× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
মহধসের পর সর্বোচ্চ লেনদেনেও পুঁজিবাজারে অস্বস্তি
google_news print-icon

মহাধসের পর সর্বোচ্চ লেনদেনেও পুঁজিবাজারে ‘অস্বস্তি’

মহাধসের-পর-সর্বোচ্চ-লেনদেনেও-পুঁজিবাজারে-অস্বস্তি
পুঁজিবাজারে একই দিন আশা ও উৎকণ্ঠা নিয়ে লেনদেন দেখছেন দুই বিনিয়োগকারী। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
পুঁজিবাজারে দরপতনে লেনদেন বৃদ্ধির ইঙ্গিত বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সুখকর হয় না। ধারণা করা হয়, বড় অঙ্কের বিক্রয় চাপে এটা ঘটে থাকে।

২০১০ সালের মহাধসের পর পুঁজিবাজারে এক দিনে লেনদেনের রেকর্ড। তবু বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস নেই। কারণ, ব্যাংক, বিমায় বড় দরপতন। প্রধান খাতগুলোর মধ্যে বস্ত্র ছাড়া উত্থান দেখা যায়নি সেভাবে।

রোববার লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা, যা প্রায় সাড়ে ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন।

২০১০ সালে মহাধসের আগে ৫ জানুয়ারি লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৭১০ কোটি টাকা।

তবে লেনদেন সর্বকালের সর্বোচ্চ উচ্চতা প্রায় ছুঁয়ে ফেলার দিনটিতে বিক্রয় চাপে সূচকের পতনের কারণে বিনিয়োগকারীরা খুব একটা স্বস্তিতে নেই।

পুঁজিবাজারে দরপতনে লেনদেন বৃদ্ধির ইঙ্গিত বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সুখকর হয় না। ধারণা করা হয়, বড় অঙ্কের বিক্রয় চাপে এটা ঘটে থাকে।

গত সপ্তাহে পুঁজিবাজার ছয় হাজার পয়েন্টের মাইলফলক ছাড়ানোর পর সেখানে টিকে থাকতে বেশ কষ্ট হয়েছে। ওঠানামার মধ্যে ব্যাংকের দরপতনের পরও বিমা খাতে অবিশ্বাস্য উত্থানে সপ্তাহের শেষ দুটি কর্মদিবসে সূচক ছয় হাজার পয়েন্টের ওপরেই থাকে।

এর মধ্যে পুঁজিবাজারে অবণ্টিত লভ্যাংশ দিয়ে ২১ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল চূড়ান্ত হওয়ার খবর আসে গণমাধ্যমে। তবে রোববার লেনদেনের শুরু থেকেই ওঠানামার মধ্যে থাকে সূচক। দিন শেষে আগের দিনের তুলনায় ১৮ পয়েন্ট কমে শেষ হয় লেনদেন।

এদিন দর বেড়েছে ১৪৫টি শেয়ারের, দর হারিয়েছে ২০১টি। আর অপরিবর্তিত ছিল ২০টির দর।

৩ জুন ঘোষণা করা হয় আসন্ন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট। যেখানে চলতি অর্থবছরের তুলনায় আড়াই শতাংশ কমানো হয় করপোরেট কর। তবে এখনও অস্পষ্টতা আগামী অর্থবছরে কালোটাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিষয়ে। এ কারণে বাজারে বিনিয়োগ বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএলের সাবেক গবেষণাপ্রধান দেবব্রত কুমার সরকার।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লেনদেন বাড়লেও এখনও পুঁজিবাজার ফান্ডামেন্টালের দিকে ধাবিত হয়নি। বরং প্রতিদিন কোনো না কোনো খাতের ওপর ভর করে পুঁজিবাজারের সূচক ও লেনদেন বাড়ছে। যা যৌক্তিক নয়।’

তিনি বলেন, ‘ফান্ডামেন্টাল বা ভালো কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ না বাড়লে সে পুঁজিবাজারকে বেশি দূর টেনে নেয়া সম্ভব নয়।’

অস্বস্তির কারণ ব্যাংকে ধস, বিমায় বড় পতন

৫ এপ্রিল লকডাউনের শুরু থেকে পুঁজিবাজার বেড়েছে মূলত ব্যাংক-বিমায় ভর করে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে ব্যাংক কিছুটা সংশোধনে গেলেও বিমার অবিশ্বাস্য উত্থান চলতে থাকে।

