× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
তৃতীয় দিনেই ফ্লোর ছাড়িয়ে ৫ কোম্পানি লেনদেনেও চমক
google_news print-icon

তৃতীয় দিনেই ফ্লোর ছাড়িয়ে ৫ কোম্পানি, লেনদেনেও চমক

তৃতীয়-দিনেই-ফ্লোর-ছাড়িয়ে-৫-কোম্পানি-লেনদেনেও-চমক
গত ৭ এপ্রিল প্রথমে ৬৬টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়। শুরুতে আতঙ্কে দাম কমলেও পরে দেখা যায় এর প্রভাব ইতিবাচক। শুরুতে দাম কমলেও অনেক কোম্পানির দামই এখন বাতিল হওয়া ফ্লোর প্রাইসের চেয়ে বেশি। তার চেয়ে বড় কথা আটকে থাকা শেয়ারগুলো এখন হাতবদল হচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপে বাতিল হওয়া ৩০ কোম্পানির ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে একই চিত্র।

প্রথম দিন ঢালাও পতন, তবে তৃতীয় দিনেই পাল্টে গেল চিত্র।

নতুন করে যে ৩০ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস বা শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য প্রত্যাহার করা হয়েছে, তার মধ্যে পাঁচটির উঠে এল সেই ফ্লোরের ওপরে।

আগের ৬৬টির মতো এই শেয়ারগুলোও দিনে কমতে পারবে সর্বোচ্চ দুই শতাংশ, তবে বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাকি সব শেয়ারের মতোই সর্বোচ্চ ১০ শতাংশের সীমা থাকবে।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের বঙ্গজের দাম এখন বাতিল করা ফ্লোর প্রাইস ১১৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেশি।

যদিও রোববার প্রথম দিন প্রায় ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ কমে হয়েছিল ১১৪ টাকা ৬০ পয়সা। পরের দিন আরও প্রায় দুই শতাংশ কমে হয় ১১২ টাকা ৪০ পয়সা।

মঙ্গলবার এই অবস্থান থেকে দাম আরও দুই শতাংশের মতো কমে হয় ১১০ টাকা ৪০ পয়সা। কিন্তু এর পরেই আবার ক্রয় চাপে সেটি ঘুরে দাঁড়ায়। পরে আগের দিনের তুলনায় দাম ৫ টাকা ২০ পয়সা বেড়ে হয় ১১৭ টাকা ৬০ পয়সা।

লেনদেনও বেড়েছে। গত এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ শেয়ার বিক্রি হয়েছে কোম্পানিটির। হাতবদল হয়ে মোট ১ লাখ ৭০ হাজার ৯৭টি শেয়ার।

ফ্লোর প্রাইস তোলার আদেশ আসার দিন এর লেনদেন ছিল ১ হাজার ৭২৬টি।

গত বছরের ২২ অক্টোবর থেকে এক দিনেই ফ্লোর প্রাইস ১০৬ টাকা ৯০ পয়সার বেশিতে হাতবদল হয়েছিল অ্যাপেক্স ট্যানারির দর। ফ্লোর প্রত্যাহারের পর রোববার প্রথম কার্যদিবসেই সেখান থেকে দাম কমে যায় প্রায় দুই শতাংশ। অথচ দ্বিতীয় দিনই সেখান থেকে দাম বেড়ে বাতিল হওয়া ফ্লোর প্রাইস ছাড়িয়ে যায়। তৃতীয় দিন দাম আরও খানিকটা বেড়ে হয়েছে ১০৯ টাকা।

এই দাম ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরের পর সর্বোচ্চ।

ফ্লোর প্রাইসের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ১০০টি শেয়ার হাতবদল হলেও মুক্ত হওয়ার পর রোববার হাতবদল হয় দুই হাজার ২২৯টি। মঙ্গলবার তারও ১০ গুণের বেশি হাতবদল হয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২৪ হাজার ৮৮৯টি।

এটলাসের ফ্লোর প্রাইস ছিল ১০৯ টাকা ৪০ পয়সা। রোববার দাম কমে হয় ১০৮ টাকা ৯০ পয়সা। সোমবার আরও এক দফা কমে গিয়ে দাম দাঁড়ায় ১০৭ টাকা ১০ পয়সা। মঙ্গলবার দিনের শুরুতে দাম আরও কমে দাঁড়ায় ১০৫ টাকা। কিন্তু সেখান থেকে পরে ঘুরে দাম এক পর্যায়ে হয় ১১৩ টাকা ৯০ পয়সা। শেষ পর্যন্ত দাম দাঁড়ায় ১১০ টাকা ২০ পয়সা।

ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের আগে শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দিন দুটি কোম্পানির শেয়ার হাতবদল হয়েছিল। রোববার লেনদেন হয় তিনটি কোম্পানির শেয়ার। আর ফ্লোরের চেয়ে বেশি দামে মঙ্গলবার হাতবদল হয় ১৯ হাজার ৭১৫টি।

তবে চমক ছিল জেমিনি সি ফুডসের।

গত ১০ জানুয়ারি থেকে ফ্লোর প্রাইস ১৪৪ টাকা ৩০ পয়সার ওপরে উঠতে না পারা শেয়ারটি মুক্ত হওয়ার পর দুই কার্যদিবস আরও কমে দাম দাঁড়ায় ১৩৯ টাকা ১০ পয়সা। অথচ তৃতীয় কার্যদিবসেই অবিশ্বাস্যভাবে শতকরা প্রায় ১০ শতাংশ দাম বেড়ে হয়ে যায় ১৫৩ টাকা। এক দিনে এর চেয়ে বেশি দাম বৃদ্ধি পাওয়া সম্ভব ছিল না।

এই শেয়ারটিও দিনের শুরুতে ১৩৬ টাকা ৬০ পয়সায় নেমে এসেছিল। সেখান থেকেই হয় উত্থান।

কোনো এক দিনে গত এক বছরের মধ্যে শেয়ারটির হাতবদলও হয়েছে সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ দামে শেয়ারটি হাতবদল হয়েছে মোট এক লাখ ৩২ হাজার ৯০৫টি। অথচ ফ্লোর প্রাইসের শেষ দিনে হাতবদল হয়েছিল কেবল ৭১৪টি।

ডেফোডিল কম্পিউটারের দর ফ্লোর প্রাইস ৫৩ টাকা ৪০ পয়সা থেকে রোববার ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ কমে হয় ৫২ টাকা ৪০ পয়সা। মঙ্গলবার ঘুরে দাঁড়িয়ে দর দাঁড়ায় ৫৪ টাকা ৬০ পয়সা।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন বৃহস্পতিবার ২৯ হাজার ৯০টি শেয়ার হাতবদল হলেও রোববার লেনদেন হয় ১৭ হাজার ২১টি। মঙ্গলবার হয়েছে ২২ হাজার ৪৬১টি।

