পুঁজিবাজারে ৬৬ কোম্পানির সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হলেও দেড় মাস পর হিসেব করলে দেখা যাবে, প্রায় অর্ধেক পরিমাণ শেয়ারের দাম ফ্লোর থেকে বেড়েছে। যেগুলোর দাম কমেছে, সেগুলোর অনেকগুলোর দামও ফ্লোরের আশপাশেই আছে।
তবে যে ৬৬ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হতো না বললেই চলে, তার সবগুলোই এখন প্রতিদিন বেশ ভালো পরিমাণ হাতবদল হচ্ছে।
এসব কোম্পানির লেনদেনে গতি আসায় বাজারেও লেনদেনে প্রভাব পড়েছে। আর এই বিষয়টি পর্যালোচনা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সব শেয়ারেই ফ্লোর প্রাইস পর্যায়ক্রমে তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও চূড়ান্ত ঘোষণা এখনও আসেনি।
গত বছর করোনা সংক্রমণের পর শেয়ার দরে ধস ঠেকাতে সব শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয়া হয়। তবে এবার করোনা পরিস্থিতিতে গত ৬ এপ্রিল হঠাৎ করেই বিএসইসির বিজ্ঞপ্তি আসে। জানানো হয় ৭ এপ্রিল থেকে ৬৬ কোম্পানির শেয়ারের কোনো সর্বনিম্ন মূল্য থাকবে না।
এই সিদ্ধান্ত আসার পর শেয়ারগুলোর পতন ঘটতে থাকে ঢালাওভাবে। আর শেয়ারধারীদের পুঁজিরক্ষায় পরদিনই বিএসইসি দেয় নতুন সিদ্ধান্ত। এসব শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ থাকলেও দর হারানোর সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশ বেঁধে দেয়া হয়।
নিউজবাংলা সম্প্রতি হিসাব করে দেখেছে ৬৬ কোম্পানির মধ্যে দুইটির লেনদেন হয়নি। এর একটির লেনদেন স্থগিত, আর একটির লেনদেনের সাম্প্রতিক ইতিহাস নেই।
বাকি শেয়ারগুলোর মধ্যে বুধবার পর্যন্ত দর বেড়েছে ৩০টির। কমেছে ৩৪টির।
কিছু কোম্পানির ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ফ্লোর প্রত্যাহারের পর পর লেনদেনে গতি এসেছে। কিছু কোম্পানির ক্ষেত্রে দেখা গেছে, কয়েক দিন সময় লেগেছে, কোনো কোনো কোম্পানির লেনদেনে গতি আসতে আসতে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে গেছে। তবে এখন প্রায় সব শেয়ারেরই বেশ ভালো পরিমাণে লেনদেন হচ্ছে।
জানতে চাইলে ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টের সাবেক প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘৬৬টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়া হয়েছে সেগুলো এখন লেনদেন হচ্ছে। দামের উত্থানপতনের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করছে। এটা ভালো দিক।’
তিনি বলেন, ‘বিএসইসি যদি সব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দিয়ে তাহলে যেন বর্তমানে সর্বনিম্ন ২ শতাংশ কমার সুবিধাটি অব্যাহত রাখে।’
গত বছর করোনা সংক্রমণ শুরু হলে সব শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দেয় বিএসইসি
লেনদেন বাড়ার চিত্র
ফ্লোর প্রত্যাহারের আগে মেট্রো স্পিনিং মিলসের শেয়ার ১ এপ্রিল ১ হাজার ৩০, ৫ এপ্রিল ১৪ হাজার ৮২১টি হাতবদল হয়। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন ৭ এপ্রিল লেনদেন ছিল ২৪ হাজার ৭১১টি। তবে পরে লেনদেন বাড়তে বাড়তে ১৮ মে পৌঁছেছে ৭১ লাখ ১৪ হাজার ৪৯১টি।
এই কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৮ টাকা ৫০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ২০ পয়সা। শতকরা হিসেবে দাম বেড়েছে ৫৪ শতাংশ।
ফ্লোর প্রত্যাহারের আগে কাট্টলী টেক্সটাইলের লেনদেন হতো না বললেই চলে। তবে এখন দাম বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনও বেড়েছে কয়েক গুণ।
ফ্লোর প্রত্যাহারের দুই দিন আগে ৫ মে লেনদেন হয় ৭০১টি। ৭ এপ্রিল লেনদেন বেড়ে হয় ২ লাখ ৬৯ হাজার ১৬২। এরপর বাড়তে বাড়তে ১২ মে হাতবদল হয় ১ কোটি ২৫ লাখ ৪৪ হাজার ৪৫১টি। ১৬ মে হাতবদল হয় আরও ১ কোটি ২৫ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৪টি।
কাট্টলীর ফ্লোর প্রাইস ছিল ৯ টাকা ৩০ পয়সা। প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৭০ পয়সা।
ফ্লোর ওঠার আগের দিন প্রাইম টেক্সটাইলের শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৯ হাজার ৩৪২টি। ৭ এপ্রিল হাতবদল হয় ১ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯২টি। আর ৯ মে হাতবদল হয় ৭ লাখ ৯৮ হাজার ১৩৪টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৫ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ১০ পয়সা।
বিমা খাতে গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে চাঙা ভাবের মধ্যেও স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের লেনদেনের গতি ছিল কম। ফ্লোর ওঠার আগে এমনও দিন গেছে কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি, কোনো দিন হয়েছে ১০৬টি।
তবে ফ্লোর ওঠার পর ২৮ এপ্রিল ২৩ লাখ ৩৯ হাজার ১৯৭টি, ১২ মে ২৩ লাখ ৫২৬টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪০ টাকা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৫৬ টাকা ৬০ পয়সা।
ফ্লোর ওঠার আগে রূপালী ব্যাংকের ১ এপ্রিল শূন্য, ৪ এপ্রিল ১৮৫, ৫ এপ্রিল ২২০ শেয়ার লেনদেন হয়।
তবে ৭ এপ্রিল ফ্লোর ওঠার দিন ১৫ হাজার ৫৫০টি শেয়ার হাতবদল হয়। ১২ মে হয় সর্বোচ্চ লেনদেন। সেদিন হাতবদল হয় ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৮৮৮টি শেয়ার।
এই ব্যাংকের ফ্লোর প্রাইস ছিল ২৪ টাকা ৪০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ১০ পয়সা।
ফ্লোর ওঠার আগে ৫ এপ্রিল এস্কয়ার নিট কম্পোটিজ লেনদেন ছিল ৩৪ হাজার ৬৬০টি শেয়ার। তবে ৭ এপ্রিল লেনদেন হয় ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৮৬টি শেয়ার। এরপর বাড়তে বাড়তে ১৬ মে হাতবদল হয় ৯ লাখ ৯৫ হাজার ৭১৯টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২১ টাকা ৯০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৯০ পয়সা।
ফ্লোর প্রত্যাহারের আগে ৪ ও ৫ এপ্রিল ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স শূন্য, ৬ এপ্রিল হাতবদল হয় ১ হাজার ৩০০ শেয়ার। ফ্লোর তুলে নেয়ার পর ৭ এপ্রিল কেনাবেচা হয় ৩ হাজার ৪৫০টি। তবে ৫ মে সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ৭ লাখ ১১ হাজার ৮১৭টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪০ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ৮০ পয়সা।
৪ এপ্রিল আইপিডিসি ফিন্যান্সের শেয়ার লেনদেন হয় ২২ হাজার ৩৮৬টি। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন ৭ এপ্রিল লেনদেন হয় ৮৪ হাজার ২৩টি শেয়ার। ১৯ মে বেড়ে হয় ছয় লাখ ৭ হাজার ৭৯৩টি।
কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২২ টাকা ৬০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ৫০ পয়সা।
৪ এপ্রিল ফিনিক্স ফিন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন ছিল ৩৪ হাজার ৬২৮টি। ফ্লোর ওঠার দিন হাতবদল হয় ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৯৬৩টি। আর ৫ মে হয় সর্বোচ্চ লেনদেন। সেদিন হাতবদল হয় ৩৪ লাখ ৪৩ হাজার ১২টি।