বিমা খাত এই সপ্তাহে সংশোধনে যাবে কি না, এ নিয়ে পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ফেসবুক পেজে দুই দিন ধরে বিতর্ক চলছিল। সেই সঙ্গে ব্যাংক খাত সংশোধন শেষে ঘুরে দাঁড়াবে বলেও আশার কথা বলছিলেন বিনিয়োগকারীরা।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস এই দুই খাতের শেয়ারধারীদের ভীষণভাবে হতাশ করল।

সবচেয়ে বেশি দরপতন হওয়া কোম্পানির তালিকায় বেশির ভাগই ছিল ব্যাংক ও বিমা।

সবচেয়ে বেশি দর হারানো ২০টি কোম্পানির মধ্যে ১৭টিই এই দুই খাতের। এর মধ্যে ব্যাংকের শেয়ার ৭টি, আর বিমার ১০টি।

এর মধ্যে এনসিসি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে সবেচেয়ে বেশি ১৬ দশমিক ১১ শতাংশ। এক দিনে ১০ শতাংশের বেশি কমার সুযোগ না থাকলেও এটি এত কমেছে লভ্যাংশ সমন্বয়ের কারণে। চলতি বছর কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ৭৫ পয়সা নগদ আর সাড়ে ৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়েছিল।

বৃহস্পতিবার রেকর্ড ডেটে শেয়ার দাম ছিল ১৮ টাকা। লভ্যাংশ সমন্বয় করলে দাম দাঁড়ায় ১৬ টাকা ৭০ পয়সা। কিন্তু দিন শেষে দর দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ১০ পয়সা। অর্থাৎ নগদ লভ্যাংশের ৭৫ পয়সা হিসাবে ধরলেও বিনিয়োগকারীদের লোকসান ৮৫ পয়সা।

মহাধসের পর সর্বোচ্চ লেনদেনেও পুঁজিবাজারে ‘অস্বস্তি’

মহাধসের পর সর্বোচ্চ লেনদেনেও পুঁজিবাজারে ‘অস্বস্তি’
এক দিনে সব ব্যাংকের শেয়ারের দরপতনের বিরল দৃশ্য দেখল পুঁজিবাজার

শেয়ারপ্রতি ১ টাকা নগদ লভ্যাংশ দেয়া সাউথইস্ট ব্যাংক রেকর্ড ডেট শেষে দর হারিয়েছে ১ টাকা ৬০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ৮ দশমিক ৩১ শতাংশ বা ৭ টাকা ২০ পয়সা।

প্রাইম ব্যাংকের শেয়ার দর ২৪ টাকা থেকে ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ কমে লেনদেন হয়েছে ২২ টাকা ১০ পয়সায়।

এবি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। লেনদেনে ১৬ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১৪ টাকা ৮০ পয়সা।

যমুনা ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১৪ দশমিক ৪০ শতাংশ। ঢাকা ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ৪ দশমিক ১৬ শতাংশ।

ক্রমাগত দর বাড়তে থাকা এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার দর রোববার কমেছে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ব্র্যাক ব্যাংক ও সিটি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে যথাক্রমে ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ ও ২ দশমিক ৬১ শতাংশ।

তালিকাভুক্ত ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে এদিন রেকর্ড ডেটের কারণে তিনটির লেনদেন স্থগিত ছিল। কমেছে বাড়ি ২৮টির দামই।

এই খাতে মোট লেনদেন ছিল ২৩১ কোটি ৯৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।

শতকরা হিসেবে বিমার পতন হয়েছে আরও বেশি।

এই খাতের ৫০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১০টির। পাল্টায়নি একটির। আর বাকি ৩৯টির দর কমেছে।

লেনদেনে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ারপ্রতি দর ৭৪ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ কমে হয়েছে ৬৭ টাকা ৩০ পয়সা।

মহাধসের পর সর্বোচ্চ লেনদেনেও পুঁজিবাজারে ‘অস্বস্তি’

মহাধসের পর সর্বোচ্চ লেনদেনেও পুঁজিবাজারে ‘অস্বস্তি’
লকডাউনের শুরু থেকে বাড়তে থাকা বিমার শেয়ারে এমন পতন প্রত্যাশিত ছিল না

রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ার ৮৬ টাকা ৪০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৭৮ টাকা।

এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারপ্রতি দর ৭৫ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ কমে হয়েছে ৬৮ টাকা ৭০ পয়সা।

