সাধারণ বিমা কোম্পানির আয় ব্যাপক হারে বাড়বে এবং ভালো লভ্যাংশ পাওয়া যাবে- এমন গুজবে গত প্রায় এক বছরে পুঁজিবাজারে ৩৭টি সাধারণ বিমা কোম্পানির শেয়ারের দাম কয়েক গুণ বেড়েছে। তবে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের যে হিসাব পাওয়া গেছে, তাতে ব্যাপক আয় বাড়ার প্রমাণ মেলেনি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের আয়ও তেমন সম্ভাবনার কথা বলছে না।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৭টি সাধারণ বিমা কোম্পানির মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৩টি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এগুলোর বার্ষিক হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কোনো কোনো কোম্পানির আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে।
তবে হাতে গোনা দু-একটি কোম্পানির আয় আগের বছরের তুলনায় অনেক বেড়েছে।
আবার অস্বাভাবিক দর বেড়েছে, এমন কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় কমতেও দেখা গেছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকেও আয় কমতে দেখা গেছে বেশ কয়েকটির।
গত বছরের জুন থেকে বিমা কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধি পুঁজিবাজারে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। ঢালাওভাবে দাম বেড়েছে সব কোম্পানির।
এমন কোম্পানিও আছে, যেগুলোর দাম ১০ গুণ হয়ে গেছে। তবে যেসব কোম্পানি প্রতিবছর ভালো আয় করে আকর্ষণীয় লভ্যাংশ দেয়, সেগুলোর তুলনায় যেগুলোর আয় ও লভ্যাংশ খুব একটা ভালো নয়, সেগুলোর দাম বেড়েছে বেশি।
বিমা কোম্পানির শেয়ারে দর বাড়ার পেছনে বেশ কিছু গুজব কাজ করছিল। এজেন্টের কমিশন কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ, গাড়ির তৃতীয় পক্ষের বিমা বাতিল করে প্রথম পক্ষের বিমা চালু হলে আয় বাড়বে, লভ্যাংশ বাড়বে- এমন কথা বলাবলি হয়।
এরপর আলোচনায় আসে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলের মতো বড় বড় প্রকল্প বিমার আওতায় আসছে। এগুলোর ঝুঁকি একেবারেই কম; কোম্পানির লাভ হবে ভালো। তবে পরে জানানো হয়, মেট্রোরেল সরকারি সাধারণ বিমা করপোরেশনের আওতায় থাকবে। এটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়।
আবার ১০ বছর আগে করা একটি বিধান সামনে আনা হয়, যেখানে বলা ছিল, কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ৬০ শতাংশ থাকতে হবে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। এমনটি হলে বিমা কোম্পানির শেয়ার মালিকদেরই কিনতে হবে।
কিন্তু আয় বা লভ্যাংশ বাড়ার গুজব সত্য প্রমাণ হয়নি। পরিশোধিত মূলধনের ৬০ শতাংশ নিজেদের হাতে রাখার যে আইন করা হয়েছে, সেটিও কার্যকর হয়নি। তবু আবার ঢালাও মূল্য বৃদ্ধিতে কারসাজির অভিযোগ উঠেছে।
জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যেভাবে বিমা খাতের উন্নয়নের কথা বলা হয়েছিল, সেভাবে কোম্পানির উন্নয়ন হয়নি। আইডিআরএ থেকে যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, সেগুলো বিমা কোম্পানির জন্য ভালো। কিন্তু পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রে কিছুটা গরমিল হয়ে থাকে।
‘একসময় পুঁজিবাজারে ব্যাংকের দাপট ছিল। কারণ তখন সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে ব্যাংকের উন্নয়ন, ব্যাংকে কীভাবে সুশাসন নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হতো। এখন সে আলোচনা বিমা নিয়ে। এই খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের মূল কারণ এটাই।’
এখন পর্যন্ত যে ২৩টি কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তাদের মধ্যে ১৮টির আয় বেড়েছে, পাঁচটির কমেছে।
প্রথম প্রান্তিকে আয় বেড়েছে ১৪টির, কমেছে তিনটির, একটির আয় গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের সমান। লভ্যাংশ ঘোষণা করা কোম্পানির মধ্যে এখনও প্রথম প্রান্তিক ঘোষণা করেনি পাঁচটি।
আবু আহমেদের ধারণা, কারসাজি
বিমা কোম্পানির শেয়ারের এভাবে মূল্যবৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক বলছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক হিসেবে পরিচিত আবু আহমেদ। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ খাতে কারসাজি হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা না দেখে না বুঝে শেয়ার কিনেছেন। সেটি এখন বোঝা যাচ্ছে মূল্য বৃদ্ধি ভিত্তিহীন।’
তিনি বলেন, ‘বিমার শেয়ারের দর বাড়ছে বলেই শেয়ার কিনতে হবে, এমন ধারণা থেকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বের হয়ে আসতে হবে। তা না হলে বড় ধরনের লোকসানে পড়তে হতে পারে।’
অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স
গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৭২ পয়সা। আগের বছর যা ছিল ১ টাকা ২৬ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৪৬ পয়সা।
অথচ গত জুন থেকে এই কোম্পানিটির শেয়ার মূল্য বেড়ে চার গুণ হয়েছে।
এই সময়ে সর্বনিম্ন মূল্য ছিল ১৭ টাকা ৬০ পয়সা। আর সর্বোচ্চ মূল্য ছিল ৭১ টাকা।
চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২৯ পয়সা, যা গত বছর ছিল ৩১ পয়সা। অর্থাৎ আয় কমেছে ২ পয়সা।
কোম্পানিটি এবার শেয়ারপ্রতি ৫ পয়সা নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি ১০০ শেয়ারে পাঁচটি বোনাস দিয়েছে।
এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স
গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৯৭ পয়সা। আগের বছর একই সময় আয় ছিল ১ টাকা ৭৪ পয়সা।
এই কোম্পানি বছরের প্রথম প্রান্তিকে আয় করেছে ১ টাকা ৭ পয়সা, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৮২ পয়সা।
কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ১ টাকা লভ্যাংশ দিয়েছে।
এই কোম্পানির আয়ও গত এক বছর চার গুণের বেশি বেড়েছে।
গত জুনে কোম্পানিটির সর্বনিম্ন মূল্য ছিল ১৯ টাকা ১০ পয়সা। আর এক বছরে সর্বোচ্চ দাম ওঠে ৯২ টাকা ৮০ পয়সা।
বিজিআইসি
গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ২৫ পয়সা। এটি গত বছরের চেয়ে কম। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১ টাকা ২৮ পয়সা।
এই কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ২০ পয়সা লভ্যাংশ দেবে।
গত বছরের জুন থেকে কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ২২ টাকা ৫০ পয়সা, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৫২ টাকা ৮০ পয়সা।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স
কোম্পানিটি গত বছর শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ২ টাকা ৩২ পয়সা। আগের বছর যা ছিল ২ টাকা ২৩ পয়সা।
কোম্পানিটি বছরের প্রথম প্রান্তিকে আয় করেছে ১ টাকা ১ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫৬ পয়সা।
২০২০ সালের জন্য তার শেয়ারধারীদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
এই কোম্পানির শেয়ার মূল্য গত এক বছরে বেড়েছে আট গুণের বেশি।
গত জুন থেকে কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৭ টাকা ১০ পয়সা, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ১৫৮ টাকা ৯০ পয়সা।
সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স
কোম্পানিটি ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ১৮ পয়সা আয় করেছে। আগের বছর আয় ছিল ২ টাকা ১৪ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরে আয় বেড়েছে মাত্র ৪ পয়সা। যদিও দাম বেড়েছে সাড়ে তিন গুণের বেশি।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় কিছুটা বেড়েছে। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত আয় হয়েছে ৭২ পয়সা। যা এক বছর আগে একই সময়ে ছিল ৫৬ পয়সা।
কোম্পানিটি এবার সাড়ে ১৩ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। এর মধ্যে শেয়ারপ্রতি ৬০ পয়সা বা ৬ শতাংশ নগদ আর সাড়ে ৭ শতাংশ অর্থাৎ প্রতি ২০০ শেয়ারে ১৫টি বোনাস দেবে।
গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ২২ টাকা ৮০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৭০ টাকা ৮০ পয়সা।
সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স
ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৬৯ পয়সা। আগের বছর যা ছিল ১ টাকা ১ পয়সা।
তবে এই কোম্পানিটির আয় চলতি বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে এখন পর্যন্ত। প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫০ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭ পয়সা।
২০২০ সালের জন্য কোম্পানিটি তার শেয়ারধারীদের ১০ শতাংশ বা শেয়ারপ্রতি ১ টাকা নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৩ টাকা ১০ পয়সা, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৪৫ টাকা ১০ পয়সা।
কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স
ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ২৯ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ১ টাকা ১৬ পয়সা। এই কোম্পানিরও আয়ে প্রবৃদ্ধি আহামরি নয়।
কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকে তার শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৪৯ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৪৫ পয়সা।
কোম্পানিটির ২০২০ সালের জন্য তার শেয়ারধারীদের ৬ শতাংশ নগদ অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ৬০ পয়সা ও ৪ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৮ টাকা ৩০ পয়সা, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৬৪ টাকা ৯০ পয়সা।
ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স
এই কোম্পানির আয়ে শতকরা হিসেবে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০২০ সালে। ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ৪ টাকা ৯২ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ২ টাকা ৯২ পয়সা।
তবে কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। এই সময়ে আয় হয়েছে ৬৩ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৭৮ পয়সা।