ফান্ডটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৭ টাকা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা।
ফিনিক্স ফিন্যান্সের শেয়ার ১ থেকে ৪ এপ্রিল একটিও লেনদেন হয়নি। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন ৭ এপ্রিল হাতবদল হয় ২০০টি। এরপর গতি পেয়ে একপর্যায়ে ৩ মে হাতবদল হয় ২ লাখ ৯ হাজার ৯৩৩টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২২ টাকা ৭০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৮০ পয়সা।
২৮ মার্চ এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ডের ৪ হাজার ৪৩৮টি ইউনিট হাতবদল হয়। ৪ এপ্রিল হয় ১ লাখ ৪০ হাজার ৯৯৩টি। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন লেনদেন হয় ১০ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৪টি।
সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ৪ মে ২৫ লাখ ১৭ হাজার ৯০৫টি।
ফান্ডটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৭ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৩০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের লেনদেন ছিল একেবারেই তলানিতে। ৭ এপ্রিল ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন হাতবদল হয় তিনটি শেয়ার। পরে বেড়ে ১৬ মে লেনেদেন হয় ৩৫ লাখ ৪১ হাজার ২২২টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২২ টাকা ৫০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৭০ পয়সা।
৪ এপ্রিল বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসের ৪৯২টি, ৬ এপ্রিল হাতবদল হয় এক হাজার ৬০৫। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন লেনদেন হয় ১১ হাজার ৫৪২টি। ১২ মে হয় সর্বোচ্চ ছয় লাখ ৪৮ হাজার ৩৪৯টি হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৬ টাকা ২০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৪০ পয়সা।
ফ্লোর তোলার আগের দিন আর এন স্পিনিংয়ের লেনদেন ছিল ৭৩ হাজার ৮০১টি। পরদিন হাতবদল হয় ৯৭ হাজার ৪৫১টি। লেনদেন পরে কমে গেলেও আবার বাড়তে বাড়তে ২০ লাখ ৩৩ হাজার ৯৫১টিতে উঠে ৬ মে।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩ টাকা ৭০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৭০ পয়সা।
ফ্লোর প্রত্যাহারের আগের দিন আইএফআইএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ইউনিট হাতবদল হয় নয় হাজার পাঁচটি। পরদিনই হয় এক লাখ তিন হাজার ৩৮১টি। আর ১২ মে সর্বোচ্চ লেনদেন। হাতবদল হয় এক লাখ ৯১ হাজার ১৪০টি।
ফান্ডটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৬ টাকা ২০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৫০ পয়সা।
১ এপ্রিল থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বেঙ্গল উন্ডশন থার্মোপ্লাস্টিসের কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি। ৭ এপ্রিল লেনদেন হয় ছয় হাজার ৫০৮টি। ১২ মে দুই লাখ এক হাজার ৪৭৪টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৭ টাকা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৬০ পয়সা।
সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালেসের শেয়ার ফ্লোর প্রত্যাহারের দুই দিন আগে ৫ এপ্রিল শূন্য ও ৬ এপ্রিল ১৭১টি হাতবদল হয়। ৭ এপ্রিল হয় ১২ হাজার ২৩৯টি। আর সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ১৬ মে ২০ লাখ ৪৫ হাজার ৪১১টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১২ টাকা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৪০ পয়সায়।
২১ মার্চ থেকে শুরু হরে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন ছিল একেবারেই কম। ৭ এপ্রিল হাতবদল হয় ৬ লাখ ৪১ হাজার ৭৩২টি। সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ১২ মে ১৮ লাখ ৫৩ হাজার ১৯২টি।
ফান্ডটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৬ টাকা ৯০ পয়সা। বুধবার তা দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৩০ পয়সা।
দেশবন্ধু পলিমারের শেয়ার ৪ এপ্রিল ১১৫টি, ৫ এপ্রিল ১৩ হাজার ১০টি শেয়ার হাতবদল হয়। ৭ এপ্রিল লেনদেন হয় দুই লাখ চার হাজার ৯৮১টি। ১৬ মে হাতবদল হয় ১৫ লাখ ৯০ হাজার ৫৩৩টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১০ টাকা ৪০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ১০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে এমনকি ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত ইভেন্স টেক্সটাইলের লেনদেন ছিল খুবই কম। ৭ এপ্রিলও কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি। তবে লেনদেন বাড়তে বাড়তে ১৬ মে উঠে ৩৩ লাখ ২১ হাজার ৬৭০টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৮ টাকা ২০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৬০ পয়সা।
১ এপ্রিল ৮৫, ৪ এপ্রিল ১১টি ও ৫ এপ্রিল একটি শেয়ার লেনদেন হয় হামিদ ফেব্রিক্সের। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন তা বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজার ৪৭০টি। পরে বাড়তে বাড়তে আট লাখ ৭৯ হাজার ২১৭টি শেয়ার লেনদেন হয় ১৬ মে।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৫ টাকা ৭০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৩০ পয়সা।
প্যাসিফিক ডেনিমের শেয়ার ১১ মার্চ থেকে লেনদেন হতোই না বললে চলে। ১ এপ্রিল এক হাজার ৫০৩, ৪ এপ্রিল এক হাজার ৩৬৭, ৫ এপ্রিল শূন্য, ৬ এপ্রিল চার হাজার ৪৬৯টি শেয়ার হাতবদল হয়। ৭ এপ্রিল হয় এক হাজার ৬৭৬টি।
এরপর বাড়তে বাড়তে ১২ মে ৫১ লাখ এক হাজার ৮৩৭টি আর ১৬ মে ৫২ লাখ দুই হাজার ১৬টি শেয়ার লেনদেন হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৮ টাকা ৫০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৯০ পয়সা।
সাফকো স্পিনিং এর শেয়ার ১ এপ্রিল লেনদেন হয় এক হাজার ২৪৫টি, ৫ এপ্রিল ১০১, ৬ এপ্রিল ছয় হাজার ৮৪৫টি। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন লেনদেন ছিল ৫০০টি। তবে লেনদেন বেড়ে ১৬ মে হয় আট লাখ তিন হাজার ১১১টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১১ টাকা ২০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৯০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ফ্লোর প্রত্যাহারের পরেও ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত জাহিন স্পিনিং মিলসের লেনদেন ছিল একেবারেই কম। কোনো কোনোদিন কোনো শেয়ারই কেনাবেচা হয়নি।
৭ এপ্রিল ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন হাতবদল হয় দুইশটি শেয়ার। তবে বাড়তে বাড়তে ১৬ মে হাতবদল হয় ৩১ লাখ ৭৫ হাজার ৮৯১টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৬ টাকা ৩০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ১০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ফ্লোর প্রত্যাহারের পরেও ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত রিং সাইন টেক্সটাইলের লেনদেন হয়নি বললেই চলে। ৭ এপ্রিল হাতবদল হয় কেবল ৫০টি। তবে ২৯ এপ্রিল থেকে বাড়তে থাকে লেনদেন। ১৯ মে হাতবদল হয় এক কোটি ৪৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫৬২টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৬ টাকা ৪০ পয়সা। বুথবার দাম দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ১০ পয়সা।
