× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
তৃতীয় দিনেই ফ্লোর ছাড়িয়ে ৫ কোম্পানি লেনদেনেও চমক
google_news print-icon

তৃতীয় দিনেই ফ্লোর ছাড়িয়ে ৫ কোম্পানি, লেনদেনেও চমক

তৃতীয়-দিনেই-ফ্লোর-ছাড়িয়ে-৫-কোম্পানি-লেনদেনেও-চমক
গত ৭ এপ্রিল প্রথমে ৬৬টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়। শুরুতে আতঙ্কে দাম কমলেও পরে দেখা যায় এর প্রভাব ইতিবাচক। শুরুতে দাম কমলেও অনেক কোম্পানির দামই এখন বাতিল হওয়া ফ্লোর প্রাইসের চেয়ে বেশি। তার চেয়ে বড় কথা আটকে থাকা শেয়ারগুলো এখন হাতবদল হচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপে বাতিল হওয়া ৩০ কোম্পানির ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে একই চিত্র।

প্রথম দিন ঢালাও পতন, তবে তৃতীয় দিনেই পাল্টে গেল চিত্র।

নতুন করে যে ৩০ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস বা শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য প্রত্যাহার করা হয়েছে, তার মধ্যে পাঁচটির উঠে এল সেই ফ্লোরের ওপরে।

আগের ৬৬টির মতো এই শেয়ারগুলোও দিনে কমতে পারবে সর্বোচ্চ দুই শতাংশ, তবে বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাকি সব শেয়ারের মতোই সর্বোচ্চ ১০ শতাংশের সীমা থাকবে।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের বঙ্গজের দাম এখন বাতিল করা ফ্লোর প্রাইস ১১৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেশি।

যদিও রোববার প্রথম দিন প্রায় ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ কমে হয়েছিল ১১৪ টাকা ৬০ পয়সা। পরের দিন আরও প্রায় দুই শতাংশ কমে হয় ১১২ টাকা ৪০ পয়সা।

মঙ্গলবার এই অবস্থান থেকে দাম আরও দুই শতাংশের মতো কমে হয় ১১০ টাকা ৪০ পয়সা। কিন্তু এর পরেই আবার ক্রয় চাপে সেটি ঘুরে দাঁড়ায়। পরে আগের দিনের তুলনায় দাম ৫ টাকা ২০ পয়সা বেড়ে হয় ১১৭ টাকা ৬০ পয়সা।

লেনদেনও বেড়েছে। গত এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ শেয়ার বিক্রি হয়েছে কোম্পানিটির। হাতবদল হয়ে মোট ১ লাখ ৭০ হাজার ৯৭টি শেয়ার।

ফ্লোর প্রাইস তোলার আদেশ আসার দিন এর লেনদেন ছিল ১ হাজার ৭২৬টি।

গত বছরের ২২ অক্টোবর থেকে এক দিনেই ফ্লোর প্রাইস ১০৬ টাকা ৯০ পয়সার বেশিতে হাতবদল হয়েছিল অ্যাপেক্স ট্যানারির দর। ফ্লোর প্রত্যাহারের পর রোববার প্রথম কার্যদিবসেই সেখান থেকে দাম কমে যায় প্রায় দুই শতাংশ। অথচ দ্বিতীয় দিনই সেখান থেকে দাম বেড়ে বাতিল হওয়া ফ্লোর প্রাইস ছাড়িয়ে যায়। তৃতীয় দিন দাম আরও খানিকটা বেড়ে হয়েছে ১০৯ টাকা।

এই দাম ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরের পর সর্বোচ্চ।

ফ্লোর প্রাইসের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ১০০টি শেয়ার হাতবদল হলেও মুক্ত হওয়ার পর রোববার হাতবদল হয় দুই হাজার ২২৯টি। মঙ্গলবার তারও ১০ গুণের বেশি হাতবদল হয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২৪ হাজার ৮৮৯টি।

এটলাসের ফ্লোর প্রাইস ছিল ১০৯ টাকা ৪০ পয়সা। রোববার দাম কমে হয় ১০৮ টাকা ৯০ পয়সা। সোমবার আরও এক দফা কমে গিয়ে দাম দাঁড়ায় ১০৭ টাকা ১০ পয়সা। মঙ্গলবার দিনের শুরুতে দাম আরও কমে দাঁড়ায় ১০৫ টাকা। কিন্তু সেখান থেকে পরে ঘুরে দাম এক পর্যায়ে হয় ১১৩ টাকা ৯০ পয়সা। শেষ পর্যন্ত দাম দাঁড়ায় ১১০ টাকা ২০ পয়সা।

ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের আগে শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দিন দুটি কোম্পানির শেয়ার হাতবদল হয়েছিল। রোববার লেনদেন হয় তিনটি কোম্পানির শেয়ার। আর ফ্লোরের চেয়ে বেশি দামে মঙ্গলবার হাতবদল হয় ১৯ হাজার ৭১৫টি।

তবে চমক ছিল জেমিনি সি ফুডসের।

গত ১০ জানুয়ারি থেকে ফ্লোর প্রাইস ১৪৪ টাকা ৩০ পয়সার ওপরে উঠতে না পারা শেয়ারটি মুক্ত হওয়ার পর দুই কার্যদিবস আরও কমে দাম দাঁড়ায় ১৩৯ টাকা ১০ পয়সা। অথচ তৃতীয় কার্যদিবসেই অবিশ্বাস্যভাবে শতকরা প্রায় ১০ শতাংশ দাম বেড়ে হয়ে যায় ১৫৩ টাকা। এক দিনে এর চেয়ে বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়া সম্ভব ছিল না।