জনতা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। নর্দান ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৭ দশমিক ৬৫ শতাশং। ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। প্যারামাউন্ড ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৭ দশমিক ৩২ শতাংশ।

গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৭৩ টাকা থেকে ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে হয়েছে ৬৭ টাকা ৯০ পয়সা। প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, নিটল ইন্স্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৬ শতাংশের বেশি।

লেনদেন সবচেয়ে বেশি হয়েছে এই খাতে। হাতবদল হয়েছে মোট ৭৩০ কোটি ৪৬ লাখ ১৮ হাজার টাকা।

উত্থানে বস্ত্র ও প্রকৌশল খাত

এদিন উত্থান হয়েছে মূলত বস্ত্র খাতের। এই খাতের ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০টি। কমেছে ১২টির দর। বাকি চারটির দর ছিল অপরিবর্তিত।

এই খাতে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আলিফের দাম। শতকরা ৯.৫৭ শতাংশ বেড়ে দাম দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৩০ পয়সায়।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেড়েছে সাফকো স্পিনিংয়ের দর। শতকরা ৯.৩৭ শতাংশ বেড়ে দাম দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা।

মহাধসের পর সর্বোচ্চ লেনদেনেও পুঁজিবাজারে ‘অস্বস্তি’

মহাধসের পর সর্বোচ্চ লেনদেনেও পুঁজিবাজারে ‘অস্বস্তি’
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সবচেয়ে বেশি বাড়ল বস্ত্র খাতের দর

ইভেন্স টেক্সটাইলের দর ৯.১৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৯ টাকা ৫০ পয়সা। আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের দাম ৯.১৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৬ টাকা ৩০ পয়সা। শেফার্ডের দাম ৮.৬৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৩ টাকা ৮০ পয়সা।

দীর্ঘদিন পর চাঙাভাব দেখা দিয়েছে প্রকৌশল খাতে। এই খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ২৮টির। দর কমেছে ১৪টির।

বস্ত্র খাতে মোট লেনদেন ২৯৭ কোটি ১০ লাখ ২০ হাজার টাকা।

এর মধ্যে লোকসানে থাকা আরএসআরএম স্টিলের শেয়ারপ্রতি দর বেড়েছে ৯.৯৪ শতাংশ। শেয়ার দর ১৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২১ টাকা। দাম বাড়ায় শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে চারটি ছিল এ খাতের।

রানার অটোমোবাইল কোম্পানির শেয়ারপ্রতি দর বেড়েছে ৯.৯২ শতাংশ। শেয়ার দর ৫৫ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা ৯০ পয়সা।

মহাধসের পর সর্বোচ্চ লেনদেনেও পুঁজিবাজারে ‘অস্বস্তি’

মহাধসের পর সর্বোচ্চ লেনদেনেও পুঁজিবাজারে ‘অস্বস্তি’
প্রকৌশল খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের বিষয়টি দেখা গেল দীর্ঘদিন পর

কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি দর বেড়েছে ৯.৭৫ শতাংশ। ওয়াইমেক্স ইলেক্টোড লিমিটেডের দর বেড়েছে ৯.৭০ শতাংশ।

এই খাতে হাতবদল হয়েছে ২৭১ কোটি ৫৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকার শেয়ার।

সবচেয়ে বেশি বাড়ল সমতা লেদারের দর

দর বৃদ্ধিতে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল চামড়া খাতের ফরচুন সুজ, যার দর বেড়েছে ১০ শতাংশ। ২৬ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৮ টাকা ৬০ পয়সা।

টানা কয়েক মাস এক জায়গায় ঘুরপাক খাওয়া বেক্সিমকো লিমিটেড ছিল দর বৃদ্ধির চতুর্থ অবস্থানে। ৯.৭৮ শতাংশ বেড়ে ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে হয়েছে ৯৬ টাকা ৫০ পয়সা।

সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে এই কোম্পানির শেয়ার। একটি কোম্পানিরই হাতবদল হয়েছে ২৯৪ কোটি ২৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।

একই গ্রুপের সিরামিক খাতের সাইনপুকুর সিরামিক ২৬ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৯ টাকা ২০ পয়সা। শতকরা হিসেবে দাম বেড়েছে ৯.৭৭ শতাংশ।

সূচক ও লেনদেন

রোববার লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১৫ দশমিক ১৩ পয়েন্টে কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৮ পয়েন্টে।

শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৬ দশমিক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৯৯ পয়েন্টে।

