বাড়তে থাকা পুঁজিবাজারে এবার ভাটার টান লেগেছে। ব্যাংকসহ বিমার মূল্য সংশোধন আর অতিমূল্যায়িত হওয়ার শেয়ারে পর্যবেক্ষণ সময় নিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
এমন অবস্থায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের বড় পতন হয়েছে। আগের দিনের তুলনায় কমেছে লেনদেনও।
ঈদরে ছুটির পর পুঁজিবাজারে পাঁচ কার্যদিবসে তিনদিনই কমেছে সূচক। বৃহস্পতিবার হাজার কোটি টাকা লেনদেন হলেও আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় ৪৪৭ কোটি টাকা কমেছে।
লেনদেন কমলেও টানা ১৪ দিনের মতো হাজার কোটি টাকা লেনদেন ধরে রেখেছে পুঁজিাবাজারে। এর আগের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা ২৪ দিন লেনদেন ছিল হাজার কোটি টাকা। এরপর ২৯ এপ্রিল থেকে বাড়তে থাকা লেনদেন এখনও হাজার কোটি টাকার ঘরে আছে।
এর মাঝে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার ঘোষিত লকডাউনে ৫ এপ্রিল পুঁজিবাজারে প্রথম কার্যদিবসে লেনদেন নেমে আসে ২৩৬ কোটি টাকায়। সেই লকডাউন এখনও অব্যাহত আছে, যা ২২ মে পর্যন্ত চলবে।
লকডাউনের এই সময়ে টানা নয় কার্যদিবস বেড়েছে সূচক। একই সঙ্গে গত এক যুগে ঈদের আগে ও পরে হাজার কোটি টাকা লেনদেনে পরিসংখ্যান ছিল না পুঁজিবাজারে, যা এবার দেখা গেছে।
গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো তাদের শেয়ারধারীদের জন্য ২০২০ সালের লভ্যাংশ ঘোষণা করে আসছে। লভ্যাংশ ঘোষণার প্রথম দিকে ব্যাংকে খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের তেমন আগ্রহ ছিল না। এপ্রিলের শেষের দিকে এসে পর্যায়ক্রমে বাড়তে থাকে এ খাতের শেয়ারের দর।
পুঁজিবাজার ঈদের ছুটিতে যাওয়ার আগ থেকেই ব্যাংক খাতের উত্থান ঈদের ছুটির শেষে বুধবার পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল। সেদিন ব্যাংক খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে মাত্র একটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকি সবগুলোর দর বেড়েছে। বৃহস্পতিবার উত্থানের এ ধারায় পতনের ধাক্কা লেগেছে।
এদিন ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত ৩১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ছয়টির, কমেছে ২৩টির; পাল্টায়নি দুটির।
সাত কার্যদিবস ধরে টানা বাড়তে থাকা এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ারের দরও কমেছে বৃহস্পতিবার।
বিমা খাতের সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার দর কমলেও দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ তালিকায় ছিল এ খাতের দুটি কোম্পানি। এদিন তালিকাভুক্ত ৫০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে নয়টির। কমেছে ৩৭টির; দর পাল্টায়নি চারটির।
বস্ত্র খাতের তালিকাভুক্ত ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ছয়টির। কমেছে ৪৫টির। দর পাল্টায়নি পাঁচটির।
বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৬০ দশমিক ০৬ পয়েন্ট। শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস কমেছে ৯ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে। বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ২২ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট।
কমেছে ব্যাংকের শেয়ার দর
গত সাত কার্যদিবস ধরে টানা বেড়েছে পুঁজিবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত এনআরবিসি ব্যাংক। এর মধ্যে চারদিন বড়েছে দিনের সর্বোচ্চ দরে। এ সময়ে ১২ টাকা দরের শেয়ার উঠে আসে ৩০ টাকায়। বুধবার পর্যন্ত ছিল এ উত্থান।
বৃহস্পতিবার এসে থামলে ব্যাংকটির শেয়ার দরের উত্থান। শেয়ার প্রতি দর কমেছে ১০ পয়সা বা ৩৬ শতাংশ। এদিন লেনদেন শেষে বেশির ভাগ ব্যাংকের শেয়ারের দর কমলেও দর বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ তালিকায় ছিল এ খাতের বেশকিছু কোম্পানি।
এদিন এবি ব্যাংক ছিল দর বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ তালিকার সাত নম্বরে। আর ওয়ান ব্যাংক ছিল ১২ নম্বরে। এবি ব্যাংকের শেয়ারে দর বেড়েছে ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ। শেয়ার প্রতি দর ১১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১২ টাকা।
ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ। শেয়ার প্রতি দর ১১ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১২ টাকা।
দর বেড়েছে স্যোসাল ইসলামী ব্যাংকের। এদিন ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি দর ১৩ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৩ টাকা ৮০ পয়সা। এনসিসি ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ১ দশমিক ১৮ শতাংশ। মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে দশমিক ৪৬ শতাংশ।
