× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
পুঁজিবাজারে লেনদেন আরও বাড়বে বিএসইসি চেয়ারম্যান
google_news print-icon

পুঁজিবাজারে লেনদেন আরও বাড়বে: বিএসইসি চেয়ারম্যান

পুঁজিবাজারে-লেনদেন-আরও-বাড়বে-বিএসইসি-চেয়ারম্যান
পুঁজিবাজারে উত্থানের কারণে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি লকডাউনের মধ্যেও বেড়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার ট্রেজারি বন্ডও আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে লেনদেনে নিয়ে আসা হবে। আমরা আশা করি, এসব কারণে পুঁজিবাজারে সেকেন্ডারি মার্কেটে লেনদেন অনেক বাড়বে। পুঁজিবাজারে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট থাকলে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের জায়গাও বাড়বে।’

পুঁজিবাজারে ১০ বছরের রেকর্ড ছুঁইছুঁই লেনদেন হওয়ার দুই দিন পর আরও আশার বাণী শোনালেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান।

গত বছর সংকটকালীন পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নেয়া শিবলী-রুবাইয়াত-ইসলাম বলেছেন, তারা এমন কিছু ব্যবস্থা নিয়েছেন, যে কারণে লেনদেন আরও বাড়বে।

তিনি জানিয়েছেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে আগামী অর্থবছরের বাজেটে একগুচ্ছ উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে বিএসইসি। এর প্রভাবে সেকেন্ডারি মার্কেটে লেনদেন অনেক বাড়বে।

শনিবার ‘বিনিয়োগ ভাবনা, আসছে বাজেটে পুঁজিবাজার কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে‘ বিষয়ক এক অনলাইন ডায়লগে তিনি এসব কথা জানান।

এর দুই দিন আগে পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা, যা গত দশ বছরে রেকর্ড লেনদেনের কাছাকাছি। এদিন লেনদেনের পাশাপাশি সূচকেও হয়েছে উত্থান। বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে সূচক ছিল ৩৯ মাসের সর্বোচ্চ। দীর্ঘদিন পর বাজারের প্রাণ হিসেবে বিবেচিত ব্যাংকি খাতেও দেখা গেছে তেজীভাব। এর আগে চলতি বছর ১৭ জানুয়ারি লেনদেন হয় ২ হাজার ৩৮৪ কোটি টাকা।

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘পুঁজিবাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ধরনের বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে আগামী বাজেটে। মিউচুয়াল ফান্ডের আয়ের ওপর কর সুবিধা, জিরো কুপন বন্ড, সুকুক বন্ড, এসএমই বোর্ডে আসা কোম্পানিগুলোর জন্যও কর সুবিধা চাওয়া হয়েছে আগামী বাজেটে।’

তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রায় ২ লাখ কোাটি টাকার ট্রেজারি বন্ডও আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে লেনদেনে নিয়ে আসা হবে। আমরা আশা করি, এসব কারণে পুঁজিবাজারে সেকেন্ডারি মার্কেটে লেনদেন অনেক বাড়বে। পুঁজিবাজারে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট থাকলে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের জায়গাও বাড়বে।’

পুঁজিবাজারে লেনদেন আরও বাড়বে: বিএসইসি চেয়ারম্যান
বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। ছবি: নিউজবাংলা।

২০১০ সালের মহাধসের পর চলতি বছরের আগে দুই হাজার কোটি টাকা লেনদেন হাতে গোনা কয়েক দিন। এর মধ্যে চলতি বছরই চার দিন লেনদেন হয়েছে এই পরিমাণ। ২০২০ সালের ২৮ জুন ২ হাজার ৫৪৩ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদলের ইতিহাস আছে, যদিও সেটি একটি বিশেষ কারণে। সেদিন ব্লক মার্কেটে জেএসকের শেয়ার ইউনিলিভারের কাছে হস্তান্তরের কারণে স্ফীত দেখিয়েছিল লেনদেনের চিত্র। এটা বাদ দিলে প্রকৃত লেনদেন ছিল কম।

পুঁজিবাজারে লেনদেন বাড়লে প্রকৃতপক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেরও (এনবিআর) এর সুফল পাবে।

