× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
সোয়া তিন বছর পর সূচক ছয় হাজার পয়েন্টে
google_news print-icon

সোয়া তিন বছর পর সূচক ছয় হাজার পয়েন্টে

সোয়া-তিন-বছর-পর-সূচক-ছয়-হাজার-পয়েন্টে
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন দেখছেন ব্রোকারেজ হাউজের কর্মী। ছবি: নিউজবাংলা
২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পুঁজিবাজারে সূচক ছিল ছয় হাজার ৫০ পয়েন্ট। এরপর আর ছয় হাজার পয়েন্টের ঘর অতিক্রম করতে পারেনি। মাইলফলক ছোঁয়ার দিন টানা দ্বিতীয় কার্যদিবসের মতো লেনদেন হয়েছে দুই হাজার কোটি টাকার বেশি। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা। কিছুটা কমে আজ লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ১৪৯ কোটি টাকা।

পুঁজিবাজারে চাঙ্গাভাব অব্যাহত রয়েছে। সোয়া তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক সোয়া তিন বছর পর ছয় হাজার পয়েন্টের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।

রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২২ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পুঁজিবাজারে সূচক ছিল ৬ হাজার ৫০ পয়েন্ট। এরপর নানা সময় পুঁজিবাজারে উত্থান দেখা গেলেও আর ৬ হাজার পয়েন্ট আর অতিক্রম করতে পারেনি।

টানা দ্বিতীয় কার্যদিবসের মতো লেনদেন হয়েছে দুই হাজার কোটি টাকার বেশি। যদিও বৃহস্পতিবারের তুলনায় লেনদেন কিছুটা কমেছে।

বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা। কিছুটা কমে লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ১৪৯ কোটি টাকা।

এর আগে গত ১৩, ১৪ ও ১৭ জানুয়ারি টানা তিন কার্যদিবস দুই হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছিল।

গত বছরের শেষ প্রান্তিক থেকে পুঁজিবাজারে উত্থান শুরু হলেও জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের পর থেকে শুরু হয় বাজার সংশোধন, যা অব্যাহত থাকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত।

৫ এপ্রিল থেকে লকডাউনের ঘোষণায় বাজারে ছোটখাট ধসও নামে। এ সময় লেনদেন বন্ধ হয়ে যাবে, এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে বিনিয়োগকারীরা কম দামে হলেও শেয়ার বিক্রি করে দিতে থাকেন। তবে লেনদেন চালু থাকবে এবং লেনদেনের সময় সীমা ঘোষণার পর ফিরে আসে স্বস্তি।

৫ এপ্রিল লকডাউনের শুরুর দিন থেকেই পুঁজিবাজারে উত্থান দেখা দেয়। এরপর মোট ৩৬টি কর্মদিবসে লেনদেন হয়েছে এর মধ্যে সূচক কমেছে অল্প কয়েক দিন।

৭ এপ্রিল ৬৬ কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য তথা ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর দুই দিন বেশ বড় পতন হয়। তবে এসব শেয়ারের দাম ‍দুই শতাংশের বেশি কমতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত জানানোর পর ঘুরে দাঁড়ায় বাজার। পাশাপাশি মার্জিন ঋণ নেয়ার অনুপাত বাড়িয়ে ১০০ টাকার বিপরীতে ৮০ টাকা নির্ধারণ করার পর বিনিয়োগকারীদের বিও অ্যাকাউন্টগুলো নতুন করে শেয়ার কেনার উপযোগী হয়।

এর মধ্যে প্রথমে বিমা খাত, পরে মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এরপর আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পরে ব্যাংক খাত এবং সব শেষে বস্ত্র খাতের উত্থানে মুনাফা করতে থাকায় বিও হিসাবগুলো আরও শেয়ার কেনার উপযোগী হয়। আর এ কারণে লেনদেন বাড়তে থাকে ধারাবাহিকভাবে।

ঈদের আগে সব সময় বাজারে ধীরগতি ও দর সংশোধনের প্রবণতা থাকলেও এবার ছিল উল্টোচিত্র। বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কিনেছেন যা ঈদের পরেও অব্যাহত থাকে।

