× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
পুঁজিবাজারে থাকছে না ওটিসি মার্কেট
google_news print-icon
নিউজবাংলাকে বিএসইসি চেয়ারম্যান ৩

পুঁজিবাজারে থাকছে না ওটিসি মার্কেট

পুঁজিবাজারে-থাকছে-না-ওটিসি-মার্কেট
ওটিসি বলে কিছু রাখা যাবে না। এটা হলে কোম্পানির গভর্নেন্স থাকে না। ইচ্ছামতো চালায়, বিক্রি করে দেয়। জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

পুঁজিবাজারে লোকসানি ও বন্ধ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটে (ওটিসি) থাকছে না কোনো কোম্পানি।

বর্তমানে এই মার্কেটে তালিকাভুক্ত ৬৪টি কোম্পানির মধ্যে ৫০টিরও বেশি স্থানান্তর করা হবে ডিএসইর মূল মার্কেট, এসএমই বোর্ড ও অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড- এটিবিতে। আর ১৩টি কোম্পানি তালিকাচ্যুতির আবেদন করেছে। এর মধ্যে চারটির তালিকাচ্যুতির কাজ এগিয়ে চলছে।

নিউজবাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সংস্থাটির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘ওটিসি বলে কিছু রাখা যাবে না। এটা হলে কোম্পানির গভর্নেন্স থাকে না। ইচ্ছামতো চালায়, বিক্রি করে দেয়। জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’

উৎপাদনে না থাকা, নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না করা, কাগজের শেয়ার রাখা, নিয়ম অনুযায়ী বিএসইসিতে আর্থিক প্রতিবেদন জমা না দেয়া, লভ্যাংশ প্রদান ও সিকিউরিটিজ আইন পরিপালন না করা প্রায় ৬৫টি বেশি কোম্পানিকে মূল মার্কেট থেকে সরিয়ে ওটিসি মার্কেটে নিয়ে যাওয়া হয়।

এমন কোম্পানিগুলোকে নিয়ে ২০০৯ সালে এই ওটিসি মার্কেট গঠন করা হয়।

ওটিসিতে সবশেষ স্থানান্তর করা হয়েছে ইউনাইটেড এয়ার। দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানির কার্যক্রম না থাকার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ওটিসিতে পাঠানোর পর ইলেকট্রনিক শেয়ারে রূপান্তর, কোম্পানিকে মুনাফায় ফিরিয়ে লভ্যাংশ বিতরণ করে মূল মার্কেটে ফিরেছে ইউসিবিএল ব্যাংক, ওয়াটা ক্যামিকেল, সোনালি পেপার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ।

বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওটিসি মার্কেটে যে কোম্পানিগুলো আছে, সবগুলোকেই আমরা নজরদারি করছি। কোন কোম্পানি কী করছে সেগুলো দেখা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘এখানে যে কোম্পানিগুলো আছে, সেগুলোর একেকটির একক ধরনের সমস্যা। কোনোটির ব্যবস্থাপনায় জটিলতা, কিছু কোম্পানি পরিস্থিতির শিকার। কিছু কোম্পানি আছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে। সে কোম্পানিগুলোকে আমরা চিহ্নিত করছি। তাদের পুঁজিবাজার থেকে এক্সিট বা তালিকাচ্যুত করারও পরিকল্পনা আছে।’

পুঁজিবাজারে থাকছে না ওটিসি মার্কেট
বিএসইসি চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। ছবি: নিউজবাংলা

যে চার কোম্পানির ফেরা সময়ের অপেক্ষা

বিএসইসি চেয়ারম্যান জানান তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারার কোম্পানি লিমিটেড, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড এবং মুন্নু ফেব্রিক্স লিমিটেডের ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে ফেরা কেবল ঘোষণার অপেক্ষা।

গত অর্থবছরে মুনাফায় ফিরেছে মুন্নু ফেব্রিক্স। ২০১৯-২০ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয়-ইপিএস বেড়েছে ৬ পয়সা। এ সময়ে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ১১ পয়সা। আগের অর্থবছরের ইপিএস ছিল ৫ পয়সা।

মুন্নু ফেব্রিক্স লিমিটেড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ১৯৯৬ সালে।

২০১৮ সালে ‘বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড’ ও ‘পেপার প্রসেস অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড’ বিনিয়োগকারীদের ২০০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির অনুমোদন না পাওয়ায় তা বণ্টন করা যায়নি।

তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস ২০১৬ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এই কোম্পানিটিও নিয়মিত উৎপাদনে ফিরেছে।

