× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
কেপিসিএলে নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্ট বিএসইসি চেয়ারম্যান
google_news print-icon
নিউজবাংলাকে বিএসইসি চেয়ারম্যান-২

‘কেপিসিএলে নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’

কেপিসিএলে-নো-ইলেকট্রিসিটি-নো-পেমেন্ট
‘আমরা সরকারের সাথে একটু নেগোসিয়েশন পর্যায়ে আছি। নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্ট-এ রকম একটা ব্যবস্থাপনায়। এটা হলে লিস্টেড কোম্পানিগুলো কিছুটা বেনিফিট পাবে। তাদের যতটুকু বিদ্যুৎ সরকার কিনবে ততটুকুর জন্য পেমেন্ট পাবে।’

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি খুলনা পাওয়ার লিমিটেড বা কেপিসিএলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বিশেষ শর্তে অনুমোদন দেয়ার বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম।

তিনি জানান, কেন্দ্রগুলোকে নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট ভিত্তিতে অনুমোদন দেয়ার বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, কিছু পকেট এরিয়ায় কয়েকটি কেন্দ্রকে ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’ ভিত্তিকে অনুমোদন দেয়া হবে। তবে অন্যগুলোর বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।

এই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে টাকা আটকে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগের মধ্যে নিউজবাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বুধবার বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা সরকারের সাথে একটু নেগোসিয়েশন পর্যায়ে আছি। নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্ট-এ রকম একটা ব্যবস্থাপনায়। এটা হলে লিস্টেড কোম্পানিগুলো কিছুটা বেনিফিট পাবে। তাদের যতটুকু বিদ্যুৎ সরকার কিনবে ততটুকুর জন্য পেমেন্ট পাবে।’

২০১০ সালে পুঁজিবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি হয় গড়ে ১৯৪ টাকায়। এটি যে মেয়াদী বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর তা বন্ধ হয়ে যাবে, সে বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের কোনো ধারণা ছিল না।

কোম্পানিটির বিদ্যুৎকেন্দ্র ছিল মোট তিনটি। এর মধ্যে ২০১৮ সালে একটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ বিষয়টি নিয়ে জানতে পারে।

এরপর থেকে দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের আয়ে লভ্যাংশ পেয়ে আসছে বিনিয়োগকারীরা। এই দুটির মধ্যে ১১৫ মেগাওয়াটের কেপিসিএল-১ এর মেয়াদ শেষ হয় গত ৩১ মে। আর ৪০ মেগাওয়াটের নওয়াপাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হয় ২৮ মে।

গত ২০ মে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘কেন্দ্রের মেয়াদ বাড়াতে আমাদের চেষ্টা-তদবির অব্যাহত রয়েছে।’

মেয়াদ শেষে কেন্দ্র দুটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এই চেষ্টা তদবিরের কতটা আগাল, সে বিষয়ে কোম্পানির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

অগ্রগতি জানতে কোম্পানি সচিব আরিফুল ইসলাম চৌধুরীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে কথা হয় কোম্পানির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা সোহরাব আলীর সঙ্গে। তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, ‘আমাদের পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ হবে না।’

যদি বন্ধ হয় তাহলে বিনিয়োগকারীদের কী হবে- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা তো বোর্ডের বিষয়। তারা সিদ্ধান্ত নেবে কী হবে না হবে।’

বিএসইসির চেষ্টা

গত ২৩ মার্চ বিএসইসি কার্যালয়ে ডাকা হয় কেপিসিএলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। তারা বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ এর সঙ্গে বৈঠক করেন।

‘কেপিসিএলে নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’

এরপর গত ১৫ এপ্রিল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমানকে চিঠি দেয় বিএসইসি। এতে দুটি কেন্দ্রের মেয়াদ বাড়াতে কেপিসিএল যে আবেদন করেছে, সেদিক বিবেচনার জন্য অনুরোধ করে সংস্থাটি।

চিঠিতে বলা হয়, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিভিন্ন ধরনের পাওয়ার কোম্পানিসমূহ পুঁজিবাজার থেকে বিভিন্ন সময় মূলধন সংগ্রহের মাধ্যমে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।

এ পরিস্থিতিতে খুলনা পাওয়ার কোম্পানিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের অর্থ লভ্যাংশ থেকে এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফেরত আসেনি। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় এ কোম্পানির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কমিশন উদ্বিগ্ন। তাই কেপিসিএলসহ অন্যান্য তালিকাভুক্ত কোম্পানির পিপিএ চুক্তি বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে নবায়নের সুযোগ রয়েছে কি না, তা জানানোর জন্য অনুরোধ করেছে কমিশন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান সম্প্রতি নিউজবাংলাকে জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও। তার বক্তব্য শুনে তিনি মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউসের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন। আর তিনিই বিএসইসি চেয়ারম্যানকে ‘নো পে নো ইলেকট্রিসিটির’ ভিত্তিতে অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার কথা বলেছেন।

