× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
পুঁজিবাজার ২২০০ কোটি টাকা নিয়ে বসে ব্যাংক
google_news print-icon

পুঁজিবাজার: ২২০০ কোটি টাকা নিয়ে বসে ব্যাংক

পুঁজিবাজার-২২০০-কোটি-টাকা-নিয়ে-বসে-ব্যাংক
পুঁজিবাজারের জন্য ৪১ ব্যাংক এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছে। আর ২০টি ব্যাংক এখনও তহবিল গঠন করেনি। এর মধ্যে ২৭ ব্যাংক বিনিয়োগ করেছে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। হাতে আছে এখনও ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

পুঁজিবাজারকে চাঙা করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যে বিশেষ তহবিল করেছে, তার একটি বড় অংশ এখনও বিনিয়োগ করা হয়নি।

ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০০ কোটি টাকা করে তহবিল গঠনের অনুরোধ করলেও সবাই এই পরিমাণ তহবিল করেনি। আর যে তহবিল গঠন হয়েছে, তার মধ্যে বিনিয়োগও হয়নি বেশির ভাগ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব বলছে, পুঁজিবাজারের জন্য ৪১ ব্যাংক এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছে। আর ২০টি ব্যাংক এখনও তহবিল গঠন করেনি।

এর মধ্যে ২৭ ব্যাংক বিনিয়োগ করেছে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। হাতে আছে এখনও ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

অর্থাৎ ব্যাংকগুলোতে যে পরিমাণের তহবিল গঠন হয়েছে, তার মাত্র ৪০ শতাংশ বিনিয়োগে এসেছে।

শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো অতিমাত্রায় সতর্ক। আর বাংলাদেশ ব্যাংকও এ বিষয়ে কোনো চাপ দিচ্ছে না। কর্মকর্তারা বলছেন, আইন অনুযায়ী পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য তারা কোনো ব্যাংককে বাধ্য করতে পারেন না। এ জন্য ব্যাংকগুলোর বিবেচনার ওপর ছেড়ে দিয়েছেন তারা। তবে পুঁজিবাজার ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হচ্ছে। এই অবস্থা স্থায়ী হলে ব্যাংকগুলো নিজেরাই শেয়ার কিনবে।

সূচকের সঙ্গে বাড়ছে তহবিল-বিনিয়োগ

গত দুই মাসে পুঁজিবাজারে সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়ছে তহবিল ও বিনিয়োগের পরিমাণ।

গত মার্চ পর্যন্ত ২৬টি ব্যাংক ২ হাজার ৯০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করে। সে সময় বিনিয়োগ ছিল ১ হাজার ৩৭ কোটি টাকা।

গত বছরের আগস্ট থেকে পুঁজিবাজারে টানা উত্থান চলতে থাকে জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাজার যায় সংশোধনে। ৫ এপ্রিল লকডাউন শুরুর দিন থেকে আবার শুরু হয় উত্থান।

৩১ মার্চ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছিল ৫ হাজার ৬০২ পয়েন্ট। সেখান থেকে সূচক সাড়ে পাঁচ শ পয়েন্ট বেড়ে এখন হয়েছে ৬ হাজার ৫৩ পয়েন্টে।

শেয়ারের দর বৃদ্ধির এই সময়টিতে গত আড়াই মাসে বিশেষ তহবিলের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। আর এ সময়ে বিনিয়োগও বেড়েছে ৩৬৩ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মাসুদ বিশ্বাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ব্যাংকগুলোকে একটা সুবিধা দেয়া হয়েছে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য। এটা ব্যাংক ইচ্ছামতো করতে পারবে। ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের পলিসি সাপোর্ট আছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারও রয়েছে। কোনো ব্যাংক আমাদের কাছে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের অনুমতি চাইলে আমরা অনুমতি দিই।’

তবে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতেই হবে, বিষয়টি এমন নয়।

মাসুদ বিশ্বাস বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সব পলিসি মেনেই তারা বিনিয়োগ করেছে এবং করতে পারে। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোনো চাপ দেয়া হয়নি।’