২০২০ সালে তার শেয়ারধারীদের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বা শেয়ারপ্রতি ১ টাকা নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৫ টাকা, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৭০ টাকা ৮০ পয়সা।
ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স
ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ৩ টাকা ৩৩ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৩ টাকা ৬৫ পয়সা। অর্থাৎ এই কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে।
তবে বছরের প্রথম প্রান্তিকে আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৬ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮৯ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০২০ সালের জন্য তার শেয়ারধারীদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ২ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
এই কোম্পানিটির শেয়ার মূল্য এক বছরে ১০০ টাকারও বেশি বেড়েছে। গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ২৯ টাকা ৮০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ১৪২ টাকা ৯০ পয়সা।
ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স
ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ১২ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ১ টাকা ৩৮ পয়সা। অর্থাৎ এই কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় কমেছে।
কোম্পানিট তার শেয়ারধারীদের ২০২০ সময়ের জন্য ৭ শতাংশ নগদ অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ৭০ পয়সা ও ৩ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ২০ টাকা, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৪৩ টাকা ৮০ পয়সা।
গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স
এই কোম্পানিটি গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের পাশাপাশি চলতি বছর প্রথম প্রান্তিকেও বেশ ভালো আয় করেছে।
গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ৭ টাকা ১৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৩ টাকা ২৩ পয়সা।
এই কোম্পানিটিই ২০২০ সালে সর্বোচ্চ পরিমাণ আয় করেছে। তবে এর শেয়ার মূল্য অন্য কোম্পানিটির তুলনায় বেশ কম।
কোম্পানিটি তার প্রকাশিত প্রথম কোয়ার্টার (জানুয়ারি-মার্চ) সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে (ইপিএস) ১ টাকা ৭৬ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯৮ পয়সা।
কোম্পানিটি তার শেয়ারধারীদের ২০২০ সালের জন্য সাড়ে ২৪ শতাংশ অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ৪০ পয়সা নগদ ও সাড়ে ৭ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
চলতি বছর এই কোম্পানিটিই সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
তবে অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় মূল্যবৃদ্ধির হার বেশ কম। এটিই হাতে গোনা দু-একটি কোম্পানি, যার শেয়ার দর দ্বিগুণ হয়নি।
গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ৪৩ টাকা ৩০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৭৩ টাকা ৪০ পয়সা।
ইসলামী ইন্স্যুরেন্স
এই কোম্পানিটি গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ২ টাকা ১৮ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ১ টাকা ৬৫ পয়সা। তবে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের হিসাব এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
কোম্পানিটি তার শেয়ারধারীদের ২০২০ সালের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ২০ টাকা ৯০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৬৪ টাকা ৪০ পয়সা।
জনতা ইন্স্যুরেন্স
কোম্পানিটি ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ২৫ পয়সা আয় করেছে, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৮ পয়সা।
বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪০ পয়সা।
কোম্পানিটি তার শেয়ারধারীদের ২০২০ সালের জন্য ৬ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৪ টাকা ৭০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৪৬ টাকা ৩০ পয়সা।
কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স
কোম্পানিটি ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৬০ পয়সা। আগের বছর শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১ টাকা ১০ পয়সা।
শেয়ারপ্রতি ১ টাকা বা ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে।
গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৯ টাকা, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৪৬ টাকা ৫০ পয়সা।
নিটল ইন্স্যুরেন্স
এই কোম্পানির আয় কমেছে ২০২০ সালে। গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৮৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ২২ পয়সা।
কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ১ টাকা লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ২১ টাকা ৮০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৭৬ টাকা ৮০ পয়সা।
প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স
শতকরা হিসাবে ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে এই কোম্পানিটির।
জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি ৫ টাকা ৩৮ পয়সা আয় করে চমকে দিয়েছে তারা। এর আগে কখনও এত আয় করতে পারেনি তারা। আগের বছর আয় ছিল ১ টাকা ১৪ পয়সা।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকেও আয়ে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত আছে। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ১ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ১৪ পয়সা।
এই কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি এক বছরে ১২৫ টাকা বেড়েছে।
গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ৩৬ টাকা ৩০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ১৬১ টাকা ৩০ পয়সা।
গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি ২০ শতাংশ অর্থাৎ প্রতি পাঁচটি শেয়ারের একটি বোনাস হিসেবে দিয়েছে।
পিপলস ইন্স্যুরেন্স
এই কোম্পানির আয়ও বেড়েছে সামান্যই। কোম্পানিটি ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ২ টাকা ২৬ পয়সা। আগের বছর আয় ছিল ১ টাকা ৮৭ পয়সা।
বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৫৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৩ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০২০ সালের জন্য তার শেয়ারধারীদের ১১ শতাংশ অর্থাৎ ১ টাকা ১০ পয়সা নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৪ টাকা ১০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৫৭ টাকা।
প্রাইম ইন্স্যুরেন্স
এই কোম্পানিটি ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৩২ পয়সা। আগের বছর আয় ছিল ৪৩ পয়সা।
কোম্পানিটি প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ৫৬ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৫ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০২০ সালের জন্য তার শেয়ারধারীদের ১০ শতাংশ অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ১ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৭ টাকা, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৫৫ টাকা ৮০ পয়সা।
প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স
এই কোম্পানিটি ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি ৩ টাকা ১০ পয়সা আয় করেছে। আগের বছর যা ছিল ২ টাকা ৩৮ পয়সা।
তবে চলতি বছর প্রথম প্রান্তিকে আয়ে চমক দেখিয়েছে কোম্পানিটি। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ২৬ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৬৮ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০২০ সালের জন্য ১৭ শতাংশ অর্থাৎ প্রতি ১০০ শেয়ারে ১৭টি বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে।
বিমার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এই কোম্পানির দর। গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৯ টাকা ৪০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ১৮৩ টাকা ৮০ পয়সা। এটি আবার ১৭ শতাংশ বোনাস সমন্বয়ের পর।
রূপালী ইন্স্যুরেন্স
এই কোম্পানিটি ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৯০ পয়সা আয় করেছে। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ৭৫ পয়সা। অর্থাৎ আয়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ শতাংশের কম।
চলতি বছর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৪৫ পয়সা। তবে এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কিছুটা কম। সেই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৪৮ পয়সা।
কোম্পানিটি লভ্যাংশ হিসেবে ১০ শতাংশ নগদ বা শেয়ারপ্রতি ১ টাকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৫ টাকা ৮০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৪৮ টাকা ৫০ পয়সা।
রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স
এটি দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী বিমা কোম্পানির একটি। প্রতিবছরই বেশ ভালো আয় করে আকর্ষণীয় লভ্যাংশও দিয়ে থাকে কোম্পানিটি।
তবে ২০২০ সালে এর আয় কমেছে আগের বছরের তুলনায়। গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৫ টাকা ২১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫ টাকা ৫৭ পয়সা।
তবে চলতি বছর ভালো করছে কোম্পানিটি। প্রথম প্রান্তিকে তারা শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৩৫ পয়সা, যা আগের বছর একই প্রান্তিকে ছিল ১ টাকা ২২ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০২০ সালের জন্য তার শেয়ারধারীদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