লকডাউনের শুরুতে তিনশ কোটি টাকার নিচে নেমে যাওয়া লেনদেন ২০ এপ্রিল ছাড়ায় এক হাজার কোটি টাকা। এরপর ২১, ২২ ও ২৬ এপ্রিল কেবল হাজার কোটি টাকার নিচে লেনদেন হয়েছে।

২৫ এপ্রিলের পর টানা ১৯ কার্যদিবস এক হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। এর মধ্যে গত সাত কার্যদিবসে তিনবার তা দুই হাজার কোটির ঘর ছাড়িয়েছে।

দর পতন উত্থান-দুটোই আছে ব্যাংক খাতে

বৃহস্পতিবার ব্যাংক খাতে বহু বছরের মধ্যে সবচেয়ে চাঙ্গাভাব দেখা দিয়েছিল। ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে দর হারিয়েছিল কেবল একটি। তার চেয়ে বড় কথা সাতটি ব্যাংক লেনদেন হয়েছিল দিনের সর্বোচ্চ সীমায়। এর চেয়ে বেশি দাম বাড়া সম্ভব ছিল না সেদিন।

এর বাইরে আরও চারটি ব্যাংকের শেয়ার দর সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে ১০ থেকে ৩০ পয়সা কমে লেনদেন হয়েছে।

ছয় থেকে আট শতাংশ দাম বাড়ে আরও বেশ কয়েকটির।

আজও দুটি ব্যাংকের শেয়ার দর লেনদেন হয়েছে এক দিনে দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমায়। ডাচ বাংলা ব্যাংকের ১০ শতাংশ আর যমুনা ব্যাংকের দর বাড়ে ৯.৮৫ শতাংশ।

সোয়া তিন বছর পর সূচক ছয় হাজার পয়েন্টে

সোয়া তিন বছর পর সূচক ছয় হাজার পয়েন্টে
ব্যাংক খাতের ৩১টি কোম্পানির লেনদেনের চিত্র

ডাচ বাংলার শেয়ার দর ছয় টাকা ৩০ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ টাকা ৩০ পয়সা। আর যমুনার ব্যাংকের শেয়ার পর দুই টাকা ১০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ২৩ টাকা ৪০ পয়সা।

এর বাইরে বলার মতো দর বেড়েছে ইবিএলের ৫.৬ শতাংশ বা দুই টাকা, ব্র্যাক ব্যাংকের ৪.২১ শতাংশ বা দুই টাকা ১০ পয়সা, উত্তরা ব্যাংকের ৪.১৭ শতাংশ বা এক টাকা এবং এনআরবিসির ২.৭৫ শতাংশ বা এক টাকা।

সব মিলিয়ে ৩১টির মধ্যে দাম বেড়েছে ১১টির, দুইটির দাম ছিল অপরিবর্তিত। আর কমেছে বাকি ১৮টির দাম।

সবচেয়ে বেশি কমেছে প্রাইম ব্যাংকের এক টাকা ৪০ পয়সা বা ৫.৩৬ শতাংশ এবং আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের এক টাকা বা ৪ শতাংশ।

সাধারণ বিমায় পতন, জীবন বিমায় উত্থান

লকডাউনের প্রথম দিন থেকে সাধারণ বিমা খাতে বিস্ময়কর উত্থান দেখা দিলেও গত সপ্তাহ থেকে বেশ কিছু শেয়ারের দর কমতে থাকে।

আজ সাধারণ বিমা খাতের ৩৮টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে কেবল আটটির। একটির লেনদেন ছিল স্থগিত। কমেছে বাকি সব কটির।

সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৫.৯৭ শতাংশ বা দুই টাকা ৪০ পয়সা, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৫.৪১ শতাংশ বা দুই টাকা ৬০ পয়সা, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স ৫.১২ শতাংশ বা তিন টাকা ১০ পয়সা, ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের ৪.৬৩ শতাংশ বা চার টাকা, ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ৪.৪ শতাংশ বা দুই টাকা ৮০ পয়সা, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের ৪.৩৬ শতাংশ বা তিন টাকা ৬০ পয়সা, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স ৪.৩ শতাংশ বা তিন টাকা ৩০ পয়সা, আর অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের ৪.১১ শতাংশ বা দুই টাকা ৩০ পয়সা দর কমেছে।