কোন ব্যাংকের কত টাকার তহবিল

সবচেয়ে বেশি ২০০ কোটি টাকার তহবিল করেছে আটটি ব্যাংক। এগুলো হলো সোনালী, জনতা, অগ্রণী, ওয়ান, ইউসিবি, এনসিসিবিএল, ইসলামী ও মার্কেন্টাইল ব্যাংক।

আর এই বিশেষ তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছে সোনালী, জনতা, অগ্রণী, আইএফআইসি, ইউসিবি ও রূপালী ব্যাংক।

বিশেষ তহবিল গঠন করেছে এক্সিম, সিটি, রূপালী, পূবালীসহ আরও ১৯ ব্যাংক। তবে সবগুলোর নাম এখন পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, যারা তহবিল গঠন করেছে, তাদের বেশির ভাগই ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছে।

যা বলছে ব্যাংকগুলো

অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহম্মদ শামস-উল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঋণ দেয়ায় যেমন ঝুঁকি আছে, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগেও ঝুঁকি আছে। তবে এসব ঝুঁকি নিয়েই বিনিয়োগ করতে হবে।

‘এ ঝুঁকি আমাদের জন্য আশীর্বাদ, মুনাফা নিয়ে আসে। এগুলো নির্ভর করে প্রতিটি ব্যাংকের পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্টের ওপর। এ জন্য সরকারি-বেসরকারি সব ব্যাংককেই নির্দ্বিধায় পুঁজিবাজারে আসা উচিত।’

রূপালী ব্যাংকের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা শওকত জাহান খান বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী মূলধনের ২৫ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা যাবে। অন্য ব্যাংক কেন বিনিয়োগ করছে না, সেটা আমি বলতে পারব না।’

তবে পুঁজিবাজারে ভালো শেয়ার না বাড়িয়ে কেবল বিনিয়োগ বাড়ালে সেটি ঝুঁকি তৈরি করবে বলে মনে করেন এই ব্যাংকার।

তিনি বলেন, ‘ইস্যু (শেয়ার) না বাড়িয়ে যদি মানি ফ্লো বাড়ানো হয়, সে ক্ষেত্রে খারাপ শেয়ারগুলো অতিমূল্যায়িত হয়ে যাবে। তখন বিনয়োগকারীরা সমস্যায় পড়ে, পরে হতাশায় ভোগে।

‘বাজার অতিমূল্যায়িত হোক, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা হতাশাগ্রস্ত হোক– এটা আমরা কখনও চাই না। ২০১০-১১ সালের মতো ঘটনা শেয়ারবাজারে হোক এটা চাই না। এ জন্য যত দ্রুত সম্ভব মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, সরকারি কোম্পানি বাজারে নিয়ে আসা উচিত।’

বিশেষ তহবিল কবে

২০২০ সালের শুরুতে পুঁজিবাজারের টানা দরপতন সামাল দিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ১০ ফেব্রুয়ারি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য তহবিল গঠন-সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, তফসিলি ব্যাংকগুলো ট্রেজারি বিল ও বন্ড রেপোর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ২০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করতে পারে। ব্যাংকগুলো চাইলে নিজস্ব উৎস থেকেও এমন তহবিল গঠন করতে পারে।

ওই বিশেষ তহবিলের সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক নিজস্ব পোর্টফোলিওতে ব্যবহার করতে পারবে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে গঠন করা বিশেষ তহবিল ২০২৫ সাল পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবে ব্যাংক, যা পুঁজিবাজারে ব্যাংক কোম্পানি আইনের বর্ণিত বিনিয়োগ গণনার বাইরে থাকবে।

তহবিলের অর্থ শুধু পুঁজিবাজারের ২১৭টি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা যাবে, যা পুঁজিবাজারে ব্যাংক কোম্পানি আইনের বর্ণিত বিনিয়োগ গণনার বাইরে থাকবে। ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি কোম্পানির নিজস্ব নতুন পোর্টফোলিও গঠনের জন্য ঋণ হিসেবে তহবিলের ২০ শতাংশ দেয়া যাবে।

