২০১০ সালের মহাধসের পর পুঁজিবাজারে এক দিনে লেনদেনের রেকর্ড। তবু বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস নেই। কারণ, ব্যাংক, বিমায় বড় দরপতন। প্রধান খাতগুলোর মধ্যে বস্ত্র ছাড়া উত্থান দেখা যায়নি সেভাবে।
রোববার লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা, যা প্রায় সাড়ে ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন।
২০১০ সালে মহাধসের আগে ৫ জানুয়ারি লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৭১০ কোটি টাকা।
তবে লেনদেন সর্বকালের সর্বোচ্চ উচ্চতা প্রায় ছুঁয়ে ফেলার দিনটিতে বিক্রয় চাপে সূচকের পতনের কারণে বিনিয়োগকারীরা খুব একটা স্বস্তিতে নেই।
পুঁজিবাজারে দরপতনে লেনদেন বৃদ্ধির ইঙ্গিত বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সুখকর হয় না। ধারণা করা হয়, বড় অঙ্কের বিক্রয় চাপে এটা ঘটে থাকে।
গত সপ্তাহে পুঁজিবাজার ছয় হাজার পয়েন্টের মাইলফলক ছাড়ানোর পর সেখানে টিকে থাকতে বেশ কষ্ট হয়েছে। ওঠানামার মধ্যে ব্যাংকের দরপতনের পরও বিমা খাতে অবিশ্বাস্য উত্থানে সপ্তাহের শেষ দুটি কর্মদিবসে সূচক ছয় হাজার পয়েন্টের ওপরেই থাকে।
এর মধ্যে পুঁজিবাজারে অবণ্টিত লভ্যাংশ দিয়ে ২১ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল চূড়ান্ত হওয়ার খবর আসে গণমাধ্যমে। তবে রোববার লেনদেনের শুরু থেকেই ওঠানামার মধ্যে থাকে সূচক। দিন শেষে আগের দিনের তুলনায় ১৮ পয়েন্ট কমে শেষ হয় লেনদেন।
এদিন দর বেড়েছে ১৪৫টি শেয়ারের, দর হারিয়েছে ২০১টি। আর অপরিবর্তিত ছিল ২০টির দর।
৩ জুন ঘোষণা করা হয় আসন্ন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট। যেখানে চলতি অর্থবছরের তুলনায় আড়াই শতাংশ কমানো হয় করপোরেট কর। তবে এখনও অস্পষ্টতা আগামী অর্থবছরে কালোটাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিষয়ে। এ কারণে বাজারে বিনিয়োগ বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএলের সাবেক গবেষণাপ্রধান দেবব্রত কুমার সরকার।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লেনদেন বাড়লেও এখনও পুঁজিবাজার ফান্ডামেন্টালের দিকে ধাবিত হয়নি। বরং প্রতিদিন কোনো না কোনো খাতের ওপর ভর করে পুঁজিবাজারের সূচক ও লেনদেন বাড়ছে। যা যৌক্তিক নয়।’
তিনি বলেন, ‘ফান্ডামেন্টাল বা ভালো কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ না বাড়লে সে পুঁজিবাজারকে বেশি দূর টেনে নেয়া সম্ভব নয়।’
অস্বস্তির কারণ ব্যাংকে ধস, বিমায় বড় পতন
৫ এপ্রিল লকডাউনের শুরু থেকে পুঁজিবাজার বেড়েছে মূলত ব্যাংক-বিমায় ভর করে। এর মধ্যে গত সপ্তাহে ব্যাংক কিছুটা সংশোধনে গেলেও বিমার অবিশ্বাস্য উত্থান চলতে থাকে।
বিমা খাত এই সপ্তাহে সংশোধনে যাবে কি না, এ নিয়ে পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ফেসবুক পেজে দুই দিন ধরে বিতর্ক চলছিল। সেই সঙ্গে ব্যাংক খাত সংশোধন শেষে ঘুরে দাঁড়াবে বলেও আশার কথা বলছিলেন বিনিয়োগকারীরা।
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস এই দুই খাতের শেয়ারধারীদের ভীষণভাবে হতাশ করল।
সবচেয়ে বেশি দরপতন হওয়া কোম্পানির তালিকায় বেশির ভাগই ছিল ব্যাংক ও বিমা।
সবচেয়ে বেশি দর হারানো ২০টি কোম্পানির মধ্যে ১৭টিই এই দুই খাতের। এর মধ্যে ব্যাংকের শেয়ার ৭টি, আর বিমার ১০টি।
এর মধ্যে এনসিসি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে সবেচেয়ে বেশি ১৬ দশমিক ১১ শতাংশ। এক দিনে ১০ শতাংশের বেশি কমার সুযোগ না থাকলেও এটি এত কমেছে লভ্যাংশ সমন্বয়ের কারণে। চলতি বছর কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ৭৫ পয়সা নগদ আর সাড়ে ৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার রেকর্ড ডেটে শেয়ার দাম ছিল ১৮ টাকা। লভ্যাংশ সমন্বয় করলে দাম দাঁড়ায় ১৬ টাকা ৭০ পয়সা। কিন্তু দিন শেষে দর দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ১০ পয়সা। অর্থাৎ নগদ লভ্যাংশের ৭৫ পয়সা হিসাবে ধরলেও বিনিয়োগকারীদের লোকসান ৮৫ পয়সা।
শেয়ারপ্রতি ১ টাকা নগদ লভ্যাংশ দেয়া সাউথইস্ট ব্যাংক রেকর্ড ডেট শেষে দর হারিয়েছে ১ টাকা ৬০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ৮ দশমিক ৩১ শতাংশ বা ৭ টাকা ২০ পয়সা।
প্রাইম ব্যাংকের শেয়ার দর ২৪ টাকা থেকে ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ কমে লেনদেন হয়েছে ২২ টাকা ১০ পয়সায়।
এবি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। লেনদেনে ১৬ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১৪ টাকা ৮০ পয়সা।
যমুনা ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১৪ দশমিক ৪০ শতাংশ। ঢাকা ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ৪ দশমিক ১৬ শতাংশ।
ক্রমাগত দর বাড়তে থাকা এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার দর রোববার কমেছে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ব্র্যাক ব্যাংক ও সিটি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে যথাক্রমে ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ ও ২ দশমিক ৬১ শতাংশ।
তালিকাভুক্ত ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে এদিন রেকর্ড ডেটের কারণে তিনটির লেনদেন স্থগিত ছিল। কমেছে বাড়ি ২৮টির দামই।
এই খাতে মোট লেনদেন ছিল ২৩১ কোটি ৯৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
শতকরা হিসেবে বিমার পতন হয়েছে আরও বেশি।
এই খাতের ৫০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১০টির। পাল্টায়নি একটির। আর বাকি ৩৯টির দর কমেছে।