কী বলছেন বিদ্যুৎপ্রতিমন্ত্রী

২০০৯ সালে দেশে অসহনীয় বিদ্যুৎ পরিস্থিতিতে সরকার বেসরকারি ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে অনুমতি দেয়। তখন বিদ্যুতের প্রয়োজন হলে সেগুলো থেকে কেনা হতো। আর বিদ্যুৎ কেনা না হলেও বসিয়ে রেখে ভাড়া দেয়া হতো। একে বলে ক্যাপাসিটি চার্জ।

কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে চুক্তি হয়েছে পাঁচ, ১০ ও ১৫ বছর মেয়াদী।

বিদ্যুৎ সংকটের সুরাহা হয়েছে। পাশাপাশি ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর মেয়াদও ফুরিয়ে আসছে প্রায়। এই অবস্থায় সরকার আর মেয়াদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের কিছু পকেট থাকায় নো ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বেসিসে তাদের সুযোগ দেয়া হতে পারে। এমনও হতে পারে, যদি সারা বছর বিদ্যুৎ না লাগে, তাহলে সেক্ষেত্রে কেন্দ্রগুলো পড়ে থাকবে।’

খুলনার কেপিসিএল যে কারণে সুযোগ পেতে পারে

কেপিসিএলের দুটি কেন্দ্রই অবস্থিত খুলনায়। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, কেপিসিএল তার পরেও এই সুবিধা পেতে পারে একটি বিশেষ কারণে। এই অঞ্চলে যে দুটি বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি হচ্ছে, সেগুলো এখনও চালু করা যায়নি।

বাগেরহাটের রামপালে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট আগামী আগস্টে আর দ্বিতীয় ইউনিট আরও ছয় মাস পর আসার কথা। তবে সেটি চালু করা যাবে কি না এ নিয়ে সংশয় আছে।

খুলনার রূপসায় ৮০০ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। খুলনার খালিশপুরে বন্ধ হয়ে যাওয়া নিউজপ্রিন্ট কারখানার জমিতে এটি স্থাপন হবে।

২০১৮ সালের জুনে প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদনের সময় ২০২২ সালের জুনের মধ্যে কেন্দ্রটি নির্মাণের পরিকল্পনার কথা বলা হয়।

তবে এখন পর্যন্ত এর কাজ শেষ হয়েছে ৩০ শতাংশ। ফলে সময়মতো কাজ শেষ না হওয়া নিয়ে শঙ্কা আছে।

এ প্রকল্পে প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ব্যবহার হবে। বিকল্প জ্বালানি হিসেবে থাকছে ডিজেল (এইচএসডি)।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে বলেন, ‘রামপাল বা রূপসা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু না হওয়া পর্যন্ত খুলনা এলাকায় কিছু বিদ্যুৎ সংকট আছে। এই অবস্থায় দুই বিদ্যুৎকেন্দ্র (কেপিসিএলের) থেকে প্রয়োজন হলে সরকার বিদ্যুৎ কিনবে।

যদি না হয়?

এর পরেও যদি কেপিসিএল অনুমতি না পায়, তখন কোম্পানির সহযোগী কোম্পানি ইউনাইটেড পায়রার ৩৫ শতাংশের মালিকানার ওপর নির্ভর করতে হবে।

পটুয়াখালী জেলার খলিসাখালী এলাকায় ১৫০ মেগাওয়াটের এই কেন্দ্র থেকে সরকার বিদ্যুৎ কিনবে আগামী ১৫ বছর। এটি উৎপাদন শুরু করেছে গত ১৮ জানুয়ারি।

‘কেপিসিএলে নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট’
ইউনাইটেড পায়রার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র। ফাইল ছবি

কেপিসিএলের বন্ধ হয়ে যাওয়া দুটি কেন্দ্রের সক্ষমতা ছিল ১৫০ মেগাওয়াট। আর এই একটি কেন্দ্রের সক্ষমতা সমান হলেও এর এক তৃতীয়াংশের কিছু বেশির মালিকানা থাকায় বিনিয়োগকারীরা সুবিধা পাবে মূলত ৫২.৫ মেগাওয়াটের।

শেয়ার নিয়ে হতাশা

২০১০ সালে চাঙা পুঁজিবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি হয় গড়ে ১৯৪ টাকা করে। ছয় বছর বোনাস শেয়ার দিয়ে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩৯৭ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ১২ দশমিক ২৭ শতাংশ শেয়ার ছিল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের কাছে ছিল ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ শেয়ার।

চলতি বছরের জানুয়ারি ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ বা ১ কোটি ৪৬ লাখ ৬৪ হাজার শেয়ার বিক্রি করেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগাকরীরা। যার পুরোটা কিনেছে ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীরা।

ফলে এই সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে কোম্পানির মোট শেয়ারের ৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ আর ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের কাছে থাকা ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ শেয়ার বেড়ে হয়েছে ২১ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

ফলে বর্তমানে ৮ কোটি ৪৭ লাখ ৬৮ হাজার শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। েএই শেয়ারধারীরা এখন চরম উৎকণ্ঠায়

বিনিয়োগের কত টাকা উঠে এল?