গত বছর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর প্রতিটি শেয়ারেরই ফ্লোর প্রাইস ঠিক করে দেয়া হয়। সে সময় বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম বেশি থাকায় ফ্লোর প্রাইসও বেশি ছিল। তবে পরে সেই দাম আর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যৌক্তিক মনে হয়নি। এ কারণে শেয়ারগুলো বিক্রি হচ্ছিল না বললেই চলে।

এই পরিস্থিতিতে গত ৭ এপ্রিল প্রথমে ৬৬টি কোম্পানির ফ্লোর প্রত্যাহার করা হয়। শুরুতে আতঙ্কে দাম কমলেও পরে দেখা যায় এর প্রভাব ইতিবাচক।

এই ৬৬ কোম্পানির প্রায় অর্ধেকের দাম এখন প্রত্যাহার করা ফ্লোর প্রাইসের চেয়ে বেশি। একটি বড় অংশের দাম সেই ফ্লোরের আশেপাশে। তবে কিছু কোম্পানির বড় পতন হয়েছে।

কিন্তু যে লাভ হয়েছে, সেটি হলো বিনিয়োগকারীদের আটকে যাওয়া টাকা মুক্ত হয়েছে। প্রতিদিনই এখন বিপুল পরিমাণ শেয়ার লেনদেন হচ্ছে।

সেই ৬৬ কোম্পানির অভিজ্ঞতা থেকেই এবার ৩০টির ফ্লোর প্রত্যাহার করা হয়। এগুলোও ফ্লোরের দামে হাতবদল হচ্ছিল না বললেই চলে। তবে সর্বনিম্ন দাম তুলে দেয়ার পর হাতে গোনা দুই একটি ছাড়া বেশিরভাগের লেনদেনেই বেড়েছে।

তৃতীয় দিনেই ফ্লোর ছাড়িয়ে ৫ কোম্পানি, লেনদেনেও চমক

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ

কী বলছেন বিশ্লেষক

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ফ্লোর প্রাইসের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে সিংহভাগ কোম্পানির লেনদেনে একটা বাধা ছিল, সেটি এখন কাটতে শুরু করেছে। শেয়ার হাতবদল বাড়লে তা ইতিবাচক। আগে যে ৬৬টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস বাতিল করা হয়েছিল সেগুলোর শেয়ার দরও এখন ঊর্ধ্বমুখী। বিনিয়োগকারীরা সেগুলোর শেয়ার লেনদেন করে শেয়ার সমন্বয়সহ ক্রয় বিক্রয় করতে পারছে।’

তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে যেভাবে উত্থান হচ্ছে, লেনদেন বাড়ছে তাতে ফ্লোর প্রাইসের প্রয়োজনীয়তা কতদিন থাকবে সেটি বিবেচনা করা উচিত।’

বাকি ২৫ কোম্পানির কী অবস্থা

অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের দর ফ্লোর প্রাইস ২১৯ টাকা ৩০ পয়সা থেকে রোববার ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ কমে হয় ২১৫ টাকা। সেখান থেকে কিছুটা ঘুরে মঙ্গলবার দর দাঁড়িয়েছেল ২১৭ টাকা ৮০ পয়সা। বৃহস্পতিবার তিন হাজার ৩৫১টি শেয়ার হাতবদল হলেও রোববার হয়েছিল দুই হাজার ৪৬৭টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ৭ হাজার ১১৭টি।

রেনউইক যগেশ্বরের ফ্লোর প্রাইস ছিল ৯০০ টাকা। ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর প্রথম লেনদেনে রোববার কোম্পানিটির শেয়ার দর দিনের সর্বোচ্চ ২ শতাংশ কমে হয়েছিল ৮৮২ টাকা। একদিন বাদে তৃতীয় দিনে লেনদেন আরও কমে হয়েছে ৮৪৭ টাকা ২০ পয়সা।

ফ্লোর উঠানোর আগে বৃহস্পতিবার লেনদেন ছিল আটটি। রোববার বেড়ে হয়েছে ২১টি। মঙ্গলবার লেনদেন বেড়ে হয়েছে ৮১৭টির।

মুন্নু অ্যাগ্রোর দর ফ্লোর প্রাইস ৭৯৪ টাকা ৮০ পয়সা থেকে দুই শতাংশ কমে হয় ৭৭৮ টাকা ৯০ পয়সা। মঙ্গলবার লেনদেন আরও কমে হয়েছে ৭৪৮ টাকা ২০ পয়সা।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন কোনো শেয়ার হাতবদল না হলেও রোববার লেনদেন হয়েছিল ৩১টি। মঙ্গলবার লেনদেন বেড়ে হয়েছে ৬০টি।

নর্দার্ন জুট কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩২৪ টাকা ৯০ পয়সা। রোববার কোম্পানিটি দর হারায় ২ শতাংশ। এদিন ৩০৭টি শেয়ার হাতবদল হয় ৩১৮ দশমিক ৪০ পয়সায়। মঙ্গলবার শেয়ারদর ছিল ৩০৫ টাকা ৯০ পয়সা।

ফ্লোর উঠার দিন লেনদেন ছিল ১৮টি। মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৭৪৮টি।

ইস্টার্ন কেবলের ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৪০ টাকা ১০ পয়সা। ২ টাকা ৮০ পয়সা বা ২ শতাংশ কমে রোববার দাম ছিল ১৩৭ টাকা ৩০ পয়সা। মঙ্গলবার লেনদেন হয় ১৩২ টাকায়।

ফ্লোর ওঠার আগের দিন ১১৬টি শেয়ার হাতবদল হলেও রোববার হাতবদল হয় এক হাজার ৫৪৫টি। আর মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ২ হাজার ৯২১টি।

গত অর্থবছরে বিপুল পরিমাণ লোকসান দেয়া বাটা শুর ফ্লোর প্রাইস ৬৯৩ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছিল না বললেই চলে। ফ্লোর মুক্ত দিনে রোববার কোম্পানিটির ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমে দাম হয়েছিল ৬৭৯ দশমিক ৪০ পয়সা। মঙ্গলবার লেনদেন শেষে শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৬৫২ টাকা ৬০ পয়সা।

বৃহস্পতিবার হাতবদল হয়েছেল ৭৯৯টি। রোববার হয়েছে দুই হাজার ১৯৭টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ৩ হাজার ৭১৯টি।

ওয়াটা ক্যামিকেলের ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩০৬ টাকা ৮০ পয়সা। ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমে রোববার দাম হয় ৩০০ টাকা ৭০ পয়সা। মঙ্গলবার লেনদেন শেষে শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২৮৮ টাকা ৯০ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ১১৬টি শেয়ার হাতবদল হলেও রোববার লেনদেন বেড়ে হয়েছিল এক হাজার ৫৪৮টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ৬ হাজার ৭২টি।