এই শেয়ারটিও দিনের শুরুতে ১৩৬ টাকা ৬০ পয়সায় নেমে এসেছিল। সেখান থেকেই হয় উত্থান।

কোনো এক দিনে গত এক বছরের মধ্যে শেয়ারটির হাতবদলও হয়েছে সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ দামে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে মোট এক লাখ ৩২ হাজার ৯০৫টি। অথচ ফ্লোর প্রাইসের শেষ দিনে হাতবদল হয়েছিল কেবল ৭১৪টি।

ডেফোডিল কম্পিউটারের দর ফ্লোর প্রাইস ৫৩ টাকা ৪০ পয়সা থেকে রোববার ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ কমে হয় ৫২ টাকা ৪০ পয়সা। মঙ্গলবার ঘুরে দাঁড়িয়ে দর দাঁড়ায় ৫৪ টাকা ৬০ পয়সা।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন বৃহস্পতিবার ২৯ হাজার ৯০টি শেয়ার হাতবদল হলেও রোববার লেনদেন হয় ১৭ হাজার ২১টি। মঙ্গলবার হয়েছে ২২ হাজার ৪৬১টি।

গত বছর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর প্রতিটি শেয়ারেরই ফ্লোর প্রাইস ঠিক করে দেয়া হয়। সে সময় বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম বেশি থাকায় ফ্লোর প্রাইসও বেশি ছিল। তবে পরে সেই দাম আর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যৌক্তিক মনে হয়নি। এ কারণে শেয়ারগুলো বিক্রি হচ্ছিল না বললেই চলে।

এই পরিস্থিতিতে গত ৭ এপ্রিল প্রথমে ৬৬টি কোম্পানির ফ্লোর প্রত্যাহার করা হয়। শুরুতে আতঙ্কে দাম কমলেও পরে দেখা যায় এর প্রভাব ইতিবাচক।

এই ৬৬ কোম্পানির প্রায় অর্ধেকের দাম এখন প্রত্যাহার করা ফ্লোর প্রাইসের চেয়ে বেশি। একটি বড় অংশের দাম সেই ফ্লোরের আশেপাশে। তবে কিছু কোম্পানির বড় পতন হয়েছে।

কিন্তু যে লাভ হয়েছে, সেটি হলো বিনিয়োগকারীদের আটকে যাওয়া টাকা মুক্ত হয়েছে। প্রতিদিনই এখন বিপুল পরিমাণ শেয়ার লেনদেন হচ্ছে।

সেই ৬৬ কোম্পানির অভিজ্ঞতা থেকেই এবার ৩০টির ফ্লোর প্রত্যাহার করা হয়। এগুলোও ফ্লোরের দামে হাতবদল হচ্ছিল না বললেই চলে। তবে সর্বনিম্ন দাম তুলে দেয়ার পর হাতে গোনা দুই একটি ছাড়া বেশিরভাগের লেনদেনেই বেড়েছে।

তৃতীয় দিনেই ফ্লোর ছাড়িয়ে ৫ কোম্পানি, লেনদেনেও চমক

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ

কী বলছেন বিশ্লেষক

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ফ্লোর প্রাইসের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে সিংহভাগ কোম্পানির লেনদেনে একটা বাধা ছিল, সেটি এখন কাটতে শুরু করেছে। শেয়ার হাতবদল বাড়লে তা ইতিবাচক। আগে যে ৬৬টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস বাতিল করা হয়েছিল সেগুলোর শেয়ার দরও এখন ঊর্ধ্বমুখী। বিনিয়োগকারীরা সেগুলোর শেয়ার লেনদেন করে শেয়ার সমন্বয়সহ ক্রয় বিক্রয় করতে পারছে।’

তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে যেভাবে উত্থান হচ্ছে, লেনদেন বাড়ছে তাতে ফ্লোর প্রাইসের প্রয়োজনীয়তা কতদিন থাকবে সেটি বিবেচনা করা উচিত।’

বাকি ২৫ কোম্পানির কী অবস্থা

অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের দর ফ্লোর প্রাইস ২১৯ টাকা ৩০ পয়সা থেকে রোববার ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ কমে হয় ২১৫ টাকা। সেখান থেকে কিছুটা ঘুরে মঙ্গলবার দর দাঁড়িয়েছেল ২১৭ টাকা ৮০ পয়সা। বৃহস্পতিবার তিন হাজার ৩৫১টি শেয়ার হাতবদল হলেও রোববার হয়েছিল দুই হাজার ৪৬৭টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ৭ হাজার ১১৭টি।

রেনউইক যগেশ্বরের ফ্লোর প্রাইস ছিল ৯০০ টাকা। ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর প্রথম লেনদেনে রোববার কোম্পানিটির শেয়ার দর দিনের সর্বোচ্চ ২ শতাংশ কমে হয়েছিল ৮৮২ টাকা। একদিন বাদে তৃতীয় দিনে লেনদেন আরও কমে হয়েছে ৮৪৭ টাকা ২০ পয়সা।

ফ্লোর উঠানোর আগে বৃহস্পতিবার লেনদেন ছিল আটটি। রোববার বেড়ে হয়েছে ২১টি। মঙ্গলবার লেনদেন বেড়ে হয়েছে ৮১৭টির।

মুন্নু অ্যাগ্রোর দর ফ্লোর প্রাইস ৭৯৪ টাকা ৮০ পয়সা থেকে দুই শতাংশ কমে হয় ৭৭৮ টাকা ৯০ পয়সা। মঙ্গলবার লেনদেন আরও কমে হয়েছে ৭৪৮ টাকা ২০ পয়সা।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন কোনো শেয়ার হাতবদল না হলেও রোববার লেনদেন হয়েছিল ৩১টি। মঙ্গলবার লেনদেন বেড়ে হয়েছে ৬০টি।