এসএমই ও এটিবি বোর্ড কী

বিএসইসি চেয়ারম্যান জানান, ওটিসি মার্কেটের কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৫টি যাচ্ছে এসএমই বোর্ড বা স্বল্প মূলধনী কোম্পানি জন্য তৈরি করা বোর্ডে। ৩০টি কোম্পানি যাচ্ছে এটিবিতে।

এসএমই বোর্ড ও এটিবিতে যেসব কোম্পানি থাকবে, সেগুলো প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওতে টাকা তুলতে পারবে না। সেগুলো টাকা তুলতে পারবে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের থেকে।

যদি কোম্পানিগুলো ভালো করতে পারে, পরে সেগুলো আইপিওর মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবে।

তালিকাচ্যুতির আবেদন ১৩টির

বিএসইসি চেয়ারম্যান জানান, ১৩টি কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হতে আবেদন করেছে।

তিনি বলেন, ‘চারটির অলরেডি কাজ শুরু হয়ে গেছে। কোর্টের একটা অর্ডার পেন্ডিং আছে। দুটিকে আমরা একটু ডেকে দেখছি কী হয়।’

এসব কোম্পানি কোনগুলো সেগুলো অবশ্য জানাননি বিএসইসি চেয়ারম্যান।

এসব কোম্পানি জনগণের কাছ থেকে টাকা তুলে এর বিনিময়ে কিছু দেয়নি। এখন তাদের মালিকদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা হবে? এমন প্রশ্নে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘যারা টাকা উঠিয়ে চলে গেছে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করব।’

বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কোনো কোম্পানিকে তালিকাচ্যুত করা হলেও সেটি একসঙ্গে হবে না। পুঁজিবাজারের অবস্থা বিবেচনায় সময় সময় তা বাস্তবায়ন করা হবে।’

কোম্পানিকে তালিকাচ্যুতের সুযোগ

এর আগে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটের ২১ কোম্পানির কাছে ১১ তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠায় বিএসইসি। যেখানে কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদ, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) ও কোম্পানির সচিবকে বিএসইসিতে তলব করা হবে।

জানতে চাওয়া ১১টি বিষয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল কোম্পানির সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, বর্তমান আর্থিক অবস্থার প্রতিবেদন, সব সম্পত্তির বর্তমান অবস্থা, উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের বর্তমান শেয়ার ধারণের অবস্থা।

এরপর ৩০ ডিসেম্বর বিএসইসির ওটিসি মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে সাত শর্তে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হওয়ার সুযোগ দেয়া হয়।

এ জন্য কোম্পানির দুই বছরের বেশি সময় বাণিজ্যিক উৎপাদন না থাকলে, পরিশোধিত মূলধন থেকে পুঞ্জীভূত লোকসান বেশি হলে ও তিন বছর ধরে লোকসান থাকলে তালিকাচ্যুত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে কোম্পানি।

একই সঙ্গে নগদ লভ্যাংশ দিতে টানা তিন বছর ব্যর্থ হলে, টানা দুই বছর বার্ষিক সাধারণ সভা করতে না পারলে, ডেবট সিকিউরিটিজের বিপরীতে টানা তিন কিস্তি সুদ বা কুপন বা মুনাফা দিতে না পারলে, ডেবট সিকিউরিটিজের দুই কিস্তি দিতে ব্যর্থ হলেও এই নির্দেশনায় অন্তর্ভুক্ত হবে কোম্পানিগুলো।

আরও পড়ুন:
দ্বিতীয় ধাপে উঠছে ৩২ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
5 killed in collision between two separate buses and two three wheelers in Barisal

বরিশালে পৃথক দুই বাসের সঙ্গে দুই থ্রি হুইলারের সংঘর্ষ, নিহত ৫

বরিশালে পৃথক দুই বাসের সঙ্গে দুই থ্রি হুইলারের সংঘর্ষ, নিহত ৫ শেবাচিম হাসপাতালে উৎসুক জনতার ভিড়। ছবি: নিউজবাংলা
দুই থানার ওসিরা বলেন, ‘ঘটনার পর দুর্ঘটনা কবলিত দুই যানবাহন সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। বাস আটক করা হলেও চালকসহ কাউকে আটক করা হয়নি।’

বরিশাল নগরী ও ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় পৃথক দুই যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে দুটি থ্রি হুইলারের পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া পৃথক এ দুই দুর্ঘটনায় আহত হয়ে অজ্ঞাত এক নারীসহ আরও চারজন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে পৃথক দুই দুর্ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন নলছিটি ও মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ওসি।

