সরকারের ভর্তুকি, প্রণোদনা বা নগদ আর্থিক সহায়তা ছাড়া দেশের রপ্তানি খাত এগোতে পারছে না। অনেক খাত বছরের পর বছর নগদ সহায়তা পেয়েও টেকসই হচ্ছে না। আবার তৈরি পোশাকসহ কিছু পণ্য রপ্তানি খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলেও বিশেষ সুবিধা নেয়ার অভ্যাস পরিহার করতে পারছে না।
বর্তমানে ৩৭টি খাতে পণ্য রপ্তানিকারকদের ন্যূনতম ২ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত বিভিন্ন হারে নগদ আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে সরকার। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছর রপ্তানি ভর্তুকি খাতে ৬ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছর এই ভর্তুকি আরও ৭.৬৪ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ছে। বাজেটে রপ্তানি ভর্তুকি খাতে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৭ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা।
এর বাইরে রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য প্রতিবছর বাজেটে কর ছাড়ের মতো সহায়ক নানারকম সুযোগসুবিধা রাখা হয়। রপ্তানিকারকরা যেমন নিয়ম করে চলমান সুবিধা বহাল, ক্ষেত্রভেদে আরও বৃদ্ধি এবং নতুন করে আরও খাতকে এই সুবিধায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান, সরকারও তেমনি নিরাশ করে না রপ্তানিকারকদের।
রপ্তানি বাড়ানোর জন্য উৎসাহ দেয়ার পেছনে রপ্তানি ভর্তুকি খাতে নগদ আর্থিক সহায়তা দেয়ার এই প্রবণতা প্রতিবছরই বাড়ছে। এভাবে রপ্তানি খাতে বছরের পর বছর চলছে ভর্তুকি বরাদ্দ। তবে এই প্রণোদনা দিয়ে দেশের রপ্তানি খাতের খুব একটা উন্নতি হচ্ছে না। বরং সরকারের আর্থিক সহায়তার ওপর খাতসংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের অতিনির্ভরতা বেড়ে যাচ্ছে। ফলে রপ্তানি খাতের সম্প্রসারণ, বহুমুখীকরণ ও গুণগত মানোন্নয়নে উদ্যোক্তার উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও ঝুঁকি মোকাবিলার নিজস্ব সক্ষমতা প্রকাশ পাচ্ছে না। এর ফলে দেশে টেকসই রপ্তানি খাত সৃষ্টি হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদ ও বাণিজ্য বিশ্লেষকরা।
তারা বলেছেন, নগদ আর্থিক সহায়তা দিয়ে রপ্তানি আয় বাড়ানোর চেষ্টা মোটেও স্থায়ী সমাধান নয়। কারণ ব্যবসা হচ্ছে ব্যক্তিকেন্দ্রিক। নিজের চেষ্টাতেই তা মেলে ধরতে হবে। সেখানে বছরের পর বছর কোনো খাত বা খাতসংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা প্রণোদনায় ভর করে চললে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সক্ষমতা হ্রাস পায়। এতে সরকারের প্রণোদনা দেয়ার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যও ব্যাহত হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ও শীর্ষ অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রপ্তানি খাত চাঙা করার মাধ্যমে বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই সরকার এই ভর্তুকি সুবিধা দিয়ে থাকে।
‘কিন্তু আমাদের দেশে একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, নগদ সহায়তা না পেলে এগোতে পারছে না রপ্তানিকারকরা। তবে এটা ঠিক, ভর্তুকি, প্রণোদনা বা নগদ আর্থিক সহায়তা যে নামেই বলি না কেন, তা হলো তাৎক্ষণিক উৎসাহ প্রদান বা অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে সাময়িক সমস্যা সমাধানের একটি কার্যকর উদ্যোগ। তা হওয়া উচিত স্বল্প মেয়াদের জন্য অপেক্ষাকৃত ভালো সম্ভাবনা বিবেচনার সুনির্দিষ্ট কিছু খাতের ক্ষেত্রে। সেটিও দীর্ঘ বছর ধরে চলতে পারে না। আবার সব সময় রপ্তানি ভর্তুকি দিয়ে রপ্তানি বাড়ানোর চেষ্টাও খুব একটা কার্যকর হয় না।’
তিনি বলেন, ‘দেশে এমন কিছু খাত রয়েছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে নারারকম সুযোগসুবিধা পেয়ে ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। সেসব খাতে অনন্তকাল ধরে প্রণোদনা সুবিধা বহাল রাখা যৌক্তিকতার মধ্যে পড়ে না। বরং আমি মনে করি, এই অর্থ রপ্তানিকারক-শ্রমিক-কর্মচারীদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং এ-সম্পর্কিত সহায়ক উপকরণ সংশ্লিষ্ট কাজে প্রদান করা যেতে পারে।’
