× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
উড়ছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডও
google_news print-icon

উড়ছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডও

উড়ছে-মিউচ্যুয়াল-ফান্ডও
জুন ক্লোজিং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের চতুর্থ প্রান্তিকে চাঙ্গা বাজারের কারণে এবার বিনিয়োগকারীরা এই খাতে আকৃষ্ট হচ্ছেন। ছবি: নিউজবাংলা
যে ৩৭টি তালিকাভুক্ত ফান্ড আছে, তার মধ্যে সিংহভাগই জুন ক্লোজিং। আর এক মাস পরেই তাদের হিসাব বর্ষ শেষ হয়ে যাবে। ৯ মাসে হাতে গোনা কয়েকটি ছাড়া সব কটির আয় বেশ আকর্ষণীয়। লভ্যাংশের ক্ষেত্রে আশা দেখাচ্ছে এপ্রিল থেকে বাজারে দেখা দেয়া চাঙাভাব। গত ১১ এপ্রিল থেকে ৩০ মে পর্যন্ত পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে ৭৩৮ পয়েন্ট। বাড়ছে ব্যাংকের শেয়ারের দরও। ফলে এটা ধরাই যায় যে, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ফান্ডগুলো বেশ ভালো মুনাফা করেছে। বাকি এক মাসে বাজারে বড় পতন না হলে জুন ক্লোজিংয়ে ভালো লভ্যাংশ দেবে, এটা ধরা যায়।

প্রথমে বিমা, পরে ব্যাংক, এরপর বস্ত্র, আর সবশেষ মিউচ্যুয়াল ফান্ড।

পুঁজিবাজারে এপ্রিল থেকে উত্থানে একটি প্রবণতা লক্ষণীয়, সেটি হচ্ছে যেদিন যে খাত বাড়ছে, সেদিন সেই খাতের সব কোম্পানির দামই বাড়ছে।

রোববার বাজারে মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে নানা খাতে। একই খাতের কিছু শেয়ারের দাম বেড়েছে, কিছু কমেছে। তবে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের চিত্র অন্য রকম। এই খাতের একটির লেনদেন হয়নি। বাকি ৩৬টির সব কটির দামই বেড়েছে।

সর্বাধিক দর বৃদ্ধি পাওয়া ২০টি কোম্পানির মধ্যে চারটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড। আর ৩০টির মধ্যে আটটি।

জুন ক্লোজিং মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর দাম গত এক মাসে ১২ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

এক দশক ধরে অবহেলায় পড়ে থাকা এই ফান্ডে আগ্রহ একবার দেখা গেছে গত বছরের শেষে। তবে বছরের শুরুতে আবার দেখা দেয় মন্দাভাব। তবে এপ্রিলের শুরু থেকে আবার দেখা যায় চাঙাভাব।

যে ৩৭টি তালিকাভুক্ত ফান্ড আছে, তার মধ্যে সিংহভাগই জুন ক্লোজিং। আর এক মাস পরেই তাদের হিসাব বর্ষ শেষ হয়ে যাবে। আর এরই মধ্যে তৃতীয় প্রান্তিকের আয় ঘোষণা করেছে। এই হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা যায়, হাতে গোনা এক-দুইটা ছাড়া সব কটির আয় বেশ আকর্ষণীয়।

তিনটি প্রান্তিকের মধ্যে তৃতীয় প্রান্তিকে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বাজারে মন্দাভাব দেখা দিলেও মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর একটি বড় অংশ মুনাফা করতে পেরেছে। আগের দুই প্রান্তিকের মুনাফা ছিল গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।

গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বাজারে ছন্দপতন ঘটে। এই প্রান্তিকে সূচক পড়ে ৩৪০ পয়েন্ট। তবে এই প্রান্তিকে ৩৭টি ফান্ডের মধ্যে মুনাফা করেছে ২৭টি। বাকি ১০টির মধ্যে দুটি ফান্ড বড় অঙ্কের লোকসান দিয়েছে। আর আটটি ফান্ড ইউনিটপ্রতি ১ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৪ পয়সা লোকসান করে।

তবে আগের দুই প্রান্তিকে বিপুল পরিমাণ মুনাফার কারণে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে বেশ ভালো অঙ্কের আয় করায় এবার লোভনীয় লভ্যাংশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

লভ্যাংশের ক্ষেত্রে আশা দেখাচ্ছে এপ্রিল থেকে বাজারে দেখা দেয়া চাঙাভাব। গত ১১ এপ্রিল থেকে ৩০ মে পর্যন্ত পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে ৭৩৮ পয়েন্ট। বাড়ছে ব্যাংকের শেয়ারের দরও।

ফলে এটা ধরাই যায় যে, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ফান্ডগুলো বেশ ভালো মুনাফা করেছে। ফলে বাকি এক মাসে বাজারে বড় পতন না হলে জুন ক্লোজিংয়ে ভালো লভ্যাংশ দেবে, এটা ধরা যায়।

উড়ছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডও

উড়ছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডও
রোববার পুঁজিবাজারে সব মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর বৃদ্ধি এই খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহেরই প্রমাণ দেয়

এর আগে গত বছরের ২ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুঁজিবাজারে সূচক বাড়ে ৯৭৭ পয়েন্ট। সে সময় বেশির ভাগ ফান্ড ইউনিটপ্রতি ১ টাকার বেশি মুনাফা করে। কারও কারও মুনাফা দেড় টাকা, এমনকি কোনোটির দুই টাকার বেশি ছিল।

পুঁজিবাজারে ৩৭টির মধ্যে জুনে অর্থবছর গণনা করে লভ্যাংশ ঘোষণা করে- এমন ফান্ডের সংখ্যা ৩০টি। এর মধ্যে ২৮টি ফান্ডই মুনাফায় আছে। দুটি লোকসানে।

