পুঁজিবাজারে ৬৬ কোম্পানির সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হলেও দেড় মাস পর হিসেব করলে দেখা যাবে, প্রায় অর্ধেক পরিমাণ শেয়ারের দাম ফ্লোর থেকে বেড়েছে। যেগুলোর দাম কমেছে, সেগুলোর অনেকগুলোর দামও ফ্লোরের আশপাশেই আছে।
তবে যে ৬৬ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হতো না বললেই চলে, তার সবগুলোই এখন প্রতিদিন বেশ ভালো পরিমাণ হাতবদল হচ্ছে।
এসব কোম্পানির লেনদেনে গতি আসায় বাজারেও লেনদেনে প্রভাব পড়েছে। আর এই বিষয়টি পর্যালোচনা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সব শেয়ারেই ফ্লোর প্রাইস পর্যায়ক্রমে তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও চূড়ান্ত ঘোষণা এখনও আসেনি।
গত বছর করোনা সংক্রমণের পর শেয়ার দরে ধস ঠেকাতে সব শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয়া হয়। তবে এবার করোনা পরিস্থিতিতে গত ৬ এপ্রিল হঠাৎ করেই বিএসইসির বিজ্ঞপ্তি আসে। জানানো হয় ৭ এপ্রিল থেকে ৬৬ কোম্পানির শেয়ারের কোনো সর্বনিম্ন মূল্য থাকবে না।
এই সিদ্ধান্ত আসার পর শেয়ারগুলোর পতন ঘটতে থাকে ঢালাওভাবে। আর শেয়ারধারীদের পুঁজিরক্ষায় পরদিনই বিএসইসি দেয় নতুন সিদ্ধান্ত। এসব শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ থাকলেও দর হারানোর সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ বেঁধে দেয়া হয়।
নিউজবাংলা সম্প্রতি হিসাব করে দেখেছে ৬৬ কোম্পানির মধ্যে দুইটির লেনদেন হয়নি। এর একটির লেনদেন স্থগিত, আর একটির লেনদেনের সাম্প্রতিক ইতিহাস নেই।
বাকি শেয়ারগুলোর মধ্যে বুধবার পর্যন্ত দর বেড়েছে ৩০টির। কমেছে ৩৪টির।
কিছু কোম্পানির ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ফ্লোর প্রত্যাহারের পর পর লেনদেনে গতি এসেছে। কিছু কোম্পানির ক্ষেত্রে দেখা গেছে, কয়েক দিন সময় লেগেছে, কোনো কোনো কোম্পানির লেনদেনে গতি আসতে আসতে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে গেছে। তবে এখন প্রায় সব শেয়ারেরই বেশ ভালো পরিমাণে লেনদেন হচ্ছে।
জানতে চাইলে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টের সাবেক প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘৬৬টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়া হয়েছে সেগুলো এখন লেনদেন হচ্ছে। দামের উত্থানপতনের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করছে। এটা ভালো দিক।’
তিনি বলেন, ‘বিএসইসি যদি সব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দিয়ে তাহলে যেন বর্তমানে সর্বনিম্ন ২ শতাংশ কমার সুবিধাটি অব্যাহত রাখে।’
গত বছর করোনা সংক্রমণ শুরু হলে সব শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দেয় বিএসইসি
লেনদেন বাড়ার চিত্র
ফ্লোর প্রত্যাহারের আগে মেট্রো স্পিনিং মিলসের শেয়ার ১ এপ্রিল ১ হাজার ৩০, ৫ এপ্রিল ১৪ হাজার ৮২১টি হাতবদল হয়। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন ৭ এপ্রিল লেনদেন ছিল ২৪ হাজার ৭১১টি। তবে পরে লেনদেন বাড়তে বাড়তে ১৮ মে পৌঁছেছে ৭১ লাখ ১৪ হাজার ৪৯১টি।
এই কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৮ টাকা ৫০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ২০ পয়সা। শতকরা হিসেবে দাম বেড়েছে ৫৪ শতাংশ।
ফ্লোর প্রত্যাহারের আগে কাট্টলী টেক্সটাইলের লেনদেন হতো না বললেই চলে। তবে এখন দাম বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনও বেড়েছে কয়েক গুণ।
ফ্লোর প্রত্যাহারের দুই দিন আগে ৫ মে লেনদেন হয় ৭০১টি। ৭ এপ্রিল লেনদেন বেড়ে হয় ২ লাখ ৬৯ হাজার ১৬২। এরপর বাড়তে বাড়তে ১২ মে হাতবদল হয় ১ কোটি ২৫ লাখ ৪৪ হাজার ৪৫১টি। ১৬ মে হাতবদল হয় আরও ১ কোটি ২৫ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৪টি।
কাট্টলীর ফ্লোর প্রাইস ছিল ৯ টাকা ৩০ পয়সা। প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৭০ পয়সা।
ফ্লোর ওঠার আগের দিন প্রাইম টেক্সটাইলের শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৯ হাজার ৩৪২টি। ৭ এপ্রিল হাতবদল হয় ১ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯২টি। আর ৯ মে হাতবদল হয় ৭ লাখ ৯৮ হাজার ১৩৪টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৫ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ১০ পয়সা।
বিমা খাতে গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে চাঙা ভাবের মধ্যেও স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের লেনদেনের গতি ছিল কম। ফ্লোর ওঠার আগে এমনও দিন গেছে কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি, কোনো দিন হয়েছে ১০৬টি।
তবে ফ্লোর ওঠার পর ২৮ এপ্রিল ২৩ লাখ ৩৯ হাজার ১৯৭টি, ১২ মে ২৩ লাখ ৫২৬টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪০ টাকা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৫৬ টাকা ৬০ পয়সা।
ফ্লোর ওঠার আগে রূপালী ব্যাংকের ১ এপ্রিল শূন্য, ৪ এপ্রিল ১৮৫, ৫ এপ্রিল ২২০ শেয়ার লেনদেন হয়।
তবে ৭ এপ্রিল ফ্লোর ওঠার দিন ১৫ হাজার ৫৫০টি শেয়ার হাতবদল হয়। ১২ মে হয় সর্বোচ্চ লেনদেন। সেদিন হাতবদল হয় ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৮৮৮টি শেয়ার।
এই ব্যাংকের ফ্লোর প্রাইস ছিল ২৪ টাকা ৪০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ১০ পয়সা।
ফ্লোর ওঠার আগে ৫ এপ্রিল এস্কয়ার নিট কম্পোটিজ লেনদেন ছিল ৩৪ হাজার ৬৬০টি শেয়ার। তবে ৭ এপ্রিল লেনদেন হয় ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৮৬টি শেয়ার। এরপর বাড়তে বাড়তে ১৬ মে হাতবদল হয় ৯ লাখ ৯৫ হাজার ৭১৯টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২১ টাকা ৯০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৯০ পয়সা।
ফ্লোর প্রত্যাহারের আগে ৪ ও ৫ এপ্রিল ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স শূন্য, ৬ এপ্রিল হাতবদল হয় ১ হাজার ৩০০ শেয়ার। ফ্লোর তুলে নেয়ার পর ৭ এপ্রিল কেনাবেচা হয় ৩ হাজার ৪৫০টি। তবে ৫ মে সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ৭ লাখ ১১ হাজার ৮১৭টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪০ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ৮০ পয়সা।
