পুঁজিবাজারে ৬৬ কোম্পানির সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হলেও দেড় মাস পর হিসেব করলে দেখা যাবে, প্রায় অর্ধেক পরিমাণ শেয়ারের দাম ফ্লোর থেকে বেড়েছে। যেগুলোর দাম কমেছে, সেগুলোর অনেকগুলোর দামও ফ্লোরের আশপাশেই আছে।
তবে যে ৬৬ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হতো না বললেই চলে, তার সবগুলোই এখন প্রতিদিন বেশ ভালো পরিমাণ হাতবদল হচ্ছে।
এসব কোম্পানির লেনদেনে গতি আসায় বাজারেও লেনদেনে প্রভাব পড়েছে। আর এই বিষয়টি পর্যালোচনা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সব শেয়ারেই ফ্লোর প্রাইস পর্যায়ক্রমে তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও চূড়ান্ত ঘোষণা এখনও আসেনি।
গত বছর করোনা সংক্রমণের পর শেয়ার দরে ধস ঠেকাতে সব শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয়া হয়। তবে এবার করোনা পরিস্থিতিতে গত ৬ এপ্রিল হঠাৎ করেই বিএসইসির বিজ্ঞপ্তি আসে। জানানো হয় ৭ এপ্রিল থেকে ৬৬ কোম্পানির শেয়ারের কোনো সর্বনিম্ন মূল্য থাকবে না।
এই সিদ্ধান্ত আসার পর শেয়ারগুলোর পতন ঘটতে থাকে ঢালাওভাবে। আর শেয়ারধারীদের পুঁজিরক্ষায় পরদিনই বিএসইসি দেয় নতুন সিদ্ধান্ত। এসব শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ থাকলেও দর হারানোর সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ বেঁধে দেয়া হয়।
নিউজবাংলা সম্প্রতি হিসাব করে দেখেছে ৬৬ কোম্পানির মধ্যে দুইটির লেনদেন হয়নি। এর একটির লেনদেন স্থগিত, আর একটির লেনদেনের সাম্প্রতিক ইতিহাস নেই।
বাকি শেয়ারগুলোর মধ্যে বুধবার পর্যন্ত দর বেড়েছে ৩০টির। কমেছে ৩৪টির।
কিছু কোম্পানির ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ফ্লোর প্রত্যাহারের পর পর লেনদেনে গতি এসেছে। কিছু কোম্পানির ক্ষেত্রে দেখা গেছে, কয়েক দিন সময় লেগেছে, কোনো কোনো কোম্পানির লেনদেনে গতি আসতে আসতে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে গেছে। তবে এখন প্রায় সব শেয়ারেরই বেশ ভালো পরিমাণে লেনদেন হচ্ছে।
জানতে চাইলে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টের সাবেক প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘৬৬টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়া হয়েছে সেগুলো এখন লেনদেন হচ্ছে। দামের উত্থানপতনের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করছে। এটা ভালো দিক।’
তিনি বলেন, ‘বিএসইসি যদি সব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দিয়ে তাহলে যেন বর্তমানে সর্বনিম্ন ২ শতাংশ কমার সুবিধাটি অব্যাহত রাখে।’
গত বছর করোনা সংক্রমণ শুরু হলে সব শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দেয় বিএসইসি
লেনদেন বাড়ার চিত্র
ফ্লোর প্রত্যাহারের আগে মেট্রো স্পিনিং মিলসের শেয়ার ১ এপ্রিল ১ হাজার ৩০, ৫ এপ্রিল ১৪ হাজার ৮২১টি হাতবদল হয়। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন ৭ এপ্রিল লেনদেন ছিল ২৪ হাজার ৭১১টি। তবে পরে লেনদেন বাড়তে বাড়তে ১৮ মে পৌঁছেছে ৭১ লাখ ১৪ হাজার ৪৯১টি।
এই কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৮ টাকা ৫০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ২০ পয়সা। শতকরা হিসেবে দাম বেড়েছে ৫৪ শতাংশ।
ফ্লোর প্রত্যাহারের আগে কাট্টলী টেক্সটাইলের লেনদেন হতো না বললেই চলে। তবে এখন দাম বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনও বেড়েছে কয়েক গুণ।
ফ্লোর প্রত্যাহারের দুই দিন আগে ৫ মে লেনদেন হয় ৭০১টি। ৭ এপ্রিল লেনদেন বেড়ে হয় ২ লাখ ৬৯ হাজার ১৬২। এরপর বাড়তে বাড়তে ১২ মে হাতবদল হয় ১ কোটি ২৫ লাখ ৪৪ হাজার ৪৫১টি। ১৬ মে হাতবদল হয় আরও ১ কোটি ২৫ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৪টি।
কাট্টলীর ফ্লোর প্রাইস ছিল ৯ টাকা ৩০ পয়সা। প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৭০ পয়সা।
ফ্লোর ওঠার আগের দিন প্রাইম টেক্সটাইলের শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৯ হাজার ৩৪২টি। ৭ এপ্রিল হাতবদল হয় ১ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯২টি। আর ৯ মে হাতবদল হয় ৭ লাখ ৯৮ হাজার ১৩৪টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৫ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ১০ পয়সা।
বিমা খাতে গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে চাঙা ভাবের মধ্যেও স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের লেনদেনের গতি ছিল কম। ফ্লোর ওঠার আগে এমনও দিন গেছে কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি, কোনো দিন হয়েছে ১০৬টি।
তবে ফ্লোর ওঠার পর ২৮ এপ্রিল ২৩ লাখ ৩৯ হাজার ১৯৭টি, ১২ মে ২৩ লাখ ৫২৬টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪০ টাকা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৫৬ টাকা ৬০ পয়সা।
ফ্লোর ওঠার আগে রূপালী ব্যাংকের ১ এপ্রিল শূন্য, ৪ এপ্রিল ১৮৫, ৫ এপ্রিল ২২০ শেয়ার লেনদেন হয়।
তবে ৭ এপ্রিল ফ্লোর ওঠার দিন ১৫ হাজার ৫৫০টি শেয়ার হাতবদল হয়। ১২ মে হয় সর্বোচ্চ লেনদেন। সেদিন হাতবদল হয় ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৮৮৮টি শেয়ার।
এই ব্যাংকের ফ্লোর প্রাইস ছিল ২৪ টাকা ৪০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ১০ পয়সা।
ফ্লোর ওঠার আগে ৫ এপ্রিল এস্কয়ার নিট কম্পোটিজ লেনদেন ছিল ৩৪ হাজার ৬৬০টি শেয়ার। তবে ৭ এপ্রিল লেনদেন হয় ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৮৬টি শেয়ার। এরপর বাড়তে বাড়তে ১৬ মে হাতবদল হয় ৯ লাখ ৯৫ হাজার ৭১৯টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২১ টাকা ৯০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৯০ পয়সা।
ফ্লোর প্রত্যাহারের আগে ৪ ও ৫ এপ্রিল ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স শূন্য, ৬ এপ্রিল হাতবদল হয় ১ হাজার ৩০০ শেয়ার। ফ্লোর তুলে নেয়ার পর ৭ এপ্রিল কেনাবেচা হয় ৩ হাজার ৪৫০টি। তবে ৫ মে সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ৭ লাখ ১১ হাজার ৮১৭টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪০ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ৮০ পয়সা।
৪ এপ্রিল আইপিডিসি ফিন্যান্সের শেয়ার লেনদেন হয় ২২ হাজার ৩৮৬টি। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন ৭ এপ্রিল লেনদেন হয় ৮৪ হাজার ২৩টি শেয়ার। ১৯ মে বেড়ে হয় ছয় লাখ ৭ হাজার ৭৯৩টি।
কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২২ টাকা ৬০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ৫০ পয়সা।
৪ এপ্রিল ফিনিক্স ফিন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন ছিল ৩৪ হাজার ৬২৮টি। ফ্লোর ওঠার দিন হাতবদল হয় ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৯৬৩টি। আর ৫ মে হয় সর্বোচ্চ লেনদেন। সেদিন হাতবদল হয় ৩৪ লাখ ৪৩ হাজার ১২টি।