বিষয়টি সম্পর্কে এনবিআরকেও অবগত করা হয়েছে উল্লেখ করে বিএসইসি চেয়াম্যান বলেন, ‘এনবিআরকে আমরা এ তথ্যগুলো দিচ্ছি যে, পুঁজিবাজারকে কোনোভাবে সাহায্য করলে, পুঁজিবাজারের লেনদেন বাড়লে, পুঁজিবাজারের গতি আসলে এর প্রকৃত সুবিধা এনবিআরের কাছেই যায়।

‘পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সিডিবিএল, এবং বিএসইসি থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজস্ব আদায় করেছে ২৬৩ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছরে এর পরিমাণ ৩৫০ টাকা অতিক্রম করবে। বন্ড থেকে এনবিআর কী পরিমাণ রেভিনিউ পায় সেটিও আমরা বের করার চেষ্টা করছি। আশা করি সে তথ্যও এনবিআরকে দেয়া সম্ভব হবে।’

চেয়ারম্যান বলেন, ‘জিরো কুপন বন্ডে যে কর সুবিধা আছে অন্যান্য বন্ডের ক্ষেত্রেও যেন সেটি বহাল থাকে, সে বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথাবার্তা বলছি। আমরা আশা করি, বন্ডকে জনপ্রিয় করতে সরকার ও এনবিআর আমাদের সহায়তা করবে।’

শিবলী রুবাইয়াত উল-ইসলাম বলেন, ‘ক্ষুদ্র মূলধনি কোম্পানি বা এসএমই বোর্ড আমরা শুরু করেছি। এটি চালু করার উদ্দেশ্য হচ্ছে পুঁজিবাজারে আগে শুধু একটি বোর্ড ছিল। সেখানে সব কোম্পানি চলে আসতো। এমনকি নানাভাবে কোম্পানিগুলো তাদের মূলধন ৫০ কোটি টাকা দেখিয়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতো।

‘আমরা এসএমই বোর্ডে যাদের কম মূলধন তাদের সেখানে দিচ্ছি। তারা দুই চার বছর ভালো করলে মূল বোর্ডে নিয়ে আসা হবে। এসএমই বোর্ডে যেসব কোম্পানি আসবে আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে সেসব কোম্পনিকে যেন কিছুটা কর রেয়াত সুবিধা দেয়া হয়।’

শিবলী রুবাইয়াত উল-ইসলাম বলেন, ‘নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে এবার আমরা খুবই সচেতন। ভালো কোম্পানি, শক্তিশালী কোম্পানি, যাদের কাছে বিনিয়োগ নিরাপদ তাদেরকেই আমরা পুঁজিবাজারে নিয়ে আসব। আগে যেসব কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়ে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে তাদের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারের কিছু কিছু জায়গায় ডাবল ট্যাক্সেশন আছে। সে বিষয়গুলোতেও আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছি।

‘মিউচ্যুয়াল ফান্ডকে জনপ্রিয় করতে আমরা অনেক কাজ করছি। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের যে সিলিং আছে সেটি বৃদ্ধি করে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকামকে ট্যাক্স ইনসেনটিভ করার অনুরোধ করেছি। জানিনা এখানে কি হবে। তবে আমরা আশাবাদী।’

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো ব্যাংকের মতো না। কিন্ত এখানে ট্যাক্সের রেট অনেক বেশি। মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে নরমাল ব্যাংকের মতো না ধরে তাদের কে একটু ছোট হিসাবে ছাড় দেয়া যায়, তাদের ক্ষেত্রেও কর কমানোর প্রস্তাব করেছি।

‘দেশে জনপ্রিয় হতে যাচ্ছে সুকুক বন্ড। এখানেও নানা ধরনের কর প্রদান করতে হয়। আমরা এ বিষয়টিও সরকারের কাছে, এনবিআরের কাছে বলেছি, তারা যেন এ বিষয়গুলো নজর দেন। আমরা যেন সুকুক জনপ্রিয় করতে পারি। যা দেশের অবকাঠামো খাতে বড় ধরনের অবদান রাখতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা খেয়াল করেছি, আমাদের দেশে ব্যবসা করে অনেক বহুজাতিক কোম্পানি ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত কিন্ত আমাদের এখানে নেই। কিছু ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিও আছে, যা বলেন এগুলো তাদের শাখা অফিস, কিন্ত তারাও আমাদের লিস্টিংয়ে আসছে না।

