করোনাভাইরাস মহামারিতে এক বছরের বেশি সময় অর্থনৈতিক অচলাবস্থা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি থেকে মার্চ) শেষে অধিকাংশ ব্যাংক মুনাফায় রয়েছে।
আমানতের সুদহার কমানো, প্রভিশন সংরক্ষণে ছাড়, ব্যয় সংকোচনের কারণে মুনাফায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি বলে ব্যাংকাররা জানিয়েছেন।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, কাগজে-কলমে মুনাফা দেখানো হলেও বাস্তবতা ভিন্ন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত ৩১ ব্যাংকের মধ্যে ২০টি তাদের প্রথম প্রান্তিকের আয় প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ১৫টির আয় গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। একটি ব্যাংকের আয় প্রায় তিন গুণ হয়েছে। একটির হয়েছে দ্বিগুণ। এ ছাড়া দেড় গুণ হয়েছে আরও বেশ কিছু ব্যাংকের শেয়ারদর।
ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সভাপতি ও ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ব্যাংকগুলো আগের বছরের তুলনায় খরচ অনেক কমিয়েছে। ব্যালান্স শিট ভালো ম্যানেজ করেছে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল খরচ কমানো, সেটা আমরা পেরেছি।
‘এর বাইরে প্রথম প্রান্তিকে বেতন খরচ ছাড়া অন্যান্য অপারেটিং খরচ কমিয়ে আনা হয়েছে। এটার প্রভাব পড়েছে অনিরীক্ষিত মুনাফার হিসাবে। তবে খুব ভালো মুনাফা করেছে সেটা না; সামান্য মুনাফা করেছে।’
ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আরফান আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বর্তমানে ব্যাংকে তারল্য ঘাটতি নেই। ফিক্সড ডিপোজিটে ইন্টারেস্ট রেট লো। করোনার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়া সুবিধার কারণে ব্যাংকগুলো বাড়তি প্রভিশনিং (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) করে নাই। এ কারণে মুনাফা বাড়তি দেখাতে পেরেছে।’
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকের ব্যবসা যে ভালো হচ্ছে, এ রকম না। ডিপোজিট এখন পর্যাপ্ত রয়েছে। কম রেটেও পাওয়া যাচ্ছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মূল কারণ হলো আমানতে সুদহার অনেক কম। ঋণ বিতরণ একদম হচ্ছে না, সেটা নয়।
‘যাতায়াত ভাতা, আনুষঙ্গিক খরচ, বিভিন্ন অনুষ্ঠান এগুলো কমিয়েছে। তবে ব্যাংকের ব্যয় যে খুব কমেছে, সেটা নয়।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রভিশন বা নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখার বিষয়ে ছাড় দিয়েছিল। ফলে ব্যাংকগুলোর প্রভিশনিং করতে হয়নি, যার প্রভাব মুনাফায় পড়েছে।
‘তবে এ ধরনের ছাড়ে ব্যাংকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ব্যাংকের ঝুঁকি বেড়ে গেলে ব্যাংকগুলো পরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’
ব্যাংকের আয়
ব্যাংকগুলো নিজেদের মূলধন ও সঞ্চয়কারীদের আমানত ঋণ হিসেবে বিনিয়োগ করে আয় করে। আয়ের ৯০ শতাংশই আসে ঋণের সুদ থেকে। বাকি ১০ শতাংশ আসে কমিশন, বৈদেশিক মুদ্রা ও অন্যান্য খাত থেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৯ সালে মূলধন থেকে ব্যাংকগুলোর আয়ের অনুপাত ছিল ৬ টাকা ৮ পয়সা। ২০২০ সালে তা হয় ৬ টাকা ২০ পয়সা।
মূলধন থেকে আয় কমার শীর্ষে রয়েছে সরকারি ও বিশেষায়িত ব্যাংক। কারণ এসব ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি বেশি।
সরকারি ব্যাংকগুলোর ২০১৯ সালে ১০০ টাকা পুঁজি খাটিয়ে লোকসান হয়েছে ১৩ টাকা ৭০ পয়সা। ২০২০ সালে ১০০ টাকা পুঁজি খাটিয়ে লোকসান দিয়েছে ১৫ টাকা ২০ পয়সা।
বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো ২০১৯ সালে ১০০ টাকা পুঁজি খাটিয়ে লোকসান দিয়েছে ১৭ টাকা। ২০২০ সালে দিয়েছে ২৬ টাকা।
বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ২০১৯ সালে আয় ১১ টাকা ২০ পয়সা। ২০২০ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৯ টাকায়।
বিদেশি ব্যাংকগুলো ২০১৯ সালে ১০০ টাকা বিনিয়োগ করে আয় করেছিল ১৩ টাকা ৪০ পয়সা। গত বছর তা হয়েছে ১৩ টাকা ৫০ পয়সা।
ঋণের বিপরীতে সুদ আয়
ঋণের সুদ থেকে ব্যাংকের আয়ের বড় অংশ আসে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি অনুযায়ী, নিয়মিত ঋণের সুদ আদায় না হলেও ব্যাংক আয় খাতে নিতে পারে। গত বছর ঋণের সুদহার থেকে ব্যাংকের তেমন কোনো আয় হয়নি। অথচ এ খাত থেকে সুদ আদায় দেখানো হয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগই কাগজে-কলমে।