৪ এপ্রিল আইপিডিসি ফিন্যান্সের শেয়ার লেনদেন হয় ২২ হাজার ৩৮৬টি। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন ৭ এপ্রিল লেনদেন হয় ৮৪ হাজার ২৩টি শেয়ার। ১৯ মে বেড়ে হয় ছয় লাখ ৭ হাজার ৭৯৩টি।
কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২২ টাকা ৬০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ৫০ পয়সা।
৪ এপ্রিল ফিনিক্স ফিন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন ছিল ৩৪ হাজার ৬২৮টি। ফ্লোর ওঠার দিন হাতবদল হয় ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৯৬৩টি। আর ৫ মে হয় সর্বোচ্চ লেনদেন। সেদিন হাতবদল হয় ৩৪ লাখ ৪৩ হাজার ১২টি।
ফান্ডটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৭ টাকা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা।
ফিনিক্স ফিন্যান্সের শেয়ার ১ থেকে ৪ এপ্রিল একটিও লেনদেন হয়নি। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন ৭ এপ্রিল হাতবদল হয় ২০০টি। এরপর গতি পেয়ে একপর্যায়ে ৩ মে হাতবদল হয় ২ লাখ ৯ হাজার ৯৩৩টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২২ টাকা ৭০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৮০ পয়সা।
২৮ মার্চ এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ডের ৪ হাজার ৪৩৮টি ইউনিট হাতবদল হয়। ৪ এপ্রিল হয় ১ লাখ ৪০ হাজার ৯৯৩টি। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন লেনদেন হয় ১০ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৪টি।
সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ৪ মে ২৫ লাখ ১৭ হাজার ৯০৫টি।
ফান্ডটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৭ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৩০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের লেনদেন ছিল একেবারেই তলানিতে। ৭ এপ্রিল ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন হাতবদল হয় তিনটি শেয়ার। পরে বেড়ে ১৬ মে লেনেদেন হয় ৩৫ লাখ ৪১ হাজার ২২২টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২২ টাকা ৫০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৭০ পয়সা।
৪ এপ্রিল বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসের ৪৯২টি, ৬ এপ্রিল হাতবদল হয় এক হাজার ৬০৫। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন লেনদেন হয় ১১ হাজার ৫৪২টি। ১২ মে হয় সর্বোচ্চ ছয় লাখ ৪৮ হাজার ৩৪৯টি হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৬ টাকা ২০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৪০ পয়সা।
ফ্লোর তোলার আগের দিন আর এন স্পিনিংয়ের লেনদেন ছিল ৭৩ হাজার ৮০১টি। পরদিন হাতবদল হয় ৯৭ হাজার ৪৫১টি। লেনদেন পরে কমে গেলেও আবার বাড়তে বাড়তে ২০ লাখ ৩৩ হাজার ৯৫১টিতে উঠে ৬ মে।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩ টাকা ৭০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৭০ পয়সা।
ফ্লোর প্রত্যাহারের আগের দিন আইএফআইএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ইউনিট হাতবদল হয় নয় হাজার পাঁচটি। পরদিনই হয় এক লাখ তিন হাজার ৩৮১টি। আর ১২ মে সর্বোচ্চ লেনদেন। হাতবদল হয় এক লাখ ৯১ হাজার ১৪০টি।
ফান্ডটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৬ টাকা ২০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৫০ পয়সা।
১ এপ্রিল থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বেঙ্গল উন্ডশন থার্মোপ্লাস্টিসের কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি। ৭ এপ্রিল লেনদেন হয় ছয় হাজার ৫০৮টি। ১২ মে দুই লাখ এক হাজার ৪৭৪টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৭ টাকা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৬০ পয়সা।
সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালেসের শেয়ার ফ্লোর প্রত্যাহারের দুই দিন আগে ৫ এপ্রিল শূন্য ও ৬ এপ্রিল ১৭১টি হাতবদল হয়। ৭ এপ্রিল হয় ১২ হাজার ২৩৯টি। আর সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ১৬ মে ২০ লাখ ৪৫ হাজার ৪১১টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১২ টাকা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৪০ পয়সায়।
২১ মার্চ থেকে শুরু হরে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন ছিল একেবারেই কম। ৭ এপ্রিল হাতবদল হয় ৬ লাখ ৪১ হাজার ৭৩২টি। সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ১২ মে ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ১৯২টি।
ফান্ডটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৬ টাকা ৯০ পয়সা। বুধবার তা দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৩০ পয়সা।
দেশবন্ধু পলিমারের শেয়ার ৪ এপ্রিল ১১৫টি, ৫ এপ্রিল ১৩ হাজার ১০টি শেয়ার হাতবদল হয়। ৭ এপ্রিল লেনদেন হয় দুই লাখ চার হাজার ৯৮১টি। ১৬ মে হাতবদল হয় ১৫ লাখ ৯০ হাজার ৫৩৩টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১০ টাকা ৪০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ১০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে এমনকি ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত ইভেন্স টেক্সটাইলের লেনদেন ছিল খুবই কম। ৭ এপ্রিলও কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি। তবে লেনদেন বাড়তে বাড়তে ১৬ মে উঠে ৩৩ লাখ ২১ হাজার ৬৭০টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৮ টাকা ২০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৬০ পয়সা।