ফান্ডটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৭ টাকা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা।
ফিনিক্স ফিন্যান্সের শেয়ার ১ থেকে ৪ এপ্রিল একটিও লেনদেন হয়নি। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন ৭ এপ্রিল হাতবদল হয় ২০০টি। এরপর গতি পেয়ে একপর্যায়ে ৩ মে হাতবদল হয় ২ লাখ ৯ হাজার ৯৩৩টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২২ টাকা ৭০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৮০ পয়সা।
২৮ মার্চ এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ডের ৪ হাজার ৪৩৮টি ইউনিট হাতবদল হয়। ৪ এপ্রিল হয় ১ লাখ ৪০ হাজার ৯৯৩টি। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন লেনদেন হয় ১০ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৪টি।
সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ৪ মে ২৫ লাখ ১৭ হাজার ৯০৫টি।
ফান্ডটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৭ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৩০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের লেনদেন ছিল একেবারেই তলানিতে। ৭ এপ্রিল ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন হাতবদল হয় তিনটি শেয়ার। পরে বেড়ে ১৬ মে লেনেদেন হয় ৩৫ লাখ ৪১ হাজার ২২২টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২২ টাকা ৫০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৭০ পয়সা।
৪ এপ্রিল বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসের ৪৯২টি, ৬ এপ্রিল হাতবদল হয় এক হাজার ৬০৫। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন লেনদেন হয় ১১ হাজার ৫৪২টি। ১২ মে হয় সর্বোচ্চ ছয় লাখ ৪৮ হাজার ৩৪৯টি হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৬ টাকা ২০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৪০ পয়সা।
ফ্লোর তোলার আগের দিন আর এন স্পিনিংয়ের লেনদেন ছিল ৭৩ হাজার ৮০১টি। পরদিন হাতবদল হয় ৯৭ হাজার ৪৫১টি। লেনদেন পরে কমে গেলেও আবার বাড়তে বাড়তে ২০ লাখ ৩৩ হাজার ৯৫১টিতে উঠে ৬ মে।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩ টাকা ৭০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৭০ পয়সা।
ফ্লোর প্রত্যাহারের আগের দিন আইএফআইএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ইউনিট হাতবদল হয় নয় হাজার পাঁচটি। পরদিনই হয় এক লাখ তিন হাজার ৩৮১টি। আর ১২ মে সর্বোচ্চ লেনদেন। হাতবদল হয় এক লাখ ৯১ হাজার ১৪০টি।
ফান্ডটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৬ টাকা ২০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৫০ পয়সা।
১ এপ্রিল থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বেঙ্গল উন্ডশন থার্মোপ্লাস্টিসের কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি। ৭ এপ্রিল লেনদেন হয় ছয় হাজার ৫০৮টি। ১২ মে দুই লাখ এক হাজার ৪৭৪টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৭ টাকা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৬০ পয়সা।
সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালেসের শেয়ার ফ্লোর প্রত্যাহারের দুই দিন আগে ৫ এপ্রিল শূন্য ও ৬ এপ্রিল ১৭১টি হাতবদল হয়। ৭ এপ্রিল হয় ১২ হাজার ২৩৯টি। আর সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ১৬ মে ২০ লাখ ৪৫ হাজার ৪১১টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১২ টাকা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৪০ পয়সায়।
২১ মার্চ থেকে শুরু হরে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন ছিল একেবারেই কম। ৭ এপ্রিল হাতবদল হয় ৬ লাখ ৪১ হাজার ৭৩২টি। সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ১২ মে ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ১৯২টি।
ফান্ডটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৬ টাকা ৯০ পয়সা। বুধবার তা দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৩০ পয়সা।
দেশবন্ধু পলিমারের শেয়ার ৪ এপ্রিল ১১৫টি, ৫ এপ্রিল ১৩ হাজার ১০টি শেয়ার হাতবদল হয়। ৭ এপ্রিল লেনদেন হয় দুই লাখ চার হাজার ৯৮১টি। ১৬ মে হাতবদল হয় ১৫ লাখ ৯০ হাজার ৫৩৩টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১০ টাকা ৪০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ১০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে এমনকি ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত ইভেন্স টেক্সটাইলের লেনদেন ছিল খুবই কম। ৭ এপ্রিলও কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি। তবে লেনদেন বাড়তে বাড়তে ১৬ মে উঠে ৩৩ লাখ ২১ হাজার ৬৭০টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৮ টাকা ২০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৬০ পয়সা।
১ এপ্রিল ৮৫, ৪ এপ্রিল ১১টি ও ৫ এপ্রিল একটি শেয়ার লেনদেন হয় হামিদ ফেব্রিক্সের। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন তা বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজার ৪৭০টি। পরে বাড়তে বাড়তে আট লাখ ৭৯ হাজার ২১৭টি শেয়ার লেনদেন হয় ১৬ মে।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৫ টাকা ৭০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৩০ পয়সা।
প্যাসিফিক ডেনিমের শেয়ার ১১ মার্চ থেকে লেনদেন হতোই না বললে চলে। ১ এপ্রিল এক হাজার ৫০৩, ৪ এপ্রিল এক হাজার ৩৬৭, ৫ এপ্রিল শূন্য, ৬ এপ্রিল চার হাজার ৪৬৯টি শেয়ার হাতবদল হয়। ৭ এপ্রিল হয় এক হাজার ৬৭৬টি।
এরপর বাড়তে বাড়তে ১২ মে ৫১ লাখ এক হাজার ৮৩৭টি আর ১৬ মে ৫২ লাখ দুই হাজার ১৬টি শেয়ার লেনদেন হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৮ টাকা ৫০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৯০ পয়সা।
সাফকো স্পিনিং এর শেয়ার ১ এপ্রিল লেনদেন হয় এক হাজার ২৪৫টি, ৫ এপ্রিল ১০১, ৬ এপ্রিল ছয় হাজার ৮৪৫টি। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন লেনদেন ছিল ৫০০টি। তবে লেনদেন বেড়ে ১৬ মে হয় আট লাখ তিন হাজার ১১১টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১১ টাকা ২০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৯০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ফ্লোর প্রত্যাহারের পরেও ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত জাহিন স্পিনিং মিলসের লেনদেন ছিল একেবারেই কম। কোনো কোনোদিন কোনো শেয়ারই কেনাবেচা হয়নি।