নলছিটিতে দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- থ্রি হুইলারচালক বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া গ্রামের খোকন হাওলাদারের ছেলে ৪৫ বছর বয়সী জসিম হাওলাদার, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কাবদেবপুর গ্রামের আজিজ খানের ছেলে ৪০ বছর বয়সী রাজিব খান ও একই উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের নলবুনিয়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী ৩৫ বছর বয়সী সুরভী আক্তার।

বরিশাল নগরীর কলসগ্রাম এলাকায় নিহতরা হলেন- বরিশাল সিটি করপোরেশনের পানি শাখার কর্মচারী ও বাবুগঞ্জ উপজেলার ছয় মাইল এলাকার আলতাফ হাওলাদারের ছেলে ৩২ বছর বয়সী মো. সেন্টু হাওলাদার ও একই উপজেলার রহমতপুর এলাকার যশোধা জীবন লাল দাসের ছেলে থ্রি হুইলারচালক ৫০ বছর বয়সী মতি লাল দাস।

নলছিটি থানার ওসি মো. মুরাদ আলী জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বেপারী পরিবহনের একটি বাস কুয়াকাটা যাচ্ছিল। বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা বাসস্ট্যান্ড থেকে ৫ যাত্রী নিয়ে একটি থ্রি হুইলার নগরীর রুপাতলী বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশে যাচ্ছিল। নলছিটি উপজেলার জিরো পয়েন্ট এলাকায় দুই যানবাহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে থ্রি হুইলারচালক জসিম ও যাত্রী রাজিব নিহত হন। আহত অবস্থায় চারজনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুরভীর মৃত্যু হয়।

ওসি বলেন, ‘ঘটনার পর দুর্ঘটনা কবলিত দুই যানবাহন সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। বাস আটক করা হলেও চালকসহ কাউকে আটক করা হয়নি।’

মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার এসআই মো. আব্দুস সালাম বলেন, ‘মাগরিবের আজানের পর বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ব্রিজ থেকে বরিশাল নগরীর রুপাতলী বাস টার্মিনালের উদ্দেশে যাত্রী নিয়ে থ্রি হুইলারটি রওনা দেয়। সেটি বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের কলসগ্রাম এলাকায় পৌঁছালে চাকলাদার পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে থ্রি হুইলার থেকে ছিটকে পড়ে তিনজন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শেরই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।’

এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. লোকমান হোসেন বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর আহত তিনজনের মধ্যে দুজন মারা গেছে। একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর চাকলাদার পরিবহনের চালকসহ বাস আটক করা হয়েছে।’

উভয় দুর্ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুই থানার ওসি।

আরও পড়ুন:
সড়কে ঝরে গেলেন জীবনযুদ্ধে হার না মানা রুবেল
যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় ইউনিক গ্রুপের এমডির মেয়ের মৃত্যু
ধামরাইয়ে ‘সেলফি’ পরিবহনের রেষারেষিতে নিহত ২

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Natos BNP leader died in hospital after being sick in prison

কারাগারে অসুস্থ, হাসপাতালে মৃত্যু নাটোর বিএনপি নেতার

কারাগারে অসুস্থ, হাসপাতালে মৃত্যু নাটোর বিএনপি নেতার এ কে আজাদ সোহেল নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছবি: সংগৃহীত
নাটোর জেলা কারাগারের জেলার মোশফিকুর রহমান জানান, ২১ নভেম্বর এ কে আজাদ সোহেলকে জেলহাজতে নিয়ে আসা হয়। তিনি নাশকতার মামলার আসামি ছিলেন। ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় অসুস্থ হলে প্রথমে তাকে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহী মেডিক্যালে স্থানান্তর করেন। পরে তিনি রাজশাহী কারাগারের আওতায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।

নাটোর জেলা কারাগারে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ‍মৃত্যু হয়েছে এ কে আজাদ সোহেল নামের এক বিএনপি নেতার।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

প্রাণ হারানো সোহেল নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

সিংড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান লেলিন জানান, গত ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় এ কে আজাদ সোহেলকে আটক করে কারাগারে পাঠায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে ৩০ নভেম্বর আদালত থেকে তার জামিন নেয়া হয়। কারাগার থেকে সোহেলকে আনতে গেলে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, অসুস্থ থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘সোহেলকে রাজশাহী মেডিক্যালের বারান্দার বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়। জামিনের পরে কারা কর্তৃপক্ষের মারফতে পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনা জানলে তারা গিয়ে সোহেলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়।’