নর্দার্ন জুট কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩২৪ টাকা ৯০ পয়সা। রোববার কোম্পানিটি দর হারায় ২ শতাংশ। এদিন ৩০৭টি শেয়ার হাতবদল হয় ৩১৮ দশমিক ৪০ পয়সায়। মঙ্গলবার শেয়ারদর ছিল ৩০৫ টাকা ৯০ পয়সা।

ফ্লোর উঠার দিন লেনদেন ছিল ১৮টি। মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৭৪৮টি।

ইস্টার্ন কেবলের ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৪০ টাকা ১০ পয়সা। ২ টাকা ৮০ পয়সা বা ২ শতাংশ কমে রোববার দাম ছিল ১৩৭ টাকা ৩০ পয়সা। মঙ্গলবার লেনদেন হয় ১৩২ টাকায়।

ফ্লোর ওঠার আগের দিন ১১৬টি শেয়ার হাতবদল হলেও রোববার হাতবদল হয় এক হাজার ৫৪৫টি। আর মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ২ হাজার ৯২১টি।

গত অর্থবছরে বিপুল পরিমাণ লোকসান দেয়া বাটা শুর ফ্লোর প্রাইস ৬৯৩ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছিল না বললেই চলে। ফ্লোর মুক্ত দিনে রোববার কোম্পানিটির ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমে দাম হয়েছিল ৬৭৯ দশমিক ৪০ পয়সা। মঙ্গলবার লেনদেন শেষে শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৬৫২ টাকা ৬০ পয়সা।

বৃহস্পতিবার হাতবদল হয়েছেল ৭৯৯টি। রোববার হয়েছে দুই হাজার ১৯৭টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ৩ হাজার ৭১৯টি।

ওয়াটা ক্যামিকেলের ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩০৬ টাকা ৮০ পয়সা। ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমে রোববার দাম হয় ৩০০ টাকা ৭০ পয়সা। মঙ্গলবার লেনদেন শেষে শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২৮৮ টাকা ৯০ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ১১৬টি শেয়ার হাতবদল হলেও রোববার লেনদেন বেড়ে হয়েছিল এক হাজার ৫৪৮টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ৬ হাজার ৭২টি।

অ্যাপেক্স স্পিনিংয়ের দর ১৩০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমে রোববার হয়েছিল ১২৩ টাকা ১০ পয়সা। ফ্লোরের শেষ দিন কোনো লেনদেন না হওয়া কোম্পানিটিরও জট খুলেছে।

রোববার দাম কমার পর হাতবদল হয় ৪০০টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ৮ হাজার ৭৬টি।

সিভিও পেট্রো কেমিক্যালের দাম ১১৫ টাকা ৪০ পয়সা থেকে রোববার ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমে হয়েছিল ১১৩ টাকা ১০ পয়সা। মঙ্গলবার লেনদেন শেষে শেয়ার দর দাঁড়ায় ১০৮ টাকা ৭০ পয়সা।

ফ্লোর প্রাইস ওঠার সিদ্ধান্তের দিন বৃহস্পতিবার মাত্র তিনটি শেয়ার হাতবদল হলেও ফ্লোর থেকে মুক্ত হওয়ার পর রোববার হাতবদল হয় ৪১১টি। মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৪৮৪টি।

সোনালী পেপারের দাম ২৭৩ টাকা থেকে রোববার ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে হয়েছে ২৬৭ টাকা ৬০ পয়সা। মঙ্গলবার লেনদেন শেষে শেয়ার দর হয়েছে ২৫৭ টাকা ১০ পয়সা। বৃ্হস্পতিবার ২০টি শেয়ার হাতবদল হলেও রোববার হয়েছিল দুটি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ২১৪টি।

কে অ্যান্ড কে-এর দর ২০৭ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে রোববার হয়েছিল ২০৩ টাকা ৩০ পয়সা। মঙ্গলবার হয়েছে ১৯৫ টাকা ৪০ পয়সা।

বৃ্হস্পতিবার হাতবদল হয়েছিল ৮৬৯টি। রোববার হয়েছিল একটি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ২৪৩টি।

স্টাইলক্রাফটের দর ১৪৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে রোববার ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে হয়েছিল ১৪৩ টাকা ৩০ পয়সা। মঙ্গলবার লেনদেন হয় ১৩৭ টাকা ৮০ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ফ্লোর প্রাইসে ২ হাজার ৯৩টি শেয়ার লেনদেন হলেও রোববার হাতবদল হয় দ্বিগুণ। লেনদেন হয় চার হাজার ২৯২টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয় ১৯ হাজার ৯৬৫টি।

বিডিঅটোকারের দর ১৪৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে রোববার ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ কমে হয়ে ১৪৪ টাকা ৪০ পয়সা। মঙ্গলবার লেনদেন হয় ১৩৮ টাকা ৮০ পয়সা। ফ্লোর প্রাইসের শেষ দিন বৃহস্পতিবার তিনটি শেয়ার হাতবদল হলেও মুক্ত হওয়ার পর রোববার হাতবদল হয় ৩৩৫টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ৫৫৯টি।

সমতা লেদারের দর ফ্লোর প্রাইস ১০৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে রোববার ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ কমে হয়েছিল ১০৪ টাকা ৮০ পয়সা। মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ১০০ টাকা ৭০ পয়সায়।

বৃহস্পতিবার ফ্লোর প্রাইসে একটি শেয়ার লেনদেন হলেও রোববার হাতবদল হয় ১৭টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ১০৫টি।

