বাজেটে রাখা অগ্রিম আয়করের প্রস্তাবকে বেআইনি বলেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)।
এ বিষয়টি বাদ দিলে সংগঠনের মূল্যায়নে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটটি সব দিক বিবেচনায় কল্যাণমুখী।
কারণ, বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণের চাহিদা অনুযায়ী বাজেটে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো আরও সুদৃঢ় করতে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, সামাজিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পদক্ষেপ রয়েছে।
এর জন্য সরকার ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য বলে মনে করে ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি।
শনিবার বাজেটের ওপর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘অগ্রিম আয়কর ব্যবসার খরচ বাড়ায়। এই কর নিয়ে সরকারের রাজস্ব আদায় তো বাড়েই না, উল্টো এটি ব্যবসায়ীদের যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
‘বছর শেষে এই কর লাভালাভ হিসাব করে সরকারকে আবার ফেরতই দিতে হয়। কিন্তু এই কর দিয়ে কোনও ব্যবসায়ী নিশ্চিত নন যে, তারা বছর শেষে ব্যবসা থেকে লাভবান হবেন কি না।’
তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের এই খরচ কমাতে এফবিসিসিআই বিদ্যমান ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই প্রস্তাব আমলে না নিয়ে উল্টো বাজেটে ২০ শতাংশ পর্যন্ত সর্বোচ্চ অগ্রিম আয়কর আরোপ করেছে।
‘বাজেটে রাখা এ উদ্যোগ সম্পূর্ণ বেআইনি। এর ফলে আগামীতে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অচলাবস্থার সৃষ্টি হবে। ব্যবসা পরিচালনা ব্যয় বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।
‘এফবিসিসিআই বেআইনি এই অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারসহ সব রকম উৎসে কর চূড়ান্ত কর হিসেবে সমন্বয় করার প্রস্তাব করছে।’
বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে আমদানি করা যেকোনো পণ্যের ওপর অন্যান্য শুল্ককরের পাশাপাশি অতিরিক্ত হিসাবে সরকারকে ৫ শতাংশ হারে আগাম কর বা অগ্রিম আয়কর (অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স- এআইটি) দিতে হয়। অর্থমন্ত্রী এই অগ্রিম আয় কর চার গুণ বাড়িয়ে আগামী অর্থবছর থেকে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন কোনো কোনো ক্ষেত্রে।
বাজেটোত্তর এই সংবাদ সম্মেলনে মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এমসিসিআই) সভাপতি নিহাদ কবির, ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমানসহ এফবিসিসিআইয়ের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, ‘অর্থনৈতিক পরিকাঠামো অনুযায়ী বাজেটের আকারও বড় হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের বাজেট বাস্তবায়নের চিরায়ত চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সুশাসন, যথাযথ মনিটরিং, বিনিয়োগ ও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যবান্ধব রাজস্ব ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায়।’
তাই বাজেট বাস্তবায়নে সব ক্ষেত্রে প্রশাসনিক এবং নির্বাহী দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং তদারকির মান ক্রমাগতভাবে উন্নয়ন ঘটানো জরুরি বলে মনে করেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, যোগাযোগব্যবস্থাসহ অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে বাজেটে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা বিনিয়োগ, শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থান প্রক্রিয়াকে গতিশীল করবে বলে মনে করেন তিনি।
তবে এসব অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব বা পিপিপি আরও ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি। বলেন, ‘তাই পিপিপির ওপর বিশেষ নজর দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বাজেটে রাখা ঘাটতি মেটাতে যথাসম্ভব স্থানীয় ব্যাংকব্যবস্থার পরিবর্তে স্বল্প সুদে বিশেষ স্থানীয় বন্ড এবং বৈদেশিক উৎস থেকে অর্থায়নের প্রচেষ্টা নেয়ার পরামর্শও রাখেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি।
বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় বাজেটে বেশ কিছু পদক্ষেপ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এসব উদ্যোগের সঙ্গে খাতভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠনগুলোর বিরাজমান সমস্যাগুলো নিরসন করা জরুরি। অন্যথায় ব্যবসা-বাণিজ্য নীতিমালার ক্ষেত্রে খাতওয়ারি অসংগতি থেকে যাবে। এসব বিষয়ে এফবিসিসিআইয়ের আমদানি শুল্ক, মূসক ও আয়করসংক্রান্ত বিশেষ কয়েকটি প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে বিরাজমান খাতওয়ারি অসংগতি দূর হবে।’