নিহতের বড় ভাই শামীম হোসেন জানান, বিনা অপরাধে তার ভাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কারাগারে অসুস্থ হয়ে রাজশাহীতে মারা যায় সে।

নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ বলেন, ‘এ কে আজাদ সোহেলকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠায় পুলিশ। সেখানে নির্যাতনের পরে সে স্ট্রোক করে, কিন্তু সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয়।’

এ বিষয়ে নাটোর জেলা কারাগারের জেলার মোশফিকুর রহমান জানান, ২১ নভেম্বর এ কে আজাদ সোহেলকে জেলহাজতে নিয়ে আসা হয়। তিনি নাশকতার মামলার আসামি ছিলেন। ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় অসুস্থ হলে প্রথমে তাকে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহী মেডিক্যালে স্থানান্তর করেন। পরে তিনি রাজশাহী কারাগারের আওতায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।

সোহেলের অসুস্থতার কথা পরিবারকে জানানো হয়েছিলো কি না, এমন প্রশ্নে জেলার বলেন, ‘প্রতিনিয়তই অনেকে এ রকম অসুস্থ হয়। রাজশাহীর দূরত্ব অল্প হওয়ায় পরিবারকে খবর দেয়া তখন জরুরি মনে হয়নি।’

আরও পড়ুন:
প্রগতি সরণিতে বৈশাখীর বাসে আগুন
‘আত্মাগোপনে’ থাকা রিজভীর নেতৃত্বে রাজশাহীতে বিএনপির ঝটিকা মিছিল
রাজধানীতে এক স্থানে একযোগে তিন বাসে আগুন
বিএনপির মানববন্ধনের অনুমতির বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি: ডিএমপি
মুন্সীগঞ্জে অবরোধের সমর্থনে যুবদল-ছাত্রদলের মিছিল

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Waterlogging in canal filling Farmers in cycle of crop failure

নালা ভরাটে জলাবদ্ধতা: ফসল নষ্টের চক্রে কৃষক

নালা ভরাটে জলাবদ্ধতা: ফসল নষ্টের চক্রে কৃষক জলাবদ্ধতার কারণে পাকার আগেই খেতে নষ্ট হচ্ছে আমন ধান। ছবি: নিউজবাংলা
আগে থেকে থাকা নালাটি ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণেই প্রতি বছর এমন ভোগান্তি পোহাতে হয় কৃষকদের। বোরো মৌসুমে তো পানি থাকেই, শুকনো আমন মৌসুমেও ধানখেতে থাকে হাঁটুপানি। আবার বৃষ্টির সময় তলিয়ে যায় বীজতলা। সব মিলিয়ে একটি নালা খনন এখন ওই অঞ্চলের কৃষকদের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

খেতের পাকা আমন ধান অনেকেই এখনও কেটে ঘরে তুলতে পারেননি; অনেকে আবার কাটেননিও। কিন্তু তার আগেই ভিজে এসব ধান নষ্ট হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গাইবান্ধার সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের রাধাকৃষ্ণপুরের ধানচাষিদের কপালে তাই এখন দুশ্চিন্তার ছাপ।

জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে নষ্ট হচ্ছে ওই অঞ্চলের পাকা আমন ক্ষেত। একদিকে পানিতে পড়েছে ধান, অপরদিকে শ্রমিক সংকট এবং বাড়তি মজুরির চাহিদায় দিশেহারা এ এলাকার কৃষক। হাড়ভাঙা খাটুনি আর ধার-দেনা করে উৎপাদিত ফসল থেকে লাভবান হওয়া তো দূরের কথা, পুঁজি উঠবে কি না- তা নিয়ে আশঙ্কায় দিন কাটছে তাদের।

আগে থেকে থাকা নালাটি ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণেই প্রতি বছর এমন ভোগান্তি পোহাতে হয় কৃষকদের। বোরো মৌসুমে তো পানি থাকেই, শুকনো আমন মৌসুমেও ধানখেতে থাকে হাঁটুপানি। আবার বৃষ্টির সময় তলিয়ে যায় বীজতলা। সব মিলিয়ে একটি নালা খনন এখন ওই অঞ্চলের কৃষকদের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

স্থানীয় কৃষি-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘এই এলাকার পানি নিষ্কাশনের কোনো নালা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতার কারণেই পাকা আমন ধান পানিতে পড়েছে।’