২০১৯-২০ অর্থবছর রপ্তানি খাতে ভর্তুকি বরাদ্দ ছিল ৬ হাজার কোটি টাকা। তার আগের ২০১৮-১৯ অর্থবছর এ খাতে ভর্তুকি বরাদ্দ ছিল সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। এর আগের বছরগুলোতেও ভর্তুকি বরাদ্দ সাড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। অর্থাৎ গত তিন বছর রপ্তানি খাতে ভর্তুকি বরাদ্দ বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা ২০১৯ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ৩৭টি শ্রেণির ৪৭ ধরনের পণ্য এখন বিভিন্ন হারে প্রণোদনা পায়। এর মধ্যে আটটি পণ্য ২০ শতাংশ, পাঁচটি পণ্য ১৫ শতাংশ এবং ১৯টি পণ্য ১০ শতাংশ হারে প্রণোদনা পায়। বাকিগুলোতে দেয়া হয় ১ থেকে ৯ শতাংশ হারে প্রণোদনা।
এই সুবিধা দেয়া হয় কিছু ক্ষেত্রে বাজারভেদে আবার কিছুক্ষেত্রে পণ্যভেদে। প্রচলিত বাজারের বাইরে নতুন বাজারে রপ্তানির ক্ষেত্রে দেয়া হয় ৪ শতাংশ নগদ সহায়তা। আবার পণ্যভেদে দেয়া হয় আনুপাতিক হারের সুবিধা। এর মধ্যে আগর, আতর, আলু, হালাল মাংস, বৈচিত্র্যকৃত পাটপণ্য রপ্তানিতে দেয়া হয় ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা। মোটরসাইকেল, টুপি, সিরামিকসহ ৯টি পণ্যে সহায়তা দেয়া হয় ১০ শতাংশ হারে। শাকসবজি ও ফলমূল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ, প্রাকৃতিক রাবার ও লেটেক্স রপ্তানিতে প্রণোদনা দেয়া হয় ১৫ শতাংশ হারে, কাজুবাদাম, জীবন্ত কাঁকড়া ও কুঁচে মাছে ২০ শতাংশ, রিসাইকেল্ড পলিয়েস্টার স্ট্যাপল ফাইবার (পিএসএফ) ১৫ শতাংশ, ডিজেল ইঞ্জিনের জ্বালানি, ডিটারজেন্ট, প্রসাধনশিল্পে ব্যবহৃত হওয়া অপ্রচলিত লেচিথিন ও সয়া অ্যাসিড তেলে ১০ শতাংশ প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া গরু-মহিষের নাড়িভুঁড়ি, শিং ও রগ রপ্তানির বিপরীতে ১০ শতাংশ, পাটকাঠি থেকে উৎপাদিত কার্বনে ২০ শতাংশ, সফটওয়্যার, আইটিইএস ও হার্ডওয়্যারে ১০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। টেলিভিশন, এয়ারকন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, জুস ব্লেন্ডার, এয়ারকুলার, এলইডি লাইট, ফ্যান ও সুইচ-সকেট রপ্তানিতেও রয়েছে ১০-১৫ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান নিউজবাংলাকে বলেন, সরকারের লক্ষ্য থাকে দেশ এগিয়ে যাক। একই সঙ্গে শিল্পোদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকরা ভালো করুক। তাই স্থানীয় শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে রপ্তানি আয় এবং কর্মসংস্থান বাড়াতেই সরকার রপ্তানি খাতে উদ্যোক্তাদের উৎসাহমূলক এই প্রণোদনা দেয়।
তিনি জানান, এই প্রণোদনার কারণে সরকারের প্রতি কোনো উদ্যোক্তার বা রপ্তানি খাতের যাতে অতিনির্ভরতা তৈরি না হয়, সে জন্য প্রতিবছরই নগদ অর্থ সহায়তার জন্য বিবেচিত রপ্তানিখাতগুলো পুনর্নির্ধারণ করা হয়। একই সঙ্গে প্রণোদনার শতকরা হারও পুনর্বণ্টন করা হয়। এর পাশাপাশি এই প্রণোদনা পেয়ে কোন খাত ভালো করল, কারা খারাপ করল সেটিও যাচাইবাছাই করে পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় কিছু নতুন খাত সংযুক্ত করা হয় এবং ব্যর্থ খাতগুলোকে সুবিধার তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়।
উদাহরণ টেনে ইপিবির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, গত অর্থবছর ২৪টি পণ্যকে নতুন করে চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে ১৪টি একেবারেই নতুন, কোনো প্রণোদনা পেত না। আবার সম্ভাবনা ভালো, কিন্তু সুবিধা কম এমন ১০টি খাতে প্রণোদনা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া এমন কিছু খাত আছে, যারা বহু বছর ধরে পাচ্ছে, তাদের অনুকূলে প্রণোদনার হার প্রতিবছর কমিয়ে আনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় সীমান্ত ব্যাংকের উদ্যোগে শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) এবং টেকনাফ (কক্সবাজার) উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপনের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। এই কর্মসূচির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করা হয় এবং বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করা হয়। শ্যামনগরের ৭টি এবং টেকনাফে ২টি বিদ্যালয়ে গাছের চারা রোপণ করা হয়।