কোম্পানিটি ২০১০ সালের। তালিকাভুক্তির বছরে ২০০৯ থেকে ২০১০ সালের জুন মাস পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করে।

এরপর ২০১০ সালের জন্য ২০ শতাংশ, ২০১১ সালের জন্য ২৫ শতাংশ, ২০১২ সালের জন্য ১২.৫ শতাংশ, ২০১৩ সালের জন্য ৫ শতাংশ এবং ২০১৮ সালের জন্য আবার ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করা হয়।

১৯৪ টাকা ভিত্তি ধরে ১০ বছরের বোনাস শেয়ার হিসাব করলে দাম দাঁড়ায় ৮৬ টাকা ৫৫ পয়সা।

পাঁচ বছর ধরে নগদ লভ্যাংশের দিকে জোর দেন কোম্পানির উদ্যোক্তারা। ২০১৬ সালে ৭৫ শতাংশ (শেয়ারপ্রতি সাড়ে সাত টাকা), ২০১৭ সালে ৫৫ শতাংশ, ২০১৮ সালে ৩০ শতাংশ, ২০১৯ সালে ৪০ শতাংশ এবং ২০২০ সাল ৩৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কেপিসিএল।

আরও পড়ুন:
বন্ধ হচ্ছে দুই কেন্দ্র, কেপিসিএলের চেষ্টা জারি
কেপিসিএলের বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ছে ‘বিশেষ শর্তে’
বিএসইসির সুপারিশে এবার উড়ছে কেপিসিএল
এখনও অজানা কেপিসিএলের ভবিষ্যৎ
কেপিসিএল’র ব্যবসায় অনিশ্চয়তা, বক্তব্য শুনল বিএসইসি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Akhter Nesa the famous mother of freedom fighters died in Gazipur

গাজীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মা’ খ্যাত আক্তার নেসার মৃত্যু  

গাজীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মা’ খ্যাত আক্তার নেসার মৃত্যু   গাজীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মা’ খ্যাত আক্তার নেসা। ছবি: সংগৃহীত
গাজীপুর শহরের উত্তর ছায়াবিথী এলাকায় নিজ বাসায় রোববার সকাল ৫টা ২০ মিনিটে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন তার ছেলে গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ।

গাজীপুরের দমদমাতে মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মা’ খ্যাত আক্তার নেসার মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।

গাজীপুর শহরের উত্তর ছায়াবিথী এলাকায় নিজ বাসায় রোববার সকাল ৫টা ২০ মিনিটে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন তার ছেলে গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ।

তার স্বামী প্রয়াত ইসমাইল হোসেন বাগমার ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। তিনি চার ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

রোববার বাদ জোহর জয়দেবপুর রাজবাড়ী মাঠে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাদ আসর শ্রীপুর উপজেলার দমদমা গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ ছাড়া গাজীপুর জেলা, সদর উপজেলা, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সমাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।

আরও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ: দগ্ধ দুজনের মৃত্যু
মোটরসাইকেল থেকে পড়ে প্রাণ গেল নারী শিক্ষা কর্মকর্তার
খড়ের গাদার চাপায় প্রাণ গেল মা ও দুই সন্তানের
ঢাবির হলে ছাত্রের মৃত্যু: যা বললেন প্রত্যক্ষদর্শী ও রুমমেটরা
চলে গেলেন ‘ঘুড্ডি’ নির্মাতা সালাহউদ্দিন জাকী

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
France withdraws diplomatic troops from Niger

নাইজার থেকে দূত, সেনা প্রত্যাহার করছে ফ্রান্স

নাইজার থেকে দূত, সেনা প্রত্যাহার করছে ফ্রান্স নাইজার থেকে দূত ও সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। ছবি: এপি
নাইজারের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা ‘শেষ’ জানিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে থাকা দেড় হাজার সেনাকে আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ সবাইকে দেশে নিয়ে আসা হবে।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে চলতি বছরের জুলাইয়ে হওয়া সামরিক অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি থেকে রাষ্ট্রদূত ও সেনা প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।

এক টেলিভিশনে রোববার দেয়া সাক্ষাৎকারে মাখোঁ বলেন, ‘ফ্রান্স তার রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমাদের রাষ্ট্রদূতসহ কয়েকজন কূটনীতিক ফ্রান্সে ফিরে আসবেন।’

নাইজারের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা ‘শেষ’ জানিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে থাকা দেড় হাজার সেনাকে আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ সবাইকে দেশে নিয়ে আসা হবে।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহারে কয়েক সপ্তাহ ধরে ‍ক্ষমতার দখল নেয়া সামরিক বাহিনীর চাপ ও জনতার বিক্ষোভের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট উল্লিখিত ঘোষণা দিলেন।

