতা বাড়বে।’
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ দীর্ঘদিন ধরেই কেবল বিমা খাতের ওপর ভিত্তি করে পুঁজিবাজারে উত্থানে শঙ্কা প্রকাশ করে আসছিলেন। তিনি মনে করেন, এটা ঝুঁকি।
অন্যান্য খাতের শেয়ারেও আগ্রহ বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনও ভারসাম্য আসেনি। বিনিয়োগকারীরা এখনও বিমা খাত নিয়ে মেতে আছে। অথচ মৌলভিত্তিক আরও অনেক কোম্পানির শেয়ার দর পড়ে আছে।’
অবশ্য পুঁজিবাজারের প্রাতিষ্ঠান বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক গবেষণা কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার সরকার বলেন, ‘বিভিন্ন খাতের অংশগ্রহণ এখানে দৃশ্যমান। একদিন বিমার শেয়ারের দর বাড়লে সেদিনই আবার ব্যাংকের শেয়ারের মূল্যসংশোধন হচ্ছে। একই ভাবে খাতভিত্তিক বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার দরে উত্থান পতন থাকায় সার্বিক পুঁজিবাজারে বড় ধরনের নেতিবাচক অবস্থা দেখা যাচ্ছে না। এটি পুঁজিবাজারের জন্য অবশ্যই ইতিবাচক।’
লেনদেনে বিমা খাতের অংশগ্রহণ কমছে
বুধবার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৫০টি বিমা কোম্পানির মোট লেনদেন হয়েছে ৬৩৬ কোটি টাকা। যা একক খাত হিসাবে সর্বোচ্চ।
তবে গত ৩ জুন বাজেট পেশের দিন এই খাতে লেনদেন ছিল ৭৩৪ কোটি টাকা। আর সেদিন সামগ্রিকভাবে পুঁজিবাজারে লেনদেন বুধবারের তুলনায় ৪১৮ কোটি টাকা কম ছিল। সেদিন লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ২৮২ কোটি টাকা।
এদিন ২১টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। একটির দর পাল্টায়নি। বাকি ২৮টির দর কমেছে। তারপরও এ খাতের কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ। একই সঙ্গে দর পতনের দিক দিয়েও এগিয়ে ছিল বিমা খাত।
এককভাবে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের লেনদেন হয়েছে ৫৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকার। ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের ৩৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা, সন্ধানী ইন্স্যুরেন্সের ৩৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের ৩৩ কোটি ১২ লাখ আর গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
বস্ত্র খাত
বুধবার বস্ত্র খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ৩২৩ কোটি টাকা। দীর্ঘ সময় ধরে ঝিমিয়ে থাকা এই খাতের উত্থান এখন চোখে পড়ার মতো।
ঈদের ছুটির আগে দুদিন আর ঈদের ছুটির পর একদিন উত্থান দেখা গেছে বস্ত্র খাতে। তবে লেনদেনে গতি ছিল না এত। কিন্ত ৩ জুনের পর থেকে বস্ত্র খাতের একটি কি দুটি কোম্পানি থাকছেই দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির তালিকায়।
বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোর অর্থবছর শেষ হচ্ছে জুনে। ফলে আগামী দুই থেকে তিন মাস পর কোম্পানিগুলো তাদের ২০২১ সালের জন্য শেয়ারধারীদের লভ্যাংশ ঘোষণা করবে।
এদিন এ খাতের ভিএফএস থ্রেড ডাইং, এসকোয়ার নিট, রিং শাইন, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, নুরানী ডায়িংয়ের শেয়ার দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ।
ভিএসএস থ্রেড ডাইংয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আলিফ ম্যানুফেকচারিং ইন্ডাস্ট্রির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
দুর্বল কোম্পানি হিসাবে চার মাস আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি রিং সাইন কোম্পানির পর্ষদ ভেঙ্গে নতুন পর্ষদ পুনগঠন করেন। সেই কোম্পানিও বুধবার ২৫ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ম্যাকসন স্পিনিংয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৯৯ লাখ টাকার।
প্রকৌশল খাত
গত বছর করোনা সংক্রমণের পর থেকে ঘুমে যাওয়া প্রকৌশল খাতে হঠাৎ করেই চাঙ্গাভাব দেখা দিচ্ছে দলতি সপ্তাহ থেকে।
ক্রমেই বাড়তে বাড়তে বুধবার এই খাতের লেনদেন হয়েছে ৩১১ কোটি টাকা।
অবশ্য এর মধ্যে ২১ শতাংশ অবদান এককভাবে ন্যাশনাল পলিমার কোম্পানির, লেনদেন হয়েছে ৬৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। মীর আক্তার হোসেনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। ইফাদ অটোস লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
এসএস স্টিল লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
বিবিধ খাত
