× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
মাথাপিছু আয় ভারতের বেশি হলে গরিবের ভাতা কম কেন
google_news print-icon

মাথাপিছু আয় ভারতের চেয়ে বেশি হলে গরিবের ভাতা কম কেন

মাথাপিছু-আয়-ভারতের-চেয়ে-বেশি-হলে-গরিবের-ভাতা-কম-কেন
আগামী অর্থবছরে এক কোটি মানুষের চেয়ে বেশি মানুষকে ভাতা দেয়ার পরিকল্পনা করছেন অর্থমন্ত্রী। ছবি: নিউজবাংলা
ভারতে ৬০ থেকে ৭৯ বছর বয়স্কদের ভাতা ৬০০ রুপি, যা বাংলাদেশি টাকায় ৭২০ টাকার মতো। সে দেশে ৮০ বছরের ওপরে বয়স্করা ১২০০ রুপি ভাতা পান। কিন্তু বাংলাদেশে এটি মাসে ৫০০ টাকা।

বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ভারতের চেয়ে বেশি হলে দরিদ্র মানুষের ভাতা কেন সে দেশের চেয়ে কম- এমন প্রশ্ন তোলা হয়েছে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে।

করোনাকালে দেয়া বাজেটে সরকার এক কোটির বেশি মানুষকে ভাতার আওতায় আনার যে পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে, তা পর্যাপ্ত নয় বলছে তারা।

প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে বাজেট পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, মাসে ৫০০ টাকা বরাদ্দ বাড়ানো উচিত। কারণ, মাথাপিছু আয়ে পিছিয়ে থাকা ভারত তার দেশের গরিবদের এর চেয়ে বেশি হারে ভাতা দেয়।

গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ৬ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন। ওই বাজেটের ওপর প্রতিক্রিয়া জানাতে রোববার 'জাতীয় বাজেট ২০২১-২২: পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কী আছে’ শীর্ষক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে ব্রিফিংয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী, সিপিডির বিশেষ ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম অংশ নেন।

উপকারভোগী, ভাতা- দুটোই বাড়ানোর পরামর্শ

এতে মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘করোনা বিবেচনায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ভালো বাজেট হয়নি। বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বারবার দাবি তোলা হলেও করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত, নতুন দরিদ্র, ভোক্তা ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর এমনকি এলাকাসহ উপকূলীয় এলাকা ও চর এলাকার মানুষরা এ বাজেট জায়গা পায়নি।

তিনি বলেন, 'সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির মধ্যে পেনশন, ছাত্রবৃত্তি, নিয়মিত খাদ্যসহায়তা হিসাব করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এখানে বাজারে প্রায় ১৮ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে, তবে পেনশন বাদ দিলে তা দাঁড়ায় ১৪ শতাংশের মতো। সেই হিসাবে করোনাকালীন সময়ের বিবেচনায় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়ানো হয়নি। যতটুকু বেড়েছে তা পেনশন খাতে, অন্য খাতে তেমন বাড়েনি।’

মাথাপিছু আয় ভারতের চেয়ে বেশি হলে গরিবের ভাতা কম কেন
এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ-এর ভার্চুয়াল বাজেট মূল্যায়নে বক্তারা

তথ্য-উপাত্ত না থাকার কারণে করোনার কারণে নতুন করে দারিদ্র্যসীমায় নেমে যাওয়া মানুষদের পরিসংখ্যান বাজেটে আসেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ থাকা দরকার ছিল।’

বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ভারতের চেয়ে বেশি হলেও দরিদ্রদের ভাতা সে দেশের চেয়ে কম কেন, সে প্রশ্ন রাখেন দেবপ্রিয়।

তিনি জানান, ভারতে ৬০ থেকে ৭৯ বছর বয়স্কদের ভাতা ৬০০ রুপি, যা বাংলাদেশি টাকায় ৭২০ টাকার মতো। সে দেশে ৮০ বছরের ওপরে বয়স্করা ১২০০ রুপি ভাতা পান। কিন্তু বাংলাদেশে এটি মাসে ৫০০ টাকা।