ফলে গত ১০ বছরে ভালো লভ্যাংশ দিতে না পারা ফান্ডগুলো এবার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের।

অন্য শেয়ারের সঙ্গে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ বিতরণের ক্ষেত্রে নীতিমালায় পার্থক্য আছে। যেকোনো শেয়ার যতই আয় করুক, তার কত অংশ বিনিয়োগকারীদের মুনাফা হিসেবে দিতে হবে, তার কোনো আইন নেই। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। বার্ষিক সাধারণ সভায় বিনিয়োগকারীদের মতামত দেয়ার সুযোগ থাকে। যদিও তাদের মতামতে লভ্যাংশ পাল্টেছে, এমন ঘটনা বিরল।

অন্যদিকে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে নীতিমালা অনুযায়ী যত আয় হবে, তার ৭০ শতাংশ লভ্যাংশ হিসেবে দিতে হবে। মাঝে লভ্যাংশ হিসেবে নগদ অর্থের পাশাপাশি রিইনভেস্টমেন্ট হিসেবে ইউনিট দেয়ার সুযোগ থাকলেও পরে তা বাতিল করা হয়েছে।

উড়ছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডও
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতকে আকর্ষণীয় করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে

এর মধ্যে ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালান্সড ফান্ড আয়ের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির বিশেষ অনুমতি নিয়ে। এই ফান্ডটি গত বছর ব্যাপক লোকসান করেছিল এবং তাদের সেই লোকসানের সঞ্চিতি সংরক্ষণ করা হয়েছে গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের আয়ে। এতে ফান্ডের মৌলভিত্তি শক্তিশালী হয়েছে বলে মনে করে বিএসইসি।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) মিউচ্যুয়াল ফান্ডের প্রতি বিশেষ নজর দিয়েছে। এরই অংশ হিসাবে বিদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের স্পন্সর হওয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে যেন মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো ইউনিটধারীদের তাদের আয় অনুযায়ী লভ্যাংশ প্রদান করে, সেদিকেও নজর রেখেছে বিএসইসি।

কেন এমন আগ্রহ

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, মিউচ্যুয়াল ফান্ড যারা পরিচালনা করেন তারা পুঁজিবাজারের সবচেয়ে দক্ষ। ফলে এ খাতের বিনিয়োগ খবুই কম ঝুঁকিপূর্ণ।

তাহলে কেন বিনিয়োগকারীরা মিউচ্যুয়াল ফান্ডে আগ্রহী হন না প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখন বিনিয়োগকারীরা ডে ট্রেডিং করতে পছন্দ করে। কিন্তু মিউচ্যুয়াল ফান্ড থেকে ডে ট্রেডিংয়ে মুনাফা পাওয়া সম্ভব নয়। আর মুনাফা না পাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা এ খাতের আগ্রহী হন না।’

এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেডের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী খায়রুল বাশার মোহাম্মদ আবু তাহের নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর দর বাড়ার প্রধান কারণ হচ্ছে এখন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই খাতের বিষয়ে আন্তরিক। তারা সময় সময় এসব ফান্ডের বিষয়ে খোঁজখবর রাখছে। আগামী বাজেটেও মিউচ্যুয়াল ফান্ড নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।’

মিউচ্যুয়াল ফান্ড নিয়ে প্রত্যাশা

গত ৩ মে বিদেশি কোম্পানিকে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের স্পন্সর হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এতে পুঁজিবাজারে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে, এমন প্রত্যাশা থেকে এ সুযোগ দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া শনিবার এক অনলাইন ডায়ালগে বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল-ইসলাম বলেন, ‘মিউচ্যুয়াল ফান্ডকে জনপ্রিয় করতে আমরা অনেক কাজ করছি। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের যে সিলিং আছে, সেটি বৃদ্ধি করে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকামকে ট্যাক্স ইনসেনটিভ করার অনুরোধ করেছি। জানি না এখানে কী হবে। তবে আমরা আশাবাদী।’

জুনে ব্যাপক মুনাফার ইঙ্গিত দিচ্ছে যেগুলো

ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৬৬ পয়সা।

উড়ছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডও
গত এক মাসে জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দাম বৃদ্ধির গ্রাফ

গত এক মাসে ৫ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৮০ পয়সা।

এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৮২ পয়সা।

গত এক মাসে ৫ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৯০ পয়সা।

৯ মাসে এশিয়ান টাইগার মিউচ্যুয়াল ফান্ডের আয় দাঁড়িয়েছে ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৩৯ পয়সা।

গত এক মাসে ৯ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৯০ পয়সা।

সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ৯ মাস শেষে ইউনিটপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা।

গত এক মাসে ৮ টাকা ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৭০ পয়সা।

সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৯ মাসে ইউনিটপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ১৯ পয়সা।

গত এক মাসে ২১ টাকা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৫০ পয়সা।

ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৯ মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৭১ পয়সা।

গত এক মাসে ৬ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৯০ পয়সা।

ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ছয় ৯ মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৮৩ পয়সা।

গত এক মাসে ৫ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৮০ পয়সা।

এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা।

গত এক মাসে ৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা।

এফবিএফআইএফ ইনকাম ফান্ড তৃতীয় প্রান্তিকে ১ পয়সা লোকসান করেও ৯ মাস শেষে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৭৫ পয়সা।

গত এক মাসে ৪ টাকা ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ২০ পয়সা।

উড়ছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডও
গত এক মাসে এফবিএফআইএফ ইনকাম ফান্ডের দাম বৃদ্ধির চিত্র

গ্রামীণ ওয়ান স্কিম টু মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৯ মাসে ইউনিটপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৫১ পয়সা।