সোয়া তিন বছর পর সূচক ছয় হাজার পয়েন্টে

সোয়া তিন বছর পর সূচক ছয় হাজার পয়েন্টে
বিমা খাতের ৫০টি কোম্পানির লেনদেনের চিত্র

তবে পতনের চিনও উজ্জ্বল ছিল নর্দার্ন জেনারেল ইন্স্যুরেন্স। টানা চার কার্যদিবস দাম বৃদ্ধির প্রান্তসীমা ছুঁয়ে শেয়ার মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৬ টাকা ৫০ পয়সা। দাম বেড়েছে পাঁচ টাকা ৯০ পয়সা বা ৯.৭৪ শতাংশ।

গত ২৩ মে এই কোম্পানির শেয়ার মূল্য ছিল ৪৫ টাকা ৬০ পয়সা। অর্থাৎ চার দিনে বেড়েছে ২১ টাকা ১০ পয়সা।

এ ছাড়া ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের সাত টাকা ৬০ পয়সা বা ৬.১৩ শতাংশ, গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের পাঁচ টাকা ১০ পয়সা বা ৫.৭ শতাংশ, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের পাঁচ টাকা ২০ পয়সা বা ৫ শতাংশ, বিজিআইসির চার টাকা ৯০ পয়সা বা ৩.৬ শতাংশ, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের তিন টাকা বা ২.২. শতাংশ দাম বেড়েছে।

অন্যদিকে জীবন বিমা খাতের ১২টি কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে কেবল দুটির, বেড়েছে বাকি ১০টির।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে প্রাইম লাইফের দর। দিনে দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়ে দাম দাঁড়িয়েছে ৭৯ টাকা। দাম বৃদ্ধির হার ৯.৮৭ শতাংশ।

দিনের সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়েছে ফারইস্ট লাইফের দরও। পাঁচ টাকা ৫০ পয়সা বা ৯.৮৬ শতাংশ বেড়ে দাম দাঁড়িয়েছে ৬১ টাকা ৩০ পয়সা।

এ ছাড়া ডেল্টা লাইফের ৭ টাকা ৮০ পয়সা বা ৮.০৮ শতাংশ, প্রগতি লাইফের ছয় টাকা ৮০ পয়সা বা ৭ শতাংশ, পদ্মা লাইফের দুই টাকা ২০ পয়সা বা ৬.৯৬ শতাংশ, মেঘনা লাইফের চার টাকা ১০ পয়সা বা ৫.১২ শতাংশ।

পপুলার লাইফের তিন টাকা ৪০ পয়সা বা ৪.০৭ শতাংশ, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাত টাকা ১০ পয়সা বা ২.৮৬ শতাংশ, সানলাইফের এক টাকা ৩০ পয়সা বা ৩.৫১ শতাংশ এবং প্রগ্রেসিভ লাইফের দুই টাকা বা ১.৬৬ শতাংশ।

দিন মিউচ্যুয়াল ফান্ডের

পুঁজিবাজারে বলার মতো দিন গেলে এই খাতের।

৩৭টি ফান্ডের মধ্যে লেনদেন হয়নি একটির, দাম বেড়েছে বাকি ৩৬টির সবগুলোর।

সবচেয়ে দাম বাড়া ২০টি কোম্পানির মধ্যে চারটিই ছিল এই খাতের। আর সবচেয়ে বেশি দাম বাড়া ৩০টির মধ্যে ফান্ডের সংখ্যা আটটি। এই খাতের একসঙ্গে সবগুলোর দাম বাড়ার প্রবণতা চলতি মাসে দ্বিতীয় বারের মতো দেখা গেল।