তিনি বলেন, ‘আমাদের চেয়ে তাদের মাথাপিছু আয় অনেক কম। তাহলে আমাদের মাথাপিছু আয় বেশি হলেও আমরা কেন ভারতের দরিদ্রদের চেয়ে কম ভাতা পাব? এই মাথাপিছু আয় বা বাড়ার সুফলটা কাদের ভাগে যাচ্ছে, প্রশ্ন উঠতেই পারে।’

বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এখন ২ হাজার ২২৭ ডলার। আর ভারতের আয় ১ হাজার ৯৪৭ ডলার।

তথ্য পরিসংখ্যান নিয়ে সংশয়

দেবপ্রিয় বলেন, যদি জাতীয় আয় বেশি করে দেখানো হয়, যা সঠিক হয়নি। তাহলে ভবিষ্যতে যখন দেশ এলডিসি থেকে বের হবে, তখন অনেক সমস্যায় পড়তে হবে।

তবে সত্যিকারে জাতীয় আয় বেশি হলে তা ভালো খবর বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আগের বছর ৫৩ লাখ মানুষ বিদেশে গেলেও এবার গেছে মাত্র দুই লাখ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাহলে কীভাবে গত বছরের চেয়ে এ অর্থবছর ভালো হতে পারে?’

অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, গত বছরের চেয়ে এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে। ৫ দশমিক ২ শতাংশ থেকে বেড়ে হবে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ।

দেবপ্রিয় বলেন, ‘দেশের সামষ্টিক বিনিয়োগ বাড়বে, এমনকি ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ, সরকারি বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়বে, তা কীভাবে সম্ভব?’

বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপের সমালোচনা

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ শতাংশ কর আরোপের যে ঘোষণা অর্থমন্ত্রী দিয়েছেন, সেটি উচিত হয়নি বলেও মনে করেন তিনি। বলেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠান নিজেরা কর দেয় না। অন্যদের কাছ থেকেই আদায় করে। এই কর শিক্ষার্থীদের ওপর বর্তাবে না, তার নিশ্চয়তা কে দেবে?’

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, ‘করোনায় যারা পিছিয়ে পড়েছে, সেই শিক্ষার্থীদের জন্য কী দিল সরকার? চার কোটি শিক্ষার্থী, তাদের পরিবার, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষসহ দেশের অর্ধেকের বেশি মানুষ এর সঙ্গে সম্পৃক্ত। যেসব শিক্ষক এখন কঠিন আর্থিক সংকটে রয়েছেন, তারা যদি শিক্ষা পেশা ছেড়ে চলে যান, তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও পাঠদান করবে কারা?’

তিনি বলেন, ‘বাজেট ব্যবসাবান্ধব হতে পারে, তাতে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু এটা শিক্ষাবান্ধব নয়। শিক্ষাক্ষেত্রের এই প্রজন্মের যে বিপর্যয় ঘটেছ, তার জন্য কিছুই নেই। আশা করি, সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারবে।’

সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘করোনা মাথায় রেখে নগদ সহায়তাভোগীর সংখ্যা আরও বাড়ানো প্রয়োজন ছিল। এমনকি তা আরও বেশিবার দেয়া এবং সহায়তা পরিমাণ বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল।’

নতুন করে যারা দারিদ্র্যসীমায় ঢুকেছেন, তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করারও তাগিদ দেন তিনি।

স্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞ মুশতাক রাজা চৌধুরী বলেন, করোনার ব্যাপারে সরকারের আগ্রহ থাকলেও পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। আগামী বছরের জুনের মধ্যেই সবার জন্য টিকার ব্যবস্থা করা আবশ্যক হলেও বাজেটে অর্থমন্ত্রীর যে পরিকল্পনা নিয়েছেন, সেই হিসাব করলে আরো পাঁচ বছর লাগবে।

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগের বড় অংশ অপচয় হয়। শ্রীলঙ্কা আমাদের চেয়ে চার গুণ বিনিয়োগ করে। আমরা জানি না কেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাদের টাকা খরচ করতে পারে না।’