২৪ মার্চ থেকে রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলসের লেনদেনের খরা ছিল। ৫ এপ্রিল শূন্য, ৬ এপ্রিল দুই হাজার ১০৪টি আর ৭ এপ্রিল ৫টি শেয়ার হাতবদল হয়। ১৬ মে লেনদেন বেড়ে হয় ১৪ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮১।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৭ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৫০ পয়সায়।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের লেনদেন ছিল না বললেই চলে। ৭ এপ্রিল হাতবদল হয় কেবল ৫টি শেয়ার। তবে ১৩ এপ্রিল থেকে গতি পায় লেনদেনে। ৯ মে হাতবদল হয় ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ৯৯টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৪ টাকা ৬০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা।
৪ এপ্রিল শূন্য, ৫ এপ্রিল ৬৬৩, ৬ এপ্রিল ৫ এমনকি ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন ৭ এপ্রিল কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি কুইন সাউথ টেক্সটাইলের। তবে পরে বাড়তে বাড়তে ১৬ মে হাতবদল হয় আট লাখ ৬ হাজার ২৯৫টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২৪ টাকা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৫০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ফ্লোর প্রত্যাহারের পর ৭ এপ্রিল পর্যন্ত শাসা ডেনিমের শেয়ার লেনদেন হয়নি বললেই চলে। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন হাতবদল হয় মাত্র ২০টি শেয়ার। তবে এরপর ১৬ মে ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৬৮টি শেয়ার লেনদেন হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২১ টাকা ৬০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৮০ পয়সা।
ফ্লোর প্রত্যাহারের আগের দিন ৬ মে অলেম্পিক একসেসরিসের লেনদেন হয় পাঁচ হাজার ১৩২টি শেয়ার। পরদিন ফ্লোর উঠে যাওয়ার দিন হাতবদল হয় ১৪ হাজার ৪৭৯টি শেয়ার।
সর্বোচ্চ হাতবদল হয় ১৮ মে এক লাখ ৭২ হাজার ৭২২টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৬ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৮০ পয়সা।
৪ এপ্রিল নাভানা সিএনজির দুই হাজার ১১১, পরদিন আট হাজার ৮৯৭, ৬ এপ্রিল ২২ হাজার ৮৩০টি শেয়ার হাতবদল হয়। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন দরপতন হলে শেয়ারের লেনদেন কমে আসে। হাতবদল হয় ছয় হাজার ৭৮৭টি। তবে ১৭ মে হাতবদল হয় দুই লাখ ৭৫ হাজার ২৩৩টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩৩ টাকা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৫০ পয়সা।
ফ্লোর প্রাইস থেকে কমেছে যেগুলো
২২ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত এমএল ড্রাইংয়ের লেনদেন হয়নি বললেই চলে। ফ্লোর তুলে দেয়ার দিন একটি শেয়ারও হাতবদল হয়নি। তবে ২৯ এপ্রিল থেকে গতি পায় লেনদেনে। ১২ মে সর্বোচ্চ ৫১ লাখ ৭০ হাজার ৬৪১টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৫০ টাকা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ৩০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের লেনদেন ছিল তলানিতে। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন ৭ এপ্রিল কোনো শেয়ারই হাতবদল হয়নি। তবে ২৯ এপ্রিল থেকে লেনদেনে গতি আসে। আর ১৭ মে সর্বোচ্চ ৪৯ লাখ ৯৯ হাজার ৬০১টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২১ টাকা ৭০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৫০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সোনারগাঁও টেক্সটাইলের লেনদেন হয়নি বললেই চলে। ফ্লোর তুলে নেয়ার দিন ৭ এপ্রিল হাতবদল হয় ৪৪৫টি। ২৮ এপ্রিল হয় ১০টি। তবে এরপর লেনদেনে আসে গতি। ২ মে লেনদেন হয় আট রাখ ৫৬ হাজার ৭১৮টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২৪ টাকা ৫০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৬০ পয়সা।
৫ এপ্রিল আরএসআরএম স্টিল মিলসের ৩০টি, পরদিন ১২টি আর ফ্লোর উঠার দিন ৭ এপ্রিল ৩৫০টি শেয়ার হাতবদল হয়। লেনেদেন বাড়তে বাড়তে ২৯ এপ্রিল ৭ লাখ ৭৭ হাজার ২৩৬টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২২ টাকা ৯০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ১০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ এপ্রিল ফ্লোর উঠার দিন পর্যন্ত ওয়াইমেক্স ইলেকট্রোডের লেনদেন ছিল তলানিতে। ফ্লোর উঠার দিন হাতবদল হয় ২০১টি শেয়ার। তবে ২২ এপ্রিল থেকে গতি পায় লেনদেনে। ২৯ এপ্রিল সর্বোচ্চ তিন লাখ ৯৬ হাজার ৭৬২টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২৪ টাকা ৩০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৫০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত কোনো কোনো দিন কেপিসিএলের এমনকি একটি শেয়ারও হাতবদল হয়েছে। ফ্লোর উঠার দিন ৭ এপ্রিল লেনদেন হয় ২১ হাজার ৩৬৫টি শেয়ার। পরে বাড়তে বাড়তে ২৯ এপ্রিল হাতবদল হয় ৩৯ লাখ ১৪ হাজার ২৭৫টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৫ টাকা ৩০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ৩০ পয়সা।
২২ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের হাতবদল হওয়া শেয়ারের পরিমাণ ছিল খুবই কম। ফ্লোর প্রাইস ওঠিয়ে দেয়ার দিনও কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি। ১৫ এপ্রিল থেকে হাতবদল হতে শুরু করে কোম্পানিটির শেয়ার। সর্বোচ্চ হাতবদল হয় ১৯ মে ১৩ লাখ ২ হাজার ৫৩টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ২৪ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৩০ পয়সা।
আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ফ্লোর উঠানোর আগে লেনদেনে কোনো গতি ছিল না। যেদিন ফ্লোর প্রাইস ওঠিয়ে দেয়া হয় সেদিনও কোম্পানিটির মাত্র ৩৯৫টি শেয়ার লেনেদেন হয়। তবে সর্বোচ্চ হাতবদল হয়েছে ১৬ মে, ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬২৬টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২৬ টাকা ২০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ১০ পয়সায়।
৪ এপ্রিল ফার ক্যামিকেলের এক হাজার, ৫ এপ্রিল শূন্য, ৬ এপ্রিল পাঁচশটি শেয়ার লেনদেন হয়। ফ্লোর উঠার পর ৭ এপ্রিল হাতবদল হয় তিন হাজার ৫৫০টি। এরপর বাড়তে বাড়তে ১৬ মে হাতবদল হয় ১৫ লাখ ৬৪ হাজার ৮৩৮টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৯ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ২০ পয়সা।