আজিজ পাইপের দর ফ্লোর প্রাইস ৯৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে রোববার ১ দশমিক ৯৫ শতাংশ কমে হয়েছিল ৯৫ টাকা ৬০ পয়সা। মঙ্গলবার দর আরও কমে হয় ৯১ টাকা ৯০ পয়সা।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন বৃহস্পতিবার ৭১০ শেয়ার হাতবদল হলেও মুক্ত হওয়ার পর রোববার লেনদেন হয় ১ হাজার ৪৯৫টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ১১ হাজার ৩৫৯টি।

ন্যাশনাল টিউবের দর ১০৩ টাকা ১০ পয়সা থেকে রোববার ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমে হয়েছিল ১০১ টাকা ১০ পয়সা। মঙ্গলবার শেয়ার প্রতি দর আরও এক ধাপ কমে হয়েছে ৯৭ টাকা ২০ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ১৪১টি শেয়ার হাতবদল হলেও রোববার লেনদেন হয়েছিল ৭০৮টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ২ হাজার ৯৯টি।

ওরিয়ন ইনফিউশনের দর ৭২ টাকা ১০ পয়সা থেকে রোববার ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমে হয় ৭০ টাকা ৭০ পয়সা। মঙ্গলবার শেয়ার প্রতি দর ছিল ৬৮ টাকা।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন ১০ হাজার শেয়ার হাতবদল হলেও রোববার হাতবদল হয়েছিল দুই হাজার ৩৭৪টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ২ হাজার ৫০৬টি।

ন্যাশনাল পলিমারের দর ৫৬ টাকা ৬০ পয়সা থেকে রোববার ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমে হয়েছিল ৫৫ টাকা ৫০ পয়সা। মঙ্গলবার শেয়ার প্রতি দর ছিল ৫৩ টাকা ৪০ পয়সা।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন বৃহস্পতিবার হাতবদল হয় দুই লাখ ৫৩ হাজার ৩৫১টি। রোববার হাতবদল হয় ৩৮ হাজার ১০৯টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ৪ লাখ ৭২ হাজার ৮৩১টি।

এসকে ট্রিমসের দর ৬২ টাকা ২০ পয়সা থেকে রোববার ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ কমে হয়েছে ৬১ টাকা। মঙ্গলবার আরেক দফা শেয়ার দর কমে লেনদেন হয় ৫৮ টাকা ৬০ পয়সায়।

ফ্লোরের শেষ দিন বৃহস্পতিবার একটি শেয়ারও লেনদেন না হওয়া কোম্পানিটির রোববার ১৬টি শেয়ার হাতবদল হয়েছিল। মঙ্গলবার হাতবদল হয় ২২৭টি।

লিগ্যাসি ফুটওয়ারের দর ৬২ টাকা ৯০ পয়সা থেকে রোববার ১ দশমিক ৯১ শতাংশ কমে হয় ৬১ টাকা ৭০ পয়সা। মঙ্গলবার শেয়ার প্রতি দর ছিল ৫৯ টাকা ৩০ পয়সা।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন বৃহস্পতিবার এটিরও কোনো শেয়ার লেনদেন হয়নি। তবে রোববার হাতবদল হয়েছিল ৮ হাজার ১১৯টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ৫ হাজার ৬৬৫টি।

সি পার্লের দর ফ্লোর প্রাইস ৭৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে রোববার ১ দশমিক ৯০ শতাংশ কমে হয় ৭৭ টাকা ৭০ পয়সা। মঙ্গলবার শেয়ার প্রতি দর ছিল ৭৪ টাকা ৬০ পয়সা।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন বৃহস্পতিবার এটিরও কোনো শেয়ার লেনদেন হয়নি। রোববার হাতবদল হয়েছে ১১টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ৫টি।

হাক্কানি পাল্পের দর ফ্লোর প্রাইস ৭৪ টাকা থেকে রোববার ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ কমে হয় ৭২ টাকা ৬০ পয়সা। মঙ্গলবার দর ছিল ৬৮ টাকা ৮০ পয়সা।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন বৃহস্পতিবার এক হাজার ১০১টি শেয়ার হাতবদল হলেও রোববার লেনদেন হয়েছিল ২২টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ২৭৬টি।

কোহিনুর ক্যামিকেলের ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৭২ টাকা ৮০ পয়সা। এর দরও রোববার ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমে হয় ৪৬৩ টাকা ৪০ পয়সা। মঙ্গলবার দর ছিল ৪৪৫ টাকা ২০ পয়সা।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন কোনো লেনদেন না হওয়া কোম্পানিটির জট খুলেছে। রোববার ৫১৬টি শেয়ার হাতবদল হয়েছিল। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ৫২টি।

মুন্নু সিরামিকের দর ১২৬ টাকা ৮০ পয়সা থেকে রোববার ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ কমে হয় ১২৪ টাকা ৩০ পয়সা। মঙ্গলবার লেনদেন হয় ১১৯ টাকা ৫০ পয়সায়।

ফ্লোর প্রাইসের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ৭৪ শেয়ার হাতবদল হলেও মুক্ত হওয়ার পর রোববার হাতবদল হয়েছিল ১ হাজার ২৫১টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয় ১ হাজার ১৪৫টি।

স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের দর ৩০৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে রোববার হয় ৩০১ টাকা ৮০ পয়সা। মঙ্গলবার লেনদেন শেষে শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২৮৯ টাকা ৯০ পয়সা।

বৃহস্পতিবার হাতবদল হয়েছিল ১২০টি শেয়ার, রোববার হাতবদল হয়েছে ৯২টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ১০৭টি।

