× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
উচ্চাশায় উড়ছে বিমা সেভাবে বাড়েনি আয়
google_news print-icon

উচ্চাশায় উড়ছে বিমা, সেভাবে বাড়েনি আয়

উচ্চাশায়-উড়ছে-বিমা-সেভাবে-বাড়েনি-আয়
গত এক দশকে পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বিমা খাতের শেয়ারের দর।
বিমা কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়ার পেছনে বেশ কিছু গুজব কাজ করছিল। বলা হচ্ছিল, নানা উদ্যোগে ব্যাপক আয় বাড়বে বিমা কোম্পানির। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ২৩টি কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তাদের মধ্যে ১৮টির আয় বেড়েছে, পাঁচটির কমেছে। প্রথম প্রান্তিকে আয় বেড়েছে ১৪টির, কমেছে তিনটির, একটির আয় গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের সমান। লভ্যাংশ ঘোষণা করা কোম্পানির মধ্যে এখনও প্রথম প্রান্তিক ঘোষণা করেনি পাঁচটি। আর চলতি বছরের ঘোষিত লভ্যাংশও সেভাবে আকর্ষণীয় ছিল না।

সাধারণ বিমা কোম্পানির আয় ব্যাপক হারে বাড়বে এবং ভালো লভ্যাংশ পাওয়া যাবে- এমন গুজবে গত প্রায় এক বছরে পুঁজিবাজারে ৩৭টি সাধারণ বিমা কোম্পানির শেয়ারের দাম কয়েক গুণ বেড়েছে। তবে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের যে হিসাব পাওয়া গেছে, তাতে ব্যাপক আয় বাড়ার প্রমাণ মেলেনি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের আয়ও তেমন সম্ভাবনার কথা বলছে না।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৭টি সাধারণ বিমা কোম্পানির মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৩টি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এগুলোর বার্ষিক হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কোনো কোনো কোম্পানির আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে।

তবে হাতে গোনা দু-একটি কোম্পানির আয় আগের বছরের তুলনায় অনেক বেড়েছে।

আবার অস্বাভাবিক দর বেড়েছে, এমন কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় কমতেও দেখা গেছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকেও আয় কমতে দেখা গেছে বেশ কয়েকটির।

গত বছরের জুন থেকে বিমা কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধি পুঁজিবাজারে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। ঢালাওভাবে দাম বেড়েছে সব কোম্পানির।

এমন কোম্পানিও আছে, যেগুলোর দাম ১০ গুণ হয়ে গেছে। তবে যেসব কোম্পানি প্রতিবছর ভালো আয় করে আকর্ষণীয় লভ্যাংশ দেয়, সেগুলোর তুলনায় যেগুলোর আয় ও লভ্যাংশ খুব একটা ভালো নয়, সেগুলোর দাম বেড়েছে বেশি।

উচ্চাশায় উড়ছে বিমা, সেভাবে বাড়েনি আয়
বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নানা সিদ্ধান্তে বলাবলি হচ্ছিল ব্যাপকভাবে বাড়বে সাধারণ বিমার আয়

বিমা কোম্পানির শেয়ারে দর বাড়ার পেছনে বেশ কিছু গুজব কাজ করছিল। এজেন্টের কমিশন কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ, গাড়ির তৃতীয় পক্ষের বিমা বাতিল করে প্রথম পক্ষের বিমা চালু হলে আয় বাড়বে, লভ্যাংশ বাড়বে- এমন কথা বলাবলি হয়।

এরপর আলোচনায় আসে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলের মতো বড় বড় প্রকল্প বিমার আওতায় আসছে। এগুলোর ঝুঁকি একেবারেই কম; কোম্পানির লাভ হবে ভালো। তবে পরে জানানো হয়, মেট্রোরেল সরকারি সাধারণ বিমা করপোরেশনের আওতায় থাকবে। এটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়।

আবার ১০ বছর আগে করা একটি বিধান সামনে আনা হয়, যেখানে বলা ছিল, কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ৬০ শতাংশ থাকতে হবে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। এমনটি হলে বিমা কোম্পানির শেয়ার মালিকদেরই কিনতে হবে।

কিন্তু আয় বা লভ্যাংশ বাড়ার গুজব সত্য প্রমাণ হয়নি। পরিশোধিত মূলধনের ৬০ শতাংশ নিজেদের হাতে রাখার যে আইন করা হয়েছে, সেটিও কার্যকর হয়নি। তবু আবার ঢালাও মূল্য বৃদ্ধিতে কারসাজির অভিযোগ উঠেছে।

জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যেভাবে বিমা খাতের উন্নয়নের কথা বলা হয়েছিল, সেভাবে কোম্পানির উন্নয়ন হয়নি। আইডিআরএ থেকে যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, সেগুলো বিমা কোম্পানির জন্য ভালো। কিন্তু পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রে কিছুটা গরমিল হয়ে থাকে।

‘একসময় পুঁজিবাজারে ব্যাংকের দাপট ছিল। কারণ তখন সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে ব্যাংকের উন্নয়ন, ব্যাংকে কীভাবে সুশাসন নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হতো। এখন সে আলোচনা বিমা নিয়ে। এই খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের মূল কারণ এটাই।’

এখন পর্যন্ত যে ২৩টি কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তাদের মধ্যে ১৮টির আয় বেড়েছে, পাঁচটির কমেছে।

প্রথম প্রান্তিকে আয় বেড়েছে ১৪টির, কমেছে তিনটির, একটির আয় গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের সমান। লভ্যাংশ ঘোষণা করা কোম্পানির মধ্যে এখনও প্রথম প্রান্তিক ঘোষণা করেনি পাঁচটি।

আবু আহমেদের ধারণা, কারসাজি

বিমা কোম্পানির শেয়ারের এভাবে মূল্যবৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক বলছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক হিসেবে পরিচিত আবু আহমেদ। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ খাতে কারসাজি হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা না দেখে না বুঝে শেয়ার কিনেছেন। সেটি এখন বোঝা যাচ্ছে মূল্য বৃদ্ধি ভিত্তিহীন।’

উচ্চাশায় উড়ছে বিমা, সেভাবে বাড়েনি আয়
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদের ধারণা, বিমা খাতের শেয়ার নিয়ে কারসাজি হচ্ছে