১ এপ্রিল ৮৫, ৪ এপ্রিল ১১টি ও ৫ এপ্রিল একটি শেয়ার লেনদেন হয় হামিদ ফেব্রিক্সের। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন তা বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজার ৪৭০টি। পরে বাড়তে বাড়তে আট লাখ ৭৯ হাজার ২১৭টি শেয়ার লেনদেন হয় ১৬ মে।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৫ টাকা ৭০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৩০ পয়সা।
প্যাসিফিক ডেনিমের শেয়ার ১১ মার্চ থেকে লেনদেন হতোই না বললে চলে। ১ এপ্রিল এক হাজার ৫০৩, ৪ এপ্রিল এক হাজার ৩৬৭, ৫ এপ্রিল শূন্য, ৬ এপ্রিল চার হাজার ৪৬৯টি শেয়ার হাতবদল হয়। ৭ এপ্রিল হয় এক হাজার ৬৭৬টি।
এরপর বাড়তে বাড়তে ১২ মে ৫১ লাখ এক হাজার ৮৩৭টি আর ১৬ মে ৫২ লাখ দুই হাজার ১৬টি শেয়ার লেনদেন হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৮ টাকা ৫০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৯০ পয়সা।
সাফকো স্পিনিং এর শেয়ার ১ এপ্রিল লেনদেন হয় এক হাজার ২৪৫টি, ৫ এপ্রিল ১০১, ৬ এপ্রিল ছয় হাজার ৮৪৫টি। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন লেনদেন ছিল ৫০০টি। তবে লেনদেন বেড়ে ১৬ মে হয় আট লাখ তিন হাজার ১১১টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১১ টাকা ২০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৯০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ফ্লোর প্রত্যাহারের পরেও ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত জাহিন স্পিনিং মিলসের লেনদেন ছিল একেবারেই কম। কোনো কোনোদিন কোনো শেয়ারই কেনাবেচা হয়নি।
৭ এপ্রিল ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন হাতবদল হয় দুইশটি শেয়ার। তবে বাড়তে বাড়তে ১৬ মে হাতবদল হয় ৩১ লাখ ৭৫ হাজার ৮৯১টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৬ টাকা ৩০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ১০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ফ্লোর প্রত্যাহারের পরেও ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত রিং সাইন টেক্সটাইলের লেনদেন হয়নি বললেই চলে। ৭ এপ্রিল হাতবদল হয় কেবল ৫০টি। তবে ২৯ এপ্রিল থেকে বাড়তে থাকে লেনদেন। ১৯ মে হাতবদল হয় এক কোটি ৪৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫৬২টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৬ টাকা ৪০ পয়সা। বুথবার দাম দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ১০ পয়সা।
২৪ মার্চ থেকে রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলসের লেনদেনের খরা ছিল। ৫ এপ্রিল শূন্য, ৬ এপ্রিল দুই হাজার ১০৪টি আর ৭ এপ্রিল ৫টি শেয়ার হাতবদল হয়। ১৬ মে লেনদেন বেড়ে হয় ১৪ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮১।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৭ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৫০ পয়সায়।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের লেনদেন ছিল না বললেই চলে। ৭ এপ্রিল হাতবদল হয় কেবল ৫টি শেয়ার। তবে ১৩ এপ্রিল থেকে গতি পায় লেনদেনে। ৯ মে হাতবদল হয় ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ৯৯টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৪ টাকা ৬০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা।
৪ এপ্রিল শূন্য, ৫ এপ্রিল ৬৬৩, ৬ এপ্রিল ৫ এমনকি ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন ৭ এপ্রিল কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি কুইন সাউথ টেক্সটাইলের। তবে পরে বাড়তে বাড়তে ১৬ মে হাতবদল হয় আট লাখ ৬ হাজার ২৯৫টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২৪ টাকা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৫০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ফ্লোর প্রত্যাহারের পর ৭ এপ্রিল পর্যন্ত শাসা ডেনিমের শেয়ার লেনদেন হয়নি বললেই চলে। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন হাতবদল হয় মাত্র ২০টি শেয়ার। তবে এরপর ১৬ মে ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৬৮টি শেয়ার লেনদেন হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২১ টাকা ৬০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৮০ পয়সা।
ফ্লোর প্রত্যাহারের আগের দিন ৬ মে অলেম্পিক একসেসরিসের লেনদেন হয় পাঁচ হাজার ১৩২টি শেয়ার। পরদিন ফ্লোর উঠে যাওয়ার দিন হাতবদল হয় ১৪ হাজার ৪৭৯টি শেয়ার।
সর্বোচ্চ হাতবদল হয় ১৮ মে এক লাখ ৭২ হাজার ৭২২টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৬ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৮০ পয়সা।
৪ এপ্রিল নাভানা সিএনজির দুই হাজার ১১১, পরদিন আট হাজার ৮৯৭, ৬ এপ্রিল ২২ হাজার ৮৩০টি শেয়ার হাতবদল হয়। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন দরপতন হলে শেয়ারের লেনদেন কমে আসে। হাতবদল হয় ছয় হাজার ৭৮৭টি। তবে ১৭ মে হাতবদল হয় দুই লাখ ৭৫ হাজার ২৩৩টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩৩ টাকা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৫০ পয়সা।
ফ্লোর প্রাইস থেকে কমেছে যেগুলো
২২ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত এমএল ড্রাইংয়ের লেনদেন হয়নি বললেই চলে। ফ্লোর তুলে দেয়ার দিন একটি শেয়ারও হাতবদল হয়নি। তবে ২৯ এপ্রিল থেকে গতি পায় লেনদেনে। ১২ মে সর্বোচ্চ ৫১ লাখ ৭০ হাজার ৬৪১টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৫০ টাকা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ৩০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের লেনদেন ছিল তলানিতে। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন ৭ এপ্রিল কোনো শেয়ারই হাতবদল হয়নি। তবে ২৯ এপ্রিল থেকে লেনদেনে গতি আসে। আর ১৭ মে সর্বোচ্চ ৪৯ লাখ ৯৯ হাজার ৬০১টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২১ টাকা ৭০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৫০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সোনারগাঁও টেক্সটাইলের লেনদেন হয়নি বললেই চলে। ফ্লোর তুলে নেয়ার দিন ৭ এপ্রিল হাতবদল হয় ৪৪৫টি। ২৮ এপ্রিল হয় ১০টি। তবে এরপর লেনদেনে আসে গতি। ২ মে লেনদেন হয় আট রাখ ৫৬ হাজার ৭১৮টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২৪ টাকা ৫০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৬০ পয়সা।