আরও পড়ুন:
৩০ কোম্পানির ২৯টি দর হারাল ‘সর্বোচ্চ’
আরও ৩০ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার
সেই ৬৬ কোম্পানির শেয়ারে এখন বাড়তি ‍সুবিধা
আতঙ্ক থাকলেও ফ্লোর প্রত্যাহারের প্রভাব ইতিবাচক
পুঁজিবাজারে উঠে যাচ্ছে ফ্লোর প্রাইস

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Farooq Ahmed is the Chairperson of RDRS Board of Trustees

আরডিআরএস ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপার্সন হলেন ফারুক আহমেদ

আরডিআরএস ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপার্সন হলেন ফারুক আহমেদ ফারুক আহমেদ
ফারুক আহমেদ ২০২০ সালের ১৬ মার্চ থেকে আরডিআরএস-এর ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস বাংলাদেশ-এর ট্রাস্টি বোর্ডের নতুন চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হলেন ফারুক আহমেদ।

ট্রাস্টি বোর্ডের ৬৬তম সভায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফারুক আহমেদ ২৭ এপ্রিল থেকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালন করবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিপ্রাপ্ত ফারুক আহমেদের উন্নয়ন খাতে রয়েছে বিস্তৃত অভিজ্ঞতা।

তিনি এক সময় ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন এবং ঢাকায় বিশ্বব্যাংক কার্যালয়ে বিভিন্ন পদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জেনেভাভিত্তিক গ্যাভি, দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স (এঅঠও)-এর বোর্ড সদস্য ছিলেন, এছাড়া তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিশ্বব্যাংকের বিভিন্ন কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ফারুক আহমেদ সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানি (এসএমসি) এন্টারপ্রাইজের পরিচালনা পরিষদের একজন সদস্য। তিনি বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ ওয়ার্কিং গ্রুপেরও একজন সদস্য।

ফারুক আহমেদ ২০২০ সালের ১৬ মার্চ থেকে আরডিআরএস-এর ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

আরডিআরএস বিশ্বাস করে, ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে সংস্থাটি দেশজুড়ে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রাখতে এবং এ সম্পর্কিত কার্যক্রমকে বেগবান করতে সক্ষম হবে। প্রেস রিলিজ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Gold prices fell for the third consecutive day

টানা তৃতীয় দিনের মতো কমেছে স্বর্ণের দাম

টানা তৃতীয় দিনের মতো কমেছে স্বর্ণের দাম
বৃহস্পতিবার ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ভরিতে কমেছে ৬৩০ টাকা। সে হিসাবে ভালো মানের স্বর্ণের ভরি দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা। আগের দিন বুধবার তা ছিল এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা।

দেশের বাজারে টানা তৃতীয় দিনের মতো কমেছে স্বর্ণের দাম। ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ভরিতে কমেছে ৬৩০ টাকা। সে হিসাবে স্বর্ণের ভরি দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা। আগের দিন বুধবার তা ছিল এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।

স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মি‌নিট থেকে স্বর্ণের নতুন নির্ধারিত দাম কার্যকর হবে।

বাজুস এর আগে চলতি এপ্রিল মাসের ৬, ৮ ও ১৮ তারিখ তিন দফা স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। এর ম‌ধ্যে ভালো মানের স্বর্ণের ভরিতে ৬ এপ্রিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল দুই হাজার ৬৫ টাকা বাড়ানো হয়। মাঝে ২০ এপ্রিল ভরিতে ৮৪০ টাকা দাম কমানোর পরদিন ২১ এপ্রিল আবার ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস।

এবার শুরু হয় দাম কমানোর পালা। সবশেষ দাম বাড়ানোর দু’দিন পর ২৩ এপ্রিল ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে তিন হাজার ১৩৮ টাকা ও ২৪ এপ্রিল দু’হাজার ৯৯ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয় বাজুস। আর বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ টানা তিন দিনে স্বর্ণের দাম ভ‌রি‌তে ক‌মেছে পাঁচ হাজার ৮৬৮ টাকা।

সোনার দামে এমন উত্থান-পতনের কারণ জানতে চাইলে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা এখন নতুন পদ্ধতি বা পলিসি অনুসরণ করে গোল্ডের দাম নির্ধারণ করি। সেটি হচ্ছে বিশ্ব স্বীকৃত ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল পলিসি।

‘এতদিন আমরা আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে গোল্ডের দাম নির্ধারণ করতাম। সেক্ষেত্রে বিশ্ববাজারে যখন স্বর্ণের দাম কমত তখন আমরা কমাতাম। আর যখন বাড়ত তখন বাড়াতাম।’

তিরি আরও বলেন, ‘এখন আমরা আমাদের স্বর্ণের সবচেয়ে বড় বাজার তাঁতীবাজারের বুলিয়ান মার্কেট ফলো করে দর নির্ধারণ করি। এই বাজারে স্বর্ণের দাম ঘণ্টায় ঘণ্টায় উঠা-নামা করে। সেটা অনুসরণ করে আমরা নতুন দর নির্ধারণ করে থাকি। সেক্ষেত্রে দিনে দু’বারও গোল্ডের দাম বাড়ানো-কমানো হতে পারে।’

আরও পড়ুন:
দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১১৯৬৩৮ টাকা
মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৪০টি স্বর্ণের বারসহ আটক ২
স্বর্ণের দাম দু’দিনের ব্যবধানে ভরিতে বেড়েছে ৩,৪৯৯ টাকা
বাড়া-কমার খেলায় স্বর্ণের ভরি রেকর্ড ১,১৪,০৭৪ টাকা
কমলো স্বর্ণের দাম

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Islami Bank declared 10 percent cash dividend

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলমের সভাপতিত্বে বুধবার অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থিত ব্যক্তিদের একাংশ। ছবি: নিউজবাংলা
সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালক, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে।

ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলমের সভাপতিত্বে বুধবার অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালক, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৫ জুন ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয় ১৬ মে।

সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সঙ্গে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

আরও পড়ুন:
১২ বছরে পদার্পণসহ তিন উপলক্ষ বর্ণাঢ্যভাবে উদযাপন এনআরবিসি ব্যাংকের 
বিদেশি ব্যাংক আলফালাহ অধিগ্রহণ করবে ব্যাংক এশিয়া
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ডিএমডি হলেন ফয়েজ আলম
কর্মচারীকে অজ্ঞান করে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে টাকা লুটের অভিযোগ
রুমায় ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুট: গ্রেপ্তার আরও চার আসামি

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The manipulation of a few traders behind the instability in the capital market

পুঁজিবাজারে অস্থিরতার নেপথ্যে গুটিকয়েক ট্রেডারের কারসাজি

পুঁজিবাজারে অস্থিরতার নেপথ্যে গুটিকয়েক ট্রেডারের কারসাজি ফাইল ছবি
শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক সময়ের টানা পতন ঠেকাতে আবারও শেয়ারের মূল্যসীমায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর এক দিনে ৩ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না। দেশের পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বিএসইর আদেশে জানানো হয়েছে।

কোভিড-১৯ মহামারির অভিঘাতে সমগ্র বিশ্ব যখন টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে পতিত হয়, ঠিক সেই সময় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে টেনে তুলতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার বিশ্বের দরবারে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যায়।

যদিও একটি শ্রেণি বাজারে নেতিবাচক ভূমিকা রাখতে বরাবরই সক্রিয় ছিল। তবে দূরদর্শী নেতৃত্বগুণে বিনিয়োগকারীদের অর্থের সুরক্ষা দিতে বারবার বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হতে দেননি অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে অস্বাভাবিক আচরণ করছে পুঁজিবাজার। নিয়ন্ত্রক সংস্থাও এ পরিস্থিতি সামাল দিতে এরই মধ্যে অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করে বাজারকে স্থিতিশীল করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এমনকি পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে গতকাল ফ্লোর প্রাইসমুক্ত সব শেয়ারে একদিনের দর কমার নিম্নসীমা (সার্কিট ব্রেকার) ৩ শতাংশে বেঁধে দিয়েছে সংস্থাটি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএসইসির সময়োপযোগী এমন পদক্ষেপ বাজারকে আবারও টেনে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে সন্দেহভাজন বেশকিছু লেনদেন পরিলক্ষিত হয়েছে বাজারে। এতে বিশেষ একটি শ্রেণি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বাজারকে ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা করছে। কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসও এতে জড়িত রয়েছে। বাজারে অবাঞ্ছিত বিক্রির আদেশ দিয়ে তারা অস্থিরতা তৈরি করছে। তাছাড়া বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে বাজারে একটা শ্রেণি স্বার্থ আদায়ের চেষ্টা করছে। ফলে বেশ কিছুদিন ধরে বাজার কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করছে।

এ বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে বেশ কিছু ট্রেডার নিজেদের মধ্যে যোগশাজসের মাধ্যমে প্রথমে কম দরে শেয়ার বিক্রি করত। পরে তাদের দেখাদেখি সাধারণ বিনিয়োগকারীরা যখন প্যানিক হয়ে শেয়ার বিক্রি করত তখন তারা আবার কম দরে শেয়ারগুলো কিনে নিত। এভাবে তারা নিজেদের মধ্যে শেয়ার লেনদেন করে প্যানিক সৃষ্টির মাধ্যমে ভালো শেয়ারগুলোর দাম কমাত। এই কাজে তাদের বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসও সহযোগিতা করত।’

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে শেয়ারের দর কমার কথা নয়। গুটি কয়েক অসাধু ট্রেডারের কারসাজিতে বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এতে বড় বড় ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আল-আমিন বলেন, ‘এক শ্রেণির অসাধু বিনিয়োগকারী চাচ্ছেন বর্তমান কমিশন বিদায় হয়ে নতুন কেউ দায়িত্বে আসুক, যাতে তারা নতুন করে আরও সুযোগ নিতে পারেন। তারাই বিভিন্ন দুর্বল শেয়ারে কারসাজি করে সুবিধা নিচ্ছেন।

‘ফোর্সড সেলের মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার তারা কম দরে কিনে নিচ্ছেন। কমিশনের উচিত হবে কারসাজিকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা, যাতে তারা বারবার বাজারকে ম্যানিপুলেট করার সাহস না পায়।’

এদিকে শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক সময়ের টানা পতন ঠেকাতে আবারও শেয়ারের মূল্যসীমায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে বিএসইসি এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে।

ওই আদেশে বলা হয়, এখন থেকে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর এক দিনে ৩ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না। বর্তমানে দরভেদে কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত দরপতন হতে পারে।

দেশের পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে আদেশে জানানো হয়েছে। সার্কিট ব্রেকারের এ সিদ্ধান্ত বুধবার থেকে কার্যকর করতে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘আজকের এই সার্কিট ব্রেকার আরোপ বাজারে কারসাজি রোধ করবে। এটি সন্দেহভাজন লেনদেন বন্ধ করবে। আর এ সিদ্ধান্তের ফলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি সক্রিয় হবে বলে আশা করছি।’

তিনি বলেন, ‘অনেক ভালো শেয়ার বর্তমানে আন্ডারভ্যালুতে আছে। এখানে তারা বিনিয়োগ করবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।’