বিমার মধ্যে সবচেয়ে কম বেড়েছে যে কয়টির দর, তার একটি এটি। গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ৩৫ টাকা ৯০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৭৩ টাকা ৫০ পয়সা।
তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স
কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৬৫ পয়সা আয় করেছে ২০২০ সালে। আগের বছরের আয় ছিল প্রায় সমান। তখন আয় হয় ১ টাকা ৬৪ পয়সা।
তবে চলতি বছর প্রথম প্রান্তিকে আগের বছরের চেয়ে আয় আরেকটু বেশি বেড়েছে। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় প্রকাশ করেছে ৫৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময় যা ছিল ৩৭ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০২০ সালের জন্য তার শেয়ারধারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ১ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ২৮ টাকা ২০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৬৫ টাকা ৬০ পয়সা।
ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স
এই কোম্পানিটির আয়েও প্রবৃদ্ধি খুবই কম। ২০২০ সালে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ৪ পয়সা আয় করেছে। আগের বছর এই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ৯৫ পয়সা।
চলতি বছর প্রথম প্রান্তিকেও আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়নি। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত আয় হয়েছে ২৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়েও একই পরিমাণ আয় ছিল।
কোম্পানিটি ২০২০ সালের জন্য তার শেয়ারধারীদের জন্য ১১ শতাংশ নগদ অর্থাৎ ১ টাকা ১০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
বিমার মধ্যে সবচেয়ে কম বেড়েছে এই কোম্পানির দর। গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ৩৪ টাকা ৭০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৬৩ টাকা ৬০ পয়সা।
যেগুলোর লভ্যাংশ এখনও ঘোষণা হয়নি
এশিয়া ইন্স্যুরেন্স
গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তৃতীয় প্রান্তিকের হিসাব অনুযায়ী এই কোম্পানিটির আয় আগের বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৩৮ পয়সা। সেটি বেড়ে ২০২০ সালের একই সময়ে হয়েছে ২ টাকা ৬৯ পয়সা।
গত বছরের জুনে কোম্পানিটির শেয়ার মূল্য ছিল সর্বনিম্ন ১৭ টাকা। আর একপর্যায়ে তা ১৩৮ টাকা ৯০ পয়সায় পৌঁছে।
বিমার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে যেসব কোম্পানির দর, তার মধ্যে অন্যতম এটি।
গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৭ টাকা, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ১৩৮ টাকা ৯০ পয়সা।
ঢাকা ইন্স্যুরেন্স
কোম্পানিটি গত বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৯০ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ৫৪ পয়সা।
গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ২৪ টাকা, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৯০ টাকা ।
ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স
কোম্পানিটি গত বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ৫৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৫৪ পয়সা।
গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১০ টাকা ২০ পয়সা, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৩৪ টাকা ৯০ পয়সা।
এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স
কোম্পানিটি গত বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ৮৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৭১ পয়সা।
গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৫ টাকা, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৪৫ টাকা ৯০ পয়সা।
গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স
কোম্পানিটি গত বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৬ পয়সা পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৬২ পয়সা।
গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৪ টাকা ১০ পয়সা, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৬৯ টাকা ৫০ পয়সা।
মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স
কোম্পানিটি তৃতীয় কোয়ার্টারে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) জানিয়েছে তার শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৩ পয়সা।
নদার্ন ইন্স্যুরেন্স
গত বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটি য়ার প্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৪২ পয়সা পয়সা। আগের বছর একই সময় এই আয় ছিল ১ টাকা ৪৭ পয়সা।
গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৬ টাকা ৬০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৫৩ টাকা ৫০ পয়সা।
ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স