এ সময় জসিম উদ্দিন বাজেট চূড়ান্তের আগে পুনর্বিবেচনার জন্য আট দফা সুপারিশ করেন।
তিনি বলেন, ‘সর্বমোট প্রাপ্তি ৩ কোটি টাকা বা ততোধিক হলে ব্যক্তি আয়করদাতাদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম করের হার ০.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.২৫ শতাংশ করা হয়েছে। এটি সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বিবেচনার প্রস্তাব করছি।’
সফটওয়্যার অথবা আইটি সেবা বিক্রির মাধ্যমে আয়ের ওপর যে কর অব্যাহতি ছিল, তা প্রত্যাহার করারও বিরোধিতা করেন এফবিসিসিআইয়ের প্রধান। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশের লক্ষ্যে এই সুবিধা পুনর্বহাল করার প্রস্তাব করেন তিনি। কমপ্লায়েন্স সৃষ্টি ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে আগামী এক বছরের জন্য ই-কমার্সকে উৎসে করের আওতামুক্ত রাখার প্রস্তাবও করেন তিনি।
এফবিসিসিআইয়ের অন্য সুপারিশগুলো মধ্যে রয়েছে নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি এবং নৌপরিবহন সহজলভ্য করতে এবং সরকারের ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে ড্রেজিংয়ের জন্য ব্যবহৃত কাটার সেকশন ড্রেজারকে ক্যাপিটাল মেশিনারি হিসেবে ১ শতাংশ শুল্কে আমদানির সুযোগ রাখা।
এতে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সহজ হবে বলে মনে করছেন তারা।
করোনার কারণে শিক্ষাব্যবস্থা ব্যাপকভাবেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছেন তারা।
সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি এবং ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধির লক্ষ্যে সব উপজেলা পর্যায়ে আয়কর ও ভ্যাট অফিস স্থাপনের মাধ্যমে করজাল বৃদ্ধি, টিন নম্বরের পাশাপাশি ট্যাক্স পেমেন্টের প্রমাণ বা ডকুমেন্ট সরকারি-বেসরকারি কাজে বাধ্যতামূলক করা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পলিসি উইং এবং বাজেট বাস্তবায়ন উইংকে পৃথক করা, মূল্য সংযোজন কর আইন সহজ করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠনেরও সুপারিশ করেছে এফবিসিসিআই।
আরও পড়ুন:ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ইমামরা সমাজের অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি। নৈতিকতা ও আদর্শিক মূল্যবোধের বিকাশে তাদের অবদান বিশাল। জনগণের সঙ্গে তাদের সংযোগ সরাসরি। তারা সামাজিক শক্তির প্রতিভূ তাই তাদের সংগঠিত করা গেলে সমাজ পরিবর্তনের ধারাকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।
রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জাতীয় হিফজুল কোরআন ও সিরাত প্রতিযোগিতা এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামদের জাতীয় সম্মেলন ২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খালিদ হোসেন বলেন, ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার (২০০১) পর থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৬৩ হাজার ১৯৭ জন ইমাম ও মুয়াজ্জিনের মধ্যে সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ ও অনুদান হিসেবে ৩৭ কোটি ৯২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ কোটি টাকা উদ্যোক্তাদের ঋণ এবং ২০ কোটি ৯১ লাখ টাকা অফেরতযোগ্য এককালীন অনুদান দেওয়া হয়েছে। ২০২৪-২৫ সালে বিতরণ করা হয়েছে ৪ কোটি ১১ লাখ টাকা।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ইসলামের অপব্যাখ্যাকে রুখে দেওয়া, সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা এবং সমাজে শান্তি, সম্প্রীতি ও সহনশীলতা প্রতিষ্ঠার এখন গুরুত্বপূর্ণ সময়। আমরা চাই এক শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ- যেখানে মসজিদ হবে জ্ঞানের কেন্দ্র, ইমাম হবেন নেতৃত্বের দিশারী। প্রতি বছর আমাদের প্রতিযোগিরা আন্তর্জাতিক হিফজ ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতায় যে সাফল্য অর্জন করছে তা গোটা জাতির জন্য গর্বের বিষয়। এটি প্রমাণ করে-আমাদের সন্তানদের মধ্যে কোরআনের আলো জ্বলছে। এখন দরকার এই আলোর ব্যবস্থাপনা।
আর সেই কাজেই ইমামদের প্রশিক্ষণ, উৎসাহ ও অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক। সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খান।
এছাড়া অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক, ড.খলিলুর রহমান মাদানী, ওলামায়ে কেরাম, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা ও প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বাইতুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
