× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
কার্ডে কেনাকাটা এখন মাসে ২৪ হাজার কোটি টাকা
google_news print-icon

কার্ডে কেনাকাটা এখন মাসে ২৪ হাজার কোটি টাকা

কার্ডে-কেনাকাটা-এখন-মাসে-২৪-হাজার-কোটি-টাকা
২০২০ সালে করোনা শনাক্তের মাস মার্চে ব্যাংকের ডেবিট কার্ডের গ্রাহক ছিল ১ কোটি ৯৩ লাখ ১২৭ জন। চলতি মার্চ শেষে সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২৪ লাখ ৪৯ হাজার ৮৪৭ জনে। করোনা আসার আগে ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহক ছিল ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ১২৯ জন। চলতি মার্চে তা বেড়ে হয়েছে ১৭ লাখ ৩৭ হাজার ১৩৪ জন।

করোনা মহামারিতে কেনাকাটায় কার্ডের ব্যবহার ব্যাপক হারে বাড়তে দেখা গেছে। করোনা আসার আগে যে পরিমাণ লেনদেন হতো, এখন তার চেয়ে দেড় গুণ বেশি লেনদেন হচ্ছে কার্ডে।

করোনা আসার আগে ২০২০ সালের মার্চে ডেবিট, ক্রেডিট ও প্রি-পেইড কার্ডে মাসে লেনদেন হতো ১৪ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা। চলতি বছরের মার্চে সেটি বেড়ে হয়েছে ২৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ডেবিট কার্ডে লেনদেন ২২ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি, আর ক্রেডিট কার্ডে পৌনে ২ হাজার কোটি টাকা।

সংখ্যার ক্ষেত্রেও ক্রেডিট কার্ডের পরিমাণ কম। করোনায় ৮ শতাংশের মতো বাড়লেও তা ২০ লাখের নিচে। তবে ব্যাপকভাবে বেড়েছে ডেবিট কার্ড। শতকরা হিসেবে ১৫ শতাংশের বেশি বা ৩১ লাখ কার্ড বেড়েছে করোনাকালে।

এখন কার্ডে যে লেনদেন হচ্ছে, তার প্রায় পুরোটাই হচ্ছে দেশে। করোনা আসার আগে কার্ডের ব্যয়ের একটি বড় অংশ হতো দেশের বাইরে। তবে করোনায় বিদেশে ভ্রমণ কমে যাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনও বেশ কমে গেছে।

ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আরফান আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই গ্রাহকদের অনলাইন ব্যাংকিংয়ে উৎসাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আগের চেয়ে ডিজিটাল লেনদেনে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে।’

তিনি বলেন, ‘করোনার সময়ে গ্রাহকদের নতুন নতুন সেবা দেয়া হয়েছে, যাতে ডিজিটাল লেনদেন বাড়ে। অনলাইন সেবাও বেড়েছে। মানুষ ঘরে বসেই সব ধরনের সুবিধা নিতে পেরেছেন। সব মিলিয়ে করোনায় ডিজিটাল লেনদেনে গতি বেড়েছে। যার সার্বিক প্রভাব কার্ডের ব্যবহার ও লেনদেনে পড়েছে।’

দেশীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে কার্ড সেবায় শীর্ষে বেসরকারি খাতের দি সিটি ব্যাংক। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার ভয়ে এখনও অনেকে শাখায় গিয়ে সেবা নিতে চাইছেন না। ফলে বিকল্প সেবা মাধ্যমের ব্যবহার বাড়ছে। আগের চেয়ে কার্ডের ব্যবহার বাড়ছে। তবে বিদেশে যাওয়া বন্ধ, আবার বিদেশিরাও আসছেন কম। এ জন্য কার্ডে বিদেশি মুদ্রার লেনদেন কমেছে। বিমান যোগাযোগ পুরোদমে চালু হলে বিদেশি লেনদেন স্বাভাবিক হবে।’

বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, আগে অনেক গ্রাহক কার্ড নিতে চাইতেন না। এখন অনেকে কার্ডে ঝুঁকছেন।

করোনার সময়ে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিংয়ে গ্রাহকদের উৎসাহিত করেছে ব্যাংকগুলো। রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি খাতের সব ব্যাংকই এখন প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। এসব সেবায় যোগ হয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম, অনলাইন সিআইবি রিপোর্ট, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, প্রি-পেইড কার্ড, ভিসা কার্ড এবং বিভিন্ন প্রযুক্তির এটিএম। এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন ও জমা, রেমিট্যান্স বিতরণ, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ ও বেতন-ভাতা প্রদান সবই সম্ভব।

কার্ডে কেনাকাটা এখন মাসে ২৪ হাজার কোটি টাকা

ডেবিট কার্ডের সংখ্যা ও লেনদেন

বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে করোনা শনাক্তের মাস মার্চে ব্যাংকের ডেবিট কার্ডের গ্রাহক ছিল ১ কোটি ৯৩ লাখ ১২৭ জন।

চলতি মার্চ শেষে সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২৪ লাখ ৪৯ হাজার ৮৪৭ জনে।

করোনার এক বছরে ডেবিট কার্ডের গ্রাহক বেড়েছে প্রায় ৩১ লাখ ৪৯ হাজার ৭২০ জন।

কার্ড ব্যবহারকারী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লেনদেনও বেড়েছে। গত বছরের মার্চে ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন হয় ১৫ হাজার ১৩৬ কোটি টাকা। চলতি মার্চে সেটা বেড়ে হয়েছে ২২ হাজার কোটি টাকা।

২০২০ সালে মার্চের পর এপ্রিলে ডেবিট কার্ড ছিল ১ কোটি ৯৩ লাখ। মে মাসে তা ছিল ১ কোটি ৯৪ লাখের মধ্যে। জুনে কার্ড বেড়ে ১ কোটি ৯৭ লাখে এবং জুলাইয়ে ১ কোটি ৯৯ লাখে উন্নীত হয়। সেপ্টেম্বরে সেটা দুই কোটির ঘর অতিক্রম করে। বর্তমানে সেটা দুই কোটি ২৪ লাখের বেশি।

সে সময় ডেবিট কার্ডে আগে প্রতি মাসে ১৪ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হতো। তা করোনার কারণে এপ্রিলে কমে হয় ৮ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। এরপরে মে মাসে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা, জুনে ১২ হাজার কোটি টাকা এবং জুলাইয়ে ১৮ হাজার ১২৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়।

জুলাইয়ের পর লকডাউন অনেকটা শিথিল হয়। ফলে আগস্টে ডেবিট কার্ডে লেনদেন কমে যায়। ওই মাসে লেনদেন হয় ১৩ হাজার ২০২ কোটি টাকা। কিন্তু এরপরে আবার টানা লেনদেন বাড়তে থাকে। বর্তমানে ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে ২২ হাজার কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হচ্ছে।

ক্রেডিট কার্ড

ডেবিট কার্ডের লেনদেন যে হারে বেড়েছে সে হারে ক্রেডিট কার্ডের লেনদেন বাড়েনি।

২০২০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহক ছিল ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ১২৯ জন, যা চলতি মার্চে বেড়ে হয়েছে ১৭ লাখ ৩৭ হাজার ১৩৪ জন। ফলে এক বছরে ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহক বেড়েছে প্রায় এক লাখ ৩৮ হাজার ৫ জন।

গত মার্চে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা। এ বছর মার্চে সেটা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা।

তবে গত বছর লকডাউনে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকরীদের বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কিছু সুবিধা দেয়া হলেও এ বছর সেটা দেয়া হয়নি। ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউনের আগে যখন ৫ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথমবারের মতো লকডাউন দেয়া হয়, সে সময় বাংলাদেশ ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডধারীদের বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেয়ার নীতি গ্রহণ করেছিল। কিন্তু ১২ এপ্রিলের এরপরে সেটা আর কার্যকর হয়নি।