নাইজারে গত ২৬ জুলাই হওয়া অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি না দেয়া মাখোঁর কাছে ফ্রান্সের সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন সামরিক নেতারা। সেনা প্রত্যাহারের কাঙ্ক্ষিত সেই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা।

জাতীয় টেলিভিশনে সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে পাঠ করা বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই রোববার আমরা নাইজারের সার্বভৌমত্বের পথে নতুন ধাপকে স্বাগত জানাচ্ছি। এটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যাতে নাইজারের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ-ফ্রান্স সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারত্বে উন্নীত হবে, আশা প্রধানমন্ত্রীর
সন্ধ্যায় ঢাকায় আসছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট
নাইজারে অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিচ্ছে ওয়াগনার: যুক্তরাষ্ট্র
ইকোওয়াসের আলটিমেটাম শেষ, আকাশসীমা বন্ধ করল নাইজার
নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা পশ্চিম আফ্রিকার নেতাদের

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The administration is silent on the expulsion of 2 women by arbitration

সালিশ বসিয়ে ২ নারীকে সমাজচ্যুত, প্রশাসন নীরব

সালিশ বসিয়ে ২ নারীকে সমাজচ্যুত, প্রশাসন নীরব প্রতীকী ছবি।
সরেজমিনে জানা গেছে, গ্রাম্য মোড়লের ভাইয়ের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনায় এবং এক ইউপি সদস্যের মূর্তির ব্যবসা করার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সালিশ বসিয়ে ওই দুই নারীকে পরিবারের সদস্যসহ একঘরে করে রাখা হয়েছে। হতদরিদ্র পরিবার দুটি দিনের পর দিন মানবেতর জীবনযাপন করলেও প্রশাসনের উদ্যোগ দায়সারা।

গৃহবধূ বেলী খাতুনের স্বামী অন্যের বাড়িতে দিনহাজিরা চুক্তিতে কৃষাণের কাজ করেন। কর্মস্থলের মালিক তার পরিবারের সঙ্গে কৃষাণের পরিবারকেও গত কুরবানির ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটায় বেড়াতে নিয়ে যান। আর গরিবের এই বেড়াতে যাওয়াটাই কাল হয়েছে।

চল্লিশোর্ধ্ব বেলী খাতুন কুয়াকাটায় গিয়ে পরপুরুষের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন- এমন অপবাদ দিয়ে গ্রামে রীতিমতো সালিশ বসিয়ে এই ‘অপরাধের’ জন্য জরিমানা করা হয়েছে ২০ হাজার টাকা।

জরিমানার টাকা দিতে না পারায় দরিদ্র পরিবারটিকে এক সপ্তাহ ধরে সমাজচ্যুত করে রাখা হয়েছে। গ্রামের পক্ষ থেকে পালা করে পাহারা বসিয়ে পরিবারটির ওপর নজরদারিও করা হচ্ছে। এ অবস্থায় অসহায় দরিদ্র পরিবারটি মানবেতর জীবনযাপন করছে।

অপর গৃহবধূ বিউটি খাতুনের ক্ষেত্রেই প্রায় একই ঘটনা ঘটেছে। তাকেও ওই সালিশ ডেকে ‘চরিত্রহীন’ ও ‘মূর্তি ব্যবসায়ী’ আখ্যা দিয়ে করা হয়েছে একঘরে। তাকেও একই অঙ্কের টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অবশ্য তিন দিন পর ১০ হাজার টাকা সমাজপতিদের হাতে তুলে দেয়ায় তার ‘শাস্তি’ শিথিল করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের গাবরগাড়ি গ্রামে ঘটেছে এমন বর্বর ঘটনা। তবে ঘটনার এক সপ্তাহ পার হলেও প্রশাসন কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি।

সমাজচ্যুত হওয়ার পর থেকে আমি ও পরিবারের সদস্যরা বাড়ি থেকে বের হয়ে কোনো কাজে যেতে পারছি না। এমনকি স্বজনের বাড়িতেও যেতে দেয়া হচ্ছে না। মাতব্বরদের ভয়ে গ্রামবাসী কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বলেন না। এমনকি আমার নিজের মায়ের সঙ্গেও কথা বলতে পারছি না। এই কষ্ট কইবার মতো কোনো মানুষও নেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, চরিত্রের ত্রুটি আছে- এমন অভিযোগ এনে গাবরগাড়ি গ্রামে দুই নারীকে এক সপ্তাহ ধরে সমাজচ্যুত করে রেখেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে কতিপয় গ্রাম্য মাতব্বর। আর ওই নারীরা সমাজচ্যুত হওয়ার পর থেকে গ্রামের কারও কথা বলতে পারছেন না। পারছেন না কএনা বাড়িতে বা বাজারে যেতে। লোকলজ্জায় ঘরের কোণে বসে চোখের জল ফেলছেন শুধু।