‘কিন্ত দেখা যায়, তারা প্রতিবছর কয়েক শ কোটি টাকা মুনাফা নিয়ে যাচ্ছে। আমরা এমন কোম্পানিগুলোকে ডেকেছি। আমরা তাদের মোটিভেট করার চেষ্টা করব। মনে হয় তাদের মোটিভেট করলে তারা আমাদের স্টক মার্কেটে আসতে পারে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা হয়েছে। দেখা যাক কতজনকে আমরা নিয়ে আসতে পারি।’

অনলাইন ডায়লগে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. হাসান এইচ মনসুর, শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান ও এমএমএইচ অ্যান্ড কো. ম্যানেজিং পার্টনার মুহাম্মদ হোসেন, এফসিএ।

ডায়লগটি সঞ্চালনা করেন দ্যা লয়ার অ্যান্ড জাস্টিসের অ্যাসোসিয়েট নাজমুস সাকিব।

আরও পড়ুন:
৩৯ মাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে পুঁজিবাজার
লেনদেনে ১০ বছরের রেকর্ড ছুঁইছুঁই
জীবন পাচ্ছে রিং সাইন, উৎপাদনে যাওয়ার প্রস্তুতি
চাঙা পুঁজিবাজারে শেয়ার কেনার ধুম
২০ পয়সা লভ্যাংশে দাম বাড়ল ৬২ শতাংশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
DMP Commissioner inaugurated the Outpatient Hospital in Mirpur

মিরপুরে পুলিশ হাসপাতালের বহির্বিভাগ উদ্বোধন ডিএমপি কমিশনারের

মিরপুরে পুলিশ হাসপাতালের বহির্বিভাগ উদ্বোধন ডিএমপি কমিশনারের মিরপুরে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের বহির্বিভাগ উদ্বোধন করেছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ছবি: সংগৃহীত

মিরপুর পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) কর্মরত পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সুচিকিৎসার জন্য কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের বহির্বিভাগ উদ্বোধন করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
গতকাল শুক্রবার মিরপুর পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট পুলিশ লাইন্সে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের সার্বিক সহযোগিতায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. সরওয়ার-এর তত্ত্বাবধানে পুলিশ সদস্যদের জন্য এই সুবিধা চালু করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশ সদস্যদের সার্বিক কল্যাণে এটি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। এর ফলে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে রোগীর চাপ কমার পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরা একই স্থানে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারবেন এবং রোগ নির্ণয়ে প্রয়োজনীয় নমুনাও সংগ্রহ করা যাবে। এছাড়া অন্যান্য সেবার মধ্যে থাকবে সরকারি বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ, ফিজিওথেরাপি এবং অবজারভেশন সুবিধা।
ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়।
কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পরিচালক (ডিআইজি) মো. সায়েদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হাসান মো. শওকত আলী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. জিললুর রহমানসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The use of single plastic is banned in the secretariat

সচিবালয়ে নিষিদ্ধ হলো সিঙ্গেল প্লাস্টিকের ব্যবহার

সচিবালয়ে নিষিদ্ধ হলো সিঙ্গেল প্লাস্টিকের ব্যবহার

রোববার (৫ অক্টোবর) থেকে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক (এসইউপি) সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করা এসব পণ্য বন্ধে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।

শনিবার (৪ অক্টোবর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, সচিবালয়ের সব প্রবেশপথে চেকিং করা হবে। ভেতরে পলিথিন বা একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক পাওয়া গেলে তার ব্যবহার রোধ করা হবে।

যাদের কাছে নিষিদ্ধ ব্যাগ পাওয়া যাবে, তাদের কাগজের তৈরি ব্যাগ দেওয়া হবে। প্রবেশপথসহ সচিবালয়ের বিভিন্ন জায়গায় সচেতনতার জন্য সাইনবোর্ড বসানো হয়েছে। পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণে মনিটরিং টিম কাজ করছে বলে জানানো হয়।

এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সব মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছে। সচিবালয়ে এসইউপি ব্যবহার বন্ধ করে পুনর্ব্যবহারযোগ্য সামগ্রী নিশ্চিত করতে হবে। সভা-সেমিনারে বোতল, কাপ, প্লেট ও চামচের মতো একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক আর ব্যবহার করা যাবে না। তার পরিবর্তে পাটজাত, কাপড়ের বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