প্রস্তাবিত বাজেটে সম্পদের ওপর সারচার্জ বাড়ানোকে সমর্থন করেছে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম। তারা বলছে, কোনো দেশে ব্যক্তির ওপর কর বসিয়ে বৈষম্য কমানো যায় না, কিন্তু ধনীদের সম্পদের ওপর কর বসিয়ে বৈষম্য কমানো যায়।’

আরও পড়ুন:
মাথাপিছু আয়ে ভারতকে ছাড়াল বাংলাদেশ
মাসে মাথাপিছু আয় এখন সাড়ে ১৫ হাজার টাকা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

হিমাগারে আলু সংরক্ষণে ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ 

হিমাগারে আলু সংরক্ষণে ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ 

জয়পুরহাটে কালাইয়ে হিমাগারে আলু সংরক্ষণের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন শেষে ঘণ্টাব্যাপী জয়পুরহাট-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন কৃষকরা। জেলার ২১টি হিমাগারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩টি হিমাগার এ উপজেলায় অবস্থিত। এমনিতেই আলুর দাম না থাকায় বেকায়দায় পড়েছেন কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীরা। গতকাল রোববার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কালাই পৌরশহরে অবস্থিত আর.বি কোল্ড স্টোরেজের সামনে আলু চাষি ও আলু ব্যবসায়ীদের ব্যানারে মানববন্ধন শেষে সড়ক অবরোধ করে সড়কে বসে পড়েন কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীরা। এ সময় সড়কের দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। পরবর্তীতে থানার ওসি ও ইউএনও এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন তারা। কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হিমাগারগুলোতে আলু বিক্রির মৌসুম পুরোদমে শুরু না হতেই ভাড়া বাড়ানো এবং বাজার অস্থিরতায় জেলার অনেক কৃষক ও ব্যবসায়ী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

কৃষক শাহাদুল ইসলাম ও আব্দুল রশিদ বলেন, এবার ৫০০ বস্তা আলু সংরক্ষণ করেছি আর.বি কোল্ড স্টোরে। ভাড়া নেওয়া হচ্ছে প্রতি বস্তা ৪৩০ টাকা। অথচ মৌসুমের শুরুতে প্রশাসনের চাপে ৩৫০ টাকা নির্ধারিত হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, পার্শ্ববর্তী বগুড়ার হিমাগারগুলোতে প্রতি বস্তা আলু সংরক্ষণের ভাড়া প্রতি বস্তা ৩৫০-৩৬০ টাকা।

কালাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অরুণ চন্দ্র রায় দৈনিক বাংলাকে বলেন, হিমাগারগুলো যে ভাড়া বাড়িয়েছেন তা অযৌক্তিক। মৌসুমের শুরুতে হিমাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিটিং করে গত বছরের ভাড়া পুনর্বহাল করার কথা বলা হয়েছিল এবং সবাই তা মেনেও নিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে হিমাগারগুলো অতিরিক্ত ভাড়া বেশি নেওয়া কাম্য নয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কালাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান দৈনিক বাংলাকে বলেন, এখন হিমাগার থেকে আলু বাহির করার মৌসুম চলছে। আমরা ইতোমধ্যে জানতে পারি আর. বি কোল্ড স্টোরেজে আলু সংরক্ষণের যে ভাড়া তা থেকে বেশি নেওয়া হচ্ছে। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হিমাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দুই দফা বসা হয়েছে। গতক শনিবার দুপুরে বগুড়া-জয়পুরহাট কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের মিটিংয়ের পরে তারা সিদ্ধান্ত জানাতে চেয়েছিলেন কিন্তু তারা জানাননি।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Cases in the capital violation of traffic laws are 1220 

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে মামলা ১ হাজার ৯২০টি 

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে মামলা ১ হাজার ৯২০টি 

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ১ হাজার ৯২০টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়া অভিযানকালে ২৭৪টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

গতকাল রোববার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত শনিবার ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Imams contribution to the development of ideological values ​​is huge
ধর্ম উপদেষ্টা