ভুক্তভোগী পরিবার ও অন্যদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার আদ্যোপান্ত জানা যায়।

‘গাবরগাড়ি গ্রামে পরস্পর স্বজন দুই নারী রাত করে বাড়ি ফেরেন। আবার মাঝেমধ্যেই বেড়াতে যান এখানে-সেখানে। এটা চারিত্রিক ক্রটির অংশ।’- মাস দুয়েক আগে গাবরগাড়ি গ্রামের মোড়লদের কাছে এমন অভিযোগ করেন ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা।

তৎপর হয়ে ওঠেন গ্রাম্য মোড়লরাও। তারপর এ নিয়ে ওই গ্রামের মো. জয়নাল মণ্ডলের বাড়ির উঠোনে সালিশ বৈঠক বসে। সেখানে ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা, গ্রামপ্রধান আলতাব হোসেন, মোজাম্মেল হক মন্টু, জুয়েল রানা, শফিকুল, বুলু ও আজিজুল হকসহ শতাধিক গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন। সেই সালিশে নানামুখী আলোচনা শেষে দুই নারীর চরিত্রের ত্রুটি আছে এমন অভিযোগ এনে তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। পাশাপাশি তাদের দু’জনকে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানার ঘোষণা দেয়া হয়।

গ্রাম্য মোড়লদের এমন সালিশি সিদ্ধান্তে দিশেহারা হয়ে পড়েন দরিদ্র ওই নারীরা। তারা এই জরিমানার টাকা দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন।

জরিমানা না দিয়ে গ্রামপ্রধানদের অপমান করা হয়েছে- এমন অভিযোগ এনে ১৬ সেপ্টেম্বর পুনরায় একই স্থানে গ্রাম্য সালিশ বৈঠক বসে। সেখানে জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় অভিযুক্ত দুই নারীর পরিবারকে সমাজচ্যুত করার ঘোষণা দেয়া হয়।

একইসঙ্গে গ্রামবাসী কারও সঙ্গে তাদের কথা বলা, মেলামেশা এবং কারও বাড়ি দিয়ে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এমনকি সমাজচ্যুত দুই নারীর একজন যাতে নিজের মায়ের সঙ্গেও কথা বলতে না পারেন সে জন্য সালিশের দিন থেকেই পাহারাদার নিয়োগ করেছেন গ্রাম্যপ্রধানরা। এরপর থেকে ওই দুই নারী পরিবারসহ সমাজচ্যুত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

অভিযুক্তদের একজন ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, গ্রামের কিছু নিয়মকানুন থাকে। সেটা না মানায় তাদেরকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। তাদের একজন ক্ষমা চাওয়ায় তার বিরুদ্ধে সমাজচ্যুতির নির্দেশ শিথিল করা হয়েছে। অপর নারী গ্রামপ্রধানদের কাছে এসে ক্ষমা চাইলে তার বিরুদ্ধে সমাজচ্যুতির নির্দেশও শিথিল করা হবে।

এদিকে দ্বিতীয় দফা সালিশের পর অভিযুক্ত নারীদের একজন জরিমানার ২০ হাজার টাকার মধ্যে ১০ হাজার টাকা গ্রামপ্রধানদের হাতে তুলে দিয়ে তাকে মাফ করে দিতে বলেন। এতে ‘সন্তুষ্ট’ হয়ে গ্রামপ্রধানরা ওই নারীর বিরুদ্ধে সমাজচ্যুতির ‘আদেশ’ কিছুটা শিথিল করেছেন।

আর অপর নারী জরিমানার টাকা দিতে না পারায় তার ওপর সমাজচ্যুতি নির্দেশ বহাল রাখা হয়েছে।

বেলী খাতুন বলেন, ‘সমাজচ্যুত হওয়ার পর থেকে আমি ও পরিবারের সদস্যরা বাড়ি থেকে বের হয়ে কোনো কাজে যেতে পারছি না। এমনকি স্বজনের বাড়িতেও যেতে দেয়া হচ্ছে না। মাতব্বরদের ভয়ে গ্রামবাসী কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বলেন না। এমনকি আমার নিজের মায়ের সঙ্গেও কথা বলতে পারছি না। এই কষ্ট কইবার মতো কোনো মানুষও নেই।’

এ বিষয়ে গ্রামপ্রধান ও ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘গ্রামের কিছু নিয়মকানুন থাকে। সেটা না মানায় তাদেরকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। তাদের একজন ক্ষমা চাওয়ায় তার বিরুদ্ধে সমাজচ্যুতির নির্দেশ শিথিল করা হয়েছে। অপর নারী গ্রামপ্রধানদের কাছে এসে ক্ষমা চাইলে তার বিরুদ্ধে সমাজচ্যুতির নির্দেশও শিথিল করা হবে।’