৫ এপ্রিল আরএসআরএম স্টিল মিলসের ৩০টি, পরদিন ১২টি আর ফ্লোর উঠার দিন ৭ এপ্রিল ৩৫০টি শেয়ার হাতবদল হয়। লেনেদেন বাড়তে বাড়তে ২৯ এপ্রিল ৭ লাখ ৭৭ হাজার ২৩৬টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২২ টাকা ৯০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ১০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ এপ্রিল ফ্লোর উঠার দিন পর্যন্ত ওয়াইমেক্স ইলেকট্রোডের লেনদেন ছিল তলানিতে। ফ্লোর উঠার দিন হাতবদল হয় ২০১টি শেয়ার। তবে ২২ এপ্রিল থেকে গতি পায় লেনদেনে। ২৯ এপ্রিল সর্বোচ্চ তিন লাখ ৯৬ হাজার ৭৬২টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২৪ টাকা ৩০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৫০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত কোনো কোনো দিন কেপিসিএলের এমনকি একটি শেয়ারও হাতবদল হয়েছে। ফ্লোর উঠার দিন ৭ এপ্রিল লেনদেন হয় ২১ হাজার ৩৬৫টি শেয়ার। পরে বাড়তে বাড়তে ২৯ এপ্রিল হাতবদল হয় ৩৯ লাখ ১৪ হাজার ২৭৫টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৫ টাকা ৩০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ৩০ পয়সা।
২২ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের হাতবদল হওয়া শেয়ারের পরিমাণ ছিল খুবই কম। ফ্লোর প্রাইস ওঠিয়ে দেয়ার দিনও কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি। ১৫ এপ্রিল থেকে হাতবদল হতে শুরু করে কোম্পানিটির শেয়ার। সর্বোচ্চ হাতবদল হয় ১৯ মে ১৩ লাখ ২ হাজার ৫৩টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ২৪ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৩০ পয়সা।
আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ফ্লোর উঠানোর আগে লেনদেনে কোনো গতি ছিল না। যেদিন ফ্লোর প্রাইস ওঠিয়ে দেয়া হয় সেদিনও কোম্পানিটির মাত্র ৩৯৫টি শেয়ার লেনেদেন হয়। তবে সর্বোচ্চ হাতবদল হয়েছে ১৬ মে, ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬২৬টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২৬ টাকা ২০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ১০ পয়সায়।
৪ এপ্রিল ফার ক্যামিকেলের এক হাজার, ৫ এপ্রিল শূন্য, ৬ এপ্রিল পাঁচশটি শেয়ার লেনদেন হয়। ফ্লোর উঠার পর ৭ এপ্রিল হাতবদল হয় তিন হাজার ৫৫০টি। এরপর বাড়তে বাড়তে ১৬ মে হাতবদল হয় ১৫ লাখ ৬৪ হাজার ৮৩৮টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৯ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ২০ পয়সা।
৪ এপ্রিল গোল্ডেন হারভেস্ট এগ্রোর ৭০০, ৫ এপ্রিল শূন্য, ৬ এপ্রিল এক হাজার চারশ শেয়ার হাতবদল হয়। ফ্লোর উঠার দিন ৭ এপ্রিল লেনদেন ছিল এক লাখ ১৩ হাজার ২৫৪টি। এরপর ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত লেনদেনে দেখা দেয় খরা। পরে ২০ এপ্রিল হাতবদল হয় ৩৩ লাখ ৯৬ হাজার ৩৮৬টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৬ টাকা ৭০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৮০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইন্দোবাংলা ফার্মাসিউটিক্যালের লেনদেনে ছিল খরা। ফ্লোর উঠার দিন হাতবদল হয় ৬৪৭টি শেয়ার। তবে এরপর বাড়তে বাড়তে ১২ মে পৌঁছে ২৭ লাখ ৩০ হাজার ৪৮৫টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৯ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ২০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের লেনদেন ছিল তলানিতে। ফ্লোর উঠার দিন ৭ এপ্রিল কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি। তবে ২৯ এপ্রিল থেকে লেনদেনে আসে গতি। আর ২ মে সর্বোচ্চ ৪০ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৬টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৭ টাকা ৬০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৩০ পয়সা।
১ ও ৪ এপ্রিল নাহী অ্যালুমিনিয়ামের শূন্য, ৫ এপ্রিল ৫০, ৬ এপ্রিল ১০৩টি শেয়ার হাতবদল হয়। ফ্লোর উঠার দিন ৭ এপ্রিল লেনদেন হয় এক হাজারটি শেয়ার। আর এরপর বাড়তে বাড়তে ১৬ মে উঠে ১২ লাখ ৩৬ হাজার ২৯২টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৭ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকা ৫০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত সায়হাম কটনের লেনদেন ছিল তলানিতে। এরপর বাড়তে বাড়তে ২ মে হাতবদল হয় ৩৬ লাখ ৬৭ হাজার ৬৮৩টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৬ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৫০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের লেনদেন ছিল তলানিতে। ৭ এপ্রিল ফ্লোর উঠার দিন হাতবদল হয় ৫০০টি শেয়ার। ১৬ মে হাতবদল হয় ৫ লাখ ৬১ হাজার ৮৯২টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৫ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৩০ পয়সা।
১ এপ্রিল প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ১৩১টি, ৩ এপ্রিল এক হাজার একটি, ৫ এপ্রিল ১৪ হাজার ৬৬০টি, ৬ এপ্রিল ২১৬টি শেয়ার হাতবদল হয়।
ফ্লোর উঠার দিন ৭ এপ্রিল লেনদেন হয় পাঁচ হাজার ৯৭০টি। ১৮ মে হয় সর্বোচ্চ লেনদেন। হাতবদল হয় ১০ লাখ ৫৩ হাজার ৬১৩টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৮ টাকা ৯০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ৫০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সায়হাম টেক্সটাইলের লেনদেন একেবারে তলানিতে। ফ্লোর উঠার দিন ৭ এপ্রিল কোনো শেয়ার লেনদেন হয়নি। তবে ২৯ এপ্রিল থেকে গতি পায় লেনদেনে। ২ মে সর্বোচ্চ ২৯ লাখ ৯৮ হাজার ৮৭৩টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২৪ টাকা ৫০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ১০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে একদিন ৮ মার্চ ১৯ হাজারের কিছু বেশি শেয়ার লেনদেন ছাড়া ৭ এপ্রিল পর্যন্ত উত্তরা ফিন্যান্সে আগ্রহ ছিল না বললেই চলে। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন লেনদেন হয় ১৮৭টি শেয়ার।