ক্রেডিট কার্ডের বিল সময়মতো দিতে না পারলে জরিমানার পাশাপাশি অনেক বেশি হারে সুদ দিতে হয়। ব্যাংকে সুদহার ৯ শতাংশ হলেও কার্ডের সুদ ২০ শতাংশ পর্যন্ত আছে।

২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া অন্য সব ঋণে সুদহার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনার নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মানে ক্রেডিট কার্ডে সর্বোচ্চ সুদ হওয়ার কথা ১৪ শতাংশ। তবে এই নির্দেশনাও অমান্য করে অনেক ব্যাংকই বিভিন্নভাবে এর চেয়ে বেশি টাকা আদায় করত।

ফলে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে কোনো ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডে ২০ শতাংশের বেশি সুদ নিতে পারবে না বলে নতুন নির্দেশনা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এটি ওই বছর ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়।

প্রি-পেইড কার্ড

এক বছরে প্রিপেইড কার্ড ব্যবহারকারী বেড়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার ৯৬৬ জন। মার্চ পর্যন্ত দেশে প্রি-পেইড কার্ডের গ্রাহক ৮ লাখ ১১ হাজার ৭৫৭ জন। গত বছরের মার্চে যা ছিল ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৭৯১ জন।

এ সময়ে এসব কার্ডে লেনদেন হয়েছে ১৮০ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:
লকডাউনে এবারও কেন ছাড় পাবে না ক্রেডিট কার্ডধারীরা
ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধে আবার ছাড়

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Video viral of a doctors abuse with the relatives of the rape victim

ধর্ষণের শিকার শিশুর স্বজনদের সঙ্গে চিকিৎসকের দুর্ব্যবহারের ভিডিও ভাইরাল

ধর্ষণের শিকার শিশুর স্বজনদের সঙ্গে চিকিৎসকের দুর্ব্যবহারের ভিডিও ভাইরাল

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের শিকার এক শিশুর অভিভাবকের সঙ্গে অত্যন্ত অশালীন ভাষা ব্যবহার ও দুর্ব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে ঘটা এই ঘটনার একটি বিতর্কিত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, চিকিৎসক আবুল কাশেম চিকিৎসাধীন ধর্ষণের শিকার শিশুটির বাবা ও স্বজনদের উদ্দেশ্য করে কুরুচিপূর্ণ, অপমানজনক ও হুমকিমূলক ভঙ্গিতে কথা বলছেন।

স্থানীয় ভাষায় তাকে বলতে শোনা যায়— ‘ ‘হাসপাতালডাক তোমরা চিড়িয়াখানা পাইছ, চিড়িয়াখানার মতো ভর্তি হবার আইসো, কোনঠে সাংবাদিক আইসো, দেউনিয়া-মদ্দিনা আইসো, এলাকাবাসী আইসো, পুরুষ-মহিলা আইসো, ছোট-বড় আইসো, এইটা হরিবোল, হরিবোল দেওয়ার জায়গা নাকি? এই ছুটি বাড়ি যাও, আইজকে বিস্তিবার (বৃহস্পতিবার) আর কোথায় রাখব? তোমরা মামলা করলে করো, না করলে…(অশ্লীল ভাষায় কিছু বলেন)।’

এদিকে, বিতর্কিত ভিডিওটি সিভিল সার্জনের নজরে আসার পর রাতেই অভিযুক্ত চিকিৎসক আবুল কাশেমকে শনিবারের (২০ সেপ্টেম্বর) মধ্যে ঘটনার কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সার্জন ডা. মো. মিজানুর রহমান জানান, কী ঘটেছিল এবং কেন রোগীর পরিবারের সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়েছে, তার সঠিক জবাব চেয়ে নোটিশ করা হয়েছে। গত শুক্রবার ১৯ সেপ্টেম্বর সরকারি ছুটি থাকায় শনিবারের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি যেহেতু আলোচিত, তাই জবাব পাওয়ার পর তা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য