গত ছয় থেকে সাত মাস ধরেই বিবিধ খাতের বেক্সিমকো লিমিটেড হাত গোনা এক দুই দিন ছাড়া প্রতিদিনই লেনদেনের শীর্ষে থাকছে। এর মধ্যে দাম বেড়ে সাত গুণ হয়েছে এক বছরে। এমনকি গত তিন মাস ধরে দাম একটি বৃত্তে ঘুরপাক খেলেও শেয়ারটিতে আগ্রহ কমেনি বিনিয়োগকারীদের।
অর্থমন্ত্রী কর কমানোর যে প্রস্তাব করেছেন, তার সুবিধা পাবে এই কোম্পানিটিও, যেটি চলতি বছর এখন পর্যন্ত যে মুনাফা করেছে, সেটি গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এই কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ১৫৫ কোটি ৪৫ লাখ ৬২ হাজার টাকা। অবশ্য এক দিন এর দ্বিগুণ লেনদেনের রেকর্ডও আছে এক দিনে।
সব মিলিয়ে এই খাতে লেনদেন হয়েছে ২৫৫ কোটি টাকা। ১৪টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে চারটির। আর বাকি ১০টির শেয়ার বেড়েছে।
এছাড়া ন্যাশনাল ফিড মিলের লেনদেন হয়েছে ৬১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আমান ফিডের লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
ব্যাংক খাত
এই খাতকে আগামী অর্থবছরেও ৪০ শতাংশ হারেই কর দিতে হবে। দীর্ঘদিন ঘুমিয়ে থাকা এই খাতের প্রতি বাজেট প্রস্তাবের আগে বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিলেও বাজেটের পর শেয়ার মূল্যে কমতে থাকার পাশাপাশি লেনদেনের হিস্যাও কমেছে।
বুধবার দুই হাজার সাতশ কোটি টাকা লেনদেনের দিন সবচেয়ে বেশি বাজার মূলধনের এই খাতে হাতবদল হয়েছে ২০২ কোটি টাকা। এর মধ্যে আবার দুটি ব্যাংকের লেনদেনই হয়েছে প্রায় ৮০ কোটি টাকা।
গত দুই সপ্তাহের মধ্যে এটিই এই খাতে সবচেয়ে কম লেনদেন।
তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে এনআরবিসি ব্যাংকের ৩৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
ডাচবাংলা ব্যাংকের লেনদেন হয়েছে ৩৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। প্রাইম ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
ওষুধ রসায়ন
ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে করোনার টিকা আনার ক্ষেত্রে বেক্সিমকো ফার্মা লোকাল এজেন্ট হওয়ার পর এই খাতে লেনদেনের জোয়ার ছিল গত বছরের শেষ ও চলতি বছরের শুরুর দিকে।
তবে টিকার অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ার পর থেকে এই কোম্পানির পাশাপাশি গোটা খাতেই লেনদেন নেমে আসে তলানিতে। তবে চলতি সপ্তাহে এই খাতেও লেনদেনের গতি দেখা যাচ্ছে।
বুধবার এ খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১৪৩ কোটি টাকা। এখাতে তালিকাভুক্ত ২২টি কোম্পানির মধ্যে এদিন দর কমেছে আটটির। বাকি ১৪টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হাতবদল হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মার ১৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এ ছাড়া এভডেন্ট ফার্মার ১৬ কোটি ৭১ লাখ, স্কয়ার ফার্মার ১৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি
কেপিসিএলের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন নিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলে থাকার পর গোটা খাতেই যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, সেটিও কাটতে শুরু করেছে।
বুধবার এই খাতে হাতবদল হয়েছে ১২১ কোটি টাকার শেয়ার।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লুব রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ৩৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এ ছাড়া সামিট পাওয়ারের ১৫ কোটি ৫৭ লাখ ও জিবিবি পাওয়ারের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
তথ্য প্রযুক্তি ও অন্যান্য
পুঁজিবাজারে এ খাতের উত্থান নেই বললেই চলে। শেষ কবে এ খাতের শেয়ারের ঢালাও শেয়ার দর বৃদ্ধি পেয়েছে তার সঠিক সময় জানা প্রায় অসম্ভব।
তবে বুধবার ১১ টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র একটি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। বাকি ১০টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়ছে। মোট লেনদেন হয়েছে ৬৩ কোটি টাকা।
এর মধ্যে এককভাবে জেনেক্স ইনফোয়েন্স লিমিটেডের ৩০ কোটি ৬০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। বিডি কম লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আইটি কনসালটেন্ট লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। অগ্নি সিস্টেমের শেয়ার লেনদেন হয়েছে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
এছাড়া খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ৫৪ কোটি টাকা এবং সেবা খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য