লেনদেন বাড়তে থাকে ১৩ এপ্রিল থেকে। ২০ এপ্রিল সর্বোচ্চ এক লাখ ৭৫ হাজার ৫৪৯টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৩ টাকা ৬০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ৫০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের লেনদেন ছিল না বললেই চলে। ফ্লোর উঠার দিন হাতবদল হয় এক হাজার ৩২৫টি। ১২ এপ্রিলের পর বাড়তে বাড়তে ১২ মে লেনদেন পৌঁছে ৩৪ লাখ ৫ হাজার ৩৫০টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১১ টাকা ৫০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৪০ পয়সা।
১ এপ্রিল উসমানিয়া গ্লাস শিটের ২০০, ৪ এপ্রিল একটি শেয়ার হাতবদল হয়। ফ্লোর উঠার দিন ৭ এপ্রিল লেনদেন হয় এক হাজার ১৩০টি। পরদিনই হয় গত এক দেড় মাসে সর্বোচ্চ লেনদেন। সেদিন হাতবদল হয় ৩০ হাজার ৮৪৫টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৪ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৫০ পয়সা।
৪ এপ্রিল সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজের ২০৫টি, ৬ এপ্রিল ৭৫২টি এবং ফ্লোর প্রত্যাহারের দিক ৭ এপ্রিল হাতবদল হয় ৪৮০টি শেয়ার। এরপর বাড়তে বাড়তে ১৭ মে লেনদেন পৌঁছে তিন লাখ ৩৮ হাজার ৬৪৫টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৮ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকা ৮০ পয়সা।
২৪ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ইউনিক হোটেলের লেনদেন ছিল তলানিতে। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন হাতবদল হয় ৫১টি শেয়ার। তবে পরে গতি পায়। ৬ মে সর্বোচ্চ এক লাখ ৮৭ হাজার ৬৭২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩৯ টাকা ৫০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ২০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ মার্চ ছাড়া ৭ এপ্রিল পর্যন্ত সিলভা ফার্মার লেনদেন ছিল তলানিতে। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন হাতবদল হয় এক হাজার ১৪টি শেয়ার। তবে ১৬ মে হাতবদল হয় সর্বোচ্চ ১৫ লাখ ৬৪ হাজার ২৯৮টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৮ টাকা ৩০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৩০ পয়সা।
১ এপ্রিল দুলামিয়া কটনের ১৫০, ৪ এপ্রিল শূন্য, ৫ এপ্রিল ৪৮, ৬ এপ্রিল ১১৫ শেয়ার হাতবদল হয়। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন ৭ এপ্রিল কোনো শেয়ার লেনদেন হয়নি। তবে পরে ১৮ মে লেনদেন বেড়ে হয় ২৬ হাজার ১৬০টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ৪৮ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৯০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নূরানী ডাইংয়ের বলার মতো কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি। ৭ এপ্রিল ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন লেনদেন হয় কেবল এক হাজার শেয়ার। পরে বাড়তে বাড়তে ১৬ মে লেনদেন হয় ২১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৭৪টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৭ টাকা ৭০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৪০ পয়সা।
১ এপ্রিল ইয়াকিন পলিমারের ৯৫৬, ৪ এপ্রিল এক হাজার ৭৫০, পরদিন চার হাজার ৪৫০, ৬ এপ্রিল তিন হাজার ২৮২টি শেয়ার হাতবদল হয়। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন ৭ এপ্রিল লেনদেন হয় সাত হাজার ৬৫টি শেয়ার। আর সর্বোচ্চ হাতবদল হয় ২ মে নয় লাখ ৯৫ হাজার ২১৯টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১১ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৫০ পয়সা।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২২ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার দর দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৯০ পয়সা।
৪ এপ্রিল শূন্য, ছয় এপ্রিল তিনটি শেয়ার হাতবদল হয় এএফসি এগ্রো বায়োটেকের। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন হাতবদল হয় ৫০০ টি। ১৬ এপ্রিল লেনদেন বেড়ে হয় নয় লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৯টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৭ টাকা। বুধবার তা দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৪০ পয়সায়।
আরগন ডেনিমের শেয়ার ৪ ও ৫ এপ্রিল লেনদেন হয়নি একটিও। ফ্লোর প্রত্যাহারের আগের দিন ৬ এপ্রিল ১০৩টি হাতবদল হলেও প্রত্যাহারের দিনও কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি। পরে জট খোলার পর নিয়মিত হাতবদল হতে থাক শেয়ার। ১৬ মে সর্বোচ্চ ১৬ লাখ ৩৯ হাজার ৭০২টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৯ টাকা ২০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ১০ পয়সা।
১ ও ৪ এপ্রিল বিচ হ্যাচারির শূন্য, ৫ এপ্রিল ৮০, ৬ এপ্রিল ৭৪৩টি শেয়ার হাতবদল হয়। ৭ এপ্রিল লেনদেন বেড়ে হয় ১৩ হাজার ২৩৫টি। সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ৪ মে দুই লাখ ৫২ হাজার ৪৯০টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৩ টাকা ৬০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ২০ পয়সা।
কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার ৫ এপ্রিল ৩০২, ৬ এপ্রিল লেনদেন হয়েছে একটি। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন হয় চার হাজার। ১৬ মে লেনদেন হয় ১০ লাখ ৫১ হাজার তিনটি।
লিমিটেডের ফ্লোর প্রাইস ছিল ২০ টাকা ৭০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৭০ পয়সা।