কোম্পানিটি তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০) শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ৬৩ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল একই, অর্থাৎ ৬৩ পয়সা।
গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ২১ টাকা ৪০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৫৯ টাকা ৫০ পয়সা।
পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স
কোম্পানিটি তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০) শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৯৯ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৯৭ পয়সা।
গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ২৯ টাকা ৪০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ১১৩ টাকা।
প্রগতি ইন্স্যুরেন্স
কোম্পানিটি তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০) শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ৯৩ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৯১ পয়সা।
গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ৩২ টাকা ২০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৭৬ টাকা ৯০ পয়সা।
পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স
গত বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটি য়ার প্রতি আয় করেছে ৯২ পয়সা পয়সা। আগের বছর একই সময় এই আয় ছিল ৭৫ পয়সা।
গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১২ টাকা ২০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৩৯ টাকা ৪০ পয়সা।
রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স
গত বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টম্বর পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ২২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৫৫ পয়সা।
গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৮ টাকা ৬০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৬২ টাকা ১০ পয়সা।
স্ট্যান্ডার্ন্ড ইন্স্যুরেন্স
গত অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে এই কোম্পানিটিরও শেয়ারপ্রতি আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে।
২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৮৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৯৮ পয়সা।
গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ৩৬ টাকা ৬০, আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৫৬ টাকা ৭০ পয়সা।
সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স
বিমা কোম্পানির মধ্যে প্রথমে দাম বাড়ে এই কোম্পানিটির। তবে আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়নি আশানুরূপ। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৮৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৭০ পয়সা।
গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোম্পানিটির সর্বনিম্ন দাম ছিল ৩০ টাকা ১০ পয়সা আর সর্বোচ্চ দাম ছিল ৮৮ টাকা।
আরও পড়ুন:দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে রেকর্ড ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের সাড়ে তিন মাসে অষ্টমবারের মতো স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৃহস্পতিবার বৈঠক করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। নতুন নির্ধারিত এই দাম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী- ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বেড়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বেড়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৬৫৬ টাকা বেড়ে ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৩৮৮ টাকা কমে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সবশেষ দশ দিন আগে ৮ এপ্রিল বাজুস ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৪৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা নির্ধারণ করে। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। ১০ দিনের ব্যবধানে আবারও দাম বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দেশের স্বর্ণের বাজারে উচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হলো।
অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের আরও বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে ১ লাখ ২৯ হাজার ১১৯ টাকা।
এদিকে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা আছে।
আরও পড়ুন:বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘…১৪৯ টাকা যেটা খোলাবাজারে ছিল, সেটাকে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা সর্বোচ্চ খোলাবাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হবে।
‘আর আমাদের সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার, বোতল যেটা, পেট বোতলে যেটা, যেটার মধ্যে সিল করা থাকে, সেইটা আমাদের নির্ধারিত ছিল ১৬৩ টাকা। সেইখান থেকে বৃদ্ধি করে ১৬৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’