গত এক মাসে ১৬ টাকা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৯০ পয়সা।

আইসিবি এএমসিএল থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৯ মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ২৫ পয়সা।

গত এক মাসে ৫ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৮০ পয়সা।

আইসিবি এএমসিএল ফার্স্ট অগ্রণী ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৯ মাসে ইউনিটপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ৩০ পয়সা।

গত এক মাসে ৭ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা।

আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড সব মিলিয়ে ৯ মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ৩১ পয়সা।

গত এক মাসে ৮ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৬০ পয়সা।

আইসিবি এমপ্লয়ি প্রভিডেন্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড-১ নয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ৩০ পয়সা।

গত এক মাসে ৬ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৭০ পয়সা।

আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড তিন প্রান্তিকে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ৪১ পয়সা।

গত এক মাসে ৮ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৯০ পয়সা।

আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ৯ মাসে ইউনিটপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৭৬ পয়সা।

উড়ছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডও
গত এক মাসে আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৫ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে ৬ টাকা ৮০ পয়সা হয়েছে

গত এক মাসে ৫ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৮০ পয়সা।

আইএফআইএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ড এই সময়ে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১১ পয়সা।

গত এক মাসে ৬ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৮০ পয়সা।

এনএলআই ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড তিন প্রান্তিকে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ২ টাকা ৯৬ পয়সা।

গত এক মাসে ১৩ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৩০ পয়সা।

ফিনিক্স ফিনান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৯ মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ২৮ পয়সা।

গত এক মাসে ৭ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৯০ পয়সা।

পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৯ মাসে ইউনিটপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ১৭ পয়সা।

গত এক মাসে ৫ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৭০ পয়সায়।

পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ইউনিটপ্রতি ৯ মাসে আয় ১ টাকা ৪৪ পয়সা।

গত এক মাসে ৪ টাকা ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ২০ পয়সা।

প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট আইসিবি এএমসিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি সব মিলিয়ে আয় করেছে ৪১ পয়সা।

গত এক মাসে ৬ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৮০ পয়সায়।

রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৯ মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ২ টাকা ৬৯ পয়সা।

গত এক মাসে ১১ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৯০ টাকায়।

সাউথইস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড তিন প্রান্তিকে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ২ টাকা ৫৮ পয়সা।

গত এক মাসে ১২ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা।

এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড তিন প্রান্তিক শেষে আয় করেছে ১ টাকা ৫৮ পয়সা।

গত এক মাসে ৭ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ১০ পয়সায়।

উড়ছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডও
এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ডে এক মাসে দর বৃদ্ধির চিত্র

এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ড ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৮১ পয়সা।

গত এক মাসে ১০ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ১০ পয়সায়।

এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ফান্ডে ইউনিটপ্রতি আয় দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ১৪ পয়সা।

গত এক মাসে ৮ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ২০ পয়সায়।

ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ৯ মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৮৩ পয়সা।

গত এক মাসে ৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৯০ পয়সা।

লোকসানে দুটি

জুনে অর্থবছর শেষ হয়, এমন দুটি ফান্ড ৯ মাসে মাসে প্রায় দেড় হাজার পয়েন্ট সূচক বাড়ার পরেও লোকসানে আছে।

এর মধ্যে গ্রিন ডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ডে প্রথম তিন প্রান্তিকে ইউনিটপ্রতি লোকসান করেছে ১ টাকা ২ পয়সা।

গত এক মাসে ৭ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ২০ পয়সা।

ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ‍তিন প্রান্তিকে ইউনিটপ্রতি লোকসান দিয়েছে ইউনিটপ্রতি ৯৯ পয়সা।

গত এক মাসে ৬ টাকা ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে রোববার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৮০ পয়সা।

চলতি বছর আকর্ষণীয় লভ্যাংশ

এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি ইউনিটধারীদের ৩১ মার্চ ২০২১ সময়ের জন্য ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ নগদ বা ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৪৫ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময়ে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৮৩ পয়সা।

আগের বছর ইউনিটপ্রতি ৬২ পয়সা লোকসানের কারণে কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি ফান্ডটি।

এমবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি বোর্ড ইউনিটধারীদের ৩১ মার্চ ২০২১ সময়ের জন্য ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ বা ১ টাকা ১৫ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি আয় (ইপিইউ) হয়েছে ১ টাকা ৯৫ পয়সা।

আগের বছর ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি লোকসান দিয়েছিল ৯৭ পয়সা। ইউনিটধারীরা তখন কোনো লভ্যাংশ পায়নি।

এর আগে লভ্যাংশ ঘোষণা করা ভ্যানগার্ড এএমসিএল রূপালী ব্যাংক ব্যালেন্স ফান্ড গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরে মুনাফা করেছে ১ টাকা ৬৮ পয়সা। এর বিপরীতে ইউনিটপ্রতি ১৬ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। তবে নিয়মানুযায়ী আয়ের ৭০ শতাংশ বা ১ টাকা ১৭ পয়সা লভ্যাংশ আকারে দেয়ার কথা।

কম হারে লভ্যাংশ ঘোষণার অনুমতি অবশ্য বিএসইসি দিয়েছে। কারণ হিসেবে আগের বছর শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৮০ পয়সা লোকসান দেয়ার কথা জানানো হয়েছে। এবারের আয়ে আগের বছরের লোকসানের সমন্বয় করা হয়েছ।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবরের হিসাব পর্যালোচনা করে এনসিসি ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ইউনিটপ্রতি ৭২ দশমিক ৫ পয়সা শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

ফান্ডটি শেয়ারপ্রতি আয় করে ১ টাকা ১২ পয়সা। অথচ আগের বছর তাদের ইউনিটপ্রতি লোকসান ছিল ৪৮ পয়সা।