সীমান্ত ব্যাংকের টেকনাফ শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হোসেন এবং শ্যামনগর উপশাখার ব্যবস্থাপক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম যথাক্রমে টেকনাফ এবং শ্যামনগরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী সমন্বয় করেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীগন স্বতঃস্ফূর্তভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেন।
বাংলাদেশে প্রতি বছর হাজারো মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে যক্ষ্মা (টিবি)। কেবল ২০২৩ সালেই ৪৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে- ফলে প্রতি ১২ মিনিটে একজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন যক্ষ্মায়। এই জাতীয় সংকট মোকাবেলায় সাহসী উদ্যোগ নিয়েছে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। জীবনরক্ষাকারী যক্ষ্মা প্রতিরোধ কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করতে প্রাইম ব্যাংক বিশ্বখ্যাত স্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি-এরর সাথে অংশীদারিত্ব করেছে।
আজ (০৯ সেপ্টেম্বর) গুলশানে প্রাইম ব্যাংকের করপোরেট অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুযায়ী, প্রাইম ব্যাংক এক বছরের জন্য আইসিডিডিআর,বি-এর সিলেট টিবি স্ক্রিনিং অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টার (TBSTC)-এর যক্ষ্মা পরীক্ষার ও চিকিৎসা সেবার ধারাবাহিকতায় আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। প্রাইম ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান ও. রশীদ এবং আইসিডিডিআর,বি-এর নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমীদ আহমেদ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
দেশে যক্ষ্মা প্রতিরোধে দীর্ঘদিনের আস্থাভাজন প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৫ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষকে স্ক্রিনিং করেছে। এ সময়ে শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজারের বেশি টিবি রোগী, যার মধ্যে ১৮ হাজার শিশু। পাশাপাশি ৫,৫০০-এরও বেশি ওষুধ-প্রতিরোধী টিবি রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এই সহযোগিতার মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংক জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কমিউনিটির কল্যাণে তাদের অঙ্গীকার আরও জোরদার করছে। ব্যাংকটি প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু হ্রাস এবং একটি সুস্থ, সহনশীল বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
উপর্যুক্ত বিষয়ের প্রতি সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলো।
০২। সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কাস্টমস হাউস/স্টেশনে আমদানিকালে দাখিলকৃত পণ্য ঘোষণায় প্রদত্ত পণ্যের বর্ণনা ও HS Code কায়িক পরীক্ষায় পণ্যের নমুনা কিংবা শুল্কায়ন পরবর্তী সময়ে পণ্যের ঘোষিত বর্ণনা পরিবর্তিত হয়, যা ক্ষেত্রবিশেষে প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স অথবা প্রাপ্যতা শীট বা সংশ্লিষ্ট Utilization Declaration (UD) তে অন্তর্ভূক্ত থাকে না। ফলে শুল্কায়নকালে উহা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হয়। ফলশ্রুতিতে যথাসময়ে কাঁচামাল/পণ্য খালাস না হওয়ায় রপ্তানি আদেশ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য জাহাজীকরণে বিঘ্ন ঘটছে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অবগত হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে বর্তমানে বৈশ্বিক বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ও রপ্তানি বাণিজ্যের বৃহত্তর স্বার্থে জরুরি বিবেচনায় নিম্নরূপ নির্দেশনা প্রদান করা হলো:
(ক) বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত বর্ণনা ও HS Code অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা দাখিল করার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ভিন্ন HS Code নিরূপণ করলে এবং নিরূপিত HS Code এর প্রথম ৪ ডিজিট বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত HS Code এর প্রথম ৪ ডিজিট এর সাথে মিল থাকলে; আমদানিকারক পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে এই নিরূপিত HS Code বন্ড লাইসেন্সে ও ইউডিতে অন্তর্ভূক্ত করবেন মর্মে একটি অঙ্গীকারনামা সংশ্লিষ্ট কাস্টমস হাউস এর কমিশনার এর নিকট দাখিল করবেন যার বিপরীতে কমিশনার পণ্যচালান খালাসের অনুমতি প্রদান করে সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটকে অবহিত করবেন।
(খ) বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত বর্ণনা ও HS Code অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা দাখিল করার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ভিন্ন বর্ণনা নিরূপণ করলে; আমদানিকারক পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে উক্তরূপ নিরূপিত পণ্যের বর্ণনা বন্ড লাইসেন্সে ও ইউডিতে অন্তর্ভূক্ত করবেন মর্মে একটি অঙ্গীকারনামা সংশ্লিষ্ট কাস্টমস হাউস এর কমিশনার এর নিকট দাখিল করবেন যার বিপরীতে কমিশনার পণ্যচালান খালাসের অনুমতি প্রদান করে সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটকে অবহিত করবেন।
গ) বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত বর্ণনা ও HS Code অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা দাখিল করার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ভিন্ন HS Code নিরূপণ করা হলে এবং বন্ড লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কাস্টমস বন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটের মাধ্যমে তার প্রাপ্যতায় উক্ত HS Code অন্তর্ভুক্ত করলে কাস্টমস হাউস এর কমিশনার পণ্যচালান খালাসের অনুমতি প্রদান করবেন এবং পণ্য চালান খালাসের তথ্য সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটকে অবহিত করবেন।
০৩। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে; এবং বর্তমানে উক্তরূপ কারণে শুল্কায়ন নিষ্পত্তির জন্য অপেক্ষমান পণ্যচালানসমূহের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
জনাব মাকসুদুল হাসান গত ০৯/০৯/২০২৫ তারিখে উত্তরা ব্যাংক পিএলসি. এর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। এর আগে তিনি একই ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮৯ সনে প্রবেশনারী অফিসার হিসেবে উত্তরা ব্যাংক পিএলসি. এ তার ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং এখন পর্যন্ত তিনি একই ব্যাংকে কর্মরত আছেন। তিনি শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে ব্যাংকের নন-এডি এবং এডি শাখায় দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে তিনি প্রধান কার্যালয়ে ২০০৬ সনে যোগদান করেন। প্রধান কার্যালয়ে যোগদানের পর থেকে তিনি বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট ও ডিভিশন যেমন- হিউম্যান রিসোর্সেস ডিভিশন, ইন্টারন্যাশনাল ডিভিশন, ব্যাংকিং কন্ট্রোল এন্ড কমন সার্ভিসেস ডিভিশন, ইন্টারনাল কন্ট্রোল এন্ড কমপ্লায়েন্স ডিভিশন, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট, জেনারেল সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট, ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্ট ও পাবলিক রিলেশন্স ডিপার্টমেন্টে কাজ করেছেন।