২৪ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ডেসকোর লেনদেন হয়নি বললেই চলে। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন হাতবদল হয় ৪৩০টি। তবে ১৫ এপ্রিল হাতবদল হয় দুই লাখ তিন হাজার ৪০০টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩৪ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার তা দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৩০ পয়সা।
৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল গ্লোবাল হ্যাভি ক্যামিকেলের কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি। ৪ এপ্রিল হয় দুটি, ৫ এপ্রিল ৪৮১ আর ৬ এপ্রিল আবার কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি।
ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন লেনদেন হয় ৫ হাজার ৯৭৬টি। এরপর বাড়তে বাড়তে ১২ মে হয় ৮২ হাজার ৬৮২টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩১ টাকা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৬০ পয়সা।
ফ্লোর প্রত্যাহারের আগে বেশ কয়েকদিন কোনো লেনদেন না হওয়া এডভান্ট ফার্মার শেয়ার হাতবদল হয়নি ফ্লোর প্রত্যাহারের দিনও। ১৮ এপ্রিল তিন হাজার ৪২৭টি শেয়ার হাতবদলের পর বাড়তে থাকে লেনদেন। ১৬ মে হাতবদল হয় ৫১ লাখ ৭৬ হাজার ৮৫০টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২২ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৯০ পয়সা।
আরও পড়ুন:দুর্নীতিগ্রস্ত কোনো ব্যক্তিকে নির্বাচনে মনোনয়ন না দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি অপরাধ ও দুর্নীতির সঙ্গে রাজনীতির যোগসূত্র থাকে। শীর্ষ পর্যায়ে দুর্নীতি রেখে সামগ্রিকভাবে দেশকে ভালো করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সততা আনতে পারলেই দেশের দুর্নীতি দমনে পরিবর্তন আসবে। আমরা জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে সৎ লোককে চাই।
গতকাল মঙ্গলবার দুদকের সম্মেলনকক্ষে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র্যাক) সদস্যদের এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেন কোনো দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি মনোনয়ন না পায়, এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন বেচাকেনা বন্ধ করতে হবে। এটি যদি বন্ধ না করা যায়, তাহলে দুর্নীতি কখনোই নির্মূল হবে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে বহু প্রভাবশালী ব্যবসায়ী দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে প্রায় সর্বস্বান্ত করে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। এসব দুর্নীতির তদন্ত দুদক ভয়ভীতিহীনভাবে চালিয়ে যাচ্ছে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যসহ পলাতক দুর্নীতিবাজদের দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশসহ বিভিন্ন আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরানো কঠিন হলেও দুদকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এ বিষয়ে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন দুদক সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম, মহাপরিচালক আবদুল্লাহ-আল-জাহিদ এবং আবু হেনা মোস্তফা জামান।
চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাসদের সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আগামী ২৩ অক্টোবর। এছাড়া ইনুর সঙ্গে তার আইনজীবীর তিন দিন দুই ঘণ্টা করে সাক্ষাতের অনুমতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
ইনুর আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গতকাল মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। ইনুর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নাজনীন নাহার।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ রয়েছে হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে, মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেক মামলায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফসহ চারজনকে আগামী ২৩ অক্টোবরের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জড়িত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য আসামি চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দাখিল করেছে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত ১৪ আগস্ট মামলায় শেখ হাসিনাসহ মোট ২৮৬ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আসামিদের অনুপস্থিতিতেই বিচারকাজ শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এই আদেশ দেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জন ও অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা রুজু করে সিআইডি। বিষয়টি সিআইডি থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
সিআইডি জানায়, মামলা রুজুর পর সংশ্লিষ্ট ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, সার্ভার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তথ্য সংগ্রহ এবং ফরেনসিক বিশ্লেষণ কার্যক্রম শুরু করে সিআইডি। পাশাপাশি সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় সকল সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করে। এভাবে পাঁচ মাসেরও কম সময়ে শেখ হাসিনাসহ মোট ২৮৬ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে সিআইডি।
সিআইডি আরও জানায়, ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর জুমে একটি মিটিং করে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামের একটি অনলাইন প্লাটফর্ম। সেখানে অংশগ্রহণ করেন দেশ ও বিদেশ থেকে অনেকেই। সিআইডি জনাতে পারে, ওই মিটিংয়ে বর্তমান সরকারকে উৎখাতের আহ্বান, গৃহযুদ্ধ সৃষ্টির পরিকল্পনা এবং পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠার ঘোষণাসহ রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য রয়েছে। এসব তথ্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের কাছে অভিযোগ দায়েরের জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত মার্চে সিআইডিকে অনুমতি দেয়।