৭ এপ্রিল ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন হাতবদল হয় দুইশটি শেয়ার। তবে বাড়তে বাড়তে ১৬ মে হাতবদল হয় ৩১ লাখ ৭৫ হাজার ৮৯১টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৬ টাকা ৩০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ১০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ফ্লোর প্রত্যাহারের পরেও ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত রিং সাইন টেক্সটাইলের লেনদেন হয়নি বললেই চলে। ৭ এপ্রিল হাতবদল হয় কেবল ৫০টি। তবে ২৯ এপ্রিল থেকে বাড়তে থাকে লেনদেন। ১৯ মে হাতবদল হয় এক কোটি ৪৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫৬২টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৬ টাকা ৪০ পয়সা। বুথবার দাম দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ১০ পয়সা।
২৪ মার্চ থেকে রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলসের লেনদেনের খরা ছিল। ৫ এপ্রিল শূন্য, ৬ এপ্রিল দুই হাজার ১০৪টি আর ৭ এপ্রিল ৫টি শেয়ার হাতবদল হয়। ১৬ মে লেনদেন বেড়ে হয় ১৪ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮১।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৭ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৫০ পয়সায়।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের লেনদেন ছিল না বললেই চলে। ৭ এপ্রিল হাতবদল হয় কেবল ৫টি শেয়ার। তবে ১৩ এপ্রিল থেকে গতি পায় লেনদেনে। ৯ মে হাতবদল হয় ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ৯৯টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৪ টাকা ৬০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা।
৪ এপ্রিল শূন্য, ৫ এপ্রিল ৬৬৩, ৬ এপ্রিল ৫ এমনকি ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন ৭ এপ্রিল কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি কুইন সাউথ টেক্সটাইলের। তবে পরে বাড়তে বাড়তে ১৬ মে হাতবদল হয় আট লাখ ৬ হাজার ২৯৫টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২৪ টাকা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৫০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ফ্লোর প্রত্যাহারের পর ৭ এপ্রিল পর্যন্ত শাসা ডেনিমের শেয়ার লেনদেন হয়নি বললেই চলে। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন হাতবদল হয় মাত্র ২০টি শেয়ার। তবে এরপর ১৬ মে ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৬৮টি শেয়ার লেনদেন হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২১ টাকা ৬০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৮০ পয়সা।
ফ্লোর প্রত্যাহারের আগের দিন ৬ মে অলেম্পিক একসেসরিসের লেনদেন হয় পাঁচ হাজার ১৩২টি শেয়ার। পরদিন ফ্লোর উঠে যাওয়ার দিন হাতবদল হয় ১৪ হাজার ৪৭৯টি শেয়ার।
সর্বোচ্চ হাতবদল হয় ১৮ মে এক লাখ ৭২ হাজার ৭২২টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৬ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৮০ পয়সা।
৪ এপ্রিল নাভানা সিএনজির দুই হাজার ১১১, পরদিন আট হাজার ৮৯৭, ৬ এপ্রিল ২২ হাজার ৮৩০টি শেয়ার হাতবদল হয়। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন দরপতন হলে শেয়ারের লেনদেন কমে আসে। হাতবদল হয় ছয় হাজার ৭৮৭টি। তবে ১৭ মে হাতবদল হয় দুই লাখ ৭৫ হাজার ২৩৩টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩৩ টাকা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৫০ পয়সা।
ফ্লোর প্রাইস থেকে কমেছে যেগুলো
২২ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত এমএল ড্রাইংয়ের লেনদেন হয়নি বললেই চলে। ফ্লোর তুলে দেয়ার দিন একটি শেয়ারও হাতবদল হয়নি। তবে ২৯ এপ্রিল থেকে গতি পায় লেনদেনে। ১২ মে সর্বোচ্চ ৫১ লাখ ৭০ হাজার ৬৪১টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৫০ টাকা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ৩০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের লেনদেন ছিল তলানিতে। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন ৭ এপ্রিল কোনো শেয়ারই হাতবদল হয়নি। তবে ২৯ এপ্রিল থেকে লেনদেনে গতি আসে। আর ১৭ মে সর্বোচ্চ ৪৯ লাখ ৯৯ হাজার ৬০১টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২১ টাকা ৭০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৫০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সোনারগাঁও টেক্সটাইলের লেনদেন হয়নি বললেই চলে। ফ্লোর তুলে নেয়ার দিন ৭ এপ্রিল হাতবদল হয় ৪৪৫টি। ২৮ এপ্রিল হয় ১০টি। তবে এরপর লেনদেনে আসে গতি। ২ মে লেনদেন হয় আট রাখ ৫৬ হাজার ৭১৮টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২৪ টাকা ৫০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৬০ পয়সা।
৫ এপ্রিল আরএসআরএম স্টিল মিলসের ৩০টি, পরদিন ১২টি আর ফ্লোর উঠার দিন ৭ এপ্রিল ৩৫০টি শেয়ার হাতবদল হয়। লেনেদেন বাড়তে বাড়তে ২৯ এপ্রিল ৭ লাখ ৭৭ হাজার ২৩৬টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২২ টাকা ৯০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ১০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ এপ্রিল ফ্লোর উঠার দিন পর্যন্ত ওয়াইমেক্স ইলেকট্রোডের লেনদেন ছিল তলানিতে। ফ্লোর উঠার দিন হাতবদল হয় ২০১টি শেয়ার। তবে ২২ এপ্রিল থেকে গতি পায় লেনদেনে। ২৯ এপ্রিল সর্বোচ্চ তিন লাখ ৯৬ হাজার ৭৬২টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২৪ টাকা ৩০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৫০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত কোনো কোনো দিন কেপিসিএলের এমনকি একটি শেয়ারও হাতবদল হয়েছে। ফ্লোর উঠার দিন ৭ এপ্রিল লেনদেন হয় ২১ হাজার ৩৬৫টি শেয়ার। পরে বাড়তে বাড়তে ২৯ এপ্রিল হাতবদল হয় ৩৯ লাখ ১৪ হাজার ২৭৫টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৫ টাকা ৩০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ৩০ পয়সা।
২২ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের হাতবদল হওয়া শেয়ারের পরিমাণ ছিল খুবই কম। ফ্লোর প্রাইস ওঠিয়ে দেয়ার দিনও কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি। ১৫ এপ্রিল থেকে হাতবদল হতে শুরু করে কোম্পানিটির শেয়ার। সর্বোচ্চ হাতবদল হয় ১৯ মে ১৩ লাখ ২ হাজার ৫৩টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ২৪ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৩০ পয়সা।
আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ফ্লোর উঠানোর আগে লেনদেনে কোনো গতি ছিল না। যেদিন ফ্লোর প্রাইস ওঠিয়ে দেয়া হয় সেদিনও কোম্পানিটির মাত্র ৩৯৫টি শেয়ার লেনেদেন হয়। তবে সর্বোচ্চ হাতবদল হয়েছে ১৬ মে, ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬২৬টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২৬ টাকা ২০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ১০ পয়সায়।