আবার ঋণখেলাপি হয়ে গেলে সে ঋণের সুদ আদায় না হলে সেটিকে আয়ের খাতে নিতে পারে না ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার কারণে গত বছরে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারলে খেলাপি হননি কোনো গ্রাহক। ফলে কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থতার কারণে কোনো ঋণখেলাপি হয়নি। এতে ওইসব ঋণের সুদ তারা আয় খাতে নিতে পারছে। এর মাধ্যমে ব্যাংকের আয় কিছুটা বেড়েছে।
ঋণের বিপরীতে গত বছর সুদ থেকে আয় কমেছে। ২০১৯ সালে ১০০ টাকার সম্পদ বা ঋণ থেকে সুদ আয় হয়েছে ৪০ পয়সা। ২০২০ সালে সেটা কমে হয় ৩০ পয়সা।
সরকারি ব্যাংকগুলোর ২০১৯ সালে সুদ আয়ে ১০০ টাকায় লোকসান হয়েছে ৬০ পয়সা। গত বছরের তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।
বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর ২০১৯ সালে লোকসান ছিল ৩ টাকা ৩০ পয়সা। গত বছর লোকসান হয়েছে ৫ টাকা ৩০ পয়সা।
বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ২০১৯ সালে আয় হয়েছিল ১০০ টাকায় ৮০ পয়সা। ২০২০ সালে আয় হয়েছে ৫০ পয়সা।
বিদেশি ব্যাংকগুলোরও ২০১৯ সালে ১০০ টাকায় আয় হয়েছিল ২ টাকা ৩০ পয়সা। গত বছর আয় হয়েছে ২ টাকা ২০ পয়সা।
ব্যয় সংকোচন
ব্যাংকাররা দাবি করছেন, তারা ব্যয় সংকোচন করেছেন।
ব্যয় সংকোচনের সবচেয়ে বড় খাত হচ্ছে আমানতের সুদ কমানো। বর্তমানে ৩ থেকে ৪ শতাংশ সুদে আমানত সংগ্রহ করছে ব্যাংকগুলো।
তবে তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৯ সালে ব্যাংকগুলো ১০০ টাকা আয়ের বিপরীতে খরচ করেছে ৭৮ টাকা। ২০২০ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৮৪ টাকা ১০ পয়সা।
এর মধ্যে সরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ২০১৯ সালে ১০০ টাকা আয় করে খরচ করেছে ৮৪ টাকা ৯০ পয়সা। ২০২০ সালে তা আরও বেড়ে খরচ হয়েছে ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা।
বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো ২০১৯ সালে ১০০ টাকা আয় করে খরচ করেছে ১৫৯ টাকা ৮০ পয়সা। ২০২০ সালে তা আরও বেড়ে খরচ করেছে ১৮৯ টাকা।
বেসরকারি ব্যাংকগুলো ২০১৯ সালে ১০০ টাকা আয় করে খরচ করেছিল ৭৭ টাকা ৬০ পয়সা। ২০২০ সালে খরচের পরিমাণ আরও বেড়ে ১০০ টাকা আয়ের বিপরীতে হয়েছিল ৮২ টাকা ৬০ পয়সা।
বিদেশি ব্যাংকগুলোর খরচ কমেছে। ২০১৯ সালে ১০০ টাকা আয় করে তারা খরচ করেছে ৪৮ টাকা ৮০ পয়সা। ২০২০ সালে ১০০ টাকা আয় করে খরচ করেছে ৪৫ টাকা ৫০ পয়সা।
করোনার ধাক্কায় আন্তর্জাতিক বাজারে সুদের হার কমেছে। ফলে মানুষের বিদেশ ভ্রমণ, ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে বা চিকিৎসার জন্য বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রি ও কমিশন থেকেও কমেছে আয়।
নিরাপত্তা সঞ্চিতি
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের বিপরীতে ব্যাংকিং খাতে প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণের দরকার ছিল ৬৪ হাজার ৮০১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। কিন্তু এর বিপরীতে ব্যাংকগুলো প্রভিশন সংরক্ষণে সক্ষম হয়েছে ৬৪ হাজার ৬৭৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা। ফলে ব্যাংকিং খাতে প্রভিশন ঘাটতি হয়েছে মাত্র ১২৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।
এ সময়ে ১১টি ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি হয়েছে, যার মধ্যে তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত, দুটি বিশেষায়িত ও ছয়টি বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে। এসব ব্যাংকের ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ১৪৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত তিন ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি হয়েছে পাঁচ হাজার ৪২৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। আর বেসরকারি ছয় ব্যাংকের ঘাটতির পরিমাণ এক হাজার ৫৫১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এ ছাড়া বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি ১৬৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী খেলাপি ঋণের মানভেদে নিরাপত্তা সঞ্চিতির হার ৫ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত। যেহেতু খেলাপি ঘোষণা করা যায়নি, তাই এই সঞ্চিতি সংরক্ষণের দরকার পড়েনি। ফলে ব্যাংকের ব্যালান্স শিট মহামারিকালে আগের বছরের চেয়ে ভালো দেখাচ্ছে।
গত বছরের মার্চে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত কেউ কিস্তি না দিলেও খেলাপি করা যাবে না। পরে তিন দফায় এই নির্দেশনার কার্যকারিতা বাড়িয়ে আগামী জুন পর্যন্ত করা হয়।