খোলা সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতলের দামের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আর খোলাবাজারে সয়াবিন তেল পাঁচ লিটারের বোতল ৮০০ টাকা ছিল। সেটাকে ৮১৮ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’
পাম অয়েলের দাম নিয়ে টিটু বলেন, ‘সুপার পাম অয়েল তেল প্রতি লিটার, এটা আগে নির্ধারণ করা ছিল না। এবার আমরা নির্ধারণ করে দিচ্ছি। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা লিটার।
‘তো এই চারটা পণ্যের দাম, এইটা কিন্তু আমরা নির্ধারণ করলাম না। আমাদের যারা অ্যাসোসিয়েশনের, তাদের রিকমেন্ডেশনে এবং আমাদের ট্যারিফ কমিশনের অনুমোদনক্রমে উনারা উনাদের অ্যাসোসিয়েশন থেকে চিঠি দিয়ে আগামীকাল থেকে এই মূল্য উনাদের মিল গেট থেকে উনারা কার্যকরী করবে।’
আরও পড়ুন:কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি জানিয়েছিল যে আর কোনো ব্যাংককে একীভূতকরণের সুযোগ দেয়া হবে না। তবে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের জন্য ব্যাংক এশিয়াকে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন মাত্রার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক এশিয়া বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করছে। সূত্র: ইউএনবি
করাচিভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ বুধবার (১৭ এপ্রিল) পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জকে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের বাংলাদেশ পরিচালনা, সম্পদ ও দায় অধিগ্রহণের জন্য প্রাপ্ত বাধ্যবাধকতামুক্ত ইঙ্গিতমূলক প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
এতে বলা হয়, ব্যাংক আলফালাহ বাংলাদেশের ব্যাংক এশিয়ার জন্য যথাযথ কার্যক্রম শুরুর জন্য স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তানের অনুমোদন চাইছে।
ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আর কে হুসেইন বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি একীভূতকরণ নিয়ে খুব বেশি আলোচনার অংশ নয়।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে দুই ব্যাংকের নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে অধিগ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত রূপ পাবে বলে।
বিষয়বস্তু অবহিত না করে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে ‘রূপান্তর’ শিরোনামের একটি নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ওয়ালটন।
পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সব ধরনের বিজ্ঞাপনী চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
ওয়ালটনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’ এর স্বত্বাধিকারী মোহন আহমেদকে মঙ্গলবার ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।
ওয়ালটনের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট রাইসুল ইসলাম রিয়াদ স্বাক্ষরিত আইনি নোটিশে উল্লেখ করে যা বলা হয়, ‘আপনি লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান এর স্বত্বাধিকারী। আপনার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আপনার নির্মিত ছয়টি নাটকে ওয়ালটন ফ্রিজ ব্র্যান্ডিং করতে সম্মত হয়। শর্ত থাকে যে, উক্ত নাটকসমূহে দেশের আইন, নীতি, নৈতিকতা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হয় এরকম কোনো বিষয় অর্ন্তভুক্ত হবে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, উক্ত নাটকসমূহের মধ্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটিতে এমন কিছু বিষয় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে, যাতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ও মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।’
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে নাটকটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্বে অবহিত না করে রূপান্তর নাটক প্রচার করায় আপনার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হলো এবং সেই সঙ্গে কেন আপনার বিরুদ্ধে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে নাটক প্রচারের জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে জানানোর জন্য বলা হলো।’
এর আগে ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকে ‘রূপান্তর’ নাটকটি প্রত্যাহারের জন্য বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে নির্দেশ দেয় ওয়ালটন। তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক-ইউটিউবসহ সব মাধ্যম থেকে নাটকটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