একইসঙ্গে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এসইউপি ব্যবহার বন্ধে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সভা-সেমিনারে কাগজ বা পরিবেশবান্ধব খাবারের প্যাকেট দেওয়া হবে। সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে ব্যবহারের জন্য বিকল্প সামগ্রী সরবরাহ করা হবে। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে একজন ফোকাল পারসন (নির্ধারিত প্রতিনিধি) নিয়োগ ও মনিটরিং কমিটি গঠন করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আগামীকাল থেকে সচিবালয়ে এসইউপি মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Dhaka Chittagong highway blockade

ইসলামী ব্যাংকের চাকরিচ্যুতদের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

ইসলামী ব্যাংকের চাকরিচ্যুতদের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

ইসলামী ব্যাংকে কর্মরত চট্টগ্রামের প্রায় চার শতাধিক কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত ও ৪ থেকে ৫ হাজার কর্মকর্তাকে ওএসডি করার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মানববন্ধন ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন কর্মকর্তারা। চাকরিতে পুনর্বহালসহ ছয় দফা দাবিতে তারা এ কর্মসূচি পালন করছেন।

শনিবার (৪ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রামের ফৌজদার হাট এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থান নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের শত শত কর্মকর্তা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এরপর পৌনে ১২টার দিকে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক অবরোধের কারণে দুই পাশে কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যাতায়াতকারী লোকজনকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

অবরোধকারীরা অভিযোগ করেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ইসলামী ব্যাংকের প্রায় ৪০০ কর্মকর্তাকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও ৪ থেকে ৫ হাজার কর্মকর্তাকে ওএসডি করে কর্মস্থলে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে। এতে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন, পরিবার নিয়ে পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

এর আগে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলন করে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা রবিবার থেকে টানা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে শনিবার সকাল থেকেই মানববন্ধন ও অবরোধ কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের আন্দোলন শুরু হয়।

আন্দোলনরত কর্মকর্তাদের প্রতিনিধি ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রায় ৪০০ জন কর্মকর্তাকে সম্পূর্ণ অন্যায় ও অমানবিকভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও প্রায় পাঁচ হাজার কর্মকর্তাকে ওএসডি করে কর্মস্থলে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রাখা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের পুনর্বহাল, ওএসডি প্রত্যাহারসহ মোট ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছি।’

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া মিজানুর রহমান নামের অপর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে আমাদের স্যালারি অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিয়েছে। আমাদের অ্যাকাউন্টে থাকা বেতনের টাকাও আমরা তুলতে পারছি না। এ ছাড়া আইডি কার্ড ব্লক করার পাশাপাশি আমাদেরকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। চাকরি হারিয়ে আমরা এখন পথে বসে গেছি।’

৬ দফা দাবি হলো

১. চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে বিনা কারণে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের স্বপদে পুনর্বহাল করতে হবে।
২. প্রহসনমূলক পরীক্ষা বয়কটের জন্য আমাদের কর্মকর্তাদের যে পানিশমেন্ট ট্রান্সফার দেওয়া হচ্ছে, তা অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
৩. বৈষম্যহীন ও রাজনীতিমুক্ত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
৪. শর্ত আরোপ করে সব ধরনের অ্যাসেসমেন্ট টেস্ট বন্ধ করতে হবে।
৫. চট্টগ্রামের কর্মকর্তাদের ওপর চালানো মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং পুনরায় কর্মস্থলে তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে।
৬. পরীক্ষা বর্জনের জন্য আমাদের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও সাইবার ক্রাইমে হয়রানিমূলক মামলা করা হয়েছে, তা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
After the worship holidays people are returning to Dhaka the capital is getting the capital

পূজার ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে মানুষ, চেনা রূপ পাচ্ছে রাজধানী

পূজার ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে মানুষ, চেনা রূপ পাচ্ছে রাজধানী

দুর্গাপূজা এবং সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা চার দিনের ছুটি শেষ হচ্ছে আজ। কর্মস্থলে যোগ দিতে অনেকেই শহরে ফিরেছেন। ফলে রাজধানীর টার্মিনালগুলোতে বেড়েছে যাত্রীদের চাপ। তবে প্রধান সড়কগুলোতে তেমন যানজট দেখা যায়নি।

শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন, সায়দাবাদ, যাত্রাবাড়ীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার, গুলিস্তান, জিরো পয়েন্ট, পল্টন, কাকরাইল এলাকায় সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা যায়।