এসব তথ্য-উপাত্ত পরীক্ষার জন্য পাঠালে সেখানে শেখ হাসিনা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ড. রাব্বি আলমসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের এই রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পায়। অন্যান্য মামলায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য সিআইডি বিজ্ঞ আদালতকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার মাধ্যমে মোট ৯১ জনের গ্রেপ্তার নিশ্চিত করে। এছাড়া বাকি ১৯৫ জন আসামি পলাতক রয়েছেন।
গতকাল মামলাটির শুনানি ধার্য ছিল। অধিকাংশ আসামি অনুপস্থিত থাকায় আদালত জাতীয় পত্রিকাতে বিজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচারিক আদালতে বিচারকার্য পরিচালিত হওয়ার আদেশ দেন।
রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে একটি পোশাক কারখানা ও একটি কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনো অনেকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনেরা। অগ্নিকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল ও আশপাশের হাসপাতালগুলোতে নিখোঁজ স্বজনদের খুঁজে ফিরছেন অসংখ্য মানুষ। অনেকে প্রিয়জনের ছবি হাতে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম গণমাধ্যমকে বলেন, রূপনগরে আগুনের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জন হয়েছে। প্রথমে ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, পরে আবার ৭ জনের মরদেহ নতুন করে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিসের ডিরেক্টর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গার্মেন্টস ভবনের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে কেমিক্যাল ভবনের আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণ এবং উদ্ধারে বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাও কাজ করছে। পোশাক কারখানার ভেতরে ঢুকতে পারলেও এখনো রাসায়নিকের গুদামে প্রবেশ করা যায়নি। এই অবস্থায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সকল লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের কাছে আগুনের সংবাদ আসে। সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ১১টা ৫৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
ঘটনাস্থলে গিয়ে শিয়ালবাড়িতে চারতলা ভবনে থাকা ‘আনোয়ার ফ্যাশন’ নামের একটি পোশাক কারখানা এবং তার পাশে থাকা টিনশেড ঘরে রাসায়নিকের গুদামে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।
এর মধ্যে কারখানা থেকে ৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। পরে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জন হওয়ার কথা জানায় ফায়ার সার্ভিস।
বিকেলে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘তল্লাশি অভিযান এখনো চলমান। পাশের যে কেমিক্যাল গোডাউন রয়েছে, সেখানে এখনো আগুন জ্বলছে। এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ওখানে কাউকে যেতে দিচ্ছি না। আমরা সর্বোচ্চ প্রযুক্তি দিয়ে, ড্রোন দিয়ে এসব কার্যক্রম করছি।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, আগুনের সূত্রপাত এখনো জানা যায়নি। যারা শুরুতে আগুন নেভাতে এসেছেন, তারা রাসায়নিকের গুদাম ও গার্মেন্টস দুই দিকেই আগুন দেখেন।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, পোশাক কারখানার নিচ তলায় ‘ওয়াশ ইউনিট’ রয়েছে। সেখানে প্রথম আগুন লাগে। সেই আগুন পাশের রাসায়নিকের গুদামে ছড়িয়ে পড়লে সেখানে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর আগুন চার তলা পোশাক কারখানার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
আগুন লাগার পর কারখানা থেকে শ্রমিকেরা নানাভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করেন। এর মধ্যেই অনেকে আটকা পড়েন।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বলেন, রাসায়নিকের গুদামে ব্লিচিং পাউডার, প্লাস্টিক, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড ছিল প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ঘটনার পর থেকে রাসায়নিকের গুদামের মালিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের জানান ফায়ার ব্রিগেডের পরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, দেখে মনে হচ্ছে, এই রাসায়নিকের গুদামের অনুমোদন নেই। যাচাই-বাছাই করে তদন্ত করে বিস্তারিত পরে জানা যাবে।
এদিকে এ ঘটনায় কেন এত মৃত্যু হলো, প্রাথমিকভাবে তার কয়েকটি কারণ জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তাদের ধারণা, কারখানার পাশে থাকা রাসায়নিকের গুদামে বিস্ফোরণের পর সেখান থেকে বিষাক্ত সাদা ধোঁয়া বা টক্সিক গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে, যা ছিল প্রাণঘাতী।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, ‘আগুন খুব দ্রুত ‘ডেভেলপ স্টেজ’ বা তৃতীয় ধাপে পৌঁছে যায়, ফলে ভুক্তভোগীরা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন।’ এছাড়া যে পোশাক কারখানার ভবন থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে, সেই ভবনের ছাদের দরজায় দুটি তালা লাগানো ছিল। এর ফলে কারখানার শ্রমিকেরা কেউ ওপরে উঠতে পারেননি। এছাড়া পোশাক কারখানার ভবন ও রাসায়নিকের গুদাম কোনোটিরই অগ্নিনিরাপত্তা সনদ ছিল না বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
কারখানা ভবন ও রাসায়নিকের গুদামে আগুন নিয়ন্ত্রণ এবং কারখানা ভবনে তল্লাশি অভিযান চলার মধ্যে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।
পোশাক কারখানা ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে জানিয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রাসায়নিকের গুদামের আগুন এখনো জ্বলছে। সেখানে এখনো ধোঁয়া ও আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছে। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগবে। ওই গুদামে ৬-৭ ধরনের রাসায়নিক ছিল।