এরপর বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ওয়ালটন গ্রুপের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থি নাটকে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে লিগাল নোটিশ দেয় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটনের ভাষ্য, দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও তারা সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন:রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন রূপালী ব্যাংক পিএলসির মহাব্যবস্থাপক মো. ফয়েজ আলম। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে তিনিসহ রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন ব্যাংকের আট জন মহাব্যবস্থাপককে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়।
ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি হওয়ার আগে তিনি রূপালী ব্যাংক পিএলসিতে মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
মো. ফয়েজ আলম ১৯৯৮ সালে বিআরসির মাধ্যমে সিনিয়র অফিসার পদে রূপালী ব্যাংকে যোগদান করেন। কর্মজীবনে ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাখার শাখা ব্যবস্থাপক, জোনাল অফিস এবং প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পেশাগত প্রয়োজনে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও আরব অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণসহ দেশ-বিদেশে ব্যাংকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।
ফয়েজ আলমের জন্ম ১৯৬৮ সালে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার যোগীরনগুয়া গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে বিএ অনার্সসহ এমএ পাশ করার পর এমফিল ডিগ্রিও অর্জন করেন খ্যাতিমান এই ব্যাংকার।
পেশাগত জীবনের বাইরে ফয়েজ আলম একজন সফল লেখকও। বাংলাদেশে তিনি অগ্রণী উত্তর উপনিবেশী তাত্ত্বিক, প্রাবন্ধিক ও কবি হিসেবে বিশেষ খ্যাতিমান। এডওয়ার্ড সাঈদের বিখ্যাত গ্রন্থ অরিয়েন্টালিজম-এর অনুবাদক হিসেবেও তার আলাদা খ্যাতি আছে। তার পনেরটির বেশি গ্রন্থ এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে।
ভোজ্যতেলের ওপর শুল্ক অব্যাহতির সময়সীমা শেষ হয়েছে সোমবার (১৫ এপ্রিল)। এ অবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরভিএমএফএ) সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।
বিভিওআরভিএমএফএ’র নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মোল্লার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, কাঁচামাল আমদানি ও ভোজ্যপণ্য উৎপাদনে কর অব্যাহতির মেয়াদ ১৫ এপ্রিল শেষ হচ্ছে বিধায় পরদিন ১৬ এপ্রিল থেকে ভ্যাট অব্যাহতির আগের নির্ধারিত মূল্যে পণ্য সরবরাহ করা হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ১৭৩ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৮৪৫ টাকা ও এক লিটার পাম তেল ১৩২ টাকায় বিক্রি করা হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত ফেব্রুয়ারিতে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত (অপরিশোধিত) সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করে।
এদিকে মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করা যেতে পারে, তবে সময় লাগবে।
‘ভোজ্যতেলের নতুন চালান আমদানির ক্ষেত্রে দাম বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’
আরও পড়ুন:প্রবাসীদের আয়ের একটি বড় অংশই আসে ঢাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখাগুলোতে। অর্থাৎ প্রবাসীদের পরিবারের বেশিরভাগই ঢাকায় থাকেন বা তাদের অধিকাংশ অ্যাকাউন্ট ঢাকার ব্যাংক শাখায়।
ইউএনবি জানায়, রেমিট্যান্সের জেলাভিত্তিক চিত্র নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিশ্লেষণে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম। সিলেট তৃতীয় এবং কুমিল্লা চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।
এরপরে রয়েছে উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর ও নরসিংদীর অবস্থান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জেলাভিত্তিক প্রবাসী আয় প্রতিবেদনে গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে প্রবাসীরা ১ হাজার ৫০৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২১৬ কোটি ডলার। তার আগের মাস জানুয়ারিতে দেশে প্রবাসী আয় ছিল ২১০ কোটি ডলার।
জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়কালে ঢাকা জেলায় এসেছে ৫২৩ কোটি ডলার এবং চট্টগ্রাম জেলায় এসেছে ১৪২ কোটি ডলার।
এই সময়ে সিলেট জেলা ৮৭০ মিলিয়ন ডলার, কুমিল্লা ৮১০ মিলিয়ন ডলার এবং নোয়াখালী ৪৬০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ কোটি, ফেনীতে ৩৭ কোটি, মৌলভীবাজারে ৩৬ কোটি, চাঁদপুরে ৩৫ কোটি ডলার এবং নরসিংদীতে ২৫০ মিলিয়ন ডলার এসেছে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, প্রবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলো থেকে বেশি প্রবাসী আয় আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু এমনটা হচ্ছে না। কারণ অনেক প্রবাসী বিদেশে স্থায়ী হয়েছেন। বরং তারা (প্রবাসীরা) দেশে থাকা সম্পদ বিক্রি করে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে অর্থ পাচার বাড়ছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য