৪ এপ্রিল গোল্ডেন হারভেস্ট এগ্রোর ৭০০, ৫ এপ্রিল শূন্য, ৬ এপ্রিল এক হাজার চারশ শেয়ার হাতবদল হয়। ফ্লোর উঠার দিন ৭ এপ্রিল লেনদেন ছিল এক লাখ ১৩ হাজার ২৫৪টি। এরপর ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত লেনদেনে দেখা দেয় খরা। পরে ২০ এপ্রিল হাতবদল হয় ৩৩ লাখ ৯৬ হাজার ৩৮৬টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৬ টাকা ৭০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৮০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইন্দোবাংলা ফার্মাসিউটিক্যালের লেনদেনে ছিল খরা। ফ্লোর উঠার দিন হাতবদল হয় ৬৪৭টি শেয়ার। তবে এরপর বাড়তে বাড়তে ১২ মে পৌঁছে ২৭ লাখ ৩০ হাজার ৪৮৫টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৯ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ২০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের লেনদেন ছিল তলানিতে। ফ্লোর উঠার দিন ৭ এপ্রিল কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি। তবে ২৯ এপ্রিল থেকে লেনদেনে আসে গতি। আর ২ মে সর্বোচ্চ ৪০ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৬টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৭ টাকা ৬০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৩০ পয়সা।
১ ও ৪ এপ্রিল নাহী অ্যালুমিনিয়ামের শূন্য, ৫ এপ্রিল ৫০, ৬ এপ্রিল ১০৩টি শেয়ার হাতবদল হয়। ফ্লোর উঠার দিন ৭ এপ্রিল লেনদেন হয় এক হাজারটি শেয়ার। আর এরপর বাড়তে বাড়তে ১৬ মে উঠে ১২ লাখ ৩৬ হাজার ২৯২টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৭ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকা ৫০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত সায়হাম কটনের লেনদেন ছিল তলানিতে। এরপর বাড়তে বাড়তে ২ মে হাতবদল হয় ৩৬ লাখ ৬৭ হাজার ৬৮৩টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৬ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৫০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের লেনদেন ছিল তলানিতে। ৭ এপ্রিল ফ্লোর উঠার দিন হাতবদল হয় ৫০০টি শেয়ার। ১৬ মে হাতবদল হয় ৫ লাখ ৬১ হাজার ৮৯২টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৫ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৩০ পয়সা।
১ এপ্রিল প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ১৩১টি, ৩ এপ্রিল এক হাজার একটি, ৫ এপ্রিল ১৪ হাজার ৬৬০টি, ৬ এপ্রিল ২১৬টি শেয়ার হাতবদল হয়।
ফ্লোর উঠার দিন ৭ এপ্রিল লেনদেন হয় পাঁচ হাজার ৯৭০টি। ১৮ মে হয় সর্বোচ্চ লেনদেন। হাতবদল হয় ১০ লাখ ৫৩ হাজার ৬১৩টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৮ টাকা ৯০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ৫০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সায়হাম টেক্সটাইলের লেনদেন একেবারে তলানিতে। ফ্লোর উঠার দিন ৭ এপ্রিল কোনো শেয়ার লেনদেন হয়নি। তবে ২৯ এপ্রিল থেকে গতি পায় লেনদেনে। ২ মে সর্বোচ্চ ২৯ লাখ ৯৮ হাজার ৮৭৩টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২৪ টাকা ৫০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ১০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে একদিন ৮ মার্চ ১৯ হাজারের কিছু বেশি শেয়ার লেনদেন ছাড়া ৭ এপ্রিল পর্যন্ত উত্তরা ফিন্যান্সে আগ্রহ ছিল না বললেই চলে। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন লেনদেন হয় ১৮৭টি শেয়ার।
লেনদেন বাড়তে থাকে ১৩ এপ্রিল থেকে। ২০ এপ্রিল সর্বোচ্চ এক লাখ ৭৫ হাজার ৫৪৯টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৩ টাকা ৬০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ৫০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের লেনদেন ছিল না বললেই চলে। ফ্লোর উঠার দিন হাতবদল হয় এক হাজার ৩২৫টি। ১২ এপ্রিলের পর বাড়তে বাড়তে ১২ মে লেনদেন পৌঁছে ৩৪ লাখ ৫ হাজার ৩৫০টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১১ টাকা ৫০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৪০ পয়সা।
১ এপ্রিল উসমানিয়া গ্লাস শিটের ২০০, ৪ এপ্রিল একটি শেয়ার হাতবদল হয়। ফ্লোর উঠার দিন ৭ এপ্রিল লেনদেন হয় এক হাজার ১৩০টি। পরদিনই হয় গত এক দেড় মাসে সর্বোচ্চ লেনদেন। সেদিন হাতবদল হয় ৩০ হাজার ৮৪৫টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৪ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৫০ পয়সা।
৪ এপ্রিল সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজের ২০৫টি, ৬ এপ্রিল ৭৫২টি এবং ফ্লোর প্রত্যাহারের দিক ৭ এপ্রিল হাতবদল হয় ৪৮০টি শেয়ার। এরপর বাড়তে বাড়তে ১৭ মে লেনদেন পৌঁছে তিন লাখ ৩৮ হাজার ৬৪৫টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৮ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকা ৮০ পয়সা।
২৪ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ইউনিক হোটেলের লেনদেন ছিল তলানিতে। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন হাতবদল হয় ৫১টি শেয়ার। তবে পরে গতি পায়। ৬ মে সর্বোচ্চ এক লাখ ৮৭ হাজার ৬৭২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩৯ টাকা ৫০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ২০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ মার্চ ছাড়া ৭ এপ্রিল পর্যন্ত সিলভা ফার্মার লেনদেন ছিল তলানিতে। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন হাতবদল হয় এক হাজার ১৪টি শেয়ার। তবে ১৬ মে হাতবদল হয় সর্বোচ্চ ১৫ লাখ ৬৪ হাজার ২৯৮টি শেয়ার।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৮ টাকা ৩০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৩০ পয়সা।
১ এপ্রিল দুলামিয়া কটনের ১৫০, ৪ এপ্রিল শূন্য, ৫ এপ্রিল ৪৮, ৬ এপ্রিল ১১৫ শেয়ার হাতবদল হয়। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন ৭ এপ্রিল কোনো শেয়ার লেনদেন হয়নি। তবে পরে ১৮ মে লেনদেন বেড়ে হয় ২৬ হাজার ১৬০টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ৪৮ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৯০ পয়সা।
২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নূরানী ডাইংয়ের বলার মতো কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি। ৭ এপ্রিল ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন লেনদেন হয় কেবল এক হাজার শেয়ার। পরে বাড়তে বাড়তে ১৬ মে লেনদেন হয় ২১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৭৪টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৭ টাকা ৭০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৪০ পয়সা।
১ এপ্রিল ইয়াকিন পলিমারের ৯৫৬, ৪ এপ্রিল এক হাজার ৭৫০, পরদিন চার হাজার ৪৫০, ৬ এপ্রিল তিন হাজার ২৮২টি শেয়ার হাতবদল হয়। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন ৭ এপ্রিল লেনদেন হয় সাত হাজার ৬৫টি শেয়ার। আর সর্বোচ্চ হাতবদল হয় ২ মে নয় লাখ ৯৫ হাজার ২১৯টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১১ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৫০ পয়সা।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২২ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার দর দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৯০ পয়সা।