আরও পড়ুন:
মন্দাতেও সফল মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ভালো লভ্যাংশের আভাস
মিউচ্যুয়াল ফান্ডের স্পন্সর হবে বিদেশি কোম্পানি
আরও চাঙ্গা মিউচ্যুয়াল ফান্ড
আগ্রহ ধরে রাখল মিউচ্যুয়াল ফান্ড

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Reserves fell by and534 million over the week

সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ৫৩৪ মিলিয়ন ডলার

সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ৫৩৪ মিলিয়ন ডলার
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ২৭ মার্চ পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। এক সপ্তাহ আগে বা ২০ মার্চ তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

দেশে চলমান ডলার সংকট সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংক বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এরপরও সংকটের সমাধান হচ্ছে না। বাজার নিয়ন্ত্রণে রিজার্ভ থেকে ধারাবাহিকভাবে ডলার বিক্রি করছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

এমন পরিস্থিতিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে ৫৩৩ দশমিক ৮২ মিলিয়ন ডলার। মূলত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার বিক্রির কারণে রিজার্ভ কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ২৭ মার্চ পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। এক সপ্তাহ আগে বা ২০ মার্চ তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

মার্চের প্রথম সপ্তাহে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২১ বিলিয়ন ডলারের উপরে। এরপর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধ এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রির ছাড়পত্রের পর রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর আমদানি বিল মেটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ডলার সংকট কাটাতে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি কারেন্সি সোয়াপ কার্যক্রম চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আওতায় প্রায় ১৭৫ কোটি ডলার রেখে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকার বেশি তারল্য সহায়তা নিয়েছে সংকটে থাকা কয়েকটি ব্যাংক।

ব্যাংকগুলোর জমা রাখা ডলার বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভে যোগ হচ্ছে। এর মাধ্যমে রিজার্ভ বাড়ানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে চলতি মাসে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকু) ও অন্যান্য আমদানি বিল পরিশোধের চাপে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে।

ব্যাংকিং শিল্প-সংশ্লিষ্টরা সংবাদ মাধ্যমেক বলেন, সংকটের কারণে রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রচুর ডলার বিক্রি করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে মুদ্রা অদলবদলের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও ডলার ফেরত নিচ্ছে।

আরও পড়ুন:
আরএফসিডি হিসাবের সুবাদে ব্যাংকে নগদ ডলার বাড়ছে
ডলারের তেজ কমে আসছে, বাড়ছে টাকার মান
বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে টাকা-ডলার বিনিময় চালু করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
আইএমএফের শিথিল শর্তেও রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি
রপ্তানি আয় ৫.৩১ বিলিয়ন, তবু আগের ডিসেম্বরের চেয়ে কম

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Customers of Janata Bank Tamai branch also have money
ক্যাশভল্টের ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার হিসাবে গরমিল

জনতা ব্যাংক তামাই শাখার গ্রাহকদের টাকাও ‘হাওয়া’

জনতা ব্যাংক তামাই শাখার গ্রাহকদের টাকাও ‘হাওয়া’ আটকের পর সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানায় ব্যাংক ম্যানেজার আল আমিনসহ তিনজন। ছবি: নিউজবাংলা
ব্যাংকিং নিয়মের তোয়াক্কা না করে নিজের মর্জিমাফিক কার্যক্রম চালিয়েছেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আল আমিন। একে একে বেরিয়ে আসছে নতুন তথ্য। অনেক গ্রাহকের হিসাবের টাকাও তুলে নেয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে- তাহলে কি হিসাবে গরমিলের ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকাই শেষ কথা নয়?

ব্যাংকিং নিয়মে নয়, নিজের বানানো নিয়মে ব্যাংকের কার্যক্রম চালাতেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচির জনতা ব্যাংকের তামাই শাখার ব্যবস্থাপক আল আমিন। নিজের ইচ্ছেমতো গ্রাহকের হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন ও জমা দিতেন।

এদিকে ব্যাংকের ক্যাশ ভল্টের ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার হদিস এখনও মেলিনি।

বুধবার সকালে জনতা ব্যাংকের তামাই শাখায় গিয়ে দেখা যায়, গ্রাহকদের হিসাবে থাকা টাকা তাদের অজান্তে তুলে নেয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ক্যাশ ভল্টের ওই পরিমাণ টাকাই শেষ কথা নয়? গ্রাহকদের অজান্তে তাদের হিসাবে জমা বিপুল পরিমাণ টাকাও হাতিয়ে নেয়া হয়েছে?

শাখাটিতে অবস্থানকালে সাংবাদিকদের কথা হয় তামাই বাজারের মেসার্স মুসলিম উইভিং ফ্যাক্টরির স্বত্বাধিকারী আব্দুল মোতালেব জোয়ারদারের সঙ্গে।

তিনি জানান, তার একটি ৪৮ লাখ টাকার সিসি লোন করা ছিল। তবে তিনি এখনও লোনটি উত্তোলন করেননি। অথচ তার ব্যাংক হিসাব ঘেটে দেখা যায় যে তিনি পুরো টাকাই উত্তোলন করেছেন। তার এই টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে তার সিরিয়ালের চেক ব্যবহার করা হয়নি। অন্য একটি চেকে ওই পরিমাণ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

এমন ঘটনায় মোতালেব জোয়ারদার হতবাক! এ অবস্থায় তার করণীয় কী হতে পারে বুঝতে পারছেন না।

শুধু আব্দুল মোতালেব নন, আরও অনেক গ্রাহকের ক্ষেত্রেই এমন ঘটনা ঘটেছে। একই এলাকার ব্যবসায়ী চান টেক্সটাইলের আকন্দের হিসাব থেকে তার অজান্তেই ১০ লাখ টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। আল ফারুক স্টোরের শহিদুল ইসলামের ২৪ লাখ টাকার সিসি লোনের মধ্যে তার অজান্তেই চেক জালিয়াতে করে ৫ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