অন্য ব্যাংকের বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাবসিডিয়ারি মার্চেন্ট ব্যাংক বা ব্রোকারেজ হাউসের নিজস্ব নতুন পোর্টফোলিওর জন্য ৩০ শতাংশ এবং অন্যান্য মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসের নিজস্ব নতুন পোর্টফোলিও গঠনের জন্য তহবিলের ১০ শতাংশ ঋণ হিসেবে দেয়া যাবে।

এই বিশেষ সুবিধায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনের সুযোগ হয়।

আরও পড়ুন:
কালোটাকায় চাঙা পুঁজিবাজার: অর্থমন্ত্রী
বাজেট: পুঁজিবাজারে বাড়তে পারে লভ্যাংশ
পুঁজিবাজারে ‘ছয় হাজারের যুদ্ধ’, উত্থানে ফিরল ব্যাংক
ব্যাংকের ঢালাও পতন, বিমায় উত্থান
টিকার অনিশ্চয়তায় দর হারাচ্ছে বেক্সিমকো ফার্মা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Accused in Natore murder case hacked to death

নাটোরে হত্যা মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা

নাটোরে হত্যা মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা ছবি: নিউজবাংলা
২০২১ সালে ১১ জুলাই বাগাতিপাড়ার সীমান্তবর্তী রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের হরিপুরে অনার্সপড়ুয়া ছাত্র জাকির হোসেন ছুরিকাঘাতে হত্যার শিকার হন। মোহন আলী ওই হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় হত্যা মামলার আসামি মোহন আলীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চকমহাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মোহন ওই গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে।

বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি নান্নু খান জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোহন তার ব্যাটারিচালিত ভ্যানটি মেরামতের জন্য পার্শ্ববর্তী বাঘা উপজেলার খাগড়বাড়িয়া বাজারে যান। ফেরার পথে রাত ১০টার দিকে বাগাতিপাড়ার চকমহাপুর এলাকায় পৌঁছালে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ওই রাতেই তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হলে ঢাকা নেয়ার পথে ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

ওসি আরও জানান, ২০২১ সালে ১১ জুলাই বাগাতিপাড়ার সীমান্তবর্তী রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের হরিপুরে অনার্সপড়ুয়া ছাত্র জাকির হোসেন ছুরিকাঘাতে হত্যার শিকার হন। মোহন আলী ওই হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।

নিহতের মা হনুফা বেগম জানান, হত্যা মামলায় আসামি হওয়ায় তার ছেলে মোহন কারাগারে ছিল। প্রায় চার মাস আগে জামিনে মুক্ত হয়ে সে বাড়ি ফেরে। বাড়িতে আসার পর থেকেই মোহনকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছিলেন জাকিরের স্বজনরা।

পূর্বপরিকল্পিতভাবে জাকিরের স্বজনরা মোহনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন হনুফা বেগম। তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে এ ঘটনায় নিহত মোহনের মামা আয়নাল আলী বাদী হয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানায় শুক্রবার সকালে একটি হত্যা মামলা করেছেন। ওই মামলায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
No political case against BNP PM

বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী

বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফোকাস বাংলা
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “তারা (বিএনপি) যেভাবে বলছে তাদের ৬০ লাখ লোক গ্রেপ্তার হয়েছ, ৬০ লাখ লোক ধারণ করার ক্ষমতাও নাই এসব জেলে। তারপরও যতটুকু ধারণ ক্ষমতা আছে সবই বিএনপির লোক এটাই তো তারা বলতে চাচ্ছে। তার মানে বাংলাদেশে যত অপরাধ সব অপরাধ করে বিএনপি।”

বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলাই রাজনৈতিক নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অগ্নিসংযোগ, গ্রেনেড হামলা, আগ্নেয়াস্ত্র চোরাচালান ও দুর্নীতির মতো সুনির্দিষ্ট ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তরাই এ সংক্রান্ত মামলার আসামি হয়েছেন।

তিনি বলেন,“আজকে তারা (বিএনপি) সব জায়গায় কান্নাকাটি বলছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা। তাদের জিজ্ঞেস করতে হবে মামলাগুলো কীসের মামলা? অগ্নিসন্ত্রাস, অস্ত্রপাচার, গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন অপরাধের মামলা। তারা অপরাধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সেটাই তো বাস্তবতা।”