৪ এপ্রিল শূন্য, ছয় এপ্রিল তিনটি শেয়ার হাতবদল হয় এএফসি এগ্রো বায়োটেকের। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন হাতবদল হয় ৫০০ টি। ১৬ এপ্রিল লেনদেন বেড়ে হয় নয় লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৯টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৭ টাকা। বুধবার তা দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৪০ পয়সায়।
আরগন ডেনিমের শেয়ার ৪ ও ৫ এপ্রিল লেনদেন হয়নি একটিও। ফ্লোর প্রত্যাহারের আগের দিন ৬ এপ্রিল ১০৩টি হাতবদল হলেও প্রত্যাহারের দিনও কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি। পরে জট খোলার পর নিয়মিত হাতবদল হতে থাক শেয়ার। ১৬ মে সর্বোচ্চ ১৬ লাখ ৩৯ হাজার ৭০২টি শেয়ার হাতবদল হয়।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৯ টাকা ২০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ১০ পয়সা।
১ ও ৪ এপ্রিল বিচ হ্যাচারির শূন্য, ৫ এপ্রিল ৮০, ৬ এপ্রিল ৭৪৩টি শেয়ার হাতবদল হয়। ৭ এপ্রিল লেনদেন বেড়ে হয় ১৩ হাজার ২৩৫টি। সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ৪ মে দুই লাখ ৫২ হাজার ৪৯০টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৩ টাকা ৬০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ২০ পয়সা।
কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার ৫ এপ্রিল ৩০২, ৬ এপ্রিল লেনদেন হয়েছে একটি। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন হয় চার হাজার। ১৬ মে লেনদেন হয় ১০ লাখ ৫১ হাজার তিনটি।
লিমিটেডের ফ্লোর প্রাইস ছিল ২০ টাকা ৭০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৭০ পয়সা।
২৪ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ডেসকোর লেনদেন হয়নি বললেই চলে। ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন হাতবদল হয় ৪৩০টি। তবে ১৫ এপ্রিল হাতবদল হয় দুই লাখ তিন হাজার ৪০০টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩৪ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার তা দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৩০ পয়সা।
৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল গ্লোবাল হ্যাভি ক্যামিকেলের কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি। ৪ এপ্রিল হয় দুটি, ৫ এপ্রিল ৪৮১ আর ৬ এপ্রিল আবার কোনো শেয়ার হাতবদল হয়নি।
ফ্লোর প্রত্যাহারের দিন লেনদেন হয় ৫ হাজার ৯৭৬টি। এরপর বাড়তে বাড়তে ১২ মে হয় ৮২ হাজার ৬৮২টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩১ টাকা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৬০ পয়সা।
ফ্লোর প্রত্যাহারের আগে বেশ কয়েকদিন কোনো লেনদেন না হওয়া এডভান্ট ফার্মার শেয়ার হাতবদল হয়নি ফ্লোর প্রত্যাহারের দিনও। ১৮ এপ্রিল তিন হাজার ৪২৭টি শেয়ার হাতবদলের পর বাড়তে থাকে লেনদেন। ১৬ মে হাতবদল হয় ৫১ লাখ ৭৬ হাজার ৮৫০টি।
কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২২ টাকা ৮০ পয়সা। বুধবার দাম দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৯০ পয়সা।
আরও পড়ুন:আমি তখন কলেজে পড়ি। স্যারের বাসায় যত সিনসিয়ারলি যাই তত সিনসিয়ারলি পড়ালেখা করি না। পুরা শহর ঘুরে বেড়ানোয় যত মনোযোগ ততটা মনোযোগ কলেজে যাওয়ায় না। তবে নিঃসন্দেহে দারুণ সময় পার করছিলাম। একদিন আমি কোনো এক কাজে রিকশায় করে ফরেস্ট ঘাটের দিকে যাচ্ছিলাম। যথারীতি রিকশা চালকের সাথে নানবিধ গল্প করছি। রাজনীতি, শহর, দেশসহ প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই আমাদের আলোচনায় স্থান পাচ্ছিল। রিকশা চালকের চিন্তা এবং জ্ঞান দেখে আমি বেশ মুগ্ধই হয়েছিলাম। মনে মনে ভাবছিলাম যে আমাদের সমাজে আসলেই অনেক সুচিন্তাশীল মানুষ আছে যারা অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করে না। কিছুক্ষণের মধ্যেই একটা ঘটনা ঘটলো যেটা আমার চিন্তাশক্তিকে কিছুক্ষণের জন্যে অবশ করে দিলেও পরবর্তীতে একটা কঠিন সত্যকে জানতে সাহায্য করেছিল। ফরেস্ট ঘাটের কাছাকাছি একটা জায়গায় পৌঁছেতেই কিছু দূরে একটা জটলা মত পেলাম এবং একজন পথচারীর কাছ থেকে জানতে পারলাম তিনি আর কেউ না, শহরের সবচেয়ে কুখ্যাত টেরর (যার নাম বললে আপনারা সবাই চিনবেন)। আমি কেন যেন আর অগ্রসর হতে চাইলাম না। রিকশা চালককে ওখানেই আমাকে নামিয়ে দিতে বললাম। ঘৃণা থেকেই হোক বা অজানা শঙ্কায় হোক সে মুহূর্তে ওই মানুষটার কাছাকাছি যেতে আমার ইচ্ছা হচ্ছিল না। আমি রিকশা থেকে নেমে যখন ভাড়া মিটাচ্ছিলাম তখন দেখি আমার সেই রিকশাচালক বেশ রাগান্বিত হয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক রিকশা চালককে তার হাতের বিড়িটা ফেলে দিতে বলছে। প্রায় ধমকের স্বরেই বলেছিল, ‘বিড়ি ফ্যাল ব্যাটা। সামনে একজন সম্মানিত মানুষ দেখা যায় সেটার খেয়াল নেই?’ আমি বেশ ভালো রকমের ধাক্কা খেলাম। অনেকটা বিড়বিড় করে বললাম, ‘সামনে কোনো সম্মানিত লোক আছে যে এখানে দাঁড়িয়ে এই রিকশাচালক বিড়ি খেতে পারবে না?’ তখন আমার সেই রিকশাচালক আমার উপর বিরক্ত হয়েই বলেছিল, ‘ভাইরে চিনেন না?’ আমি আর কোন কথা না বলে যতটা সম্ভব দ্রুত হেঁটে বিপরীত দিকে চলে গিয়েছিলাম। মজার বিষয় হচ্ছে আমাদের রিকশা থেকে সেই সম্মানিত(!) লোক এতটুকু দুরুত্বে ছিল যে আরেকজন রিকশাচালক বিড়ি খেলে সেটা দেখতে পাবে না। তার মানে সে ভয় থেকে কথাটা বলে নি। বরং তার চোখে মুখে এক ধরনের মুগ্ধতা দেখেছিলাম। কিছুক্ষণ আগেও যে রিকশাচালককে আমি বুদ্ধিমান, বিবেকবান মনে করেছিলাম তার প্রতি আমার দৃষ্টি ভঙ্গিটাই মুহূর্তে পালটে গিয়েছিল।
এটুকু পড়ে হয়তো অনেকেই ভাবছেন এটাতে কি আর এমন ঘটনা আছে যে এত বছর পরে এসে আমাকে লিখতে হবে? আসলে এটা আমার একটা ভিন্ন চিন্তা শক্তিকে উন্মুক্ত করেছিল। এরপর থেকে একটা বিষয় আমি খুব ভালোভাবে বুঝার চেষ্টা করি। আমরা কম বেশি সবাই নীতি কথা বলি, বিবেকের কথা বলি; কিন্তু অসৎ এবং খারাপ মানুষদের কেন এক গোপন সমর্থন দিয়ে যাই? কেন অনেক ক্ষেত্রেই সমাজের সবচেয়ে খারাপ মানুষদের একজনকে ভোট দিয়ে আমরা নির্বাচিত করি? কোনো এক ব্যাক্তি যদি অশ্লীল কথা বলে তারপরেও কেন আমরা তাকে পছন্দ করি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে ফলো করে যাই? তারচেয়েও যেটা আমাকে বেশি ভাবতে সাহায্য করেছিল যে আমাদের চোখের সামনে পরিষ্কার অনিয়ম, অন্যায় দেখতে পেলেও কেন আমরা তার প্রতিবাদ তো করিই না বরং কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা তার নীরব সমর্থনও দিয়ে যাই? আর এই অনিয়মের অংশ কিন্তু মূর্খ, জ্ঞানহীন বা অবুঝ মানুষজনই শুধু না বরং শিক্ষিত, মার্জিত, বুদ্ধিমানেরাও। কখনো কি ভেবে দেখেছেন, কেন আমরা সম্মিলিতভাবে অন্যায়কে মেনে নেই?