৪ এপ্রিল ফার ক্যামিকেলের এক হাজার, ৫ এপ্রিল শূন্য, ৬ এপ্রিল পাঁচশটি শেয়ার লেনদেন হয়। ফ্লোর উঠার পর ৭ এপ্রিল হাতবদল হয় তিন হাজার ৫৫০টি। এরপর বাড়তে বাড়তে ১৬ মে হাতবদল হয় ১৫ লাখ ৬৪ হাজার ৮৩৮টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৯ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ২০ পয়সা।
৪ এপ্রিল গোল্ডেন হারভেস্ট এগ্রোর ৭০০, ৫ এপ্রিল শূন্য, ৬ এপ্রিল এক হাজার চারশ শেয়ার হাতবদল হয়। ফ্লোর উঠার দিন ৭ এপ্রিল লেনদেন ছিল এক লাখ ১৩ হাজার ২৫৪টি। এরপর ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত লেনদেনে দেখা দেয় খরা। পরে ২০ এপ্রিল হাতবদল হয় ৩৩ লাখ ৯৬ হাজার ৩৮৬টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৬ টাকা ৭০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৮০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইন্দোবাংলা ফার্মাসিউটিক্যালের লেনদেনে ছিল খরা। ফ্লোর উঠার দিন হাতবদল হয় ৬৪৭টি শেয়ার। তবে এরপর বাড়তে বাড়তে ১২ মে পৌঁছে ২৭ লাখ ৩০ হাজার ৪৮৫টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৯ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ২০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের লেনদেন ছিল তলানিতে। ফ্লোর উঠার দিন ৭ এপ্রিল কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি। তবে ২৯ এপ্রিল থেকে লেনদেনে আসে গতি। আর ২ মে সর্বোচ্চ ৪০ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৬টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৭ টাকা ৬০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৩০ পয়সা।
১ ও ৪ এপ্রিল নাহী অ্যালুমিনিয়ামের শূন্য, ৫ এপ্রিল ৫০, ৬ এপ্রিল ১০৩টি শেয়ার হাতবদল হয়। ফ্লোর উঠার দিন ৭ এপ্রিল লেনদেন হয় এক হাজারটি শেয়ার। আর এরপর বাড়তে বাড়তে ১৬ মে উঠে ১২ লাখ ৩৬ হাজার ২৯২টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৭ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকা ৫০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত সায়হাম কটনের লেনদেন ছিল তলানিতে। এরপর বাড়তে বাড়তে ২ মে হাতবদল হয় ৩৬ লাখ ৬৭ হাজার ৬৮৩টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৬ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৫০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের লেনদেন ছিল তলানিতে। ৭ এপ্রিল ফ্লোর উঠার দিন হাতবদল হয় ৫০০টি শেয়ার। ১৬ মে হাতবদল হয় ৫ লাখ ৬১ হাজার ৮৯২টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৫ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৩০ পয়সা।
১ এপ্রিল প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ১৩১টি, ৩ এপ্রিল এক হাজার একটি, ৫ এপ্রিল ১৪ হাজার ৬৬০টি, ৬ এপ্রিল ২১৬টি শেয়ার হাতবদল হয়।
ফ্লোর উঠার দিন ৭ এপ্রিল লেনদেন হয় পাঁচ হাজার ৯৭০টি। ১৮ মে হয় সর্বোচ্চ লেনদেন। হাতবদল হয় ১০ লাখ ৫৩ হাজার ৬১৩টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৮ টাকা ৯০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ৫০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সায়হাম টেক্সটাইলের লেনদেন একেবারে তলানিতে। ফ্লোর উঠার দিন ৭ এপ্রিল কোনো শেয়ার লেনদেন হয়নি। তবে ২৯ এপ্রিল থেকে গতি পায় লেনদেনে। ২ মে সর্বোচ্চ ২৯ লাখ ৯৮ হাজার ৮৭৩টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২৪ টাকা ৫০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ১০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে একদিন ৮ মার্চ ১৯ হাজারের কিছু বেশি শেয়ার লেনদেন ছাড়া ৭ এপ্রিল পর্যন্ত উত্তরা ফিন্যান্সে আগ্রহ ছিল না বললেই চলে। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন লেনদেন হয় ১৮৭টি শেয়ার।
লেনদেন বাড়তে থাকে ১৩ এপ্রিল থেকে। ২০ এপ্রিল সর্বোচ্চ এক লাখ ৭৫ হাজার ৫৪৯টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৩ টাকা ৬০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ৫০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের লেনদেন ছিল না বললেই চলে। ফ্লোর উঠার দিন হাতবদল হয় এক হাজার ৩২৫টি। ১২ এপ্রিলের পর বাড়তে বাড়তে ১২ মে লেনদেন পৌঁছে ৩৪ লাখ ৫ হাজার ৩৫০টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১১ টাকা ৫০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৪০ পয়সা।
১ এপ্রিল উসমানিয়া গ্লাস শিটের ২০০, ৪ এপ্রিল একটি শেয়ার হাতবদল হয়। ফ্লোর উঠার দিন ৭ এপ্রিল লেনদেন হয় এক হাজার ১৩০টি। পরদিনই হয় গত এক দেড় মাসে সর্বোচ্চ লেনদেন। সেদিন হাতবদল হয় ৩০ হাজার ৮৪৫টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৪ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৫০ পয়সা।
৪ এপ্রিল সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজের ২০৫টি, ৬ এপ্রিল ৭৫২টি এবং ফ্লোর প্রত্যাহারের দিক ৭ এপ্রিল হাতবদল হয় ৪৮০টি শেয়ার। এরপর বাড়তে বাড়তে ১৭ মে লেনদেন পৌঁছে তিন লাখ ৩৮ হাজার ৬৪৫টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৮ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকা ৮০ পয়সা।
২৪ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ইউনিক হোটেলের লেনদেন ছিল তলানিতে। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন হাতবদল হয় ৫১টি শেয়ার। তবে পরে গতি পায়। ৬ মে সর্বোচ্চ এক লাখ ৮৭ হাজার ৬৭২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩৯ টাকা ৫০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ২০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ মার্চ ছাড়া ৭ এপ্রিল পর্যন্ত সিলভা ফার্মার লেনদেন ছিল তলানিতে। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন হাতবদল হয় এক হাজার ১৪টি শেয়ার। তবে ১৬ মে হাতবদল হয় সর্বোচ্চ ১৫ লাখ ৬৪ হাজার ২৯৮টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৮ টাকা ৩০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৩০ পয়সা।
১ এপ্রিল দুলামিয়া কটনের ১৫০, ৪ এপ্রিল শূন্য, ৫ এপ্রিল ৪৮, ৬ এপ্রিল ১১৫ শেয়ার হাতবদল হয়। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন ৭ এপ্রিল কোনো শেয়ার লেনদেন হয়নি। তবে পরে ১৮ মে লেনদেন বেড়ে হয় ২৬ হাজার ১৬০টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ৪৮ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৯০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নূরানী ডাইংয়ের বলার মতো কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি। ৭ এপ্রিল ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন লেনদেন হয় কেবল এক হাজার শেয়ার। পরে বাড়তে বাড়তে ১৬ মে লেনদেন হয় ২১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৭৪টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৭ টাকা ৭০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৪০ পয়সা।