দৌলতপুরে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি

দৌলতপুরে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে রোগীবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার গভীর রাতে, উপজেলার খলিশাকুণ্ডি ইউনিয়নের পিপুলবাড়িয়া মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতেরা রাস্তার ওপর গাছ ফেলে অ্যাম্বুলেন্সটি থামিয়ে, অস্ত্রের মুখে রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে স্ট্রোকের রোগী লিটনকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। পথিমধ্যে পিপুলবাড়িয়া মাঠের কাছে যাত্রীছাউনির সামনে গাছ ফেলে রাস্তা অবরোধ করে পাঁচ-ছয়জনের এক ডাকাত দল। দেশীয় অস্ত্র হাতে তারা অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও ভেতরে থাকা চারজনকে জিম্মি করে অর্থ ছিনিয়ে নেয়।

অ্যাম্বুলেন্স চালক রতন আহমেদ জানান, রাত ১টার দিকে রোগীকে কুষ্টিয়ায় নিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ ডাকাতেরা গাড়ি আটকে আমার গলায় ছুরি ঠেকিয়ে টাকার ব্যাগ নিয়ে যায়। তারা কাউকে কিছু না বলতে কড়া হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

রোগীর এক স্বজন জালাল বলেন, আমরা চালককে কাতলামারী হয়ে না যেতে অনুরোধ করেছিলাম, কিন্তু তিনি ওই পথেই যান। পথে এই ঘটনা ঘটে এবং আমাদের কাছ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা।

দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল হাসান তুহিন জানান, রাত সাড়ে ১২টার দিকে লিটন নামে একজন রোগী হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসজনিত সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। পথে অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনাটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, এখনো পর্যন্ত আমাদের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Bangladesh must take the issue of alternative clean fuel seriously Chief Advisor

বাংলাদেশকে বিকল্প পরিচ্ছন্ন জ্বালানির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশকে বিকল্প পরিচ্ছন্ন জ্বালানির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশকে এখনই পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী জ্বালানি সমাধানের দিকে এগিয়ে যেতে হবে, যাতে দেশ টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন পথে এগিয়ে যেতে পারে।

তিনি বলেন, ‘এখন সময় এসেছে বাংলাদেশকে গুরুত্ব সহকারে বিকল্প পরিচ্ছন্ন জ্বালানি বিবেচনা করার, যার মধ্যে বৃহৎ পরিসরে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন অন্যতম।’

গত বৃহস্পতিবার রাতে অ্যানথ্রোপোসিন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান কার্ল পেজ এবং তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বিশ্বের ঘনবসতিপূর্ণ এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি হিসেবে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল থাকার সামর্থ্য রাখে না।

কার্ল পেজ তাঁর বক্তব্যে নতুন প্রজন্মের পারমাণবিক প্রযুক্তি ও হাইব্রিড সিস্টেমের সাম্প্রতিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এসব প্রযুক্তি নির্ভরযোগ্য, শূন্য-কার্বন বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। বিশেষ করে ভাসমান বা বার্জ-মাউন্টেড রিঅ্যাক্টর তুলনামূলকভাবে কম খরচে, কম রক্ষণাবেক্ষণে, দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান শিল্পখাতের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করতে পারবে।

পেজ বলেন, ‘পারমাণবিক শক্তি আজ আর বিশ্বব্যাংকের মতো বড় উন্নয়ন অর্থায়ন সংস্থাগুলোর কাছে নিষিদ্ধ বিষয় নয়। ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশ ইতোমধ্যেই তাদের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে এ প্রযুক্তি গ্রহণ করছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, উদ্ভাবনে বাংলাদেশের শক্তিশালী রেকর্ড রয়েছে, তাই দেশটি পরিচ্ছন্ন জ্বালানির রূপান্তরে নেতৃত্ব দিতে পারে। এর সুফল হবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জ্বালানির দাম স্থিতিশীল রাখা এবং শিল্প খাতের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি।