তারল্যের পাহাড়
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি শেষে ব্যাংক খাতে তারল্য দাঁড়িয়েছে ২ লাখ কোটি টাকা, এক মাস আগে যা ছিল ২ লাখ ৪ হাজার ৭০ কোটি টাকা। আর গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংক খাতে অতিরিক্ত তারল্যের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা।
বিশাল এই তারল্যের একটি বড় অংশ বিল বন্ডে বিনিয়োগ করেছে। বাকি টাকা ব্যাংকগুলোতে অলস পড়ে আছে।
গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে গ্রাহকদের ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলার চাহিদা অনেক বেড়েছে। তারপরও ব্যাংকে অলস টাকা পড়ে আছে।
ব্যাংকাররা বলছেন, এর কারণ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। বছরের শুরুতে ঋণের চাহিদা কিছুটা বাড়লেও বর্তমানে এই চাহিদা আবার কমতে শুরু করেছে।
আমানতের ঢল
ব্যাংকে আমানতকারীদের টাকা জমা রাখার প্রবণতা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। গত অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে আমানত বেড়েছিল ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে বেড়েছে ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
এর মধ্যে চলতি আমানত গত অর্থবছরে কমেছিল ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে একই সময়ে বেড়েছে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
মেয়াদি আমানত গত অর্থবছরের একই সময়ে বেড়েছিল ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে বেড়েছে ১০ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন:দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে রেকর্ড ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের সাড়ে তিন মাসে অষ্টমবারের মতো স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৃহস্পতিবার বৈঠক করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। নতুন নির্ধারিত এই দাম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী- ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বেড়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বেড়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৬৫৬ টাকা বেড়ে ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৩৮৮ টাকা কমে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সবশেষ দশ দিন আগে ৮ এপ্রিল বাজুস ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৪৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা নির্ধারণ করে। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। ১০ দিনের ব্যবধানে আবারও দাম বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দেশের স্বর্ণের বাজারে উচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হলো।
অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের আরও বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে ১ লাখ ২৯ হাজার ১১৯ টাকা।
এদিকে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা আছে।
আরও পড়ুন:বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘…১৪৯ টাকা যেটা খোলাবাজারে ছিল, সেটাকে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা সর্বোচ্চ খোলাবাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হবে।
‘আর আমাদের সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার, বোতল যেটা, পেট বোতলে যেটা, যেটার মধ্যে সিল করা থাকে, সেইটা আমাদের নির্ধারিত ছিল ১৬৩ টাকা। সেইখান থেকে বৃদ্ধি করে ১৬৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’
খোলা সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতলের দামের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আর খোলাবাজারে সয়াবিন তেল পাঁচ লিটারের বোতল ৮০০ টাকা ছিল। সেটাকে ৮১৮ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’
পাম অয়েলের দাম নিয়ে টিটু বলেন, ‘সুপার পাম অয়েল তেল প্রতি লিটার, এটা আগে নির্ধারণ করা ছিল না। এবার আমরা নির্ধারণ করে দিচ্ছি। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা লিটার।
‘তো এই চারটা পণ্যের দাম, এইটা কিন্তু আমরা নির্ধারণ করলাম না। আমাদের যারা অ্যাসোসিয়েশনের, তাদের রিকমেন্ডেশনে এবং আমাদের ট্যারিফ কমিশনের অনুমোদনক্রমে উনারা উনাদের অ্যাসোসিয়েশন থেকে চিঠি দিয়ে আগামীকাল থেকে এই মূল্য উনাদের মিল গেট থেকে উনারা কার্যকরী করবে।’