তাড়াশের ইউএনও মো. সোহেল রানা বলেন, ঘটনাটি জানার পর ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে দ্রুত বিষয়টি সমাধান করতে বলে দিয়েছি।

তবে ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা ও গ্রামপ্রধান বুলুর সঙ্গে পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ‌ই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই দুই নারী। তাদের একজন দুই বছর আগে গ্রামপ্রধান বুলুর ভাইয়ের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন। আর অপরজন ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফার কথামতো মূর্তির ব্যবসায় রাজি না হওয়ায় ষড়যন্ত্র করে তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে তালম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল খালেক বলেন, ‘ঘটনাটি নিন্দ্যনীয়। বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

তাড়াশ থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নূরে আলমকে পাঠানো হয়েছে। আর সমাজচ্যুতির বিষয়টি মিমাংসার জন্য গ্রামপ্রধানদের বলা হয়েছে। তারা সতর্ক না হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল রানা বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে দ্রুত বিষয়টি সমাধান করতে বলে দিয়েছি।’

আরও পড়ুন:
সালিশেই কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা
সালিশে মারধরের পর যুবকের মৃত্যুতে পরিবারের মামলা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
In Rajshahi Ashad Shravan flowed in Ashwin

রাজশাহীতে আষাঢ়-শ্রাবণের ধারা ঝরল আশ্বিনে

রাজশাহীতে আষাঢ়-শ্রাবণের ধারা ঝরল আশ্বিনে রাজশাহী নগরীতে রোববার বিকেলের বর্ষণে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি। ছবি: নিউজবাংলা
রাজশাহী নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ড্রেন উপচে পানি ছড়িয়ে পড়ে প্রধান প্রধান সড়কে। নগরীর সাহেব বাজার, বর্ণালী মোড়, লক্ষ্মীপুর, উপশহর, ছোট বনগ্রাম, দড়িখড়বোনা, রেলগেট এলাকার সড়কে হাঁটুসমান পানি জমে যায়। দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী।

আষাঢ়-শ্রাবণে যে বৃষ্টির অপেক্ষা করেছে রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ তার মিললো আশ্বিনে এসে। প্রতি বছর আষাঢ় কিংবা শ্রাবণ মাসে মুষলধারে বৃষ্টি হয়। কিন্তু এ বছর গত কয়েক মাস ধরেই প্রত্যাশিত বৃষ্টি হয়নি রাজশাহীতে। অবশেষে সেই বৃষ্টির দেখা মিলেছে।

রোববার বিকেলের ঝুম বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে রাজশাহীতে। মাঝারি মাত্রার এই বর্ষণে শহরের বেশিরভাগ ড্রেন উপচে পানি চলে আসে রাস্তায়। শহরের নিচু এলাকাগুলোতে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। অবশ্য সন্ধ্যার পর বেশিরভাগ এলাকার জলাবদ্ধতা কমে আসে।

রাজশাহীতে আষাঢ়-শ্রাবণের ধারা ঝরল আশ্বিনে

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজিব খান জানান, রোববার রাজশাহীতে ৪৫ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে সকালে হয়েছে ৪ দশমিক ৮ মিলিমিটার। বাকিটা হয়েছে বিকেলে প্রায় দুই ঘণ্টার মধ্যে। চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে একদিনে এটিই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।

সন্ধ্যার পর বৃষ্টি কমে গেলেও আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, রাজশাহীতে সোমবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে বৃষ্টির পানিতে রোববার বিকেলে নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বিশেষ করে যেসব এলাকায় ছোট ড্রেন রয়েছে সেগুলো উপচে পানি ছড়িয়ে পড়ে প্রধান প্রধান সড়কে। নগরীর সাহেব বাজার, বর্ণালী মোড়, লক্ষ্মীপুর, উপশহর, ছোট বনগ্রাম, দড়িখড়বোনা, রেলগেট এলাকার সড়কে হাঁটুসমান পানি জমে যায়।

রাজশাহীতে আষাঢ়-শ্রাবণের ধারা ঝরল আশ্বিনে

এছাড়া নগরীজুড়ে প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জলাবদ্ধতা দেখা যায়। বিশেষ করে নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতায় দেখা দেয় জনদুর্ভোগ।

আরও পড়ুন:
এখনও থইথই নিউ মার্কেট এলাকা
ঢাকায় জলমগ্ন সড়কে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৪ জনের মৃত্যু
রাজধানীতে টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা, যানজটে ভোগান্তি
ঢাকাসহ ১৬ জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস
সাগরে লঘুচাপ, দেশজুড়ে ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
In the future the media will also be included in the visa policy Peter Haas

আগামীতে ভিসানীতিতে পড়বে গণমাধ্যমও: পিটার হাস

আগামীতে ভিসানীতিতে পড়বে গণমাধ্যমও: পিটার হাস পিটার হাস। ফাইল ছবি
পিটার হাস বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আওতায় সরকারি দল, বিরোধী দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথা এসেছে। আগামীতে গণমাধ্যমও ভিসানীতিতে যুক্ত হবে।’