পেজ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ উদীয়মান প্রযুক্তির জন্য একটি কৌশলগত কেন্দ্র এবং পারমাণবিক উদ্ভাবনে শান্তিপূর্ণ নেতৃত্বের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে।’

অধ্যাপক ইউনূস জানান, অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি একটি নতুন জাতীয় বিদ্যুৎনীতি প্রণয়ন করেছে, যাতে সৌর জ্বালানির গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

তবে তিনি উল্লেখ করেন, পারমাণবিক বিকল্প নিয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কঠোর গবেষণা ও সম্ভাব্যতা যাচাই অপরিহার্য।

তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এসব সুযোগ অনুসন্ধান করব। তবে প্রতিশ্রুতিশীল এসব প্রযুক্তি নিয়ে গভীর গবেষণা দরকার। কোনো সন্দেহ নেই—বাংলাদেশকে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা দ্রুত হ্রাস করতেই হবে।’

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং সরকারের সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Three days after the disappearance the babys packed body recovered from the neighbors Goalghar

নিখোঁজের তিন দিন পর প্রতিবেশীর গোয়ালঘর থেকে শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

নিখোঁজের তিন দিন পর প্রতিবেশীর গোয়ালঘর থেকে শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার শালবন গ্রামে নিখোঁজের তিন দিন পর শিশু তাসনিয়ার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী একরামুল ইসলামের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত তাসনিয়া আক্তার (১১)উপজেলার শালবন গ্রামের এরশাদ আলীর মেয়ে। স্থানীয় এলাকাবাসী এ ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে পড়লে পরিস্থিতি শান্ত করে রাতে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

এ ঘটনায় দুই নারীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের শালবন গ্রামের একরামুল হকের স্ত্রী হাবিবা (৩০) ও একই এলাকার আব্দুল রাজ্জাকের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা (৬২)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত তিন দিন ধরে শিশু তাসনিয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী একরামুলের গোয়ালঘরে বস্তাবন্দি অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে একরামুল বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। তবে তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আব্দুল করিম বলেন, খবর পেয়ে শিশুর লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও আটক অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
BSF has returned to Meherpur through a flag meeting

পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মেহেরপুরে ১৮ জনকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মেহেরপুরে ১৮ জনকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের সিমান্তরক্ষী বাহিনীর যৌথ সম্মতিতে বিভিন্ন সময়ে অবৈধ পথে ভারতে গিয়ে কারাভোগ শেষে ১৮ জন বাংলাদেশী নাগরিককে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর সিমান্তের ১৪৭ নম্বর আন্তর্জাতিক মেইন পিলার কাছে বিজিবি সদস্যদের হাতে তাদের হস্তান্তর করা হয়। সকলেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা।

কুষ্টিয়া বিজিবি ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিন কাজিপুর বিওপি-র কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার শাহাব উদ্দিন জানান, দেশের বিভিন্ন সিমান্ত দিয়ে বাংলাদশী নাগরিকরা অভৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশের সময় ভারতীয় সিমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে।

পরে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে দেওয়া সাজা ভোগ শেষে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ সদস্যরা বিজিবিকে হস্তান্তর করে।

ফেরত আসা ১৮জনের তথ্য যাচাই বাছাই শেষে গাংনী থানায় সৌপর্দ করা হবে।

ভারতের গান্দিনা বিএসএফ ১১ ব‍্যাটেলিয়ন ক্যাম্পের এসি সুনিল কুমার যাদব সহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিল।