আদর্শিক মূল্যবোধের বিকাশে ইমামদের অবদান বিশাল

আদর্শিক মূল্যবোধের বিকাশে ইমামদের অবদান বিশাল

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ইমামরা সমাজের অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি। নৈতিকতা ও আদর্শিক মূল্যবোধের বিকাশে তাদের অবদান বিশাল। জনগণের সঙ্গে তাদের সংযোগ সরাসরি। তারা সামাজিক শক্তির প্রতিভূ তাই তাদের সংগঠিত করা গেলে সমাজ পরিবর্তনের ধারাকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।

রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জাতীয় হিফজুল কোরআন ও সিরাত প্রতিযোগিতা এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামদের জাতীয় সম্মেলন ২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খালিদ হোসেন বলেন, ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার (২০০১) পর থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৬৩ হাজার ১৯৭ জন ইমাম ও মুয়াজ্জিনের মধ্যে সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ ও অনুদান হিসেবে ৩৭ কোটি ৯২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ কোটি টাকা উদ্যোক্তাদের ঋণ এবং ২০ কোটি ৯১ লাখ টাকা অফেরতযোগ্য এককালীন অনুদান দেওয়া হয়েছে। ২০২৪-২৫ সালে বিতরণ করা হয়েছে ৪ কোটি ১১ লাখ টাকা।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ইসলামের অপব্যাখ্যাকে রুখে দেওয়া, সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা এবং সমাজে শান্তি, সম্প্রীতি ও সহনশীলতা প্রতিষ্ঠার এখন গুরুত্বপূর্ণ সময়। আমরা চাই এক শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ- যেখানে মসজিদ হবে জ্ঞানের কেন্দ্র, ইমাম হবেন নেতৃত্বের দিশারী। প্রতি বছর আমাদের প্রতিযোগিরা আন্তর্জাতিক হিফজ ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতায় যে সাফল্য অর্জন করছে তা গোটা জাতির জন্য গর্বের বিষয়। এটি প্রমাণ করে-আমাদের সন্তানদের মধ্যে কোরআনের আলো জ্বলছে। এখন দরকার এই আলোর ব্যবস্থাপনা।

আর সেই কাজেই ইমামদের প্রশিক্ষণ, উৎসাহ ও অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক। সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খান।

এছাড়া অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক, ড.খলিলুর রহমান মাদানী, ওলামায়ে কেরাম, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা ও প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বাইতুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।

সম্মেলনে হিফজুল কোরআন ও সিরাত প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ী তিন গ্রুপের ৯ জন করে প্রতিযোগী এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে ৩ জন শ্রেষ্ঠ ইমাম, বিভাগীয় পর্যায়ে ২৪ জন, জেলা পর্যায়ে ১৯২ জন ইমাম এবং ৬৪ জন শ্রেষ্ঠ খামারি ইমামকে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার ২ লাখ টাকা, দ্বিতীয় দেড় লাখ, তৃতীয় ১ লাখ টাকা এবং সিরাত প্রতিযোগিতার প্রথম পুরস্কার ৫০ হাজার, দ্বিতীয় ৪৫ হাজার এবং তৃতীয় ৪০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। এছাড়া শ্রেষ্ঠ ইমাম ও খামারি ইমামদের ক্ষেত্রেও যথা নিয়মে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
On the second day 22 thousand expelled 12 thousand students teachers
এইচএসসি পরীক্ষা

দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ২২ হাজার, বহিষ্কার ৪২ শিক্ষার্থী-শিক্ষক

দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ২২ হাজার, বহিষ্কার ৪২ শিক্ষার্থী-শিক্ষক

২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে সারাদেশে অনুপস্থিত ছিলেন ২২ হাজার ৩৯১ (২২,৩৯১) জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার সময় নিয়মভঙ্গের দায়ে ৪১ শিক্ষার্থী ও ১ শিক্ষকসহ মোট ৪২ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

রোববার সকাল ১০টায় বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার মাধ্যমে দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা বোর্ডগুলোর পাঠানো পরীক্ষাসংক্রান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।