১ এপ্রিল ইয়াকিন পলিমারের ৯৫৬, ৪ এপ্রিল এক হাজার ৭৫০, পরদিন চার হাজার ৪৫০, ৬ এপ্রিল তিন হাজার ২৮২টি শেয়ার হাতবদল হয়। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন ৭ এপ্রিল লেনদেন হয় সাত হাজার ৬৫টি শেয়ার। আর সর্বোচ্চ হাতবদল হয় ২ মে নয় লাখ ৯৫ হাজার ২১৯টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১১ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৫০ পয়সা।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২২ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার দর দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৯০ পয়সা।
৪ এপ্রিল শূন্য, ছয় এপ্রিল তিনটি শেয়ার হাতবদল হয় এএফসি এগ্রো বায়োটেকের। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন হাতবদল হয় ৫০০ টি। ১৬ এপ্রিল লেনদেন বেড়ে হয় নয় লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৯টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৭ টাকা। বুধবার তা দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৪০ পয়সায়।
আরগন ডেনিমের শেয়ার ৪ ও ৫ এপ্রিল লেনদেন হয়নি একটিও। ফ্লোর প্রত্যাহারের আগের দিন ৬ এপ্রিল ১০৩টি হাতবদল হলেও প্রত্যাহারের দিনও কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি। পরে জট খোলার পর নিয়মিত হাতবদল হতে থাক শেয়ার। ১৬ মে সর্বোচ্চ ১৬ লাখ ৩৯ হাজার ৭০২টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৯ টাকা ২০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ১০ পয়সা।
১ ও ৪ এপ্রিল বিচ হ্যাচারির শূন্য, ৫ এপ্রিল ৮০, ৬ এপ্রিল ৭৪৩টি শেয়ার হাতবদল হয়। ৭ এপ্রিল লেনদেন বেড়ে হয় ১৩ হাজার ২৩৫টি। সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ৪ মে দুই লাখ ৫২ হাজার ৪৯০টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৩ টাকা ৬০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ২০ পয়সা।
কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার ৫ এপ্রিল ৩০২, ৬ এপ্রিল লেনদেন হয়েছে একটি। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন হয় চার হাজার। ১৬ মে লেনদেন হয় ১০ লাখ ৫১ হাজার তিনটি।
লিমিটেডের ফ্লোর প্রাইস ছিল ২০ টাকা ৭০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৭০ পয়সা।
২৪ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ডেসকোর লেনদেন হয়নি বললেই চলে। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন হাতবদল হয় ৪৩০টি। তবে ১৫ এপ্রিল হাতবদল হয় দুই লাখ তিন হাজার ৪০০টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩৪ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার তা দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৩০ পয়সা।
৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল গ্লোবাল হ্যাভি ক্যামিকেলের কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি। ৪ এপ্রিল হয় দুটি, ৫ এপ্রিল ৪৮১ আর ৬ এপ্রিল আবার কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি।
ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন লেনদেন হয় ৫ হাজার ৯৭৬টি। এরপর বাড়তে বাড়তে ১২ মে হয় ৮২ হাজার ৬৮২টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩১ টাকা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৬০ পয়সা।
ফ্লোর প্রত্যাহারের আগে বেশ কয়েকদিন কোনো লেনদেন না হওয়া এডভান্ট ফার্মার শেয়ার হাতবদল হয়নি ফ্লোর প্রত্যাহারের দিনও। ১৮ এপ্রিল তিন হাজার ৪২৭টি শেয়ার হাতবদলের পর বাড়তে থাকে লেনদেন। ১৬ মে হাতবদল হয় ৫১ লাখ ৭৬ হাজার ৮৫০টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২২ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৯০ পয়সা।
আরও পড়ুন:বিতর্কিত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এ নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশন প্রধান প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে কমিশন সদস্যগণ জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ বলেন, ‘বেশকিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। খুব শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করে ফেলা সম্ভব হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আমি আশা করি আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, ‘লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে তারা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তারা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করেছে, মতামত দিয়েছে। যেখানেই গেছি সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?’ আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনায় বসতে হবে।’
বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সকল রাজনৈতিক একমত হয়েছে যে, অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন।’
কীটনাশক ও বিষমুক্ত ফল, সবজি ও ফসল আবাদের লক্ষ্যে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনরশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) এর আওতায় পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার (১৬ জুন) উপজেলা কৃষি বিভাগের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি ময়মনসিংহের উপ-পরিচালক ড. মোছাঃ নাছরিন আক্তার বানু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি ফসলি জমিতে কীটনাশক ব্যবহারে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শরীরে পিপিই ও মাস্ক পড়ে কীটনাশক স্প্রে করার বিষয়ে গুরুত্বরোপ ও নির্দেশনা প্রদান করেন।
ড. মোছাঃ নাছরিন আক্তার বানু বলেন, ফুলবাড়িয়া উপজেলার মাটি অনেক ভালো। ফসলি জমিতে আগাছা সরাতে হবে, তাহলে আবাদ আরও বেশি ভালো হবে। অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারে মানবদেহে মারাত্মক প্রভাব পড়ে।