মহাধসের পর সর্বোচ্চ লেনদেনেও পুঁজিবাজারে ‘অস্বস্তি’
রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র

বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১৮ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২২২ পয়েন্টে। আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৪৮৭ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৩৬ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫০৭ পয়েন্টে। লেনদেন হয় ১৫৯ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার ২১ হাজার কোটি টাকা পেতে পারে চলতি সপ্তাহেই
পুঁজিবাজার: ২২০০ কোটি টাকা নিয়ে বসে ব্যাংক
কালোটাকায় চাঙা পুঁজিবাজার: অর্থমন্ত্রী
বাজেট: পুঁজিবাজারে বাড়তে পারে লভ্যাংশ
পুঁজিবাজারে ‘ছয় হাজারের যুদ্ধ’, উত্থানে ফিরল ব্যাংক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Farmers are leaning in Napias grass in Rupganj

রূপগঞ্জে নেপিয়ার ঘাস চাষে ঝুকছে কৃষক

রূপগঞ্জে নেপিয়ার ঘাস চাষে ঝুকছে কৃষক

রূপগঞ্জে গোখাদ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আবাসন চাহিদা পুরনের জন্য কৃষি জমিতে বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানীর বালি ভরাটের কারনে এ সঙ্কট দেখা দিয়েছ্। গৃহপালিত পশু পালনে কৃষকদের এখন ভরসা নেপিয়ার জাতের ঘাস। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে গোখাদ্যর সংকটের বিষয়টি কৃষকদের ভাবিয়ে তুলেছে। গোখাদ্য সংকটে অনেকই কম দামে পশুগুলোকে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
উপজেলার কাঞ্চন, ভোলাব,দাউদপুর, মুড়াপাড়া, মাঝিনা নদীর পাড়, দেইলপাড়া, নদ্দাসহ অর্ধ শতাধিক গ্রামে এখন নেপিয়ার ঘাস চাষ হচ্ছে। বেসরকারি দুগ্ধ খামারিরা তাদের বাড়িতে খরচ কমানোর জন্য নেপিয়ার ঘাস চাষের দিকে ঝুকছে। আঁশযুক্ত,পুষ্টিকর, সুস্বাদু খাদ্য হিসেবে চাহিদা ব্যাপক। একবার কেটে নিলে ঘাস মরে যায়না বরং কাটা অংশ থেকে পুনরায় কুঁড়ি জন্মে আবার তা পূর্নাঙ্গ ঘাসে পরিণত হয়।
সরজমিন ঘুরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে গোখাদ্য সংকট এবং নেপিয়ার জাতের ঘাসে কৃষকের ভরসার বিষয়টি ফুটে উঠেছে। বারৈ গ্রামের কদম আলী বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, অন্যের জমি চাষ করি। বাড়তি আয়ের জন্যে গরু-ছাগল পালি। কৃষক টিপু হায়দার বলেন, গরুর খাদ্য সমস্যার জন্যে আমাদের গরু কম দামে বিক্রি করে দিছি। নেপিয়ার জাতীয় ঘাস দ্রুত বর্ধনশীল, ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যেই কেটে নেয়া ঘাসগুলো বড় হয়ে যায়।
উপজেলা পশু পালন কর্মকর্তা ডা. সজল কুমার দাস গোখাদ্যের সংকটের কথা স্বীকার করে জানান, বর্তমানে পশু খাদ্যের আরেক নাম নেপিয়ার ঘাস। দ্রুত বর্ধনশীল, উৎপাদন খরচ কম ও লাভজনক হওয়ায় এলাকার চাষিরা দিনদিন নেপিয়ার জাতীয় ঘাস চাষে ঝুঁকছেন। এতে কৃষকরা যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন অপরদিকে গোখাদ্য সংকট নিরসনেও ভূমিকা রাখছেন। প্রতি মাসে খামারিদেরকে বিনামূল্যে নেপিয়ার ঘাসের বীজ কাটিং দেয়া হয়। নেপিয়ার ঘাস ১০/১২ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। চাষের পদ্ধতিও সহজ।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Farooqi will be free of fear that everyone will pray Tisha

ফারুকী আপাতত আশঙ্কামুক্ত, সবাই দোয়া করবেন: তিশা

ফারুকী আপাতত আশঙ্কামুক্ত, সবাই দোয়া করবেন: তিশা

কক্সবাজারে সরকারি সফরে এসে অসুস্থ হয়ে জরুরিভাবে ঢাকায় ফেরা সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।

শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।

তিশা লিখেছেন, “মোস্তফা সরয়ার ফারুকী কক্সবাজারে মন্ত্রণালয়ের একটি ওয়ার্কশপে উপস্থিত থাকাকালীন সময়ে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি বর্তমানে হসপিটালে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অতিরিক্ত কাজের প্রেশারের কারণে তিনি (উপদেষ্টা) অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আপাতত তিনি আশঙ্কামুক্ত। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।”

এর আগে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে চারদিনের সফরে কক্সবাজারে আসেন সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী। পরদিন শনিবার (১৬ আগস্ট) রাতে অসুস্থতা অনুভব করলে সফর মুলতবি করে জরুরিভাবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।

কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমরান হোসাইন সজীব বলেন, ‘কক্সবাজারে সংস্কৃতি হাব-বিষয়ক এবং জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন সংক্রান্ত কয়েকটি কর্মসূচিতে উপদেষ্টার উপস্থিত থাকার কথা ছিল। অবশিষ্ট কর্মসূচিগুলো বাতিল করা হয়েছে।’

সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে কক্সবাজারে থাকাকালীন স্থানীয় চিকিৎসকরা উপদেষ্টাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন বলে জানান তিনি।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Graduate of National University 1 lakh is unemployed

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট ১০ লাখের ৪০ ভাগই বেকার!

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট ১০ লাখের ৪০ ভাগই বেকার!

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ জানিয়েছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতি বছর প্রায় দশ লাখ গ্র্যাজুয়েট বের হচ্ছে। এর ৪০ ভাগ কোনো না কোনো কাজে যুক্ত হতে পারছে, ২০ ভাগ স্ব-উদ্ভাবিত কর্মসংস্থান করেছে। আর অবশিষ্ট ৪০ ভাগ বেকার থাকছে।

গতকাল শনিবার এডুকেশন রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ (ইআরআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে চাহিদাভিত্তিক শিক্ষা: সমস্যা ও সম্ভাবনা’ বিষয়ক সেমিনারে তিনি এই তথ্য দেন।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন এডুকেশন রিফর্ম ইনিশিয়েটিভের (ইআরআই) চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ল্যাব, ডেমোনেস্ট্রেটর, শিক্ষক, অধ্যক্ষ সবই থাকা সত্ত্বেও ল্যাব প্রাকটিক্যাল হচ্ছে না। এটা শুধু নৈতিক অবক্ষয়ের অবনমন। এর উত্তরণ ঘটাতে হবে।

ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, বিদেশে অদক্ষ শ্রমিক প্রেরণ নিরুৎসাহিত করতে হবে, তাদের দক্ষ শ্রমিক করতে হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় সেরা শিক্ষক সম্মাননা ব্যক্তিগত যোগাযোগ রক্ষাকারীকে না দিয়ে প্রকৃতই সেরা শিক্ষককে দেওয়ার সুপারিশ করেন উপাচার্য।

ড. এ এস এম আমানুল্লাহ চাহিদাভিত্তিক শিক্ষার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, আধুনিক শিক্ষা কমিশন গঠন এখন সময়ের দাবি।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, বিগত ৫২ বছরে বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রের কোনো গুণগত উন্নতি হয়নি। আমরা বাংলাদেশে একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করতেও ব্যর্থ হয়েছি।

ভিসি বলেন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের অবস্থা এক সময় বাংলাদেশের মতোই ছিল। কিন্তু আজ সেই দেশগুলোর মাথাপিছু আয় বহুগুণে বেড়েছে। আর এর জন্য চাহিদাভিত্তিক শিক্ষার একটি বড় অবদান রয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার জন্য সিলেবাস পরিবর্তনের কাজ হাতে নিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

এদিকে একই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশে ডিগ্রি পাস শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট শিক্ষার্থীর ১১ শতাংশ। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক, অর্থাৎ ৪ দশমিক ৫ শতাংশ বেকার।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, গুণগত শিক্ষার অভাবই শিক্ষার সবচেয়ে বড় সমস্যা। প্রতি বছর এসএসসিতে ২.৫ লাখ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেলেও বাস্তব শিক্ষার উন্নতি হচ্ছে না। প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়, কিন্তু যারা জিপিএ-৫ পায় না, তারা কোথায় যাচ্ছে—এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।