তিনি ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও ইন্দোনেশিয়ায় অফিসিয়াল বিভিন্ন সভা, কর্মশালা ও সম্মেলনে অংশ নেন। ২৬শে জুন ২০১৯ থেকে ৫ই জুন ২০২৩ পর্যন্ত তিনি ব্যাংকের প্রধান ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ব্যাংকের ইন্টিগ্রিটি রিওয়ার্ড পুরষ্কার লাভ করেন।
জনাব হাসান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসাবে ইংরেজী বিভাগ থেকে ১৯৮৫ সনে বি.এ (স্নাতক) ডিগ্রী এবং একই বিষয়ে ১৯৮৬ সনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি নেত্রকোনা জেলার মদন থানাধীন শিবপাশা গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
নিজেদের অরেঞ্জ ক্লাব মেম্বারদের বিশেষ ছাড় সুবিধা দিতে সম্প্রতি ওয়ালটন প্লাজার সাথে এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটির বাংলালিংক। সম্প্রতি, রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এক্সক্লুসিভ লয়্যালটি প্রোগ্রাম ‘অরেঞ্জ ক্লাব’ -এর মাধ্যমে বাংলালিংক এর বিশেষ গ্রাহকদের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো থেকে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন আকর্ষণীয় সুবিধা দিয়ে থাকে। নতুন এই অংশীদারিত্ব গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ অংশীদারত্বের ফলে, বাংলালিংকের অরেঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা এখন থেকে দেশের সব ওয়ালটন প্লাজা আউটলেটে সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ ছাড় পাবেন।
অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলালিংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির লয়্যালটি প্রোগ্রামের সিনিয়র ম্যানেজার জাইন জামান ও লয়্যালটি পার্টনারশিপ ম্যানেজার শাহাদাত এইচ মজুমদার। ওয়ালটন প্লাজার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রায়হান, নির্বাহী পরিচালক (এইচআরএম প্রধান) মো. ফয়সাল ওয়াহিদ এবং উপনির্বাহী পরিচালক ও প্রধান বিক্রয় নির্বাহী (প্লাজা সেলস-ওয়েস্ট) মীর মো. গোলাম ফারুক।
মার্কেটিং অপারেশনস ডিরেক্টর মেহেদী আল আমীন বলেন, “দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে আমরা সবসময়ই আমাদের অরেঞ্জ ক্লাব সদস্যদের জন্য নতুন নতুন সুবিধা প্রদান করার চেষ্টা করি। ওয়ালটনের সঙ্গে এই অংশীদারিত্বের ফলে অরেঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য আরো সাশ্রয়ী মূল্যে কিনতে পারবে।”
ওয়ালটন প্লাজার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রায়হান বলেন, “বাংলালিংকের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা আনন্দিত। ওয়ালটন সবসময় গ্রাহকদের জন্য সহজলভ্যতা ও সাশ্রয়ী দামে পণ্য দেওয়াকে অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে। নতুন এই অংশীদারিত্ব আমাদের সেই লক্ষ্যকে আরও শক্তিশালী করবে। বাংলালিংকের সবচেয়ে বিশ্বস্ত গ্রাহকরা এখন আমাদের নানান মানসম্মত পণ্য অতিরিক্ত সুবিধাসহ উপভোগ করতে পারবেন।”
পূবালী ব্যাংক পিএলসি. ও সফটওয়্যার শপ লিমিটেড (SSL) এর মধ্যে ঝবঃঃষবসবহঃ ইধহশ চধৎঃহবৎংযরঢ় রহ ঘচঝই Settlement Bank Partnership in NPSB (National Payment Switch Bangladesh) Platform সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সম্প্রতি স্বাক্ষরিত হয়েছে। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারক হস্তান্তর করেন পূবালী ব্যাংক পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আলী ও সফটওয়্যার শপ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম। সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে পূবালী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শাহনেওয়াজ খান, সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট বিভাগ প্রধান ও মহাব্যবস্থাপক ইন্দ্র মোহন সূত্রধর, কার্ড অপারেশন বিভাগ প্রধান ও মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার রায় এবং অলটারনেটিভ ডেলিভারি চ্যানেল বিভাগ প্রধান ও উপমহাব্যবস্থাপক মো. রবিউল আলম এবং সফটওয়্যার শপ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইফতেখার আলম ইসহাক, গ্রুপ এডভাইজার আহমেদ কামাল খান চৌধুরী, মহাব্যবস্থাপক মোঃ মহিউদ্দিন তৌফিক-সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রান্তিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) জন্য দেশের প্রথম ইনস্ট্যান্ট ডিজিটাল ঋণসুবিধা ‘সাফল্য ই-লোন’ চালু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