তিনি বলেন, ‘বিমার শেয়ারের দর বাড়ছে বলেই শেয়ার কিনতে হবে, এমন ধারণা থেকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বের হয়ে আসতে হবে। তা না হলে বড় ধরনের লোকসানে পড়তে হতে পারে।’

অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স

গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৭২ পয়সা। আগের বছর যা ছিল ১ টাকা ২৬ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৪৬ পয়সা।

অথচ গত জুন থেকে এই কোম্পানিটির শেয়ার মূল্য বেড়ে চার গুণ হয়েছে।

এই সময়ে সর্বনিম্ন মূল্য ছিল ১৭ টাকা ৬০ পয়সা। আর সর্বোচ্চ মূল্য ছিল ৭১ টাকা।

উচ্চাশায় উড়ছে বিমা, সেভাবে বাড়েনি আয়
গত এক বছরে অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের সর্বনিম্ন মূল্য ছিল ১৭ টাকা ৬০ পয়সা। আর সর্বোচ্চ মূল্য ছিল ৭১ টাকা।

চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২৯ পয়সা, যা গত বছর ছিল ৩১ পয়সা। অর্থাৎ আয় কমেছে ২ পয়সা।

কোম্পানিটি এবার শেয়ারপ্রতি ৫ পয়সা নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি ১০০ শেয়ারে পাঁচটি বোনাস দিয়েছে।

এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স

গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৯৭ পয়সা। আগের বছর একই সময় আয় ছিল ১ টাকা ৭৪ পয়সা।

এই কোম্পানি বছরের প্রথম প্রান্তিকে আয় করেছে ১ টাকা ৭ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৮২ পয়সা।

কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ১ টাকা লভ্যাংশ দিয়েছে।

এই কোম্পানির আয়ও গত এক বছর চার গুণের বেশি বেড়েছে।

গত জুনে কোম্পানিটির সর্বনিম্ন মূল্য ছিল ১৯ টাকা ১০ পয়সা। আর এক বছরে সর্বোচ্চ দাম ওঠে ৯২ টাকা ৮০ পয়সা।

বিজিআইসি

গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ২৫ পয়সা। এটি গত বছরের চেয়ে কম। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১ টাকা ২৮ পয়সা।

এই কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ২০ পয়সা লভ্যাংশ দেবে।

গত বছরের জুন থেকে কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ২২ টাকা ৫০ পয়সা, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৫২ টাকা ৮০ পয়সা।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স

কোম্পানিটি গত বছর শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ২ টাকা ৩২ পয়সা। আগের বছর যা ছিল ২ টাকা ২৩ পয়সা।

কোম্পানিটি বছরের প্রথম প্রান্তিকে আয় করেছে ১ টাকা ১ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫৬ পয়সা।

২০২০ সালের জন্য তার শেয়ারধারীদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

উচ্চাশায় উড়ছে বিমা, সেভাবে বাড়েনি আয়
গত জুন থেকে কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৭ টাকা ১০ পয়সা, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ১৫৮ টাকা ৯০ পয়সা

এই কোম্পানির শেয়ার মূল্য গত এক বছরে বেড়েছে আট গুণের বেশি।

গত জুন থেকে কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৭ টাকা ১০ পয়সা, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ১৫৮ টাকা ৯০ পয়সা।

সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স

কোম্পানিটি ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ১৮ পয়সা আয় করেছে। আগের বছর আয় ছিল ২ টাকা ১৪ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরে আয় বেড়েছে মাত্র ৪ পয়সা। যদিও দাম বেড়েছে সাড়ে তিন গুণের বেশি।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় কিছুটা বেড়েছে। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত আয় হয়েছে ৭২ পয়সা। যা এক বছর আগে একই সময়ে ছিল ৫৬ পয়সা।

কোম্পানিটি এবার সাড়ে ১৩ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। এর মধ্যে শেয়ারপ্রতি ৬০ পয়সা বা ৬ শতাংশ নগদ আর সাড়ে ৭ শতাংশ অর্থাৎ প্রতি ২০০ শেয়ারে ১৫টি বোনাস দেবে।

গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ২২ টাকা ৮০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৭০ টাকা ৮০ পয়সা।

সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স

ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৬৯ পয়সা। আগের বছর যা ছিল ১ টাকা ১ পয়সা।

তবে এই কোম্পানিটির আয় চলতি বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে এখন পর্যন্ত। প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫০ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭ পয়সা।

২০২০ সালের জন্য কোম্পানিটি তার শেয়ারধারীদের ১০ শতাংশ বা শেয়ারপ্রতি ১ টাকা নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৩ টাকা ১০ পয়সা, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৪৫ টাকা ১০ পয়সা।

কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স

ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ২৯ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ১ টাকা ১৬ পয়সা। এই কোম্পানিরও আয়ে প্রবৃদ্ধি আহামরি নয়।

কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকে তার শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৪৯ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৪৫ পয়সা।

কোম্পানিটির ২০২০ সালের জন্য তার শেয়ারধারীদের ৬ শতাংশ নগদ অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ৬০ পয়সা ও ৪ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৮ টাকা ৩০ পয়সা, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৬৪ টাকা ৯০ পয়সা।

ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স

এই কোম্পানির আয়ে শতকরা হিসেবে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০২০ সালে। ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ৪ টাকা ৯২ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ২ টাকা ৯২ পয়সা।

তবে কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। এই সময়ে আয় হয়েছে ৬৩ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৭৮ পয়সা।

২০২০ সালে তার শেয়ারধারীদের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বা শেয়ারপ্রতি ১ টাকা নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৫ টাকা, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৭০ টাকা ৮০ পয়সা।

ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স

ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ৩ টাকা ৩৩ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৩ টাকা ৬৫ পয়সা। অর্থাৎ এই কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে।

তবে বছরের প্রথম প্রান্তিকে আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৬ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮৯ পয়সা।

উচ্চাশায় উড়ছে বিমা, সেভাবে বাড়েনি আয়
গত এক বছরে ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের দাম শেয়ারপ্রতি ১০০ টাকারও বেশি বেড়েছে

কোম্পানিটি ২০২০ সালের জন্য তার শেয়ারধারীদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ২ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

এই কোম্পানিটির শেয়ার মূল্য এক বছরে ১০০ টাকারও বেশি বেড়েছে। গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ২৯ টাকা ৮০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ১৪২ টাকা ৯০ পয়সা।

ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স

ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ১২ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ১ টাকা ৩৮ পয়সা। অর্থাৎ এই কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে।