বেসরকারি একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা কিশোর অধিকারী রংপুর থেকে ট্রেনে ফিরেছেন ঢাকায়। তিনি জানান, বছরে একটি ঈদ আর পূজায় বাড়ি যাওয়া হয়। পূজার সময় আত্মীয়-স্বজন সবাই বাড়িতে আসে। গত মঙ্গলবার অফিস করে বাড়ি গিয়েছি। আগামীকাল আবার অফিসে যেতে হবে, তাই আজ চলে এসেছি। যাওয়া-আসায় তেমন কষ্ট হয়নি। আনন্দ নিয়েই পূজা উদযাপন করতে পেরেছি।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বোরহান উদ্দিন চাঁদপুর থেকে ফিরেছেন সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে। তিনি জানান, ঈদের মতোই ঢাকা ফিরতি যাত্রীর চাপ রয়েছে। দুর্ভোগ এড়াতে সকাল সকাল ঢাকায় ফিরেছি। আগামীকাল অফিস করতে হবে, তাই আজ চলে এসেছি।

এ দিকে সরেজমিনে রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে যানজট দেখা যায়নি। মালিবাগ, শান্তিনগর, কাকরাইল, পল্টনে ছুটির দিনের মতোই যাত্রীবাহী গাড়ির চাপ কম। তবে অটোরিকশার পরিমাণ ছিল অনেক বেশি। তবে সায়দাবাদ, দয়াগঞ্জ, ধোলাইপাড় এলাকায় তীব্র যানজট দেখা গেছে।

সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে দুর্গাপূজার ছুটি মিলিয়ে গত বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ছুটি রয়েছে সরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে। ১ ও ২ অক্টোবর (বুধবার ও বৃহস্পতিবার) দুর্গাপূজার ছুটি এবং ৩ ও ৪ অক্টোবর (শুক্রবার ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। তাই সরকারি অফিস আগামীকাল রোববার (৫ অক্টোবর) থেকে পুনরায় শুরু হবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Benapole ports start exporting activities after five days of being closed for five days

টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম শুরু

টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম শুরু

বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে টানা পাঁচ দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর আজ শনিবার সকাল থেকে দু'দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য পুনরায় শুরু হয়েছে। আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হওয়ায় দু'বন্দরে কর্মচঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে। আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য চালু হওয়ার কথা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন বেনাপোল কাস্টমস এর কার্গো সুপারিনটেনডেন্ট আবু তাহের ।

ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্ত্তিক চক্রবর্তী বলেন, “শারদীয় দুর্গাপূজায় ২৮ সেপ্টেম্বর (রোববার) থেকে ০২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত পেট্রাপোল - বেনাপোল বন্দর দিয়ে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছিল। ছুটি শেষে আজ শনিবার সকাল থেকে দুই দেশে মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। কর্মচঞ্চলতা ফিরে এসেছে বান্দর এলাকায়।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, পূজার ছুটি শেষে আজ সকাল থেকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য পুনরায় চালু হয়েছে। তবে পেট্রাপোল বন্দরে সিএন্ডএফ অফিসের স্টাফদের উপস্থিতি কম থাকায় আমদানী রপ্তানি বাণিজ্যের গতি অন্যান্য দিনের চেয়ে কম।

বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. শামীম হোসেন বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে পাঁচ দিন সরকারি ছুটি ছিল । ৫ দিন সরকারি ছুটি থাকার কারণে এ পাঁচ দিন বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছিল। ছুটি শেষে আজ শনিবার (৪ অক্টোবর )সকাল থেকে দু'দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য পুনরায় চালু হয়েছে। আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য চালু হওয়ায় কর্মচঞ্চলতা ফিরে এসেছে উভয় বন্দর এলাকায়। তবে বন্ধের এ কয়দিন বেনাপোল কাস্টমস হাউস ও বেনাপোল বন্দর সীমিত পরিসরে কার্যক্রম চালু রেখে শুল্কায়ন কার্যক্রম চালু সহ ও বন্দরে লোড আনলোডের কার্যক্রম সীমিত পরিসরে হয়েছে। প্রেরক: রাশেদুর রহমান রাশু, বেনাপোল যশোর।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Successful Sadekul cultivating indigenous Malta in Panchagarh Boda upazila

পঞ্চগড় বোদা উপজেলায় দেশি মালটা চাষ করে সফল সাদেকুল

পঞ্চগড় বোদা উপজেলায় দেশি মালটা চাষ করে সফল সাদেকুল

উত্তরবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড় মাটি ও আবহাওয়ার কারণে চা চাষের জন্য ইতিমধ্যেই তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে।