সম্মেলনে হিফজুল কোরআন ও সিরাত প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ী তিন গ্রুপের ৯ জন করে প্রতিযোগী এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে ৩ জন শ্রেষ্ঠ ইমাম, বিভাগীয় পর্যায়ে ২৪ জন, জেলা পর্যায়ে ১৯২ জন ইমাম এবং ৬৪ জন শ্রেষ্ঠ খামারি ইমামকে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার ২ লাখ টাকা, দ্বিতীয় দেড় লাখ, তৃতীয় ১ লাখ টাকা এবং সিরাত প্রতিযোগিতার প্রথম পুরস্কার ৫০ হাজার, দ্বিতীয় ৪৫ হাজার এবং তৃতীয় ৪০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। এছাড়া শ্রেষ্ঠ ইমাম ও খামারি ইমামদের ক্ষেত্রেও যথা নিয়মে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে সারাদেশে অনুপস্থিত ছিলেন ২২ হাজার ৩৯১ (২২,৩৯১) জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার সময় নিয়মভঙ্গের দায়ে ৪১ শিক্ষার্থী ও ১ শিক্ষকসহ মোট ৪২ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রোববার সকাল ১০টায় বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার মাধ্যমে দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা বোর্ডগুলোর পাঠানো পরীক্ষাসংক্রান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
রোববার সারাদেশে মোট ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ৫১ হাজার। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১০ লাখ ৯৭ হাজার ৮৭৫ (১,০৯৭,৮৭৫) জন। অর্থাৎ, অনুপস্থিতির হার প্রায় ২ শতাংশের কাছাকাছি। সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে ঢাকা বোর্ডে। সেখানে উপস্থিতির হার বেশ ভালো হলেও অনুপস্থিত ছিল ৩,৬৫৫ জন এবং বহিষ্কৃত হয়েছে ৮ জন।
কুমিল্লা বোর্ডে অনুপস্থিতির হার তুলনামূলকভাবে বেশি ছিল—২ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এ বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ৮৬ হাজার ৯৮৯ জন, যার মধ্যে ২,৬৮২ জন অনুপস্থিত ছিল এবং ২ জনকে বহিষ্কার করা হয়। দিনাজপুর, রাজশাহী, সিলেট ও কুমিল্লা বোর্ডেও অনুপস্থিতির সংখ্যা ছিল তুলনামূলকভাবে বেশি। তবে চট্টগ্রাম ও যশোর বোর্ডে অনুপস্থিতির হার কিছুটা কম ছিল। এছাড়া ময়মনসিংহ বোর্ডে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৩ শিক্ষার্থীর সঙ্গে একজন শিক্ষককেও বহিষ্কার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আরবি প্রথম পত্রের (সাধারণ ও বিজ্ঞান শাখা) পরীক্ষা হয়। এ বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৮৩ হাজার ৭৮৩ জন। অংশগ্রহণ করেন ৭৯ হাজার ২৯২ জন এবং অনুপস্থিত ছিল ৪ হাজার ৪৯১ জন। এখানে সর্বোচ্চ ১০ জন শিক্ষার্থী বহিষ্কৃত হয়েছেন। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৫২ জন শিক্ষার্থী। অনুপস্থিত ছিল ২ হাজার ২ জন, এবং বহিষ্কৃত হয়েছেন ৮ জন শিক্ষার্থী।
শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, দেশের বাইরে ঢাকা বোর্ডের অধীনে ৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। মোট ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে অংশ নিচ্ছেন প্রায় ১২ লাখ ৫১ হাজার পরীক্ষার্থী। প্রথম দিন অনুপস্থিত ছিল ১৯ হাজার ৭৫৯ জন শিক্ষার্থী। আর শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয় ৪৩ জনকে।
প্রসঙ্গত, এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১০ আগস্ট। এরপর ১১ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
১৬ জুলাই ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবসের’ পরিবর্তে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এছাড়া ৮ আগস্ট ঘোষিত ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালন করা হবে না। ৫ আগস্ট ‘গণঅভ্যুত্থান’ দিবস উদযাপন করা হবে। রোববার উপদেষ্টা কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গতকাল দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর তিন দিন পর ৮ আগস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।
এর আগে ২৫ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক পরিপত্রে বলা হয়েছিল, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আর আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দিন ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। এছাড়া গণআন্দোলন চলাকালে রংপুরে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের নিহত হওয়ার দিন ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশে প্রচলিত কোটা প্রথার সংস্কারের দাবিতে গত বছরের জুলাইয়ে শুরু হওয়া ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ১৬ জুলাই গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রথম নিহত হন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ।
৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ ঘোষণা নিয়ে আপত্তি জানান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষস্থানীয় তিন নেতা সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ ও আখতার হোসেন। এখন উপদেষ্টা কমিটির সিদ্ধান্ত নিল, ৮ আগস্ট কোনো বিশেষ দিবস পালন করা হবে না। আর ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ পালন করা হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সেবা আখ্যায়িত করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। অন্যতায় সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। রবিবার (২৯ জুন) অন্তর্বর্তী সরকারের এক বিবৃতিতে এমন কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের বাজেট ব্যবস্থাপনায় উন্নয়নমুখী কার্যক্রম পরিচালনার সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হলো দুর্বল রাজস্ব সংগ্রহ ব্যবস্থা। রাষ্ট্রের প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের রাজস্ব সংগ্রহ অনেক কম। এর মূল কারণ হলো আমাদের রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থাপনার নানা দুর্বলতা, অনিয়ম ও দুর্নীতি।
এমন পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার সব অংশীজনের পরামর্শ অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বিবৃতি জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, সরকার গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, রাজস্ব সংস্কারের কাজকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী নজিরবিহীনভাবে গত ২ মাস ধরে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি এবং রাজস্ব আদায় কার্যক্রম অন্যায় ও অনৈতিকভাবে ব্যাহত করে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করে আন্দোলনের নামে চরম দুর্ভোগ তৈরি করেছে, যা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য।
সরকার জানিয়েছে, সংস্কারের বিরোধিতা ছাড়াও অর্থ বছরের শেষ ২ মাসে তারা রাজস্ব আদায় কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে। এই তথাকথিত আন্দোলন পরিকল্পিত ও দুরভিসন্ধিমূলক, যা জাতীয় স্বার্থ এবং নাগরিক অধিকারের চরম পরিপন্থি।
‘সরকারের পক্ষ থেকে রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি বিবেচনায় নেওয়ার সুস্পষ্ট ঘোষণা দেয়া হয় এবং আলোচনায় আসার আহ্বান জানালেও তারা তা অগ্রাহ্য করে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার গ্রহণযোগ্য সমাধান না করে তারা আন্দোলনের নামে অনমনীয় অবস্থান নিয়ে ক্রমাগত দেশের অর্থনীতির ক্ষতি করে চলেছে।
‘এ পরিস্থিতিতে, অতি জরুরি আমদানি-রপ্তানি ও বৈদেশিক বাণিজ্যের কার্যক্রম চলমান রাখার জাতীয় স্বার্থে সরকার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতাধীন সব কাস্টমস হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট এবং শুল্ক স্টেশনের সর শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, আমরা আশা করি, অনতিবিলম্বে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থলে ফিরে যাবেন এবং আইনবিরোধী ও জাতীয় স্বার্থ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসবেন। অন্যথায় দেশের জনগণ ও অর্থনীতির সুরক্ষায় সরকার কঠোর হতে বাধ্য হবে।
দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় পুলিশের ১৪ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ৩(গ) অনুসারে ‘পলায়নের অপরাধে’ অভিযুক্ত হওয়ায় বিধি ১২ উপবিধি (১) অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকালীন সময়ে তারা খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এসব কর্মকর্তার মধ্যে তিনজন পুলিশ সুপার, আটজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও দুজন সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন।
বরখাস্ত হওয়া ১৪ কর্মকর্তা হলেন, বরিশালে র্যাব-৮ এর সিপিএসসির ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদুর রহমান মনির, ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এস. এম. শামীম, সুনামগঞ্জের ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুবাইয়াত জামান, উখিয়ায় ৮ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইমরুল, রাঙ্গামাটির ডিআইজি এপিবিএনের (পার্বত্য জেলাসমূহ) কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান মোল্ল্যা, নারায়ণগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, রংপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, রাজারবাগের পুলিশ টেলিকম সংস্থার টেলিকম অফিসার (এএসপি) মাহমুদুল হাসান, কক্সবাজার ১৬ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখারুল ইসলাম, ঢাকার সাবেক পুলিশ সুপার এটিইউ মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন, সিলেটের ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আখতারুল ইসলাম, টাঙ্গাইলের নৌপুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস. এম জাহাঙ্গীর হাছান, জামালপুরের ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিশু বিশ্বাস ও রংপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আল ইমরান হোসেন।