পতন হওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যেন সবচেয়ে বেশি দরপতন হয়েছে প্রাইম ব্যাংকের ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
ইস্টার্ন ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। প্রিমিয়ার ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।
এ ছাড়া সিটি ব্যাংক, শাহজালাল ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে বৃহস্পতিবার।
বাড়েনি বিমার আগ্রহ
গত দেড় মাস ধরে টানা বাড়তে থাকা তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রতি এখন অনেকটাই বিমুখ বিনিয়োগকারীরা। তালিকায় থাকা ৫০টি কোম্পানির মধ্যে দুটি-তিনটি কোম্পানি দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসলে ঢালাওভাবে আর বাড়ছে না বিমার শেয়ার দর।
বৃহস্পতিবার দর বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ কোম্পানির তালিকায় ছিল প্রভাতি ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ার প্রতি দর ১৬৭ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৮৩ দশমকি ৮০ পয়সা।
তৃতীয় অবস্থানে ছিল এশিয়া ইন্সুরেন্স, যার শেয়ার দর বেড়েছে ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ। পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৩ দশমিক ৪১ শতাংশ।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় থাকলেও বৃহস্পতিবার বিমা খাতের সবচেয়ে বেশি দর পতন হওয়ার কোম্পানির তালিকাতেও ছিল এ খাতের কোম্পানি।
এদিন মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৮ দশমিক ০৩ শতাংশ। ইর্স্টান ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ। কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ। সিটি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
হঠাৎ বেড়ে মন্থর বস্ত্র খাত
ঈদের ছুটিতে যাওয়ার আগে হঠাৎ দুদিন বাড়তে থাকে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানির শেয়ার দর। তালিকাভুক্ত ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারের উত্থান ছিল তখন, যা ঈদের ছুটির পর প্রথম কার্যদিবসেও অব্যাহত ছিল।
কিন্ত চলতি সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসের মধ্যে চার দিনই কমল এ খাতের শেয়ার দর। বৃহস্পতিবার এখাতের ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ৪৫টি। দর বেড়েছে ছয়টির।
দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির মধ্যে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে মতিন স্পিনিংয়ের ৭০ পয়সা। এ ছাড়া দর বেড়েছে এইচআর টেক্সটাইল, হাওয়েল টেক্সটাইল, রহিম টেক্সটাইল, আলহাজ্ব টেক্সটাইল ও স্কয়ার টেক্সটাইল।
বলা হয়েছিল বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোর অর্থবছর শেষ হচ্ছে জুনে। সিংহভাগ কোম্পানি তাদের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ করেছে। আগামী তিন চার মাসের ব্যবধানে কোম্পানিগুলো তাদের শেয়ারধারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করবে।
এমন অবস্থায় এ খাতের শেয়ারের দর বৃদ্ধি ছিল স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু হঠাৎ দর বৃদ্ধি পেয়ে আবার কমে আসায় বিপাকে পড়েছেন সে সময় এ খাতের বিনিয়োগকারীরা।
কী বলছেন বিশ্লেষকরা
ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ব্যাংক খাতের যে উত্থান ছিল সেটি হওয়া উচিত ছিল এবং যে পরিমাণ বেড়েছে তাতে ব্যাংকের শেয়ারের দর অতিমূল্যায়িত হয়েছে সেটি বলা যাবে না।
তবে দীর্ঘ সময় ধরে বাড়লে সেখান থেকে মুনাফা উত্তলনের প্রবণতা দেখা যায়। এছাড়া বিমা খাতের যেভাবে শেয়ারের দর বেড়েছে তাতে এ খাতের মূল্য সংশোধন জরুরি। যদিও এখন ঢালাওভাবে না বাড়লেও একটি দুটি কোম্পানির শেয়ার দর দিনের সর্বোচ্চ বাড়ছে।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের জন্য সবচেয়ে ভালো যে দিকটি দেখা যাচ্ছে, এখন ঢালাওভাবে সব কোম্পানির শেয়ারের পতন হচ্ছে না। একটি খাতের বা বেশি কিছু কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে। যা সরাসরি সূচককে প্রভাবিত করছে না। একই সঙ্গে হাজার কোটি টাকা লেনদেন পুঁজিবাজারের জন্য ভালো দিক।
সূচক ও লেনদেন
বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ৬০ দশমিক ০৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮১৩ পয়েন্টে। শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৯ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৭২ পয়েন্টে। বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ২২ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৭৮ পয়েন্টে।
মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৯৯ কোটি টাকা।
লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৮টির। কমেছে ২৩৪টির। দর পাল্টায়নি ৫৭টির।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের তুলনায় ২১৪ দশমিক ৮০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ৮৩৭ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ৯৯ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:দেশের স্বর্ণের বাজারে চলতি এপ্রিল মাসেই ২২ ক্যারেটের ভরিতে তিন দফায় ৪ হাজার ৫৬০ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছে। এবার প্রতি ভরিতে দাম কমানো হয়েছে ৮৪০ টাকা। নামমাত্র এই কমানোর পর ভালো মানের (২২ ক্যারেট) এক ভরি স্বর্ণের দাম দাড়িয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) শনিবার এই দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। সংগঠনটির মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কিছুটা কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
বাজুস এর চলতি মাসে তিন দফা স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়ানো হয়।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণ ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৭ হাজার ১৯৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা ভরি বিক্রি হবে।
এদিকে স্বর্ণের দাম বাড়নো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। বর্তমানে ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা ১ হাজার ২৮৩ টাকা ভরি বিক্রি হচ্ছে।
রমজানের মধ্যে শসার বাজার চড়া দাম থাকলেও বর্তমানে শসাচাষিরা দাম পাওয়া নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন।
এমন দুঃসময়ে শসাচাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের অন্যতম রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’।
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শসাচাষিরা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে চার টাকায়। ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষিরা।
এমন সময় সেই শসাচাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ন্যায্যমূল্যে কৃষিপণ্যটি কেনে ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ। সেই শসা এখন খোলাবাজারের চেয়ে কম দামে স্বপ্ন আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে।
খোলা বাজারে বৃহস্পতিবার ৪০ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করতে দেখা গেলেও স্বপ্ন আউটলেটে তা ১২ টাকা কেজিতে গ্রাহকরা কিনতে পেরেছেন। এরই মধ্যে দিনাজপুরের খানসামার ওই এলাকা থেকে দুই টন এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকা থেকে ছয় টন শসা কিনেছে স্বপ্ন প্রতিনিধি।
বর্তমানে তাদের উৎপাদিত শসা পৌঁছে গেছে স্বপ্নর আউটলেটে। স্টক থাকা অবধি এ অফার গ্রাহকরা পাবেন।
স্বপ্নর নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, ‘আমরা শসাচাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। আমরা দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাদের কাছ থেকে শসা কিনেছি ন্যায্য মূল্যে।
‘অন্যান্য ব্যবসায়ীদেরও কৃষকদের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান থাকবে। মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভবান না করে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি সেতুবন্ধের চেষ্টা করে আসছে স্বপ্ন। এ চেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে।’
এ প্রসঙ্গে স্বপ্নর হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, “বিভিন্ন গণমাধ্যমে শসাচাষিদের সংকটের খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিই যে, কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াব। দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এরই মধ্যে ৮ টন শসা আমরা কিনেছি।
“দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকদের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে।”
দিনাজপুরের খানসামা এলাকার কৃষক সাকিব হোসেন বলেন, ‘প্রায় এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছিলাম এবার। শসার বীজ, সারসহ নানা কাজে লাখ টাকা খরচ হয় আমার, কিন্তু ১০ রমজান অবধি কিছু শসা বিক্রি করার পর বাজারে শসার দাম কমে যায়। প্রতি কেজি ১০ টাকা, এরপর পাঁচ টাকা এবং সবশেষে আরও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অনেক শসা নষ্ট হয়ে যায়। অনেক লোকসান হচ্ছিল।’