প্রবন্ধে বলা হয়, দেশে ডিগ্রি পাস শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ শতাংশ। এর মধ্যে ৪.৫ শতাংশ বেকার। তাই জব মার্কেটের চাহিদা অনুযায়ী নতুন প্রজন্মকে শিক্ষিত করতে হবে।

ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, বাংলাদেশের প্রকৌশলীরা পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে সহায়ক ভূমিকা রাখলেও মূল দায়িত্ব পালন করেছে চীন, রাশিয়া ও জাপানের প্রকৌশলীরা। অথচ স্থানীয় প্রকৌশলীরা দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা করেছে। মূল সমস্যা হলো চাহিদাভিত্তিক শিক্ষার অভাব।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Meghna caught 20 kg coral

মেঘনায় ধরা পড়ল ২৮ কেজির কোরাল

মেঘনায় ধরা পড়ল ২৮ কেজির কোরাল

নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়েছে প্রায় ২৮ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের নামার বাজারে নিলামে ৪১ হাজার ৫৫০ টাকায় বিক্রি হয় মাছটি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের জেলে মো. রাশেদ গত শুক্রবার রাতে মেঘনায় জাল ফেলেন। ভোরের দিকে তিনি লক্ষ্য করেন, জালে একটি বিশাল আকৃতির মাছ ধরা পড়েছে। জাল তুলে আনতেই দেখা যায়, একটি বিশাল কোরাল মাছ। বিশাল এই মাছ দেখে রাশেদ ও তার সঙ্গী জেলেরা বিস্মিত হয়ে পড়েন। পরে মাছটি সকালেই বাজারে নিয়ে যান।

মাছটি দেখতে বাজারে সাধারণ মানুষের ভিড় জমে যায়। বাজারের আড়তজুড়ে তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। অনেকে ছবি তুলতে ও ভিডিও করতে ভিড় করেন। পরে ইব্রাহিম মৎস্য আড়তে নিলামের আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রতি কেজি ১ হাজার ৫০০ টাকা দরে মোট ৪১ হাজার ৫৫০ টাকায় মাছটি কিনে নেন স্থানীয় বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী মো. ইব্রাহিম।

ইব্রাহিম মৎস্য আড়তের ম্যানেজার মো. সোহেল বলেন, রাশেদ জীবনে এই প্রথম এত বড় আকারের কোরাল মাছ ধরতে পেরেছেন। এর ওজন ছিল ২৭ কেজি ৭০০ গ্রাম। আমাদের আড়তে মাঝেমধ্যে ১৫ থেকে ২০ কেজির কোরাল আসে, কিন্তু এ বছর এত বড় কোরাল প্রথম ধরা পড়ল।

ক্রেতা মো. ইব্রাহিম বলেন, আমরা খুব কম সময় এত বড় কোরাল মাছ পাই। সচরাচর ছোট কোরাল বাজারে আসে, তবে বড় মাছের চাহিদা সবসময়ই বেশি থাকে। আশা করছি, কোরালটি ভালো দামে বিক্রি করতে পারব।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মেঘনা নদীতে মাঝে মাঝে বড় কোরাল ধরা পড়ে। তবে ২৫ কেজির ওপরে কোরাল সাধারণত খুব কম ধরা পড়ে। তাই এ ধরনের মাছ জালে উঠলেই বাজারে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়।

জেলে রাশেদ বলেন, এত বড় কোরাল মাছ জীবনে কখনো ধরিনি। আল্লাহর রহমতে জালে এমন মাছ পেয়েছি। বিক্রি করে ভালো দামও পেয়েছি। এতে পরিবারে অনেকটা স্বস্তি আসবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Foreign observers will have to give the information to see the vote

ভোট দেখতে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের দিতে হবে ১৪ তথ্য

ভোট দেখতে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের দিতে হবে ১৪ তথ্য

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমকর্মীদের একটি নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করতে হবে। এতে দিতে হবে ১৪ ধরনের তথ্য।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের জন্য নতুন নীতিমালা জারি করা হয়েছে। এখন থেকেই বিদেশিরা আবেদন করতে পারবেন। ইতোমধ্যে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

কর্মকর্তারা বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। এতে ১৪ ধরনের তথ্য দিতে হবে।