ভারত থেকে কারাভোগ শেষে বাংলাদেশে ফেরত আসারা হলো, পটুয়াাখালী জেলার মেহেদী, চুয়াডাঙ্গার নুরজাহান, নড়াইলের ফরিদ শেখ, ঝিনাইদহের জিসান মন্ডল, সাইদুল ইসলাম, চাঁদপুরের খোকন বেপারী, সাতক্ষীরার মাজেদা ঢালী, শামিম হোসেন, মিঠুন ঘোষ, খালিদা সরদার, মিলন কুমার, রাজশাহীর আব্দুল কুদ্দুস, যশোরের আহমেদ আলী, মৌলভীবাজারের লিটন দেব, চট্টগ্রামের শুভ মজুমদার, ঢাকার স্বাধীন রাজবংশী, মাদারিপুরের মহিউদ্দিন ফকির, নাসিমা শেখ কুষ্টিয়া।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The youth was arrested by a dog for theft in Comilla

কুমিল্লায় চুরির অভিযোগে যুবককে কুকুর লেলিয়ে নির্যাতন; আটক ৩

কুমিল্লায় চুরির অভিযোগে যুবককে কুকুর লেলিয়ে নির্যাতন; আটক ৩

চুরির অভিযোগে এক যুবককে আটক করে কুকুর দিয়ে কামড়ানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অমানবিক এমন ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের দেবপুর এলাকায় সাকুরা স্টিল মিলে।

চুরির অভিযোগে নির্যাতিত হওয়া ওই যুবকের কুকুর লেলিয়ে দিয়ে নির্যাতনের এমন ভিডিওটি শ্রী জয় (৩২)। তিনি চান্দিনা উপজেলার মাইজখার গ্রামের শ্রী বিষ্ণুর ছেলে। ভিডিওতে দেখা যায়, দুটি কুকুর ওই যুবককে কামড়াচ্ছে এবং কয়েকজন ব্যক্তি লাঠি হাতে তাকে মারধর করছে। কুকুরের কামড় ও লাঠির আঘাতে অসহায় যুবক চিৎকার করতে থাকে।

স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, সাকুরা মিলটিতে প্রায়ই চুরির ঘটনা ঘটছিল। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের সময় নিরাপত্তা কর্মী ও শ্রমিকরা তাকে ধরার জন্য অপেক্ষা করে। নামাজ শুরু হলে শ্রী জয় মিলের ভেতরে প্রবেশ করলে তাকে কুকুর লেলিয়ে ধরা হয় এবং পরে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়।

এ ঘটনায় র‍্যাব ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে শান্ত ইসলাম, মোহাম্মদ লিপু ও মো. সজিব নামে তিনজনকে আটক করেছে।

র‍্যাব-১১ সিপিসি-২ এর মেজর সাদমান ইবনে আলম জানান, ঘটনাটির তদন্ত চলছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।

বুড়িচং থানার ওসি মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে যৌথ অভিযানে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Suddenly sleeping in the house AC explosion with two children burnt

বাসায় ঘুমাচ্ছিলেন, হঠাৎ এসি বিস্ফোরণে দুই সন্তানসহ দগ্ধ মা-বাবা

বাসায় ঘুমাচ্ছিলেন, হঠাৎ এসি বিস্ফোরণে দুই সন্তানসহ দগ্ধ মা-বাবা

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ধলপুরে একটি বাসায় এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

দগ্ধদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন, মোহাম্মদ তুহিন হোসেন (৩৮), তার স্ত্রী ইভা আক্তার (৩০), দুই ছেলে ৯ বছরের তানভীর ও ৭ বছরের তাওহীদ।

তুহিনের শরীরের ৪৭ শতাংশ ও তানভীরের শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের অবস্থা সংকটাপন্ন। এছাড়া তাওহীদের ৮ ও ইভা আক্তারের শরীরের ১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।

ইভা আক্তারের বোন ফারজানা আক্তার বলেন, ‘তার বোনসহ পরিবারের সদস্যরা রাতে বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ রাত দেড়টার দিকে এসি বিস্ফোরণ হয়।’

মন্তব্য

p
উপরে