কোম্পানিট তার শেয়ারধারীদের ২০২০ সময়ের জন্য ৭ শতাংশ নগদ অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ৭০ পয়সা ও ৩ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ২০ টাকা, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৪৩ টাকা ৮০ পয়সা।

গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স

এই কোম্পানিটি গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের পাশাপাশি চলতি বছর প্রথম প্রান্তিকেও বেশ ভালো আয় করেছে।

গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ৭ টাকা ১৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৩ টাকা ২৩ পয়সা।

এই কোম্পানিটিই ২০২০ সালে সর্বোচ্চ পরিমাণ আয় করেছে। তবে এর শেয়ার মূল্য অন্য কোম্পানিটির তুলনায় বেশ কম।

কোম্পানিটি তার প্রকাশিত প্রথম কোয়ার্টার (জানুয়ারি-মার্চ) সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে (ইপিএস) ১ টাকা ৭৬ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯৮ পয়সা।

উচ্চাশায় উড়ছে বিমা, সেভাবে বাড়েনি আয়
২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি আয় করেছে গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স। তবে এই কোম্পানির শেয়ার মূল্য বেড়েছে কম

কোম্পানিটি তার শেয়ারধারীদের ২০২০ সালের জন্য সাড়ে ২৪ শতাংশ অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ৪০ পয়সা নগদ ও সাড়ে ৭ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

চলতি বছর এই কোম্পানিটিই সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

তবে অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় মূল্যবৃদ্ধির হার বেশ কম। এটিই হাতে গোনা দু-একটি কোম্পানি, যার শেয়ার দর দ্বিগুণ হয়নি।

গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ৪৩ টাকা ৩০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৭৩ টাকা ৪০ পয়সা।

ইসলামী ইন্স্যুরেন্স

এই কোম্পানিটি গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ২ টাকা ১৮ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ১ টাকা ৬৫ পয়সা। তবে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের হিসাব এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

কোম্পানিটি তার শেয়ারধারীদের ২০২০ সালের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ২০ টাকা ৯০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৬৪ টাকা ৪০ পয়সা।

জনতা ইন্স্যুরেন্স

কোম্পানিটি ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ২৫ পয়সা আয় করেছে, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৮ পয়সা।

বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪০ পয়সা।

কোম্পানিটি তার শেয়ারধারীদের ২০২০ সালের জন্য ৬ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৪ টাকা ৭০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৪৬ টাকা ৩০ পয়সা।

কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স

কোম্পানিটি ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৬০ পয়সা। আগের বছর শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১ টাকা ১০ পয়সা।

শেয়ারপ্রতি ১ টাকা বা ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে।

গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৯ টাকা, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৪৬ টাকা ৫০ পয়সা।

নিটল ইন্স্যুরেন্স

এই কোম্পানির আয় কমেছে ২০২০ সালে। গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৮৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ২২ পয়সা।

কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ১ টাকা লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ২১ টাকা ৮০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৭৬ টাকা ৮০ পয়সা।

প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স

শতকরা হিসাবে ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে এই কোম্পানিটির।

জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি ৫ টাকা ৩৮ পয়সা আয় করে চমকে দিয়েছে তারা। এর আগে কখনও এত আয় করতে পারেনি তারা। আগের বছর আয় ছিল ১ টাকা ১৪ পয়সা।

উচ্চাশায় উড়ছে বিমা, সেভাবে বাড়েনি আয়
বছরের পর বছর ২০ টাকার আশপাশে থাকা প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়ে ১৬০ টাকাও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। পরে অবশ্য কমেছে

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকেও আয়ে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত আছে। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ১ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ১৪ পয়সা।

এই কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি এক বছরে ১২৫ টাকা বেড়েছে।

গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ৩৬ টাকা ৩০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ১৬১ টাকা ৩০ পয়সা।

গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি ২০ শতাংশ অর্থাৎ প্রতি পাঁচটি শেয়ারের একটি বোনাস হিসেবে দিয়েছে।

পিপলস ইন্স্যুরেন্স

এই কোম্পানির আয়ও বেড়েছে সামান্যই। কোম্পানিটি ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ২ টাকা ২৬ পয়সা। আগের বছর আয় ছিল ১ টাকা ৮৭ পয়সা।

বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৩ পয়সা।

কোম্পানিটি ২০২০ সালের জন্য তার শেয়ারধারীদের ১১ শতাংশ অর্থাৎ ১ টাকা ১০ পয়সা নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৪ টাকা ১০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৫৭ টাকা।

প্রাইম ইন্স্যুরেন্স

এই কোম্পানিটি ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৩২ পয়সা। আগের বছর আয় ছিল ৪৩ পয়সা।

কোম্পানিটি প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ৫৬ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৫ পয়সা।

কোম্পানিটি ২০২০ সালের জন্য তার শেয়ারধারীদের ১০ শতাংশ অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ১ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৭ টাকা, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৫৫ টাকা ৮০ পয়সা।

প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স

এই কোম্পানিটি ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি ৩ টাকা ১০ পয়সা আয় করেছে। আগের বছর যা ছিল ২ টাকা ৩৮ পয়সা।

তবে চলতি বছর প্রথম প্রান্তিকে আয়ে চমক দেখিয়েছে কোম্পানিটি। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ২৬ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৬৮ পয়সা।

উচ্চাশায় উড়ছে বিমা, সেভাবে বাড়েনি আয়
গত এক বছরে বিমা খাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে প্রভাতীর দর। সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৯ টাকা ৪০ পয়সা। ১৭ শতাংশ বোনাস সমন্বয়ের পরও দাম ১৮০ টাকা ছাড়িয়েছে

কোম্পানিটি ২০২০ সালের জন্য ১৭ শতাংশ অর্থাৎ প্রতি ১০০ শেয়ারে ১৭টি বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে।

বিমার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এই কোম্পানির দর। গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৯ টাকা ৪০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ১৮৩ টাকা ৮০ পয়সা। এটি আবার ১৭ শতাংশ বোনাস সমন্বয়ের পর।

রূপালী ইন্স্যুরেন্স

এই কোম্পানিটি ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৯০ পয়সা আয় করেছে। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ৭৫ পয়সা। অর্থাৎ আয়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ শতাংশের কম।

চলতি বছর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৪৫ পয়সা। তবে এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কিছুটা কম। সেই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৪৮ পয়সা।