আবেদনকারীর অবশ্যই নিজের নাম, জন্ম তারিখ, সংস্থা বা দেশের নাম, পেশা, অভিজ্ঞতা থাকলে দেশ ও বিদেশের অভিজ্ঞতা, পাসপোর্ট নম্বর, পাসপোর্টের মেয়াদ, জাতীয়তা, বাংলাদেশে অবস্থানকালীন ঠিকানা, ইমেইল, ফোন নম্বর, আবেদন তারিখ ও স্বাক্ষর দিতে হবে।

এছাড়া আবেদনের সঙ্গে সদ্য তোলা একটি ছবি, মেয়াদ থাকা পাসপোর্টের কপি ও সিভি সংযুক্ত করতে হবে।

এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা আনফ্রেল ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভোট পর্যবেক্ষণের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

এবারের নীতিমালায় বিদেশিদের অনুমতিদানে পুরো ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নিজের কাছে রাখা হয়েছে। আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর ব্যবস্থা নেওয়া হতো। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, ইসির সুপারিশের ভিত্তিতে ভিসা ব্যবস্থা করবে মন্ত্রণালয়।

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তফসিল ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Hajj registration fee can be submitted to the bank

৩৩ ব্যাংকে জমা দেওয়া যাবে হজের নিবন্ধন ফি

৩৩ ব্যাংকে জমা দেওয়া যাবে হজের নিবন্ধন ফি

হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অনুমতি পাওয়া ৩৩টি ব্যাংকের তালিকা প্রকাশ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এসব ব্যাংক হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন ফির অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ-২ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত তালিকা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়। এতে স্বাক্ষর করেছেন উপসচিব মো. রফিকুল ইসলাম।

যেসব ব্যাংক আগামী হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অনুমতি পেয়েছে– সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, দি সিটি ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক প্রিমিয়ার ব্যাংক ও শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংক।

ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। প্রাক-নিবন্ধনের অর্থ প্রতি ৩০ দিবসের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত হিসাবে স্থানান্তর করতে হবে। হজযাত্রীর বিপরীতে কোনো হজ এজেন্সিকে ঋণ দেওয়া যাবে না। হজযাত্রীর প্রাথমিক নিবন্ধন বা নিবন্ধনের অর্থ এজেন্সির নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে জমা থাকবে। এ অর্থ ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত নির্ধারিত খাত ছাড়া অন্য খাতে ব্যবহার বা স্থানান্তর করা যাবে না। ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২২ (সংশোধিত)’ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Trying to make Hajj and Umrah is easy and beautiful will continue Air Secretary

হজ ও ওমরাহ পালনকে সহজ এবং সুন্দর করতে প্রয়াস অব্যাহত থাকবে: বিমান সচিব

হজ ও ওমরাহ পালনকে সহজ এবং সুন্দর করতে প্রয়াস অব্যাহত থাকবে: বিমান সচিব

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান বলেছেন, সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে হজ ও ওমরাহ পালনকে সহজ এবং সুন্দর করতে আমাদের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী জাতীয় পর্যায়ে হজ ও ওমরাহ মেলা ২০২৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, গত বছরের হজ ব্যবস্থাপনা চমৎকার ছিল। হজের ব্যয় কমিয়ে আনতে ত্রিশ হাজার টাকা বিমান ভাড়া কমানো হয়েছিল। এবছর হজ যাত্রী পরিবহনে যুক্ত থাকা অন্যান্য এয়ার লাইন্সের সাথে আলোচনার মাধ্যমে আরো সাশ্রয়ী ভাড়া নির্ধারণের চেষ্টা করবো।

শুধু বিমান ভাড়া কমানো হলে হজের খরচ খুব কমে যাবে বিষয়টি এমন নয় উল্লেখ করে বিমান সচিব বলেন, হজের যে আরো চার পাঁচটি খরচের খাত রয়েছে সেটি বিবেচনায় নিতে হবে। এসময় তিনি হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের সর্বোত্তম সেবাদানের জন্য হজ এজেন্সিগুলোর মনোযোগ আকর্ষণ করেন।

হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) তিন দিন ব্যাপী এই হজ ও ওমরাহ মেলার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মু: আ: আউয়াল হাওলাদার, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (হজ) ড. মো: মঞ্জুরুল হক,বিমান বাংলাদেশ এর পরিচালক (বিপনন) আশরাফুল আলম, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার এবং শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হজ এজেন্সীজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার।

পরে প্রধান অতিথি হজ ও ওমরাহ মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।

মন্তব্য

p
উপরে