সরকার ও বিরোধী দলের সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের পর আগামীতে গণমাধ্যমও যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতিতে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

রোববার বেসরকারি ‘চ্যানেল ২৪’-এর কার্যালয়ে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।

পিটার হাস বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আওতায় সরকারি দল, বিরোধী দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথা এসেছে। আগামীতে গণমাধ্যমও ভিসানীতিতে যুক্ত হবে।’

সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন ব্যক্তির ওপর ভিসানীতি প্রয়োগে পররাষ্ট্র দপ্তর পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। এই ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দলের সদস্য ও রাজনৈতিক বিরোধী ব্যক্তিরা।

ভিসানীতি প্রয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, (গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্তকারী) এসব ব্যক্তি ও তাদের নিকটতম পারিবারিক সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য ঘোষিত হতে পারেন। এছাড়া একই অপরাধে জড়িত অন্য ব্যক্তিরাও ভিসানীতির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার হারাবেন। এদের মধ্যে আছেন বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, সরকারি ও বিরোধীদলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা সংস্থার সদস্য।

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সহায়তার লক্ষ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গত ২৪ মে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেন। সে সময় গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার অর্থ হিসেবে বলা হয়, ভোট কারচুপি, ভোটারকে ভয়ভীতি দেখানো, শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে বাধাদান, রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ, মিডিয়াকে মতপ্রকাশে বাধা দেয়া।

আরও পড়ুন:
অপমানজনক ভিসানীতির জন্য এককভাবে দায়ী সরকার: ফখরুল

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
ADC Haroon case 3 more days extension of investigation time

এডিসি হারুনকাণ্ড: তদন্তের সময় আরও ৩ দিন বৃদ্ধি

এডিসি হারুনকাণ্ড: তদন্তের সময় আরও ৩ দিন বৃদ্ধি সাময়িক বরখাস্ত এডিসি হারুন অর রশিদ। ফাইল ছবি
ডিএমপি কমিশনার গোলাম ফারুকের কাছে রোববার তদন্তের সময়সীমা আরও তিন দিন বাড়ানোর জন্য আবেদন করে তদন্ত কমিটি। এদিন কমিশনারের কাছে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিল।

রাজধানীর শাহবাগ থানা হেফাজতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে এডিসি হারুন অর রশিদের নির্যাতনের ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গঠন করা তদন্ত কমিটির তদন্তের সময়সীমা আরও তিন কার্যদিবস বৃদ্ধি করা হয়েছে।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কে এন রায় নিয়তি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, ডিএমপি কমিশনার গোলাম ফারুকের কাছে রোববার তদন্তের সময়সীমা তিন দিন বাড়ানোর জন্য আবেদন করে তদন্ত কমিটি। এদিন কমিশনারের কাছে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিল।

সাময়িক বরখাস্ত এডিসি হারুন অর রশিদের ছাত্রলীগ নেতাদের ওপর নির্যাতন চালানোর ঘটনা তদন্তে ডিএমপি একটি কমিটি গঠন করে।

দু’দফা সময় বৃদ্ধির পর গত মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ ছিল কমিটির। কিন্তু কমিটি আরও সাতদিন সময় চাইলে তিনদিন বাড়ানো হয়। বর্ধিত সেই সময়ের শেষ দিন ছিল রোববার। এবার আরও তিন দিন সময় বাড়ানো হয়েছে।

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জানান, এডিসি হারুন গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে এডিসি হারুন এডিসি সানজিদা সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে যান। ওই সময় সানজিদার স্বামী রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক মামুন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান।

ওই সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে সেখানে যোগ দেন এ দুই ছাত্রলীগ নেতাও। এক পর্যায়ে এডিসি হারুন পুলিশ এনে তাদের শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে নির্যাতন করেন। পরে ওই দুইজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এডিসি হারুনের নেতৃত্বে মারধর করা হয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদকে।

ওই ঘটনায় তদন্ত কমিটি করে ডিএমপি। এডিসি হারুনকেও করা হয়েছে সাময়িক বরখাস্ত। তবে এরই মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ও পুলিশ কর্মকর্তা সানজিদা পুরো ঘটনার দায় দিয়েছেন তার স্বামী মামুনকে। তিনি বলেছেন, তার স্বামীই প্রথমে হামলা চালান।

আরও পড়ুন:
হাসপাতালের সিকিউরিটি সুপারভাইজারের বর্ণনায় ‘এডিসি হারুনকাণ্ড’
তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা: ডিএমপি
এডিসি হারুন সাময়িক বরখাস্ত
এডিসি হারুনের বিচারের দাবিতে ফুঁসছিল ছাত্রলীগ
ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্যাতন: এডিসি হারুন প্রত্যাহার