এসময় তিনি আরও বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কীটনাশক ও বিষমুক্ত ফল, সবজি ও ফসল উৎপাদনে বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। মাঠপর্যায়ে এ কার্যক্রম ইতিমধ্যেই ভালো সাড়া ফেলেছে।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নূর মোহাম্মদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আ র ম আতিকুর রহমান, বাকতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল হক মাখন, কালাদহ ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম মাস্টার, কৃষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষানী আকলিমা আক্তার প্রমুখ।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রে (Central African Republic) নিয়োজিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে (MINUSCA), Bangladesh Armed Military Utility Helicopter Unit-5 (BANAMUHU-5) কন্টিনজেন্ট এর মোট ১২৫ জন সদস্য প্রতিস্থাপন করতে যাচ্ছে। বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি সোমবার (১৬-৬-২০২৫) বিমান বাহিনী সদর দপ্তর-এ মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রগামী কন্টিনজেন্ট (BANAMUHU-6) এর সদস্যদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
এসময় তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সততা, পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী তথা দেশের সুনাম বয়ে আনার জন্য কন্টিনজেন্ট সদস্যদের প্রতি আহবান জানান। পরিশেষে তিনি মিশনের সাফল্য কামনায় আয়োজিত এক বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বিমান বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারগণ, ঢাকাস্থ বিমান ঘাঁটি দ্বয়ের এয়ার অধিনায়ক এবং বিমান সদর ও ঘাঁটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এখানে উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সমরাস্ত্র ব্যবহারে সক্ষম এবং নাইটভিশন প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ০৩ টি এমআই-১৭১ হেলিকপ্টার ও বিভিন্ন গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্ট মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রে MINUSCA জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিযুক্ত রয়েছে। BANAMUHU-6 কন্টিনজেন্টের নেতৃত্বে থাকবেন এয়ার কমডোর ইমরানুর রহমান, বিইউপি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, জিডি(পি)। আগামী ১৯ জুন ২০২৫ তারিখে কন্টিনজেন্ট এর সদস্যগণ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, ঢাকা হতে মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন।
দ্বিতীয় মেয়াদে গত জানুয়ারিতে শপথ নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি ‘সব যুদ্ধ বন্ধের’ পক্ষে থাকবেন এবং একজন ‘শান্তির দূত ও ঐক্য প্রতিষ্ঠাকারী’ হিসেবে নিজের উত্তরাধিকার রেখে যাবেন।
কিন্তু মাত্র ছয় মাসের মাথায় মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছোড়া শুরু হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র। গত শুক্রবার ভোরে ইরানে ইসরায়েলি হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে—এমন এক সর্বাত্মক যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। আর শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রকেও এটি সংঘাতে টেনে নিতে পারে।
ইসরায়েলের ওই হামলাকে ট্রাম্প প্রায় প্রকাশ্যেই সমর্থন জানিয়েছেন। ফলে নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার তার প্রতিশ্রুতিই এখন সবচেয়ে বড় পরীক্ষার সম্মুখীন।
ট্রাম্পের এ সমর্থন তার অনুগত রাজনৈতিক গোষ্ঠীকে, যাদের অনেকে ডানপিন্থি রাজনীতিক ও ভাষ্যকার, বিভক্ত করে ফেলেছে। তারা মনে করছেন, ইসরায়েলকে বিনা প্রশ্নে সমর্থন দেওয়া প্রকৃতপক্ষে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির পরিপন্থি। অথচ ট্রাম্পের মূল নির্বাচনী স্লোগান ছিল এটি।
আন্তর্জাতিক কূটনীতিবিষয়ক মার্কিন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান কুইন্সি ইনস্টিটিউটের নির্বাহী সহসভাপতি ত্রিতা পারসি বলেন, ‘আমেরিকা ফার্স্ট ঘাঁটির (এ নীতির সমর্থক গোষ্ঠী) অনেক অংশে এখন প্রবল ক্ষোভ ও বিশ্বাসঘাতকতার অনুভূতি বিরাজ করছে। কারণ, তারা সত্যিকার অর্থেই যুক্তরাষ্ট্রকে আর কোনো যুদ্ধে জড়িয় পড়া বা তাতে সমর্থন দেওয়ার বিষয়টি দেখতে চায় না।’
ত্রিতা পারসি আরও বলেন, ‘তারা (এ গোষ্ঠী) এখন ইসরায়েল নিয়ে ব্যাপক সংশয়ের মধ্যে পড়েছে। তারা মনে করে, এ ধরনের যুদ্ধই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টদের ব্যর্থ ও তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ অগ্রাধিকারগুলো ক্ষুণ্ন করেছে।’
ইরানে গত শুক্রবার ইসরায়েলি হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন রক্ষণশীল নেতাও এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র যেন এমন কোনো যুদ্ধে না জড়ায়, যা তার স্বার্থ রক্ষা করবে না।
ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ (এমএজিএ) আন্দোলনের বড় মুখ ও প্রভাবশালী রক্ষণশীল ভাষ্যকার টাকার কার্লসন বলেন, ইসরায়েলের বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ‘যুদ্ধপিপাসু সরকার’কে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন দেওয়া উচিত নয়।
‘ইসরায়েল চাইলে যুদ্ধ করতেই পারে। ওটা স্বাধীন রাষ্ট্র। তারা যা খুশি করতে পারে। কিন্তু সেটা যেন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে না হয়,’ গত শুক্রবার ‘টাকার কার্লসন নেটওয়ার্ক’–এর সকালের নিউজলেটারে লেখা হয়।
নিউজলেটারে আরও বলা হয়, ইরানের সঙ্গে (যুক্তরাষ্ট্রের) যুদ্ধ হলে তা ‘পরবর্তী প্রজন্মের সন্ত্রাসবাদের জন্ম দিতে পারে’ কিংবা একটি বিদেশি এজেন্ডার নামে হাজার হাজার মার্কিনের মৃত্যু ডেকে আনতে পারে।
‘এ কথা বলাই বাহুল্য যে এ ধরনের কোনো সম্ভাবনাই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লাভজনক হবে না। কিন্তু অন্য একটি পথও আছে: ইসরায়েলকে বাদ দাও। ওরা নিজেরা যুদ্ধ করুক,’ লেখা হয় নিউজলেটারে।
রিপাবলিকান সিনেটর র্যান্ড পলও ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানো নিয়ে সতর্ক করেছেন এবং ওয়াশিংটনের যুদ্ধ–সমর্থক রক্ষণশীলদের কঠোর সমালোচনা করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে র্যান্ড পল লিখেছেন, ‘মার্কিন জনগণ যে যুদ্ধের শেষ নেই, তার ঘোরবিরোধী এবং ২০২৪ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দিয়ে তাঁরা সেটাই দেখিয়েছেন।’
‘আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অনুরোধ করব যেন তিনি তার অবস্থানে অটল থাকেন, যুক্তরাষ্ট্রকে অগ্রাধিকার দেন এবং অন্য দেশের মধ্যে চলা কোনো যুদ্ধে জড়িত না হন,’ বলেন র্যান্ড পল।
ডানপন্থী কংগ্রেস সদস্য মারজোরি টেলর গ্রিনও একটি বার্তায় ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি হামলার পক্ষে নন। এর আগেও তিনি ট্রাম্পকে সতর্ক করেছিলেন, তেহরান পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হচ্ছে—এমন ইসরায়েলি অভিযোগের ভিত্তিতে যেন ইরানে হামলা চালানো না হয়।
মারজোরি টেলর এক্সে লেখেন, ‘আমি শান্তির জন্য প্রার্থনা করছি। শান্তি। এটাই আমার আনুষ্ঠানিক অবস্থান।’