ব্যক্তিগত সঞ্চয় হিসাবেও এমন জালিয়াতির ঘটনা উঠে আসছে। ঝিন্না মোল্লার ব্যক্তিগত হিসাবে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯১০ টাকা থাকার কথা। কিন্তু ওই হিসাবে আছে মাত্র এক লাখ ৫ হাজার ১১২ টাকা।

তাৎপর্যের বিষয় হল, এসব লেনদেনের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা তাদের মোবাইল ফোনে এসএমএস পাওয়ার কথা থাকলেও কোন এসএমএস আসেনি। গ্রাহকরা এ বিষয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বললে তিনি তাদেরকে জানান- সার্ভারে ত্রুটি থাকার কারণে গ্রাহক এসএমএস পাচ্ছেন না।

বুধবার সকালে দেখা যায়, তামাই শাখার নতুন ব্যবস্থাপক কামরুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের পাঁচজন সদস্য বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন।

জনতা ব্যাংক হেড অফিসের এজিএম সাদিকুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে আরও রয়েছেন- ব্যাংকের এসপিও মোস্তফা কামাল, সিনিয়র অফিসার মাসুদুর রহমান, প্রিন্সিপাল অফিসার শরীফ মোহাম্মদ ইশতিয়াক ও এরিয়া ম্যানেজার সঞ্জিত কুমার।

এর আগে ২৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়া অফিসের যুগ্ম পরিচালক এস এম সাজ্জাদ হোসেনকে প্রধান করে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

তামাই শাখার ক্যাজুয়াল পিয়ন শহিদুল ইসলাম জানান, গত ৭ /৮ মাস ধরে শাখা ব্যবস্থাপক আল আমিনের কথা অনুসারে তিনি বিভিন্ন গ্রাহকের চেকে নিজে স্বাক্ষর দিয়ে টাকা উত্তোলন করেছেন। ব্যবস্থাপকের কথায় অনেক জমা ভাউচারেও তিনি স্বাক্ষর করেছেন।

কেন স্বাক্ষর করেছেন- এমন প্রশ্নে শহিদুল বলেন, ‘আমরা তাদের চাকরি করি। তিনি যা অর্ডার করতেন আমাদের তাই করতে হতো। আমি তো শুধু স্বাক্ষর দিয়েছি, ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তার আইডির মাধ্যমে টাকাগুলো দেয়া হতো। অনেক সময় গ্রাহকের হিসাবে টাকা না থাকলেও ম্যানেজার নিজে এসে তাদের টাকা দিতেন।’

এসব বিষয়ে নতুন ব্যবস্থাপক কামরুল হাসান বলেন, ‘তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা সম্ভব নয়। তদন্ত শেষে স্যাররাই ব্যবস্থা নেবেন।’

তদন্ত কমিটির প্রধান এজিএম সাদিকুর রহমান বলেন, ‘ঠিক কত টাকা গরমিল হয়েছে তার তদন্ত চলছে। গ্রাহকদের টাকার বিষয়ে হেড অফিস সিদ্ধান্ত নেবে। যেসব গ্রাহকের হিসাবে ঝামেলা হয়েছে তাদেরকে দরখাস্ত দিতে বলা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এর বাইরে কিছু বলা যাচ্ছে না।’

ব্যাংকের বিপুল টাকার হদিস না পাওয়ার এই ঘটনায় রোববার রাতে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন- সিরাজগঞ্জের বেলকুচি জনতা ব্যাংক তামাই শাখার ব্যবস্থাপক আল আমিন, সহকারী ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম ও ব্যাংক অফিসার রাশেদুল ইসলাম।

আল আমিন সিরাজগঞ্জের ধানবান্দি পৌর এলাকার মো. হারান শেখের ছেলে, রেজাউল করিম বগুড়ার ধুনট থানার বেলকুচি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে এবং রাশেদুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের বনবাড়িয়া কাদাই গ্রামের জিয়াউল হকের ছেলে। তারা বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

প্রসঙ্গত, ২৪ মার্চ রোববার জনতা ব্যাংক পিএলসি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তামাই শাখার ক্যাশ ভল্টে ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার গরমিল ধরা পড়ে।

পরে এ বিষয়ে জনতা ব্যাংক পিএলসি সিরাজগঞ্জের এরিয়া অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. নজরুল ইসলাম তামাই শাখার ম্যানেজারসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

এ ঘটনায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপকসহ তিন জনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। হিসাব অনুসারে ভল্টে মোট ৭ কোটি ১১ লাখ ২৪০ টাকা থাকার কথা থাকলেও পাওয়া গেছে এক কোটি ৭৭ লাখ ৬১ হাজার ২৪০ টাকা। বাকি ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার কোনো খোঁজ মেলেনি।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The salary and bonus should be paid to the workers before the Eid holiday

‘ঈদের ছুটির আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে হবে’

‘ঈদের ছুটির আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে হবে’ ফাইল ছবি।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘টিসিসি-র সভায় মালিক-শ্রমিক উভয়ের মধ্যে আলোচনা ও সম্মতির ভিত্তিতে সরকারি ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে যাতায়াতের সুবিধা অনুযায়ী আসন্ন ঈদের ছুটি দেয়া হবে।’

ঈদের ছুটির আগেই গার্মেন্টসসহ সব সেক্টরের শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধ করতে হবে। ঈদের আগে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না। আর কোনোক্রমেই ঈদের ছুটি সরকারি ছুটির কম হবে না। সূত্র: ইউএনবি

ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) ৭৭তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী। বুধবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