রোববার সারাদেশে মোট ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ৫১ হাজার। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১০ লাখ ৯৭ হাজার ৮৭৫ (১,০৯৭,৮৭৫) জন। অর্থাৎ, অনুপস্থিতির হার প্রায় ২ শতাংশের কাছাকাছি। সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে ঢাকা বোর্ডে। সেখানে উপস্থিতির হার বেশ ভালো হলেও অনুপস্থিত ছিল ৩,৬৫৫ জন এবং বহিষ্কৃত হয়েছে ৮ জন।

কুমিল্লা বোর্ডে অনুপস্থিতির হার তুলনামূলকভাবে বেশি ছিল—২ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এ বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ৮৬ হাজার ৯৮৯ জন, যার মধ্যে ২,৬৮২ জন অনুপস্থিত ছিল এবং ২ জনকে বহিষ্কার করা হয়। দিনাজপুর, রাজশাহী, সিলেট ও কুমিল্লা বোর্ডেও অনুপস্থিতির সংখ্যা ছিল তুলনামূলকভাবে বেশি। তবে চট্টগ্রাম ও যশোর বোর্ডে অনুপস্থিতির হার কিছুটা কম ছিল। এছাড়া ময়মনসিংহ বোর্ডে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৩ শিক্ষার্থীর সঙ্গে একজন শিক্ষককেও বহিষ্কার করা হয়েছে।

অন্যদিকে, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আরবি প্রথম পত্রের (সাধারণ ও বিজ্ঞান শাখা) পরীক্ষা হয়। এ বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৮৩ হাজার ৭৮৩ জন। অংশগ্রহণ করেন ৭৯ হাজার ২৯২ জন এবং অনুপস্থিত ছিল ৪ হাজার ৪৯১ জন। এখানে সর্বোচ্চ ১০ জন শিক্ষার্থী বহিষ্কৃত হয়েছেন। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৫২ জন শিক্ষার্থী। অনুপস্থিত ছিল ২ হাজার ২ জন, এবং বহিষ্কৃত হয়েছেন ৮ জন শিক্ষার্থী।

শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, দেশের বাইরে ঢাকা বোর্ডের অধীনে ৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। মোট ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে অংশ নিচ্ছেন প্রায় ১২ লাখ ৫১ হাজার পরীক্ষার্থী। প্রথম দিন অনুপস্থিত ছিল ১৯ হাজার ৭৫৯ জন শিক্ষার্থী। আর শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয় ৪৩ জনকে।

প্রসঙ্গত, এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১০ আগস্ট। এরপর ১১ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The decision to celebrate the new Bangladesh Day is canceled

‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত বাতিল

‘শহীদ আবু সাঈদ দিবসের’ নাম পরিবর্তন
‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত বাতিল

১৬ জুলাই ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবসের’ পরিবর্তে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এছাড়া ৮ আগস্ট ঘোষিত ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালন করা হবে না। ৫ আগস্ট ‘গণঅভ্যুত্থান’ দিবস উদযাপন করা হবে। রোববার উপদেষ্টা কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গতকাল দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর তিন দিন পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।

এর আগে ২৫ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক পরিপত্রে বলা হয়েছিল, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আর আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দিন ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। এছাড়া গণআন্দোলন চলাকালে রংপুরে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের নিহত হওয়ার দিন ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশে প্রচলিত কোটা প্রথার সংস্কারের দাবিতে গত বছরের জুলাইয়ে শুরু হওয়া ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ১৬ জুলাই গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রথম নিহত হন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ।

৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ঘোষণা নিয়ে আপত্তি জানান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষস্থানীয় তিন নেতা সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ ও আখতার হোসেন। এখন উপদেষ্টা কমিটির সিদ্ধান্ত নিল, ৮ আগস্ট কোনো বিশেষ দিবস পালন করা হবে না। আর ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ পালন করা হবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
NBR jobs are strict action if not returning to work vital service Statement