কৃষকরা জানান, হাল, সার, বীজ, কীটনাশক থেকে শুরু করে সেচ, নিড়ানি ও ধান কাটা পর্যন্ত যে পরিমাণ খরচ হয়েছে, ধান ঘরে তুলতে না পারলে সেই খরচ কীভাবে উঠবে তাদের। এদিকে এ বছরের আমন মৌসুমে অনাবৃষ্টি বা অতি খরার কারণে চাষাবাদের প্রথম পর্যায়ে দফায় দফায় সেচ দিতে গিয়ে গুনতে হয়েছে বাড়তি টাকা; কীটনাশকেও খরচ হয়েছ দ্বিগুণ।

তাদের দাবি, শুধু এই আমন মৌসুমেই নয়, আমন-ইরির দুই মৌসুমেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে তাদের। জলাবদ্ধতার কারণে নষ্ট হয় বীজতলাও। এ ছাড়া এ কারণে একদিকে যেমন সঠিক সময়ে ব্যাহত হয় চারা রোপন, অন্যদিকে কোনো কোনো মৌসুমে অপরিপক্ক কাঁচা ধানই কাটতে হয় চাষিদের। এসব ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে জরুরি ভিত্তিতে ওই এলাকায় নালা খননের দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।

নালা ভরাটে জলাবদ্ধতা: ফসল নষ্টের চক্রে কৃষক

সরেজমিনে সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের পশ্চিম রাধাকৃষ্ণপুর (ভেলাকোপা) গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পাকরিছিড়া নামক সেতুর উত্তরের পাথারের ফসলের মাঠে পানির মধ্যে ধান কাটছেন চাষি-শ্রমিকরা। ওই এলাকার আমন ধানের জমিগুলোতে এখনও প্রায় হাঁটু পরিমাণ পানি। কোনো কোনো জমিতে পানির পরিমাণ হাঁটুর বেশ নিচে হলেও কাদাপানিতে মিশে গেছে ধানগাছ। যেসব জমির ধানগাছ বেশিদিন ধরে পানিতে পড়ে আছে, সেগুলো প্রায় পঁচে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। কৃষকরা অনেকটা বিরক্ত পরিবেশেই জমির ধান কাটছেন। এ ছাড়া এ ব্রিজের পশ্চিম-উত্তরে এসকেএসইন সংলগ্ন এলাকায় ও ভেলাকোপা ব্রিজের পূর্ব-পশ্চিম পাশের কিছু জমিতেও একই অবস্থা দেখা গেছে। আটকে থাকা পানি আসলে গেল বর্ষা মৌসুমের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পানি নিষ্কাশনের জন্য সাদুল্লাপুর থেকে আসা নালাটি তুলসিঘাট হয়ে পশ্চিম রাধাকৃষ্ণপুর গ্রামের ওপর দিয়ে বোয়ালী ইউনিয়নের আলাই নদীতে গিয়ে সংযুক্ত হয়। প্রায় ত্রিশ বছর পূর্বে প্রতিবছরই বড় বন্যা হওয়ার কারণে নালার প্রয়োজন নেই মনে করে রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের কাদের মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে পূর্ব রাধাকৃষ্ণপুর পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার নালা (৮ নম্বর বোয়ালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ওই অংশ) জমির মালিকরাই ভরাট করে ফেলেন। কিন্তু বর্তমানে বন্যার পানি আর অতিবৃষ্টিতে কয়েকটি ইউনিয়নের পানি সাদুল্লাপুর থেকে আসা নালা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এই এলাকায় এসে পড়ে। আর এই এলাকায় অর্থাৎ ৮ নম্বর বোয়ালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড অংশে পানি নিষ্কাশনের কোনো নালা না থাকা আর জমিগুলো তুলনামূলক নিচু হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে প্রতিবছরই ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে দেড় শতাধিক ধানচাষিকে।

তবে, ওই এলাকার কৃষকদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের মৃত কাদের মিয়ার বাড়ির সামনের নালা হতে বোয়ালী ইউনিয়নের পূর্ব রাধাকৃষ্ণপুর নালা পর্যন্ত মাত্র ২ থেকে আড়াই কি.মি. নতুন নালা খনন করে উভয় পাশের পুরাতন নালায় সংযোগ স্থাপন করা হলে এই জলাবদ্ধতা থাকবেনা বলে জানান স্থানীয় কৃষকরা। ওই অংশে নালা খনন করা হলে দ্রুক পানি নেমে গিয়ে একদিকে যেমন নিরসন হবে জলাবদ্ধতা, অন্যদিকে তিন ফসলি চাষাবাদের সুযোগ সৃষ্টি হয়ে কৃষক লাভবান হবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