লেনদেনে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ারপ্রতি দর ৭৪ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ কমে হয়েছে ৬৭ টাকা ৩০ পয়সা।
রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ার ৮৬ টাকা ৪০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৭৮ টাকা।
এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারপ্রতি দর ৭৫ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ কমে হয়েছে ৬৮ টাকা ৭০ পয়সা।
জনতা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। নর্দান ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৭ দশমিক ৬৫ শতাশং। ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। প্যারামাউন্ড ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৭ দশমিক ৩২ শতাংশ।
গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৭৩ টাকা থেকে ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে হয়েছে ৬৭ টাকা ৯০ পয়সা। প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, নিটল ইন্স্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৬ শতাংশের বেশি।
লেনদেন সবচেয়ে বেশি হয়েছে এই খাতে। হাতবদল হয়েছে মোট ৭৩০ কোটি ৪৬ লাখ ১৮ হাজার টাকা।
উত্থানে বস্ত্র ও প্রকৌশল খাত
এদিন উত্থান হয়েছে মূলত বস্ত্র খাতের। এই খাতের ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০টি। কমেছে ১২টির দর। বাকি চারটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
এই খাতে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আলিফের দাম। শতকরা ৯.৫৭ শতাংশ বেড়ে দাম দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৩০ পয়সায়।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেড়েছে সাফকো স্পিনিংয়ের দর। শতকরা ৯.৩৭ শতাংশ বেড়ে দাম দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা।
ইভেন্স টেক্সটাইলের দর ৯.১৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৯ টাকা ৫০ পয়সা। আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের দাম ৯.১৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৬ টাকা ৩০ পয়সা। শেফার্ডের দাম ৮.৬৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৩ টাকা ৮০ পয়সা।
দীর্ঘদিন পর চাঙাভাব দেখা দিয়েছে প্রকৌশল খাতে। এই খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ২৮টির। দর কমেছে ১৪টির।
বস্ত্র খাতে মোট লেনদেন ২৯৭ কোটি ১০ লাখ ২০ হাজার টাকা।
এর মধ্যে লোকসানে থাকা আরএসআরএম স্টিলের শেয়ারপ্রতি দর বেড়েছে ৯.৯৪ শতাংশ। শেয়ার দর ১৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২১ টাকা। দাম বাড়ায় শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে চারটি ছিল এ খাতের।
রানার অটোমোবাইল কোম্পানির শেয়ারপ্রতি দর বেড়েছে ৯.৯২ শতাংশ। শেয়ার দর ৫৫ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা ৯০ পয়সা।
কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি দর বেড়েছে ৯.৭৫ শতাংশ। ওয়াইমেক্স ইলেক্টোড লিমিটেডের দর বেড়েছে ৯.৭০ শতাংশ।
এই খাতে হাতবদল হয়েছে ২৭১ কোটি ৫৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকার শেয়ার।
সবচেয়ে বেশি বাড়ল সমতা লেদারের দর
দর বৃদ্ধিতে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল চামড়া খাতের ফরচুন সুজ, যার দর বেড়েছে ১০ শতাংশ। ২৬ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৮ টাকা ৬০ পয়সা।
টানা কয়েক মাস এক জায়গায় ঘুরপাক খাওয়া বেক্সিমকো লিমিটেড ছিল দর বৃদ্ধির চতুর্থ অবস্থানে। ৯.৭৮ শতাংশ বেড়ে ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে হয়েছে ৯৬ টাকা ৫০ পয়সা।
সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে এই কোম্পানির শেয়ার। একটি কোম্পানিরই হাতবদল হয়েছে ২৯৪ কোটি ২৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।
একই গ্রুপের সিরামিক খাতের সাইনপুকুর সিরামিক ২৬ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৯ টাকা ২০ পয়সা। শতকরা হিসেবে দাম বেড়েছে ৯.৭৭ শতাংশ।
সূচক ও লেনদেন
রোববার লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১৫ দশমিক ১৩ পয়েন্টে কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৮ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৬ দশমিক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৯৯ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১৮ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২২২ পয়েন্টে। আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৪৮৭ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৩৬ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫০৭ পয়েন্টে। লেনদেন হয় ১৫৯ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:রাজধানীর খিলগাঁওয়ের গোড়ানে খেলতে গিয়ে একটি ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক শিশু নিহত হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে পাঁচ তলা ভবনটির ছাদ থেকে পড়ে নিহত হয় সে।
নিহত শিশুর নাম খাদিজা আক্তার (৫)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শিশুটির ফুফা মোহাম্মদ ইসহাক মিয়া (২০ বছর)।