তিনি আরও বলেন, “আমার এলাকার এক সাংবাদিক নিউজ করার পর এসিআই কোম্পানির ‘স্বপ্ন’ থেকে যোগাযোগ করে আমার অনেকগুলো শসা কিনে নিয়েছেন উনারা। এতে করে লোকসানের অনেক ঘাটতি পূরণ হয়েছে আমার। তাদের অশেষ ধন্যবাদ।”
আরও পড়ুন:দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে রেকর্ড ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের সাড়ে তিন মাসে অষ্টমবারের মতো স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৃহস্পতিবার বৈঠক করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। নতুন নির্ধারিত এই দাম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী- ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বেড়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বেড়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৬৫৬ টাকা বেড়ে ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৩৮৮ টাকা কমে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সবশেষ দশ দিন আগে ৮ এপ্রিল বাজুস ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৪৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা নির্ধারণ করে। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। ১০ দিনের ব্যবধানে আবারও দাম বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দেশের স্বর্ণের বাজারে উচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হলো।
অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের আরও বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে ১ লাখ ২৯ হাজার ১১৯ টাকা।
এদিকে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা আছে।
আরও পড়ুন:বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘…১৪৯ টাকা যেটা খোলাবাজারে ছিল, সেটাকে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা সর্বোচ্চ খোলাবাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হবে।
‘আর আমাদের সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার, বোতল যেটা, পেট বোতলে যেটা, যেটার মধ্যে সিল করা থাকে, সেইটা আমাদের নির্ধারিত ছিল ১৬৩ টাকা। সেইখান থেকে বৃদ্ধি করে ১৬৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’
খোলা সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতলের দামের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আর খোলাবাজারে সয়াবিন তেল পাঁচ লিটারের বোতল ৮০০ টাকা ছিল। সেটাকে ৮১৮ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’
পাম অয়েলের দাম নিয়ে টিটু বলেন, ‘সুপার পাম অয়েল তেল প্রতি লিটার, এটা আগে নির্ধারণ করা ছিল না। এবার আমরা নির্ধারণ করে দিচ্ছি। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা লিটার।
‘তো এই চারটা পণ্যের দাম, এইটা কিন্তু আমরা নির্ধারণ করলাম না। আমাদের যারা অ্যাসোসিয়েশনের, তাদের রিকমেন্ডেশনে এবং আমাদের ট্যারিফ কমিশনের অনুমোদনক্রমে উনারা উনাদের অ্যাসোসিয়েশন থেকে চিঠি দিয়ে আগামীকাল থেকে এই মূল্য উনাদের মিল গেট থেকে উনারা কার্যকরী করবে।’
আরও পড়ুন:কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি জানিয়েছিল যে আর কোনো ব্যাংককে একীভূতকরণের সুযোগ দেয়া হবে না। তবে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের জন্য ব্যাংক এশিয়াকে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন মাত্রার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক এশিয়া বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করছে। সূত্র: ইউএনবি
করাচিভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ বুধবার (১৭ এপ্রিল) পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জকে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের বাংলাদেশ পরিচালনা, সম্পদ ও দায় অধিগ্রহণের জন্য প্রাপ্ত বাধ্যবাধকতামুক্ত ইঙ্গিতমূলক প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
এতে বলা হয়, ব্যাংক আলফালাহ বাংলাদেশের ব্যাংক এশিয়ার জন্য যথাযথ কার্যক্রম শুরুর জন্য স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তানের অনুমোদন চাইছে।
ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আর কে হুসেইন বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি একীভূতকরণ নিয়ে খুব বেশি আলোচনার অংশ নয়।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে দুই ব্যাংকের নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে অধিগ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত রূপ পাবে বলে।