এসব মামলাগুলো দ্রুত শেষ করে এগুলোর শাস্তি দিয়ে দেয়া উচিত বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা শুক্রবার সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন। খবর বাসসের

২০১৩ ও ১৪ সালে নির্বাচন বানচালের জন্য এবং পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাস ও সহিংসতার প্রসংগ টেনে তিনি বলেন, তারা ৩ হাজার ৮০০ গাড়ি পুড়িয়েছে, বাস, লঞ্চ ও রেল পুড়িয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে না তো কি হবে।

তিনি বলেন, ওদের বিরুদ্ধে কোনো মামলাইতো পলিটিক্যাল মামলা না, প্রত্যেকটা মামলা হচ্ছে অগ্নিসন্ত্রাসের মামলা। তারা মানুষ হত্যা করেছে আগুন দিয়ে। নির্বাচন ঠেকাতে যেয়ে তারা রেলে আগুন দিয়ে মা-শিশুকে পুড়িয়ে মেরেছে, যারা এগুলো করলো তাদের বিরুদ্ধে কি মামলা হবে না?

“যারা এগুলো করলো তাদের বিরুদ্ধে কি মামলা হবে না? তাদেরকে কি মানুষ পূজা করবে,” সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।

বিএনপির নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কান্নাকাটি করে তারা সব জায়গায় বলছে এত লাখ লোক তাদের গ্রেপ্তার। সারা দেশে যত জেলখানা আছে সেগুলোর একটা ধারণ ক্ষমতা রয়েছে, তারা যত লক্ষ গ্রেপ্তার হয়েছে বলছে জেলখানাগুলোর তত ধারণ ক্ষমতা নেই।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “তারা (বিএনপি) যেভাবে বলছে তাদের ৬০ লাখ লোক গ্রেপ্তার হয়েছ, ৬০ লাখ লোক ধারণ করার ক্ষমতাও নাই এসব জেলে। তারপরও যতটুকু ধারণ ক্ষমতা আছে সবই বিএনপির লোক এটাই তো তারা বলতে চাচ্ছে। তার মানে বাংলাদেশে যত অপরাধ সব অপরাধ করে বিএনপি।”

শেখ হাসিনা বলেন, তাদের ভাগ্য ভালো আমরা ক্ষমতায় আছি, আমরা তাদের মতো প্রতিশোধপরায়ণ না, তাই তারা এখনো কথা বলার সুযোগ পায়। তারা সারাদিন কথা বলে মাইক লাগিয়ে, তারপর বলবে কথা বলার সুযোগ পায় না।

বিরোধী দলে থাকার সময়কার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অফিসেতো আমরা ঢুকতেই পারতাম না। কীভাবে তারা অত্যাচার করেছে আমাদের ওপর, আমরা তো তার কিছুই করি নাই। আমরা প্রতিশোধ নিতে ব্যস্ত থাকিনি। আমরা আমাদের সব শক্তি-মেধা কাজে লাগিয়েছি দেশের উন্নয়নে, দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাংক অনুসরণ করে সমবায় ভিত্তিক কৃষি নিশ্চিত করে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি দেশের প্রতি ইঞ্চি অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনার মাধ্যমে সার্বিক উৎপাদন বাড়ানোর জন্য তার আহবান পুনর্ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমবায় ভিত্তিক কৃষি চালু করে জমির আইল দূর করে বিপুল পরিমাণ আবাদি জমি রক্ষা করা যেতে পারে। কৃষিতে গবেষণার পাশাপাশি কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “কৃষি গবেষণায় বাংলাদেশ সবচেয়ে সফল। আমাদের সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের উদ্যোগে কৃষিখাতের উন্নয়ন এবং খাদ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থানার পদক্ষেপ সমূহের চুম্বকাংশ তুলে ধরে বলেন, “বাংলাদেশের কৃষি উন্নত হয়েছে, কারণ সরকার কৃষিখাতের গবেষণাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার কৃষি খাতে ২৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন সময়োপযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপের ফলে দেশের খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে।