সার্কিট ব্রেকার বাজারের দরপতন ফেরাতে ব্যর্থ হলে আবারও ফ্লোর প্রাইস দেয়ার কোনো সিদ্ধান্ত আছে কি না জানতে চাইলে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আশা করছি, আমাদের বাজারে আর কখনও ফ্লোর প্রাইস দিতে হবে না। শিগগিরই বাজার একটা স্থিতিশীল অবস্থানে ফিরবে।’

আরও পড়ুন:
শেয়ারের দাম দিনে ৩ শতাংশের বেশি কমবে না
ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে পুঁজিবাজার

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The share price will not fall more than 3 percent in a day
পুঁজিবাজার

শেয়ারের দাম দিনে ৩ শতাংশের বেশি কমবে না

শেয়ারের দাম দিনে ৩ শতাংশের বেশি কমবে না
শেয়ারের দাম কমার ক্ষেত্রে আগে মূল্যসীমা নির্ধারণ করা ছিল ১০ শতাংশ। তবে ঊর্ধ্বসীমা অর্থাৎ কোনো শেয়ারের দাম বাড়ার সীমা ১০ শতাংশ অপরিবর্তিত রেখেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিএসইসি।

দেশের পুঁজিবাজারে শেয়ারের দরপতনের গতি কমিয়ে আনার চেষ্টার অংশ হিসেবে এবার মূল্যসীমায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার আগের দিনের শেষ হওয়া দরের ভিত্তিতে ৩ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না।

শেয়ারের দাম কমার ক্ষেত্রে আগে মূল্যসীমা ছিল ১০ শতাংশ। তবে ঊর্ধ্বসীমা অর্থাৎ কোনো শেয়ারের দাম বাড়ার সীমা ১০ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বুধবার এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে। বৃহস্পতিবার থেকেই এ আদেশ কার্যকর হবে বলে আদেশে জানানো হয়েছে।

বিএসইসি জানিয়েছে, যেসব শেয়ার ফ্লোর প্রাইসের আওতায় আছে সেসব শেয়ারের ক্ষেত্রে নতুন আদেশ প্রযোজ্য হবে না।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে বাজার সূচকের অবাধ পতন ঠেকাতে এর আগে ২০২২ সালের জুলাই শেষে প্রতিটি শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দিয়েছিল বিএসইসি। ফ্লোর প্রাইস ছিল ২০২২ সালের ২৮ জুলাই ও তার আগের চার দিনের ক্লোজিং প্রাইসের গড়।

বর্তমানে বেক্সিমকো, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও শাহজীবাজার পাওয়ার কোম্পানির ক্ষেত্রে ওই ফ্লোর প্রাইস কার্যকর রয়েছে।

আরও পড়ুন:
লেনদেন ও সূচকে হতাশার মাঝে শেষ দিনে আশা
‘বিনিয়োগকারীদের ধারাবাহিক লভ্যাংশ দিতে সক্ষম বেস্ট হোল্ডিংস’
বাংলাদেশের পুঁজিবাজার দৃঢ় ও সম্ভাবনাময়: বিএসইসি চেয়ারম্যান
পুঁজিবাজারে ৮ বছরে বিনিয়োগকারী কমেছে ১৪ লাখ
পুঁজিবাজারে বিমা খাতের দাপট, সূচকের উত্থান

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The price of gold in the country has dropped another round to 114151 rupees

দেশে স্বর্ণের দাম আরেক দফা কমে ভরি ১১৪১৫১ টাকা

দেশে স্বর্ণের দাম আরেক দফা কমে ভরি ১১৪১৫১ টাকা
বাজুস মঙ্গলবার ঘোষণা দিয়ে ওই দিন থেকে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করে। সে হিসাবে দু’দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে কমলো ৫ হাজার ২৭৭ টাকা।

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম একদিনের ব্যবধানে আরেক দফা কমেছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিতে দু’হাজার ১৩৯ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। বলা হয়েছে,

স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নতুন নির্ধারিত দাম বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিট থেকে কার্যকর হবে।

বাজুস এর আগের দিন মঙ্গলবার ঘোষণা দিয়ে ওই দিন থেকে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করে। সে হিসাবে দুদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে কমলো ৫ হাজার ২৭৭ টাকা।

নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ১৩৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯৯৫ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৯ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের ভরি ১ হাজার ৭১৪ টাকা কমিয়ে ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৩৭৭ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা।

অবশ্য স্বর্ণালঙ্কার কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের এর চেয়ে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সে সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় নূন্যতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৫৮ টাকা।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপার ভরি ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা আছে।

আরও পড়ুন:
কমানোর পর দিনই বাড়ল স্বর্ণের দাম
স্বর্ণের দাম এবার কমেছে, তবে নামমাত্র
দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১১৯৬৩৮ টাকা
স্বর্ণের দাম দু’দিনের ব্যবধানে ভরিতে বেড়েছে ৩,৪৯৯ টাকা
বাড়া-কমার খেলায় স্বর্ণের ভরি রেকর্ড ১,১৪,০৭৪ টাকা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Infinix Inbook Y2 Plus An affordable powerhouse for everyday use

ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাস: নিত্যদিনের ব্যবহারের জন্য সাশ্রয়ী পাওয়ারহাউজ

ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাস: নিত্যদিনের ব্যবহারের জন্য সাশ্রয়ী পাওয়ারহাউজ ইনবুক ওয়াইটু প্লাস নামের ল্যাপটপটি দিচ্ছে চমৎকার ডিজাইন, শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও সাশ্রয়ী দামের প্রতিশ্রুতি। কোলাজ: নিউজবাংলা
ল্যাপটপটির বর্তমান বাজারমূল্য ৫৮ হাজার ৯৯০ টাকা। অনুমোদিত ইনফিনিক্স রিটেইলার থেকে ল্যাপটপটি কেনা যাচ্ছে।