আগামী ৫ আগস্ট ‘গণঅভ্যুত্থান’ দিবস উদযাপন করা হবে। এছাড়া ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ’ দিবস পালন করা হবে।
রবিবার (২৯ জুন) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এমন তথ্য দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, ৮ আগস্টের জন্য কোনো বিশেষ উদযাপন থাকবে না।
এর আগে সরকার ৫ আগস্টকে ‘জুলাই অভ্যুত্থান দিবস’ এবং ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল।
গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের অপসারণের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয় ৮ আগস্ট।
দীর্ঘ ২৩ বছর পর ২ জুলাই বুধবার সকাল ১০ টায় পটুয়াখালী ব্যায়ামাগার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি পটুয়াখালী জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। এ সম্মেলন সফল করতে জোরে সোরে চলছে সকল ধরনের প্রচার- প্রচারণা ও প্রস্তুতি।
উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল হক নান্নু, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন, সহ- প্রচার সম্পাদক মোঃ আসাদুল কবির শাহীন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাসান মামুন, সদস্য মাওলানা শাহ নেছারুল হক, সদস্য ইঞ্জিঃ একেএম ফারুক আহমেদ তালুকদার, সদস্য মোঃ দুলাল হোসেন। সভাপতিত্ব করবেন পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া ও সঞ্চালনা করবেন সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি।
এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নসহ তৃণমূল বিএনপির নেতা- কর্মীদের মাঝে এক ধরনের চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হচ্ছে। এ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ৩০ জনসহ ৮টি উপজেলা ও ৫টি পৌরসভার প্রায় ১৪০০ জন কাউন্সিলর উপস্থিত থাকার কথা বলেছেন জেলা বিএনপির সদস্য মোঃ সিদ্দিকুর রহমান। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন (কমিটি নির্বাচন) বিকেলে পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছে বলে জেলা বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এ তিনটি শীর্ষ পদে এক ডজন প্রার্থীর নাম নেতা-কর্মীদের মুখে চাউর হচ্ছে। এ তিনটি পদের মধ্যে সভাপতি পদে যাদের নাম উঠেছে, তারা হলেন বর্তমান জেলা বিএনপি কমিটির আহবায়ক আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া, সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি ও অন্যতম সদস্য মাকসুদ আহমেদ বায়জীদ পান্না মিয়া।
সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পিপি এ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান টোটন, সদস্য মোঃ দেলোয়ার হোসেন খান নান্নু, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ্যাডঃ মোহসীন উদ্দীন, জেলা বিএনপির সদস্য জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি বশির আহমেদ মৃধা, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলাম লিটন ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ তৌফিক আলী খান কবির।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে জেলা বিএনপির সদস্য জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ইমাম হোসেন নাসির, সাবেক জিএস আলমগীর হোসেন বাচ্চু, জেলা মৎস্য দলের সভাপতি ভিপি শাহীন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মশিউর রহমান মিলন ও জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ মাকসুদুর রহমান মাকসুদ।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এ সম্মেলনে এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) আলতাফ হোসেন চৌধুরী সভাপতি ও স্নেহাংশু সরকার কুট্টি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে মেয়াদউত্তীর্ন হওয়ায় কমিটি বিলুপ্ত করে ২০২০ সালের ২ নভেম্বর আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়াকে আহ্বায়ক এবং স্নেহাংশু সরকার কুট্টিকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়
মন্তব্য