আরও পড়ুন:কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি জানিয়েছিল যে আর কোনো ব্যাংককে একীভূতকরণের সুযোগ দেয়া হবে না। তবে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের জন্য ব্যাংক এশিয়াকে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন মাত্রার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক এশিয়া বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করছে। সূত্র: ইউএনবি
করাচিভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ বুধবার (১৭ এপ্রিল) পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জকে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের বাংলাদেশ পরিচালনা, সম্পদ ও দায় অধিগ্রহণের জন্য প্রাপ্ত বাধ্যবাধকতামুক্ত ইঙ্গিতমূলক প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
এতে বলা হয়, ব্যাংক আলফালাহ বাংলাদেশের ব্যাংক এশিয়ার জন্য যথাযথ কার্যক্রম শুরুর জন্য স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তানের অনুমোদন চাইছে।
ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আর কে হুসেইন বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি একীভূতকরণ নিয়ে খুব বেশি আলোচনার অংশ নয়।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে দুই ব্যাংকের নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে অধিগ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত রূপ পাবে বলে।
বিষয়বস্তু অবহিত না করে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে ‘রূপান্তর’ শিরোনামের একটি নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ওয়ালটন।
পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সব ধরনের বিজ্ঞাপনী চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
ওয়ালটনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’ এর স্বত্বাধিকারী মোহন আহমেদকে মঙ্গলবার ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।
ওয়ালটনের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট রাইসুল ইসলাম রিয়াদ স্বাক্ষরিত আইনি নোটিশে উল্লেখ করে যা বলা হয়, ‘আপনি লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান এর স্বত্বাধিকারী। আপনার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আপনার নির্মিত ছয়টি নাটকে ওয়ালটন ফ্রিজ ব্র্যান্ডিং করতে সম্মত হয়। শর্ত থাকে যে, উক্ত নাটকসমূহে দেশের আইন, নীতি, নৈতিকতা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হয় এরকম কোনো বিষয় অর্ন্তভুক্ত হবে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, উক্ত নাটকসমূহের মধ্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটিতে এমন কিছু বিষয় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে, যাতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ও মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।’
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে নাটকটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্বে অবহিত না করে রূপান্তর নাটক প্রচার করায় আপনার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হলো এবং সেই সঙ্গে কেন আপনার বিরুদ্ধে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে নাটক প্রচারের জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে জানানোর জন্য বলা হলো।’
এর আগে ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকে ‘রূপান্তর’ নাটকটি প্রত্যাহারের জন্য বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে নির্দেশ দেয় ওয়ালটন। তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক-ইউটিউবসহ সব মাধ্যম থেকে নাটকটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
এরপর বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ওয়ালটন গ্রুপের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থি নাটকে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে লিগাল নোটিশ দেয় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটনের ভাষ্য, দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও তারা সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন:রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন রূপালী ব্যাংক পিএলসির মহাব্যবস্থাপক মো. ফয়েজ আলম। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে তিনিসহ রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন ব্যাংকের আট জন মহাব্যবস্থাপককে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়।
ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি হওয়ার আগে তিনি রূপালী ব্যাংক পিএলসিতে মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
মো. ফয়েজ আলম ১৯৯৮ সালে বিআরসির মাধ্যমে সিনিয়র অফিসার পদে রূপালী ব্যাংকে যোগদান করেন। কর্মজীবনে ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাখার শাখা ব্যবস্থাপক, জোনাল অফিস এবং প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পেশাগত প্রয়োজনে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও আরব অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণসহ দেশ-বিদেশে ব্যাংকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।
ফয়েজ আলমের জন্ম ১৯৬৮ সালে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার যোগীরনগুয়া গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে বিএ অনার্সসহ এমএ পাশ করার পর এমফিল ডিগ্রিও অর্জন করেন খ্যাতিমান এই ব্যাংকার।
পেশাগত জীবনের বাইরে ফয়েজ আলম একজন সফল লেখকও। বাংলাদেশে তিনি অগ্রণী উত্তর উপনিবেশী তাত্ত্বিক, প্রাবন্ধিক ও কবি হিসেবে বিশেষ খ্যাতিমান। এডওয়ার্ড সাঈদের বিখ্যাত গ্রন্থ অরিয়েন্টালিজম-এর অনুবাদক হিসেবেও তার আলাদা খ্যাতি আছে। তার পনেরটির বেশি গ্রন্থ এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে।
ভোজ্যতেলের ওপর শুল্ক অব্যাহতির সময়সীমা শেষ হয়েছে সোমবার (১৫ এপ্রিল)। এ অবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরভিএমএফএ) সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।
বিভিওআরভিএমএফএ’র নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মোল্লার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, কাঁচামাল আমদানি ও ভোজ্যপণ্য উৎপাদনে কর অব্যাহতির মেয়াদ ১৫ এপ্রিল শেষ হচ্ছে বিধায় পরদিন ১৬ এপ্রিল থেকে ভ্যাট অব্যাহতির আগের নির্ধারিত মূল্যে পণ্য সরবরাহ করা হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ১৭৩ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৮৪৫ টাকা ও এক লিটার পাম তেল ১৩২ টাকায় বিক্রি করা হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত ফেব্রুয়ারিতে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত (অপরিশোধিত) সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করে।
এদিকে মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করা যেতে পারে, তবে সময় লাগবে।
‘ভোজ্যতেলের নতুন চালান আমদানির ক্ষেত্রে দাম বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’
আরও পড়ুন:প্রবাসীদের আয়ের একটি বড় অংশই আসে ঢাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখাগুলোতে। অর্থাৎ প্রবাসীদের পরিবারের বেশিরভাগই ঢাকায় থাকেন বা তাদের অধিকাংশ অ্যাকাউন্ট ঢাকার ব্যাংক শাখায়।
ইউএনবি জানায়, রেমিট্যান্সের জেলাভিত্তিক চিত্র নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিশ্লেষণে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম। সিলেট তৃতীয় এবং কুমিল্লা চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।
এরপরে রয়েছে উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর ও নরসিংদীর অবস্থান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জেলাভিত্তিক প্রবাসী আয় প্রতিবেদনে গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে প্রবাসীরা ১ হাজার ৫০৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২১৬ কোটি ডলার। তার আগের মাস জানুয়ারিতে দেশে প্রবাসী আয় ছিল ২১০ কোটি ডলার।
জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়কালে ঢাকা জেলায় এসেছে ৫২৩ কোটি ডলার এবং চট্টগ্রাম জেলায় এসেছে ১৪২ কোটি ডলার।
এই সময়ে সিলেট জেলা ৮৭০ মিলিয়ন ডলার, কুমিল্লা ৮১০ মিলিয়ন ডলার এবং নোয়াখালী ৪৬০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ কোটি, ফেনীতে ৩৭ কোটি, মৌলভীবাজারে ৩৬ কোটি, চাঁদপুরে ৩৫ কোটি ডলার এবং নরসিংদীতে ২৫০ মিলিয়ন ডলার এসেছে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, প্রবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলো থেকে বেশি প্রবাসী আয় আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু এমনটা হচ্ছে না। কারণ অনেক প্রবাসী বিদেশে স্থায়ী হয়েছেন। বরং তারা (প্রবাসীরা) দেশে থাকা সম্পদ বিক্রি করে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে অর্থ পাচার বাড়ছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য