বাংলাদেশের বাজারে গত বছর প্রথমবারের মতো ল্যাপটপ নিয়ে আসে ট্রেন্ডি প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। ইনবুক ওয়াইটু প্লাস নামের ল্যাপটপটি দিচ্ছে চমৎকার ডিজাইন, শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও সাশ্রয়ী দামের প্রতিশ্রুতি। অল্প সময়ের মধ্যেই প্রযুক্তিপ্রেমী শিক্ষার্থী ও এক্সিকিউটিভদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে এ ল্যাপটপ।

দেখে নেওয়া যাক কী আছে ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাস ল্যাপটপটিতে। এর ফিচার, পারফরম্যান্স ও ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাই বা কেমন।

ডিজাইন ও গঠন

স্লিক ও হালকা ডিজাইনের ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাস সহজেই সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। শিক্ষার্থী ও ব্যস্ত এক্সিকিউটিভদের জন্য এ ল্যাপটপ যথার্থ। এর পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক মেটালিক ডিজাইন স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। একই সঙ্গে দেয় প্রিমিয়াম অনুভূতি। স্লিক প্রোফাইল ও প্রাণবন্ত ডিসপ্লের সঙ্গে যুক্ত সরু বেজেল ল্যাপটপটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে। ফলে বাজারের একই ধরনের দামি ল্যাপটপের সমকক্ষ হয়ে ওঠে ওয়াইটু প্লাস।

তা ছাড়া এর মসৃণ এজি গ্লাস টাচ প্যানেলের কারণে সিল্কি-স্মুথ ও স্থায়ী টাচের অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। ১.৫ মিলিমিটার কি ট্র্যাভেল এবং ব্যাকলাইটিংযুক্ত রেসপনসিভ কি-বোর্ড টাইপিংকে করে তোলে সহজ ও আরামদায়ক। তাই কম আলোতেও টাইপ করতে কোনো সমস্যা হয় না।

পারফরম্যান্স ও প্রোডাক্টিভিটি

১১তম প্রজন্মের কোর আই৫ প্রসেসর ও ৮ জিবি র‍্যাম রয়েছে ইনফিনিক্স ওয়াইটু প্লাসে। স্টোরেজের প্রয়োজন মেটাতে এতে আছে ৫১২ জিবি এনভিএমই পিসিআইই এসএসডি। প্রোডাক্টিভিটি সফটওয়্যার, ওয়েব ব্রাউজ করা কিংবা কনটেন্ট স্ট্রিম করাসহ সব ধরনের উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন অ্যাপ্লিকেশন চালানো যায় খুব সহজেই। এর ইন্টিগ্রেটেড ইন্টেল ইউএইচডি গ্রাফিকস সাধারণ গেমিং ও মাল্টিমিডিয়া এডিটিংয়ের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যময় গ্রাফিকস পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। উইন্ডোজ ১১ পরিচালিত ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাসের অপারেটিং সিস্টেম সবার পরিচিত ও ব্যবহার করা সহজ।

ডিসপ্লে ও মাল্টিমিডিয়া অভিজ্ঞতা

উজ্জ্বল রং ও ওয়াইড অ্যাঙ্গেলের সঙ্গে স্পষ্ট ও পরিষ্কার ভিজ্যুয়াল দেয় ১৫.৬ ইঞ্চি ফুল এইচডি আইপিএস ডিসপ্লেযুক্ত ইনবুক ওয়াইটু প্লাস। ৮৫ শতাংশ স্ক্রিন-টু-বডি রেশিওর সঙ্গে চমৎকার মাল্টিমিডিয়া অভিজ্ঞতার জন্য ডিসপ্লেটি দারুণ। কাজেই আপনার প্রিয় নেটফ্লিক্স সিরিজ দেখা কিংবা ফটো এডিট করা— সবই হবে স্বাচ্ছন্দ্যে।

ল্যাপটপটিতে আছে ডুয়েল এলইডি ফ্ল্যাশ ও এআই নয়েজ ক্যান্সেলেশন প্রযুক্তিযুক্ত ১ হাজার ৮০ পিক্সেলের ফুল এইচডি+ ক্যামেরা। এর ফলে ভিডিও কলের অভিজ্ঞতা হবে আরও উন্নত।

ব্যাটারি লাইফ ও চার্জিং

ইনবুক ওয়াইটু প্লাসের ৫০ ওয়াট-আওয়ার ব্যাটারি ক্যাপাসিটি কোনো চার্জ ছাড়াই প্রতিদিনের কাজে আট ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। পাশাপাশি এর ৪৫ ওয়াট টাইপ-সি পোর্টযুক্ত চার্জারে ডিভাইসটি দ্রুত ও সহজেই চার্জ করা যায়। ফলে ভারী চার্জার বহনের প্রয়োজন হয় না।

দাম

ল্যাপটপটির বর্তমান বাজারমূল্য ৫৮ হাজার ৯৯০ টাকা। অনুমোদিত ইনফিনিক্স রিটেইলার থেকে ল্যাপটপটি কেনা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:
২ বছরের সফটওয়্যার আপডেটসহ দেশজুড়ে মিলছে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজ
ম্যাগচার্জ প্রযুক্তি নিয়ে দেশের বাজারে ইনফিনিক্সের নোট ৪০ সিরিজ
অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে ম্যাগনেটিক চার্জিং প্রযুক্তি আনল ইনফিনিক্স
যে তিন কারণে আলাদা ইনফিনিক্স ল্যাপটপ
বাজারে এলো ইনফিনিক্সের গেমিং স্মার্টফোন হট ৪০ প্রো

মন্তব্য

p
উপরে