সোয়া তিন বছর পর সূচক ছয় হাজার পয়েন্টে

সোয়া তিন বছর পর সূচক ছয় হাজার পয়েন্টে
রোববার সবচেয়ে বেশি চাঙ্গা ছিল মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত

এদের মধ্যে ফিনিক্স ফিনান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৯.১৭ শতাংশ বা এক টাকা, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৮.০৬ শতাংশ বা ৫০ পয়সা, ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালান্স ফান্ডের ৬.৯৮ শতাংশ বা ৬০ পয়সা, ফার্স্ট বাংলাদেশ ইনকাম ফান্ডের ৬.৯০ শতাংশ বা ৪০ পয়সা দাম বেড়েছে।

অন্যান্য খাত

এর বাইরে বড় খাতগুলোর মধ্যে বস্ত্র খাতের ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৮টির, অপরিবর্তিত ছিল সাতটি আর কমেছে বাকি ৩১টির।

প্রকৌশল খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে সব বেড়েছে ১৫টির। দিনে দ্বিতীয় সর্বাধিক দর বাড়া ইফাদ অটো এই খাতের কোম্পানিই। পাঁচ টাকা বা ৯.৯৪ শতাংশ দর বেড়েছে এই কোম্পানির।

এই খাতের ১৪টি কোম্পানি দর হারিয়েছে, একটির লেনদেন হয়নি আর বাকি ১২টির দর ছিল অপরিবর্তিত।

সোয়া তিন বছর পর সূচক ছয় হাজার পয়েন্টে
রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র

জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের ২২ কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ১১টির দর, কমেছে নয়টির, আর অপরিবর্তিত ছিল দুটির দর।

আর্থিক খাতের ২৩ কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে ১৪টি। একটির লেনদেন স্থগিত, অপরিবর্তিত ছিল চারটির, বাকি চারটির বেড়েছে।

ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে ১৬টি, অপরিবর্তিত ছিল দুটি, একটির লেনদেন স্থগিত। বেড়েছে বাকি ১২টির দর।

সূচক লেনদেন

রোববার লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২২ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮ পয়েন্টে।

শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস দশমিক ৮৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৮৫ পয়েন্টে।

বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ১৮ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২০৮ পয়েন্টে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৪টির। দর কমেছে ১৭৪টির। দর পাল্টায়নি ৪৬টির।

লেনদেন হয়েছে মোট ২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা। এ সময়ে লেনদেন কমেছে ২১৯ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের তুলনায় ৩১ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৩৭৯ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে মোট ১০৯ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে লেনদেন আরও বাড়বে: বিএসইসি চেয়ারম্যান
৩৯ মাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে পুঁজিবাজার
লেনদেনে ১০ বছরের রেকর্ড ছুঁইছুঁই
জীবন পাচ্ছে রিং সাইন, উৎপাদনে যাওয়ার প্রস্তুতি
চাঙা পুঁজিবাজারে শেয়ার কেনার ধুম

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
On the occasion of the martyrdom anniversary of Shaheed President Ziaur Rahman
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে

জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতির আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত

জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতির আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে গত ০২ জুন, সোমবার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতি।

জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ গোলাম মরতুজা, মোঃ ফয়েজ আলম ও মোঃ আশরাফুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল আবেদিন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভা সঞ্চালনায় ছিলেন কার্যকরী সভাপতি শাহ জাহান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি এস. এফ. এম. মুনির হোসেন, সহসভাপতি মজিবুর রাহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ছানোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Return is not obligated to get a credit card and trade license purchased by savings

সঞ্চয়পত্র কেনা, ক্রেডিট কার্ড ও ট্রেড লাইসেন্স নিতে রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা নেই

সঞ্চয়পত্র কেনা, ক্রেডিট কার্ড ও ট্রেড লাইসেন্স নিতে রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা নেই

১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কেনায় আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। আবার ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার সময় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। ট্রেড লাইসেন্স নিতেও রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দাখিলের বাধ্যবাধকতায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্রের বাধ্যবাধকতায় এসব পরিবর্তন আনা হয়েছে। এত দিন ৪৬টি সেবায় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখানোর বাধ্যবাধকতা ছিল।