বিষয়বস্তু অবহিত না করে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে ‘রূপান্তর’ শিরোনামের একটি নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ওয়ালটন।
পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সব ধরনের বিজ্ঞাপনী চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
ওয়ালটনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’ এর স্বত্বাধিকারী মোহন আহমেদকে মঙ্গলবার ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।
ওয়ালটনের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট রাইসুল ইসলাম রিয়াদ স্বাক্ষরিত আইনি নোটিশে উল্লেখ করে যা বলা হয়, ‘আপনি লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান এর স্বত্বাধিকারী। আপনার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আপনার নির্মিত ছয়টি নাটকে ওয়ালটন ফ্রিজ ব্র্যান্ডিং করতে সম্মত হয়। শর্ত থাকে যে, উক্ত নাটকসমূহে দেশের আইন, নীতি, নৈতিকতা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হয় এরকম কোনো বিষয় অর্ন্তভুক্ত হবে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, উক্ত নাটকসমূহের মধ্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটিতে এমন কিছু বিষয় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে, যাতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ও মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।’
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে নাটকটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্বে অবহিত না করে রূপান্তর নাটক প্রচার করায় আপনার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হলো এবং সেই সঙ্গে কেন আপনার বিরুদ্ধে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে নাটক প্রচারের জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে জানানোর জন্য বলা হলো।’
এর আগে ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকে ‘রূপান্তর’ নাটকটি প্রত্যাহারের জন্য বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে নির্দেশ দেয় ওয়ালটন। তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক-ইউটিউবসহ সব মাধ্যম থেকে নাটকটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
এরপর বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ওয়ালটন গ্রুপের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থি নাটকে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে লিগাল নোটিশ দেয় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটনের ভাষ্য, দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও তারা সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন:রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন রূপালী ব্যাংক পিএলসির মহাব্যবস্থাপক মো. ফয়েজ আলম। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে তিনিসহ রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন ব্যাংকের আট জন মহাব্যবস্থাপককে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়।
ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি হওয়ার আগে তিনি রূপালী ব্যাংক পিএলসিতে মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
মো. ফয়েজ আলম ১৯৯৮ সালে বিআরসির মাধ্যমে সিনিয়র অফিসার পদে রূপালী ব্যাংকে যোগদান করেন। কর্মজীবনে ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাখার শাখা ব্যবস্থাপক, জোনাল অফিস এবং প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পেশাগত প্রয়োজনে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও আরব অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণসহ দেশ-বিদেশে ব্যাংকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।
ফয়েজ আলমের জন্ম ১৯৬৮ সালে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার যোগীরনগুয়া গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে বিএ অনার্সসহ এমএ পাশ করার পর এমফিল ডিগ্রিও অর্জন করেন খ্যাতিমান এই ব্যাংকার।
পেশাগত জীবনের বাইরে ফয়েজ আলম একজন সফল লেখকও। বাংলাদেশে তিনি অগ্রণী উত্তর উপনিবেশী তাত্ত্বিক, প্রাবন্ধিক ও কবি হিসেবে বিশেষ খ্যাতিমান। এডওয়ার্ড সাঈদের বিখ্যাত গ্রন্থ অরিয়েন্টালিজম-এর অনুবাদক হিসেবেও তার আলাদা খ্যাতি আছে। তার পনেরটির বেশি গ্রন্থ এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে।
মন্তব্য