অ্যাপেক্স স্পিনিংয়ের দর ১৩০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমে রোববার হয়েছিল ১২৩ টাকা ১০ পয়সা। ফ্লোরের শেষ দিন কোনো লেনদেন না হওয়া কোম্পানিটিরও জট খুলেছে।

রোববার দাম কমার পর হাতবদল হয় ৪০০টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ৮ হাজার ৭৬টি।

সিভিও পেট্রো কেমিক্যালের দাম ১১৫ টাকা ৪০ পয়সা থেকে রোববার ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমে হয়েছিল ১১৩ টাকা ১০ পয়সা। মঙ্গলবার লেনদেন শেষে শেয়ার দর দাঁড়ায় ১০৮ টাকা ৭০ পয়সা।

ফ্লোর প্রাইস ওঠার সিদ্ধান্তের দিন বৃহস্পতিবার মাত্র তিনটি শেয়ার হাতবদল হলেও ফ্লোর থেকে মুক্ত হওয়ার পর রোববার হাতবদল হয় ৪১১টি। মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ৪৮৪টি।

সোনালী পেপারের দাম ২৭৩ টাকা থেকে রোববার ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে হয়েছে ২৬৭ টাকা ৬০ পয়সা। মঙ্গলবার লেনদেন শেষে শেয়ার দর হয়েছে ২৫৭ টাকা ১০ পয়সা। বৃ্হস্পতিবার ২০টি শেয়ার হাতবদল হলেও রোববার হয়েছিল দুটি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ২১৪টি।

কে অ্যান্ড কে-এর দর ২০৭ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে রোববার হয়েছিল ২০৩ টাকা ৩০ পয়সা। মঙ্গলবার হয়েছে ১৯৫ টাকা ৪০ পয়সা।

বৃ্হস্পতিবার হাতবদল হয়েছিল ৮৬৯টি। রোববার হয়েছিল একটি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ২৪৩টি।

স্টাইলক্রাফটের দর ১৪৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে রোববার ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে হয়েছিল ১৪৩ টাকা ৩০ পয়সা। মঙ্গলবার লেনদেন হয় ১৩৭ টাকা ৮০ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ফ্লোর প্রাইসে ২ হাজার ৯৩টি শেয়ার লেনদেন হলেও রোববার হাতবদল হয় দ্বিগুণ। লেনদেন হয় চার হাজার ২৯২টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয় ১৯ হাজার ৯৬৫টি।

বিডিঅটোকারের দর ১৪৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে রোববার ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ কমে হয়ে ১৪৪ টাকা ৪০ পয়সা। মঙ্গলবার লেনদেন হয় ১৩৮ টাকা ৮০ পয়সা। ফ্লোর প্রাইসের শেষ দিন বৃহস্পতিবার তিনটি শেয়ার হাতবদল হলেও মুক্ত হওয়ার পর রোববার হাতবদল হয় ৩৩৫টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ৫৫৯টি।

সমতা লেদারের দর ফ্লোর প্রাইস ১০৬ টাকা ৯০ পয়সা থেকে রোববার ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ কমে হয়েছিল ১০৪ টাকা ৮০ পয়সা। মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ১০০ টাকা ৭০ পয়সায়।

বৃহস্পতিবার ফ্লোর প্রাইসে একটি শেয়ার লেনদেন হলেও রোববার হাতবদল হয় ১৭টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ১০৫টি।

আজিজ পাইপের দর ফ্লোর প্রাইস ৯৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে রোববার ১ দশমিক ৯৫ শতাংশ কমে হয়েছিল ৯৫ টাকা ৬০ পয়সা। মঙ্গলবার দর আরও কমে হয় ৯১ টাকা ৯০ পয়সা।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন বৃহস্পতিবার ৭১০ শেয়ার হাতবদল হলেও মুক্ত হওয়ার পর রোববার লেনদেন হয় ১ হাজার ৪৯৫টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ১১ হাজার ৩৫৯টি।

ন্যাশনাল টিউবের দর ১০৩ টাকা ১০ পয়সা থেকে রোববার ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমে হয়েছিল ১০১ টাকা ১০ পয়সা। মঙ্গলবার শেয়ার প্রতি দর আরও এক ধাপ কমে হয়েছে ৯৭ টাকা ২০ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ১৪১টি শেয়ার হাতবদল হলেও রোববার লেনদেন হয়েছিল ৭০৮টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ২ হাজার ৯৯টি।

ওরিয়ন ইনফিউশনের দর ৭২ টাকা ১০ পয়সা থেকে রোববার ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমে হয় ৭০ টাকা ৭০ পয়সা। মঙ্গলবার শেয়ার প্রতি দর ছিল ৬৮ টাকা।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন ১০ হাজার শেয়ার হাতবদল হলেও রোববার হাতবদল হয়েছিল দুই হাজার ৩৭৪টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ২ হাজার ৫০৬টি।

ন্যাশনাল পলিমারের দর ৫৬ টাকা ৬০ পয়সা থেকে রোববার ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমে হয়েছিল ৫৫ টাকা ৫০ পয়সা। মঙ্গলবার শেয়ার প্রতি দর ছিল ৫৩ টাকা ৪০ পয়সা।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন বৃহস্পতিবার হাতবদল হয় দুই লাখ ৫৩ হাজার ৩৫১টি। রোববার হাতবদল হয় ৩৮ হাজার ১০৯টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ৪ লাখ ৭২ হাজার ৮৩১টি।

এসকে ট্রিমসের দর ৬২ টাকা ২০ পয়সা থেকে রোববার ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ কমে হয়েছে ৬১ টাকা। মঙ্গলবার আরেক দফা শেয়ার দর কমে লেনদেন হয় ৫৮ টাকা ৬০ পয়সায়।

ফ্লোরের শেষ দিন বৃহস্পতিবার একটি শেয়ারও লেনদেন না হওয়া কোম্পানিটির রোববার ১৬টি শেয়ার হাতবদল হয়েছিল। মঙ্গলবার হাতবদল হয় ২২৭টি।

লিগ্যাসি ফুটওয়ারের দর ৬২ টাকা ৯০ পয়সা থেকে রোববার ১ দশমিক ৯১ শতাংশ কমে হয় ৬১ টাকা ৭০ পয়সা। মঙ্গলবার শেয়ার প্রতি দর ছিল ৫৯ টাকা ৩০ পয়সা।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন বৃহস্পতিবার এটিরও কোনো শেয়ার লেনদেন হয়নি। তবে রোববার হাতবদল হয়েছিল ৮ হাজার ১১৯টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ৫ হাজার ৬৬৫টি।

সি পার্লের দর ফ্লোর প্রাইস ৭৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে রোববার ১ দশমিক ৯০ শতাংশ কমে হয় ৭৭ টাকা ৭০ পয়সা। মঙ্গলবার শেয়ার প্রতি দর ছিল ৭৪ টাকা ৬০ পয়সা।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন বৃহস্পতিবার এটিরও কোনো শেয়ার লেনদেন হয়নি। রোববার হাতবদল হয়েছে ১১টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ৫টি।