এনবিআরের চাকরি অত্যাবশ্যকীয় সেবা, কর্মস্থলে না ফিরলে কঠোর পদক্ষেপ: বিবৃতি

এনবিআরের চাকরি অত্যাবশ্যকীয় সেবা, কর্মস্থলে না ফিরলে কঠোর পদক্ষেপ: বিবৃতি

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সেবা আখ্যায়িত করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। অন্যতায় সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। রবিবার (২৯ জুন) অন্তর্বর্তী সরকারের এক বিবৃতিতে এমন কথা বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশের বাজেট ব্যবস্থাপনায় উন্নয়নমুখী কার্যক্রম পরিচালনার সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হলো দুর্বল রাজস্ব সংগ্রহ ব্যবস্থা। রাষ্ট্রের প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের রাজস্ব সংগ্রহ অনেক কম। এর মূল কারণ হলো আমাদের রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থাপনার নানা দুর্বলতা, অনিয়ম ও দুর্নীতি।

এমন পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার সব অংশীজনের পরামর্শ অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বিবৃতি জানানো হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, সরকার গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, রাজস্ব সংস্কারের কাজকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী নজিরবিহীনভাবে গত ২ মাস ধরে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি এবং রাজস্ব আদায় কার্যক্রম অন্যায় ও অনৈতিকভাবে ব্যাহত করে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করে আন্দোলনের নামে চরম দুর্ভোগ তৈরি করেছে, যা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য।

সরকার জানিয়েছে, সংস্কারের বিরোধিতা ছাড়াও অর্থ বছরের শেষ ২ মাসে তারা রাজস্ব আদায় কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে। এই তথাকথিত আন্দোলন পরিকল্পিত ও দুরভিসন্ধিমূলক, যা জাতীয় স্বার্থ এবং নাগরিক অধিকারের চরম পরিপন্থি।

‘সরকারের পক্ষ থেকে রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি বিবেচনায় নেওয়ার সুস্পষ্ট ঘোষণা দেয়া হয় এবং আলোচনায় আসার আহ্বান জানালেও তারা তা অগ্রাহ্য করে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার গ্রহণযোগ্য সমাধান না করে তারা আন্দোলনের নামে অনমনীয় অবস্থান নিয়ে ক্রমাগত দেশের অর্থনীতির ক্ষতি করে চলেছে।

‘এ পরিস্থিতিতে, অতি জরুরি আমদানি-রপ্তানি ও বৈদেশিক বাণিজ্যের কার্যক্রম চলমান রাখার জাতীয় স্বার্থে সরকার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতাধীন সব কাস্টমস হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট এবং শুল্ক স্টেশনের সর শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, আমরা আশা করি, অনতিবিলম্বে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থলে ফিরে যাবেন এবং আইনবিরোধী ও জাতীয় স্বার্থ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসবেন। অন্যথায় দেশের জনগণ ও অর্থনীতির সুরক্ষায় সরকার কঠোর হতে বাধ্য হবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Absolutely missing the police officer missing

কর্মস্থলে অনুপস্থিত ১৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত

কর্মস্থলে অনুপস্থিত ১৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত

দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় পুলিশের ১৪ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ৩(গ) অনুসারে ‘পলায়নের অপরাধে’ অভিযুক্ত হওয়ায় বিধি ১২ উপবিধি (১) অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকালীন সময়ে তারা খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

এসব কর্মকর্তার মধ্যে তিনজন পুলিশ সুপার, আটজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও দুজন সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন।

বরখাস্ত হওয়া ১৪ কর্মকর্তা হলেন, বরিশালে র‌্যাব-৮ এর সিপিএসসির ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদুর রহমান মনির, ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এস. এম. শামীম, সুনামগঞ্জের ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুবাইয়াত জামান, উখিয়ায় ৮ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইমরুল, রাঙ্গামাটির ডিআইজি এপিবিএনের (পার্বত্য জেলাসমূহ) কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান মোল্ল্যা, নারায়ণগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, রংপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, রাজারবাগের পুলিশ টেলিকম সংস্থার টেলিকম অফিসার (এএসপি) মাহমুদুল হাসান, কক্সবাজার ১৬ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখারুল ইসলাম, ঢাকার সাবেক পুলিশ সুপার এটিইউ মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন, সিলেটের ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আখতারুল ইসলাম, টাঙ্গাইলের নৌপুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস. এম জাহাঙ্গীর হাছান, জামালপুরের ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিশু বিশ্বাস ও রংপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আল ইমরান হোসেন।

মন্তব্য

p
উপরে