কোম্পানিটি লভ্যাংশ হিসেবে ১০ শতাংশ নগদ বা শেয়ারপ্রতি ১ টাকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৫ টাকা ৮০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৪৮ টাকা ৫০ পয়সা।

রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স

এটি দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী বিমা কোম্পানির একটি। প্রতিবছরই বেশ ভালো আয় করে আকর্ষণীয় লভ্যাংশও দিয়ে থাকে কোম্পানিটি।

তবে ২০২০ সালে এর আয় কমেছে আগের বছরের তুলনায়। গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৫ টাকা ২১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫ টাকা ৫৭ পয়সা।

তবে চলতি বছর ভালো করছে কোম্পানিটি। প্রথম প্রান্তিকে তারা শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৩৫ পয়সা, যা আগের বছর একই প্রান্তিকে ছিল ১ টাকা ২২ পয়সা।

উচ্চাশায় উড়ছে বিমা, সেভাবে বাড়েনি আয়
গত এক দশকে ধারাবাহিকভাবে ব্যাপক মুনাফা ও লভ্যাংশ দিয়ে আসা রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের দামও বাড়েনি সেভাবে

কোম্পানিটি ২০২০ সালের জন্য তার শেয়ারধারীদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

বিমার মধ্যে সবচেয়ে কম বেড়েছে যে কয়টির দর, তার একটি এটি। গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ৩৫ টাকা ৯০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৭৩ টাকা ৫০ পয়সা।

তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স

কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৬৫ পয়সা আয় করেছে ২০২০ সালে। আগের বছরের আয় ছিল প্রায় সমান। তখন আয় হয় ১ টাকা ৬৪ পয়সা।

তবে চলতি বছর প্রথম প্রান্তিকে আগের বছরের চেয়ে আয় আরেকটু বেশি বেড়েছে। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় প্রকাশ করেছে ৫৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময় যা ছিল ৩৭ পয়সা।

কোম্পানিটি ২০২০ সালের জন্য তার শেয়ারধারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ১ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ২৮ টাকা ২০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৬৫ টাকা ৬০ পয়সা।

ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স

এই কোম্পানিটির আয়েও প্রবৃদ্ধি খুবই কম। ২০২০ সালে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ৪ পয়সা আয় করেছে। আগের বছর এই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ৯৫ পয়সা।

চলতি বছর প্রথম প্রান্তিকেও আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়নি। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত আয় হয়েছে ২৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়েও একই পরিমাণ আয় ছিল।

কোম্পানিটি ২০২০ সালের জন্য তার শেয়ারধারীদের জন্য ১১ শতাংশ নগদ অর্থাৎ ১ টাকা ১০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

বিমার মধ্যে সবচেয়ে কম বেড়েছে এই কোম্পানির দর। গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ৩৪ টাকা ৭০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৬৩ টাকা ৬০ পয়সা।

যেগুলোর লভ্যাংশ এখনও ঘোষণা হয়নি

এশিয়া ইন্স্যুরেন্স

গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের হিসাব অনুযায়ী এই কোম্পানিটির আয় আগের বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৩৮ পয়সা। সেটি বেড়ে ২০২০ সালের একই সময়ে হয়েছে ২ টাকা ৬৯ পয়সা।

উচ্চাশায় উড়ছে বিমা, সেভাবে বাড়েনি আয়
গত এক বছরে যেসব কোম্পানির শেয়ারের বিস্ময়কর উত্থান হয়েছে, তার একটি এশিয়া ইন্স্যুরেন্স

গত বছরের জুনে কোম্পানিটির শেয়ার মূল্য ছিল সর্বনিম্ন ১৭ টাকা। আর একপর্যায়ে তা ১৩৮ টাকা ৯০ পয়সায় পৌঁছে।

বিমার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে যেসব কোম্পানির দর, তার মধ্যে অন্যতম এটি।

গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৭ টাকা, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ১৩৮ টাকা ৯০ পয়সা।

ঢাকা ইন্স্যুরেন্স

কোম্পানিটি গত বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৯০ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ৫৪ পয়সা।

গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ২৪ টাকা, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৯০ টাকা ।

ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স

কোম্পানিটি গত বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ৫৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৫৪ পয়সা।

গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১০ টাকা ২০ পয়সা, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৩৪ টাকা ৯০ পয়সা।

এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স

কোম্পানিটি গত বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ৮৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৭১ পয়সা।

গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৫ টাকা, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৪৫ টাকা ৯০ পয়সা।

গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স

কোম্পানিটি গত বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৬ পয়সা পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৬২ পয়সা।

গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৪ টাকা ১০ পয়সা, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৬৯ টাকা ৫০ পয়সা।

মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স

কোম্পানিটি তৃতীয় কোয়ার্টারে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে তার শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৩ পয়সা।

নদার্ন ইন্স্যুরেন্স

গত বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটি য়ার প্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৪২ পয়সা পয়সা। আগের বছর একই সময় এই আয় ছিল ১ টাকা ৪৭ পয়সা।

গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৬ টাকা ৬০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৫৩ টাকা ৫০ পয়সা।

ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স

কোম্পানিটি তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০) শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ৬৩ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল একই, অর্থাৎ ৬৩ পয়সা।

গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ২১ টাকা ৪০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৫৯ টাকা ৫০ পয়সা।

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স

কোম্পানিটি তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০) শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৯৯ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৯৭ পয়সা।

উচ্চাশায় উড়ছে বিমা, সেভাবে বাড়েনি আয়
এক বছরে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের সর্বনিম্ন দাম ছিল ২৯ টাকা ৪০ পয়সা, সর্বোচ্চ দাম ১১৩ টাকা

গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ২৯ টাকা ৪০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ১১৩ টাকা।

প্রগতি ইন্স্যুরেন্স

কোম্পানিটি তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০) শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ৯৩ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৯১ পয়সা।

গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ৩২ টাকা ২০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৭৬ টাকা ৯০ পয়সা।

পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স

গত বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটি য়ার প্রতি আয় করেছে ৯২ পয়সা পয়সা। আগের বছর একই সময় এই আয় ছিল ৭৫ পয়সা।

গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১২ টাকা ২০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৩৯ টাকা ৪০ পয়সা।

রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স

গত বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টম্বর পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ২২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৫৫ পয়সা।

গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৮ টাকা ৬০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৬২ টাকা ১০ পয়সা।