তিনি বলেন, “একসময় যারা নুন-ভাত বা ডাল-ভাতের কথা ভাবতেন, তারা এখন মাছ-মাংস-ডিমের কথা ভাবেন। তাই যারা সরকারের সমালোচনা করেন, তাদের বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত যে, বাংলাদেশ উন্নত হয়েছে কি না।”

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Middlemen should not take advantage Agriculture Minister

মধ্যস্বত্বভোগীরা যেন সুবিধা নিতে না পারে: কৃষিমন্ত্রী

মধ্যস্বত্বভোগীরা যেন সুবিধা নিতে না পারে: কৃষিমন্ত্রী বোরো ধান কাটা উৎসবে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ। ছবি: নিউজবাংলা
মন্ত্রী বলেন, কৃষকের উৎপাদিত ফসলের সঠিক মূল্য দিতে চায় সরকার। সরকারের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সুনামগঞ্জ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। এখানে বন্যা দুর্যোগ বেশি হয়। খড়াও হয়। জেলা প্রশাসনকে বলেছি, কৃষকদের ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতে।

মধ্যসত্ত্বভোগীরা যেন সুবিধা নিতে না পারে, সিন্ডিকেট করে কৃষকদের যেন বিপদে ফেলতে না পারে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ।

শুক্রবার সকালে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার দেখার হাওরে বোরো ধান কাটা উৎসবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীরা যেন সুবিধা নিতে না পারে, সিন্ডিকেট করে কৃষকদের যেন বিপদে ফেলতে না পারে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা সজাগ থাকলে কৃষকরা বঞ্চিত হবেন না।

মন্ত্রী বলেন, কৃষকের উৎপাদিত ফসলের সঠিক মূল্য দিতে চায় সরকার। সরকারের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সুনামগঞ্জ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। এখানে বন্যা দুর্যোগ বেশি হয়। খড়াও হয়। জেলা প্রশাসনকে বলেছি, কৃষকদের ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতে।

তিনি বলেন, কৃষিকে সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ। কৃষকের ধানের মূল্য নির্ধারণ করতে আগামী পরশু মিটিং করব। দাম নির্ধারণ করে সরকারের কাছে প্রস্তাবনা পাঠাব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, সুনামগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ সাদিক, ১ আসনের সংসদ সদস্য রনজিত চন্দ্র সরকার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The temperature in Chuadanga is 41 3 degrees in severe heat

তীব্র দাবদাহের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১.৩ ডিগ্রিতে

তীব্র দাবদাহের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১.৩ ডিগ্রিতে তীব্র দাবদাহের মধ্যে শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় টিউবওয়েল থেকে পানি পান করছেন এক ব্যক্তি। ছবি: নিউজবাংলা
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘আরও কয়েক দিন এমন দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে, তবে এখনই এই এলাকায় বৃষ্টির কোনো সম্ভবনা নেই।’

তীব্র তাপদাহ চলমান থাকা চুয়াডাঙ্গায় শুক্রবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

টানা তিন দিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে সীমান্তবর্তী জেলাটিতে।

অতি তাপে অতিষ্ঠ চুয়াডাঙ্গার লোকজন। জেলার হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।

প্রচণ্ড গরমে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না তারা।

দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড এলাকার ভ্যানচালক ইকবাল হোসেন বলেন, ‘গত কয়েক দিন থেকি যে তাপ পড়চি মনে হচ্চি যেনে সূর্য মাতার ওপর চলি এসিচে। আজ যেনে সব থেকি বেশি তাপ পড়চি। গা দিয়ি তরতর করি ঘাম ঝরচি।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, সরকারি ছুটির দিন শুক্রবার বিকেল তিনটায় জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘আরও কয়েক দিন এমন দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে, তবে এখনই এই এলাকায় বৃষ্টির কোনো সম্ভবনা নেই।’

হিট অ্যালার্ট

তীব্র দাবদাহে জনসাধারণকে সচেতন করতে হিট এলার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে পথচারী ও এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হচ্ছে।