নালা ভরাটে জলাবদ্ধতা: ফসল নষ্টের চক্রে কৃষক

ওই গ্রামের গৃহস্থ কৃষক জফের উদ্দিন দুদু বলেন, ‘দ্রুত পানি নেমে যাওয়ার কোনো নালা না থাকায় প্রতি বছরই বিশেষ করে আমন মৌসুমে প্রায় তিন শ’ বিঘা জমির ফসল বিভিন্নভাবে নষ্ট হয়। এ সময় পানিতে ধান কাটতে কামলা (শ্রমিক) পাওয়া যায় না। গেলেও দ্বিগুণ মজুরি গুনতে হয়। আর এতে করে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’

বর্গাচাষি মধু মিয়া বলেন, ‘ধার-দেনা করে এক বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। সেই ধান পানিতে পড়েছে। এতে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে তা-ই উঠবেনা। দুই পাশেই নালা আছে, এখানেও নালা খনন খুবই দরকার।’

একই গ্রামের গৃহস্থ শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু আমন মৌসুমেই নয়, বোরো মৌসুমেও পানির মধ্যে ধান কাটতে হয়। জলাবদ্ধতার কারণে নষ্ট হয় বীজতলাও। আবার অনেক সময় চারা রোপনের কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টি হলে চারা তলিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। আমরা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি।’

জলাবদ্ধতা নিরসনসহ কৃষকদের তিন ফসলের চাষাবাদের সুযোগ সৃষ্টি করতে ওই অংশে নালা খননের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ঠদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাস সাবু বলেন, ‘কৃষকদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে নালা খননে পরিষদের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ওই এলাকায় নালা খনন অপরিহার্য। তাতে কৃষকেরা ক্ষতি থেকে বাঁচবে এবং তিনটি ফসল চাষাবাদ করে তারা লাভবানও হবে।’

এ ব্যাপারে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহামুদ আল হাসান মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সামনে আমরা আলাই নদী নিয়ে একটা প্রজেক্ট (প্রকল্প) হাতে নিচ্ছি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে ওই এলাকায় নালা খননে দ্রুতই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
OC transfer of 338 police stations across the country including 33 of DMP

ডিএমপির ৩৩টিসহ সারা দেশের ৩৩৮ থানার ওসি বদলি

ডিএমপির ৩৩টিসহ সারা দেশের ৩৩৮ থানার ওসি বদলি
গত ৩০ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে যেসব থানার ওসিদের বর্তমান কর্মস্থলে ছয় মাসের বেশি চাকরির মেয়াদ হয়েছে, তাদের অন্যত্র বদলি করতে চিঠি দেয় ইসি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার ৩৩৮ থানার ওসির বদলির প্রস্তাব পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৩৩টি থানাসহ সারা দেশের ৩৩৮টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুমোদনে পর ওসিদের এ বদলি কার্যক্রম শুরু হয়।

বৃহস্পতিবার পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশের ৩৩৮ থানার ওসিকে বদলির অনুমোদন দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

গত ৩০ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে যেসব থানার ওসিদের বর্তমান কর্মস্থলে ছয় মাসের বেশি চাকরির মেয়াদ হয়েছে, তাদের অন্যত্র বদলি করতে চিঠি দেয় ইসি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার ৩৩৮ থানার ওসির বদলির প্রস্তাব পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর ওসি বদলির অনুমোদন দেয় নির্বাচন কমিশন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
155 people appealed on the third day to return the candidature

প্রার্থিতা ফেরাতে তৃতীয় দিনে ১৫৫ জনের আপিল

প্রার্থিতা ফেরাতে তৃতীয় দিনে ১৫৫ জনের আপিল নির্বাচন কমিশন ভবন। ফাইল ছবি
ইসি জাহাংগীর আলম বলেন, ‘বাতিল হওয়া ৭৩১ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রথম দিন আপিল করেছিলেন ৪২ জন, দ্বিতীয় দিন করেন ১৪১ জন আর তৃতীয় দিনে করেছেন ১৫৫ জন। সব মিলিয়ে আজ পর্যন্ত আপিল করেছেন ৩৩৮ জন।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার বাতিল করা মনোনয়ন ফিরে পেতে তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার ইসিতে আপিল করেছেন ১৫৫ জন প্রার্থী। এ নিয়ে গত তিন দিনে মোট আপিলের সংখ্যা ৩৩৮ হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব ও মুখপাত্র মো. জাহাংগীর আলম।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে নিয়ে কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বাতিল হওয়া ৭৩১ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রথম দিন আপিল করেছিলেন ৪২ জন, দ্বিতীয় দিন করেন ১৪১ জন আর তৃতীয় দিনে করেছেন ১৫৫ জন। সব মিলিয়ে আজ পর্যন্ত আপিল করেছেন ৩৩৮ জন।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ৩৩৮ জন থানার ওসি বদলিতে সম্মতি জ্ঞাপন করেছে। একইসঙ্গে ইউওনদের বদলির ক্ষেত্রে তিন ধাপে প্রস্তাব এসেছিল; প্রথম ধাপে ৪৭ জন, দ্বিতীয় ধাপে ১১০ জন এবং তৃতীয় ধাপে ৪৮ জন। মোট ২০৫ জনের বদলির প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশন সম্মতি দিয়েছে।’