খাদিজার বাবা মোহাম্মদ ফয়সাল আহমাদ জানান, দুপুরে পাঁচ তলার ছাদে খাদিজা খেলাধুলা করার সময় ছাদ থেকে নিচে পড়ে যায়। এ সময় খাদিজার ফুফা দৌড়ে ধরতে গেলে তিনিও নিচে পড়ে যান।
তিনি জানান, পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খাদিজা রাত সাড়ে ৮টার দিকে মারা যায় এবং ফারিয়ার ফুফাকে ভর্তি রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানা এলাকায়। খিলগাঁওয়ের গোড়ান নবাবীর মোড় বতর্মানে১৪৮ /১ রায়হান সাহেবের বাড়ির ভাড়াটিয়া আমরা।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মহম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, শিশুটির মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে খিলগাঁও থানার সাথে কথা হয়েছে।
তীব্র থেকে অতি তীব্র মাত্রায় পাবনা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। অসহনীয় দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত তিন-চার দিন তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও শুক্রবার চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
এদিন পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যা জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রবিবার (২১ এপ্রিল) ঈশ্বরদীতে প্রথমবার ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অতি তীব্র তাপদাহে পাবনার মানুষের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে কৃষক, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ইটভাটার শ্রমিকসহ দিনমজুরদের জন্য অসহ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়াও তীব্র গরমে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ সব বয়সের মানুষ।
গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন আশরাফ আলী নামের এক রিকশাচালক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার সুন্দরগঞ্জ-কুপতলা সড়কের ৭৫ নম্বর রেলগেট নামক এলাকায় এ ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে সাদেকুলকে কারাগারে পাঠানো হয়।
৫০ বছর বয়সী রিকশাচালক আশরাফ আলী সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের সাহার ভিটার গ্রামের মৃত ফয়জার রহমানের ছেলে। অন্যদিকে ছিনতাই ও হত্যায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলাম কুপতলা ইউনিয়নের রামপ্রসাদ গ্রামের বাসিন্দা।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদ রানা।
ওসি জানান, প্রতিদিনের মতোই বৃহস্পতিবার রাতে রিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আশরাফ আলী। তিনি কুপতলা এলাকার ৭৫ নম্বর রেলগেটে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সাদেকুল ইসলাম তার পথ রোধ করে ছুরি ধরে রিকশা এবং চাবি কেড়ে নিয়ে তাকে চলে যেতে বলেন। আশরাফ আলী এতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রথমে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত সাদেকুল আশরাফ আলীর পেটে ছুরিকাঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি বলেন, ‘এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ওই রাতেই অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে আটক করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে রিকশাটিও উদ্ধার করা হয়। পরে আজ (শুক্রবার) দুপুরে সাদেকুলকে একমাত্র আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।’
দেশের বিভিন্ন স্থানে যেভাবে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে। এর মধ্যে কোথাও কোথাও বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর, কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়োহাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
অধিদপ্তর বলছে, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
আবহাওয়ার সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। আগামী পাঁচ দিনেও আবহাওয়াও প্রায় একই থাকতে পারে।
শুক্রবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়া ২০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও বৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড রোহিঙ্গা ইস্যুতে এক সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ ও থাই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক থেকে বেরিয়ে ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি শুক্রবার এ কথা জানান। খবর বাসসের
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এক সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’
দুপুরে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গভর্নমেন্ট হাউজে উভয় নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত একান্ত বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব তথ্য জানান। সন্ধ্যায় ঢাকায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।
ড. হাছান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের মধ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমে তারা একান্তে কথা বলেন, এরপর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বহু বিষয়ে সবিস্তারে আলোচনা করেছেন।
থাইল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের যে ভ্রাতৃপ্রতিম ও বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক, সেটা আরও জোরদার, বহুমাত্রিক ও বিস্তৃত করার ব্যাপারে দুই প্রধানমন্ত্রী গভীর আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন, বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ সময় অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্ত বণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট স্বাক্ষরিত হয়।