স্ট্যান্ডার্ন্ড ইন্স্যুরেন্স

গত অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে এই কোম্পানিটিরও শেয়ারপ্রতি আয় আগের বছরের একই সময়ের ‍তুলনায় কমেছে।

২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৮৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৯৮ পয়সা।

গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ৩৬ টাকা ৬০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৫৬ টাকা ৭০ পয়সা।

সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স

বিমা কোম্পানির মধ্যে প্রথমে দাম বাড়ে এই কোম্পানিটির। তবে আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়নি আশানুরূপ। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৮৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৭০ পয়সা।

গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ৩০ টাকা ১০ পয়সা আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৮৮ টাকা।

আরও পড়ুন:
উচ্চাশায় উড়ছে বিমা, সেভাবে বাড়েনি আয়
গাড়ির বিমা না থাকলে আর মামলা নয়

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
While vegetables remained stable prices of all types of meat rose

সবজি স্থিতিশীল থাকলেও সব ধরনের মাংসের দাম বেড়েছে

সবজি স্থিতিশীল থাকলেও সব ধরনের মাংসের দাম বেড়েছে
গরুর মাংস ৩০, খাসির মাংস ৫০ ও ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। সবজির বাজার স্থিতিশীল থাকলেও ঢেঁড়স, সজনে, লম্বা শিম ও করলার মতো নতুন সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। 

রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে গরু ও মুরগিসহ অন্যান্য মাংসের দাম চড়া থাকলেও স্থিতিশীল রয়েছে সবজির দাম।

শুক্রবার মহাখালী, কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগরসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় গরুর মাংস ও মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। সূত্র: ইউএনবি

পবিত্র রমজানা মাসে সাপ্তাহিক ছুটির দিনটিতে গরুর মাংস মানভেদে বিক্রি হয়েছে ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে।

মানভেদে খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হয়ে আসছিল ১০৫০ থেকে ১১৫০ টাকায়। তা কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে।

ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে তা ছিল ২২০ টাকা কেজি।

দাম বেড়েছে সোনালি মুরগিরও। তা বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি দরে।

একইভাবে প্রতি কেজি মোরগের দাম ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, মুরগির খাদ্য ও ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম বাড়ায় মাংসের দাম বেড়েছে।

বাজারে প্রায় সব সবজির দামই স্থিতিশীল রয়েছে। তবে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঢেঁড়স, সজনে, লম্বা শিম ও করলার মতো নতুন সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে।

সজনে ছাড়া বাকি সবজি ৬০ থেকে ১০০ টাকায কেজি বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার মান ভেদে প্রতি কেজি সজনে বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়।

বেগুনসহ অন্যান্য সবজি প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ ও ফুলকপি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মান ভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, রসুন ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা এবং আদা ২০০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ডিমের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতি ডজন বাদামি ডিম ১৪৫ টাকা, হাঁসের ডিমের হালি ৭০ টাকা এবং ঘরে পালন করা মুরগির ডিম হালিপ্রতি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া চলতি সপ্তাহে অন্যান্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Reserves fell by and534 million over the week

সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ৫৩৪ মিলিয়ন ডলার

সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ৫৩৪ মিলিয়ন ডলার
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ২৭ মার্চ পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। এক সপ্তাহ আগে বা ২০ মার্চ তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

দেশে চলমান ডলার সংকট সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংক বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এরপরও সংকটের সমাধান হচ্ছে না। বাজার নিয়ন্ত্রণে রিজার্ভ থেকে ধারাবাহিকভাবে ডলার বিক্রি করছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

এমন পরিস্থিতিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে ৫৩৩ দশমিক ৮২ মিলিয়ন ডলার। মূলত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার বিক্রির কারণে রিজার্ভ কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ২৭ মার্চ পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। এক সপ্তাহ আগে বা ২০ মার্চ তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

মার্চের প্রথম সপ্তাহে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২১ বিলিয়ন ডলারের উপরে। এরপর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধ এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রির ছাড়পত্রের পর রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর আমদানি বিল মেটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ডলার সংকট কাটাতে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি কারেন্সি সোয়াপ কার্যক্রম চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আওতায় প্রায় ১৭৫ কোটি ডলার রেখে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকার বেশি তারল্য সহায়তা নিয়েছে সংকটে থাকা কয়েকটি ব্যাংক।

ব্যাংকগুলোর জমা রাখা ডলার বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভে যোগ হচ্ছে। এর মাধ্যমে রিজার্ভ বাড়ানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে চলতি মাসে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকু) ও অন্যান্য আমদানি বিল পরিশোধের চাপে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে।

ব্যাংকিং শিল্প-সংশ্লিষ্টরা সংবাদ মাধ্যমেক বলেন, সংকটের কারণে রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রচুর ডলার বিক্রি করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে মুদ্রা অদলবদলের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও ডলার ফেরত নিচ্ছে।

আরও পড়ুন:
আরএফসিডি হিসাবের সুবাদে ব্যাংকে নগদ ডলার বাড়ছে
ডলারের তেজ কমে আসছে, বাড়ছে টাকার মান
বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে টাকা-ডলার বিনিময় চালু করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
আইএমএফের শিথিল শর্তেও রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি
রপ্তানি আয় ৫.৩১ বিলিয়ন, তবু আগের ডিসেম্বরের চেয়ে কম

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Customers of Janata Bank Tamai branch also have money
ক্যাশভল্টের ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার হিসাবে গরমিল

জনতা ব্যাংক তামাই শাখার গ্রাহকদের টাকাও ‘হাওয়া’

জনতা ব্যাংক তামাই শাখার গ্রাহকদের টাকাও ‘হাওয়া’ আটকের পর সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানায় ব্যাংক ম্যানেজার আল আমিনসহ তিনজন। ছবি: নিউজবাংলা
ব্যাংকিং নিয়মের তোয়াক্কা না করে নিজের মর্জিমাফিক কার্যক্রম চালিয়েছেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আল আমিন। একে একে বেরিয়ে আসছে নতুন তথ্য। অনেক গ্রাহকের হিসাবের টাকাও তুলে নেয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে- তাহলে কি হিসাবে গরমিলের ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকাই শেষ কথা নয়?