এখন ১১ ধরনের সেবা নিতে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। শুধু কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীদের (টিআইএন) সিস্টেম জেনারেটেড প্রত্যয়নপত্র দাখিল করলেই হবে। ওই ১১টি সেবা হলো সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় নতুন ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণে; সমবায় সমিতির নিবন্ধন প্রাপ্তিতে; সাধারণ বিমার তালিকাভুক্ত সার্ভেয়ারের নতুন লাইসেন্স গ্রহণে; ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ ও নবায়নে; চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, চার্টার্ড সেক্রেটারি, আইনজীবী ও কর আইনজীবী, অ্যাকচুয়ারি, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার হিসেবে কোনো স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদ গ্রহণে; পাঁচ লাখ টাকার অধিক পোস্ট অফিস সঞ্চয়ী হিসাব খোলায়; এমপিওভুক্তির মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে দশম গ্রেড বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মচারীর কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের ক্ষেত্রে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা মোবাইল ব্যাংকিং বা ইলেকট্রনিক উপায়ে টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে এবং মোবাইল ফোনের হিসাব রিচার্জের মাধ্যমে কমিশন, ফি বা অন্য কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্ট্যাম্প, কোর্ট ও কার্টিজ পেপারের ভেন্ডর বা দলিল লেখক হিসেবে লাইসেন্স নিবন্ধন ও তালিকাভুক্তিতে; ত্রি-চক্র মোটরযানের নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়নে; ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে লাইসেন্সিং অথরিটির কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Proposes to increase the special advantage of government employees in the budget

বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব

বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

আজ সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ টেলিভিশনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও দেশের ইতিহাসে ৫৪তম বাজেট।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার সময় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মোট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করছি, যা জিডিপির ১২.৭ শতাংশ। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।

তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই যে, ২০১৫ সালের পর এখন পর্যন্ত বেতন কাঠামো প্রণীত না হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Online shopping will be more expensive

অনলাইন কেনাকাটা হবে আরও ব্যয়বহুল

অনলাইন কেনাকাটা হবে আরও ব্যয়বহুল

ঘরে বসে যেসব ক্রেতারা কেনাকাটা করতে চান, তাদের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে কেনাকাটা আগামী অর্থবছর থেকে খানিকটা ব্যয়বহুল হতে পারে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ই-প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় থেকে কমিশনের ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করতে চাইছে। সেক্ষেত্রে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পণ্যের দাম বেশি হতে পারে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই ভ্যাটের হার ছিল ৫ শতাংশ।

জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে ভিন্ন বাস্তবতায় এবার সংসদের বাইরে ভিন্ন আঙ্গিকে পেশ হলো বাজেট। এবার সংসদ না থাকায় সংসদের আলোচনা বা বিতর্কের কোনো সুযোগ থাকছে না। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বাজেট উপস্থাপন করার পর ৩০ জুন তা রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে কার্যকর করা হবে।

তবে অতীতের রেওয়াজ মেনে বাজেট ঘোষণার পরদিন সংবাদ সম্মেলনে এসে বাজেট নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া পুরো জুন মাসজুড়ে অংশীজনদের মতামত নেওয়ার কথাও তিনি বলেছেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Inflation will come down to 5 percent this June Finance Advisor 

চলতি জুনেই মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নেমে আসবে : অর্থ উপদেষ্টা 

চলতি জুনেই মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নেমে আসবে : অর্থ উপদেষ্টা 

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে সরকারের ধারাবাহিক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করায় এবং সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পাওয়ায় মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নেমে আসবে।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় এ কথা বলেন। তার এ বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসে আমাদের সরকার যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে তখন আমাদের সামনে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরে মানুষকে স্বস্তি দেয়া।

তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে আমরা ধারাবাহিকভাবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করেছি। এর ফলে নীতি সুদের হার ১৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে এখন ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মুদ্রানীতির আওতায় গৃহীত কার্যক্রমকে সহায়তা করতে সংকোচনমূলক রাজস্বনীতি অনুসরণ করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে আনায় সার্বিকভাবে সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠতে শুরু করেছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের ১০.৮৯ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশে নেমে এসেছে। আশার কথা হলো এবারের রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্মরণকালের মধ্যে সবচাইতে স্থিতিশীল ছিল। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এই জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের কোঠায় নেমে আসবে। মূল্যস্ফীতির সাথে এ লড়াইয়ের ফলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে।’

মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকা জরুরি উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল থাকা অত্যাবশ্যক। প্রবাস আয়ের প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক হওয়ায় এবং রপ্তানি স্থিতিশীল থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এপ্রিল মাসে বৃদ্ধি পেয়ে ২৭.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সে কারণে আমরা বিগত ১৪ মে তারিখে বাজারভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হার চালু করেছি।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
In the twilight of international finance the new challenge of IMF

আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থার সন্ধিক্ষণে: আইএমএফের নতুন চ্যালেঞ্জ

আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থার সন্ধিক্ষণে: আইএমএফের নতুন চ্যালেঞ্জ

১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী আর্থিক অস্থিরতা সামাল দিতে গঠিত হয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ। এর মূল লক্ষ্য ছিল বৈশ্বিক মুদ্রানীতি সমন্বয় সাধন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে উৎসাহ দেওয়া এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করা। বহু দেশ সংকটে পড়ে এই সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছে- কেউ সাময়িকভাবে রক্ষা পেয়েছে, কেউ আবার দীর্ঘমেয়াদি ঋণনির্ভরতার ফাঁদে পড়ে গেছে।

আজ, যখন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ভারসাম্য ক্রমশ পশ্চিমকেন্দ্রীকতা থেকে সরে পূর্ব ও দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়ছে, তখন আইএমএফ তার প্রাসঙ্গিকতা ও নৈতিক অবস্থান নিয়ে এক নতুন প্রশ্নের সম্মুখীন।

ঋণ সহায়তা, নাকি ঋণের ফাঁদ?

আইএমএফ সাধারণত এমন শর্তে ঋণ দেয়, যার মধ্যে থাকে কঠোর ব্যয়সংযম, ভর্তুকি হ্রাস, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বাজারমুখী সংস্কার; কিন্তু এই শর্তগুলো অনেক সময় জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। স্থানীয় শিল্প ধসে পড়ে, বৈষম্য বেড়ে যায় এবং সাধারণ মানুষের জীবন আরও কঠিন হয়ে ওঠে। আর্জেন্টিনার অভিজ্ঞতা এর এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। ২০১৮ সালে আইএমএফ ইতিহাসের বৃহত্তম ঋণ প্যাকেজ ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করে। ফল ছিল বিপরীত- মুদ্রাস্ফীতি ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়, দারিদ্র্য আরও বেড়ে যায় এবং দেশটি আবার মন্দার মুখে পড়ে।

এই অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে শুধু অর্থনৈতিক সমীকরণ দিয়ে কোনো দেশের সামাজিক বাস্তবতা নির্ধারণ চলে না।

আইএমএফের নীতিনির্ধারণ কাঠামো এখনো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী শক্তির ভারসাম্যের প্রতিচ্ছবি। উন্নত দেশগুলো (বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন) সংগঠনের ভোটের অধিকাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর অংশগ্রহণ প্রায় অনুপস্থিত। এই গণতান্ত্রিক ঘাটতি আজ দক্ষিণের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে গভীর অসন্তোষ ও অবিশ্বাসের জন্ম দিচ্ছে।

আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থার সন্ধিক্ষণে: আইএমএফের নতুন চ্যালেঞ্জ