সতর্কতার অংশ হিসেবে খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে সারা দেশে
দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে ৬ বিভাগে
দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি ঝরতে পারে ঢাকাসহ চার বিভাগে
বিস্তৃত হতে পারে ঢাকাসহ ৬ বিভাগের দাবদাহ
বইছে তাপপ্রবাহ, নেই বৃষ্টির সম্ভাবনা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Shivnarayan Das one of the designers of the national flag has passed away

জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার শিবনারায়ণ দাশের মৃত্যু

জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার শিবনারায়ণ দাশের মৃত্যু বাংলাদেশের প্রথম পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিবনারায়ণ দাশের মৃত্যু হয় রাজধানীর একটি হাসপাতালে। ছবি: ইউএনবি
শিবনারায়ণ দাশের ছেলে অর্ণব আদিত্য দাশ মোবাইল ফোনে ইউএনবিকে বলেন, ‘রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শুক্রবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে বাবা চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।’

বাংলাদেশের প্রথম পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিবনারায়ণ দাশ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঢাকার একটি হাসপাতালে শুক্রবার সকালে শিবনারায়ণের মৃত্যু হয়, যার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

শিবনারায়ণ দাশের ছেলে অর্ণব আদিত্য দাশ মোবাইল ফোনে ইউএনবিকে বলেন, ‘রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শুক্রবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে বাবা চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।’

কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করা শিবনারায়ণ দাশের বাবা সতীশচন্দ্র দাশ। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা তাকে ধরে নিয়ে হত্যা করে।

শিবনারায়ণ দাশের স্ত্রী গীতশ্রী চৌধুরী ও তাদের সন্তান অর্ণব আদিত্য দাশ।

ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন শিবনারায়ণ দাশ। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন অংশগ্রহণ করে কারাবরণ করেন তিনি।

ঢাকার পল্টন ময়দানে ১৯৭০ সালের ৭ জুন অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক সামরিক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশগ্রহণের কথা ছিল। এমন প্রেক্ষাপটে ছাত্রদের নিয়ে একটি জয়বাংলা বাহিনী, মতান্তরে ‘ফেব্রুয়ারি ১৫ বাহিনী’ গঠন করা হয়। ছাত্রনেতারা এ বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়।

এ লক্ষ্যে ১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের (তৎকালীন ইকবাল হল) ১০৮ নম্বর কক্ষে ছাত্রলীগ নেতা আ স ম আবদুর রব, শাহজাহান সিরাজ, কাজী আরেফ আহমদ, মার্শাল মনিরুল ইসলাম পতাকার পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে বসেন।

এ বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা স্বপন কুমার চৌধুরী, জগন্নাথ কলেজের ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা শিবনারায়ণ দাশ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুল হক ইনু ও ছাত্রনেতা ইউসুফ সালাউদ্দিন।

সভায় কাজী আরেফের প্রাথমিক প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে সবার আলোচনার শেষে সবুজ জমিনের ওপর লাল সূর্যের মাঝে হলুদ রঙের বাংলার মানচিত্র খচিত পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়।

কামরুল আলম খান (খসরু) তখন ঢাকা নিউ মার্কেটের এক বিহারির দর্জির দোকান থেকে বড় এক টুকরো সবুজ কাপড়ের মাঝে লাল একটি বৃত্ত সেলাই করে নিয়ে আসেন। এরপর প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কায়েদে আজম হলের (বর্তমানে তিতুমীর হল) ৩১২ নম্বর কক্ষের এনামুল হকের কাছ থেকে অ্যাটলাস নিয়ে ট্রেসিং পেপারে আঁকা হয় পূর্ব পাকিস্তানের মানচিত্র।

শিবনারায়ণ দাশ পরিশেষে তার নিপুণ হাতে মানচিত্রটি আঁকেন লাল বৃত্তের মাঝে। এমনি করে রচিত হয় ফেব্রুয়ারি ১৫ বাহিনীর পতাকা, যা কিছুদিন পর স্বীকৃত হয় বাংলাদেশের প্রথম পতাকা হিসেবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The fire at the Childrens Hospital was extinguished after an hour