ব্যাংকিং নিয়মে নয়, নিজের বানানো নিয়মে ব্যাংকের কার্যক্রম চালাতেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচির জনতা ব্যাংকের তামাই শাখার ব্যবস্থাপক আল আমিন। নিজের ইচ্ছেমতো গ্রাহকের হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন ও জমা দিতেন।

এদিকে ব্যাংকের ক্যাশ ভল্টের ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার হদিস এখনও মেলিনি।

বুধবার সকালে জনতা ব্যাংকের তামাই শাখায় গিয়ে দেখা যায়, গ্রাহকদের হিসাবে থাকা টাকা তাদের অজান্তে তুলে নেয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ক্যাশ ভল্টের ওই পরিমাণ টাকাই শেষ কথা নয়? গ্রাহকদের অজান্তে তাদের হিসাবে জমা বিপুল পরিমাণ টাকাও হাতিয়ে নেয়া হয়েছে?

শাখাটিতে অবস্থানকালে সাংবাদিকদের কথা হয় তামাই বাজারের মেসার্স মুসলিম উইভিং ফ্যাক্টরির স্বত্বাধিকারী আব্দুল মোতালেব জোয়ারদারের সঙ্গে।

তিনি জানান, তার একটি ৪৮ লাখ টাকার সিসি লোন করা ছিল। তবে তিনি এখনও লোনটি উত্তোলন করেননি। অথচ তার ব্যাংক হিসাব ঘেটে দেখা যায় যে তিনি পুরো টাকাই উত্তোলন করেছেন। তার এই টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে তার সিরিয়ালের চেক ব্যবহার করা হয়নি। অন্য একটি চেকে ওই পরিমাণ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

এমন ঘটনায় মোতালেব জোয়ারদার হতবাক! এ অবস্থায় তার করণীয় কী হতে পারে বুঝতে পারছেন না।

শুধু আব্দুল মোতালেব নন, আরও অনেক গ্রাহকের ক্ষেত্রেই এমন ঘটনা ঘটেছে। একই এলাকার ব্যবসায়ী চান টেক্সটাইলের আকন্দের হিসাব থেকে তার অজান্তেই ১০ লাখ টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। আল ফারুক স্টোরের শহিদুল ইসলামের ২৪ লাখ টাকার সিসি লোনের মধ্যে তার অজান্তেই চেক জালিয়াতে করে ৫ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

ব্যক্তিগত সঞ্চয় হিসাবেও এমন জালিয়াতির ঘটনা উঠে আসছে। ঝিন্না মোল্লার ব্যক্তিগত হিসাবে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯১০ টাকা থাকার কথা। কিন্তু ওই হিসাবে আছে মাত্র এক লাখ ৫ হাজার ১১২ টাকা।

তাৎপর্যের বিষয় হল, এসব লেনদেনের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা তাদের মোবাইল ফোনে এসএমএস পাওয়ার কথা থাকলেও কোন এসএমএস আসেনি। গ্রাহকরা এ বিষয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বললে তিনি তাদেরকে জানান- সার্ভারে ত্রুটি থাকার কারণে গ্রাহক এসএমএস পাচ্ছেন না।

বুধবার সকালে দেখা যায়, তামাই শাখার নতুন ব্যবস্থাপক কামরুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের পাঁচজন সদস্য বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছেন।

জনতা ব্যাংক হেড অফিসের এজিএম সাদিকুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে আরও রয়েছেন- ব্যাংকের এসপিও মোস্তফা কামাল, সিনিয়র অফিসার মাসুদুর রহমান, প্রিন্সিপাল অফিসার শরীফ মোহাম্মদ ইশতিয়াক ও এরিয়া ম্যানেজার সঞ্জিত কুমার।

এর আগে ২৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়া অফিসের যুগ্ম পরিচালক এস এম সাজ্জাদ হোসেনকে প্রধান করে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

তামাই শাখার ক্যাজুয়াল পিয়ন শহিদুল ইসলাম জানান, গত ৭ /৮ মাস ধরে শাখা ব্যবস্থাপক আল আমিনের কথা অনুসারে তিনি বিভিন্ন গ্রাহকের চেকে নিজে স্বাক্ষর দিয়ে টাকা উত্তোলন করেছেন। ব্যবস্থাপকের কথায় অনেক জমা ভাউচারেও তিনি স্বাক্ষর করেছেন।

কেন স্বাক্ষর করেছেন- এমন প্রশ্নে শহিদুল বলেন, ‘আমরা তাদের চাকরি করি। তিনি যা অর্ডার করতেন আমাদের তাই করতে হতো। আমি তো শুধু স্বাক্ষর দিয়েছি, ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তার আইডির মাধ্যমে টাকাগুলো দেয়া হতো। অনেক সময় গ্রাহকের হিসাবে টাকা না থাকলেও ম্যানেজার নিজে এসে তাদের টাকা দিতেন।’

এসব বিষয়ে নতুন ব্যবস্থাপক কামরুল হাসান বলেন, ‘তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা সম্ভব নয়। তদন্ত শেষে স্যাররাই ব্যবস্থা নেবেন।’

তদন্ত কমিটির প্রধান এজিএম সাদিকুর রহমান বলেন, ‘ঠিক কত টাকা গরমিল হয়েছে তার তদন্ত চলছে। গ্রাহকদের টাকার বিষয়ে হেড অফিস সিদ্ধান্ত নেবে। যেসব গ্রাহকের হিসাবে ঝামেলা হয়েছে তাদেরকে দরখাস্ত দিতে বলা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এর বাইরে কিছু বলা যাচ্ছে না।’

ব্যাংকের বিপুল টাকার হদিস না পাওয়ার এই ঘটনায় রোববার রাতে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন- সিরাজগঞ্জের বেলকুচি জনতা ব্যাংক তামাই শাখার ব্যবস্থাপক আল আমিন, সহকারী ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম ও ব্যাংক অফিসার রাশেদুল ইসলাম।

আল আমিন সিরাজগঞ্জের ধানবান্দি পৌর এলাকার মো. হারান শেখের ছেলে, রেজাউল করিম বগুড়ার ধুনট থানার বেলকুচি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে এবং রাশেদুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের বনবাড়িয়া কাদাই গ্রামের জিয়াউল হকের ছেলে। তারা বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

প্রসঙ্গত, ২৪ মার্চ রোববার জনতা ব্যাংক পিএলসি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তামাই শাখার ক্যাশ ভল্টে ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার গরমিল ধরা পড়ে।