হাক্কানি পাল্পের দর ফ্লোর প্রাইস ৭৪ টাকা থেকে রোববার ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ কমে হয় ৭২ টাকা ৬০ পয়সা। মঙ্গলবার দর ছিল ৬৮ টাকা ৮০ পয়সা।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন বৃহস্পতিবার এক হাজার ১০১টি শেয়ার হাতবদল হলেও রোববার লেনদেন হয়েছিল ২২টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ২৭৬টি।

কোহিনুর ক্যামিকেলের ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৭২ টাকা ৮০ পয়সা। এর দরও রোববার ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ কমে হয় ৪৬৩ টাকা ৪০ পয়সা। মঙ্গলবার দর ছিল ৪৪৫ টাকা ২০ পয়সা।

ফ্লোরে থাকার শেষ দিন কোনো লেনদেন না হওয়া কোম্পানিটির জট খুলেছে। রোববার ৫১৬টি শেয়ার হাতবদল হয়েছিল। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ৫২টি।

মুন্নু সিরামিকের দর ১২৬ টাকা ৮০ পয়সা থেকে রোববার ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ কমে হয় ১২৪ টাকা ৩০ পয়সা। মঙ্গলবার লেনদেন হয় ১১৯ টাকা ৫০ পয়সায়।

ফ্লোর প্রাইসের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ৭৪ শেয়ার হাতবদল হলেও মুক্ত হওয়ার পর রোববার হাতবদল হয়েছিল ১ হাজার ২৫১টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয় ১ হাজার ১৪৫টি।

স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের দর ৩০৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে রোববার হয় ৩০১ টাকা ৮০ পয়সা। মঙ্গলবার লেনদেন শেষে শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ২৮৯ টাকা ৯০ পয়সা।

বৃহস্পতিবার হাতবদল হয়েছিল ১২০টি শেয়ার, রোববার হাতবদল হয়েছে ৯২টি। মঙ্গলবার হাতবদল হয়েছে ১০৭টি।

আরও পড়ুন:
৩০ কোম্পানির ২৯টি দর হারাল ‘সর্বোচ্চ’
আরও ৩০ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার
সেই ৬৬ কোম্পানির শেয়ারে এখন বাড়তি ‍সুবিধা
আতঙ্ক থাকলেও ফ্লোর প্রত্যাহারের প্রভাব ইতিবাচক
পুঁজিবাজারে উঠে যাচ্ছে ফ্লোর প্রাইস

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
15 medicinal villages of Natore rich in 150 species of herbs

দেড়শ প্রজাতির ভেষজে সমৃদ্ধ নাটোরের ১৫ ‘ঔষুধি গ্রাম’

উৎপাদন হয় শত কোটির ভেষজ
দেড়শ প্রজাতির ভেষজে সমৃদ্ধ নাটোরের ১৫ ‘ঔষুধি গ্রাম’

দেশের একমাত্র ঔষধি পল্লী এখন নাটোরের ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। প্রায় দিনই দর্শনার্থীরা আসছেন এই পল্লীতে এবং মুগ্ধতা নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এই পল্লীতে বছরে শুধু অ্যালোভেরাই উৎপাদন হচ্ছে ১৫ হাজার টন। এছাড়া শিমুল মূল, অশ্বগন্ধাসহ উৎপাদন হচ্ছে ১৪০ ধরনের ভেষজ। উৎপাদিত এসব ভেষজের বাজার মূল্য অন্তত শত কোটি টাকা।

নাটোর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর-খোলাবাড়িয়া ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম জুড়ে এই ভেষজ পল্লীর অবস্থান। ইউনিয়নের প্রধান সড়কের প্রায় একই সমতলে থাকা ভেষজ পল্লী ছবির মতো সুন্দর।

জানা যায়, ১৯৯৫ সালের দিকে খোলাবাড়িয়া এলাকার আফাজ পাগলা তার কবিরাজি কাজে ব্যবহারের জন্য স্বউদ্যোগে ভেষজ উদ্ভিদের চাষাবাদ শুরু করেন। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে পুরো গ্রামে। শেষে সারা ইউনিয়ন জুড়ে। শুধু আবাদি জমিই নয়, গ্রামের প্রতিটি বাড়ির আনাচে-কানাচে, রাস্তার ধারে, নদীর পাড়ে চোখে পড়ে ভেষজ উদ্ভিদের রকমারি গাছ। তবে সব সৌন্দর্য ছাড়িয়ে অ্যালোভেরা গাছ সবচেয়ে দৃষ্টি নন্দন।

নাটোর সদর উপজেলা কৃষি অফিসের হিসাবে, লক্ষ্মীপুর-খোলাবাড়িয়াতে ১৪০ প্রকার ভেষজ উদ্ভিদ জন্মে। এর মধ্যে অ্যালোভেরা ছাড়াও শিমুল মূল, অশ্বগন্ধা, মিশ্রি দানা, বিটরুট, রোজেলা ও শতমূল প্রসিদ্ধ। ভেষজ উদ্ভিদের মোট ১৫৫ হেক্টর আবাদি জমির মধ্যে ৭০ হেক্টরে ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা চাষ হচ্ছে।

৫০ হেক্টর আবাদি জমি থেকে পাওয়া যাচ্ছে এক হাজার ২০০ টন শিমুল মূল। ১২ হেক্টরে বিটরুট এবং পাঁচ হেক্টর মিশ্রি দানার আবাদি জমি থেকে পাওয়া যাচ্ছে ৫০ টন করে ভেষজ। ১০ হেক্টর থেকে পাওয়া যাচ্ছে ১২ টন অশ্বগন্ধা। ইউনিয়নের দুই হাজার কৃষক ভেষজ উদ্ভিদ চাষের সঙ্গে জড়িত।

মূলত বর্ষার শেষে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে এক বিঘা জমিতে অ্যালোভেরার ১০ হাজার চারা রোপণ করা হয়। এই আবাদি জমি থেকে পরবর্তী দুই বছর অনায়াসে অ্যালোভেরার পাতা সংগ্রহ করা যায়।

সেচের ব্যবস্থা রেখে সারিবদ্ধ এসব গাছ থেকে রোপণের ৩ মাস পর থেকে পাতা সংগ্রহ শুরু হয়। চাষাবাদ, পরিচর্যা ও সেচের কাজে সারা বছর জমিতে ১০০ শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। জৈব সার ছাড়াও পরিমাণ মতো ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি, জিপসাম, দস্তা ও বোরিক এসিড প্রয়োজন হয়। পাতার কালো দাগ পড়া রোধে ব্যবহার হয় চুন।