এছাড়া ৪০তম বিসিএস থেকে উপজেলা থানা নির্বাচন অফিসার হিসেবে নন ক্যাডার ৮৩ জনকে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ প্রদান করেছে। তারা ১২ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে যোগদান করবেন বলে জানান তিনি।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
BNPE is the countrys first kings party Information Minister

বিএনপিই দেশের প্রথম কিংস পার্টি: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপিই দেশের প্রথম কিংস পার্টি: তথ্যমন্ত্রী তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ছবি: নিউজবাংলা
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশজুড়ে এক মাসের বেশি সময় ধরে যে অগ্নিসন্ত্রাস পরিচালনা করা হচ্ছে, অনেক মানুষ এই অগ্নিসন্ত্রাসের বলি হয়েছে। নাগরিক সমাজ বা বুদ্ধিজীবী বলে যারা পরিচিত তারা এ নিয়ে নিশ্চুপ। এরা সুবিধাবাদী এবং এদের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে।’

দেশের সুবিধাবাদী বুদ্ধিজীবীদের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘বিএনপিই দেশের প্রথম কিংস পার্টি। কারণ জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে সরকার গঠন করেছিলেন। তারপর তিনি সরকারের ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করেছিলেন।’

হাছান মাহমুদ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

রাজনীতিতে নাগরিক সমাজ ও বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নাগরিক সমাজ সময়ে সময়ে যেসব কথাবার্তা বলে সেগুলো আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখি। কিন্তু দেশজুড়ে এক মাসের বেশি সময় ধরে যে অগ্নিসন্ত্রাস পরিচালনা করা হচ্ছে, অনেক মানুষ এই অগ্নিসন্ত্রাসের বলি হয়েছে, সেই আওয়াজটা সচেতন নাগরিক, সাংবাদিক সমাজ এবং নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে আসা প্রয়োজন। কিন্তু নাগরিক সমাজের কোনো বক্তব্য-বিবৃতি নেই। এটি খুবই দুঃখজনক।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি মনে করি, নাগরিক সমাজ বা বুদ্ধিজীবী বলে যারা পরিচিত তারা সময়ে সময়ে বিবৃতি দেন আর এখন নিশ্চুপ, তাদেরকে চিহ্নিত করা প্রয়োজন। এরা সুবিধাবাদী এবং এদের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে।’

‘আওয়ামী লীগ দল ভাগানোর রাজনীতি করছে’- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘আসলে বিএনপি থেকে সবাই পালিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্র থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত নেতারা বিএনপি থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি নেতাদের কাছে আমার প্রশ্ন- এই দলটা কেন করেন, যে দল আপনাদেরকে সংসদ নির্বাচন, উপজেলা বা জেলা পরিষদ নির্বাচন তো দূরের কথা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনও করতে দেয় না?’

তিনি বলেন, ‘এক সময় রিজভী সাহেবরা দেখবেন যে ওনারা কয়েকজন ছাড়া আর কেউ নেই, ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী। কারণ বিএনপির এই অপরাজনীতির সঙ্গে দলটির নেতারাই একমত নন। রিজভী সাহেবের মতো কিছু মানুষ আছেন- ইয়েস স্যার, হ্যাঁ স্যার, জি স্যার। তারাই তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে এই অগ্নিসন্ত্রাসের আহ্বান জানাচ্ছেন। এই অপরাজনীতি থেকে তাদের বের হয়ে আসা প্রয়োজন।’