‘ঈদের ছুটির আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে হবে’
বুধবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টিসিসির সভায় বক্তব্য দেন প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মালিক-শ্রমিক উভয়ের মধ্যে আলোচনা ও সম্মতির ভিত্তিতে সরকারি ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে যাতায়াতের সুবিধা অনুযায়ী আসন্ন ঈদের ছুটি দেয়া হবে।’

সভায় অংশ নেন- শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. মাহবুব হোসেন, শ্রম অধিদপ্তরে মহাপরিচালক মো. তরিকুল আলম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি আরদাশির কবির, বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টারস এসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান, বাংলাদেশ মুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুল্লাহ বাদল এবং বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান।

আরও পড়ুন:
ঈদের ছুটি দুই দিন বাড়ানোর দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
ট্রেনে ঈদযাত্রার আগাম টিকিট বিক্রি শুরু
বাসের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু
ঈদযাত্রায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলবে বিশেষ ট্রেন
ট্রেনের অগ্রিম টিকিট শুধুই অনলাইনে, বিক্রি শুরু ২৪ মার্চ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
TCB will import 50 thousand tons of onions from India
মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে প্রস্তাব অনুমোদন

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করবে টিসিবি

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করবে টিসিবি
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে পেঁয়াজ আমদানি সংক্রান্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর তা আমদানি করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি)।

বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়। সূত্র: ইউএনবি

তবে বৈঠকে পেঁয়াজের দাম প্রকাশ করা হয়নি। কারণ প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য আবারও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে আসবে।

প্রস্তাব অনুযায়ী, ভারতের ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের কাছ থেকে জিটুজি (সরকার বনাম সরকার) ভিত্তিতে এসব পেঁয়াজ আমদানি করবে টিসিবি।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব সাংবাদিকদের জানান, ক্রয় প্রস্তাবটি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে আসার পর পেঁয়াজের দাম প্রকাশ করা হতে পারে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Import of 1000 tons of potatoes from India in four shipments

ভারত থেকে চার চালানে ১০০০ টন আলু আমদানি

ভারত থেকে চার চালানে ১০০০ টন আলু আমদানি বেনাপোল বন্দর ইয়ার্ডে ভারত থেকে আমদানি করা আলু বোঝাই ট্রাক। ছবি: নিউজবাংলা
বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বুধবার সকালে বলেন, ‘ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে ১৩ ও ১৪ মার্চ ২০০ টন করে এবং ১৯ মার্চ ৩০০ ও ২৪ মার্চ রাতে ৩০০ টন আলু আমদানি করা হয়।’

রমজানে চাহিদা বাড়ায় ভারত থেকে আমদানি করা আলুর আরেকটি চালান বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে এসেছে।

বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ১৩ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ৩২টি ট্রাকে এক হাজার টন আলু নিয়ে আসা হয়েছে বেনাপোলে।

আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো ইন্টিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিংস। আলুর চালান বন্দর থেকে খালাস নিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছে ট্রান্সমেরিন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে ১৩ ও ১৪ মার্চ ২০০ টন করে এবং ১৯ মার্চ ৩০০ ও ২৪ মার্চ রাতে ৩০০ টন আলু আমদানি করা হয়।’

ট্রান্সমেরিন লজিস্টিক লিমিটেড সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘চারটি চালানে ভারতীয় ৩২টি ট্রাকে এক হাজার টন আলু আমদানি করা হয়। প্রতি টন আলুর আমদানি খরচ পড়েছে ১৯৪ ডলার।’

এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘আমদানি করা আলুর তিনটি চালানের ৭০০ টন ইতোমধ্যে বন্দর থেকে খালাস করা হয়েছে। শেষ চালানের ৩০০ টন বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় আছে।

‘আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খালাসের অনুমতি চাইলে দ্রুত ছাড়করণে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।’

এর আগে গত বছরের ২ ডিসেম্বর ভারত থেকে তিনটি ট্রাকে ৭৪ টন আলু আমদানি করা হয়। এরপর চলতি মাসে চারটি চালানে আরও এক হাজার টন আলু আমদানি করা হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Cash dollars in banks are increasing due to RFCD accounts

আরএফসিডি হিসাবের সুবাদে ব্যাংকে নগদ ডলার বাড়ছে

আরএফসিডি হিসাবের সুবাদে ব্যাংকে নগদ ডলার বাড়ছে ফাইল ছবি।
ব্যাংকাররা বলছেন, ব্যাংকগুলো আরএফসিডি অ্যাকাউন্টে জমা দেয়া ডলারের ওপর ৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিতে শুরু করেছে। পাশাপাশি এই হিসাবের ডলার দেশ-বিদেশে গিয়ে খরচ করা যাচ্ছে। প্রতিবার বিদেশ ভ্রমণের সময় এই হিসাব থেকে নগদ ১০ হাজার ডলার জমা রাখার অফার ঘোষণা করেছে একাধিক ব্যাংক। এসব কারণে ব্যাংকে ক্যাশ ডলার বাড়ছে।

দেশের ব্যাংকগুলোতে ক্যাশ ডলার হোল্ডিং বাড়তে শুরু করেছে। মূলত বাংলাদেশিদের বৈদেশিক মুদ্রার অ্যাকাউন্ট খোলা ও পরিচালনার অনুমতি দেয়া এবং অনাবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশিদের জন্য সুবিধাজনক রিটার্নের বিনিময়ে ডলার জমা রাখার সুবিধার্থে অফশোর ব্যাংকিং আইন প্রণয়নের ফলে ডলার হোল্ডিং ক্রমাগত বাড়ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকে নগদ ডলারের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন ডলারে। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে তা ছিল ৩২ মিলিয়ন এবং জানুয়ারিতে ছিল ২৮ মিলিয়ন ডলার।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী রোববার এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে সাম্প্রতিক অফশোর ব্যাংকিং আইন পাসের পর বিদেশি আমানতকারী ও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শিগগিরই বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছি।’