পাতা ছিদ্রকারী মশাসহ অন্যান্য কীটপতঙ্গ দমনে সম্প্রতি ছত্রাক নাশক টাইকোডার্মা ও সেক্স ফেরোমেন ব্যবহারে সম্প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা। বিঘাপ্রতি অ্যালোভেরার গড় উৎপাদন প্রায় ৩০ টন।

উৎপাদিত ভেষজ উদ্ভিদ শুকিয়ে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে নানা রকম ভেষজ ওষুধ। এর বিপণন কাজ চলছে এলাকার ৪টি স্থানে গড়ে ওঠা প্রায় একশটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।

ভেষজ উৎপাদনকারী কৃষক, সমবায় নেতা ও কবিরাজ মো. জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘অ্যালোভেরা সংরক্ষণে একটি হিমাগার নির্মাণ ও সাবান-শ্যাম্পুসহ প্রসাধনী তৈরির কারখানা নির্মাণে উদ্যোক্তা খুঁজে বের করা হলে আমরা উপকৃত হব।

খোলাবাড়িয়া হাজীগঞ্জ বাজার ভেষজ উৎপাদন ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধীনে গ্রামে একটি ঔষধি উদ্ভিদ গবেষণা সেন্টার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এর ফলে আমাদের উৎপাদিত ভেষজ পণ্যের গুণাগুণ ও মান নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। পাশাপাশি প্রসাধন ও ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের আগমন ঘটবে। ফলে ভেষজ পল্লী আরও সমৃদ্ধ হবে।

নাটোর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নীলিমা জাহান বলেন, ভেষজ পল্লীর প্রায় ১০ হাজার মানুষ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বিপণন কিংবা কৃষি শ্রমের সঙ্গে জড়িত। ভেষজ পল্লীর পরিধি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নাটোর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. হাবিবুল ইসলাম খান বাসসকে বলেন, ভেষজ পল্লীতে হিমাগার, প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র, গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা সম্ভব হলে- কৃষকরা লাভবান হবেন। সমৃদ্ধ হবে দেশের একমাত্র এই ঔষধি পল্লী।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
13 projects of Tk 1 thousand 988 crore approved in Eknek meeting

১ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন

১ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টা এবং একনেক-এর চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক-এর সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: পিআইডি

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন এক হাজার ৮৮৫ কোটি সাত লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ৫৩ কোটি দুই লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫০ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা এবং একনেক-এর চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক-এর সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।

এর মধ্যে নতুন প্রকল্প ৩টি, সংশোধিত প্রকল্প ৭টি এবং ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ বৃদ্ধির ৩টি প্রকল্প রয়েছে।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ; আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল; স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী; শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ একনেক সভার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

আজকের সভায় অনুমোদিত ১৩টি প্রকল্পসমূহ হলো: কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রকল্প, ‘PRO-ACT Bangladesh-Resilience Strengthening through Agri-Food Szstems Transformation in Cox's Bazar’ প্রকল্প। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রকল্প ‘গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ (২য় পর্যায়) (প্রস্তাবিত ৩য় সংশোধন)’ প্রকল্প। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ৩টি প্রকল্প, (১) ‘খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (৩য় সংশোধন)’ (২) জামালপুর শহরের ‘নগর স্থাপত্যের পুনঃসংস্কার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উন্নয়ন প্রকল্প (৩য় সংশোধিন)’ এবং (৩) ‘গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ১ থেকে ৫ নম্বর জোনের অভ্যন্তরীণ রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ (৩য় সংশোধিত) প্রকল্প। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রকল্প ‘উত্তরা লেক উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রকল্প, ‘অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি ভবন নির্মাণ)’ প্রকল্প। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রকল্প, ‘কিশোরগঞ্জ (বিন্নাটি)-পাকুন্দিয়া-মির্জাপুর টোক জেলা মহাসড়ককে যথাযথ মানে উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প। শিল্প মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রকল্প, ‘বিএসটিআই’র পদার্থ (ফিজিক্যাল) ও রসায়ন (কেমিক্যাল) পরীক্ষণ ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন) প্রকল্প। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১টি ‘ঘোড়াশাল ৩য় ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্প’ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রকল্প ‘মানসিক হাসপাতাল, পাবনা-কে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রূপান্তর’ প্রকল্প।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ২টি প্রকল্প (১) ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেইটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (৪র্থ সংশোধিত) প্রকল্প (২) বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল লেভেল ক্রসিং গেটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন (৫ম সংশোধিত) প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।

সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা কর্তৃক ইতোমধ্যে অনুমোদিত ১২টি প্রকল্প সম্পর্কে একনেক সদস্যদের অবহিত করা হয়। সেগুলো হলো: ১. লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরের উন্নয়ন ও ই-ওয়েস্ট প্রক্রিয়াকরণের সুবিধাদি সৃষ্টি (২য় সংশোধিত) প্রকল্প ২. BGD e-Gov CIRT এর সক্ষমতা বৃদ্ধি (২য় সংশোধিত) প্রকল্প ৩. আশার আলো স্কুল ঢাকা (বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য) স্থাপন প্রকল্প ৪. টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, পিরোজপুর স্থাপন (২য় সংশোধিত) প্রকল্প ৫ বাংলাদেশ টেলিভিশনের দেশব্যাপী ডিজিটাল টেরিস্ট্রিয়াল সম্প্রচার প্রবর্তন (১ম পর্যায়) (২য় সংশোধিত) প্রকল্প ৬. ভবদহ ও তৎসংলগ্ন বিল এলাকার জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসনের মাধ্যমে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ ৭. গভীর সমুদ্রে টুনা ও সমজাতীয় পেলাজিক মাছ আহরণে পাইলট প্রকল্প (২য় সংশোধিত) ৮. মিঠাপানির মাছের মড়ক প্রতিরোধে ভ্যাকসিন উদ্ভাবন প্রকল্প ৯. ফেনী জেলার সদর উপজেলাধীন কাটামোবারকঘোনা চরকালিদাস সড়কে ফেনী নদীর উপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প ১০. সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ১১. শেখ হাসিনা নকশিপল্লী জামালপুর পর্যায় (১ম সংশোধিত) প্রকল্প। ১২. তাঁতিদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে চলতি মূলধন সরবরাহ ও তাঁতের আধুনিকায়ন (২য় সংশোধিত)।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Rise is now an AI powered digital hub for youth

তরুণদের জন্য রাইজ এখন এআই–চালিত ডিজিটাল হাব

তরুণদের জন্য রাইজ এখন এআই–চালিত ডিজিটাল হাব

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড রাইজ দ্রুতই বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের পছন্দের এআই হাবে পরিণত হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্ল্যাটফর্মটি তরুণদের শেখা, সৃষ্টি ও আত্মপ্রকাশের নতুন দিগন্তে উন্মোচিত করেছে। গত বছর বাংলালিংক চালু করা এই প্ল্যাটফর্মটি অল্প সময়ের মধ্যেই তরুণদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও প্রাণবন্ত ডিজিটাল সহযাত্রীতে পরিণত হয়েছে, যেখানে প্রযুক্তি শুধুই একটি মাধ্যম নয়, বরং স্বপ্নপূরণের সঙ্গী।