পরে এ বিষয়ে জনতা ব্যাংক পিএলসি সিরাজগঞ্জের এরিয়া অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. নজরুল ইসলাম তামাই শাখার ম্যানেজারসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

এ ঘটনায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপকসহ তিন জনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। হিসাব অনুসারে ভল্টে মোট ৭ কোটি ১১ লাখ ২৪০ টাকা থাকার কথা থাকলেও পাওয়া গেছে এক কোটি ৭৭ লাখ ৬১ হাজার ২৪০ টাকা। বাকি ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার কোনো খোঁজ মেলেনি।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The salary and bonus should be paid to the workers before the Eid holiday

‘ঈদের ছুটির আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে হবে’

‘ঈদের ছুটির আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে হবে’ ফাইল ছবি।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘টিসিসি-র সভায় মালিক-শ্রমিক উভয়ের মধ্যে আলোচনা ও সম্মতির ভিত্তিতে সরকারি ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে যাতায়াতের সুবিধা অনুযায়ী আসন্ন ঈদের ছুটি দেয়া হবে।’

ঈদের ছুটির আগেই গার্মেন্টসসহ সব সেক্টরের শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধ করতে হবে। ঈদের আগে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না। আর কোনোক্রমেই ঈদের ছুটি সরকারি ছুটির কম হবে না। সূত্র: ইউএনবি

ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) ৭৭তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী। বুধবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

‘ঈদের ছুটির আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে হবে’
বুধবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টিসিসির সভায় বক্তব্য দেন প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মালিক-শ্রমিক উভয়ের মধ্যে আলোচনা ও সম্মতির ভিত্তিতে সরকারি ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে যাতায়াতের সুবিধা অনুযায়ী আসন্ন ঈদের ছুটি দেয়া হবে।’

সভায় অংশ নেন- শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. মাহবুব হোসেন, শ্রম অধিদপ্তরে মহাপরিচালক মো. তরিকুল আলম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি আরদাশির কবির, বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টারস এসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান, বাংলাদেশ মুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুল্লাহ বাদল এবং বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান।

আরও পড়ুন:
ঈদের ছুটি দুই দিন বাড়ানোর দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
ট্রেনে ঈদযাত্রার আগাম টিকিট বিক্রি শুরু
বাসের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু
ঈদযাত্রায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলবে বিশেষ ট্রেন
ট্রেনের অগ্রিম টিকিট শুধুই অনলাইনে, বিক্রি শুরু ২৪ মার্চ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
TCB will import 50 thousand tons of onions from India
মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে প্রস্তাব অনুমোদন

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করবে টিসিবি

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করবে টিসিবি
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে পেঁয়াজ আমদানি সংক্রান্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর তা আমদানি করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশ (টিসিবি)।

বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়। সূত্র: ইউএনবি

তবে বৈঠকে পেঁয়াজের দাম প্রকাশ করা হয়নি। কারণ প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য আবারও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে আসবে।

প্রস্তাব অনুযায়ী, ভারতের ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের কাছ থেকে জিটুজি (সরকার বনাম সরকার) ভিত্তিতে এসব পেঁয়াজ আমদানি করবে টিসিবি।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব সাংবাদিকদের জানান, ক্রয় প্রস্তাবটি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে আসার পর পেঁয়াজের দাম প্রকাশ করা হতে পারে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Import of 1000 tons of potatoes from India in four shipments

ভারত থেকে চার চালানে ১০০০ টন আলু আমদানি

ভারত থেকে চার চালানে ১০০০ টন আলু আমদানি বেনাপোল বন্দর ইয়ার্ডে ভারত থেকে আমদানি করা আলু বোঝাই ট্রাক। ছবি: নিউজবাংলা
বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বুধবার সকালে বলেন, ‘ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে ১৩ ও ১৪ মার্চ ২০০ টন করে এবং ১৯ মার্চ ৩০০ ও ২৪ মার্চ রাতে ৩০০ টন আলু আমদানি করা হয়।’

রমজানে চাহিদা বাড়ায় ভারত থেকে আমদানি করা আলুর আরেকটি চালান বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে এসেছে।

বার্তা সংস্থা ইউএনবির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ১৩ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ৩২টি ট্রাকে এক হাজার টন আলু নিয়ে আসা হয়েছে বেনাপোলে।

আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো ইন্টিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিংস। আলুর চালান বন্দর থেকে খালাস নিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছে ট্রান্সমেরিন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে ১৩ ও ১৪ মার্চ ২০০ টন করে এবং ১৯ মার্চ ৩০০ ও ২৪ মার্চ রাতে ৩০০ টন আলু আমদানি করা হয়।’

ট্রান্সমেরিন লজিস্টিক লিমিটেড সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘চারটি চালানে ভারতীয় ৩২টি ট্রাকে এক হাজার টন আলু আমদানি করা হয়। প্রতি টন আলুর আমদানি খরচ পড়েছে ১৯৪ ডলার।’

এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘আমদানি করা আলুর তিনটি চালানের ৭০০ টন ইতোমধ্যে বন্দর থেকে খালাস করা হয়েছে। শেষ চালানের ৩০০ টন বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় আছে।

‘আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খালাসের অনুমতি চাইলে দ্রুত ছাড়করণে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।’

এর আগে গত বছরের ২ ডিসেম্বর ভারত থেকে তিনটি ট্রাকে ৭৪ টন আলু আমদানি করা হয়। এরপর চলতি মাসে চারটি চালানে আরও এক হাজার টন আলু আমদানি করা হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Cash dollars in banks are increasing due to RFCD accounts

আরএফসিডি হিসাবের সুবাদে ব্যাংকে নগদ ডলার বাড়ছে

আরএফসিডি হিসাবের সুবাদে ব্যাংকে নগদ ডলার বাড়ছে ফাইল ছবি।
ব্যাংকাররা বলছেন, ব্যাংকগুলো আরএফসিডি অ্যাকাউন্টে জমা দেয়া ডলারের ওপর ৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিতে শুরু করেছে। পাশাপাশি এই হিসাবের ডলার দেশ-বিদেশে গিয়ে খরচ করা যাচ্ছে। প্রতিবার বিদেশ ভ্রমণের সময় এই হিসাব থেকে নগদ ১০ হাজার ডলার জমা রাখার অফার ঘোষণা করেছে একাধিক ব্যাংক। এসব কারণে ব্যাংকে ক্যাশ ডলার বাড়ছে।