প্রায় এক ঘণ্টা পর নিভল শিশু হাসপাতালের আগুন

প্রায় এক ঘণ্টা পর নিভল শিশু হাসপাতালের আগুন ফায়ার সার্ভিস বেলা একটা ৪৭ মিনিটে হাসপাতালের শিশু হৃদরোগ কেন্দ্রে আগুন ধরার খবর পায়। ছবি: নিউজবাংলা
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল জানায়, শুক্রবার বেলা দুইটা ৩৯ মিনিটে আগুন নেভানো হয়।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ধরা আগুন প্রায় এক ঘণ্টা পর নিভিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

বাহিনীর মিডিয়া সেল জানায়, শুক্রবার বেলা দুইটা ৩৯ মিনিটে আগুন নেভানো হয়।

এর আগে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের কর্মকর্তা লিমা খানম নিউজবাংলাকে জানান, বেলা একটা ৪৭ মিনিটে হাসপাতালের শিশু হৃদরোগ কেন্দ্রে আগুন ধরার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাহিনীর পাঁচটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করে।

আগুনে হতাহতের কোনো কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলে জানান এ কর্মকর্তা।

তিনি আরও জানান, আগুন ধরার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয় তদন্তের পর বলা যাবে।

এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বার্তায় জানায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় নৌবাহিনী।

আরও পড়ুন:
এক ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে ফিরিঙ্গি বাজার বস্তির আগুন
সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ড, সরবরাহ বিঘ্নিত
হাজারীবাগে বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড
চট্টগ্রামে এস আলম অয়েল মিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেট কারে আগুন

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Arrested on the charge of embezzlement of fake employment letter in the army

সেনাবাহিনীতে চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র, টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একজন আটক 

সেনাবাহিনীতে চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র, টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একজন আটক  নাটোরের মোহরকয়া ভাঙ্গাপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মিরন ইসলামকে আটক করে র‌্যাব। ছবি: নিউজবাংলা
আটককৃত মিরন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি চাকরিপ্রত্যাশী যুবকদের সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে কৌশলে প্রতারণা করি। আমি সেনাবাহিনীর মনোগ্রামসহ সিলমোহর ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করি। চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে এইভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিই।’

নাটোরের লালপুরে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার কথা বলে ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একজনকে আটক করেছে র‌্যাব।

উপজেলার মোহরকয়া ভাঙ্গাপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তির নাম মিরন ইসলাম।

নাটোর র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ মওদুদ বলেন, ‘মোহরকয়া গ্রামের বুদু মণ্ডলের চাকরিপ্রত্যাশী ছেলেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে মিরন ইসলাম কৌশলে তার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। তার কথায় বিশ্বাস করে শফিকুল বিভিন্ন সময়ে মিরনকে ১০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকা ও অবশিষ্ট চার লাখ ৮০ হাজার টাকার জন্য তার ছেলের নামে নাটোরের লালপুরের উত্তরা ব্যাংকে সঞ্চয়ী হিসাবের তিনটি ফাঁকা চেক প্রদান করেন।

‘এর পরে মিরন ভুক্তভোগীর ছেলের নামে একটি সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে ভর্তির নিয়োগপত্র প্রদান করেন। ভুক্তভোগী সেই নিয়োগপত্র নিয়ে বুদু মন্ডল ছেলেসহ ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই চট্টগ্রামের বায়েজিদ ক্যান্টনমেন্টে গিয়ে নিয়োগপত্রটি সেখানে একজন সেনাবাহিনীর সদস্যকে দেখান। তখন সেনাবাহিনীর সেই সদস্য জানান, নিয়োগপত্রটি ভুয়া। এরপর বুদু মন্ডল বিভিন্ন সময়ে টাকা ফেরত চেয়ে ব্যর্থ হয়ে পরবর্তী সময়ে র‌্যাবের কাছে অভিযোগ করলে র‌্যাব তাকে (মিরন) আটক করে।’

আটককৃত মিরন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি চাকরিপ্রত্যাশী যুবকদের সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে কৌশলে প্রতারণা করি। আমি সেনাবাহিনীর মনোগ্রামসহ সিলমোহর ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করি। চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে এইভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিই।’

মন্তব্য

p
উপরে