প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যতের জন্য তরুণদের প্রস্তুত করে তুলতে নিজেদের লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন টুলস নিয়ে এসেছে ডিজিটাল লাইফস্টাইল প্যাক রাইজ। রাইজের এআই টুলসের মাধ্যমে কথা বলার দক্ষতা থেকে শুরু করে চাকরির উপযোগী সিভি তৈরি করতে পারছেন তরুণেরা। ক্রমবর্ধমান সক্রিয় ব্যবহারকারী নিয়ে রাইজের যাত্রা বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শুধু বাড়তি সুবিধাই নয়, পাশাপাশি সৃজনশীল সহযোগী হিসেবে তরুণ প্রজন্মের ক্ষমতায়নে ও নিজেদের স্বনির্ভর আত্মপ্রকাশে ভূমিকা রাখছে।

সম্প্রতি, চালু করা রাইজের ফিচারগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ভোকালাইজ, যা দেশের প্রথম এআই স্পিকিং কোচ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এটি ব্যবহারকারীদের উচ্চারণ ও টোন আরও পরিশীলিত করতে সহায়তা করছে, ফলে তারা সাক্ষাৎকার, ক্লাস বা উপস্থাপনার আগে আরও আত্মবিশ্বাসীভাবে প্রস্তুত হতে পারছেন।

অন্যদিকে, রাইজের সিভি-রাইজার ফিচার ব্যবহারকারীদের কয়েক মিনিটের মধ্যে সিভি তৈরিতে সাহায্য করছে। অ্যাভাটারাইজ ফিচার ব্যবহারকারীর ব্যক্তিত্ব ও স্টাইল অনুযায়ী ডিজিটাল অ্যাভাটার তৈরি করে দিচ্ছে। রাইজের এ সকল এআই টুলস একসাথে লক্ষাধিক ব্যবহারকারীকে নিজেদের প্রকাশে এবং অনলাইনে তাদের পেশাদার উপস্থিতি তৈরিতে ভূমিকা রাখছে।

তরুণদের দক্ষতার মানোন্নয়নেও ভূমিকা রাখছে রাইজ। রাইজ সামারাইজ, গ্রামারাইজ ও রিউরাইজের মত টুলসের মাধ্যমে পড়াশোনা ও লেখার কাজকে যেমন দ্রুত ও সহজ করছে, তেমনি শিক্ষার্থীদের সময় বাঁচিয়ে কাজের মান উন্নত করতে সহায়তা করছে।

বাংলালিংকের চিফ ডিজিটাল অফিসার গোলাম কিবরিয়া বলেন, “বাংলাদেশের তরুণেরা শুধু কানেক্টিভিটিই নয়, বরং এমন সুযোগ ও টুলের দাবিদার, যা তাদের বড় স্বপ্ন দেখতে, সাহসের সাথে এগিয়ে যেতে এবং বর্তমানের ডিজিটাল যুগে নিজেদের সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে অনুপ্রাণিত করবে।” তিনি আরও বলেন, “রাইজের মাধ্যমে আমরা প্রযুক্তিগত সেবাদানের বাইরে গিয়ে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছি, যার মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তরুণদের শেখা, সৃষ্টি ও আত্মবিশ্বাসের সাথে নিজেদের প্রকাশে সহায়তা করবে। রাইজ মূলত একটি প্রজন্মকে নতুন উচ্চতায় পোঁছাতে অনুপ্রাণিত করছে। কারণ, আমরা জানি, যখন তরুণরা উঠে দাঁড়ায়, তখন গোটা দেশ এগিয়ে যায়।”

রাইজের লক্ষ্য তরুণদের দৈনন্দিন জীবনে এআই প্রযুক্তিনির্ভর ফিচার যুক্ত করার মাধ্যমে তাদের সম্ভাবনা উন্মোচনে ভূমিকা রাখা। যে কারণে টেলিকো-নিরপেক্ষ ডিজিটাল অ্যাপ হিসেবে যাত্রা শুরু করে রাইজ এবং ব্যবহারকারীরা যেকোন নেটওয়ার্কেই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Fresh Ananya and Department of Women and Gender Studies organized a program to promote menstrual hygiene awareness in Dhaka University campus