ব্যাংকাররা জানান, ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের আরএফসিডি (রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট) অ্যাকাউন্টে জমা দেয়া ডলারের ওপর ৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিতে শুরু করেছে। পাশাপাশি এই হিসাবের ডলার কোনো বাছবিচার ছাড়াই দেশে ও বিদেশে গিয়ে খরচ করা যাচ্ছে। প্রতিবার বিদেশ ভ্রমণের সময় এই হিসাব থেকে নগদ ১০ হাজার ডলার জমা রাখার অফার ঘোষণা করেছে একাধিক ব্যাংক। এসব কারণে এখন ব্যাংকে ক্যাশ ডলার বাড়ছে।

বর্তমানে নগদ ডলারের বড় অংশ মজুত আছে ইস্টার্ন, দি সিটি, ব্র্যাক, ডাচ্-বাংলা, প্রাইম, পূবালী, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, এইচএসবিসি, ইসলামীসহ আরও বেশ কয়েকটি ব্যাংকে। ডলারের পাশাপাশি পাউন্ড, ইউরো, অস্ট্রেলিয়ান ডলার, কানাডিয়ান ডলার, সিঙ্গাপুরি ডলারেও আরএফসিডি হিসাব খোলা যায়।

বেসরকারি একটি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধান বলেন, আরএফসিডি অ্যাকাউন্টে ছাড় দেয়ার কারণে ব্যাংকের ক্যাশ ডলার বাড়তে পারে। কারণ এখানে মানুষ এখন কোনও প্রশ্ন ছাড়াই বিদেশ ভ্রমণ শেষে ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত রাখতে পারছে। একটা মুনাফাও পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এখন কার্ব মার্কেট ও ব্যাংকের দেয়া ডলার রেটের মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই। কার্ব মার্কেটে ১১৭-১১৮ টাকা পেলেও ব্যাংকগুলো প্রতি ডলারের বিপরীতে ১১৪-১১৫ টাকা করে দিচ্ছে। তাই যাদের কাছে ক্যাশ ডলার আছে, তারা ব্যাংকেই রাখছেন।

তবে ক্যাশ ডলার বাড়লেই যে ব্যাংক সেটা বিক্রি করতে পারবে তেমন নয়। কারণ অনেকে আছেন যারা নিয়মিত বিদেশ ভ্রমণ করেন, কয়েক দিন পর আবার প্রয়োজন হতে পারে, স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্টে রাখতে পারেন, চিকিৎসার আগে বিদেশে যাওয়ার জন্যও রাখতে পারেন। তবে এগুলো নির্ধারিত সময় পর তারা নিয়ে যাবেন। এগুলো ব্যাংকের পক্ষে বিক্রয়যোগ্য নয়। তাই এগুলো কতটা টেকসই ডলার আগে সেটা দেখতে হবে, যোগ করেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের ৩ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে মানুষের ঘরে রাখা ডলার ব্যাংকে ফেরাতে আবাসিক বৈদেশিক মুদ্রা আমানত বা রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট (আরএফসিডি) হিসাবের ওপর সুদসহ বাড়তি সুবিধা দেয়ার সুযোগ করে দেয়।

এরপরই দি সিটিসহ কিছু ব্যাংক বাড়তি উদ্যোগ নিয়ে এই হিসাব খুলতে শুরু করে। বিদেশ থেকে এসেছেন, বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে– এমন যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক ব্যাংকে গিয়ে আরএফসিডি হিসাব খুলতে পারেন।

এ ক্ষেত্রে কবে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন তা মুখ্য বিষয় নয়। মুখ্য বিষয় হলো, বিদেশে গেছেন তার প্রমাণপত্র অর্থাৎ পাসপোর্ট ও ভিসার নথিপত্র ব্যাংকে জমা দিতে হবে। হিসাব খোলার জন্য আরও প্রয়োজন দুই কপি ছবি, নমিনি, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন)।

এই হিসাবের বিপরীতে ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কোনো চেক বই না দিয়ে ডেবিট কার্ড দেয়, যা থেকে খরচে কোনো অনুমোদন লাগে না।

একজন নাগরিক প্রতিবার বিদেশ ভ্রমণের জন্য ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত আরএফসিডি হিসাবে জমা রাখতে পারবেন। ফলে গত এক বছরে যদি কেউ ১০ বার বিদেশ ভ্রমণ করে থাকেন, তিনি চাইলে তার হিসাবে কোনো নথিপত্র ছাড়াই এক লাখ ডলার পর্যন্ত জমা দিতে পারবেন।

তবে প্রতিবার ভ্রমণের ক্ষেত্রে এর বেশি পরিমাণ ডলার জমা দিতে চাইলে তাকে বেশি ডলার দেশে আনার জন্য কাস্টমসের ঘোষণাপত্র জমা দিতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো এখন এই হিসাবের বিপরীতে ৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, এই হিসাবে জমা অর্থের ওপর ব্যাংকগুলো বেঞ্চমার্ক রেটের সঙ্গে আরও অন্তত দেড় শতাংশ সুদ দেবে।

সিকিউরড ওভারনাইট ফাইন্যান্সিং রেট (সোফর) এখন ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। সে অনুযায়ী আরএফসিডি হিসাবে সুদ হার দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৮১ শতাংশ।

আরও পড়ুন:
ডলারের তেজ কমে আসছে, বাড়ছে টাকার মান

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Send Pay is a new addition to digital payments