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
In Dinajpur hundreds of houses including shelter houses were destroyed in the storm

দিনাজপুরে ঘূর্ণিঝড়ে আশ্রয়ণের ঘরসহ কয়েক শ বাড়ি লন্ডভন্ড

দিনাজপুরে ঘূর্ণিঝড়ে আশ্রয়ণের ঘরসহ কয়েক শ বাড়ি লন্ডভন্ড দিনাজপুরে ঘূর্ণিঝড়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরসহ শতাধিক ঘরের চাল উড়ে যায়। ছবি: নিউজবাংলা
বিরামপুরের ইউএনও নুজহাত তাসনীম বলেন, ‘দুপুরে বৃষ্টির মধ্যে বিরামপুর উপজেলার আশ্রয়ণের চারটি বাড়িসহ বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়াও কিছু এলাকার গাছ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসকের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো পরিদর্শন করে শুকনো খাবার, এক ব্যান্ডেল টিন এবং নগদ অর্থ দেয়া হবে।’

দিনাজপুরে আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে তিনটি উপজেলার শতাধিক বাড়ির টিন উড়ে গেছে। এতে দুর্বিষহ জীবনযাপন করেছেন ওই এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।

প্রবল বৃষ্টির মধ্যে রোববার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে আশ্রয়ণের ঘরসহ এ বাড়িগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে বিরামপুরের দিওড় এলাকার বাঁশবাড়িয়া আশ্রয়ণের বাড়িসহ ২৮টি বাড়ি, নবাবগঞ্জের বিনোদনগর ও গোলাপগঞ্জ এলাকার শতাধিক বাড়ি এবং হাকিমপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া এলাকার পাঁচটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার, টিন এবং নগদ অর্থ সহায়তার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়াও স্থানীয় দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য এমপি শিবলী সাদিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।

সরেজমিনে বিরামপুর উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের বাঁশবাড়ি এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে জানা যায়, দুপুরে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে হঠাৎ করে ঘূর্ণিঝড়ে সেখানকার চারটি আশ্রয়ণের ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে। কিছু ঘরের সামনের বারান্দার অংশগুলো বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে অবস্থানরত ব্যক্তিরা ক্ষতিগ্রস্ত টিনগুলো কুড়িয়ে জমা করছেন।

ওই আশ্রয়ণের ঘরে থাকা মমতা বেগম বলেন, ‘বিরামপুর এলাকায় কয়েক দিন থেকেই লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে ঘরের মধ্যে বসে আছি। হঠাৎ করে প্রবল বেগে ঝড় শুরু হয়।

‘ঝড়ে আমার ঘরের ওপরের টিনগুলো উড়ে যায়। বারান্দার টিনগুলো উড়ে পাশের ঘরে উপড়ে পড়ে যায়। একপর্যায়ে আমি ঘরে থাকা চকির নিচে শুয়ে পড়ি।’

সাইদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘আজ সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছিল। পরিবারের কয়েকজন একসাথে ঘরের ভেতর ছিলাম। হঠাৎ বাইরে ঝড় শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার ঘরের চালগুলো উড়ে যায়। টিনগুলো এলোমেলোভাবে উড়তে থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমনিতেই অসহায়। আমাদের আর কিছু থাকল না। কী খাব, কোথায় ঘুমাব, এটা আমরা জানি না। শুনতেছি আমাদের নাকি সরকারিভাবে সহায়তা করা হবে, কিন্তু এখন পর্যন্ত পাইনি।’

বিরামপুরের ইউএনও নুজহাত তাসনীম বলেন, ‘দুপুরে বৃষ্টির মধ্যে বিরামপুর উপজেলার আশ্রয়ণের চারটি বাড়িসহ বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়াও কিছু এলাকার গাছ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসকের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো পরিদর্শন করে শুকনো খাবার, এক ব্যান্ডেল টিন এবং নগদ অর্থ দেয়া হবে।’

সংসদ সদস্য (এমপি) শিবলী সাদিক বলেন,‘আমার সংসদীয় আসনের তিনটি উপজেলায় হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে অনেক বাড়িঘর, গাছপালা এবং ফসলের ক্ষতি হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

‘পাশাপাশি আমি ব্যক্তিগত তহবিল থেকেও তাদের সহযোগিতা করব। আমি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে বলেছি, তারা যেন ওই পরিবারগুলোর পাশে থাকে।’

আরও পড়ুন:
কুমিল্লায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে জলাবদ্ধতা, বিশুদ্ধ পানির সংকট
স্থায়ী ঠিকানায় দেড় শতাধিক হরিজন পরিবার
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে রয়েছে: মিজানুর রহমান
আশ্রয়ণকে সৃজনশীল কর্মের স্বীকৃতি, স্বত্বাধিকারী শেখ হাসিনা
আরও ৭ জেলা ১৫৯ উপজেলাকে গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

মন্তব্য

p
উপরে