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন সচেতনতা এগিয়ে নিতে কর্মসূচি পালন করল ফ্রেশ অনন্যা এবং ডিপার্টমেন্ট অব উওমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন সচেতনতা এগিয়ে নিতে কর্মসূচি পালন করল ফ্রেশ অনন্যা এবং ডিপার্টমেন্ট অব উওমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)-এর জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ‘ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন’ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব উওমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ (ডব্লিউজিএস) ক্যাম্পাসে জ্ঞান চর্চা এবং সামাজিক পরিবর্তন নিয়ে আসতে যৌথভাবে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন সম্পর্কে সচেতনতা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফ্রেশ অনন্যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করেছে। সেইসাথে ফ্রেশ অনন্যা এবং ডিপার্টমেন্ট অব উওমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ যৌথভাবে ক্যাম্পাসের প্রফেসর মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে ‘মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন অ্যান্ড হেলথ অ্যাওয়েরনেস প্রোগ্রাম’ শীর্ষক একটি সেমিনার আয়োজন করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন সচেতনতা এগিয়ে নিতে কর্মসূচি পালন করল ফ্রেশ অনন্যা এবং ডিপার্টমেন্ট অব উওমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ
যৌথ উদ্যোগটি দেশের সবচেয়ে অগ্রণী বিদ্যাপীঠ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকাকে এবং মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন-এর মতো সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ডিপার্টমেন্ট অব উওমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ-এর উদার মনোভাবকে তুলে ধরে। এ ধরনের আয়োজন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও এর ইতিবাচক প্রভাব ছড়িয়ে দিবে। সেমিনারে ডিপার্টমেন্ট অব উওমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ-এর চেয়ারপারসন ও এসোসিয়েট প্রফেসর ড. সাবিহা ইয়াসমিন রোজি এবং প্রফেসর ড. সানজিদা আখতার উল্লেখ করেন যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অগ্রগতি আসলেও, নারীস্বাস্থ্য নিশ্চিতে মেনস্ট্রুয়েশন-এর মতো একটি সম্পূর্ণ বায়োলজিক্যাল বিষয়কে এখনও প্রতিবন্ধক হিসেবে দেখা হয়। তারা ফ্রেশ অনন্যা-কে এরকম একটি চিন্তাশীল এবং বাস্তবধর্মী বিষয়ে এগিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদের মাননীয় ডিন প্রফেসর ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান তার বক্তব্যে নারীদের জন্য একটি নিরাপদ ও উম্মুক্ত সমাজের আশাবাদ ব্যক্ত করেন, যেখানে মেনস্ট্রুয়েশন-এর মতো ‘সম্পূর্ণ স্বাভাবিক’ একটি বিষয়ে তারা আরও আত্মবিশ্বাসী হতে পারবে। সমাজ গঠনে নারীরা উপহারস্বরূপ এবং তাদের ভূমিকা অপরিসীম বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়াও তিনি আরও সুদৃঢ় পারিবারিক বন্ধন গড়ে তুলতে এবং বাবা-মেয়ে, ভাই-বোনদের মধ্যে জড়তা কাটিয়ে খোলাখুলি কথা বলার জন্য আহবান জানান, যেন পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সম্মানবোধ বৃদ্ধি পেয়ে সকল প্রতিবন্ধকতা কেটে যায়।
ফ্রেশ অনন্যা নিয়ে আসার পেছনে দুইটি মূল উদ্দেশ্য হিসেবে, বিশেষ করে নারীস্বাস্থ্য নিশ্চিতের মাধ্যমে প্রাত্যহিক জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য এবং সামাজিকভাবে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার কথা উল্লেখ করেন এমজিআই ডিরেক্টর ব্যারিস্টার তাসনিম মোস্তফা। এই সব পরিবর্তন একটি ব্র্যান্ড-এর একার পক্ষে সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান, সিস্টেম এবং সাংস্কৃতিকভাবে সবাইকে একসাথে আরও বিবর্ধিত হওয়ার কথা বলেন তিনি। ফ্রেশ অনন্যা থেকে আরও বড় পরিসরে কর্মসূচি গ্রহণের পাশাপাশি নারীদের জন্য প্রয়োজনীয় ও সহজলভ্য পণ্য নিয়ে আসার কথাও তিনি জানান।
সেমিনারে অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে ছিল ড. তাজকিয়াতুল ইসলাম মহুয়া-এর মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন সেশন এবং ড. রুবাইয়াত ফেরদৌস-এর মেন্টাল হেলথ সেশন। এরপর প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে নারী শিক্ষার্থীদের সৌজন্য উপহার হিসেবে স্যানিটারি ন্যাপকিন দেওয়া হয়। এছাড়াও আমন্ত্রিত শিক্ষার্থীদের জন্য মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন-এর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে নারীস্বাস্থ্য সচেতনতা নিশ্চিতে বাস্তবধর্মী প্রস্তাবনা তুলে ধরতে একটি রচনা-লিখন কর্মসূচির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।
২০২৫ সালে ‘রিপ্রোডাকটিভ হেলথ জার্নাল’-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের মাত্র ২৮.৬% কিশোরী যথাযথ মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন মেনে চলে। তাদের জন্য তাই এখন থেকেই সামাজিক সচেতনতা, সহজলভ্যতা নিশ্চিতে বিভিন্ন যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।
ফ্রেশ অনন্যা-ই বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র স্যানিটারি ন্যাপকিন, যাতে রয়েছে ডাবল লেয়ারড অ্যাডভান্সড অ্যাবজর্পশন টেকনোলজি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে পার্টনারশিপ, সচেতনতার ক্ষেত্রে নানান আয়োজন এবং ক্যাম্পাস-এ ভেন্ডিং মেশিন স্থাপনের মতো নানামুখী কর্মসূচির মাধ্যমে ফ্রেশ অনন্যা নারীর ক্ষমতায়ন এবং পিরিয়ড-স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আলোচনা স্বাভাবিক করে তুলতে দেশজুড়ে কাজ করে যাবে, যেন কোন নারীই স্কুল অথবা কাজের ক্ষেত্রে কোন সুযোগ গ্রহণে পিছিয়ে না পড়ে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Training of 65 women entrepreneurs under the initiative of BRAC Bank and Global Entrepreneurship Network

ব্র্যাক ব্যাংক ও গ্লোবাল অন্ট্রপ্রেনারশিপ নেটওয়ার্কের উদ্যোগে ৬৫ জন নারী উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ

ব্র্যাক ব্যাংক ও গ্লোবাল অন্ট্রপ্রেনারশিপ নেটওয়ার্কের উদ্যোগে ৬৫ জন নারী উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ

দেশের নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে গ্লোবাল অন্ট্রপ্রেনারশিপ নেটওয়ার্ক (জিইএন) বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় দুই দিনব্যাপী একটি মাস্টারক্লাস দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
গেটস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় আয়োজিত এই ‘উদ্যোগTARA গ্লোবাল এজ ২০২৫’ শীর্ষক মাস্টারক্লাসের লক্ষ্য ছিল দেশের নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক জ্ঞান, সক্ষমতা ও বৈশ্বিক পরিমণ্ডল সম্পর্কে জানাশোনা বৃদ্ধি করা, যাতে তাঁরা বাস্তবমুখী দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে টেকসই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা করতে পারেন।
২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এই বিশেষ প্রশিক্ষণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ৬৫ জন সম্ভাবনাময় নারী উদ্যোক্তা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জিইএন বাংলাদেশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে. এম. হাসান রিপন এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কর্মকর্তারা এমন উদ্যোগের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ ও আন্তঃদেশীয় সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এই মাস্টারক্লাস পরিচালনা করেন নেদারল্যান্ডসের প্রখ্যাত বিজনেস কোচ মিক ওয়ালভিশ। ব্যবসায়িক লক্ষ্যকে কীভাবে টেকসই উন্নয়নে রূপ দেওয়া যায়, সেই বিষয়ে তিনি অংশগ্রহণকারী নারী উদ্যোক্তাদের দিকনির্দেশনা দেন। ইন্টারেকটিভ সেশন ও বাস্তবমুখী অনুশীলনের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী নারী উদ্যোক্তারা নেতৃত্ব, আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে জ্ঞানার্জন করেন, যা তাঁদের বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায়িক পরিবেশে সফল হতে সহায়তা করবে। প্রশিক্ষণার্থীরা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের কাছ থেকে মূল্যবান দিকনির্দেশনা, পরামর্শ ও ক্রস-লার্নিংয়ের সুযোগ পেয়েছেন। পাশাপাশি এই সেশনটি নারী উদ্যোক্তাদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে।
নারী নেতৃত্বাধীন উদ্যোগকে প্রশিক্ষণ, অর্থায়ন ও কৌশলগত সহায়তা দিয়ে এগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে দেশে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই ও কার্যকর উদ্যোক্তা সংস্কৃতি গড়ে তুলতে ব্র্যাক ব্যাংক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ৯৭টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Kolkata Stock Exchange is closing after hundred years of trading

শত বছরের লেনদেন শেষে বন্ধ হচ্ছে কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ

শত বছরের লেনদেন শেষে বন্ধ হচ্ছে কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ

ভারতের প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর অন্যতম ‘কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ’ (CSE) এক শতকেরও বেশি সময় পর আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কার্যক্রম বন্ধের পথে। এক দশকের বেশি সময় ধরে চলা আইনি জটিলতা শেষে সোমবার সিএসই শেষ দীপাবলি ও কালীপূজা উদযাপনের করেছে।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে ভারতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি (SEBI) সিএসই-র বিরুদ্ধে নিয়ম না মানার অভিযোগে শেয়ার লেনদেন স্থগিত করে। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সিএসই বোর্ড আদালত থেকে মামলা প্রত্যাহার করে স্বেচ্ছা প্রস্থান প্রক্রিয়া শুরু করে। চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল শেয়ারহোল্ডারদের জরুরি সাধারণ সভায় প্রস্থান অনুমোদিত হয়।

চেয়ারম্যান দীপঙ্কর বোস জানান, ‘আমরা সেবির কাছে প্রস্থান অনুমোদনের জন্য আবেদন জমা দিয়েছি। বর্তমানে সম্পদের মূল্যায়ন চলছে।’

সেবি রাজবংশী অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস নামের একটি সংস্থাকে সম্পদের মূল্যায়নের দায়িত্ব দিয়েছে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সিএসই হোল্ডিং কোম্পানি হিসেবে কাজ চালাবে, এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিএসই ক্যাপিটাল মার্কেটস প্রাইভেট লিমিটেড (CCMPL) বিএসই ও এনএসইতে ব্রোকারেজ কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।

১৯০৮ সালে যাত্রা শুরু করা সিএসই এক সময় বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। বিশেষত ছোট ও মাঝারি শিল্পের শেয়ার লেনদেনের ক্ষেত্রে এটি ছিল অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। কিন্তু ১২০ কোটি টাকার কেতন পারেখ কেলেঙ্কারির পর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ভেঙে পড়ে এবং এক্সচেঞ্জের অবনতি শুরু হয়।

স্টকব্রোকার সিদ্ধার্থ থিরানি স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে মা লক্ষ্মীর পূজা দিয়ে আমরা ট্রেডিং শুরু করতাম। ২০১৩ সালে সেবি লেনদেন স্থগিত করলে সব থেমে যায়। এবারের দীপাবলি যেন সেই ঐতিহ্যের শেষ প্রহর।’

সিএসই কর্তৃপক্ষ কর্মীদের জন্য স্বেচ্ছা অবসর ঘোষণা করে, যেখানে ২০ দশমিক ৯৫ কোটি রুপি এককালীন প্রদানের ব্যবস্থা করা হয় এবং বছরে প্রায় ১০ কোটি রুপি সাশ্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সমস্ত কর্মী এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিলেও কিছুজনকে নিয়ন্ত্রক কার্যক্রমের জন্য চুক্তিভিত্তিক রাখা হয়েছে।

২০২৪–২৫ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে চেয়ারম্যান বোস বলেন, ‘এসই ভারতের মূলধন বাজারে এক সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’ বর্তমানে এখানে ১ হাজার ৭৪৯টি তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও ৬৫০ জন নিবন্ধিত সদস্য রয়েছে।

সিএসইর তিন একর জমি সৃজন গ্রুপের কাছে ২৫৩ কোটি টাকায় বিক্রি করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে, যা সেবির অনুমোদনের পর কার্যকর হবে।

এই বছরের দীপাবলি সিএসইর জন্য শুধুই আলোর উৎসব নয়, বরং একটি যুগের অবসান ছিল। ৯০ দশকের জমজমাট ট্রেডিং ফ্লোরের স্মৃতিকে বিদায় জানাতে এবার প্রস্তুতি নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। আগামী সপ্তাহে এক্সচেঞ্জ চত্বরে আয়োজন করা হবে প্রতীকী পূজা ও বিদায় অনুষ্ঠান।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
International exhibition of construction housing industry starts on November 13

নির্মাণ-আবাসন শিল্পের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী শুরু ১৩ নভেম্বর

নির্মাণ-আবাসন শিল্পের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী শুরু ১৩ নভেম্বর

নির্মাণ, আবাসন, পানি ও বিদ্যুৎ খাতকে কেন্দ্র করে ঢাকায় শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। এই প্রদর্শনী আগামী ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আয়োজন করা হয়েছে। এটি দেশের সবচেয়ে বৃহৎ শিল্প-বাণিজ্যিক প্রদর্শনী।

এবারের আয়োজনে থাকছে, ‘৩০তম বিল্ড সিরিজ অব এক্সিবিশন্স’, ‘২৭তম পাওয়ার সিরিজ অব এক্সিবিশন্স’ এবং ‘৭ম ওয়াটার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী’-২০২৫।

কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ)-এর আয়োজনে টানা ২৯ বছরের ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠেয় এই প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

সোমবার রাজধানীর সেমস বাংলাদেশের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট ও গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন. ইসলাম, গ্রুপ সিইও এস. এস. সারওয়ার, নির্বাহী পরিচালক তানভীর কামরুল ইসলাম এবং পরিচালক অভিষেক দাস।

আন্তর্জাতিক এই প্রদর্শনীতে ২০টিরও বেশি দেশের ২০০টিরও বেশি কোম্পানি অংশ নেবে। ৫০০ এরও বেশি বুথ ও আন্তর্জাতিক প্যাভিলিয়নসহ আয়োজিত এই মেলায় ৩৫ হাজারের বেশি ব্যবসায়ী ও দর্শনার্থীর উপস্থিতি প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন, এসিআই, রহিম আফরোজ, ওমেরা ও এসএসজি তাদের সর্বশেষ প্রযুক্তি, পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।

এছাড়া একই সময়ে অনুষ্ঠেয় ২২তম সোলার বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০২৫এর নলেজ পার্টনার হিসেবে থাকছে জার্মান উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জিআইজেড বাংলাদেশ। সেমস-গ্লোবাল ও জিআইজেড বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে ১৫ নভেম্বর আইসিসিবির ৫ নম্বর পুষ্পাঞ্জলি হলে হবে দিনব্যাপী সম্মেলন ‘শেপিং টুমরো’স এনার্জি ওয়ার্কফোর্স।

প্রদর্শনীর ভ্রমণ, কুরিয়ার ও কার্গো পার্টনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে বেঙ্গল এয়ারলিফট লিমিটেড।

এছাড়া প্রদর্শনীর পাশাপাশি চারটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা নির্মাণ, আবাসন, জ্বালানি ও পানি খাতের বৈশ্বিক প্রবণতা, উদ্ভাবন ও টেকসই উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করবেন।

এই আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্মাণ, জ্বালানি ও পানি খাতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংযোগ আরও জোরদার হবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন।

মন্তব্য

p
উপরে