আমরা সবসময় আমাদের স্বার্থ নিয়েই ভাবি। আমাদের কম্ফোর্ট নষ্ট হয় এমন কিছুকে ইচ্ছা করেই এড়িয়ে চলি। আর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হচ্ছে আমরা সত্য খুঁজি না, আমাদের কম্ফোর্ট খুঁজি। অর্থাৎ, যে ঘটনা বা তথ্য আমাদেরকে ডিসকম্ফোর্ট দিবে সেটাকে আমরা দেখেও না দেখার ভাণ করি। মনে করেন আপনি একটা গাড়িতে বসে আছেন। সেই গাড়িটা যদি ট্রাফিক নিয়ম ভঙ্গ করে বা কাউকে বোকা বানিয়ে আপনাকে বেশ কিছুটা পথ এগিয়ে দেয় তখন কিন্তু আপনি মনে মনে খুশী হবেন। আবার ঠিক বিপরীতভাবে, আপনার পাশ দিয়ে আপনাকে বোকা বানিয়ে যদি আরেকটা গাড়ি নিয়ম ভঙ্গ করে কোন ব্যানিফিট নেয় তাহলে তার উদ্দেশে নৈতিক কথা বলবেন এবং সে যে অন্যায় করেছে সেটার জন্যে আপনি কথা শুনিয়ে দিবেন। তার মানে ন্যায় এবং সত্য আপনার স্বার্থের সাথে সমন্বয় করে চলে। কোনো অসৎ এবং খারাপ মানুষের কাছ থেকে আপনি যদি সুবিধা পেয়ে থাকেন তাহলে তার সেই অসততা আপনি মনে মনে মেনে নেবেন।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে যে তাহলে কি সবাই অন্যায়ের সাথেইে আপস করে চলে? না, সবাই আপস করে না। সংখ্যায় খুব অল্প হলেও অনেকেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে মতামত প্রদান করে। তবে এর ফলে তাকে অনেকটাই সমাজচ্যুত হতে হয়। এখন হয়তো ভাবছেন কয়টা বিষয়ে কজনা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে? এই প্রতিবাদ শুধুমাত্র আন্দোলনে না। এর অনেক রূপ আছে। মজার বিষয় হচ্ছে সেসব প্রতিবাদীরা আইসোলোটেড হয়ে যায়, কারণ আমি আপনিই নিয়মের জালে তাদের একলা করে দেই। সোশ্যাল মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্টিং মিডিয়া সব জায়গায় দেখবেন চটুল লোকদের জয়জয়কার। যারা ন্যায়ের কথা বলছে, সমাজ ও দেশের কথা বলছে তাদের অস্তিত্ব থাকছে না। সবচেয়ে বিপজ্জনক বিষয় হচ্ছে ন্যায়ের কথা বলা লোকজনেরা শুধুমাত্র কোণঠাসাই হয় না, কোনো কোনো ক্ষেত্রে আক্রমণের স্বীকারও হয়।
ম্যাসাচুসেটস ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা গেছে সবচেয়ে ভালো ও জনপ্রিয় ছাত্রটিই সাধারনত সবচেয়ে ভালো মিথ্যাবাদী। অন্যভাবে বললে যে যত সুন্দরভাবে গুছিয়ে এবং কনভিন্সিংলি মিথ্যা বলতে পারে সে তত জনপ্রিয় হয়ে উঠে। এমনকি গবেষকরা বলেছেন যে বর্তমান সমাজে বুঝিয়ে মিথ্যা বলতে পারাটা দারুণ একটা স্কিল হিসাবে গন্য হতে পারে। যারা এই মতবাদে বিশ্বাসী না তাদের অনুরোধ করব একটু ভালো করে আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া পর্যবেক্ষণ করেন। অনেক ক্ষেত্রেই ডিসিভাররা দারুণভাবে জনপ্রিয়। তারা সুন্দরভাবে গুছিয়ে মিথ্যা বলে আমাদেরকে মিথ্যা গিলিয়ে দিচ্ছে। তাদের মিথ্যা ধরার মতো ক্ষমতা বেশিরভাগ মানুষেরই নেই। যারা মিথ্যাকে ধরতে পারছে তারা প্রতিবাদ করছে না কারণ এতে করে তারা আক্রমণের স্বীকার হবে। এটাই আমাদের সমাজের অদ্ভুত নিষ্ঠুরতা। সত্য যখন আমাদেরকে ডিসকম্ফোর্ট দেয় কিংবা আনসেটেল্ড করে দেয় তখন আমরা সত্যবাদীকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আক্রমণ করে বসি।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে কেন সত্যের চেয়ে মিথ্যা বেশি প্রসারিত এবং জনপ্রিয়। এর সবচেয়ে সহজ ব্যাখ্যা হচ্ছে, সত্য উপলব্ধি করার জন্যে জ্ঞানের প্রয়োজন হয়, সত্যকে যাচাই করে নিতে হয়। সত্য কখনো কখনো রূঢ় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সত্য আমাদের ডিস্কম্ফোর্ট দেয়, আমাদের স্বার্থে আঘাত হানে। অন্যদিকে মিথ্যা হচ্ছে সহজ এবং চটুল। মিথ্যাকে যাচাই করতে হয় না, মিথ্যাকে ধারণ করার জন্যে কোন জ্ঞানের প্রয়োজন হয় না। মিথ্যার সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে মিথ্যা আপনাকে কম্ফোর্ট দিবে, কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি করে দিবে না। সত্য র্যাশিওনাল আর্গুমেন্টকে উৎসাহিত করে আর মিথ্যা আবেগকে ম্যানিপুলেট করে। যেটা আবেগকে ম্যানিপুলেট করতে পারে তার জয় তো হবেই, তাই না?