ঘটনাস্থল থেকে ১৬টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, মরদেহগুলো পোশাক কারখানার ভবনের দোতলা ও তিন তলায় বিভিন্ন স্থানে পাওয়া গেছে। মরদেহগুলোর অবস্থা এমন যে সেগুলো ডিএনএ টেস্ট ছাড়া শনাক্ত করা সম্ভব নয়।
কীভাবে এই আগুনের সূত্রপাত, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। এর আগে বিকেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছিলেন, যারা শুরুতে আগুন নেভাতে এসেছেন, তারা রাসায়নিকের গুদাম ও পোশাক কারখানার দুই দিকেই আগুন দেখেছেন।
তবে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, রাসায়নিকের গুদামের পাশে একটি ‘ওয়াশ ইউনিট’ রয়েছে। সেখানে প্রথম আগুন লাগে। সেই আগুন পাশের রাসায়নিকের গুদামের ছড়িয়ে পড়লে সেখানে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর আগুন পোশাক কারখানার ওই পাঁচ তলা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।
ওই কারখানা ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় আরএন ফ্যাশন নামের একটি পোশাক কারখানা রয়েছে। সেখানে গেঞ্জি তৈরি করা হতো। দোতলায় ছিল টি-শার্ট প্রিন্ট ফ্যাক্টরি, নাম স্মার্ট প্রিন্টিং। আর পাঁচ তলায় বিসমিল্লাহ ফ্যাশন নামে আরেকটি প্রিন্ট কারখানা চলছিল। আগুন লাগার পর কারখানা ভবন থেকে শ্রমিকেরা নানাভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করেন। এর মধ্যেই অনেকে আটকা পড়েন।
ঘটনার পর থেকে রাসানিকের গুদামের মালিক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে ফায়ার ব্রিগেডের পরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, পোশাক কারখানা ও রাসায়নিক গুদামটির কোনো ফায়ার সেফটি প্ল্যান বা লাইসেন্স ছিল না।’
প্রধান উপদেষ্টার শোক
অগ্নিকাণ্ডে ১৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা নিহত ব্যক্তিদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এই দুর্ঘটনায় নিরীহ মানুষের মৃত্যু অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও হৃদয়বিদারক। আমরা এই শোকের সময়ে তাদের পরিবারের পাশে আছি।’
প্রধান উপদেষ্টা অগ্নিকাণ্ডে আহত ব্যক্তিদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দেন।
তারেক রহমানের শোক
মিরপুরে আগুনের ঘটনায় ১৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই শোকবার্তা দেন। শোকবার্তায় তারেক রহমান নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং আহতদের দ্রুত পূর্ণ সুস্থতার দোয়া করেন।
তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তার মান নিশ্চিত করার জন্য আমাদের অবশ্যই কাজ করতে হবে। যাতে অবহেলার কারণে আর কোনো প্রাণহানি না ঘটে। সরকারকে স্বচ্ছতার সঙ্গে অগ্নিদুর্ঘটনার তদন্ত করার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান দায়ীদের অবিলম্বে জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রিয়জনদের হারানো অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও হৃদয়বিদারক। আমরা এই শোকের সময়ে তাদের পরিবারের পাশে আছি।’
শেরপুরের নকলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের বসতবাড়ি ও মাঠে চাষযোগ্য জমিতে আগাম শীতকালীন শাক-সবজি আবাদের জন্য বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে বীজ ও সার বিতরণের উদ্বোধন করেন নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।
অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মুরসালিন মেহেদী বলেন, বীজ ও সার মাঠে আবাদ না করে যদি কোনো কৃষক বিক্রির উদ্দেশ্যে অসদুপায় অবলম্বন করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওই প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ২৩০ কৃষকের মাঝে জনপ্রতি ৯ প্যাকেট করে মোট ২ হাজার ৭০ প্যাকেট সবজির বীজ এবং ৪০৫ কৃষকের মাঝে মাঠে চাষযোগ্য ২০ শতাংশ জমির জন্য লাউ, বেগুন, শসা, মিষ্টিকুমড়াসহ যেকোনো সবজির ১ প্যাকেট করে বীজসহ ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় যৌথ অভিযানে প্রায় ১৪ কোটি টাকার অবৈধ চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জাল জব্দ করেছে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন।
গত সোমবার সন্ধ্যায় বিজিবি জানায়, গত ১১ ও ১২ অক্টোবর উপজেলার সীমান্তবর্তী আশ্রায়ণ বিওপির আওতাধীন এলাকায় অভিযানকালে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চল্লিশপাড়া ও মদনের ঘাট এলাকায় ৩৫ হাজার কেজি অবৈধ চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ১৪ কোটি টাকা। পরে গত সোমবার দুপুরে এসব অবৈধ জাল ধ্বংস করেন পরিচালক (অপারেশন) যশোর সদর দপ্তর, দক্ষিণ-পশ্চিম রিজিয়ন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান শিকদারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকী ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হোসেন আহমেদ।
রাঙামাটির বিলাইছড়িতে নদীতে পড়ে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল নয়টায় এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ হওয়ার দুঘণ্টা পর স্থানয়ীরা মাছের জাল দিয়ে নিহত নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত নারী হলেন লতা মার্মা (৩৩)। তিনি কেংড়াছড়ি গ্রামের মিলন কান্তি চাকমার স্ত্রী। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বিলাইছড়ি থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত মানস বড়ুয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন লাশ উদ্ধার করা হয়েছে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে কেংড়াছড়ি থেকে নৌকাযোগে বিলাইছড়ি বাজার আসার পথে কেরণছড়ি এলাকায় এসে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন। পরবর্তীতে স্থানীয়রা মাছের জাল দিয়ে তল্লাশির পর বেলা সারে এগারটায় তার মরদেহ উদ্ধার হয়। নিহতের স্বামী মিলন কান্তি চাকমা জানিয়েছেন তার স্ত্রী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। তাদের সংসারে দুই মেয়ে এক ছেলে রয়েছে।
মন্তব্য