ডিজিটাল পেমেন্টের নতুন সংযোজন পাঠাও পে

ডিজিটাল পেমেন্টের নতুন সংযোজন পাঠাও পে
পাঠাও পে-এর বিশাল পরিধির সেবা আর্থিক লেনদেনকে সহজতর করবে, যাতে এর ব্যবহারকারীগণ যেভাবে চান সেভাবে লেনদেন করতে পাবেন, প্রয়োজনে অর্থের যোগান পাবেন এবং যেভাবে উচিত সেভাবে নিজের আয়-ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

পাঠাও-বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, নিয়ে এলো ডিজিটাল ওয়ালেট সেবা ‘পাঠাও পে’। এটি একটি অত্যাধুনিক ডিজিটাল ওয়ালেট সেবা, যার লক্ষ্য বাংলাদেশের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল ল্যান্ডস্কেপ বদলে দেওয়া। পাঠাও পে-এর বিশাল পরিধির সেবা আর্থিক লেনদেনকে সহজতর করবে, যাতে এর ব্যবহারকারীগণ যেভাবে চান সেভাবে লেনদেন করতে পাবেন, প্রয়োজনে অর্থের যোগান পাবেন এবং যেভাবে উচিত সেভাবে নিজের আয়-ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এই সফট লঞ্চে, শুধুমাত্র ছোট পরিসরে মনোনীত ইউজারদের পাঠাও-এর ইনার সার্কেল-এ যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান করা হয়েছে, যারা পাবেন পাঠাও পে-এর প্রিমিয়াম ফিচারগুলোর এক্সক্লুসিভ এক্সেস ও এক্সাইটিং সব অফার।

পাঠাও পে বিভিন্ন সার্ভিস প্রদানের মাধ্যমে পেমেন্ট এক্সপেরিয়েন্সকে দ্রুত, ফ্লেক্সিবল এবং ঝামেলাহীন করবে। ব্যবহারকারীগণ পাবেন কিছু নতুন ধরনের সুবিধা, যেমন: Split Pay-এর মতো আকর্ষণীয় ফিচার, যা একাধিক ব্যবহারকারীদের নিজেদের মধ্যে বিলটি ভাগ করে পরিশোধ করার সুবিধা দিবে। এছাড়াও রয়েছে ATOM, যা ব্যবহারকারীদের পাঠাও পে ব্যবহার করে ওয়ালেটে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকলেও সরাসরি সোর্স অফ ফান্ড থেকে সেই সময়েই অর্থ পরিশোধ করার সুযোগ দিবে। ইউজারগণ তাদের কার্ড, ব্যাংক ট্রান্সফার বা নগদ-এর মাধ্যমে সহজেই ফান্ড অ্যাড করতে পারবেন। ফান্ড জমা হলেই, ইউজার তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, কার্ড বা পার্টনার এটিএম-এ ক্যাশআউট অপশন থেকে ক্যাশ টাকা তুলতে পারবেন।

এই সফট লঞ্চে থাকছে ব্যবহারকারীদের জন্য বিশাল ক্যাশব্যাক পাওয়ার একটি দুর্দান্ত সুযোগ। প্রত্যেক ব্যবহারকারী পাঠাও পে-এর মাধ্যমে পাঠাও সার্ভিসের জন্য পেমেন্ট করে পাবেন ৫৫০ টাকা পর্যন্ত, ৫০% ক্যাশব্যাক। পাঠাও ফুড-এর দু’টি অর্ডারে পাঠাও পে দিয়ে পেমেন্ট করে পাবেন সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা ক্যাশব্যাক (প্রতি অর্ডারে ১২৫টাকা পর্যন্ত)। একইভাবে, পাঠাও কার-এর দু’টি রাইডে পাবেন সর্বোচ্চ ২০০ টাকা ক্যাশব্যাক (প্রতি রাইডে ১০০টাকা পর্যন্ত), পাঠাও বাইক-এর দুটি রাইডে পাবেন সর্বোচ্চ ১০০ টাকা ক্যাশব্যাক (প্রতি রাইডে ৫০ টাকা পর্যন্ত)। ইউজার এই ক্যাশব্যাক পাবেন ক্রেডিট ট্রানজেকশন হওয়ার পরবর্তী কার্যদিবসে।

দেরি না করে এখনই আপডেট করে ফেলুন পাঠাও অ্যাপ অথবা জয়েন করুন ইনার সার্কেল-এর ওয়েটলিস্টেঃ https://forms.gle/nJZFG4jGtF61sEME8

এই লঞ্চের মাধ্যমে পাঠাও পে, পাঠাও-এর ডিজিটাল ইকোসিস্টেমের পরিধি উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি করেছে, এবং সার্বজনীন ও সহজতর ফিন্যান্সিয়াল ল্যান্ডস্কেপে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে, যা বাংলাদেশী ব্যবহারকারীদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্য-পূর্ণ, সুবিধাজনক হয়ে আর্থিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পাঠাও বাংলাদেশের ডিজিটাল অবকাঠামো তৈরির মাধ্যমে নতুন সুযোগ সৃষ্টি, সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়ন ও জীবনমানের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে আসছে। পাঠাও বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ডিজিটাল সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম; রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি ও ই-কমার্স লজিস্টিকস সেবা খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। পাঠাও আপনাদের সাথে আছে ১ কোটিরও বেশি গ্রাহক এবং ৩ লাখ চালক-ডেলিভারি এজেন্ট, ১ লক্ষ মার্চেন্ট ও ১০ হাজার রেস্টুরেন্টের সুবিশাল নেটওয়ার্ক নিয়ে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করেছে পাঠাও এবং তাঁদের উপার্জনক্ষম করে তোলার পাশাপাশি বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে ও অবদান রাখছে। প্রেস রিলিজ

মন্তব্য

p
উপরে