যদিও ইসরায়েলের সমর্থকেরা ইরানের সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির হুমকির কথা উল্লেখ করে দেশটিতে হামলাকে যৌক্তিক বলে দাবি করছেন; তেহরান বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। এমনকি ট্রাম্পের গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ডও গত মার্চে এক সাক্ষ্যে বলেছেন, ‘আমাদের মূল্যায়ন অনুযায়ী, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বানাচ্ছে না।’
ইসরায়েলের একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত রিপাবলিকান কর্মী ও ভাষ্যকার চার্লি কার্কও ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানো নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
নিজ পডকাস্টে কার্ক বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, আমাদের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ ঘাঁটি কোনো যুদ্ধই চায় না। তারা যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা চায় না (ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে)। তারা চায় না যুক্তরাষ্ট্র এতে জড়িয়ে পড়ুক।’
গত শুক্রবার ইসরায়েল যখন ইরানের সামরিক ঘাঁটি, পারমাণবিক স্থাপনা ও আবাসিক এলাকায় বোমাবর্ষণ শুরু করে, তার কয়েক ঘণ্টা আগেই ট্রাম্প বলেছিলেন, তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছাতে তিনি আগ্রহী।
গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘বিষয়টা খুবই সহজ। জটিল কিছু না। ইরান পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারে না—এই একটাই কথা। তার বাইরে আমি চাই, তারা সফল হোক। আমরা সাহায্য করব।’
গতকাল রোববার ওমানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে ষষ্ঠ দফা আলোচনা হওয়ার কথা ছিল।
তবে শুক্রবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তিনি আগেই ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে জানতেন। অবশ্য তিনি হামলা চালাতে ইসরায়েলকে নিষেধ করেছিলেন কি না, তা বলেননি। যদিও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইসরায়েলের হামলাকে ‘একতরফা’ বলেই উল্লেখ করেছেন।
অথচ ট্রাম্প ইরানের ওপর হামলার দায় চাপিয়ে বলেন, দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য তার আহ্বানে ইরানের কর্মকর্তাদের সাড়া দেওয়া উচিত ছিল।
ট্রাম্প পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ‘আমি আগেই বলেছিলাম, তাদের জন্য এটা হবে এমন কিছু, যা তারা কল্পনাও করতে পারেননি। যুক্তরাষ্ট্র তৈরি করে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও জীবনঘাতী সামরিক সরঞ্জাম—অনেক অনেক বেশি। আর ইসরায়েলের কাছে এর অনেক কিছুই আছে, আরও আসছে।’
ত্রিতা পারসি বলেন, শুরুতে ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে সমঝোতা চেয়েছিলেন, কিন্তু তার চরম শর্ত—ইরানকে সম্পূর্ণভাবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করতে হবে—আলোচনায় অচলাবস্থা তৈরি করে।
‘এটা অনুমেয় ছিল যে এ চূড়ান্ত দাবির ফলে আলোচনা ব্যর্থ হবে। ইসরায়েল সেই ব্যর্থতাকে কাজে লাগিয়ে ট্রাম্পকে সামরিক পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছে,’ বলেন ত্রিতা পারসি।
পারসি আরও বলেন, ‘গত সপ্তাহজুড়ে ট্রাম্প কূটনৈতিক উদ্যোগের পক্ষে কথা বললেও, তিনি জানতেন ইসরায়েলের হামলা আসন্ন। এভাবে তিনি সবাইকে ভুল বার্তা দিয়েছেন যে হামলা হবে আলোচনার পরে। অথচ সেটা আগেই হয়েছে।’
ইসরায়েলের হামলার পর কংগ্রেসে কিছুটা সমালোচনা হলেও বহু রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট এই হামলার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। কিন্তু ট্রাম্পের ঘাঁটির একটি বড় অংশ, বিশেষ করে তরুণ ডানপনন্থিরা, ইসরায়েলকে অন্ধ সমর্থনের বিষয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ক্যাটো ইনস্টিটিউটের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক বিশ্লেষক জন হফম্যান বলেন, ‘তারা (ডানপন্থিরা) রিপাবলিকান পার্টির একটি উল্লেখযোগ্য অংশের প্রতিনিধিত্ব করে, বিশেষত তরুণদের মধ্যে।’
হফম্যান আরও বলেন, ‘পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক জরিপ বলছে, ৫০ বছরের নিচের অর্ধেক রিপাবলিকানই এখন ইসরায়েল সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ এই নিরন্তর যুদ্ধক্লান্তির মধ্যে হাঁপিয়ে উঠেছেন।’
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানে ইসরায়েলি হামলার প্রতি ট্রাম্পের নমনীয় অবস্থান তাঁকে আবারও এমন একটি সংকটের মুখে ফেলেছে, যেটা একসময় বুশ প্রশাসনকে ফেলেছিল।
হফম্যান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং রিপাবলিকান পার্টির অভ্যন্তরে দীর্ঘদিন ধরে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কামনা করা প্রভাবশালীদের উপস্থিতি, যেমন লিন্ডসে গ্রাহাম—এসবই বড় ঝুঁকির সৃষ্টি করছে।’
‘এ পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলার আশঙ্কা অনেক বেশি,’ বলেন হফম্যান।
সূত্র: আল জাজিরা
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চারটি গ্রামের পাঁচ যুবকের অপহরণের এক যুগ পেরিয়ে গেলেও এখনো তাদের সন্ধান মেলেনি। অপহৃতদের কেউ বেঁচে আছেন কিনা, নাকি তাঁরা চিরতরে হারিয়ে গেছেন—সে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি পরিবার, প্রশাসন কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার কাছেও।
২০১৩ সালের ১৯ মে রাতে বড়াইগ্রামের গুরুমশৈল গ্রামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অস্ত্রধারী ১০-১২ জনের একটি দল মাইক্রোবাসে এসে কৃষক কামাল হোসেনকে বাড়ির পাশ থেকে তুলে নেয়। একই রাতে একই কায়দায় অপহরণ করা হয় ওই গ্রামের দিনমজুর ইব্রাহিম তালুকদার এবং পার্শ্ববর্তী মহিষভাঙ্গা গ্রামের ভুটভুটি চালক তৈয়ব আলীকে।
অপহরণের সময় অস্ত্রধারীরা এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং অপহৃতদের মারধর করে তুলে নিয়ে যায়। এর ঠিক দুদিন আগে একই উপজেলার কালিকাপুর গ্রাম থেকে নিখোঁজ হন বিজিবি সদস্য রাসেল গাজী ও তার বন্ধু কাটাশকুল গ্রামের সেন্টু হোসেন। ছুটিতে বাড়ি এসে রাসেল তার বন্ধুর ফোন পেয়ে বের হওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ হন দুজনই।
স্বজনরা জানান, অপহরণের পরপরই তারা থানায় জিডি ও মামলার পাশাপাশি প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। কিন্তু তৎকালীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান তৎপরতা দেখা যায়নি। গুরুমশৈল গ্রামের কামালের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘এক যুগ হয়ে গেল, আমার ছেলের ছবি বুকে নিয়ে কাঁদি। কে নিল, কেন নিল, কোনো উত্তর নেই।’
নিখোঁজ ইব্রাহিম তালুকদারের মা বলেন, ‘ছেলেকে হারিয়ে আমরা পথে বসেছি। কোনো দিন কেউ খোঁজও নেয়নি।’ রাসেল গাজীর বাবা বলেন, ‘বিজিবির মতো চাকরিতে থেকেও যদি অপহৃত হয়, তবে সাধারণ মানুষের কী হবে?’
নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বলেন, ‘এই ঘটনার বিষয়ে আমরা নতুন করে তদন্ত শুরু করেছি। ইতোমধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও হাতে এসেছে। আশা করছি, দ্রুতই রহস্য উদঘাটন এবং দায়ীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’
অপহৃতদের স্বজনরা বলছেন, ‘বর্তমান সরকারের কাছে তারা আকুতি জানাচ্ছেন—তাদের প্রিয়জনেরা জীবিত না থাকলেও অন্তত কী ঘটেছে, কোথায় গেল তারা—সে রহস্য তো উন্মোচিত হোক।’
গৃহস্থদের কাছ থেকে ৭০০-৮০০ টাকায় ৪৫ কেজিতে এক মণ নাক ফজলি আম কিনছেন পাইকারি দোকানিরা। তারা সেই আম ১ হাজার ২০০ টাকায় ৪০ কেজিতে এক মণ বিক্রি করছেন। প্রতি মণ আমে নিচ্ছেন ৫ কেজি ধলতা। এতে গৃহস্থরা ওজনে আর খুচরা আম ক্রেতারা দামে ঠকছেন। পাইকারি বিক্রেতারা প্রতি মণে অর্ধেকেরও বেশি টাকা লাভ করছেন। জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌর শহরে রেলগেট এলাকায় এভাবেই সিন্ডিকেট করে আম বেচাকেনা হচ্ছে। খুচরা ক্রেতারা ও গৃহস্থরা আম ক্রয়-বিক্রয়ে প্রশাসনের নজরদারির দাবি জানিয়েছেন।
নওগাঁর বদলগাছি উপজেলায় প্রচুর নাক ফজলি আমের উৎপাদন। বদলগাছির এই নাক ফজলি আম অনান্য এলাকার চেয়ে সুস্বাদুও। প্রতি বছর আমের মৌসুমে আক্কেলপুর পৌর শহরের কিশোর মোড় থেকে রেলগেট পর্যন্ত সড়কে আমের পাইকারি বাজার বসে। এবারও আমের পাইকারি বাজার বসছে। প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত আম বেচাকেনা হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ও পাইকারিরা এসে আম কিনেন।
গৃহস্থ ও খুচরা আম ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের আগে নাক ফজলি আম ১ হাজার ৪০০ টাকা মণ বিক্রি হয়েছে। ঈদের পর নাক ফজলি আমের আমদানি বেড়েছে। এ কারণে আমের মণে ৬০০ থেকে ৪০০ টাকা দাম কমেছে। ৪০ কেজিতে মণ হলেও পাইকারিরা গৃহস্থদের কাছে ৪৫ কেজি মণে আম কিনছেন। পাইকারিরা দোকানে সেই আম ১ হাজার ২০০ টাকায় ৪০ কেজিতে মণ বিক্রি করছেন।
বদলগাছির ভাণ্ডারপুর গ্রামের গৃহস্থ মনোয়ার হোসেন বলেন, আক্কেলপুর বাজারে ৮০০ টাকা দরে তিন মণ আম বিক্রি করেছি। তিন মণ আমে আমাকে ১৫ কেজি আম বেশি দিতে হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তাদের কাছে ৪৫ কেজিতে পাইকারিরা আম কিনছেন। এটি চরম অন্যায়। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
খুচরা বিক্রেতা বেলাল হোসেন বলেন, রেলগেট এলাকার দোকান থেকে এক মণ নাক ফজলি আম ১ হাজার ২০০ টাকায় কিনলাম। দোকানিরা প্রতি মণে ৪০০-৫০০ টাকা লাভ করছে। আবার গৃহস্থদের কাছে নেওয়া ওজন দিচ্ছেন না। মৌসুমি আম বিক্রেতা হারুন বলেন, ৪৫ কেজিতে আম বিক্রি হয়। আমরা দূরে নিয়ে গিয়ে আম বিক্রি করি। তবে রেলগেট এলাকার দোকানিরা একটু বেশি দামে বিক্রি করছেন।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মামুন জমাদ্দার (৪০) নামে এক জেলের জালে ২৩ কেজি ওজনের বিশাল একটি সামুদ্রিক কোরাল মাছ ধরা পড়েছে। পরে মাছটি ২৪ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
গতকাল রোববার সকালে কুয়াকাটা মাছ বাজারের মনি ফিস নামে মৎস্য আড়তে মাছটি বিক্রি করার জন্য আনা হয়। ডাকের মাধ্যমে ১ হাজার ৫০ টাকা কেজি দরে ২৪ হাজার ১৫০ টাকায় মাছটি কিনে নেন কুয়াকাটা মাছ বাজারের ব্যবসায়ী মো. মোস্তাফিজ।
জানা গেছে, পটুয়াখালীর মহিপুর সদর ইউনিয়নের নিজামপুর গ্রামের জেলে মামুন জমাদ্দার ১২ জুন রাতে সমুদ্রে জাল ফেলেন এবং ১৪ জুন রাতে জাল তুললে তিনি তার জালে এই বিশাল আকৃতির সামুদ্রিক কোরাল মাছটি পান।
জেলে মামুন জমাদ্দার বলেন, এত বড় মাছ পাব সেটা ভাবতেও পারিনি। প্রায় দুই মাস মাছ ধরতে পারিনি। কারণ মাছ ধরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা ছিল। এই অবরোধের পর মাছটি পেয়ে ভালো দামে বিক্রি করতে পেরে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছি। মাছটির ক্রেতা কুয়াকাটা মাছ বাজারের ব্যবসায়ী মো. মোস্তাফিজ বলেন, আমাদের এলাকায় বড় বড় হোটেলগুলোতে সামুদ্রিক বড় কোরাল মাছের চাহিদা রয়েছে। আশা করছি মাছটি বিক্রি করে ভালো টাকা লাভ করতে পারব। তবে এলাকায় বিক্রি না হলে ঢাকায় পাঠিয়ে দেব।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা সমুদ্রে মাছ ধরতে নেমেছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই জেলেদের জালে বড় মাছ ধরা পড়বে। জেলেরা সঠিকভাবে নিষেধাজ্ঞা পালন করেছে বিধায় সামনের দিনগুলোতে তাদের জালে ভালো সংখ্যক মাছ ধরা পড়বে।
মন্তব্য