বিএনপি অংশ না নিলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে কি না- এ প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একটি দল নির্বাচনে না এলে সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না এমন তো সংবিধানে লেখা নেই। পৃথিবীর কোনো আইনেও লেখা নেই। বাংলাদেশে বহু নির্বাচন হয়েছে যেখানে বহু দল অংশ নেয়নি। যেমন ১৯৭০ এর নির্বাচনেও অনেক বড় নেতার নেতৃত্বাধীন দল অংশগ্রহণ করেনি। কিন্তু মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিলো এবং সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে।’

‘এবার অনেকের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পরও প্রতি আসনে প্রায় ৭ জন করে প্রার্থী আছেন। গ্রামে-গঞ্জে নির্বাচনের উৎসব শুরু হয়ে গেছে। সুতরাং দেখতে পাবেন ৭ জানুয়ারির নির্বাচনেও জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে।’

আরও পড়ুন:
পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দলীয় শৃঙ্খলা মাথায় রাখতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
আমরা চাই বিএনপি টেরোরিস্ট কর্মকাণ্ড থেকে বেরিয়ে আসুক: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি দেশের মানুষের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
আউটসোর্সিং করে নেশাখোরদের হাতে আন্দোলন তুলে দিয়েছে বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী
আগুন সন্ত্রাসী নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর: তথ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Barrister Suman responded to the shock
নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন

শোকজের জবাব দিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

শোকজের জবাব দিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন শোকজের জবাব দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। ছবি: নিউজবাংলা
সাংবাদিকদের ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘পথসভার মাধ্যমে জনগণের চলাচলে বাধা সৃষ্টির অভিযোগের সঙ্গে আমি কোনোভাবেই জড়িত নই। আর যেহেতু ওখানে কোনো কর্মসূচি ছিল না, তাই পুলিশকে জানানো হয়নি।’

নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে অনুসন্ধান কমিটির শোকজের জবাব দিয়েছেন আলোচিত আইনজীবী স্বতন্ত্রপ্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে তিনি লিখিত ব্যাখ্যা দেন।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাজনীতিবিদ হিসেবে বা একজন প্রার্থী হিসেবে আমার আত্মপ্রকাশ মাত্র দু’সপ্তাহের, কিন্তু এর আগেই একজন ফুটবলার হিসেবে বা ফেসবুকের একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি হিসেবে আমি যেখানেই দাঁড়াই, সেখানেই কিছু মানুষ এসে যায়। পথসভার মাধ্যমে জনগণের চলাচলে বাধা সৃষ্টির অভিযোগের সঙ্গে আমি কোনোভাবেই জড়িত নই। আর যেহেতু ওখানে কোনো কর্মসূচি ছিল না, তাই পুলিশকে জানানো হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আইনের মানুষ হিসেবে আমার সবসময়ই লক্ষ্য থাকে, যেন কোনো বিধি লঙ্ঘিত না হয়। আমি আমার ব্যাখ্যা দিয়েছি, এখন বাকিটা আদালতের বিষয়।’

গত ৪ ডিসেম্বর নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে হবিগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশ দেন ওই আসনের নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির প্রধান হবিগঞ্জ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ সবুজ পাল।

নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির পত্রে বলা হয়, গত ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় চুনারুঘাট উপজেলার আসামপাড়া বাজারে এক নির্বাচনি জনসভা করেন ব্যারিস্টার সুমন। প্রথমত, এটি একটি জনাকীর্ণ বাজার। দ্বিতীয়ত, উক্ত নির্বাচনি সমাবেশের জন্য বাজারের তিন রাস্তার মোড়সহ বাজারের ওপর দিয়ে চলাচলকারী প্রধান তিনটি সড়ক বন্ধ করে জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা হয়। তৃতীয়ত, উক্ত নির্বাচনি সমাবেশের বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়নি। ফলে, সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮-এর বিধি ৬ (খ, গ, ঘ) ভঙ্গ করা হয়েছে বলে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।

৭ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে ব্যারিস্টার সুমনকে এই কমিটির কাছে লিখিত ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়।

আরও পড়ুন:
দেড় কোটি ভোট পাওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী ট্রাম্পের
নির্বাচন কেন্দ্রে দায়িত্বের প্রলোভন দেখিয়ে ইউএনও পরিচয়ে প্রতারণা
সমাবেশে বন্দুক প্রদর্শনের ঘটনায় সাংবাদিকদের ‘দেখে নেয়ার’ হুমকি
স্বতন্ত্র প্রার্থীকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার হুমকি, ভিডিও ভাইরাল
হেলিকপ্টারে চড়ে নির্বাচনি সভায় এমপি প্রার্থী, গুনতে হলো জরিমানা

মন্তব্য

p
উপরে