বিকল্প প্রতিষ্ঠানের উত্থান

এই প্রেক্ষাপটে বিকল্প আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন- নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (NDB), এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (AIIB) এবং ল্যাটিন আমেরিকান রিজার্ভ ফান্ড (FLAR) নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে। (NDB) এর সহায়তা তুলনামূলকভাবে শর্তমুক্ত এবং অংশগ্রহণমূলক। এখানে প্রতিটি দেশের ভোটের ও প্রতিনিধিত্বের সমান সুযোগ আছে, যা উন্নয়নশীল দেশগুলো আরও আগ্রহী করে তুলেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো এখন শুধু আর্থিক বিকল্প নয়- এরা এক নতুন উন্নয়ন দর্শনের বাহক। সেই দর্শনে উন্নয়ন নির্ধারিত হয় স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনকে কেন্দ্র করে, বাইরের চাপ বা রূঢ় শর্ত নয়।

বিশ্ব আজ বহুমেরু। অর্থনৈতিক শক্তি ছড়িয়ে পড়ছে নানা অঞ্চলে। এই বাস্তবতায় টিকে থাকতে হলে আইএমএফকে নিজস্ব কাঠামো ও দর্শনে রূপান্তর আনতে হবে। প্রয়োজন গভর্ন্যান্সের সংস্কার, নীতিনির্ধারণে সমান অংশগ্রহণ, এবং সর্বোপরি সহানুভূতিশীল ঋণ নীতিমালা।

আইএমএফ যদি সত্যিই বৈশ্বিক আর্থিক স্থিতিশীলতার অভিভাবক হতে চায়, তাহলে তাকে হতে হবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক, এবং আঞ্চলিক বাস্তবতাসম্মত এটি শুধু আইএমএফের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রশ্ন নয়; এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার ও সার্বিক উন্নয়নের প্রশ্ন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
There is no new surprise in the budget Devpriya Bhattacharya

বাজেটে নতুন চমক থাকছে না: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

বাজেটে নতুন চমক থাকছে না: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ছবি: সংগৃহীত

জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচার হওয়া অর্থ জব্দ কর তা বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার পরমর্শ দিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ সময়ে এবারের বাজেট গতানুগতিক হতে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর এফডিসিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচারকৃত অর্থ জব্দের মাধ্যমে বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করলে তা হতে পারে এবারের বাজেটের একটি অভিনব উৎস।’

‘গত সরকারের রেখে যাওয়া বিদেশি ঋণের চাপ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। এই সরকারের এই সময়ে অন্যতম সাফল্য ৫০০ কোটি (৫ বিলিয়ন) ডলার পরিশোধ করে বিদেশি ঋণের চাপ কমিয়ে আনা,’ যোগ করেন তিনি।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই ঋণ বিলিয়ন ডলার করে বছর বছর বাড়ছিল। সামগ্রিকভাবে এই সরকারের সাফল্যের জায়গাটা হলো বহির্খাত, রেমিট্যান্স, রপ্তানি, দায়-দেনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, মজুদ বাড়ানো ও টাকার মূল্যমান স্থিতিশীল রাখা।’

তবে আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট গতানুগতিক হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, ‘খেলাপি ঋণ আদায়, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত এবং করের আওতা বাড়ানোর মতো নতুন কোনো কিছু না থাকায় এবারের বাজেটে কোনো চমক থাকছে না।’

‘যে প্রকল্পগুলো সরকারের কাছে আছে, তা অতিমূল্যায়িত ও তার ৪০ শতাংশ ব্যয়ই ভুয়া। আগের যে প্রকল্পগুলো থেকে রক্তক্ষরণ হতো, সেগুলো অব্যাহত আছে,’ বলেন তিনি।

সিপিডির এই সম্মানীয় ফেলো বলেন, ‘রাজস্ব ব্যয় সঠিকভাবে না করলে করদাতাদের উৎসাহ থাকে না। আমাদের কর কাঠামো বৈষম্যনির্ভর। আমাদের বৈদেশিক খাতে কিছুটা স্থিতিশীলতা অর্জিত হলেও ব্যক্তি খাতে স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগ এখনো আশানুরূপ অর্জিত হয়নি।’

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি নামের একটি বিতর্ক সংগঠন এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

‘রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করা আসন্ন বাজেটের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত’ শীর্ষক ছায়া সংসদে ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজকে পরাজিত করে ঢাকার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।

মন্তব্য

p
উপরে