এই সুবিধার ফলে এখন থেকে ছোট ব্যবসায়ী, দোকানদার এবং প্রান্তিক উদ্যোক্তারা মাত্র কয়েক মিনিটেই সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবেন।
এসএমই-কেন্দ্রিক ব্যাংক হিসেবে শুধুমাত্র ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য দেশের প্রথম এই ই-লোন সুবিধা চালু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক, যা প্রান্তিক অঞ্চলের উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে ব্যাংকটির ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
প্রান্তিক এসএমইদের বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড বলা হলেও কাগজপত্রের ঝামেলা, জটিল শর্তাবলি এবং ঋণ প্রদানে দীর্ঘসূত্রতার কারণে এই খাত দীর্ঘদিন ধরে ফরমাল ঋণসুবিধার বাইরে ছিলো। ফলে, তাঁরা একপ্রকার বাধ্য হয়েই উচ্চসুদে স্থানীয় ঋণদাতাদের কাছ থেকে ঋণ নিতেন, যেখানে তাঁদের আয়ের বড় একটি অংশই চলে যেতো। আবার, প্রতিটি ঋণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জনবল, ব্যয়বহুল ম্যানুয়াল প্রক্রিয়া ও বিলম্বের কারণে ব্যাংকের দিক থেকেও গ্রাহকসেবা বিঘ্নিত হতো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ অনুমতিতে ব্র্যাক ব্যাংক ‘সাফল্য ই-লোন’ মডেল তৈরি করেছে, যাতে যাদের প্রয়োজন, তাঁদের কাছে খুব দ্রুত ও সহজেই এই আনুষ্ঠানিক ঋণসুবিধা পৌঁছে যায়। এখানে নেই ব্রাঞ্চে যাওয়া বা কাগজপত্রের ঝামেলা। গ্রাহকরা কেবল জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়েই এই ডিজিটাল ঋণ নিতে পারবেন। আবেদনের কয়েক মিনিটের মধ্যেই অনুমোদিত অর্থ সরাসরি গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। এতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা ব্যাপক উপকৃত হবেন।
ঋণ পরিশোধ প্রক্রিয়াটিও অত্যন্ত সহজ ও সুবিধাজনক। উদ্যোক্তারা তাঁদের সুবিধামতো চ্যানেল, যেমন- এজেন্ট পয়েন্ট, বিকাশ, ব্যাংকের শাখা বা উপশাখা, ব্যবহার করে ছয় মাসের সহজ কিস্তিতে ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন।
ইতিমধ্যে শেরপুর, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, জামালপুর, সাতক্ষীরাসহ দেশের দুর্গম চরাঞ্চলের ৫,০০০-এরও বেশি মানুষের কাছে এই ঋণসুবিধা পৌঁছে গেছে। পর্যায়ক্রমে এ সেবা আরও সম্প্রসারণ করা হবে। গ্রাম ও হাটবাজারে এখন আর ঋণের জন্য সপ্তাহের পর সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হয় না; মাত্র কয়েক মিনিটেই ঋণের টাকা পোঁছে যাচ্ছে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়ে ব্যাংকটির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন বলেন, “প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়ন সুবিধা সহজ করার লক্ষ্যে ‘সাফল্য ই-লোন’ চালু ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। ঋণ প্রক্রিয়া ডিজিটাল করার মাধ্যমে আমরা এখন দ্রুততম সময়ে এবং কম খরচে উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে পারছি। এই উদ্ভাবনী সেবার ফলে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের দৈনন্দিন সমস্যা দূর হওয়ার পাশাপাশি তাঁদের ব্যবসায়ের উন্নয়নও নিশ্চিত হবে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। প্রযুক্তি ও গ্রাহককেন্দ্রিক প্রোডাক্টের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি কোণে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।”
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ১০০টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
মন্তব্য