শুধু চা নয়, বাণিজ্যিকভাবে নানা রকম ফল ও ফসল চাষ হচ্ছে এ জেলায়। এরই ধারাবাহিকতায় বোদা উপজেলায় দেশি মালটা চাষেরও ব্যাপক সাফল্য দেখা যাচ্ছে।

পঞ্চগড় বোদা উপজেলার ২ নং ময়দানদিঘী ইউনিয়নের ভিমপুকুর এলাকার সাদেকুল ইসলাম নিজস্ব দুই বিঘা জমিতে ২১৭ টি মালটা গাছ রোপণ করেন। প্রতিটি গাছে দেশি মালটা ফলন হয়, ৫০ থেকে ৮০ কেজি, রোপণ করার দুই বছরের মধ্যে বিক্রি করেন দুই লক্ষ টাকা,এ বছরে ৪ লক্ষ টাকার বিক্রি করার আশা করেন।

সাদেকুল আরও জানান গত ১/১/২০২২ সালে বোদা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ২১৭ টি দেশি মালটা গাছ ফ্রী পান এবং রাসায়নিক সার সহ কিভাবে পরিচর্যা করবেন সেই বিষয় ট্রেনিং করান।

উপজেলার ৩ নং বনগ্রাম বেংহাড়ী ইউনিয়নের তেপুখুরিয়া টোকরা পাড়া এলাকায় শাহিনুর তিনি জানান ২১ একর জায়গায় দেশি মালটার চাষ করি, এবং দেশি মালটার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। নভেম্বর মাসে ২৫০০ টাকা মণ বিক্রি যাওয়ার কথা, প্রতি বছর এ মাসে ফলের দাম বেশি থাকে, তাই আমি নভেম্বর মাসে বিক্রি করবো।

আহমেদ রাশেদ উন -নবী , উপজেলা কৃষি অফিসার জানান, মাটি ও আবহাওয়া মালটা চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। তারা কৃষকদের মালটা ও অন্যান্য বাণিজ্যিক ফলের চাষে উৎসাহিত করছেন। এতে কৃষকদের আয় যেমন বাড়ছে, তেমনি স্থানীয় বাজারে দেশি ফলের চাহিদাও পূরণ হচ্ছে। এ বছর ৪৭ হেক্টর জায়গায় মালটা চাষ হচ্ছে বোদা উপজেলায়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Madrasa student suicide by boasting with her mother in Kotalipara 

কোটালীপাড়ায় মায়ের সাথে অভিমান করে মাদ্রাসা ছাত্রের আত্মহত্যা 

কোটালীপাড়ায় মায়ের সাথে অভিমান করে মাদ্রাসা ছাত্রের আত্মহত্যা 

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় মায়ের সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে জোনায়েদ শেখ নামের ১৪ বছর বয়সী মাদ্রাসাপড়ুয় এক শিশু আত্মহত্যা করেছে।

শুক্রবার বিকেলে উপজেলার তারাশী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জোনায়েদ তারাশী গ্রামের মৃদুল শেখের ছেলে ও পিনজুরী কওমী মাদ্রাসার তৃতীয় জামাতের ছাত্র।

শুক্রবার বিকেল ফাঁকা ঘরে দরজা বন্ধ করে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দেয় জোনায়েদ। বিকেল ৫ টার দিকে জোনায়েদের মা আছিয়া বেগম ঘরের বন্ধ দেখে ও কারো সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের নিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে গিয়ে আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় জোনায়েদ কে দেখতে পান। দ্রুত তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।

নিহত জোনায়েদের চাচা রাসেল শেখ বলেন, কয়েকদিন আগে জোনায়েদ মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে আসে। এরপর আর মাদ্রাসায় যেতে চাচ্ছিল না। এ নিয়ে মায়ের সাথে তার মনোমালিন্য ছিল। ধারণা করা হচ্ছে মায়ের উপর অভিমান করে হয়তো এই ঘটনা ঘটেছে।

কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার হাফিজুর রহমান জানান, পরিবার ও এলাকাবাসীর কোন অভিযোগ না থাকায় উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

শনিবার সকালে তারাশী কবরস্থানে শিশু জোনায়েদের দাফন সম্পন্ন হয়।

মন্তব্য

p
উপরে