কগনিটিভ ডিসোন্যান্স নামে সাইকলোজিতে একটা পরিস্থিতি আছে। এটা হচ্ছে নিজের ভেতরে নিজের আরেকটা ভিন্নমত। আমার মনে হয় কম বেশি আমরা সবাই এই সমস্যাতে ভুগি। এটার মাত্রা বেড়ে গেলে তখন হয়তো রোগাক্রান্ত হিসাবে বিবেচিত হয়। অনেক সত্যই আমরা জানি কিন্তু সেই সত্যকে আরেকটা যুক্তি দিয়ে আমরা নিজের কাছে নিজেই আশ্বস্ত হতে চাই। একটা উদাহরণ দেই যেটা আমাদের আগে আলোচনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। একজন অসৎ এবং খারাপ মানুষ অনেক ক্ষেত্রেই আমরা নেতা হিসাবে মেনে নেই। একজন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজকে দেখবেন পিএইচডি করা এক ব্যাক্তি ভোট দিচ্ছে। এসবই হচ্ছে কম্ফোর্ট দেয়া মিথ্যার আশ্রয় নেয়া। একজন খারাপ মানুষকে যখন আমরা সমর্থন করি তখন নিজের কাছে নিজেই যুক্তি দেই যে, অমুক তো এর চেয়েও বেশি খারাপ কাজ করেছে। তমুক তো, এই ভালো কাজটা করেনি। অতএব, আমি যে খারাপ মানুষটাকে সমর্থন করছি সেটা করাই যায়। আমাদের সমাজ নৈতিক অবক্ষয়ের এক চূড়ান্ত জায়গায় এসে উপনীত হয়েছে। আমরা নিজ স্বার্থে মিথ্যাকে আকড়ে ধরে পরবর্তী প্রজন্মের জন্যে বসবাস অনুপযোগী এক সমাজ ব্যবস্থা রেখে যাচ্ছি। আমরা সম্মিলিতভাবে মিথ্যাকে মেনে নিয়েছি। আমরা সবাই কগনিটিভ ডিসোন্যান্সে সংক্রমিত।
লেখক: কথাশিল্পী ও নাট্যকার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ডা. হামদু মিয়া স্মৃতি শিক্ষা বৃত্তি–২০২৪-এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলার ইব্রাহিমপুর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. কামরুজ্জামান। তিনি অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বও করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবীনগর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি গোলাম হোসেন খান টিটু, ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মোছা, সাবেক চেয়ারম্যান মো. নোমান চৌধুরী, ইব্রাহিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন, প্রধান শিক্ষক শাহানাজ আক্তার, আল আমিন খন্দকার, মো. আলী মাহমূদুর রহমান রাছেল ও মাজেদুল হকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিল ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশন ৯৬ ব্যাচ।
শেষে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
একটি ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা। সোনাইমুড়ীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২০০৬ সালে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে থানায় রূপান্তরিত হয়। বর্তমানে থানা এলাকার ভবন অত্যন্ত পুরাতন, জরাজীর্ণ ও বসবাসের অনুপযোগী। এখানকার সব ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ।
জানা যায়, সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ পরিত্যক্ত ভবনে কোনোরকমে গাদাগাদি করে থাকতে হয়। এছাড়াও নেই দৈনন্দিন ব্যবহার ও খাওয়ার জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থাও। ১৭০.৪২ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের সোনাইমুড়ী থানায় ২০২২ সালের জনশুমারী অনুযায়ী রয়েছে মোট জনসংখ্যা ৩,৬৮,৮৪২। এই জনসংখ্যার জন্য নিয়োজিত রয়েছেন ১জন ওসি, ১ জন ওসি তদন্ত, এসআই ৮ জন, এএসআই ১০ জন ও ২৮ জন কনস্টেবল সহ প্রায় ৫০ জন। গত ৫'ই আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত থানায় ৪ টি গাড়ি থাকলেও বর্তমানে রয়েছে মাত্র ২টি গাড়ি। গাড়িতে ব্যবহারের জন্য ২৫ থেকে ৩০ লিটার জ্বালানি তেলের চাহিদা থাকলেও সরকারিভাবে বরাদ্দ রয়েছে মাত্র ৫ লিটারের। ২০০৬ সালে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে থানায় রূপান্তরিত হলেও বর্তমানে এখানে নেই প্রয়োজনীয় জনবল। তাই এই এলাকায় গঠিত অপরাধ দমনে প্রতিনিয়ন হিমসিম খেতে হচ্ছে থানা কর্তৃপক্ষের। থানা ভবনের দ্বিতীয় তলায় টিন সেট ঘর নির্মাণ করে ফোর্সের আবাসিক ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে ৫ জনের স্থানে গাদাগাদি করে রাত্রি যাপন করে ৮/১০ জন। থানা পুলিশের ব্যারাকে ১৫ জনের মধ্যে থাকে ২০-২৫ জন। আর অফিসারদের জন্য কোন থাকার ব্যবস্থা নেই। ১৫ আগস্টে পুড়িয়ে দেওয়া থানা ভবন ও অন্যান্য ভবন কোনরকম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে থাকছে পুলিশ সদস্যরা। আগত সেবা-প্রার্থীদের বসার কোন স্থান নেই।
থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনির হোসেন জানান, এই থানায় জনবল অনুযায়ী নেই বসবাসের সুব্যবস্থা। একটি পরিত্যক্ত ভবনে কোনো রকম গাদাগাদি করে থাকতে হয়। বিশুদ্ধ পানিরও রয়েছে চরম সংকট। বরাদ্দকৃত গাড়ির জন্য ২৫ থেকে ৩০ লিটার জ্বালানি তেলের চাহিদা থাকলেও সরকারিভাবে বরাদ্দ রয়েছে মাত্র ৫ লিটার তেল। এ অবস্থায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে হিমসিম খেতে হচ্ছে থানা পুলিশের।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোরশেদ আলম বলেন, নানা সংকটে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ। এটা সত্য। ডিউটি করতে পুলিশের গাড়ি সংকট রয়েছে। এখানকার কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা সব সংকট মোকাবিলা করে থানার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। চুরি ছিনতাইসহ সকল অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইতোপূর্বে কয়েকটি ডাকাতি ও চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা উদঘাটন হয়েছে।
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার করটিয়াপাড়া বাজারের উত্তর পাশে কাঁকড়ার ঝোড়ার ওপর ২ কোটি ২৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৩১ টাকা ব্যয়ে
নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ দীর্ঘ ৫ বছরেও শেষ হয়নি। ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় ব্রিজের নির্মাণকাজ। ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা দীর্ঘ সময়েও শেষ হয়নি ব্রিজের কাজ।
উপজেলার কালিদাস-বহুরিয়া সড়কের করটিয়াপাড়া বাজারের উত্তর পাশে কাঁকড়ার ঝোড়া নামক স্থানে ২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ওই পিএসসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ কাজ থেমে থেমে চলছে। একটানা যতদিন কাজ চলে তার কয়েক গুণ বেশি সময় বন্ধ থাকে নির্মাণ কাজ।
যানবাহন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ব্রিজের দুই পাড়ের হাজারো মানুষ। দৈনন্দিন প্রয়োজনে উপজেলা শহর বা অন্য কোথাও যেতে চাইলে ১৪ থেকে ১৫ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। এতে অর্থ ও সময় দুই-ই বেশি ব্যয় হচ্ছে তাদের।
উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ২ কোটি ২৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৩১ টাকা ব্যয়ে নির্মানাধীন ২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের পিএসসি গার্ডার ব্রিজটির কাজ পায় মাইন উদ্দিনবাসী নামক ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কাজটি শুরু হয়ে ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজটি এখনো চলমান। এলজিইডির কাগজপত্রে ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হওয়ার তথ্যও পাওয়া গেছে।
ওই সড়ক ব্যবহার করে স্থানীয় বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন সেবা গ্রহীতা ও উপকারভোগীদের একটি বৃহৎ অংশ যাতায়াত করে। বিকল্প সড়ক ঘুরে আসতে অনেক সময় লেগে যায়। এতে বয়োবৃদ্ধ,নারী -শিশুসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা বলেন, কাঁকড়ার ঝোড়া ব্রিজটি সম্পূর্ণ না হওয়ার কারণে কালিদাস, ঠকাইনাপাড়া, ফুলঝুড়িপাড়া, করটিয়া পাড়া, বেলতলী, হারিঙ্গাচালা, হতেয়া-রাজাবাড়ি, কালমেঘা, ছলংগা ও বহুরিয়া চতলবাইদসহ অন্তত ১৫ থেকে ২০টি গ্রামের মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার। ঠিকদারি প্রতিষ্ঠান কিছুদিন কিছু কাজ করে বেশ কয়েকবার লাপাত্তা হয়ে গেছে। গত কয়েক মাস ধরেও বন্ধ রয়েছে ব্রিজের কাজ।