দেশের ব্যাংকগুলোতে ক্যাশ ডলার হোল্ডিং বাড়তে শুরু করেছে। মূলত বাংলাদেশিদের বৈদেশিক মুদ্রার অ্যাকাউন্ট খোলা ও পরিচালনার অনুমতি দেয়া এবং অনাবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশিদের জন্য সুবিধাজনক রিটার্নের বিনিময়ে ডলার জমা রাখার সুবিধার্থে অফশোর ব্যাংকিং আইন প্রণয়নের ফলে ডলার হোল্ডিং ক্রমাগত বাড়ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকে নগদ ডলারের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন ডলারে। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে তা ছিল ৩২ মিলিয়ন এবং জানুয়ারিতে ছিল ২৮ মিলিয়ন ডলার।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী রোববার এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে সাম্প্রতিক অফশোর ব্যাংকিং আইন পাসের পর বিদেশি আমানতকারী ও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শিগগিরই বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছি।’

ব্যাংকাররা জানান, ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের আরএফসিডি (রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট) অ্যাকাউন্টে জমা দেয়া ডলারের ওপর ৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিতে শুরু করেছে। পাশাপাশি এই হিসাবের ডলার কোনো বাছবিচার ছাড়াই দেশে ও বিদেশে গিয়ে খরচ করা যাচ্ছে। প্রতিবার বিদেশ ভ্রমণের সময় এই হিসাব থেকে নগদ ১০ হাজার ডলার জমা রাখার অফার ঘোষণা করেছে একাধিক ব্যাংক। এসব কারণে এখন ব্যাংকে ক্যাশ ডলার বাড়ছে।

বর্তমানে নগদ ডলারের বড় অংশ মজুত আছে ইস্টার্ন, দি সিটি, ব্র্যাক, ডাচ্-বাংলা, প্রাইম, পূবালী, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, এইচএসবিসি, ইসলামীসহ আরও বেশ কয়েকটি ব্যাংকে। ডলারের পাশাপাশি পাউন্ড, ইউরো, অস্ট্রেলিয়ান ডলার, কানাডিয়ান ডলার, সিঙ্গাপুরি ডলারেও আরএফসিডি হিসাব খোলা যায়।

বেসরকারি একটি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধান বলেন, আরএফসিডি অ্যাকাউন্টে ছাড় দেয়ার কারণে ব্যাংকের ক্যাশ ডলার বাড়তে পারে। কারণ এখানে মানুষ এখন কোনও প্রশ্ন ছাড়াই বিদেশ ভ্রমণ শেষে ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত রাখতে পারছে। একটা মুনাফাও পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এখন কার্ব মার্কেট ও ব্যাংকের দেয়া ডলার রেটের মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই। কার্ব মার্কেটে ১১৭-১১৮ টাকা পেলেও ব্যাংকগুলো প্রতি ডলারের বিপরীতে ১১৪-১১৫ টাকা করে দিচ্ছে। তাই যাদের কাছে ক্যাশ ডলার আছে, তারা ব্যাংকেই রাখছেন।

তবে ক্যাশ ডলার বাড়লেই যে ব্যাংক সেটা বিক্রি করতে পারবে তেমন নয়। কারণ অনেকে আছেন যারা নিয়মিত বিদেশ ভ্রমণ করেন, কয়েক দিন পর আবার প্রয়োজন হতে পারে, স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্টে রাখতে পারেন, চিকিৎসার আগে বিদেশে যাওয়ার জন্যও রাখতে পারেন। তবে এগুলো নির্ধারিত সময় পর তারা নিয়ে যাবেন। এগুলো ব্যাংকের পক্ষে বিক্রয়যোগ্য নয়। তাই এগুলো কতটা টেকসই ডলার আগে সেটা দেখতে হবে, যোগ করেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের ৩ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে মানুষের ঘরে রাখা ডলার ব্যাংকে ফেরাতে আবাসিক বৈদেশিক মুদ্রা আমানত বা রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট (আরএফসিডি) হিসাবের ওপর সুদসহ বাড়তি সুবিধা দেয়ার সুযোগ করে দেয়।

এরপরই দি সিটিসহ কিছু ব্যাংক বাড়তি উদ্যোগ নিয়ে এই হিসাব খুলতে শুরু করে। বিদেশ থেকে এসেছেন, বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে– এমন যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক ব্যাংকে গিয়ে আরএফসিডি হিসাব খুলতে পারেন।

এ ক্ষেত্রে কবে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন তা মুখ্য বিষয় নয়। মুখ্য বিষয় হলো, বিদেশে গেছেন তার প্রমাণপত্র অর্থাৎ পাসপোর্ট ও ভিসার নথিপত্র ব্যাংকে জমা দিতে হবে। হিসাব খোলার জন্য আরও প্রয়োজন দুই কপি ছবি, নমিনি, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন)।

এই হিসাবের বিপরীতে ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কোনো চেক বই না দিয়ে ডেবিট কার্ড দেয়, যা থেকে খরচে কোনো অনুমোদন লাগে না।

একজন নাগরিক প্রতিবার বিদেশ ভ্রমণের জন্য ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত আরএফসিডি হিসাবে জমা রাখতে পারবেন। ফলে গত এক বছরে যদি কেউ ১০ বার বিদেশ ভ্রমণ করে থাকেন, তিনি চাইলে তার হিসাবে কোনো নথিপত্র ছাড়াই এক লাখ ডলার পর্যন্ত জমা দিতে পারবেন।

তবে প্রতিবার ভ্রমণের ক্ষেত্রে এর বেশি পরিমাণ ডলার জমা দিতে চাইলে তাকে বেশি ডলার দেশে আনার জন্য কাস্টমসের ঘোষণাপত্র জমা দিতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো এখন এই হিসাবের বিপরীতে ৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, এই হিসাবে জমা অর্থের ওপর ব্যাংকগুলো বেঞ্চমার্ক রেটের সঙ্গে আরও অন্তত দেড় শতাংশ সুদ দেবে।

সিকিউরড ওভারনাইট ফাইন্যান্সিং রেট (সোফর) এখন ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। সে অনুযায়ী আরএফসিডি হিসাবে সুদ হার দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৮১ শতাংশ।

আরও পড়ুন:
ডলারের তেজ কমে আসছে, বাড়ছে টাকার মান

মন্তব্য

p
উপরে