দেশের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ব্যাংককে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই এবং থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. প্রাণপ্রী বাহিদ্ধা নুকারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বর্ণনা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ১০০টি ইকোনমিক জোন ও আইটি ভিলেজে থাই বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা চাইলে প্রয়োজনে বাংলাদেশে তাদের জন্য বিশেষ ইকোনমিক জোন করার কথাও বলেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত হয়ে আসা প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন। তাদের জন্য বাংলাদেশে যেসব সমস্যা উদ্ভূত হচ্ছে বৈঠকে সে বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলেও জানান ড. হাছান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডেও অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন, এখনো অনেকে আসছেন। থাইল্যান্ডও এই পালিয়ে আসা মানুষদের ভারে জর্জরিত। এই সমস্যা সমাধানে উভয় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের একসাথে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
এদিন গভর্নমেন্ট হাউজে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রদত্ত রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অফ অনার প্রদানকালে থাই প্রধানমন্ত্রী সাথে ছিলেন। শেখ হাসিনা তার সৌজন্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান। তিনি বৃহস্পতিবার ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী সেখানে দেওয়া ভাষণে সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান।
সফর শেষে প্রধানমন্ত্রীর আগামী ২৯ এপ্রিল দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার অগ্রণী ব্যাংকের কাশিনাথপুর শাখায় প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে শাখা ম্যানেজারসহ ৩ কর্মকর্তাকে আটকের পর কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আনোয়ার হোসেন সাগর। এদিন দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করে সাঁথিয়া থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের জিআরও এএসআই মাহবুবুর রহমান জানান, বিকেলে সাঁথিয়া থানা থেকে এনে তাদের আদালতে তোলা হয়। এ সময় কেউ তাদের জন্য জামিন আবেদন করেননি। ফলে আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আটককৃতরা হলেন- অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ব্যবস্থাপক (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) সুজানগর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা হারুন বিন সালাম, সিনিয়র অফিসার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার বাসিন্দা আবু জাফর এবং ক্যাশিয়ার বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত চক্রবর্তী।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী বিভাগীয় অফিস থেকে ৫ সদস্যবিশিষ্ট অডিট টিম কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসে। দিনভর অডিট করে তারা ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আর্থিক অনিয়ম পান। এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানায় ওই শাখার ম্যানেজার (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) হারুন বিন সালাম, ক্যাশ অফিসার সুব্রত চক্রবর্তী ও সিনিয়র অফিসার আবু জাফরকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দিলে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে তাদের তিনজনকে আটক করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অডিটে অনিয়ম ধরা পড়লে তাদের আটক করে সাঁথিয়া থানা পুলিশকে খবর দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আজ (শুক্রবার) দুপুরে জিডির ভিত্তিতে আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে দুদক আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি দেশ ও জনগণের উন্নয়নে আপনাদেরকে কাজ করতে হবে।
থাইল্যান্ড আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার অবস্থানকালীন আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। খবর বাসসের
প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক মো. নজরুল ইসলাম সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বঙ্গবন্ধু তার অনুপ্রেরণার উৎস উল্লেখ করে শেখ হাসিনা নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, জাতির পিতাকে অসময়ে হত্যা করা হলেও ‘তার আদর্শ আমাদের মধ্যে রয়ে গেছে এবং সে কারণেই আমি তার (বঙ্গবন্ধু) আদর্শ বাস্তবায়ন করতে কাজ করছি। বঙ্গবন্ধু দেশের গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন।
গত ১৫ বছরে দেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্ষমতায় থাকায় এ অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, অনেক বাংলাদেশি থাইল্যান্ডের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তবে তারা দ্বৈত নাগরিকত্ব বজায় রাখতে চান। এই দ্বৈত নাগরিকত্বের বিষয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে থাই সরকারের সাথে কথা বলবেন।
মন্তব্য