তারা আরো বলেন, ব্রিজটি সম্পন্ন না হওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় আমাদের সন্তানেরা স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় সময় মতো যেতে পারছে না। অসুস্থ রোগীদের নিয়ে পড়তে হয় চরম বিপাকে। দ্রুত শহরের হাসপাতালে নেওয়ার উদ্দেশে কাঁধে করে তাদের পার করতে হয়। আমাদের প্রয়োজনে কোনো কাজের মালামাল আনতে পারি না। ফল-ফসল ও শাকসবজি ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রেও এই ব্রিজের কারণে আমরা খুবই সমস্যায় আছি। ছোট খাটো মালামাল হলে আমরা কাঁধে ও মাথায় করে পার করি। আমরা সকলে মিলে টাকা তুলে সাময়িক পারাপারের জন্য ব্রিজের পশ্চিম পাশ দিয়ে একটি কাঠের সাঁকো তৈরি করেছি। অথচ সাময়িক পারাপারের ব্যবস্থাও সরকারিভাবে ঠিকাদারের করার কথা বলে আমরা জানি। সরকারের কাছে আমাদের দাবি খুব তাড়াতাড়ি যেন এই ব্রিজের কাজটি সম্পন্ন হয়।
ব্রিজের দুই পাড়ের দুটি বাজার কালিদাস ও করটিয়া পাড়া বাজারের একাধিক ব্যবসায়ীরা বলেন, মালামাল পরিবহন করা কষ্টকর, সময় সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। প্রায় পাঁচ বছর যাবত আমরা কষ্ট, অতিরিক্ত সময় ও ব্যয়ভার বহন করছি। আমরা এর থেকে নিস্তার চাই।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
সখীপুর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান জানান, পিএসসি গার্ডার ব্রিজটির ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে বৃষ্টির কারণে কাজটি সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই কাজটি শুরু হবে এবং আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে আমরা কাজটি শেষ করতে পারব।
স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে এক অন্ধকার অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আলোর মুখ দেখলো নরসিংদীর সদর উপজেলার আলোকবালীর মানুষ। বিশ্ব যখন আধুনিকতার জয় গানে মুখরিত। ঠিক তখনি এক মধ্যযুগীয় বর্বরতার চোরাবালিতে আটকে ছিল আলোকবালী ইউনিয়নের মানুষের ভাগ্য।
সদর উপজেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চল আলোকবালীতে আধিপত্য বিস্তার, মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন, রাজনৈতিক কোন্দল এবং তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত ঘটে আসছিল খুন, হত্যা, চাঁদাবাজি আর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। ইতোপূর্বে এ এলাকার মানুষ টেঁটা ব্যবহার করে মারামারি করত। বর্তমানে তারা বন্ধুক, পিস্তল এবং অবৈধ ভারী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে এলাকার পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেছিল। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দ্বন্দ্বের কারণে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ইদন মিয়া (৬০) নামে এক বিএনপির কর্মী, ১৯ সেপ্টেম্বর ফেরদৌসি বেগম (৩৬) নামে এক গৃহবধূ এবং ২৯ সেপ্টেম্বর সাদেক হোসেন (৪২) নামে এক যুবদল নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এ সকল ঘটনায় আরো অন্তত ২৫-৩০ জন আহত হয়।
এ এলাকার শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে গতকাল শনিবার সকালে নরসিংদী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোকবালী ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে আইনশৃংখলা ও উন্নয়ন কার্যক্রমসহ সার্বিক বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। নরসিংদী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন, নরসিংদী পুলিশ সুপার মো. মেনহাজুল আলম পিপিএম, নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা জাহান সরকার, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিনথিয়া হোসেন, পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক দীপক কুমার বর্মন প্রিন্স ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা।
বক্তারা উপস্থিত সর্বস্তরের জনগণকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘আজ (গতকাল শনিবার) থেকে আলোকবালীতে কোনো অস্ত্রবাজ, চাঁদাবাজ এবং বালু লুটেরার স্থান হবেনা। তাদেরকে অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। তারা যেকোন দলেরই হউক না কেনো তাদেরকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবেনা। জেলা প্রশাসনের এ মহৎ উদ্যোগটি অভিজ্ঞ মহল এবং এলাকাবাসী সাধুবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তির নিশ্বাস ফিরে এসেছে।
আসন্ন ক্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ফেনী-১ (ফুলগাজী-পরশুরাম-ছাগলনাইয়া) আসনে ধানের শীষের পক্ষে গণজাগরণ তৈরিতে মাঠে নেমেছেন ম্যাগপাই গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বিজিএমইএর পরিচালক মজুমদার আরিফুর রহমান। গত শুক্রবার সকাল থেকে রাত অবধি ফেনী-১ আসনের ফুলগাজী পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে ব্যাপক গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময় তিনি বলেন ‘আমি এমপি-মন্ত্রী হতে আসিনি, এসেছি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ফেনী-১ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী করতে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমার এই গণমুখী কার্যক্রমে ঈর্ষান্বিত একটি মহল আমাকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা আমাকে প্রতিপক্ষ হিসেবে ভাবছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
গণসংযোগ কর্মসূচির শুরুতে সকাল ১০টায় তিনি ফুলগাজী বাশুড়া আজিজুল উলুম কাসিমিয়া নূরানী ও হেফজ মাদ্রাসায় নগদ অনুদান প্রদান করেন এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়ার আয়োজন করেন। এরপর তিনি বিভিন্ন স্থানে ধানের শীষের পক্ষে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেন।
দুপুরে তিনি দক্ষিণ দৌলতপুর নূরানী মাদ্রাসা ও উত্তর দৌলতপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিদর্শনকালে দুটি প্রতিষ্ঠানকেও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। উত্তর দৌলতপুরে বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।
বিকালে তিনি মুন্সিরহাট ইউনিয়নের করইয়া গ্রাম ও আমজাদহাট ইউনিয়নে পৃথক গণসংযোগ কর্মসূচিতে অংশ নেন এবং করইয়া ঈদগাহ মাঠের উন্নয়নে অনুদান প্রদান করেন। বিকেলে তিনি পরশুরামের বিলোনিয়া স্থল বন্দর এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে বেগম খালা দিয়েন পক্ষে গণসংযোগ করেন।
দিনব্যাপী এই গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন ফুলগাজী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম রসুল মজুমদার গোলাপ, কৃষকদলের সাবেক সভাপতি আবু ইউসুফ মিয়া, উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, যুবদল নেতা মাস্টার আনোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় নূতন বিদ্যুৎ (বাংলাদেশ) লিমিটেড ও এক্টিস এক্ট সিআইও এর আর্থিক সহায়তায় দরিদ্র্য ও সুবিধাবঞ্চিত ৪০টি পরিবারের মধ্যে নিরাপদ পানির অভাব দূর করে সুপেয় পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে টিউবওয়েল সরবরাহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
গত শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে বোরহানউদ্দিনের কুতুবা ইউনিয়নের দক্ষিণ কুতুবায় অবস্থিত নূতন বিদ্যুৎ (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রকল্প এলাকায় সুবিধাবঞ্চিত ৮টি পরিবারের মাঝে টিউবওয়েল হস্তান্তর করা হয়।
এছাড়া পর্যায়ক্রমে প্রোজেক্ট এর নিকটবর্তী এলাকার সাধারণ জনগণের সুপেয় পানি নিশ্চিত করতে আরো ৩২টি টিউবওয়েল স্থাপন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
নূতন বিদ্যুৎ (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রতিনিধি জানান, তারা প্রজেক্ট আরম্ভলগ্ন হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি প্রজেক্টসংলগ্ন জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিভিন্নভাবে ভূমিকা রেখে আসছে এবং তারা ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখবে।
টিউবওয়েল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রনজিৎ চন্দ্র দাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রুপ সিইও (ব্রিজিন পাওয়ার), গ্রুপ সিওও (ব্রিজিন পাওয়ার), গ্রুপ টেকনিক্যাল হেড(ব্রিজিন পাওয়ার), প্রকল্প প্রধান (এনবিবিএল), ইএইচএস প্রধান(এনবিবিএল) ও এইচআর অ্যান্ড অ্যাডমিন প্রধান (এনবিবিএল)।
মন্তব্য